এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কালনিমে | 103.244.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ০৮:৪৮733052
  • এটা বোধহয় শুধু ধর্মের লেন্স দিয়ে দেখা ঠিক নয় । যেটুকু সম্প্রতি বুঝলাম - দুটো ভাষাই মূলত হিন্দুস্তানি - হিন্দি যেখানে দেবনাগরী সিপি, উর্দু শেখানে নাস্তালিক সিপি। কিছু personal essay পড়লাম ভারি চমৎকার - উর্দু ভাষাও বেশ পুরনো - লক্ষ্নৌ বা তার আশেপাশে তার ঐতিহ্য আছে। বিশেষত নবাবি ভাষা হিসেবে উর্দু যেমন বিকাশ হয়েছিল, সেখানে হিন্দি প্রাকৃতজনের ভাষা হিসেবে রয়ে গেছিল। তো সেই ভাষার সৌন্দর্য কে অস্বীকার না করলেই সাম্প্রদায়িক - এটা মোটের উপরে গোদা লাইন। এখন বোধহয় বাংলা ভাষার পক্ষে সোচ্চার হওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ - হিন্দি-উর্দু কাজিয়ার চেয়ে।
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2406:b400:b4:521d:88ed:8dff:d5e1:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ১০:১৯733054
  • ১৯৪০ এর দশকে ভাষা বিতর্ক যাঁরা প্রত্যক্ষ করে ছিলেন, সেই সব ভাষাবিদ দের মধ্যে প্রচলিত মত হল, হিন্দীর সংস্কৃতকরণ সুনীতিবাবুর ঐতিহাসিক সম্ভবতঃ অনিচ্ছাকৃত আশীর্বাদ না পেলে উর্দু হঠাৎ পার্টিশন পরবর্তী ভারতে শত্রুর ভাষা হয়ে উঠতো না। সুনীতিবাবুকে ধরে এগোনোর আরেকটি রাজনৈতিক সমস্যা হল, ওড়িয়া/অহমিয়া অস্মিতার রাজনীতিতে সুনীতিবাবুর কাজকে প্রধান শত্রু বলে ধরা হয়ে থাকে।  তাই বহির্বঙ্গে প্রচলিত রাজনৈতিক ধারণা হল সেখানে বাঙালী হঠাৎ শত্রু নিরর্ণিত হবার একটা কারণ সুনীতিবাবুর কাজ, যদিও আসল কারণ,  বৃটিশ সাম্রজ্যের আমলের নতুন চাকুরিগুলিতে আজকের ভাষ ভিত্তি পূর্ব ভারতীয় রাজ্য গুলিতে ইংরেজি শিক্ষিত বাঙঃালির আধিপত্য। 
     
    তবে এই লেখাটির মূল বিপদ ওটি ই, স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতীয় রাষ্ট্রের ব্যাপক প্রতিদিনের কাজের সমর্থন উর্দু ভাষার কপালে জোটে নি। পাকিস্তানের রাজনীতিতে উর্দু ভাষা চাপাতে গিয়ে প্রচুর ক্ষতি করা হয়েছে ঠিকই, তেমনই, জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে ক্রমশ উর্দু যেমন পিছিয়েছে, তেমনই টেলিভিসন চালু হবার পর থেকে হিন্দী সরকারী ভাষা এগিয়েছে আবার এনআরআই মার্কেটের চাপে পাঞ্জাবী ভাষাও এগিয়েছে। সুনীতিবাবুরা ভাষাবিদ, দৈনন্দিন রাজনীতিতে তাঁদের টেনে কথা না বলাই ভালো। তাঁরা তো রাষ্ট্র বা রাজ্য সীমানার প্রয়োজনে ভাষার কথা ভেবে গবেষণা করেন নি, হয়তো প্রচ্ছন্ন ভাবে একটা ঊনবিংশ শতকীয় সভ্যতার প্রতিযোগিতার বিষয় এসে গিয়েছিল, পরে যা অহমিয়া আর হিন্দী শভিনিস্ট দের পাল্লায় পড়ে আরো অধোগতি হয়েছে। প্রমিত ভাষার নতুন ভাগ চেয়ে যাবেন আনন্দবাজার পন্থী সাহিত্যিক আর অন্যান্য ন্যাশনালিস্ট হিস্টোরিওগ্রাফির নতুন আবিষ্কারকরা, কিন্তু সীমান্তের মতোই তাতে ফুটোফাটা থাকবে। পাঞ্জাবে পার্টিশন ফাইনাল সলিউশন হয়তো হয়েছে কিছুটা, ভৌগোলিক দিক থেকে, কিন্তু জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে ওসবকে কেউ পাত্তা দেয় না, বাংলার বৈশিষ্ট হল, বাংলার এবং আসামের মানুষ এসব বোকা বোকা ভাগ কোন দিনই মানে নি। কংগ্রেসী রাজনীতির বৈশিষ্ট ছিল শরণার্থীদের বিরোধীতা করা, বা দেশভাগ ও মুক্তি যুদ্ধ পরবর্তী মাইগ্রেশন কে বাম রাজনীতির উত্থানের কারণ বলে মনে করা। মমতা নিজেও সেই ঘরাণা চালিয়ে গেছেন, ২০০৮ এর আগে অবদি। এখন বিজেপি তাঁর উত্থানের কারণ হিসেবে সেই একটি অনুপ্রবেশ্কারী অপর তৈরী করেছে নতুন করে। এ সবই ব্যর্থ হবে। তবে একটা জিনিস সফল হয়ে গেছে, সেটা উত্তরবঙ্গের রাজনীতির আসাম-ত্রিপুরা-করণ, সেটা উদ্ধার হতে সময় লাগবে।
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2406:b400:b4:521d:88ed:8dff:d5e1:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ১০:২৫733055
  • আরেকটি কথা না বললেই না, যদিও বলিউডি ফিল্মে এবং এখন ওটিটি তে স্মল টাউনের পুনরাবিষ্কারকে এক ধরণের উত্তর ভারতীয় সাংস্কৃতিক আন্দোলন বলে দেখার চল হয়েছে, এতে সত্যি কথা বলতে কি, ভারতীয় আর্বান সেকুলারিজম বস্তু যেটি ছিল, উত্তর ভারতেই ছিল, বম্বে ফিল্মে আমদানী করা হয়েছিল, সেটির বড় রকম ক্ষতি হয়েছে। এটা অবশ্য কিছুটা আলাদা গল্প। 
  • হিজি-বিজ-বিজ  | 2603:8000:a401:47ce:fd19:2658:ae9a:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ১২:৩৩733057
  • @বোধি দা  "ভারতীয় আর্বান সেকুলারিজম বস্তু"  এটা নিয়ে একটু বিশদে বলুন।  
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2402:3a80:1981:bf3e:178:5634:1232:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ১৫:০০733059
  • সাধারণভাবে ভারতীয় ধর্ম নিরপেক্ষতার কয়েকটি ঐতিহাসিক মডেল আছে, মানে রেফারেন্সিং এর দিক থেকে। 
    - একটা হল প্রি মডার্ন ভক্তি আন্দোলন। গান্ধী প্রধানতঃ এটার উপরে জোর দিতেন , একটা কারণ হল গান্ধী আধুনিকতার সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদ কে আলাদা করে দেখতেন না। 
    - আরেকটা হল কলোনী পূর্ব বর্তী কিন্ত  নাগরিক ইসলামিক আর্বানিটির ঐতিহ্য এবং সেখানকার সহাবস্থান,  যেটা কে আজকাল ধরুন সুফি ঐতিহ্যের থেকে খানিকটা আলাদা করে দেখা হয়। 
    - সুফি ঐতিহ্য যেটার উত্তর ভারতীয় ছাড়া ও আরও নানা দাক্ষিনাত্যের অবয়ব আছে। 
    - আরেকটা হল কলোনিয়াল শহর বা মফস্বল  গুলো যেখানে সংঘর্ষের স্মৃতি টাটকা কখনো সংঘর্ষ ঘটমান বাস্তব সেখানকার , communalised ইতিহাসের বা ইরের ইতিহাস।
    ইত্যাদি।
     
    কিন্ত এই ট ই টায় প্রধান প্রবন্ধ টি নিয়ে ই আলোচনা হলে ভালো হয় ।  
  • Ranjan Roy | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ১৮:০৭733066
  • তিনটে কথা বলার।
     
    ১   হিন্দি এবং উর্দু মুলতঃ এক? 
    একেবারে না। আচার্য সুনীতিকুমার বললেও না। 
    হিন্দি এসেছে এলিটদের ভাষা সংস্কৃত ভেঙে জনসাধারণের মুখে মুখে প্রাকৃত -অপভ্রংশের স্তর পেরিয়ে।
     
    একইভাবে, উর্দু্র উৎপত্তি ভারতে। 
     তুর্কী আগমণের পর এলিটের ভাষা সরকারি কাজকর্মের ভাষা ছিল ফার্শি। 
    'মোগল-পাঠান-হদ্দ হোল ফার্সি পড়ে তাঁতি' -- লোকোক্তি মনে করুন।
    সেই ফার্শির থেকে এল উর্দূ যা রাজভাষা হয়ে গেল। এখনও কোর্ট কাছারিতে আইনি দস্তাবেজের বিভিন্ন বয়ানে ফার্সি  এবং উর্দু শব্দ চোখে পড়ে। 
    ২ 
     হিন্দুস্তানি হোল  হিন্দি এবং উর্দুর মিশ্রণে আরও সরলীকরণ করা আম জনতার ভাষা। 
    সাভারকর চেয়েছিলেন দেশ স্বাধীন হলে সংস্কৃত হবে রাজভাষা, গৈরিক পতাকা হবে রাষ্ট্রধ্বজ।
    এর বিপরীতে সুভাষচন্দ্র চেয়েছিলেন --সংস্কৃত নয়, হিন্দুস্তানি হবে রাষ্ট্রভাষা।
    তাই তিনি রাষ্ট্রগীত হিসেবে "জনগণমন'কে উপযুক্ত বলেও এর সংস্কৃত এবং তৎসমবহুল শব্দের জন্যে আজাদ হিন্দ ফৌজে এর সরল অনুবাদ করালেন হিন্দুস্তানিতে--"সব সুখ চৈন"। মূল ভাবনা , মেটাফর এবং সুর এক। 
     
    ৩ হিন্দি ও উর্দূর ফারাক শুধু লিপিগত (দেবনাগরী এবং আরবি) নয়। 
    হিন্দি লেখা হয় বাঁদিকে থেকে ডানদিকে, উর্দু আরবীর অনুসরণে ডানদিক থেকে বাঁদিকে।  যার জন্যে হিন্দি বলয়ে একে মজা করে বলা হয় 'উল্টি জুবান'। 
    আমি বলতে চাইছি উর্দুতে যেমন বড় বড় বিশেষণ এবং ভাববাচক বিশেষ্য অনেকগুলো শব্দের মধ্য সম্বন্ধ পদ  'উল', 'উর', 'উদ' (ইংরেজি of)  জুড়ে লেখা হয় তেমনটি হিন্দিতে নেই।
     
    উদাহরণ,
    দেশের প্রধানমন্ত্রী =  নিজাম-উল-মুলুক
    ধর্মের প্রধান= নিজাম-উদ-দীন
    মীজানুর রহমান= মীজা-ন-উর-রহমান
    আকবরের আইন= আইন-ই-আকবরী। 
    এটা দেখুন, বিসমিল্লাহ-উর-রহমান-এ-রহিম
  • Ranjan Roy | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ১৮:২৭733067
  • পাকিস্তানের বিদ্রোহী এবং কম্যুনিস্ট শায়র ফৈজ আহমদ ফৈজ। যাঁর বিখ্যাত রচনা "হম দেখেঙ্গে"  জনতা শাহবাগ আন্দোলনের সময় রাজপথে গেয়েছিল।
    ওঁর বিখ্যাত প্রতিবাদী গজল " হম জো তারীক রাহোঁ মেঁ মারে গয়ে"--"আমরা যারা আঁধার রাতে মারা গেলাম"। তার একটি শেষের দিকের স্ট্যাঞ্জা  থেকে মূল উধৃতি দিচ্ছিঃ
     
    জব খুলী তেরী রাহোঁ  মেঁ শাম-এ-সিতম
    হম চলে আয়ে, লায়ে জহাঁ তক কদম
    লবোঁ পর  হর্ফ-এ-গজল, দিল মেঁ  কিন্দিল-এ-গম।
    অপনা গম থা গবাহী তেরে হুস্ন কী
    দেখ কায়ম রহে ইস গবাহী পর হম।।
     
    অথবা ,  ওঁরই ঃএকটি প্রেমের কবিতা থেকে দুই ছত্রঃ
     
    "মিলা থা  দো-চারদিন ফুর্সৎ-এ -গুনাহগার কে,
    দেখ লিয়ে হম হোঁসলে পরবরদিগার কে"। 
     
    পুরনো সিনেমার গানঃ
    "পরবরদিগার -এ-আলম,
    অব তেরা হী হ্যায় সহারা"।
     
    এগুলোকে যদি আপনারা হিন্দি বলে চিনতে পারেন  তো মেনে নেব আমিই ভুল বুঝেছি। 
  • Ranjan Roy | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৪৬733068
  • বাংলা ভাষা বা সাহিত্যে উর্দু শব্দ স্বীকৃত বা সহজে চলছে?
     মনে হয় না।
    বিদ্যাসাগরের শিক্ষক জয়নারায়ণ তর্কালংকার ৫০০ আরবি-ফার্সি  শব্দের সূচী বানিয়ে বাদ দেবার ফরমান জারি করেছিলেন। বিদ্যাসাগরও সেই পথের পথিক।
     কিন্তু তার প্রভাব আজও বর্তমান।
     
    বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের দুই প্রধান পুরুষ বঙ্কিম ও রবীন্দ্রনাথ। তাঁদের লেখায় কতখানি উর্দু বা ফার্সি শব্দ?
    বঙ্কিমের উপন্যাসে অনেক মুসলিম চরিত্রে । তাদের মুখে কিছু আছে। কিন্তু সাধারণ বাঙালী চরিত্রে? 
     
    আর রবীন্দ্রনাথ? 
    তাঁর উপন্যাস, নাটক , ছোটগল্পে? কোন প্রধান চরিত্র মুসলমান? নাকি ভাষায় কথ্য ফার্সি শব্দের প্রবেশ?
    কবিতা আর গানের কথা বাদই দিলাম। সহজ পাঠে শুধু আব্দুল মাঝি! 
    হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কের সংকট নিয়ে অনেক প্রবন্ধ, চিঠিপত্র আছে। কিন্তু ভাষায় উর্দূ শব্দ? 
     
    নজরুলের উদাহরণ বেমানান। উনি ব্যতিক্রমী; গজলও লিখেছেন। কিন্তু কোন ধারা বা শিবির তৈরি হয় নি। 
     
    পরবর্তী লেখকেরা? বামপন্থীরা? 
    সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতায় একটি রূপকল্প আছে--"পাগল বাবরালির চোখের মত  ঘোলা আকাশ'। এ ছাড়া? 
     
    ডিসক্লেমারঃ আমি একবারও বলছিনা  যে ওঁরা কোন মহাপাপ করেছেন। ভাষা জোরজবরদস্তি করে হয় না। কিন্তু ফ্যাক্ট স্বীকার করেই আখ্যান বয়ান করা উচিত। 
     
    বিঃদ্রঃ  ১এখন হিন্দিতে রেলকে রেলই বলা হয়। --রেলমন্ত্রক, রেওস্টেশন, রেলযাত্রী। 
              ২  ভাষা কমিটির বৈঠকে হিন্দি বনাম হিন্দুস্থানীর বিতর্কের শেষে ভোট হয়, টাই হয়ে যায়। বোধহয়  ৬-৬।
            শেষে কমিটির চেয়ারম্যান ডঃ রঘুবীরের কাস্টিং ভোটে খড়িবোলী হিন্দি বা উর্দুশব্দ বিহীন তৎসমবহুল হিন্দি  জিতে যায়।
     
         আমার কথাটি ফুরোলো,
        নটে গাছটি মুড়োলো।
  • r2h | 165.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৪৭733069
  • হনুদা ও রঞ্জনদার সংযোজন খুব ভালো লাগলো, আলোচনা চলুক।

    "(১) হিন্দী ( বা সাধু হিন্দী অথবা নাগরী হিন্দী) এবং (২) উর্দু - এই দুইটী সত্য-সত্য হইতেছে, সম্পূর্ণরূপে বিভিন্ন দুইটী লিপির স্বারা এবং বিদেশী শব্দ আমদানী করিয়া একই ভাষাকে দুইটী আকার দেওয়া মাত্র" - এই লাইনটা ভাষাতত্ত্বের দিক থেকে যাই হোক, আজকের প্রেক্ষিতে গোলমেলে। কোন ভাষাকে বিদেশি শব্দ আমদানি করিয়া আকার দেওয়া, হিন্দুস্তানিকে যদি বর্তমান ভারতের ভূগোলের মাটির ভাষা ধরি, তাহলে দাঁড়ায় উর্দু। এ তো চাড্ডিদের প্রাণের কথা।

    তবে গানের উদাহরণে রঞ্জনদা - বেশিরভাগ ভারতীয়, অন্তত অ-হিন্দিভাষী একে হিন্দি বলেই চিনবে - কাব্যিক, উর্দুবহুল হিন্দি আরকি। অনেকটা বাংলার সাধুভাষা টাইপ।

    হিন্দি সিনেমার হাজার গন্ডা উর্দু বা পাঞ্জাবী শব্দবহুল গানকে লোকে হিন্দি বলে চেনে - এতে হিন্দির উপকারই হয়েছে, তবে ঐ।

    এমনকি জিহালে মিশকিন মকুম বরঞ্জিশ-ও মিঠুন চক্রবর্তীর লিপে হিন্দি হয়ে গেছে!

    (অ)প্রসঙ্গত, ছায়া গাঙ্গুলীর কন্ঠে জিহালএ মিশকিন মকুম তগাফুল দুরায়ে ন্যায়্না বানায়ে বাঁতিয়া ইত্যাদি অতি উৎকৃষ্ট ব্যাপার।
  • | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ১৯:১৩733070
  • রঞ্জনদা 
    ফয়েজের হম দেখেঙ্গে শাহবাগ মানে ২০১৪য় ঢাকার শাহবাগ আন্দোলনে ব্যবহার হয় নি যদ্দুর জানি।  ২০২০তে দিল্লির শাহীনবাগে ব্যবহার হয়েছিল। 
  • b | 2402:3a80:1c54:db27:278:5634:1232:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ১৯:৩১733071
  • উদাহরণ গুলো বড্ড বড্ড বেশি হাই লেভেল হয়ে  গেছে।
    রঞ্জন তো এখন বিদেশে আছেন . পাকিস্তানী শপ আছে নিশ্চয়ই . সেখানে গিয়ে একটু গল্প করে  দেখুন , এই  কেমন আছেন কি চলছে ছেলেমেয়ে কেমন  টাইপ।  দেখুন তো দুটো ভাষার মিল কতটা ?
     
  • Ranjan Roy | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২০:১৮733073
  • যা  তা স্লিপ!
    শাহবাগ ঢাকায়, শাহীনবাগ দিল্লিতে।
    অনেক ধন্যবাদ।
     
    উর্দু এবং হিন্দির তফাত বুঝতে পাকিস্তানি শপ কেন যেতে হবে?
    উত্তর এবং মধ্য ভারতে মাদ্রাসার মাধ্যমে উর্দু নিয়মিত পড়ানো হয়। ইউপি, মধ্যভারত, রাজস্থান সর্বত্র উর্দু ভাষা ও তালিমের এবং সাহিত্যের বোর্ড আছে।
     
    আমার বিলাসপুরে মুসলিম বন্ধু ও সহকর্মী বেশ ক'জন। ওদের সঙ্গে বজম --এ--আদাব গোষ্ঠীর মুশায়েরায় অনেকবার গেছি। ফলে এসব চর্চা হরদম হত। একজন ছিলেন কলেজে উর্দুর প্রফেসর। চল্লিশ বছরের অনুভব থেকে বলছি। 
     
    একটা মজার গল্প বলি। এঁরা প্রত্যেক মাসে কারও না কারও বাড়িতে মুশায়েরা করেন। কবি ও শ্রোতা মিলিয়ে জনা বিশেক হয়। কয়েকজন বেশ ভালো লেখেন। এর মধ্যে আমার হিন্দু বন্ধুর এক ভাইও আছে। একবার  অনুরোধ এল আগামী রবিবার সন্ধ্যায় যদি আপনার স্ত্রীর স্কুলে এমাসের মুশায়েরা;;; 
    আপনার খরচা বলতে দু'রাউন্ড চা ও বিস্কিট।
     সেই সন্ধ্যায় বলা হোল আমাকে হতে হবে 'সদর' আর একজন শায়ের হবেন 'নিজাম'।
     হাত পা ঠান্ডা। বললাম--আলেফ বে তে সে --এই চার অক্ষরের আগে উর্দু জানি না।
    --ঘাবড়াচ্ছেন কেন? সদর হোল রাষ্ট্রপতি , নিজাম হোল প্রধানমন্ত্রী। সেই মুশায়েরা পরিচালনা করবে। 
    --আমাকে কী করতে হবে?
    --কিস্যু না, খালি আপনার মুখটা বন্ধ রাখতে হবে দু'ঘন্টা। জানি আপনার পক্ষে খুব কঠিন।
     
    তারপরে অকুস্থলে গিয়ে দেখি আমাকে হেবি সম্মানের সঙ্গে বসানো হোল। বন্ধু কানে কানে--একদম নড়বেন না।
     
    প্রত্যেক বার কোন শায়ের শের পড়ার আগে নিজাম আমাকে নম্র স্বরে বলে--অমুকে চন্দ শের পেশ করবেন, আপ ইজাজত দীজিয়ে।
     
    আমার মনে পড়ে গেল মুঘল -এ-আজম এর পৃথ্বীরাজ কাপুর।
     
    হুংকার দিয়ে বললাম--ইজাজত হ্যায়!! 
    সভা হোল নিস্তব্ধ।
     
    নিজাম আমার কানে কানে বললেন-- এরম নয় বলুন, 'অতহ্‌'।
    আর ভুল করি নি। এমন সময়ে মার্চের শেষে অসময়ের বৃষ্টি নামল ঝমঝমিয়ে। লাইট চলে গেল। ভাবলাম--বাঁচা গেল। এবার ছুটি পাব।
    ওমা, কোথায় কি! কবিদের কী উল্লাস! ওঁরা মোমবাতি জ্বালিয়ে আরও দুরাউন্ড পাঠের ব্যবস্থা করলেন।
    একসময় সব শেষ হোল।
    কিন্তু ওঁরা বললেন আপনি কিছু বলে সমাপন করুন। সভাপতির কথা।
     
    আমি বললামঃ
    "শায়দ হমারী মুশায়েরা খুদা কো ভী ভা গয়া।
     তভী বে-মৌসম ইয়ে বারিশ আ গয়া,।।
     
    সবাই ওয়াহ্‌  ওয়াহ্‌!
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২০:১৮733074
  • মজা হচ্ছে, ঐখানে পলিসি বড় পরিকল্পনা- এইসব কাজে দেয়। হিন্দি সর্বগ্রাসী হয়ে গেছে, অসংখ্য উত্তরভারতীয় ভাষাকে এখন লোকে হিন্দি বলে চেনে। হিন্দিতে মারাঠি, পাঞ্জাবীর -এঅস্ব ভাষার শব্দও অহরহ ঢোকে, ভারতীয় ভাষাগুলি যদি টিকে থাকে তাহলে একশো বছর পর কী হবে সেটা ইন্টারেস্টিং।

    আর তার বিপরীতেই বাংলা ভাষা ভাগ, এরকম মনে হয়। দুঃখের ব্যাপার হল দিল্লির তুতো বাবাদের (আমার না, পব বিরোধী দলপতির দাবি) তুষ্ট করার জন্য একপাল চালাক চালাক মাতৃ(ভাষা)হন্তারক চকচকে লোক এতে ধুঁয়ো দিচ্ছে।
  • Ranjan Roy | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২০:২৩733075
  • বাংলা ভাগ বুঝলাম, ভাষা ভাগ?হুতো একটু বুঝিয়ে দাও।
    আমি কিছু মিস করেছি।
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২০:২৩733076
  • রঞ্জনদা, ঐজন্যেই বললাম - "...বেশিরভাগ ভারতীয়, অন্তত অ-হিন্দিভাষী একে হিন্দি বলেই চিনবে - কাব্যিক, উর্দুবহুল হিন্দি ..."

    আপনি হিন্দি উর্দু দুয়েতে বাস করেছেন তাই আপনি তফাত বোঝেন, ভারতের সবাই তা না।
    যে রকমে একজন দক্ষিন ভারতীয় সিলেটি আর অসমীয়া বা চাঁটগাইয়া আর রোহিঙ্গিয়া ভাষার তফাত বুঝবে না, বা নোয়াখাইল্যাকে বাংলা বলে চিনবে না।
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২০:২৫733078
  • ভাষা ভাগ, মানে, এই নিয়েই তো তক্ক।

    এটা বাংলা না, বাংলাদেশি - এইসব।
    ভুগোল ভাগ হয়েছে, ইতিহাস, সংস্কৃতি এইসব জুড়ে আছে কিছু, সেইসব।
  • কালনিমে | 103.244.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২০:৩৮733079
  • দারুণ- রঞ্জনদা -" ইজাজত হ‍্যায়"
  • lcm | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২০:৪৬733080
  • Linguistic Relationship between Hindi and Urdu : 

    Urdu and Hindi are mutually intelligible at a spoken level. Linguists consider them to be different registers of the same language, known as Hindustani. 

    Urdu and Hindi share a common, predominantly Sanskrit and Prakrit derived, vocabulary base, phonology, syntax, and grammar, making them mutually intelligible during colloquial communication.

    The common base of the two languages is sometimes referred to as the Hindustani language, or Hindi-Urdu, and Urdu has been described as a Persianised standard register of the Hindustani language.

    While formal Urdu draws literary, political, and technical vocabulary from Persian, formal Hindi draws these aspects from Sanskrit.

    Urdu shared a grammatical foundation with Khari Boli, but was written in a revised Perso-Arabic script and included vocabulary borrowed from Persian and Arabic, which retained its original grammatical structure in those languages.

    Urdu originated in what is today the Meerut division of Western Uttar Pradesh, a region adjoining Old Delhi and geographically in the upper Ganga-Jumna doab, where Khari Boli Hindi was spoken.
  • সত্যেন্দু সান্যাল | 2401:4900:1c1b:d17a:c53b:648b:ae15:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২০:৫৮733083
  • আমি রঞ্জন রায় মহাশয়ের সঙ্গে একমত।
    হিন্দি এবং উর্দু দুইটি আলাদা ভাষা। সৈকত বাবু যে “একতা”-র কথা বলছেন সেটি হিন্দুস্তানি-র ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ঠেট হিন্দি অথবা খালিস উর্দু (অর্থাত শুদ্ধ ভার্সন) এর সঙ্গে এই হিন্দুস্তানির তফাত আছে।
    রাজনৈতিক কারনে ভারত ও পাকিস্তানে দুই শুদ্ধ ভার্সনের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা হয়েছে, হিন্দুস্তানি অনাথ-ই রয়ে গেছে।
    এই হিন্দুস্তানির উদ্ভব মোগল রাজত্বকালে হয়েছে। প্রধানতঃ সেই সময়ের উত্তর ভারতে প্রচলিত অপভ্রংশ খাড়ি-বোলি ভাষার সঙ্গে ফারসি ভাষার সংযোগে।
    রঞ্জন বাবুর পদাঙ্ক অনুসরন করে একটি প্রিয় গান সংলগ্ন করলাম। ছায়া গাঙ্গুলীর কন্ঠে এই গানটি চতুর্দশ শতাব্দীর আমির খুসরো-র লেখা।
    এইটির বিশেষত্ব এই যে প্রথম পংক্তি ফারসি এবং দ্বিতীয়টি প্রচলিত ব্রজ ভাষায় রচিত।



    ज़े-हाल-ए-मिस्कीं मकुन तग़ाफ़ुल दुराय नैनाँ बनाए बतियाँ
    कि ताब-ए-हिज्राँ नदारम ऐ जाँ न लेहू काहे लगाए छतियाँ
    शबान-ए-हिज्राँ दराज़ चूँ ज़ुल्फ़ ओ रोज़-ए-वसलत चूँ उम्र-ए-कोताह
    सखी पिया को जो मैं न देखूँ तो कैसे काटूँ अँधेरी रतियाँ
    यकायक अज़ दिल दो चश्म जादू ब-सद-फ़रेबम ब-बुर्द तस्कीं
    किसे पड़ी है जो जा सुनावे पियारे पी को हमारी बतियाँ
    चूँ शम-ए-सोज़ाँ चूँ ज़र्रा हैराँ ज़ मेहर-ए-आँ-मह बगश्तम आख़िर
    न नींद नैनाँ न अंग चैनाँ न आप आवे न भेजे पतियाँ
    ब-हक्क-ए-रोज़-ए-विसाल-ए-दिलबर कि दाद मारा ग़रीब 'ख़ुसरव'
    सपीत मन के वराय रखूँ जो जा के पाऊँ पिया की खतियाँ

    শুনেছি (কোন প্রামানিক তথ্য সূত্র নেই) নেতাজি সুভাষ Romanized হরফে হিন্দুস্তানি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চালু করার পক্ষে ছিলেন। এমনটি করলে হয়তো গ্রহনযোগ্যতা বাড়তো।
    আমি দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর বাংলার বাইরে কাটিয়েছি। কার্য্যসূত্রে দেখেছি আমার বয়োজ্যেষ্ঠ অনেক পাঞ্জাবি সহকর্মী অক্লেশে উর্দু পড়তে পারতেন। একজন তো অনর্গল মির্জা গালিব থেকে যুতসই শায়রী আওড়াতেন।
    ভাষার ধর্মীয় মেরুকরন আমাদের সাংস্কৃতিক দৈন্যের পরিচায়ক।
     
  • Ranjan Roy | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২১:২৩733086
  • সান্যাল মশায়।
     প্রামাণিক তথ্য সূত্র আছে। আজ রাতে খুঁজে দিচ্ছি। 
     
    আমার বন্ধুর মাতা ঠাকুরাণী উত্তর প্রদেশের মিশ্র, সরযূপারী ব্রাহ্মণ। স্কুলে উর্দু শিখেছিলেন। তখন ইউপিতে পড়ানো হত।
    লিখতে ও পড়তে পারতেন। 
    ফয়েজের এর আর একটি প্রেম কবিতার প্রথম দু'লাইন।
     
    দোনো জহাঁ তেরী মুহব্বত মে হার কর,
    ও জা রহে হ্যায়, সব-এ-গম গুজার কর।
    বীরাঁ হ্যায় ময়কদা বাগো মেঁ খুমার নহী,
    তুম ক্যা গয়ে থে কি গয়ে দিন বাহার কে।
     
    ভুলে সে মুস্কুরা দিয়ে থে ওহ ফৈজ,
    ন পুছো বুলুবুলে  দিল -এ - বেকর্দাকার কে।।
     
    একটু মুড এসে গেছে। 
     
    আমার অক্ষম বাংলা অনুবাদও করে দি'।
     
    "দুই ভুবনই অবশেষে তোমার প্রেমে হার মেনে,
    যাচ্ছে চলে, ফিরল যেন দুঃখরাতের পার জেনে।
    পানশালাতে বন্ধ তালা,
    শূন্য ভাণ্ড, শূন্য প্যালা, 
    তোমায় হারা বসন্ত আজ রুক্ষ গোঁয়ার নাম কেনে।।
     
    একটু পাপের মৌকা পেলাম তাও ফুরলো চার দিনে,
    এইটুকুনই  সাহস খোদার! আজ গিয়েছি সার জেনে।
    তোমার চেয়েও তাড়িয়ে বেড়ায় দিনযাপনের যন্ত্রণা,
    সেই জ্বালাতে জ্বলতে জ্বলতে তোমায় ভুলি আনমনে।।
     
    ভুল করে সই! আজকে সে হায় মুচকি হেসে হানল তির, 
    উঠল যে ঢেউ বুকের ভেতর সংখ্যাটি তার কে গোণে?
  • Ranjan Roy | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২১:২৬733087
  • একদম ঠিক।
    ঠেট হিন্দি বা খড়িবোলী হিন্দি এবং খালিস উর্দু দুটো দুই মেরুতে দাঁড়িয়ে।
     
    মাঝে সেতুবন্ধন করছে  'হিন্দুস্তানি' বোলি। 
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2402:3a80:1981:bf3e:178:5634:1232:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২২:৩২733090
  • রঞ্জন দা , উর্দুর  স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অর্থাৎ আরোপন প্রচেষ্টা পরে কি হয়েছে আলাদা করা হয় মূলতঃ ঊনবিংশ শতকের সাময়িক দিয়ে। মুশিরুল হাসানের বড় যে কাজ রয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ঊনবিংশ শতকের উর্দু স্ট্যান্ডার্ডা ইজেশনের মতাদর্শ হল সমসাময়িক সাহেবিয়ানা। অনেকটা নষ্টনীড়ে লিবেরাল দের জয়ের সেলিব্রেটি মতো। পাঞ্চ এর মতো পত্রিকার একাধিক নকল বেরোচ্ছে । অর্থাৎ উর্দুর স্ট্যান্ডার্ডা ইজেশনের সব মতাদর্শ প্রথম থেকে সাম্প্রদায়িকতা দোষে দুষ্ট না। উর্দুতে প্রচুর ইউরোপীয় সাহিত্য  অনুবাদ হচ্ছে আবার ট্র্যাক বাজে যাকে বলা হয় মিলস বুন গোত্রের   পিঙ্ক পাল্প সেরকম উপন্যাস বেরোচ্ছে চর্চার আর তখনকার এলাহাবাদ থেকে। এই দিকটা বা ইনারি ন্যারেটিভ করলে পাওয়া যাবে না। অন্য দিকে বাংলায় যেমন আধুনিকতা চর্চা হচ্ছে তেমন ই কয়েকটা কথা মনে রাখা দরকার , ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাঙালি এলিট আরবী ফার্সী চর্চা করছে শুধু ইংরেজি না , জমির দলিল নিজে না পড়তে পারলে জমিদারি হয় না।  আবার অন্য দিকে কলকাতা ও ঢাকা তে এক ধরণের মুসলমানী বাংলা ছাপা হচ্ছে যেটা নজরুলের জেনারেশন বা তার অল্প আগে সেকুলারাইজড হচ্ছে। ঈপ্সিতা হালদারের অসাধারণ কাজ রয়েছে । 
     
    ভাষার রাজনীতি আর সাংস্কৃতিক  চলনের র ইতিহাস ভাষার রাজনীতির থেকে ঢের বেশি ইন্টারেস্টিং। 
     
    আই ফে ই ল টু আন্ডারস্ট্যান্ড  বাঙালি জাতীয়তাবাদীদের পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান ফর্মে উর্দু চর্চা কে হিন্দী আগ্রাসনের সঙ্গে ইকুয়েট করে কেন দেখা হয় কারণ স্টেট ব্যাটিং কখনোই ইকু ইন্টারেস্ট ছিল না এখন তো নয় ই।
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2402:3a80:1981:bf3e:178:5634:1232:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২২:৩৩733091
  • *ব্যাকিং
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2402:3a80:1986:d867:478:5634:1232:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২২:৪৪733092
  • **প্রথম বাক্যটা হয় নি --- কারেকশন নীচে
     
    ***রঞ্জন দা , উর্দুর  স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অর্থাৎ আরোপন প্রচেষ্টা আগে পরে কি হয়েছে আলাদা করা হয় মূলতঃ ঊনবিংশ শতকের সাময়িকী দিয়ে আর তার সঙ্গে তিরিশের আর চল্লিশের দশকের মোবিলা ইজেশন এর তুলনা করে।
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2402:3a80:1986:d867:478:5634:1232:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২২:৪৬733093
  • ****পিঙ্ক পাল্প ফিকশন বেরোচ্ছে চিৎপুর আর এলাহাবাদ থেকে। 
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2402:3a80:1986:d867:478:5634:1232:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২২:৪৮733094
  • ***** স্টেট ব্যাকিং ইকুইভ্যালেন্ট ছিলনা
  • Ranjan Roy | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২২:৪৮733095
  • বোধি
    একদম একমত।
    খালিস উর্দু হয়ে গেল এলিটদের ভাষা। আর সাহিত্যের ব্যাপারে সাময়িক পত্রের ভূমিকা নিয়ে যা বলছ--সঠিক। এমনকি মুনশী প্রেমচন্দ ও কৃষন চন্দরের মত সাহিত্যিকরা প্রথম দিকে উর্দুতে বা হিদুস্তানিতে লিখতেন। হিন্দিতে লেখেন আরও পরে।
     
    তোমার দ্বিতীয় পয়েন্টেও একমত।
    গোবলয়ের বাংলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যে হিন্দি চাপানোর চেষ্টা সেটা আওধি (রামচরিত মানস) এবং খড়িবোলী হিন্দি। তারসঙ্গে উর্দুকে এক করে দেখা ভুল।
     
    তাই আমার প্রতিপাদ্য --শুদ্ধ হিন্দি এবং খালিস উর্দু দুটো আলাদা ভাষা, যেভাবে আসামি এবং বাংলা আলাদা। মারাঠি এবং গুজরাতি আলাদা। তামিল ও মালয়ালম আলাদা। 
  • সত্যেন্দু সান্যাল | 2401:4900:1c1b:d17a:c53b:648b:ae15:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২২:৫৪733096
  • রঞ্জন রায় মহাশয়,
    আপনার মুড এসে যাওয়া বঙ্গানুবাদ কাবিল-এ-তারিফ। বহোৎ খুব।
    মুশায়রা-এ-সদর এর মনোরঞ্জনার্থে আমির খুসরো-র Zihal-E-Miskin গানটির মৎকৃত একটি বাংলা ভার্সন পেশ করছি। এইটি ভাবানুবাদ, literal translation নয়।

    নিদারুন দুঃখ আমার করছো তুমি অবহেলা
    নয়ন তব নজর কেন করছে না এই দীনে
    গল্পকথা শোনাবে কত, থামাও নিঠুর খেলা
    ধৈর্য্য আমার বাঁধ ভেঙেছে, রয়েছি প্রিয়াবিহীনে
    টেনে নাও বুকে তোমার প্রিয়া,
    ঢাকো আমায় তোমার কেশদামে
    দীর্ঘ বিরহী রাতের বিবশ হিয়া
    জাগাও ক্ষনিক মিলন রাতের নামে
    কেমনে কাটাই একেলা এই আঁধারে
    সখী তোমার মধুর সঙ্গ ছাড়া
    তোমার চোখের চাউনি বারেবারে
    স্মৃতির দুয়ারে দিচ্ছে প্রবল নাড়া
    নেমে এলো এ কোন কালবেলা
    ভেঙে মোর সকল শান্তি, সুখ
    এই কথাটি কে শোনাবে পহেলা
    প্রিয়াকে আমার হৃদয় চেরা দুখ
    জ্বলছে আমার প্রেমদগ্ধ প্রান
    কম্পমান দীপশিখার মতো
    বিরস দেহ, বিনিদ্র নয়ান

    নেতাজি সংক্রান্ত তথ্যের অপেক্ষায় রইলাম।
    প্রসঙ্গতঃ হিন্দি এবং উর্দু উচ্চারন এ পার্থক্য আছে। এইটি ও মনে রাখা প্রয়োজন।
    এই নিয়ে কিছু আলোকপাত করুন।
     
  • b | 117.238.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ২৩:০০733098
  • রঞ্জনদা , আমার বক্তব্যতে পাকিস্তান ছিলো, কারণ যে  মোটামুটি  উত্তরভারতীয়রা আর পাকিস্তানিরা যে লিঙ্গুয়া  ফ্রাঙ্কায়   অফিসের কথাবার্তা চালান, সরকার ও শ্বশুরবাড়িকে গাল পাড়েন, ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাবার জন্যে ঘুম থেকে ওঠান, তা ৮০ -৯০% এক । বর্ডারের এপারে আমরা তাকে হিন্দি বলি, ওপারে উর্দু।  
    মনে রাখবেন  দৈনন্দিন ভাষা বলছি , মুশায়েরা বা সাহিত্যের ভাষা নয় ।  
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন