এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • দ্বাদশ গিরিবর্ত্মের দেশে  - ৪

    লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ২১ আগস্ট ২০২৫ | ৮৩ বার পঠিত
  • ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    সেদিন সকালবেলা আমরা তিনজনে তো স্নান টান করে আটটার মধ্যেই পুরো তৈরী হয়ে নীচে নামলাম। জানি প্রাতরাশ সেরেই শহর দেখতে বেরোব। খুব বেশী হলে নটা নাগাদ বেরিয়ে যাবো এরকমই ধারণা ছিল। কিন্তু হায় আমাদের সেই আশায় যে বড় বড় বোল্ডার পড়বে কে জানত! প্রাতরাশ টেবলে শুনলাম যে এজেন্ট গাড়ি দেবেন তিনি নাকি আগে একবার আমাদের অর্থাৎ যাত্রীদের দেখতে চান, তারপরে দেবেন। 

    ঘোড়া নয়, খচ্চর নয়, গাড়ি,  তাও ৪ x ৪ হুইল ড্রাইভ নাকি আরোহীদের চেহারা দেখে তবে গাড়ি দেবে! আমরা তৎক্ষণাৎ বুঝে যাই এটা একেবারে কাঁচা ঢপ।  সেই কলেজ লাইফে একটা কথা খুব চালু ছিল আমাদের মধ্যে ‘'ওরে একটা ঢপের খাতা মেন্টেইন কর’ (নাহলে ছড়িয়ে লাট করবি)।  এও সেইরকম কেস। কিন্তু কিচ্ছু করার নেই। রূপম বললেন আমাদের ঘরে গিয়ে অপেক্ষা করতে, এজেন্ট জিয়া এলে উনি আমাদের ডেকে নেবেন। 

    বেড়াতে গিয়ে সকালবেলা তৈরী হয়ে ঘরে ফেরত এসে অপেক্ষা করা যে কি ভীষণ বোরিং বিরক্তিকর সেটা যাদের সাথে হয় তারাই জানে।  তিনজনে গপ্প করতে করতে যখন রেগে উঠতে শুরু করেছি তখন ডাক এলো। আমরা হোটেল ছেড়ে বেরোলাম বেলা ১১টা ৪০মিনিটে। সমরেশদা জিজ্ঞাসাও করলেন ‘কই আপনার সেই কে যেন আমাদের দেখবে?’ সে নাকি আমাদের নামার সময়ই দেখে নিয়েছে!! 

    গাড়িতে উঠে জানা গেল এই সারথিমশাই লেহ শহরের রাস্তাঘাট বিশেষ চেনেন না। ইনি বাইরে বাইরেই চালান তাই শহরের দ্রষ্টব্যস্থান সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। রূপম খুব করে ভরসা দেবার চেষ্টা করলেন যে কাল থেকে অন্য গাড়ি ও অন্য সারথি থাকবেন, আজকের জন্য আর কেউ অ্যাভেলেবল না থাকায় এঁকে নেওয়া হয়েছে।  আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখা ট্রিপে এরকম হওয়াটা বেশ আশ্চর্য্যের। 

    যাই হোক প্রথমে  গেলাম শে প্যালেস ও গোম্পায়। এখানে প্রাসাদ আর গোম্পা একই চত্বরে। শে একসময় লাদাখের রাজধানী ছিল। পরে রাজধানী লেহ শহরে স্থানান্তরিত হওয়ার পরে শে গ্রীস্মকালীন রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে দীর্ঘকাল। চত্বরের উত্তর পশ্চিমে তিব্বতের টোলিঙের আদলে মন্ডলা স্টাইলের স্তুপ আছে। মূল মন্দিরের উপরে প্রায় তিনতলা সমান উঁচু শাক্যমুনি বুদ্ধের মূর্তি,  অনেক দূর  থেকেই দেখা  যায়। 


    ৩৯ ফিট শাক্যমুনি বুদ্ধের মূর্তি - শে প্যালেস


    শে প্যালেস

    আরেকটা মন্দির দেখলাম তালা দেওয়া। এতে সম্ভবত বুদ্ধের অমিতায়ুষ মূর্তি আছে। প্রাসাদের উল্টোদিকে একটা জলাশয়, এর কাচের মত স্বচ্ছ জলে প্রাসাদের প্রতিবিম্ব প্রতিফলিত হত, সেই থেকেই প্রাসাদের নাম শে প্যালেস। শে মানে কাচ। সেঙ্গে নামগিয়ালের স্মৃতিতে তৈরী প্রাসাদ এখন ধ্বংসস্তুপ।  রাস্তার দক্ষিণদিকে সাদা রঙের অজস্র চোর্তেন। পরে বইতে দেখছি এক হাজার। বেশ কিছু ভাঙা, প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। 


    সিলিঙের কাজ  - শে প্যালেস


    শে প্যালেস থেকে দেখা দৃশ্য (জলাশয়টা খেয়াল করুন) 

    শে গোম্পা দেখে আমাদের মনে হল এটা ভেতরে ঢুকে না দেখলেও খুব একটা ক্ষতি হত না, শাক্যমুনি বুদ্ধের মূর্তি বেশ দূর থেকেই দেখা যায়। তবে না ঢুকলে জানবোই বা কীভাবে। এবছরে শে প্যালেসে তাই আর যাই নি। তবে এবারের সারথি আংডুভাই একটা ইন্টারেস্টিং কথা বললেন। শে প্যালেস নাকি নামগিয়াল বংশের প্রসুতি সদন  হিসেবে ব্যবহৃত হত। ওই জলাশয়, তাতে প্রাসাদের প্রতিবিম্ব, পাশের পপলার গাছ সব মিলিয়ে প্রসুতিদের মানসিক উদ্বেগ অনেক কমে যেত। 

    প্রসুতিসদন হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া  সংক্রান্ত কোন তথ্য অবশ্য আমি পাই নি। তবে এইসব গল্পকথা প্রচলিত কাহিনী বেড়াবার আকর্ষণ অনেক বাড়িয়ে দেয়। এজন্যই স্থানীয় সারথি নেওয়া ভাল। আবার ফিরি গতবারের গল্পে। শে’র পরে পরবর্তী গন্তব্য থ্রি ইডিয়টস সিনেমাখ্যাত র‍্যাঞ্চো স্কুল।  ট্যুরিস্টরা গিয়ে এত বেশী উৎপাত করেছে যে এখন আর মূল ইস্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয় না। বাইরে একটা র‍্যাঞ্চো ক্যাফে বানিয়ে রেখেছে আর স্কুলের বাইরে থেকে দেখা যায়। 


    থিকসে গোম্পা প্রবেশদ্বার

    আমি এই জায়গাটায় একেবারেই আগ্রহ বোধ করি নি তাই এমনিই এলোমেলো ঘুরলাম একটু। সমরেশদা বৌদি ততক্ষণে দেখে এলেন। এরপরে থিকসে গোম্পা। অনেকটা এলাকা জুড়ে পাহাড়ের ঢালে ধাপে ধাপে গড়ে ওঠা ১২ তলা এই গোম্পার প্রায় সর্বত্রই পর্যটকরা যেতে পারেন।  গাড়ি থেকে নেমে খানিকটা ঢাল বেয়ে উঠে মূল ফটকে পৌঁছানো। এখান থেকে শুরু হয় সিঁড়ি চড়া। আমরা কেউই গুণি নি বটে তবে মনে হল মন্দিরের মূল প্রাঙ্গণে  অন্তত শ পাঁচেক সিঁড়ি তো হবেই। 


    থিকসে গোম্পা

    পরে ট্রিপ অ্যাডভাইজারে দেখলাম নাকি ১০৮৩খানা সিঁড়ি আছে থিকসেয়। কে জানে হতেও পারে। ওই যে  অত উঠে নেমে আবার উঠে পুরোটা দেখতে হয় তাতে অনেক সিঁড়িই ওঠা হয়।  

    থিকসেয় ঢোকার টিকিট ৫০/- টাকা। টিকিটঘরের পরেই একটা ক্যাফে ও স্যুভেনিয়র শপ। নীচের সাদারঙের  আট নয়তলা সম্ভবত থাকার জায়গা ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়। সবচেয়ে উপরের তিনটে তলা হল গোম্পা, অতি উজ্জ্বল লাল ও হলুদ রঙ করা। অসমান পাথুরে সিঁড়ি, ফলে উঠতে উঠতে দমছুট হয়ে যায়।  কিছুটা করে ওঠার পরেই একটা করে চাতাল, দাঁড়িয়ে একটু বিশ্রাম আবার ওঠা। 

    যত ওপরে ওঠা ততই ক্রমশ চোখের সামনে বিস্তৃত হয়ে ওঠে নীচের উপত্যকা। বেশ অনেকটা ওঠার পর একটা ছোট গ্যালারিমত জায়গায়  উজ্জ্বল মেরুণ রঙের বিশাল একখানা জপযন্ত্র রাখা, গায়ে যথারীতি সোনালি রঙে লেখা ‘'ওম মণিপদ্মে হুম’। আর ঠিক এইখান থেকেই প্রথম চোখে পড়ে দূরে সিন্ধুনদী, রোদ্দুর পড়ে  চিকমিক করছে নদীর জল। জপযন্ত্রের পাশের  দেওয়ালে গেলুগ পা সেক্টের প্রতিষ্ঠাতা জে সোংখাপা আর তাঁর শিষ্যদের  দেওয়ালজোড়া মস্ত ম্যুরাল আছে। 


    থিকসে গোম্পা চোর্তেন 

    গ্যালারির পাশে ঝকঝকে সোনালী রঙের চুড়াওলা অপূর্ব কারুকাজকরা চোর্তেন। সাদা দেওয়ালে হলুদ ও নীল ফুলের নকশা আঁকা,  সোনালি চেন ঝোলানো। অনেকটা নীচে থেকে ছবি তুলেছিলাম, সামনে থেকে দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গেল। আমি আর মীরাবৌদি এখানে বসে খানিকক্ষণ জিরিয়ে নিলাম। আরো খানিকটা ওঠার পরে মূল মন্দিরের প্রাঙ্গন, ঢোকার মুখে মুখব্যাদান করা দুখানা সিংহের মূর্তি। 


    থিকসে মূল প্রাঙ্গণ

    মূল প্রাঙ্গণের কোণায় জুতো ছেড়ে তবে মন্দিরে উঠতে হয়। ডানদিকে সামনেই মৈত্রেয় বুদ্ধের মন্দির। মসৃণ পাথরে তৈরী খান কুড়ি সিঁড়ি ভেঙে উঠে তিনতলা মন্দির, ভেতরে ৪০ ফিট উঁচু উজ্জ্বল সোনালী মৈত্রেয় বুদ্ধ। ঢোকার দরজার উপরে, পাশে, মন্দিরের ভেতরের দেওয়ালে অপূর্ব রঙীন ফ্রেসকো। ফুলের  নকশা, বুডধ, বিভিন্ন রিনপোচেদের ছবি আঁকা। এঁদের বিশ্বাস অনুযায়ী মৈত্রেয় বুদ্ধ হলেন ভবিষ্যতে যিনি আবির্ভূত হবেন। 


    মৈত্রেয় বুদ্ধের মন্দির - থিকসে

    তিনতলা সমান মূর্তিখানা এতই উঁচু যে মন্দিরের দরজা দিয়ে ঢুকে রীতিমত ঘাড় উঁচু করে দেখতে হয়। ভেতরে সিঁড়ি আছে, তিনতলা অবধি ওঠা যায়,  সব তলা থেকেই মনে বুদ্ধ দর্শকের দিকে স্মিতহাস্যে তাকিয়ে আছেন।  পরিক্রমা করতে হলে  একতলাতেই করতে হবে। একটি খুবই অল্প বয়সী জাপানী মেয়ে দেখলাম দন্ডী কেটে পরিক্রমা করছে, ওর সঙ্গের অন্যরা অবশ্য হেঁটেই ঘুরছেন। জাপানীদলের গাইডের কাছে শুনলাম ঢোকার দরজার মুখের ফ্রেসকো বুদ্ধ শাক্যমুনি, মঞ্জুশ্রী, নাগার্জুন, অসঙ্গ এবং আরো ছয়জন জ্ঞানী তাপস। 


    মৈত্রেয় - থিকসে গোম্পা

    মৈত্রেয় মন্দির থেকে নেমে প্রাঙ্গনের উল্টোদিকে তারাদেবীর মন্দির। বেরোনর সময় ভালই গরম লাগছিল তাই মোজা ছাড়া  জুতো পরে বেরিয়েছিলাম।  সে যে কি ভুল হয়েছিল তা এখানে এসে বুঝেছি। খালি পায়ে মৈত্রেয় মন্দিরে উঠতেই কাহিল অবস্থা। মন্দিরের ভেতরে ঠান্ডা থাকায় পায়ের জ্বালা একটু কমেছিল। নামতে গিয়ে আবার পা ফেলাই মুশকিল। যদিও মাঝ বরাবর একটা পাতলা লাল কার্পেট পেতে রেখেছে, কিন্তু ওই ভর দুপুরের তীব্র রোদ আর পাথরের কম্বিনেশানে তাতেও পা রাখা যাচ্ছে না। 

    লাল কার্পেট বরাবর উঠোনটা দৌড়ে পেরোবার চেষ্টা করলাম। কিন্তু অর্ধেক যাবার আগেই কোনোমতে জুতো রাখার জায়গায় ফিরতে হল। দুই পায়ের তলায় খান তিনেক ফোস্কা পড়েছে। শিক্ষা হল যাহোক। এর পর থেকে না পরলেও ব্যাগে বা পকেটে একজোড়া মোটা মোজা রেখে দিই। তারাদেবীর মন্দির আর দেখা হল না। সমরেশদারা যতক্ষণ দেখলেন আমি ততক্ষণ ছাদে গিয়ে উঠলাম। 

    মাথার উপরে ঝাঁ ঝাঁ করছে রোদ্দুর আর দূর দূর পর্যন্ত যতদুর চোখ যায় বিস্তীর্ণ উপত্যকা ছড়িয়ে আছে, একপাশে ঝিকমিক করে বইছে সিন্ধুনদ। জলের কাছাকাছি পপলারের সারি, বেশ কিছু খেত। এত উপর থেকে বুঝতে পারি না কিসের খেত শুধু সবুজের শেডের তফাত লক্ষ করি। মাঝে মাঝে বসানো বাড়িঘর। আর চারিদিক ঘিরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে হিমালয়ের লাদাখ রেঞ্জ।  তারই বা কত রঙের বাহার। অফ হোয়াইট থেকে মাখনরঙা হয়ে বাদামীর নানা শেড তার গায়ে। 


    সিন্ধু উপত্যকা ভিউ থিকসে থেকে

    এই বছর থিকসে গোম্পায় আর যাই নি, তবে পেট্রোগ্লিফের খোঁজে যাবার সময় ওই রাস্তা দিয়ে যাবার সময় হঠাৎই দেখা পেয়ে যাই একজোড়া মোহনচুড়া পাখির। কি যে সুন্দর দেখতে এই পাখিটাকে। এমনিই রাস্তার পাশে একটা ঝোপমত জায়গায় বসে ছিল। কি ভেবে একটা উড়াল দিল, কয়েক সেকেন্ড পরে অন্যটাও। ঠিক যেন একটা সাদাকালো জিগজ্যাগ ডোরাকাটা সিল্কের পর্দা হাওয়ায় দুলতে দুলতে উড়ে যাচ্ছে থিকসে গোম্পার ছাদের দিকে। 

    মোহনচুড়া আমি আগে কক্ষণো দেখি নি, চিনতাম না। আংডুভাই বললেন এই পাখির নাম উতুতুৎসে। নাহ ছবি তুলি নি। এমন মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম যে ফোন বা ক্যামেরা হাতে নেবার কথা মনেই পড়ে নি। নিলেও লাভ হত না, উড়ন্ত পাখির ছবি তুলতে আমি পারি না। কি আশ্চর্য যোগাযোগ, সুপর্ণা (Suparna Deb)  ঠিক তার পরেরদিনই ফেসবুকে রূপকথার হুপুপাখির দাস্তান লিখল। হুপুই হল মোহনচুড়া। এরা গোটা গরমকাল লাদাখে থাকে, সিন্ধুর ধার বরাবর অঞ্চলে ডিম পাড়তে আসে। একেবারে বাচ্চারা উড়তে শিখলে ফিরে যায়। 

    এবারে থিকসের ঝলমলে গোম্পার সাথে জুড়ে গেল মোহনচুড়ার সাদায় কালোয় মেলানো মেশানো পাখনা। দ্বাদশ গিরিবর্ত্মের দেশ একের পর এক খুলে দেখাচ্ছে তার ঐশ্বর্য্যের সম্ভার। সামনের বার যেতে হবে  তারাদেবীর মন্দির দেখতে।

    (চলবে) 

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ২১ আগস্ট ২০২৫ | ৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন