আমরা আধুনিক মানচিত্রের সাহায্যে কিছুটা আন্দাজ করার চেষ্টা করছি হেনরি মর্টান স্ট্যানলে-র যাত্রাপথ। নইলে পাঠকের পক্ষে বোঝাই মুশকিল এইসব কাণ্ড ঘটছে কোথায়। কাজটা কঠিন। কারণ, এইপথে এমন অনেক জায়গার নাম রয়েছে যার আজ কোনো অস্তিত্বই নেই। যেমন বহু খুঁজেও পাওয়া গেল না কিঙ্গারু গ্রাম। বাগামোয়ো থেকে ‘উসেগুহহা’-র রাজধানী সিম্বামওয়েন্নিতে পৌঁছোনোর লক্ষ্যে চলেছে স্ট্যানলের কাফেলা। উসেগুহহা বলে কোনো স্থান বা প্রদেশ আজ আর নেই। এমনকি বোঝাও মুশকিল সেই অঞ্চলের বিস্তৃতি ঠিক কী ছিল। তবে সিম্বামওয়েন্নি নামে একটি ক্যাম্প-সাইট এখনও রয়েছে তানজানিয়ার মোরোগোরো শহরের কাছে। আন্দাজ করা যেতে পারে এই সিম্বামওয়েন্নি-র কথাই স্ট্যানলে বলছেন। কাজেই এখানে বর্ণিত যা-কিছু ঘটছে সবই মানচিত্রে নীল বুটি দেওয়া পথের আশেপাশেই।—সম্পাদক
এই জলাভূমিটা দেশের ভিতরে দুশো মাইলের বেশি গেছে। প্রচুর সংখ্যায় জলহস্তী, কুমির, গোসাপ, কচ্ছপ এবং ব্যাঙের দেখা পাওয়া যায় এখানে; আর এই বিস্তীর্ণ পচা, গলা, কাদা-থকথকে জলাজমির থেকে যে বিষবাষ্প উঠছিল তা লন্ডনের বিষণ্ণ, আত্মহননের ইচ্ছে জাগানো কুয়াশার মতোই ঘন আর মন-খারাপ-করা। এই দৃশ্য দেখে আমার মনে খালিই বেচারা বার্টন আর স্পেকের ছবি ভাসছিল। এখানকার জ্বরে বার্টন পাকাপাকি রকমের অসুস্থ হয়ে পড়েন আর স্পেকের মাথা স্থায়ীভাবে আক্রান্ত হয়। আমার তো মনে হয় বার্টনের বইটা এই আফ্রিকান অসুখের ফল। তবে মূল ভূখণ্ডে পা দেওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই আমার চোখের উপর টেনে দেওয়া যবনিকাটি একটু একটু করে সরছিল আর বই পড়ে তৈরি হওয়া ম্লান ছবিটাতে একটু একটু করে রং লাগছিল। আমরা প্রায় দুমাস হল পূর্ব আফ্রিকায় রয়েছি, আমার একজন লোকও এখনও অসুস্থ হয়নি। ইউরোপীয়রা মোটা হয়েছে, তাদের ক্ষিধে বেড়েছে, বহাল তবিয়তেই আছে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন কেটে গেল। মাগাঙার থেকে কোনো খবরই এল না। অগত্যা, মাগাঙ্গাকে তাড়া দেওয়ার জন্য শ এবং বোম্বেকে পাঠাতে হল। চতুর্থ সকালে শ ও বোম্বে ফিরল, সঙ্গে ইচ্ছে করে দেরি করা মাগাঙ্গা আর তার ঢিমে গতির দলবল। দেরির কারণ জানতে চাইলে একটাই অজুহাত শোনা গেল যে তার লোকেরা খুবই অসুস্থ ছিল, পথ চলার ক্লান্তি সহ্য করার ক্ষমতা জন্মানোর আগে সে তাদের চাপ দিতে চায়নি। তা ছাড়াও সে বলল যে যেহেতু তারা আরও একদিন শিবিরে থাকতে বাধ্য হবে, তাই আমি যেন কিঙ্গারুতে চলে যাই আর সেখানেই শিবির করে তার জন্য অপেক্ষা করি। এই পরামর্শ অনুযায়ী আমি শিবির ভেঙে পাঁচ মাইল দূরের কিঙ্গারুর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলাম।
এই পথটা আরও ভাঙাচোরা। আমাদের কাফেলাটি প্রথমে ঢুকল জঙ্গলে, সে পথ পেরোতে আমাদের গাড়িকে খুবই ঝামেলা পোহাতে হল। পাথরের গায়ে, চাতালের উপর চাকা চাকা দাগওলা পাইসোলিটিক চুনাপাথরের গুটুলি দেখা যাচ্ছে। মনে হতে লাগল যেন আমরা স্বাস্থ্যকর পার্বত্যাঞ্চলের কাছে পৌঁছে গেছি, আর যেন এই ধারণাকেই দৃঢ় করতে উত্তরে, উত্তর-পশ্চিমে উদো পাহাড়ের বেগুনি চুড়োগুলো দেখা যেতে লাগল আর সেই সঙ্গে দৃশ্যমান হল সমুদ্রপৃষ্ঠের থেকে ১৫০০ ফিট উঁচু ডিলিমা শীর্ষের মাথা।
তারপর আমরা একটা বাটির মতো উপত্যকায় ঢুকে গেলাম, লম্বা লম্বা ভুট্টায় ঢাকা সে জায়গা, সবুজ। সেখানে রাস্তাটা উত্তর-পশ্চিম থেকে কিছুটা পশ্চিমে সরে গেছে, আমাদের সামনে সেখানকার জমি অবশ্য এখনও ঢেউয়ের মতো উঠছে নামছে।
কিঙ্গারু গ্রামটি এইরকম টানা উঁচু জমিগুলির মাঝের একটা নীচু জায়গায় অবস্থিত। সেই এলাকাটা পালাজ্বরের জন্য কুখ্যাত। জল-ভরা মেঘ, ঝুঁকে থাকা শৈলশিরা, ঘন অন্ধকারে ঢাকা গভীর জঙ্গল হয়তো এই জায়গাটাকে বেশি অপ্রিয় করে তুলেছিল, তবে জায়গাটা স্যাঁতসেতে, ঘন জঙ্গলে ঘেরা, গর্তের মতো—কাছেই গভীর নালায় জল জমে দহ হয়ে আছে। প্রথম দর্শনেই জায়গাটা অপছন্দ হয়েছিল।
শিবির গুছিয়ে, তাঁবু-টাবু খাটানোর আগেই, ঝমঝমিয়ে এসে গেল মাসিকাঋতুর অগ্রদূত, প্রচণ্ড বর্ষা। আমার মনের মধ্যে ফুটে ওঠা পূর্ব আফ্রিকার প্রতি সদ্যজাত ভালোবাসা ও আকুতিকে ভিজে চুপসিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। যাইহোক, বৃষ্টি সত্ত্বেও, শিবির স্থাপন করা আর সব মালপত্র আবহাওয়া ও চোরদের থেকে ঠিকমতো নিরাপদে গুছিয়ে রাখার কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা কাজ চালিয়ে গেলাম। তারপর আমরা হাল ছেড়ে দিয়ে দেখতে থাকলাম, অবিরাম বৃষ্টির জলের ছোঁয়ায় মাটিটা কেমন ধীরে ধীরে থকথকে কাদায় পরিণত হচ্ছে, আমাদের শিবিরের মাটিতে ছোটো ছোটো দহ আর বহতা নদী তৈরি হচ্ছে।
রাতের দিকে, পুরো ব্যাপারটা যখন বিরক্তির চরমসীমায় পৌঁছে গেছে, তখন বৃষ্টি থামল। আর জঙ্গলের মধ্যের গ্রামের থেকে স্থানীয়রা তাদের বেসাতিসহ শিবিরে ভিড় জমাল। এদের মধ্যে সর্বাগ্রে এল গ্রামের সুলতান— প্রভু, প্রধান, বা মাথাও বলা যায়—তার সঙ্গে প্রচলিত মাপের তিন মাপ মাতামা আর অর্ধেক মাপ চাল। পিতৃসুলভ হেসে সে আমাকে উপহার হিসেবে সেটা নিতে বলল। তবে দেখলাম, তার হাসির মুখোশ, ঘোলাটে চোখ আর কুঁচকানো চামড়ার নীচে তার অন্তরের ধড়িবাজ চাতুরি পরিষ্কার ফুটে উঠেছে। এই শঠ বুড়োর পথই অনুসরণ করে আমি বললাম, ‘কিঙ্গারুর প্রধান আমাকে ধনী সুলতান বললেন। যদি আমি একজন ধনী সুলতান হই, তবে তিনি কেন আমার জন্য একটি দামি উপহার নিয়ে এলেন না যাতে তিনি একটি মুল্যবান প্রত্যুপহার পেতে পারেন?’ কুঁচকানো মুখে ত্যাড়া চোখে তাকিয়ে সে উত্তর দিল, ‘কিঙ্গারু গরিব জায়গা, গ্রামে কোনো মাতামা নেই।’ জবাবে বললাম, গ্রামে যেহেতু কোনো মাতামা নেই, তাই আমি তাকে আধা শুক্কা বা এক গজ কাপড় দেব, তার দেওয়া উপহারের একদম সমান দামের; সে যদি তার ছোটো ঝুড়ি-ভরা জিনিসকে উপহার বলতে পারে, তাহলে আমার একগজ কাপড়টাও উপহার হিসাবে ধরতে আমার কোনো অসুবিধা নেই। এই যুক্তিতে সে সানন্দে সন্তুষ্ট হল।
পয়লা এপ্রিল—আজ অভিযানের একটা ক্ষতি হল। জাঞ্জিবারের সুলতান সৈয়দ বুরঘাসের উপহার দেওয়া ধূসর আরবি ঘোড়াটা মারা গেল। আগের রাতেই খেয়াল করেছিলাম যে ঘোড়াটা কষ্ট পাচ্ছে। বার বার যা বলা হয়েছে যে ৎসেৎসের জন্য আফ্রিকার অন্দরে কোনো ঘোড়া বাঁচে না, সেই কথা মনে রেখে ঘোড়ার শব ব্যবচ্ছেদ করেছিলাম আর ঘোড়ার পেটটা পরীক্ষা করলাম, আমার মনে হয়েছিল ঘোড়াটার পেটেই সমস্যা। অনেক হজম-না-হওয়া মাতামা ও ঘাসের সঙ্গে ঘোড়াটার পেটে পঁচিশটা বেঁটে, মোটা, সাদা ক্রিমি পাওয়া গেল। জোঁকের মতো পেটের ভিতরের আস্তরটা চুষছে, আর অন্ত্রগুলো লম্বা সাদা কৃমিতে থিকথিক করছে। আমি বুঝলাম যে মানুষ বা জন্তু কেউই শরীরের ভিতরে এমন দুষ্ট-প্রাণীর ঝাড় নিয়ে বেশিদিন বাঁচতে পারে না।
ঘোড়ার মৃতদেহ থেকে যাতে উপত্যকাতে কোনো দূষণ না ছড়ায়, তাই আমি শিবিরের থেকে কুড়ি গজ মতো দূরে ঘোড়াটাকে মাটির গভীরে কবর দিইয়েছিলাম। এই ছোট্ট ব্যাপারটা থেকে একটা বড়োসড়ো ঝামেলা পাকল। কিঙ্গারুর আশেপাশের গ্রাম বলতে মোটমাট ডজন-দুয়েক জড়াজড়ি করে দাঁড়িয়ে থাকা কুঁড়ে। সেইসব গ্রামের প্রধানদের সঙ্গে কিঙ্গারু গ্রামের প্রধান শলাপরামর্শ করেছিল যে মুসুঙ্গুর থেকে এক-দুই ডটি মার্কিনি জরিমানা হিসেবে কীভাবে আদায় করা যায়। আর শেষে তার দৃঢ়বিশ্বাস হয়েছিল যে তার অনুমতি ছাড়াই তাদের জমিতে একটা মরা ঘোড়াকে কবর দেওয়াটা একটি মারাত্মক ও জরিমানাযোগ্য অপরাধ। এই ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের প্রতি মর্মস্পর্শী গভীর ধিক্কার প্রকাশ করে, কিঙ্গারু তার গ্রামের চারজন ছেলেকে মুসুঙ্গুর কাছে পাঠায়, তারা এসে প্রধানের বার্তা জানায়, ‘আমাদের জমিতে ঘোড়া পুঁতেছ, ঠিক আছে; ঘোড়া সেখানেই থাকুক; তবে আমাকে দুই ডটি মার্কিনি দিতে হবে।’ বার্তাবাহকদের বললাম যে তারা যেন প্রধানকে গিয়ে বলে যে সে যদি দয়া করে আমার তাঁবুতে আবার পদধূলি দেয়, তাহলে আমি তার সঙ্গে মুখোমুখি বসে বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে পারি। গ্রামটা আমাদের শিবিরের থেকে পাথর-ছোড়া দূরে, তাই বেশি সময় পেরোনোর আগেই, কোঁচকানো চামড়ার বুড়ো আমার তাঁবুর দরজায় এসে হাজির, আর তার পিছনে প্রায় অর্ধেক গ্রামও হাজির।
এরপর আমাদের মধ্যে নিম্নলিখিত কথোপকথনটি হল। যেসব লোকদের সঙ্গে আমাকে আগামী এক বছর লেনাদেনার সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে, তাদের মেজাজপত্র কেমন সেটা এর থেকেই বোঝা যাবে।
শ্বেতাঙ্গ মানব—আপনি কি কিঙ্গারুর মহান প্রধান?
কিঙ্গারু - হু-উ। হ্যাঁ।
শ্বে. মা. - মহান, মহান প্রধান?
কিঙ্গারু - হু-উহ্। হ্যাঁ।
শ্বে. মা. - তোমার কতজন সৈন্য আছে?
কিঙ্গারু - কেন?
শ্বে. মা. - তোমার কতজন লড়ুয়ে লোক আছে?
কিঙ্গারু - কেউ না।
শ্বে. মা. - ওহ! আমি ভেবেছিলাম তোমার সঙ্গে হয়তো হাজারখানেক লোক আছে, তুমি যেভাবে একজন পরাক্রমশালী সাদা মানুষ যার কাছে অনেক বন্দুক ও সৈন্য রয়েছে, তাকে জরিমানা করতে চাইলে! তাও আবার একটি মড়া ঘোড়াকে কবর দেওয়ার জন্য দুই ডটি কাপড় চাইলে!
কিঙ্গারু (খানিকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে) - না তো; আমার কোনো সৈনিক নেই। আমার হাতে শুধু কয়েকজন জোয়ান ছেলে আছে।
শ্বে. মা. - তাহলে এসে ঝামেলা করছ কেন?
কিঙ্গারু - আমি করিনি। আমার ভাইয়েরা বলল, “দ্যাখো দ্যাখো কিঙ্গারু, দ্যাখো সাদা মানুষটা কী করেছে! সে কি তোমার অনুমতি ছাড়া তোমার জমিতে ঘোড়াকে কবর দিয়ে তোমার জমি দখল করে নিল না? যাও, তার কাছে যাও আর দ্যাখো সে কোন্ অধিকারে এমনটা করল!” সুতরাং আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে এসেছি, আপনাকে আমার জমিতে ঘোড়া কবর দেওয়ার অনুমতি কে দিয়েছে?
শ্বে. মা. - ঠিক কাজ করার জন্য আমার কোনো মানুষের অনুমতি লাগে না। আমার ঘোড়া মরেছে: আমি যদি তাকে তোমার উপত্যকায় পচে, দুর্গন্ধ ছড়াতে ফেলে রাখতাম, তাহলে তোমার গ্রামের লোকই অসুস্থ হত, তোমার জল খারাপ হয়ে যেত, কাফেলারা ব্যাবসার জন্য এখানে থামত না; কারণ তারা বলত, “এটা একটা অমঙ্গলজনক জায়গা, এখান থেকে পালাই।” তবে থাক, যথেষ্ট হয়েছে: বুঝেছি যে তুমি চাও না যে ঘোড়াটাকে তোমার জমিতে কবর দেওয়া হোক; আমি যে ভুলটা করেছি তা সহজেই ঠিক করে দিচ্ছি। এই মুহূর্তে, আমার সৈন্যরা তাকে আবার খুঁড়ে বার করে আনবে আর গর্ত বুজিয়ে আবার আগের মতো করে দেবে; আর ঘোড়াটা যেখানে মারা গিয়েছিল সেখানেই থাকবে। (তারপরে বোম্বের দিকে চিৎকার করে।) হো! বোম্বে, সৈন্যদের বলো বেলচা নিয়ে যেতে আর ঘোড়াটাকে মাটি খুঁড়ে বের করে আনতে, তারপর সেটাকে টেনে যেখানে মারা গিয়েছিল সেইখানটায় নিয়ে গিয়ে ফেলে রাখো, আর সবকিছু প্রস্তুত করো যাতে আমরা আগামীকাল সকালেই যাত্রা শুরু করতে পারি।
কিঙ্গারু, যথেষ্ট উঁচু গলায়, আবেগের সঙ্গে মাথা নাড়াতে নাড়াতে, আর্তচিৎকার করে উঠল, “আকুনা, আকুনা, বানা!”—“না না, প্রভু! সাদা মানুষ যেন রাগ না করে। ঘোড়াটা মারা গেছে, এখন কবরে শুয়ে আছে; সে যেহেতু ইতিমধ্যেই মাটির নীচে, সে সেরকমই থাকুক, আর আমরা আবার বন্ধু হই।”
এইভাবে কিঙ্গারুর শেখের হুঁশ ফিরল, আমরা একে অপরকে বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবে ‘কওহেরি’ বললাম, আর তারপর আমি একা বসে আমার ক্ষতির কথা ভাবতে লাগলাম।
(ক্রমশ... পরের কিস্তি পড়ুন ১৮ ফেব্রুয়ারি)
এই শ্বেতাঙ্গ মানব কি স্ট্যানলি ? তিনি কিঙ্গারুর প্রধানের সঙ্গে কি স্বাহিলি ভাষায় কথা বলেন ? স্বাহিলিতে "না " = হাকুনা ( আকুনা নয় ) বাওয়ানা ( বানা নয় ) = সার কোয়াহেরি (কওহেরি নয় ) = বিদায় ।
অনেক ধন্যবাদ। একেবারে ভাষা না জানা থাকার সমস্যা এগুলো। আপনি যদি পরের পর্ব গুলোও পড়েন আর কোথাও ত্রুটি থাকলে ধরিয়ে দেন তো খুব খুশি হব।
গুরু
অনুমতি দিলেন যখন, সাধ্যমত সহযোগিতা করব। বই ছাপার সময় ওই সট্যানলে বদলে সট্যানলি করেদেবেন । ১০৬৬ সালে ফরাসীরা দেশটা দখল করে ইংরেজী উচচারনের সমুহ ক্ষতি করে গেছে। যে ভাষা ছিলফোনেটিক, জারমান সমতুল্য তাকে এমন ছিরি দিল যে বানান দেখে বোঝার উপায় নেই তার সঠিক উচচারন কি হবে!