( ২২ )প্রতিবিম্ব বলল, ' পুজোর সময় দার্জিলিং ট্যুরে গেলে হয় না ? 'সুমনা সঙ্গে সঙ্গে বলল, ' না না ... পুজোর সময় আমি কলকাতা ছেড়ে কোথাও যাব না ... যা হবার পুজোর পরে ... ' ----- ' তখন কি আর ছুটি পাব ? ঠিক আছে দেখা যাক ... বাবাইয়ের অ্যানুয়াল পরীক্ষা হয়ে গেলে একটা গ্যাপ পাওয়া যাবে অবশ্য । এর মধ্যে মাসখানেকের জন্য আর একবার আমেরিকা যেতে হবে মনে হচ্ছে । অ্যাভয়েড করার চেষ্টা করেছিলাম নানাভাবে । কিন্তু আলটিমেটলি যেতেই হবে মনে হচ্ছে । কি আর করা যাবে ... ...
তিস্তা পেরোবার পর জ্যাকেটটা গায়ে চাপিয়ে নেয় সাকিনা। এদিকে ইতিমধ্যেই শীতের আমেজ। ট্রেনের দুপাশে কুয়াশা এখনো লেপ্টে আছে। একটু নীচে ৩১ নং জাতীয় সড়ক সাপের মত এঁকেবেঁকে এই লাইনের সাথে জড়াজড়ি করতে করতে চলেছে। সাপেরা এভাবেই সঙ্গম করে। এইসব অতি পরিচিত দৃশ্য গত তিরিশ বছর তার জীবনে ছিল না। তিরিশ বছর আগের এই দৃশ্যকে যেন গতজন্মের মনে হয় সাকিনার। ডুয়ার্স ছেড়েছিল ষোল বছর বয়সে, আর ফিরে আসা এই ছেচল্লিশের প্রৌঢ়ার। যদিও তাকে দেখলে কেউ প্রৌঢ়া বলবে না, এখনো পঁচিশ তিরিশ বলেই দিব্যি চালিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু তবুও চলে যাওয়া কিশোরী আর এই ফিরে আসা প্রৌঢ়া যে আলাদা মানুষ সে নিয়ে ... ...
বিভিন্ন কাগজে বেরিয়েছে ভারতীয় পর্যটকরা দলবেঁধে তুরস্ক আর আজারবাইজান ভ্রমণ ক্যানসেল করছেন। মেক মাই ট্রিপ, ইজ মাই ট্রিপ এবং অন্যান্য ভ্রমণ সংস্থার রেকর্ডবুক তাই বলছে। সদ্য সমাপ্ত ভারত পাক সামরিক সংঘাতের সময় এই দুটি দেশ প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে। দেশপ্রেম জিনিসটা বেশ ভাল, যখন সেটা সৎ, দায়বদ্ধ, যুক্তিবাদী মানুষদের থাকে। আমাদের দেশে অবশ্য ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে, কর্মক্ষেত্রে কাজ ঠিকমত না করে, সারাদিন রাজা উজির মেরেও সপ্তাহান্তে বা মাসান্তে ধর্মস্থানে গিয়ে পুণ্য কুড়োনোর রেওয়াজ আছে। ঘুষ খাওয়া, দুর্নীতি প্রভৃতি সামাজিক অন্যায়ের সঙ্গে যে প্রকৃত ধার্মিকতাকে মেলানো যায় না সে বোধ এদের নেই। এই মাঝে মাঝে দেশপ্রেম উথলে ওঠা সম্পন্ন ঘরের ( যারা ... ...
আমার ঘরের নিয়ম বড় কড়া,দরজায় শয়ে শয়ে দারোয়ান,ঘরের ভেতর আনাচে-কানাচে, অলিতে-গলিতে প্রহরী।মাছিটিও ঢুকতে পারে না তাদের পেরিয়ে। তাহলে?তাহলে আমি কোন রোগে ভুগছি,আমি মরে যাচ্ছি কেন? আমার প্রহরীরা খুব কড়া,প্রতিদিন আমার শরীর থেকে রক্ত বের করে দেয় বিশুদ্ধতার নামে,আমার গায়ের চামড়া তুলে দেয়,পুরোনোটা নোংরা হয়ে গিয়েছিল বলে। আমি আস্তে আস্তে মরে যাচ্ছি;কিন্তু ওরা তাতে আরো চিন্তিত।এখন রক্ত বের করে নেওয়ার প্রক্রিয়া বারে বাড়ছে,চামড়ার সাথে মাংসের স্তরের পুরুত্ব বাড়ছে প্রতিবারে। আমি ওদের কাছে আমার মৃত্যু ভিক্ষা করি,কিন্তু ওরা বিরক্ত হয়—'কি শিশুসুলভ বায়না!''মরার জন্যই কি ওরা এত সদাসতর্ক, শশব্যস্ত?' কিন্তু আমার জীবনীশক্তি ক্রমশ কমে আসছে,আমি আর এই অত্যাচার সইতে পারছি না।ওরা এখন আমাকে হাঁটতে সাহায্য করে, খাইয়ে দেয়।সেদিকে ... ...
চাড্ডি ঘনিষ্ঠদের প্রোগ্রামে লিখিয়ে বাবু বিবিদের দলে দলে ভিড়তে দেখা যাচ্ছে! ভাব করছে কেউ কিচ্ছুটি জানে না!! সেই দেখে গান বেঁধেছি। কেত্তনের স্টাইলে গাইতে হবে। ওরা ন্যাকা সেজে সেজে চলে যায়বলে আমি তো আমার সকলি খামারফসল তুলিতে রোখে সাধ্যি কার।ওরা ন্যাকা সেজে সেজে চলে যায়।
এক সেনানী মায়ের গল্পসাগরময় মণ্ডলএম বি বি এস পাশ করার পর দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবে বলে ইন্দ্রাণী ভারতীয় সেনাবাহিনীর সর্ট সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় বসেছিল। প্রাথমিক ভাবে এটি দশ বছরের সার্ভিস। পরে পার্মানেন্ট হয়ে যাওয়া যায়। রেজাল্ট বেরোলে দেখা যায় ইন্দ্রাণী সেই পরীক্ষায় পাশ করেছে। ইন্দ্রাণী তো খুশিই কারণ সে তার পছন্দের কাজ করতে পারবে। তার বাবা, আবসর প্রাপ্ত সৈনিক এবং মাও যারপর নাই আনন্দিত। ইন্দ্রাণী তার বাবার কাছে শোনা নানা দুঃসাহসিক অভিযানের সাক্ষী হতে পারবে। বাবাই তো তার হিরো। শুনেছে চাকরিতে জয়েন করার পরে উনপঞ্চাশ সপ্তাহের ট্রেনিং হবে তারপর পোস্টিং। খবরটা জানার পরে সে এতই উত্তেজিত যে পারলে আজকেই ... ...
আনকোরা মন সুপ্রিয়া চৌধুরী আনকোরা মন করতে পারেনা ন্যায় অন্যায় ফারাক্ট্যাগ লেগে গেলে, - ব্যস্ -সমুখে দুর্বিপাক্ !শুভবুদ্ধিরা কুবুদ্ধির কাছে বারবার যায় হেরেচেতনা হারানো মন তাই বলে শেষ করো সব মেরে !অট্টহাসি হাসে ইতিহাস বলে ক্ষ্যাপা ! দেখ মোর আয়নায় !আনকোরা মনে আজ বড় ভয়- তবু -বিশ্বাস, সময়ের গতিতে হবে সত্যেরই শুধু জয় !
কয়েকটা রিপোর্টিং আসতে শুরু করেছে সীমান্তবর্তী রাজৌরি পুঞ্চ এলাকার। দেখা যাচ্ছে বহু মানুষ হতাহত। সীমান্তের তিন কিলোমিটারের দূরে শহর পুঞ্চে আশি ভাগ মানুষ পালিয়েছে। ঘরে ঘরে কান্নার রব। ভেঙেছে ঘরবাড়ি মন্দির, মসজিদ গুরদোয়ারা। বাজার দোকান পেট্রল পাম্প বন্ধ হাসপাতালে ওষুধ নেই। একটি মেয়ে, যার পরিজন মারা গেছে, বলল যে আহত হলে চিকিৎসার জন্য ২০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে জম্মুতে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে সামরিক নিরাপত্তা বলয় আছে। ভারত তার নিরাপত্তা বলয় নিয়ে বড়াই করার সময় ভুলে যাচ্ছে সব জায়গা আকাশ হানার নিরাপত্তা বলয়ের অধীনে থাকার মতো সামর্থ্য ... ...
জীবনের "মানে" বা পারপাস খোঁজা মানুষ ঠিক কবে থেকে শুরু করলো? সঠিক সময় বলতে না পারলেও এটুকু বলাই যায় সার্ত্র বা কামুর জন্মের ঢের আগে থেকেই। এই খোঁজ এক অস্থিরতা। শিল্পবিপ্লব পরবর্তী ধ্রুপদী যে ধনতন্ত্র - সে জিনিস মানুষের মনের খোঁজ সেভাবে না রাখলেও, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বিবর্তিত ধনতন্ত্র বিলক্ষণ জানে মানসিক অস্থিরতা বা মনে প্রশ্ন বয়ে নিয়ে চলা মানবসম্পদ উৎপাদনশীলতার অন্তরায়। বিশেষ করে পরিষেবাক্ষেত্রের কথা যদি আমরা বলি, সেখানে মানবসম্পদ-ই মূল পুঁজি। এখানেই একটি দুরন্ত চাল দিলো পুঁজিবাদ - কর্মীদের বলল তোমরা তোমাদের কাজের মাধ্যমে পৃথিবী বদলে দিচ্ছ। এই তোমার জীবনের উদ্দেশ্য। অবশ্যই এরকম কাঠখোট্টা ভাষায় নয়, অনেকটা ... ...
আমরা যারা যুদ্ধু নিয়ে হচ্ছি বিষম ব্যস্ত যুদ্ধু টা যে কেমন জিনিষ বুঝতে সময় নষ্ট। নষ্টামী টা করছে কারা? আসল কারা হিরো? বুঝতে গিয়ে গা ঘামিয়ে মুন্ডু নড়োচড়ো! মুন্ডু কোথায় খুঁজতে গেলে চোখ জোড়া তো চাই--চোখ তো আঠায় আটকে গেছে এবিপি পাতায়।তাই তো বলি গরমকালে আম পেকেছে কত্তটুকটুকে লাল আম কিনেছি খাচ্ছি করে গত্তআম খানা তো লালই ছিল কেটে দেখি কি বাবাইরেতে লাল সে আম খানি মদ্দিতে কমলা। ... ...
সোফিয়া ক্যুরেশীও আসলে মেয়ে - একজন ট্রোলকারী যুদ্ধবাজের কাছে। ঠিক যেমনটা ছিলেন - আসিফা, কৌসর, বিলকিস বানোরা। পোহলগাঁও কাণ্ডের স্বজন হারানো হিমাংশী নারোয়ালও আসলে মেয়ে। তাই এপার ওপার দুই পাড়ের সন্ত্রাসবাদীরা সুযোগ পেলেই তাদের ছিঁড়ে খাবে সেই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। সন্দেহ নেই, কারণ খোদ বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রী ও তার মেয়েকেও ছাড়তে নারাজ যুদ্ধকামী দাঙ্গাকারি উন্মাদ মানসিকতা। এই উন্মাদদের কে বোঝাবে যুদ্ধ এবং যুদ্ধ সংক্রান্ত যাবতীয় যা কিছু তার পুরোটাই নিখুঁত ভাবে স্ক্রিপটেড - ঠিক যেমনটা আট্টারি-ওয়াঘ বর্ডারের beating retreat ceremony-র একে অপরকে লাথি দেখানোর দৈনিক যাত্রাপালা। যুদ্ধের খবর সরকারও নিখুঁত ভাবে সাজানোর চেষ্টা করেন হিংসার আবাদী বাড়ানোর জন্যে ... ...
কে মেরেছে কে ধরেছে? কে পালালো কবে?সিঁদুর শাঁখার দিব্যি! সে সব বলা কি ঠিক হবে?রাবণ আছে সীতা আছে…অশোক কানন নাই!অতলান্ত সাঁতরে তবে দাদার দেখা পাই!ভোটের বাদ্যি তাক ডুমা ডুম…চমকে দিতে চাই!মাছের তেলে মাছ ভাজতে বড়ই আমোদ পাই!উদো মারে ঢ্যাঁশ ঢ্যাঁশ ঢ্যাঁশ…বুধো বাড়ায় ঘাড়,তুমি ড্যাশ-ই-স্থান এবার হবেই কুপোকাৎ!এমন সময় ঘুড়ি বলে উড়বো না আর ছাই!অনেক মরল রাজা উজির এবার আমি যাই…যা গিয়েছে, যাদের গেল…আবার যাদের যাবে...হিসেব রাখা থাকছে যেন কালেরই কিংখাবে!তোমার শিল,তোমার নোড়া,তোমার দাঁতের সার…আম জনতা নিশানা তাই প্রতি হাজারবার!তবু যেন হিমশৈল যায় না গোটা ধরা!সব কিছুতে যায় না করা বীভৎস মশকরা!! ... ...
আর সেকু মাকু গুলোও হয়েছে তেমনি তেএঁটে। তুবড়িতে আগুন দিয়েছে কি দেয়নি অমনি রে রে করে নেমে পড়েছে রাস্তায় যুদ্ধ নয় শান্তি চাই স্লোগান নিয়ে। আরে তোদের তো লেনিন বোঝানোর ফাঁকা ফ্ল্যাট আছে, তোরা তো দিব্যি সেক্স পেয়ে যাচ্ছিস, তা বলে অন্যদের ব্যাপারটা একটু দেখবি না! এই তোরা সাম্যবাদী? আমরা যারা সেক্স স্টার্ভড হিন্দু বীর তারা কি করবে? এই যুদ্ধ টুদ্ধ লাগলে, কি ভোটের আগে হেব্বি মারপিট হলে, বোমাবাজি হলে, দাঙ্গা হলে, পোধানদা চারটে গরগরে ঝাল বক্তিমে দিলে সেসব দেখে একটা বেশ গা-টা গরম মতো হয়ে ওঠে, শিরায় শিরায় অ্যাড্রিনালিন রাশ, উফ সে যেন স্বর্গসুখ। এই কটা দিনের সুখটুকুও এরা বাগড়া দিতে ব্যস্ত। সাধে কি আর দেশদ্রোহী বলে এই গাড়োলগুলোকে। ... ...
মানুষটা আমি মোটেও তেমন সাধাসিধে নই বাওয়া /গুরুর লেখা পড়ছি বলেই শিষ্য হব এমন না।/কাটব ছিঁড়ব দাঁতও দেখাব এমন আমার পেশীর জোর/খুব সাবধান, দুরেই থাকো গুঁতিয়ে দিলে পারবে না।/আঁতেল কিবা খায় না মাখে জন্মে বাপু বুঝিনি/তাই রাশভারী আর ঝোলা ব্যাগের খপ্পরেতে আমি নেই।
এখানে প্রতি পায়ে পায়ে***এখানে প্রতি পায়ে পায়ে বিপদ ঘাপটি মাইরা থাকে।সেই কোন স্বর্গের অসুখের মতন উজ্জ্বল তোমার মুখপাতালের আনন্দে ঝাপসা হয়া যাইতেছে।কষ্টের মুক্তাগুলা তোমার গাল বেয়ে বেয়েএইখানে আমার ২৬৫/১ ভাড়া-বাসায় এসে ওঠে।এই আষাঢ়ের মওসুমে তোমার কান্নাগুলারেআমি রিহ্যাবে পাঠাবো;পাঠাবোই দেখে নিও।তোমার সকল দুঃখের উজ্জ্বল মুক্তাগুলারে আমিএইখানে ডিপফ্রিজে যত্ন করে রাখতেছি।তুমি চাইলেও আমি আর ফিরাইয়া দিব না তো।বুকের ভিতর তুমি এত এত পাতালের উচ্ছ্বাস কেমনেজমায়া রাখো মা? স্বর্গের কোন্ অসুখের জন্য তুমি এতটা কাঙাল?আমি আর তোমার এই ক্লিশে মুক্তাগুলা ফিরায়া দিব না তো। জীবন তুমি কাহার জন্য ****আর যদি তাই হয়, হোক তবে।দোলনচাঁপায় চাপা পড়ে যাক এই নিক্ষিপ্ত সময়।বৃষ্টিরই জলে ধুয়ে যাক এই ঘনঘোর। ... ...
কাল কী হল? গোদি মিডিয়া আবার সার্কাস দেখাল, এবং শিক্ষিত লোকজন আবার নাচলেন। মার্কিন মধ্যস্থতা এবং যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হয়ে গেল তো সব্বাই জানেন। সুমন্দে অর্ণব বা ময়ূখ এঁরা এত বড় সাংবাদিক, কিন্তু হবার আগে কেউ কিচ্ছু টের পাননি। কিন্তু হয়ে যেতেই তাঁরা রোমহর্ষক সব খবর পেতে শুরু করলেন। জি ২৪ ঘন্টা বলল, নেহাৎই 'পাকিস্তান চেয়েছে তাই সংঘর্ষবিরতি'। এবিপি আনন্দ জানাল 'পাকিস্তানের কান্নায় মার্কিন হস্তক্ষেপ'। সবার উপরে রিপাবলিক। তারা পরিষ্কার জানিয়ে দিল 'এবার হাতে-পায়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা পাকিস্তানের'। সবই নির্ঘাত 'সূত্র'এর খবর। এদের জিজ্ঞাসা করা উচিত ছিল, ভাই আপনাদের সূত্র যদি এতই সুপারম্যান, তো জাঙ্গিয়া প্যান্টের নিচে পরেনা কেন, অর্থাৎ কিনা ... ...
সেদিনের কথা আমার খুব মনে পড়ে। আমরা তিন ভাই, মেজদার কঠোর তত্ত্বাবধানে নিঃশব্দে বিদ্যাভ্যাস করিতেছি। সুমনদা, ময়ূখদা ও আমি তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি এবং গম্ভীর-প্রকৃতি মেজদা বারবার এন্ট্রাসে ফেল করিবার পর গভীর মনোযোগের সহিত ২০২৪ হইতে তৃতীয়বারের জন্য শাসন করিতেছেন। আমরা আড়ালে তাঁহাকে উনিদা বলিদাম, কারণ তাঁহার প্রচণ্ড শাসনে একমুহূর্ত কাহারো সময় নষ্ট করিবার জো ছিল না। আমাদের পড়ার সময় ছিল প্রাইমটাইমে, সাড়ে সাতটা হইতে নয়টা। এই সময়টুকুর মধ্যে কথাবার্তা কহিয়া মেজদার ‘পাশে’র পড়ার বিঘ্ন না করি, এই জন্য তিনি নিজে প্রত্যহ পড়িতে বসিয়াই কাঁচি দিয়া কাগজ কাটিয়া বিশ-ত্রিশ খানি টিকিটের মত করিতেন। তাহার সবকটিতে নানারকম ব্রেকিং নিউজ লেখা থাকিত। সেদিন ... ...
আপনি কি সংকটাপন্ন? সত্যি মিথ্যার দ্বৈরথে বুঝতে পারছেন না, কি করনীয়? আপনার আজন্ম লালিত সংস্কার গুলো কি প্রশ্নের মুখোমুখি? যুদ্ধের বিরোধিতা করতে মন চাইছে কিন্তু করতে গেলে কি রকম একটা দুর্ভাবনা কাজ করছে? অথবা আপনি কি অন্যদের যুদ্ধ বিরোধী অবস্থান দেখে খানিকটা হলেও বিরক্ত অনুভব করছেন? এইরকম আরো অসংখ্য প্রশ্নে কিংবা দ্বিধায় একটা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দেশের সকলেই কম বেশি দীর্ণ বিদীর্ণ – বিশেষত যখন দেখছেন রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় যারা কাঠশত্রু বলে বিবেচিত তারাও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এককাট্টা। তার উপরে যদি আবার বাস্তবের সত্য মিথ্যে যাচাইয়ে রাষ্ট্রীয় কোন হুকুমনামা জারি হয়ে যায় তাহলে তো আর কথাই নেই। আপনার অন্তকরণ সত্যির জন্যে কঁকিয়ে উঠবেই। কারণ, ... ...