ফিরে আসা / নাটক মূল নাটকঃ জনাব মহম্মদ জাফর ইকবাল সাহেব। পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত নাট্যরূপঃ রানা সরকার চরিত্রঃ ইরাবান সামন্ত (বিলু)- বয়স ৪২ অরুন্ধতী বৃন্দা – বয়স ৩২ রুবেন – বয়স ৪১ ইপ্সিতা – বয়স ৩০ মি. বোস – বয়স ৫০ কোম্পানীর মালিক – বয়স ৪৫ এবং অন্যান্যরা বিলু তার বাড়ি ও সমাজের থেকে পাওয়া প্রতারণা, নোংরামি, অপমান, হুমকি, মন্দবাসা, এবং বিশ্বাসঘাতকতার থেকে সিদ্ধান্ত নেবে যে সেও আত্মহত্যা করবে। আর এই আত্মহত্যা করতে গিয়ে তার সঙ্গে আচমকাই দেখা হয়ে যাবে অরুন্ধতীর সঙ্গে। সে বিলুকে বাঁচাবে। বোঝাতে চাইবে আত্মহত্যা হল মহাপাপ। কিন্তু বিলু একদম নাছোড়বান্দা; আত্মহত্যা সে করবেই। এদিকে অরুন্ধতীর বস মিঃ বোস তার কোম্পানির সেলস তথা টি.আর.পি. বাড়ানোর জন্য বিলুর এই আত্মহত্যার প্রোজেক্টকে নেবে কিনে। অরুন্ধতীর নানাভাবে বোঝানো সত্ত্বেও বিলু বিক্রি হবে সেই কোম্পানির কাছে। তার যুক্তি, বেঁচে থাকতে তো দারিদ্রতার জন্য সে মানুষের সেবা করতে পারেনি, কিন্তু তার আত্মহত্যার প্রোজেক্ট থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে সে অনাথ ও দরিদ্র বাচ্চাদের দিয়ে যেতে চায় শিক্ষার সংস্থান, যাতে সেইসব বাচ্চারা শিক্ষার আলো পেয়ে সমাজ তথা দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে; আরও অন্যদের আনতে পারে শিক্ষার আলোকে। বিলুর বন্ধু রুবেন এবং তার স্ত্রী ইপ্সিতাও অনেক করে বোঝাবে। তারপর? কী হবে? বিলু কি আত্মহত্যা করবে? নাকি করবে না? জানতে গেলে পড়তে হবে নাটকঃ ‘ফিরে আসা’। ... ...
ফিরে আসা / নাটক মূল নাটকঃ জনাব মহম্মদ জাফর ইকবাল সাহেব। পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত নাট্যরূপঃ রানা সরকার চরিত্রঃ ইরাবান সামন্ত (বিলু)- বয়স ৪২ অরুন্ধতী বৃন্দা – বয়স ৩২ রুবেন – বয়স ৪১ ইপ্সিতা – বয়স ৩০ মি. বোস – বয়স ৫০ কোম্পানীর মালিক – বয়স ৪৫ এবং অন্যান্যরা বিলু তার বাড়ি ও সমাজের থেকে পাওয়া প্রতারণা, নোংরামি, অপমান, হুমকি, মন্দবাসা, এবং বিশ্বাসঘাতকতার থেকে সিদ্ধান্ত নেবে যে সেও আত্মহত্যা করবে। আর এই আত্মহত্যা করতে গিয়ে তার সঙ্গে আচমকাই দেখা হয়ে যাবে অরুন্ধতীর সঙ্গে। সে বিলুকে বাঁচাবে। বোঝাতে চাইবে আত্মহত্যা হল মহাপাপ। কিন্তু বিলু একদম নাছোড়বান্দা; আত্মহত্যা সে করবেই। এদিকে অরুন্ধতীর বস মিঃ বোস তার কোম্পানির সেলস তথা টি.আর.পি. বাড়ানোর জন্য বিলুর এই আত্মহত্যার প্রোজেক্টকে নেবে কিনে। অরুন্ধতীর নানাভাবে বোঝানো সত্ত্বেও বিলু বিক্রি হবে সেই কোম্পানির কাছে। তার যুক্তি, বেঁচে থাকতে তো দারিদ্রতার জন্য সে মানুষের সেবা করতে পারেনি, কিন্তু তার আত্মহত্যার প্রোজেক্ট থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে সে অনাথ ও দরিদ্র বাচ্চাদের দিয়ে যেতে চায় শিক্ষার সংস্থান, যাতে সেইসব বাচ্চারা শিক্ষার আলো পেয়ে সমাজ তথা দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে; আরও অন্যদের আনতে পারে শিক্ষার আলোকে। বিলুর বন্ধু রুবেন এবং তার স্ত্রী ইপ্সিতাও অনেক করে বোঝাবে। তারপর? কী হবে? বিলু কি আত্মহত্যা করবে? নাকি করবে না? জানতে গেলে পড়তে হবে নাটকঃ ‘ফিরে আসা’। ... ...
২২শে এপ্রিল ২৫ এর পহেলগামে পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গীদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধে নিখুঁত এবং নিশ্চিত আঘাত হানার জন্যে ভারত মাত্র চোদ্দদিন সময় নিয়েছে প্রস্তুতির জন্যে। সরাসরি রণাঙ্গনে নামার আগে এই যুদ্ধ প্রস্তুতির কথাই চিন্তা করেছিলেন যুধিষ্ঠিরও। বনবাস এবং অজ্ঞাতবাসের তের বছরে ধৈর্য ধরে নিখুঁত পরিকল্পনা করেছিলেন - কী ভাবে যুদ্ধ জয় নিশ্চিত করা যায়। সেই আলোচনাই করেছি - মহাভারতের বন পর্ব থেকে। ... ...
এ এক আশ্চর্য উড়ান কথা। এই লেখাটা কলেজ জীবনের স্মৃতি মিলেমিশে একাকার হয়েছে এক অবিস্মরণীয় ছন্দোময় উড়ান ভঙ্গিমার - murmuration. ... ...
তিথি যে ঠিক কার সঙ্গে ছক করছে বুঝতে পারিনা। সেবার ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে চকলেট এনেছিলাম, বলল মাথাব্যথা, এখন কিছু হবেনা। কে জানে ভাই, এ কী ধরণের মাথা। আমার তো শরীরেই মাথাব্যথা সারে। অষ্টমীর দিন নিয়ে এসেছিলাম একটা বোতল, বলে পিরিয়ড চলছে। মাসে একদিন ওসব হয়, সব্বাই জানে, কিন্তু বেছে বেছে আমি থাকলেই হতে হবে? এবার এই চব্বিশে বৈশাখটাও শুকনো যাবে কারণ, তিথি আজকে নাকি খেলা দেখছে। ঠিক এক হাত দূরত্ব রেখে বসে, থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে বলল, এই প্রথম উইকেটটা পড়ল। খুব উত্তেজনা, কিন্তু সেটা আমায় দেখে না। খেলায় এত আগ্রহ তো জানতাম না। ওদিকে আবার নাকি রবীন্দ্রভক্ত। সব ফালতু কথা। রবীন্দ্রসঙ্গীত চালালে মুড এলেও আসতে পারত। কিন্তু টিভি চললে ওসব অসম্ভব। উত্তেজনা সবই টিভি খেয়ে নেবে। ... ...
কোন দেশ কাকে কত অস্ত্র বিক্রী করছে সেই তথ্য জানা যায় সুইডেনের সিপ্রির ( SIPRI - স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট [1] ) তথ্যভান্ডার থেকে। ১৯৬৬ সালে তৈরী এই স্বাধীন সংস্থাটি ১৯৫০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে যাবতীয় অস্ত্র কেনাবেচার হিসেব রাখতে চেষ্টা করে এবং প্রতিবছর প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ... ...
একদিন সুযোগ পেয়েও যাই। ছোটমামারা তখন ফেরত চলে গেছে, দিদাকে নিয়ে ব্ড়মামা, মাইমা গেছে পুর্বাশায় মেজমামার বাড়ী। সেদিন আমি দোতলার ঠাকুরঘরে এসে ঢুকি, ভেতর থেকে দরজা ভেজিয়ে দিয়ে ছোট্ট খাট থেকে নামিয়ে আনি রামকৃষ্ণ, সারদামণি, অন্নদা ঠাকুর, কালীঠাকুর, গনেশঠাকুরের ছবি। দেয়াল থেকে পেড়ে আনি কৃষ্ণরাধার ছবি। তারপর একটা একটা করে ছবির ওপরে উঠে দাঁড়াই, ছবির কাচ যাতে ভেঙে না যায় তাই ঐ ঠাকুরদের বিছানার তোষক নিয়ে ফটোর ওপরে রেখে তার ওপরে দাঁড়াই। সব ফটো জায়গামত রেখে ধার থেকে টেনে আনি লক্ষ্মী আর সরস্বতীর মূর্তি। এই দুটো ঠাকুরের মূর্তি এনে পুজো হয়, ভোগ দেওয়া হয় আর পুজোর পরের দিন আগের বছরের ঠাকুরের বিসর্জন দেওয়া হয়। এই বছরের ঠাকুর ঠাকুরঘরে থাকে। এগুলো মূর্তি ছবি নয়, এগুলোর ওপরে দাঁড়ানো যায় না, তাই পা দিয়ে ওদের শাড়ি ডলে দিই, পায়ের আঙুল দিয়ে মূর্তির মাথার চুলগুলো রগড়ে দিই। তারপর আবার উঠিয়ে বসিয়ে দিয়ে আসি আর মনে মনে বলি, যে ঠাকুরের দোহাই দিয়ে দিদারা এত মিথ্যে বলে, এতবার অন্যায়ভাবে আমাকে দাঁড় করিয়ে রাখে, সেই ঠাকুরকে পা দিয়ে ডলে রগড়ে দিলাম। ওদের দেখানো 'ঠাকুর দেখবেন ওপর থেকে' এই ভয় আমি করি না। ওদের উত্তরাধিকার আমি বহন করি না, কোনওদিন করবও না। ... ...
শুভর পুরো শরীরটা যেন বুলেটবিদ্ধ ডলফিনের মত ঝাঁকুনি খেল ক্ষণিকের তরে! দীপের দিকে এক ঝলক তাকিয়ে সে মাথাটা নীচু করে ফেলল, তারপর সেই অবস্থাতেই মৃগী রোগীর মত স্বর বেরুলো তার মধ্য থেকে, “তার মানে… তোর চোখেও পড়েছে …জানিস, ওকে আমি এখনো স্পর্শ করতে পারিনি! ও শুধু একা থাকতে চায়, কাউকে কাছে দেখলেই ওর গায়ে মনে হয় জ্বালা ধরে! ভাবলাম, বৈবাহিক সম্পর্কটা নিয়ে ওর ভীতি আছে, বেড়াতে এলে কেটে যাবে। দ্বীপটিতে ঢোকার পর ওর চোখেমুখে অন্য রকম খুশীর ভাব দেখে মনে হয়েছিল, বরফ গলতে শুরু করেছে। কিন্তু বিশ্বাস কর, সে খুশী ওর নিজের কাছে! ও যেন আমায় আরও ঘেন্না করতে শুরু করেছে! তাছাড়া, আর …আর একটা… ব্যাপার …’ শেষ করতে পারে না শুভ, এদিক ওদিক তাকায় ভয়ে ভয়ে, মনে হয়, কেউ শুনে ফেললে নেমে আসতে পারে রোজ কেয়ামত! ... ...
২২শে এপ্রিল ২৫ এর পহেলগামে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ভারত কী পদক্ষেপ নেয়, তার জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম আমরা। যতদিন গেছে - ভারতের তুলনায় পাকিস্তানের অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক এবং সামরিক শক্তির তুচ্ছতা নিয়ে বহু কথা বলা হয়েছে সামাজিক মাধ্যমের প্রতিটি শাখায়। জনগণেশ বারবার বলেছে - এত অপেক্ষার কী আছে - ভারত তো নিমেষে গুঁড়িয়ে দিতে পারে বিরুদ্ধ দেশকে। দীর্ঘ পনেরদিন অপেক্ষার পর ভারত সরকার দুর্দান্ত আঘাত হেনেছে। পাকিস্তানের সীমানার বাইরে থেকেই ভারত নটি জঙ্গী ঘাঁটি বিধ্বস্ত করেছে মোট একুশটি মিসাইলের আঘাতে। অর্থাৎ নিখুঁত এবং নিশ্চিত আঘাত হানার জন্যে ভারত মাত্র চোদ্দদিন সময় নিয়েছে প্রস্তুতির জন্যে। সরাসরি রণাঙ্গনে নামার আগে এই যুদ্ধ প্রস্তুতির কথাই চিন্তা করেছিলেন যুধিষ্ঠির। বনবাস এবং অজ্ঞাতবাসের তের বছরে ধৈর্য ধরে নিখুঁত পরিকল্পনা করেছিলেন - কী ভাবে যুদ্ধ জয় নিশ্চিত করা যায়। সেই আলোচনাই করেছি - মহাভারতের ... ...