এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  পরিবেশ

  • হেলেনা নর্বার্গ-হজ, সোনম ওয়াংচুক এবং লাদাখের পরিবেশ

    লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | পরিবেশ | ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ১১১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • লেহ মার্কেটের ভেতরে লাদাখ বুক শপে দেখেছিলাম হেলেনা নর্বার্গ-হজের লেখা Encient Futures: Learning from Ladakh. সামান্যই পাতা উল্টাবার সুযোগ হয়েছিল।  তাতে দিব্বি ইন্টারেস্টিং মনে হওয়ায় লাদাখ ঘুরে আসার পরেই পড়ে ফেললাম বইটা।  হেলেনা দুনিয়াজোড়া লোকালাইজেশান মুভমেন্টের একজন অগ্রগামী নেত্রী। তিনি লাদাখে প্রথম এসেছিলেন ১৯৭৪ সালে, যখন লাদাখে পর্যটন ব্যবসা বা আধুনিকিকরণ কোনটাই শুরু হয় নি। লাদাখ বা লিটল টিবেট তখনো আধুনিক দুনিয়ার প্রায় বাইরের এক নিভৃত জগৎ।  হেলেনা দেখেছেন লাদাখের দু:খকষ্টে আপাত নির্লিপ্ত  সুখী পরিশ্রমী কৌমজীবন। বইটার মোটামুটি তিনটে ভাগ। 

    প্রথম ভাগে পাই হেলেনার দেখা কষ্টসহিষ্ণু,  পরিশ্রমী সুখী লাদাখ। ব্যক্তির চেয়ে যেখানে অনেক আগে পরিবার আগে প্রাধান্য পায়। আর পরিবার মানে  নিজ আত্মীয় নয় বরং গ্রাম বা আরো ভালভাবে বলতে গেলে কৌম। প্রাকৃতিক সম্পদ অতি সীমিত হওয়ায় কোন কিছুই ফেলা যেত না সেই লাদাখি জীবনে। দ্বিতীয় ভাগে আছে সরকারি উদ্যোগে শুরু হওয়া আধুনিকীকরণ ও পর্যটন এবং লাদাখি  জনজীবনে তার প্রভাব। এই অংশ অনেকটা ‘’'প্যারাডাইস লস্ট’’ ধরণের। তৃতীয় অংশে হেলেনা মূলত আলোচনা করেছেন লাদাখে প্রথম বিশ্বের বিশ্বায়ন মডেলের প্রয়োগ এবং   প্রভাব। 

    সরকার পরিচালিত এই মডেলের ফাঁক ফোকর নিয়ে আলোচনা ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আমি যখন লাদাখে  ঘুরছিলাম সোনম ওয়াংচুক সেই সময় লেহ থেকে দিল্লি পর্যন্ত তাঁর দীর্ঘ কষ্টকর পদযাত্রা শুরু করেছেন। লোকসভায় আরো আসন, স্বতন্ত্র রাজ্য ইত্যাদি রাজনৈতিক দাবীগুলো ছাড়াও লাদাখের পরিবেশ নিয়ে তাঁর উৎকন্ঠা ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কিছু দাবীও ছিল। সোনম সক্রিয় পরিবেশকর্মী। লাদাখের পরিবেশ, দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হিমবাহ নিয়ে তিনি বহুদিনই সোচ্চার।  

    আগে কৃত্রিম উপায়ে বরফের স্তুপ তৈরী করে দেখিয়েছেন সোনম। এটা অল্প কিছু জায়গায় কৃষির প্রয়োজনে ব্যবহারও হচ্ছে। তিনি সরকারি উদ্যোগে ট্যুরিজমের আরো বিকাশের কথাও বলেন। লাদাখে জলের পরিমাণ অত্যন্ত সীমিত। এদিকে পর্যটক আকর্ষণের জন্য আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন শৌচালয় ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়,  হচ্ছে। আধুনিক শৌচালয়ের ফ্ল্যাশ সিস্টার্ন ব্যবস্থায় জল খরচ হয় যথেষ্ট বেশী পরিমাণে। লাদাখে যেহেতু বৃষ্টিপাত নগণ্য তাই সেই খরচ হয়ে যাওয়া জলের পরিবেশে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ। লাদাখের চিরাচরিত শৌচালয় হল ড্রাই টয়লেট। 

    পরম্পরাগতভাবে লাদাখের ড্রাই টয়লেট (আমরা যাকে খাটা পায়খানা বলি) বছরে একবার পরিস্কার করে, মনুষ্যবর্জের সাথে ছাই ও মাটি মিশিয়ে চাষের ক্ষেতে সার হিসেবে বিছিয়ে দেওয়া হত। এতে জলের ব্যবহার অনেক কম হয় এবং বর্জ্য কার্যকর উপায়ে পুনর্ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে কিছু গোম্পায় ও কিছু প্রত্যন্ত গ্রামেই কেবল ড্রাই টয়লেটের অস্তিত্ব আছে। সমস্ত  হোটেল, হোমস্টে তো বটেই মরশুমি সাময়িক কটেজ ও তাঁবুগুলিতেও ফ্ল্যাশ সিস্টার্নসহ আধুনিক টয়লেট। 

    রূপসু উপত্যকায় সোমোরিরি লেকের পাশে যে হোটেলে আমরা ছিলাম তার মালিক সেই সময় গিয়েছিলেন  সোনমের সাথে পদযাত্রায় যোগ দিয়ে দিল্লির পথে। এদিকে হোটেলটা পুরো ইঁট সিমেন্টে তৈরী তো বটেই, সামনে ও পাশে সম্প্রসারণের কাজ চলছে,  বড়সড় কংক্রীটের স্থাপনা গড়ে উঠছে।   সোমোরিরির ধারে এমন অজস্র কংক্রীটের বাড়ি তৈরীর ফলে গোটা অঞ্চল ধুলোয় ঢাকা। মাস্ক ছাড়া রাস্তায় দুই পা চলাও মুশকিল। লাদাখের সনাতন মাটি আর পাথরে তৈরী বাড়িগুলো এমনিতে ওখানকার চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার জন্য যথেষ্ট উপযোগী। তার ব্যবহার ক্রমশ কমছে। 

    অল্প কিছু আগ্রহী পর্যটকই এই ধরণের বাড়িতে থাকতে, ড্রাই টয়লেট ব্যবহার করতে রাজী হবেন। ট্যুরিজমের প্রসার হলে শৌখিন ভ্রমণার্থী বাড়বে। আর বাড়তে থাকবে আধুনিক শৌচালয়, কংক্রীটের  বাড়ি, বিদ্যুতের চাহিদা। লাদাখের বেশ কিছু জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পটে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় সন্ধ্যে সাড়ে ছটা বা সাতটা থেকে রাত সাড়ে দশটা কিংবা এগারোটা পর্যন্ত। প্রায় সর্বত্রই বড় জেনারেটার চালিয়ে বিদ্যুতের যোগান দেওয়া হয়। জেনারেটার চলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফসিল ফুয়েলে। পরিবেশের জন্য এটা যথেষ্ট ক্ষতিকর। 

    বিদ্যুতের ব্যবহার আধুনিক জীবনের মূল চালিকাশক্তি বলা যায়। লাদাখে  অপর্যাপ্ত সুর্যালোক কাজে লাগিয়ে সৌরবিদ্যুতের বহুল ব্যবহার এই দুষণকে ঠ্যাকাতে পারে। হেলেনা সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানো এবং সোলার ইউনিট বসানোর কথা লিখেছেন। সে বই প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯১তে। তার তেত্রিশ বছর বাদেও গোটা লাদাখে  সোলার ইউনিটের সংখ্যা নগন্য বললেই চলে। এদিকে ভ্রমণার্থীর সংখ্যা বাড়ছেই। সোনম ওয়াংচুকও সৌরশক্তির ব্যবহারের কথা বলছেন। তাঁর এনজিও সংস্থাটি সৌরশক্তিকেন্দ্র গড়ে তোলার ব্যপারে সহায়তা দেয় বলে জানি। 

    সোনম বলছেন লাদাখি মানুষের জীবনযাপনের মানোন্নয়নের জন্য পর্যটনের প্রসার প্রয়োজন। কথাটা ঠিকই কারণ লাদাখে ভারীশিল্প হওয়া প্রায় অসম্ভব। পর্যটনের হাত ধরে আর্থিক স্বাচ্ছল্য আসছে, আসবেও। আপাতত লাদাখিদের আনন্দময় জীবন হারিয়ে ফেলার যে আশঙ্কা হেলেনা করেছেন সেটা একটু সরিয়ে রেখে শুধু পর্যটন ও তার ফলকেই ফোকাসে রাখলে পরিবেশ সম্পর্কে যথেষ্ট আশংকিত হওয়ার কারণ আছে। কিছুদিন আগে এক ভ্লগার একটি পর্যটন সংস্থার সাথে গাঁটছড়া বেঁধে লাদাখের একটা বিশেষ উৎসবে ট্যুরিস্টদের আমন্ত্রণ জানিয়ে লাইভে  বক্তব্য রাখছিলেন। 

    জানা গেল ৪টি ব্যাচ নিয়ে যাবেন তাঁরা, প্রতি ব্যাচে ১০ জন করে মোট ৪০ জন। লাইভ স্ট্রীমের নীচে ট্যুর প্রোগ্রামের ব্রোশিওর দেওয়া ছিল। খানিকটা অলস কৌতুহলে নামিয়ে দেখি প্রতি ব্যাচে ৫০ জন করে ৪টি ব্যাচ, অর্থাৎ ২০০ জন। সম্ভবত ভ্লগার এন্ডোর্স করছেন ৪০ জনকে আর সংস্থাটি আরো ১৬০জন যোগাড় করবে বলে আশা করছে। এই উৎসব যে অঞ্চলে হয় সেখানকার গ্রামগুলোতে কোনটায় ৬০০ কোনটায় ১২-১৩০০ লোকের বাস। উৎসব উপলক্ষে আরো নানা জায়গা থেকে মানুষজন আসবেন নিশ্চয়ই। 

    ট্যুরিস্টদের জন্য ফ্ল্যাশ সিস্টার্নওলা আধুনিক টয়লেটের ব্যবস্থা থাকবে। এবারে এই সময় একটা বিশাল পরিমাণ মনুষ্যবর্জ্যের সৃষ্টি হবে, যেটা আধুনিক টয়লেট ব্যবহারের ফলে  রিসাইক্লড হবে না। এছাড়াও বিশাল পরিমাণ জল খরচা হয়ে যাবে এবং প্রতি বছর ট্যুরিস্ট বাড়ার সাথে সাথে মনুষ্যবর্জ্যের পরিমাণ বাড়তে থাকবে আর গুণোত্তর প্রগতিতে কমতে থাকবে  জলের পরিমাণ।  এখানে পর্যটন সংস্থাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। ব্যবসায়ী মাত্রেই প্রফিট ম্যাক্সিমাইজ করতে চাইবে, সেটাই স্বাভাবিক। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং নতুন নতুন জায়গার খবর পেলে পর্যটকরাও যাবে বৈকি।

    তো সোনম ওয়াংচুকের বক্তব্যে পর্যটনের প্রসারের সাথে পরিবেশের এই যে কনফ্লিক্ট হচ্ছে সেটাকে অ্যাড্রেস করে কোন বক্তব্য দেখি নি। কিন্তু এটাকে অ্যাড্রেস করতে না পারলে সোনম বৃথাই হাঁটছেন, বৃথাই অনশন করছেন। প্রতিটি গ্রামে ও প্রত্যন্ত প্রান্তে পর্যটকের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী বলে মনে করি। সরকার থেকে আইন করে একটা নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে পর্যটকের সংখ্যা বেঁধে দিলে অ্যাভেলেবল রিসোর্সের অপ্টিমাল ইউজ সম্ভব। পর্যটং সংস্থা, হোটেল হোমস্টে, ট্যাক্সি ইত্যাদিকে  সেরকমভাবেই বুকিং নিতে হবে। 

    সোমোরিরি লেকের পাশে  যদি সপ্তাহে ২০০ কি ২৫০ পর্যটককে যেতে দেওয়া হয় তাহলে অগণিত কংক্রীটের স্থাপনা গড়ে তোলার প্রয়োজন হবে না। প্রয়োজন হবে না প্রচুর সংখ্যক বড় বড় জেনারেটার চালানোরও। স্থানীয় হোটেল মালিক, ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীদের সাথে বসে আলোচনা করে প্রতিটি জায়গার জন্য প্ল্যান ওয়ার্কআউট করে সোনম এই প্রস্তাব সরকারকে দিতে পারেন।  পদযাত্রার একটা দাবী এটাই হতে পারে।  

    # লাদাখে আরেকটা মস্ত সমস্যা হল ‘হিডন হাঙ্গার’ বা একটা গোটা প্রজন্মের আয়রন ডেফিশিয়েন্সি। সেটাও অনেকটাই পরিবেশের প্রতিকূলতার সাথে যুক্ত। এই লেখাটা খুব বড় হয়ে যাচ্ছে বলে এতে আর ঢোকালাম না। পরে কখনো সেটা নিয়ে লিখবো।
     
     
     
     
     
    সোমোরিরির পাশে হোটেল, পাশেই কংক্রীট এক্সটেনশান

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ১১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাপাঙ্গুল | 103.24.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ০০:৫৭539596
  • "প্রতিটি গ্রামে ও প্রত্যন্ত প্রান্তে পর্যটকের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী বলে মনে করি। সরকার থেকে আইন করে একটা নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে পর্যটকের সংখ্যা বেঁধে দিলে অ্যাভেলেবল রিসোর্সের অপ্টিমাল ইউজ সম্ভব। পর্যটং সংস্থা, হোটেল হোমস্টে, ট্যাক্সি ইত্যাদিকে  সেরকমভাবেই বুকিং নিতে হবে। " -  ঠিকই। পারমিটের ব্যবস্থা করা উচিত , যেরকম বৈষ্ণদেবী বা চারধামে হয়। 'হিডন হাঙ্গার' নিয়ে জানার ইচ্ছে রইল। 
     
    বইটা নামালাম। এত বই পড়ার জন্য জমে গেছে যে ২০২৬ অবধি হেসে খেলে চলে যাবে। 
  • | ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ২০:২৫539618
  • @পাপাঙ্গুল,  গোটা হিমালয় জুড়েই এটা করা উচিৎ। 
  • ar | .***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:১২539622
  • লাদাখের বাসিন্দাদের হিডেন হাঙ্গার জনিত সমস্যা নিয়ে জানার ইচ্ছা রইল। আশাকরি সমস্যাটা জিনগত নয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন