এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  রাজনীতি

  • ভোট চুরি করা নির্বাচন কমিশনটাই বৈধ তো ?

    সুমন সেনগুপ্ত
    আলোচনা | রাজনীতি | ১০ আগস্ট ২০২৫ | ৫২ বার পঠিত

  • রাহুল গান্ধী বোমা ফাটিয়েছেন। দেশের অন্যতম একটি সাংবিধানিক সংস্থা, নির্বাচন কমিশন যার দায়িত্ব অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করার, তাদের দিকেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন। তথ্য প্রমাণ সহ সাংবাদিক সম্মেলন করে দেখিয়েছেন যে গত লোকসভা নির্বাচন এবং তার পরবর্তী মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। উল্টে রাহুল দেখিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের সহায়তাতেই বিভিন্ন রাজ্যে ভুয়ো ভোটারের নাম নথিভুক্ত করানো হয়েছে। একই ভোটার কার্ডের নম্বরে বিভিন্ন রাজ্যে নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে, সেই তথ্যও দেখিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। তিনি যেটা বলেননি, তা হলো নতুন ভোটারদের নাম নথিভুক্ত করার পাশাপাশি বিভিন্ন ভোটারদের নামও বাদ দেওয়া হয়েছিল। এই অভিযোগ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তাদের রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় সিং করেছিলেন।

    রাহুল গান্ধী যে অভিযোগ করেছেন, তা জেনে নেওয়া জরুরি। রাহুল গান্ধী বলেন যে মূলত পাঁচ রকম পদ্ধতি ব্যবহার করে নির্বাচনে এই কারচুপি করা হয়েছে।

    ১. ডুপ্লিকেট ভোটার

    ২. জাল ও অবৈধ ঠিকানার ভোটার

    ৩. একক ঠিকানায় ভুয়ো ভোটার

    ৪. অবৈধ ছবি বা ও ভুয়ো ভোটার

    ৫. ফর্ম ৬ এর অপব্যবহার (নতুন ভোটারদের জন্য)

    সবকিছুই তথ্য দিয়ে পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি তাঁর বিস্তারিত সাংবাদিক সম্মেলনে। তিনি উদাহরণ হিসেবে, কর্ণাটকে কংগ্রেসের হেরে যাওয়া একটি আসনা কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত মাধেবপুরা লোকসভা আসনে মাত্র একটি বিধানসভায় ১,০০,২৫০ জনের নাম ঢোকানো হয়েছে তা দেখিয়েছেন। এবার বিভিন্ন রাজ্যে এবং সারা দেশের লোকসভায় গত ১০টি বিধানসভা নির্বাচনের সংখ্যা কল্পনা করলেই বোঝা যাবে কীভাবে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। রাহুল গান্ধীর অভিযোগ অনুযায়ী এই ভোট চুরি সরাসরি নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপি কর্তৃক সংঘটিত একটি অপরাধ এবং জালিয়াতি। রাহুল গান্ধী যা যা অভিযোগ করেছেন তা অদ্ভুত এবং এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচন কমিশন নিয়েই প্রশ্ন তৈরী হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের মতে, ৮০ জন লোক একটি কক্ষের বাড়িতে বাস করছেন এবং ৮০ জনই লোকসভায় ভোট দিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে আমরা দেখেছি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশেন করে রাহুল গান্ধী দেখাচ্ছেন ৩৫ নম্বর বাড়ি - ৮০ জন ভোটার কিংবা ৭৯১ নম্বর বাড়ি - ৪৬ জন ভোটার। তিনি যে কাজটি করেছেন তাকে বলে অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতা, যা এই সময়ে বিরল। বেশীরভাগ গণমাধ্যম যেখানে সরকারের কথা তুলে ধরাকেই সাংবাদিকতা বলে চালাতে চাইছেন, সেখানে রাহুল গান্ধীর এই সাংবাদিক সম্মেলন সেই বিষয়েও একটা নতুন দিক উন্মোচন করলো বলে মানুষ মনে করছেন। রাহুল গান্ধী দেখিয়েছেন যে তাঁরা তদন্ত করে পেয়েছেন বাস্তবে এই ভোটারদের কেউই সেখানে থাকতেন না। এই ধরণের ১০.৪৫ হাজার ভোটার সেই একক লোকসভা আসনে ভোট দিয়েছিলেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি আদিত্য শ্রীবাস্তব বলে একজন ভোটারের নাম উল্লেখ করেন এবং বলেন এই ভোটারের নাম — উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের ভোটার তালিকায় একইসাথে আছে এবং তিনি একবার দুবার নয় বারংবার ভোট দিয়েছন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন একই ভোটার ১৬৬, ১২৪, ১২৫, ১২৬ বুথে ভোট দিচ্ছেন — এটা কীভাবে সম্ভব? নির্বাচন কমিশনকে এই রকম কঠিন প্রশ্ন করেছেন তিনি। আরো বলেছেন তথ্য দিয়ে যে কর্ণাটকে মাত্র একটি বিধানসভা থেকে ১১.৯ হাজারেরও বেশি ভোটার একাধিক বিধানসভায় ভোট দিয়েছেন। বলা হয়েছে যে এই বিষয়টা গণতন্ত্রের জন্য ভয়ঙ্কর যে

    কর্ণাটকের ভোটার তালিকায় একটি বিধানসভার ৪.৩ হাজার ভোটারের অবৈধ ছবি। ৭০, ৮৯, ৯৩ বছর বয়সী মানুষ প্রথমবারের ভোটার বা নতুন ভোটার হিসেবে নাম তুলেছেন, এটা কী সম্ভব? কে তাহলে এই মানুষদের হয়ে ভোট দিয়েছেন? যে ফর্ম নম্বর ৬ পূরণ করে একজন ব্যক্তি নতুন ভোটার হন সেখানে ঐ ফর্মের অপব্যবহার হয়েছে। একটি আসনে এই ধরণের ৩৩.৬ হাজারেরও বেশি নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে। এবার কল্পনা করুন সারা দেশে মোট সংখ্যা কত।

    রাহুল গান্ধী নির্বাচন কমিশন থেকে যে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন, তার ভিত্তিতে গত নির্বাচনে মোদী ২৫টিরও বেশি লোকসভা আসন চুরি করেছিলেন। এই সাংবাদিক সম্মেলন নিয়ে সবাই কথা বলা শুরু করা জরুরি, কারণ গোদী মিডিয়া বলবে না। এই বিষয়টা শুধু একটি সাংবাদিক সম্মেলন নয়, এটা নির্বাচন কমিশন এবং ভোটচুরির বিরুদ্ধে একটি চার্জশিট।

    এই সাংবাদিক সম্মেলনের আগেও রাহুল গান্ধী বলেছিলেন নির্বাচন কমিশনার বেছে নেওয়ার পদ্ধতির মধ্যেই গলদ আছে। আইনের বদল করে বিজেপি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার একজন ক্যাবিনেট স্তরের মন্ত্রীকে কমিটিতে নিয়ে আসেন, যাতে অনুপাতের হিসেবে ২ : ১ হয় এবং তাঁদের পছন্দমাফিক নির্বাচন কমিশনার বেছে নেওয়া যায়। এই বিষয়ে তিনি একটি ইংরেজি সর্বভারতীয় পত্রিকায় উত্তর সম্পাদকীয় কলম লেখেন এবং বলেন ভুয়ো ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকা এমনভাবে বাড়ানো হয়েছে, যে কোনও কোনও ভোটারের বাসস্থানের অবধি হদিশ পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন ছোট ছোট স্বাধীন সংবাদমাধ্যম এই সংক্রান্ত খবর করা সত্ত্বেও এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমনকি ভোটার তালিকা বারংবার চাওয়া সত্ত্বেও নানা অজুহাতে নির্বাচন কমিশন সেই তালিকা দিতে অস্বীকার করেছে। তৃতীয়ত, ভোট দানের হার বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে, যাতে ভোটার তালিকায় বৃদ্ধিকে ন্যয্যতা দেওয়া যায়। চতুর্থ পয়েন্ট হিসেবে উনি লিখেছেন, শাসক দল খুব হিসেব করে, যেই যেই বুথে তাঁরা গত লোকসভা নির্বাচনে পিছিয়ে ছিলেন, সেই সেই বুথে ভুয়ো ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পুরো মহারাষ্ট্রে ১ লক্ষ বুথ আছে, কিন্তু বিজেপি হিসেব করে ১২০০০ বুথে এই ভুয়ো ভোটার ঢুকিয়েছে, যাতে সেই ভোট দিয়ে পুরো মহারাষ্ট্র নির্বাচনের ফল নিজেদের অনুকূলে নিয়ে আসা যায়। পঞ্চম এবং শেষ পয়েন্ট হিসেবে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, কোনও প্রমাণ যাতে বিরোধী দলকে না দিতে হয়, তাই তাঁরা আদালতের নির্দেশও অমান্য করেছে এবং সমস্ত ভিডিও ফুটেজ এবং অন্যান্য প্রমাণ মুছে দিয়েছে এক মাসের মধ্যে।

    এখন অনেকে বলতেই পারেন, বিরোধী দলনেতা যে অভিযোগ করেছেন, সেটা যদি সত্যিও হয়, তাহলে তার সমাধান হিসেবে নির্বাচন কমিশন এখন যে বলছে বিশেষ নিবিড় সংশোধন করা জরুরি, তাহলে তো তা সমর্থনযোগ্য। এইখানেই সমস্যার বীজ লুকিয়ে আছে। গত লোকসভা কিংবা মহারাষ্ট্র বিধানসভায় যে প্রবণতা দেখা গেছে তা হলো, নতুন ভোটার এবং ভুয়ো ঠিকানা থেকে ডুপ্লিকেট ভোটারের অন্তর্ভুক্তি, যা দিয়ে ভোটকে প্রভাবিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর নামে যেটা বিহারে আপাতত চালানো হয়েছে, তাকে বলে ধরে ধরে বিরোধী ভোটারদের বাদ দেওয়া। এই পদ্ধতিও নেওয়া হয়েছিল দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে, ফর্ম ৮ কে বা কারা পূরণ করে বিরোধী ভোটারদের সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল, আর নির্বাচন কমিশনও কোনও তদন্ত না করে সেই সমস্ত নাম বাদ দিয়ে দিয়েছিল। এই সংক্রান্ত অভিযোগ বহুবার দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন, কিন্তু সেখানে যেহেতু কংগ্রেস তাঁদের সঙ্গে ছিল না, তাই সেই নিয়ে শোরগোল ও হয়নি। সেই জন্যেই বিজেপি দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় নিরুপদ্রপে জিতে যায়, আর তাদের হাতে আরো একটা রাজ্য এসে যায়। ভারতে আসলে এখনো অনেকে মনে করেন, বিজেপি অন্য আর পাঁচটা দলের মতো কোনও একটি দল, কিন্তু তাদের পিছনে যে সঙ্ঘ পরিবার এবং RSS আছে, সেটা বেশীরভাগই ভুলে যায়। যার ফলে বিরোধীরাও ঐক্যবদ্ধ হতে পারে না আর কম ভোট পেয়েও আমাদের দেশের ফার্স্ট পাস্ট দা পোস্ট ভোটের পদ্ধতির কারণে ওরা জিতে যায় এবং যাচ্ছে।

    বিশেষ নিবিড় সংশোধনের পরে শোনা যাচ্ছে যে বাদ যাওয়া মানুষের সংখ্যা প্রায় ৬৫ লক্ষ। কেউ বলছেন সংখ্যাটা ৯০ লক্ষ। পদ্ধতি এমন নেওয়া হয়েছে, যে কোনও সরল যোগে এই সংখ্যা বের করা তো সম্ভব নয়ই, উপরন্তু কারা বাদ গেছেন সেটাও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যদি ৬৫ লক্ষ ধরেও হিসেব করা যায়, তাহলে গড়ে প্রতি বিধানসভায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার ভোট বাদ গেছে। তাঁদের কাউকে মৃত, কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় নি বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে তারা বেমালুম মিথ্যে বলেছে যে তারা বাদ যাওয়া মানুষের তালিকা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে দিয়েছে। এটা যেমন একদিকে সত্যি তেমনই মিথ্যে, একটি তালিকা তারা দিয়েছে বিধানসভা ভিত্তিক, তাতে সমস্ত বাদ যাওয়া মানুষের নামের তালিকা আছে বিধানসভা ভিত্তিক, কিন্তু কোন বুথে কার নাম বাদ পড়েছে এবং কী কারণে বাদ পড়েছে, তা লেখেনি ফলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অসুবিধা হচ্ছে এবং অভিযোগ দায়ের করতে সময় লাগছে। এইরকম বেশ কিছু উদাহরণ সামনে এসেছে, যা দেখলে বিষয়টা আরো পরিষ্কার বোঝা যাবে।

    ফুলওয়ারী বিধানসভা কেন্দ্রের যাদব অধ্যুষিত ধরয়াচক গ্রামে (বুথ নং ৮৩, ৮৪), ১৮০ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে যদিও এই সকল মানুষ জীবিত এবং তাদের বেশিরভাগই গ্রামে আছেন! এখন ভাবুন ৯০০০০ বুথে কী হয়েছে! কল্পনাও করতে পারা যাচ্ছে? সাংবাদিক অজিত আঞ্জুম একটা ভিডিও করেছেন, যাতে দেখা যাচ্ছে মৃত মানুষকে জীবিত করে দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার জীবিত মানুষকে মেরে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত বিরোধী দলগুলো বুথে বুথে গিয়ে খবর নিচ্ছে। সিপিআইএমএলের বুথ স্তরের কর্মীরা সেইরকম একটি জায়গায় গিয়ে দেখছেন ১৮০ জন ভোটারকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে, অথচ সবাই জীবিত। এবার এই মানুষদের হয়রানির কথা, এই মানুষদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব কার? এটাই নাকি বিশেষ নিবিড় সংশোধনী, এটাকেই বিজেপি সমর্থন করছে আর এভাবেই নাকি বাংলাতে ভোটার তালিকা সংশোধন হবে?

    বিরোধী দলগুলো এই বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে এটা একটা আশার খবর। রাহুল গান্ধীর সাংবাদিক সম্মেলন আবার সমস্ত বিরোধী দলকে এক মঞ্চে আনতে পেরেছে, এটাই একমাত্র ভালো দিক। নির্বাচন কমিশন যে ঐ সাংবাদিক সম্মেলনের বক্তব্যকে ভয় পেয়েছে তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। সেই জন্য বারংবার তাঁকেই হুমকি দিচ্ছে, ক্ষমা চাওয়ার জন্য, কিন্তু গণতন্ত্রে বিরোধী দলনেতার প্রশ্নের যদি উত্তর না দেওয়া হয়, তাহলে তা কীসের গণতন্ত্র? মানুষের কাছে তো নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতাই নষ্ট হয়ে গেছে, তা ফেরত আনতে গেলে তো এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতেই হবে।

    আজ যে রাহুল গান্ধী সরাসরি অভিযোগ করতে পারছেন, এবং তাঁকে বিজেপি ভয় পাচ্ছে, তার একমাত্র কারণ তাঁর ব্যক্তিগত সততা। সেই জায়গা থেকেই তিনি এত মানুষের সমর্থন পাচ্ছেন, কারণ মানুষ বুঝতে পারছেন বিজেপি এই ভোট চুরিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। যে দুর্নীতির কারণে অভিযুক্ত তাকে দিয়েই যদি দুর্নীতির তদন্ত করানো হয়, তাহলে যা হবার তাই হবে এই বিহার কিংবা অন্য রাজ্যের বিশেষ নিবিড় সংশোধনী হলে। দুর্নীতির অভিযোগ যার দিকে তাকে কখনো নির্বাচনে দুর্নীতি বন্ধ করার দায়িত্ব দেওয়া যায় না উচিত? সাধারণ বোধ কী বলে?

    বিরোধী দলনেতা তাই বলছেন যে তাঁকে হুমকি দেওয়া হলেও তাঁর কিছু প্রশ্নের উত্তর যেন নির্বাচন কমিশন দেয়।

    ১। মেশিনে পড়া যায় এমন অবস্থায় ভোটার তালিকা দিতে হবে।

    ২। সিসিটিভি ফুটেজ দিতে হবে।

    ৩। কেন নির্বাচন কমিশন এই জালিয়াতি করছে?

    ৪। কেন নির্বাচন কমিশন বিরোধীদের হুমকি দিচ্ছে?

    ৫। কেন নির্বাচন কমিশন বিজেপির এজেন্টের মতো ব্যবহার করছে?

    এই প্রশ্ন তো শুধু বিরোধী দলনেতার নয়, এই প্রশ্ন সমস্ত মানুষের, যাঁরা একদিন ভোটাধিকার পেয়েছিলেন। এই প্রশ্ন সংবিধানে আস্থা রাখা প্রতিটি মানুষের। তাই সংবিধান বাঁচানো, গণতন্ত্র বাঁচানো এবং ভোটাধিকারের লড়াইটাই যে আগামীদিনে আসল লড়াই হতে চলেছে তা এখনই ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বলে দেওয়া যায়। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির শ্লোগান ছিল ‘আবকি বার চারশো পার’ আর তা আটকেছিল মানুষ। সেই মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে পারে, তাহলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন মাথা নোয়াতে বাধ্য। মানুষের ক্ষমতা অপরিসীম, কে যেন বলেছিলেন, ‘মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ’।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১০ আগস্ট ২০২৫ | ৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন