দযা তা স্লিপ!
শাহবাগ ঢাকায়, শাহীনবাগ দিল্লিতে।
অনেক ধন্যবাদ।
ব
উর্দু এবং হিন্দির তফাত বুঝতে পাকিস্তানি শপ কেন যেতে হবে?
উত্তর এবং মধ্য ভারতে মাদ্রাসার মাধ্যমে উর্দু নিয়মিত পড়ানো হয়। ইউপি, মধ্যভারত, রাজস্থান সর্বত্র উর্দু ভাষা ও তালিমের এবং সাহিত্যের বোর্ড আছে।
আমার বিলাসপুরে মুসলিম বন্ধু ও সহকর্মী বেশ ক'জন। ওদের সঙ্গে বজম --এ--আদাব গোষ্ঠীর মুশায়েরায় অনেকবার গেছি। ফলে এসব চর্চা হরদম হত। একজন ছিলেন কলেজে উর্দুর প্রফেসর। চল্লিশ বছরের অনুভব থেকে বলছি।
একটা মজার গল্প বলি। এঁরা প্রত্যেক মাসে কারও না কারও বাড়িতে মুশায়েরা করেন। কবি ও শ্রোতা মিলিয়ে জনা বিশেক হয়। কয়েকজন বেশ ভালো লেখেন। এর মধ্যে আমার হিন্দু বন্ধুর এক ভাইও আছে। একবার অনুরোধ এল আগামী রবিবার সন্ধ্যায় যদি আপনার স্ত্রীর স্কুলে এমাসের মুশায়েরা;;;
আপনার খরচা বলতে দু'রাউন্ড চা ও বিস্কিট।
সেই সন্ধ্যায় বলা হোল আমাকে হতে হবে 'সদর' আর একজন শায়ের হবেন 'নিজাম'।
হাত পা ঠান্ডা। বললাম--আলেফ বে তে সে --এই চার অক্ষরের আগে উর্দু জানি না।
--ঘাবড়াচ্ছেন কেন? সদর হোল রাষ্ট্রপতি , নিজাম হোল প্রধানমন্ত্রী। সেই মুশায়েরা পরিচালনা করবে।
--আমাকে কী করতে হবে?
--কিস্যু না, খালি আপনার মুখটা বন্ধ রাখতে হবে দু'ঘন্টা। জানি আপনার পক্ষে খুব কঠিন।
তারপরে অকুস্থলে গিয়ে দেখি আমাকে হেবি সম্মানের সঙ্গে বসানো হোল। বন্ধু কানে কানে--একদম নড়বেন না।
প্রত্যেক বার কোন শায়ের শের পড়ার আগে নিজাম আমাকে নম্র স্বরে বলে--অমুকে চন্দ শের পেশ করবেন, আপ ইজাজত দীজিয়ে।
আমার মনে পড়ে গেল মুঘল -এ-আজম এর পৃথ্বীরাজ কাপুর।
হুংকার দিয়ে বললাম--ইজাজত হ্যায়!!
সভা হোল নিস্তব্ধ।
নিজাম আমার কানে কানে বললেন-- এরম নয় বলুন, 'অতহ্'।
আর ভুল করি নি। এমন সময়ে মার্চের শেষে অসময়ের বৃষ্টি নামল ঝমঝমিয়ে। লাইট চলে গেল। ভাবলাম--বাঁচা গেল। এবার ছুটি পাব।
ওমা, কোথায় কি! কবিদের কী উল্লাস! ওঁরা মোমবাতি জ্বালিয়ে আরও দুরাউন্ড পাঠের ব্যবস্থা করলেন।
একসময় সব শেষ হোল।
কিন্তু ওঁরা বললেন আপনি কিছু বলে সমাপন করুন। সভাপতির কথা।
আমি বললামঃ
"শায়দ হমারী মুশায়েরা খুদা কো ভী ভা গয়া।
তভী বে-মৌসম ইয়ে বারিশ আ গয়া,।।
সবাই ওয়াহ্ ওয়াহ্!