এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • হেমিস সেচু ( হেমিস ফেস্টিভাল)

    লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ২৮ জুলাই ২০২৫ | ১৬৩ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • হেমিস গুম্ফা লাদাখের সবচেয়ে বড় (২৫০০ একর) আর সবচেয়ে ধনী গুম্ফা বলে পরিচিত। এই হেমিসে গুরু পদ্মসম্ভব অর্থাৎ গুরু রিনপোচের জন্মতিথি মহা ধুমধাম করে পালন করা হয় যা হেমিস সেচু নামে পরিচিত। তিব্বতী চান্দ্র পঞ্জিকায় পঞ্চম মাসের দশম ও একাদশ দিনে হেমিস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অত্যন্ত বর্ণময় এই উৎসবের মূল আকর্ষণ হল ছামনৃত্য। এই নাচ তিব্বতী বজ্রযান অনুসারী বৌদ্ধদের প্রথা। তাই বজ্রযান বা তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্মানুসারি গুম্ফাগুলোর উৎসবে এই নাচ হবেই। পুরুষেরা বিভিন্ন মুখোশ ও কোমরবন্ধ এবং মেয়েরা মুখোশ ও মাথায় উষ্ণীষ পরে নৃত্য পরিবেশন করেন। সঙ্গে বাদ্যযন্ত্র হিসেবে থাকে তিব্বতী ড্রাম, ভেরী, শিঙা ও করতাল ( drum trumpet, longhorn & cymbal)।

    হেমিস সম্পর্কে গল্পকথা আছে যে পুনরুত্থানের পরে যীশুখ্রীষ্ট পালিয়ে এসে এখানে লুকিয়ে ছিলেন বেশ কিছুকাল। এ সম্পর্কে বেশ কিছু বইপত্রও আছে। স্বামী অভেদানন্দের লেখায় প্রথম পাই এই কথা। পরে আরো দু'একটা বই পড়ে টরে আমার অবশ্য এটা একটা অতিপ্রাচীন মিথ বলেই মনে হয়েছে। সত্যতা তেমন নেই বলেই ধারণা। তবে এসব মিথ থাকায় জায়গাটার আকর্ষণ বেড়েছে নি:সন্দেহে।

    তা কথা হচ্ছিল হেমিস উৎসবের। এই মুখোশনৃত্য দেখার শখ আমার বহুকালের, সেই গত শতাব্দীর নয়ের দশকে কোথাও পড়েছিলাম, সেই থেকে ইচ্ছে যাবার। গত বছর লাদাখের কন্ডাকটেড ট্যুরে গিয়ে কিছুটা জোর করেই আমরা হেমিস গুম্ফা দেখে আসি। এমনিতে গুম্ফার অধিকাংশ জায়গাতেই সাধারণ দর্শকের যাবার অনুমতি নেই। মূল দুখাং ( প্রার্থনাঘর) মূল প্রাঙ্গণ ও সংলগ্ন অঞ্চল দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত। আর আছে একটি অতি চমৎকার মিউজিয়াম। সে মিউজিয়ামে ঢুকতে হয় স্যুভেনিয়র শপের ভিতর দিয়ে। ঢোকার আগে ব্যাগ মোবাইল লকারে জমা করে চাবি নিয়ে যেতে হয়।

    পাহাড়ের পেটের ভেতরে প্রায় ৫ -৬ স্তরে ঘুরে ঘুরে নেমে দেখতে হয় সংগ্রহ। সে এক অসাধারণ সংগ্রহশালা। যাই হোক ফেরত যাই হেমিস উৎসবের কথায়। গতবছর হেমিস প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়েই ঠিক করেছিলাম ২০২৫ এ উৎসবের দিন দেখে আসবো। সেইমত জানুয়ারিতেই লেহ শহরে ৪ দিন থাকার মত জায়গা খুঁজে বের করি। লেহ স্তুমপা, একটি বৌদ্ধ পরিবার পরিচালিত ফার্মস্টে। মূলত ওদের গোলাপবাগান দেখেই পছন্দ হয়ে যায়। খরচও খুবই পকেটসই।

    এই বছরে উৎসব ছিল ৫ ও ৬ জুলাই। ৪ঠা জুলাই সক্কাল ৬.৩০এ আমি লেহ এয়ারপোর্টে পৌঁছাই। ফার্মস্টের স্ট্যানি স্তুমপা ট্যাক্সি ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। লেহ স্তুমপায় পৌঁছে সারাদিন প্রায় বিশ্রাম। সোজা এগারো হাজার ফুট উচ্চতায় পৌঁছে শরীরকে খাপ খাওয়াতে এটা খুবই জরুরী। বিকেলে অল্প হেঁটে লেহ মার্কেট থেকে এক চক্কর ঘুরে পরের দিন দুপুরে খাওয়ার মত কিছু শুকনো খাবার কিনে আবার ফার্মস্টেতে ফেরত। এই উৎসবে ভীড় হয় সাংঘাতিক, দেশ বিদেশ থেকে লোক আসে। নাচ ভালভাবে দেখার জন্য আগে থেকে সিট বুকিঙের কোন ব্যবস্থা আছে কিনা খোঁজ করেছিলাম। বিশেষ কিছু খবর পাই নি। বিভিন্ন ওয়েবসাইট বলছে উৎসব দর্শন ফ্রি। এদিকে লাদাখের গ্রুপগুলোতে বিভিন্ন ট্যাক্সিওয়ালা ও ট্রাভেল এজেন্টরা 'দেখার বিশেষ ব্যবস্থা' করে দেবেন বলে লোভ দেখাচ্ছেন।

    আমি অবশ্য গিয়েই দেখিনা কী হয় মোডে চলে গিয়েছিলাম। তার আগে লেহ থেকে যাওয়া আসার ব্যবস্থা বলে নিই। লেহ থেকে হেমিসের দূরত্ব ৪৫ কিমি। বাস যায় বটে তবে সে গুম্ফা অবধি যায় না, বেশ খানিকটা আগের কারু গ্রাম অবধি যায়। স্ট্যানি বলেছিলেন দুজন বিদেশী অতিথিও এই উৎসব দেখতে যাবেন, ওঁরা রাইড শেয়ার করতে চান কিনা উনি জিজ্ঞাসা করে দেখবেন। অব্রে আর স্টেফানি এসেছেন ফ্রান্স থেকে, সানন্দেই রাজী শেয়ার করতে। স্ট্যানি ট্যাক্সি বলেই রেখেছেন। সকাল সাড়ে সাতটায় বেরোব আমরা। শুধু ড্রপ করতে ২০০০/- আর দাঁড়িয়ে থেকে ফেরত নিয়ে আসতে মোট ৩০০০/-। বলাবাহুল্য আমরা যাওয়া আসা পুরোই নিলাম। নাহলে ফেরাটা খুব চাপ হত।

    ৫ তারিখ সকাল সাড়ে সাতটায় প্রাতরাশ করে আমরা চড়ে বসলাম আংডুভাইয়ের Eecoতে। আংডু চো আমাদের সারথি, দিব্বি এটা সেটা গল্প করতে করতে সাড়ে আটটা নাগাদ যখন হেমিস আর প্রায় সোয়া দুই কিমি, পুলিশের গাড়ি দিল আটকে। ('এই তো হেমিসের পরের বাঁকে। 'এই তো হেমিস' জানতে ছবির ক্যাপশান দেখুন।) এখানেই পার্ক করতে হবে। কিন্তু এখান থেকে তো অনেকটা হাঁটা! বহু স্থানীয় লোক দেখি বিভিন্ন পাকদন্ডী ধরে হেঁটে এগোচ্ছেন। এদিকে গাড়ি করে যাব আসবো ভেবে আমি আবার হাইকিং স্টিক সাথে আনি নি। কি মুশকিল।

    এই তো হেমিস


    (২০২৪ এ সিটিট্যুরের দিন সারথিমশাই আর ট্যুর কন্ডাকটার এই ছোট্ট মন্দির আর খান তিনেক চোর্তেনের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে একসাথে বলে উঠেছিলেন 'এই তো হেমিস'! আসল হেমিস এখান থেকে আড়াই কিমি আপহিল। laugh)

    প্রথমেই বোঝা হালকা করতে ক্যামেরার ব্যাগটা গাড়িতে রেখে দিলাম। খুবই বাজে হয়েছিল কাজটা, ফলে নর্তক নর্তকীদের ভাল ক্লোজ আপ ফোটো নেওয়া যায় নি বিশেষ। ওই মাঠঘাট পাকদন্ডী দিয়ে যেতে আমি পারবো না। অব্রে আর স্টেফানিও আমাকে সঙ্গ দিতে রাস্তা দিয়েই যাবে জানালো। রাস্তায় কয়েক পা এগোতেই আংডুভাই দৌড়ে এসে জানালেন বাস আসছে, পর্যটকদের গুম্ফা অবধি পৌঁছে দেবে। যাক তাও ভাল। তা এলো বাস মিনিট পাঁচ ছয়ের মধ্যেই। দুইখানা বাস, বেশ কিছুটা পেছনে একটা বাঁকের মুখে দাঁড়ানো।

    খানিক পিছিয়ে বাসে উঠতে গিয়ে আমি স্টেফানিদের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ায় বুঝতে পারি নি ওরা অন্য বাসটায় উঠেছে। আমি উঠেছিলাম সামনের বাসে, সে বাস ভিআইপি পার্কিঙের সামনে এসে আমাদের দিল নামিয়ে। এখান থেকেও বেশ খানিকটা চড়াই ওঠা। একদম খাড়া নয়, তবে লাঠিটা থাকলে ভাল হত আর কি। ওব্বাবা খানিক এগোতেই আমাদের পাশ দিয়ে অন্য বাসটা বাঁইবাঁই করে সোজা এগিয়ে গেল। সে বাসটার সামনে একটা ভিআইপি লেখা বোর্ড ছিল তাই সেটা এক্কেবারে গুম্ফার গেটে গিয়ে থেমেছে। স্টেফানিরা ওটাতেই ছিল। মিনিট পনেরো বাদে হ্যা হ্যা করে হাঁপাতে হাঁপাতে আমিও পৌঁছালাম।

    হেমিসের গেট


    এন্ট্রি গেটে টিকিট নেবার সময় বসার জায়গা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করায় জানলাম ফ্রি ফর অল, ভাল জায়গা দেখে বসে পড়লেই হল। কিন্তু নাহ, মূল প্রাঙ্গণের কিছুটা অংশে এবং চারিদিকের বারান্দায় চেয়ার পাতা এবং সেই চেয়ার বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বেলা সওয়া নটা, রোদ্দুর তখুনি ঝাঁ ঝাঁ করছে, সানগ্লাস না পরে সেদিকে তাকালেও চোখ জ্বালা করছে। অব্রেকে ফোন করতে স্টেফানি এলো আমাকে ওদের সিটের কাছে নিয়ে যেতে। ইতোমধ্যে মূল মন্দিরের দিকে মুখ করে দাঁড়ালে ডানদিকের বারান্দার কোণায় সামনের সারিতে দুটো সীট ওরা কিনেছে, ১৩০০/- টাকা করে।

    মূল প্রাঙ্গণ লোকের ভীড়


    আমি যেতে যেতে ওদের আশেপাশে সামনের সারির সব সীটই বিক্রি হয়ে গেছে। বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্টদের প্রতিনিধিরা তাদের বিদেশী অতিথিদের জন্য ঝপাঝপ সামনের সীটগুলো কিনে নিয়েছে, নিচ্ছে। ওরা দুজন খানিক অপ্রস্তুত আমার জন্য কিনবে কিনা বুঝতে পারে নি, খানিক লজ্জিতও। আমি দেখলাম দ্বিতীয় সারিও এমন কিছু অসুবিধের নয়, তাই ওদের পিছনের একটা চেয়ার দিতে বললাম। একটু এপাশ ওপাশ করে সোজাই দেখা যাবে দিব্বি। তা আমার যেহেতু দ্বিতীয় সারি তাই আমার থেকে নিল ১০০০/- টাকা। তারপর আর কি, গুছিয়ে বসে অপেক্ষা প্রোগ্রাম শুরুর।

    ১০টা থেকে ৪টে অবধি হওয়ার কথা। ১০. ১৫ নাগাদ শুরু হয়ে গেল। নাচের সাথে কিছু রিচ্যুয়ালসও পালন করছিলেন লামারা। যেমন ছোট ছোট প্রেয়ার ফ্ল্যাগ একটা নির্দিষ্ট ভঙ্গীতে খুলে উড়িয়ে দেওয়া, বার্লি ছড়ানো। কেউ বিস্তারিত বুঝিয়ে দেবার থাকলে ভাল হত। অজস্র স্থানীয় ভক্তরা এসে গোটা প্রাঙ্গণ, বারান্দা, মিউজিয়ামের উপরের ছাদ মায় মন্দিরের উপরের ছাদ অবধি ভর্তি করে বসে যেতে থাকেন। তীব্র রোদ্দুরের জন্য ছাতা সঙ্গে করে এনেছেন তাঁরা। এক বয়স্ক দম্পতির সাথে আলাপ হল যাঁরা হেমিসের পেছনের দুটো পাহাড় টপকে হেঁটে এসেছেন। ভোর সাড়ে চারটেয় ওঁদের গ্রাম থেকে বেরিয়ে প্রায় এগারোটা নাগাদ এসে পৌঁছেছেন। এঁরা মাঝের একঘন্টা ব্রেকে মন্দিরে আর উল্টোদিকের দোতলার বারান্দায় বসা প্রধান লামাজিকে প্রণাম করে এলেন। অনুষ্ঠান শেষ হলে বাড়ি ফিরবেন, আবার কাল আসবেন।

    দুখাং থেকে লামারা বেরোচ্ছেন


    তিব্বতী ড্রামের আওয়াজটা ভারী গম্ভীর। তার সাথে শিঙা, ভেরী আর করতালের আওয়াজে একরকম ঘোর লেগে যায়। হেমিস গুম্ফার স্থাপয়িতা স্তাগসান রসপার রিইনকানেটেড ষষ্ঠ পুরুষ তেনজিং চোকি নিইমা বর্তমানে নেপালে থাকেন। তিনিই দ্রুকপা সেক্টের সর্বোচ্চ গুরু, তাই এখানে তাঁর প্রতিকৃতি রাখা হয়েছে। ভক্তরা গিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আসছে। শুনলাম তিব্বতী মাঙ্কি ইয়ার, বারো বছরে একবার আসে, তখন তিনি আসবেন। হেমিসে গুরুব পদ্মসম্ভবের একটা ২২ ফুট উঁচু থাংকা আছে, সোনার জলে বিভিন্ন দামী রত্ন বসিয়ে কাজ করা। ওই থাংকা বারো বছরে একবার নারোপা উৎসবের সময় বের করা হয় এবং চোকি নিইমা সেটি পরিধান করেন।

    মুখোশ ১


    মুখোশ ২


    মুখোশ ৩


    হেমিসে পরবর্তী নারোপা উৎসব ২০৩০এ, তখন একবার যাবার চেষ্টা করবো। দুপুর একটা নাগাদ এক ঘন্টার জন্য মধ্যাহ্নভোজের বিরতি দেওয়া হল। আশেপাশের প্রায় সব বিদেশী অতিথিরা গোম্পার বাইরের একটি ক্যাফেতে খেতে চলে গেলেন। আমার সাথে আগেরদিনের কেনা ক্যারটকেক আর বিস্কুট ছিল। অব্রেরা অবশ্য সাড়ে বারোটা নাগাদই গেছিল। আসলে কেউ বুঝিয়ে দেবার না থাকায় ওদের একটু একঘেয়ে লাগছিল। আমি বলে দিলাম আসার সময় একেবারে মিউজিয়ামটা ঘুরে আসে যেন। অনেক লোক এদিক ওদিক চলে যাওয়ায় আমি আর স্যুইজারল্যান্ড থেকে আসা এক মহিলা বেশ সামনে গিয়ে একটা নাচ দেখলাম, ভিডিও করলাম।

    https://youtube.com/shorts/qB4uTxGqtVU?si=Fx2BajglMp8KPPcD 

    খাবার খেয়ে ফেরার পরে দেখি অব্রের হাল করুণ। মুখ নাক টকটকে লাল, নাক চোখ দিয়ে জল গড়াচ্ছে। পিৎজা নাকি খুবই ঝাল ছিল!! স্টেফানি আমায় অনুরোধ করল আড়াইটে কি তিনটে নাগাদ আমরা বেরিয়ে যেতে পারলে ভাল হয়। অগত্যা! বেরোনর আগের নাচটা দেখে পরিস্কার বুঝতে পারলাম। মার এসে প্রথমে প্রলোভন পরে ভয় দেখালো, তারপর মার ও তার অনুচরদের খুঁজে খুঁজে সংহার করা হল। স্টেফানিদের ও পর্তুগাল আর স্যুইজারল্যান্ডের অতিথিদের বুঝিয়ে দেওয়ায় ওঁরাও সবাই বেশ খুশী হলেন।

    স্থানীয় এক ট্রাভেল এজেন্টকে জিজ্ঞাসা করলাম কালকে কী হবে? তিনি বললেন মোটামুটি এই একই প্রোগ্রাম রিপিট হবে। ঠিক করলাম তাহলে আর কাল হেমিসে আসবো না। একটা খটকা রইলো হেমিসে ব্ল্যাক হ্যাট ডান্স হয় কিনা। কর্যকে হয় জানি। ১৩ জন লামা কালো লম্বা টুপি পরে মার সংহার করেন। উপস্থিত ট্রাভেল এজেন্টরা কেউই বলতে পারল না। পুরো দুইদিন দেখলে জানা যেত। গোম্পা কর্তৃপক্ষ সাধারণ দর্শকের জন্য আরেকটু তথ্য দেবার ব্যবস্থা রাখলে ভাল হয়।

    বেরোনর রাস্তা পেছন দিয়ে। ফেরার বাস যদি থাকেও সে তো অনুষ্ঠান শেষ হবার পরে। তাহলে এতটা হাঁটতে হবে? বেশ অনেকটা এসে আংডুভাইকে ফোন করে জানলাম ভিআইপি পার্কিঙের সামনে এসে তুলে নিতে পারবেন, পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে। তারপর তো গড়গড়িয়ে ফেরা। ঢোকার পথে অনেক ছোট ছোট দোকান ছিল উলেন জিনিষপত্র, সেমি প্রেশাস স্টোনের গয়না, কৃস্টাল ইত্যাদির আর একটাই দোকান ছিল কাঠের ছোটখাট জিনিষপত্রের। ফেরার পথ আলাদা হওয়ায় তাদের আর পেলাম না। একটা জায়গায় শুধু বেশ খানিকটা উপরে একটা স্যুভেনিয়ার শপ আর হোমস্টে ছিল। সে আর অতটা উঠে দেখার এনার্জি ছিল না। অতি বর্ণময় গম্ভীর এই উৎসব সামনে থেকে দেখাটা এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।

    Leh Stumpa - +91 60056 06447
    Angdu Cho ( Local Taxi) - +91 96222 64330

    সামনে থেকে নেওয়া ভিডিও

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ২৮ জুলাই ২০২৫ | ১৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ২৮ জুলাই ২০২৫ ১৬:৫০732798
  • এটা থাক আপাতত। পরে গতবছরের লেখাটার সাথে জুড়ে দেব।  গতবছর আর এই বছরের ঘোরা একসাথে লিখবো যাতে সম্পূর্ণ ছবিটা পাওয়া যায়। 
  • Aditi Dasgupta | ২৮ জুলাই ২০২৫ ১৯:১২732799
  • হ্যাঁ। একসাথে জবরদস্ত করে।তবে মনে হচ্ছে  পর্যটন দপ্তর এই উৎসব,সেখানে পৌঁছনো , কিছুটা আরাম  ইত্যাদি  নিয়ে একটা শৃঙ্খলার বাতাবরণে  পুরোটা আনতেই পারে। উপযুক্ত তথ্য সহ প্রচার করলে সব দিক দিয়েই ভালো। লাদাখ অনেকের ক্ষেত্রেই শারীরিক অসুবিধা আনে, সেটি মাথায় রেখে ঠিকঠাক ব্যবস্থা পত্র ও দরকার। 
  • kk | 2607:fb91:1027:4e3c:71d9:9b51:6db1:***:*** | ২৮ জুলাই ২০২৫ ২০:৩৩732800
  • ভালো লাগলো লেখাটা। কিন্তু যা বুঝতে পারছি শারীরিক ভাবে বেশ ফিট না হলে এসব জায়গায় যাওয়া মুশকিল!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন