এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা   সমাজ

  • বর্তমান বাংলাদেশ!!!

    দীপ
    আলোচনা | সমাজ | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৮ বার পঠিত | রেটিং ১ (১ জন)
  • সুষুপ্ত পাঠকের কলমে বর্তমান বাংলাদেশ! 
    নুনুস সরকার ও ধর্মোন্মাদ গর্দভকুল বাংলাদেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে চলেছে! আন্তর্জাতিক শক্তি কূটনৈতিক স্বার্থে উপমহাদেশে আগুন জ্বালাচ্ছে, সেই আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ! এখনো সচেতন না হলে কিছু করার নেই, ধ্বংস‌ই এদের চূড়ান্ত নিয়তি! হয়তো সেই রক্তক্ষয়ী ধ্বংসের মধ্যে দিয়েই নতুন বাংলাদেশ তৈরি হবে!
    -------------------------------------------------------------------
     
     
    কয়েকদিন আগের একটা লেখায় আমি বলেছিলাম, আমার খারাপ লাগছে দেশের প্রধান দুই মিডিয়া প্রথম আলো ডেইলি স্টারের অস্তিত্ব আর থাকবে না। কেন বলেছিলাম গতকাল রাতে এই দুই পত্রিকা অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়া থেকে বুঝতে পেরেছেন। কারা আগুন দিয়েছে? এতদিন ৩২ নম্বর থেকে মুক্তিযুদ্ধ, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী থেকে সমর্থক, সকলের বাড়ি প্রতিষ্ঠানে আগুন দাতাদের পরিচয় করিয়ে দিতো এই প্রথম আলো ডেইলি স্টার – “ছাত্রজনতা”! এই বর্বর জঙ্গি জনগোষ্ঠিকে’ ছাত্রজনতা পরিচয় করিয়ে সমস্ত ফৌজদারী অপরাধকে পত্রিকা দুটি বৈধতা দিয়ে গেছে। গতকাল সেই ছাত্রজনতাই প্রথম আলো ডেইলি স্টারে আগুন দিয়েছে। তাদের আজকের প্রকাশনা বন্ধ রয়েছে। কথিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে তাদের একদিনের জন্য প্রকাশনা বন্ধ থাকেনি। অথচ কয়েকদিন আগেই প্রথম আলো সম্পাদক দম্ভ করে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ পালিয়েছে আর তিনি দেশের প্রধান মিডিয়া হিসেবে দাঁড়িয়ে আছেন।

    যদি আপনাদের স্মরণে থাকে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এক অনুষ্ঠানে ইনুছের প্রেস সচিব, এনসিপির নাহিদ সার্জিসদের হাত ধরে বাহবা দেয়ার মত চাপড়ে দিয়ে হাসতে হাসতে বত্রিশ দন্ত বিকশিত করার ভিডিও। মনে আছে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মতিউর রহমান বলেছিলেন, প্রথম আলো ধ্বংস করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ এখন শেখ হাসিনা ভারতে আর প্রথম আলো বাংলাদেশের প্রধান মিডিয়া। বর্তমান ইনুছ সরকার ও এনসিপি এবি পার্টি তথা কিংস পার্টিগুলোর মিডিয়া পার্টার হিসেবে প্রথম আলো নিউজকে কখনো চেপে গেছে, কখনো বিকৃত করেছে, কখনো বায়াস নিউজ করেছে। এমনকি জরিপে ইনুছ সরকারের উপর জনগণ সন্তুষ্ট বলেও প্রচার করেছে। নিশ্চয় প্রথম আলো বিগত ১৭ বছরের তুলনায় গতকাল সবচেয়ে ভালো অবস্থায় ছিল। প্রথম আলো গণভবনে ঢুকতে দেয়া হতো না আর গতকাল প্রথম আলোতে আগুন দিয়েছে। মতিউর রহমান চালাক চতুর বলে গতকাল রক্ষা পেয়েছেন, কিন্তু নুরুল কবীর মনে হয় ততটা চালাক চতুর নন। কাজেই ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে নুরুল কবীর গতকাল তাদের কাগজের অভিধা হিসেবে “ছাত্রজনতার” হাতে ক্যালানি খেয়েছেন সেনাবাহিনীর সামনেই!

    ওসমান হাদীকে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, নিউ এজ যে পরিমাণ কভারেজ দিয়েছে, এ মবস্টারকে জাতীয় বীর বানিয়েও সেই হাদী সমর্থক বা গোষ্ঠির হাতে গতকাল প্রথম আলো ডেইলি স্টার ভষ্মিভূত হয়েছে। আর নুরুল কবীর সাংবাদিকতার শেষ জীবনে এসে মার খেলেন। কথিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা কল্পনাও করতে পারতেন না নুরুল কবীরের উপর কেউ হাত তুলতে পারে, প্রথম আলো অফিসে আগুন দিতে পারে। এই নুরুল কবীর তার নিউ এজ পত্রিকায় মাদ্রাসার ছাত্রদের চাকরি দিতেন। তিনি ইনক্লুসিভ মানে সমাজে মৌলবাদী প্রগতিশীল নারীবাদী নারী বিদ্বেষী, অসাম্প্রদায়িক, সাম্প্রদায়িক সকলকে মিলে চলতে হবে এমনটায় বিশ্বাস করতেন। গতকাল তাঁকে এই মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের ইনকিলাব জনতাই জিন্দাবাদ করে দিয়েছে! সমাজ কখনো সাম্প্রদায়িক নারীবিদ্বেষীদের নিয়ে ইনক্লুসিভ হতে পারে না। এটি গতকালের পর কি তারা বুঝতে পারবে?

    জ্বি না। আপনারা লিখে রাখেন, মতিউর রহমান, মাহফুজ আনাম, নুরুল কবীর এরা মার হজম করার পর এই ঘটনার পিছনে ভারতের স্বার্থ দেখতে পাবে এবং ডক্টর ইনুছের পাছা রক্ষার জন্য যা যা করার দরকার তাই করবে। আজকের প্রেক্ষাপট তৈরি করতে তাদের তিরিশ বছরের বেশি সময় লেগেছে। ডক্টর ইনুছকে তৈরি করার দায়িত্ব ছিল প্রথম আলো ডেইলি স্টারসহ সুশীল সমাজের হাতে। ফলে তাদের আর পিছন ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই।

    ছায়ানটে হামলা করেছে জুলাই যোদ্ধারা। এগুলো হচ্ছে তাদের চোখে কালচারাল ফ্যাসিস্ট। পরশুদিন হাসনাত আবদুল্লাহ এই কালচারাল ফ্যাসিস্টদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল। তার পরদিন ছানানট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সারারাত ধরে কালচারাল ফ্যাসিস্ট নিধন ও ভারতীয় দুতাবাস, কর্মকর্তাদের বাড়িতে হামলা চলেছে আর ইনছ সরকার বসে বসে মজা দেখেছে। ছাত্রলীগের একটা লাঠির বাড়ির জন্য যদি শেখ হাসিনা দায়ী হন তাহলে এগুলো জন্য ডক্টর ইনছ দায়ী নন? এই হাসনাত সার্জিস নাহিদ আসিফদের উস্কানি দায়ী নয়? বাংলা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের উপর মৌলবাদের ক্ষোভ তো সকলের জানা। জুলাই যোদ্ধা বলতে যে এই সকল মৌলবাদীদের বুঝায় এটি এখনো যারা স্বীকার করবে না তাদের নুরুল কবীরের মত ক্যালানি খাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

    বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ এখন বাংলাদেশের হাতে নেই। এটাকে গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্ত বলে। এটার জন্য দায়ীদের একদিন বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু সেসব পরের কথা। এখন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মহল ধমকধামক না দিলে এই দেশটা আর রক্ষা পাবে না। ইন্দিরা গান্ধীর এক থ্রেটে ৭৫ পরবর্তী সম্ভাব্য গৃহযদ্ধ রুদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি আর ইন্দিরা গান্ধী এক কথা নয়।

    একটা কথা বলি, ইনুছ সরকার একটি করে দিন থাকবে আর বাংলাদেশ গৃহযুদ্ধ জড়ানোর পথে একটি করে পা বাড়াবে। সমাধান আমাদের কাছেই আছে। একটি নিরপেক্ষ তত্ত্ববধায়ক সরকারের হাতে ইনুছ সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশের সমস্ত দল; আওয়ামী লীগসহ একটি নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করাই এই দেশটিকে বাঁচাতে পারে। নইলে সিরিয়া আফগান ইউক্রেন মিলে একটা ক্যারিকেচার চরিত্র পাবে বাংলাদেশ!

    ©সুষুপ্ত পাঠক
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন