"অভয়া" কান্ডের এক বছর হয়ে গেল। বিচার ও তদন্ত বিখ্যাত হিন্দি সিনেমার সংলাপের মতো "তারিখ পে তারিখ"ই হয়ে যাচ্ছে। অভয়া তাঁর কর্মস্থলে নির্যাতিতা ও খুন হয়ে ছিলেন। একটি জঘন্য ও ঘৃণ্য ব্যাপার। বর্তমান সময়ে বাঙালি মধ্যবিত্ত শিক্ষিতা এবং চাকুরীররতা মেয়েদের অবস্থা কি অভয়ার থেকে আলাদা কিছু? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমি "বিন্দু তে সিন্ধু দর্শন" বলে যে প্রাচীন বাংলা প্রবাদ আছে, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করেছি। যদি কোনও একজন এই রকমের মেয়ের জীবন হুবহু উন্মোচিত করা যায়, তবে সমস্ত এই ধরনের মেয়েদের প্রকৃত অবস্থা আমাদের সামনে ফুটে উঠবে। তাহলেই আমরা বুঝতে পারবো আদতে বাঙালি মধ্যবিত্ত শিক্ষিতা চাকুরীররতা মেয়েদের অবস্থা সত্যি সত্যি কি ... ...
আপনারা ভুলে গেছেন, বোধহয় বছর খানেক আগেই উনি বলেছিলেন, অপু-দুগ্গা যেমন ট্রেন দেখতে যেত, ছোটোবেলায় উনি কলকাতার মেট্রো দেখতে আসতেন। ওদিকে ওঁর জন্ম ১৯৫০ সালে, কলকাতা মেট্রো চালু হয় ১৯৮৪ তে। অপু-দুগ্গার ব্যাপারটা অবশ্য বলেননি, ওটা বিবেকের পরের সিনেমায় থাকবে। উনিজি হাপ্প্যান্ট পরে ধোকলা খেতে খেতে হাঁ করে পার্কস্ট্রিট মেট্রো স্টেশন দেখছেন। দূর থেকে কু-ঝিক-ঝিক করে ট্রেন আসছে। স্টেশনের দেয়ালে লাল অক্ষরে লেখা বামফ্রন্টের স্লোগান "বাংলাদেশী লাও, বাংলা বাঁচাও"। সেই লেখা মুছে "মা ভারতী"র ছবি আঁকছেন এক বিখ্যাত চিত্রকর। তিনি অরিন্দম চ্যাটার্জি, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ভাই। দূর থেকে দেখতে পেয়ে সিপিএম মোল্লাবাহিনী মার মার বলে দৌড়ে আসছে। ডায়রেক্ট অ্যাকশন। তাদের তাতে অস্ত্র, থুতনিতে লম্বা দাড়ি, লেনিনের মতো ... ...
[কবি সোমনাথ সরকারের কবিতার এই নামটি যে কতোখানি প্রাসঙ্গিক, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এই দীর্ঘ উপস্থাপনার জন্য শ্রদ্ধেয় কবির কবিতার নামটি গ্রহণ করেছি। এই ধৃষ্টতার জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে রাখছি। কবিতার নামকে নাটকের নাম হিসাবে ব্যবহার করার উদাহরণ পূর্বেও আছে। যাইহোক,এটা সঠিক কোনো নাটক একেবারেই হয়নি। ব্যকরণ বা নাটক সাজানোর structure মানছে না এবং কিছুটা দীর্ঘ হয়েছে। নাটক ও কবিতা দুটিই হলো সাহিত্যের প্রাচীনতম ও কঠিনতম ধারা,তাই যোগ্যতাহীনের ত্রুটি মার্জনীয়। নাটকের ক্ষেত্রে সময়পর্বের বিভাজন যেভাবে বিভিন্ন দৃশ্য এবং অঙ্কে বিস্তৃত হয়,সেটা প্রায় সময়েই এখানে ঠিক নেই।পরপর ঘটনার ধারাবাহিকতা থেকেছে ও কয়েকটি দিনের পারস্পরিক বিন্যাস তুলে ধরা হয়েছে। তবু ... ...
ঐ যে ঐ যে গল্পটা যাচ্ছে দেখুন— ওখানে কিন্তু এখনও জীবনানন্দের যাওয়া আসা আছে। ব্যাপারটা হল যে, ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই। পাখিতে আছে। নদীইইইইইই,– এই সন্ধে হলেই ঘরে ফিরবে। যদিও সন্ধে হয়েই এসেছে। ঘাড়টা সামান্য ডানদিকে ঘোরান— ঘুড়িটাকে দেখুন, কীভাবে মেঘ টপকাচ্ছে! আর কী যেন... হ্যাঁ হল হচ্ছে জীবনানন্দ, জীবনানন্দ, জীবনানন্দ কিন্তু ট্রামের চেয়েও ধীর গতিতে চলতেন... না না চলতেন না, চলছেন তো এখনও! বেশ চলছেন...হিঃ হিঃ হিঃ মেয়েটাকে দেখে এক্ষুনি বমি বেরিয়ে আসছিল আমার। ছেলেটা পাত্তাই দিচ্ছে না। এভাবে প’ড়ে থাকে কেউ? না বিয়ে এখনও হয়নি আমার। কিন্তু এই মেয়েটাকে... মেয়েটাকে দেখতে বড্ড...তেমন অবকাশ নেই, নইলে মেয়েটাকে প্রোপোজ ক’রে আসতাম। কী হতো তবে? এমনই হয়তো হতো, ওদিকে মেয়েটাকে ছেলেটা পাত্তা দিচ্ছে ... ...
জনতা মানেই কি বেকুব? নাকি বেকুব মানেই জনতা? জনতারই করের টাকা। জনতার প্রয়োজনেই তৈরী। জনতাই তার মূল্য চোকাবে নতুন করে ভাড়া গুণে গুণে। আর জনপ্রতিনিধিরা, যারা কস্মিনকালেও নিজের পকেটের পয়সা ব্যায় করে মেট্রোরেলে চড়বে না। তাদের সামনে পিছনে সরকারি লালবাতি নীলবাতি গাড়ি। আর কম্যাণ্ডো বাহিনী। সেও জনতারই করের টাকায়। অথচ টিভি খুললেই দেখতে হচ্ছে মহানুভ সরকারের শ্রীমুখ। এই যেন জনসাধারণের জন্য তৈরী মেট্রোরেল আসলে রাজনৈতিক দলের বদান্যতার দান। সেই মেট্রোরেল করে দিয়ে জনতাকে কৃতার্থ করা হলো। তাই আজ মেট্রোরেলের উদ্বোধন হচ্ছে। সেও হচ্ছে সেই জনতার টাকা ভেঙ্গেই। এক উদ্বোধন সমারোহেই কয়েক কোটি কি কয়েকশো কোটি ব্যায়। তারপর এর পকেট ওর ... ...
চেতনা বিষয়ক প্রস্তাবনা আলোচনার প্রথমে আমরা খোলা মনে চেতনা বিষয়ক ২টা কথা ঝটপট শেষ করতে চাই। প্রথমত, 'চেতনা' হচ্ছে এমন বিষয়, যার মাধ্যমে ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত, রাজনৈতিক এবং ঐতিহাসিক জ্ঞানসমৃদ্ধ এক রকমের প্রজ্ঞাপ্রসূত সচেতনতা সমাজের প্রান্তিক পর্যায়ে 'সংক্রামিত' হয়। সংক্রমণের কথা বলার প্রধান কারণ, এই চেতনা ঠিক ভাইরাসঘটিত রোগের মতনই সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। দ্বিতীয়ত, চেতনা কখনোই ব্যক্তি পর্যায়ে থেমে থাকে না। যদি থেমে থাকে, যদি সমাজের দশ জনের বিবেচনাবোধের উপর প্রভাব বিস্তারে ব্যর্থই হয় তবে তাকে আমরা 'চেতনা' বলতে পারি না। চেতনা বস্তুত বহুরৈখিক এবং প্রায়োগিক সমষ্টিগত উপলব্ধি। ৭১'র বয়ান ১৯৭১ ছিল আদতে বাংলাদেশে বাঙালি এবং অপরাপর জাতিগোষ্ঠীর মুক্তির সনদ। যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ... ...
সবসময় একটা ভয় ভেতরে কাজ করে— যখন দেখি কত মানুষ এত সুন্দর একটা জীবন পেয়েও সেটাকে নিজের হাতেই ধ্বংস করছে, ধ্বংস করেছে। আমার কেবলই মনে হয়, এই মানুষগুলোর মতো আমি হ’য়ে যাব না তো? নিজেকে কি প্রতি মুহূর্তে ধ্বংস করছি নিজের হাতেই? কী আমার করণীয়? কী আমি করতে চাই?— এমনসব প্রশ্ন রাখি নিজের কাছে। নিজেকে আরও ভেঙে ফেলে নতুন ক’রে গ’ড়ে তোলার চেষ্টায় মগ্ন থাকি নিজের গভীরে। ভাল খেতে পাওয়া, ভাল পরতে পাওয়া পরিবারের ছেলে হয়েও নিজেকে রাখি একেবারেই সাধারণ। আর এই সাধারণ হতে পেরেছি ব’লেই, সমাজের সবচেয়ে শিক্ষিত, সফল, রঙিন জীবন যাপন করা মানুষকে যেমন দেখেছি; তেমনই দেখেছি এমন মানুষকেও যার আজ সারাদিন কিছুই খাওয়া হয়নি ... ...
২০২৬ সাল। বাংলার ইশকুলের খুব খারাপ অবস্থা। কোথাও কোনো মাস্টার নেই, সবার চাকরি গেছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদে কেউ কোনো ফাইল নড়ায়না, কারণ কম্পিউটারে দুর্নীতির ভাইরাস কখন ঢুকে পড়বে কেউ জানেনা। ছাত্রদের পড়াশুনো গোল্লায় গেছে। সবাই পরীক্ষায় গোল্লা পায়, মহানন্দে সাইকেল চালিয়ে ঘোরে, আর ট্যাব নিয়ে গেম খেলে। চারদিকে হাহাকার। এর মধ্যে হঠাৎ একদিন খবর এল, গাঁয়ের ইশকুলে সবাই অঙ্কে একশয় একশ পেতে শুরু করেছে। সেই নিয়ে হুলুস্থুল, খবরের কাগজে খবর, হাইকোর্টে সওয়াল। আরও এক দুর্নীতির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। ইশকুলের হেডমাস্টারকে তলব করা হল। তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁপতে কাঁপতে বললেন, আমাদের কোনো দোষ নেই ধর্মাবতার, আমরা যথাসাধ্য না পড়ানোর চেষ্টা করি। কিন্তু ... ...
জানুয়ারির বেলা এগারোটা। কিছুক্ষণ আগে মুম্বইয়ের এয়ারপোর্ট ছেড়ে বেরিয়েছি। বাতাসে ঠান্ডা ভাবটা রয়েছে, কিন্তু শীত ব্যাপারটা নেই। মুম্বইয়ের শীতকাল যেমন হয় আরকি! ক্যাবের জানালার কাচ তোলা নেই। এসি চলছে না। ড্রাইভারকে আগেই ঠিকানা দেওয়া ছিল। তাই নির্ঝঞ্ঝাটে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে গেলাম। তরতর করে লিফট দিয়ে উঠতে উঠতে ভাবছি, শেষমেষ ঢুকতে দেবে তো! কে জানে? আমার মত অখ্যাত অর্বাচীন ওঁর কাছে রোজ কত আসেন, তার কি ইয়ত্তা আছে! কপাল ঠুকে কলিং বেলটা বাজিয়েই দিলুম।কয়েক মিনিট অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ফ্ল্যাটের দরজাটি খুলে গেল। একজন মাঝবয়েসী মানুষের আবির্ভাব। নিজের পরিচয় দিতেই ভিতরে আহবান... আইয়ে। প্রশস্ত ড্রইং স্পেসে গিয়ে একটি প্রকাণ্ড সোফায় বসে পড়লুম। ... ...
বাংলা সরকারের ১৯২৬ সালের গুন্ডা আইনে পুলিশের জন্য গুন্ডাদের আলাদা খাতা খোলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। গুন্ডা অর্থে চুরি, পকেটমারি, জুয়াখেলা, চোরাচালান, কোকেন বিক্রেতা এমনকি রাজনৈতিক চরিত্ররাও। আইনে প্রতি ফাইলের একটি নির্দিষ্ট কাঠামো ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। আসামীর পরিচয়, কি কি অভিযোগ আছে, স্থানীয় লোকজনের সাক্ষ্য ইত্যাদি। ১৯৪৬-৭১ সালের এই ১২৩ টি পুলিশ ফাইলের মধ্যে মাত্র আঠেরো জন মুসলিম গুন্ডার নাম আছে। যদিও বাস্তব অন্যরকম ছিল যেহেতু অগস্ট ১৯৪৬র দাঙ্গায় মুসলিম লীগের রাজনৈতিক নেতা এবং কলকাতার মুসলিম অপরাধ জগতের সম্পর্ক জনসমক্ষে ... ...
তুই আমার পাঁউরুটিআমি তোর জেলি — লেখাটা এখানেই থামল। ঘাড় ধ'রে যদি আরও এগোতে বলি, কিচ্ছুতেই এগোবে না! সন্তান যখন কথা শোনে না, তখন অভিভাবককেও কঠোর হতে হয়। ঠিক করেছি, ওকে এভাবেই রেখে দেব। থাকুক নিজের মতো, এই আমি চললাম...
বাচ্চা মেয়ের আরও বাচ্চা একটি মা। দু'জনেই পাশাপাশি ব'সে আছে চায়ের দোকানের বেঞ্চে। বাচ্চা মেয়ের মুখের ধুলোময়লা,আরও বাচ্চা একটি মা তাঁর আঁচল দিয়েমুছিয়ে দিচ্ছে। ঠিক মুছিয়ে দিচ্ছে না, ভালবাসা লাগিয়ে দিচ্ছে বাচ্চা মেয়ের মুখে। মায়েদের আঁচলে ভালবাসা জমানো থাকে। যখন যেমন দরকার হয় হাতখুলে খরচ ক'রে দেয়। বাচ্চা একটি মেয়ে—তার চোখে বিস্ময়তারমনে কৌতূহলতার হাসিতে আলোর ঝলকানি। বাচ্চা একটি মেয়ে আর তার আরও বাচ্চা একটি মা,– ভালবাসা নিয়ে খেলেই চলেছেমুহূর্তের পর মুহূর্ত।— আর এদিকে দর্শক হ'য়ে, আমি ভাবছি— খেলা খুব জরুরি। ভালবাসা নিয়ে যে খেলতে জানে, সে বড় অদ্ভুতসুখী! ... ...
প্রেমে-অপ্রেমেমুহাম্মদ ফজলুল হকমেঘনার পশ্চিম অংশে রেলসেতুর নিচে কিছুটা দক্ষিণ দিকে স্রোতবিনী নদীর কাছাকাছি পাথরের উপর বসে আছে সুরভি ও লিটন। তাদের চোখের সামনে অনিন্দ সুন্দর, মনোরম ও নান্দনিক দৃশ্যাবলী। বর্ষার পানিতে নদীর বুক ভরাট হয়ে পানি যেন উপচে পড়ছে। মাছ ধরার নৌকা, যাত্রীবাহী নৌকা, লঞ্চ, স্টিমার চলাচল করছে। নানাবিধ জলজ উদ্ভিদ ও ভাসমান প্লাঙ্কটন ভেসে যাচ্ছে স্রোতের টানে।সুরভি, নদী কী অদ্ভুত সুন্দর! প্রতিদিন দেখি। তবু আজ অন্যরকম সুন্দর লাগছে।লিটন, নদীর এখন ভরা যৌবন। যৌবনে সবাইকে অনিন্দ সুন্দর লাগে।কাছেই নরনারী গোসল করছে। বড়শি দিয়ে ছোট ছোট মাছ ধরছে কিছু লোক। উত্তর দিকে তাকালে চর সোনারামপুর ছাপিয়ে আশুগঞ্জের পাওয়ার হাউজ পিছনে ফেলে ... ...
বছরদুয়েক হল শ্রীমন্ত সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যারে ফ্ল্যাট কিনেছে৷ কার্পেট এরিয়া হাজার স্কোয়্যার ফিট, সুপার বিল্ট ধরলে আরও এক-দেড়শো স্কোয়্যার ফিট বেশি। অ্যাকাউন্টসের রূপাদির জামাইয়ের প্রোমোটিং। এমনিতে স্কোয়্যারফিটপিছু বারোশো ছিল, রূপাদির বদৌলতে খানিক কমসম হয়েছে৷ অবিশ্যি না হলেও শ্রীমন্ত নিতই। কারণ স্ত্রীর স্কুলের কাছাকাছি, মেয়েরও৷ শ্রীমন্তর আপিস ডালহৌসি, সে-ও খুব দূর নয়। সবচেয়ে বড় কথা, পুরনো পাড়ার পাশেই। ফলে শ্রীমন্তের যেটা নেশা, রাজনীতি— তাতে অসুবিধে হয় না৷ একই লোকাল কমিটিতে, শুধু ব্রাঞ্চ আলাদা৷ অসুবিধের কিছু নেই, কারণ শ্রীমন্ত এখনও আগের ব্রাঞ্চেই আছে৷ লিটারেচর-ইনচার্জ৷ এদের জন্যই মনে হয় জয়দেব বসু লিখেছিলেন, ‘পার্টি করার চেয়ে বড় আর কিছু বিশল্যকরণী নেই, এ আমি হলফ ... ...
সূর্য-চন্দ্র-দারিদ্র পাঁচু। ভালো নাম- পঞ্চানন পাল। জন্ম ১৯৮২ সালে। বাপ প্রফুল্ল পালও ছিলো তারই মতন চাষা। অত্যন্ত সুভদ্র, সদা হাস্যময় ব্যক্তি ছিলো সে। শুধু তাদের গ্রাম নয়, আশপাশের বহু গ্রামে তার পরিচিতি ছিলো।গোড়াতে অভাবেই দিন গুজরান করতো প্রফুল্ল পাল। পাঁচুর ঠাকুরদা, বংশী পাল ছিলো ভবঘুরে, ক্ষ্যাপাটে, মাতাল। বেসুরো-বেতালা একটা ডুগি বাজিয়ে গান গেয়ে ভিক্ষে করতো মন্দিরে মন্দিরে। স্ত্রী মণিবালা ঠিকে ঝিয়ের কাজ করে দুই ছেলেকে মানুষ করে। বড়ো ছেলে নির্মাল্য বাপের মতোই অকম্মা। অল্প বয়সেই গাঁজায় আসক্ত হয়ে পড়ে থাকতো যেখানে সেখানে, কাজেই ছোট ছেলে প্রফুল্লকেই সংসারের হাল ধরতে হয়। বংশী এমনিতেও বাঁচেনি বেশি দিন। প্রফুল্ল জমিতে জমিতে চাষাবাদ করে যা ... ...
"অভয়া” কান্ডের এক বছর হয়ে গেল। বিচার ব্যবস্থা জনপ্রিয় হিন্দি ছবির সংলাপের “তারিখ পে তারিখ” ই হয়ে যাচ্ছে। অভয়া তাঁর কর্মস্থলে নির্যাতিতা ও খুন হয়ে ছিলেন। অত্যন্ত জঘন্য ও ঘৃণ্য ব্যাপার। যদিও বর্তমানের বাঙালি মেয়েদের অবস্থা এর থেকে কি খুব আলাদা কিছু? আমি মূলত: শহুরে মধ্যবিত্ত শিক্ষিতা চাকরি – বাকরি করা মেয়েদের নিয়েই আলোচনা করব। “বিন্দু তে সিন্ধু দর্শন” বলে একটি বাংলা প্রবাদ আছে, সেই জন্য কোনও একজনের জীবন উন্মোচিত করলে সব মেয়েদেরই প্রকৃত আর্থ সামাজিক পরিস্থিতির আভাস পাওয়া যাবে। অনিচ্ছাকৃত মিলের জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন। বেশ কয়েকটি পর্ব লাগবে। ফুলকির শরীর ও মন কোনটাই ভালো নেই। যেন নিজেকে বয়ে নিয়ে ... ...
"চীনের বন শহর" উপাধিটি লিউঝো ফরেস্ট সিটিকে বোঝায় , যা চীনের গুয়াংজিতে অবস্থিত একটি পরিকল্পিত শহর। আর্কিটেক্ট স্টেফানো বোয়েরি এর ডিজাইন করেছেন। এই শহরটিকে একটি সম্পূর্ণ সবুজ নগর এলাকা হিসেবে পরিকল্পনা করা হয়েছে, যেখানে থাকবে মূলত গাছপালা। এবং ভবনগুলো গাছপালা দিয়ে ঢাকা থাকবে, যার লক্ষ্য দূষণ মোকাবেলা করা এবং জীবনযাত্রার পরিবেশ উন্নত করা। ধারণা: লিউঝো ফরেস্ট সিটি প্রকৃতিকে নগর ভূদৃশ্যের সাথে একীভূত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে ভবনগুলি গাছপালা দিয়ে ঢাকা। বৈশিষ্ট্য: এই শহরে ৪০,০০০ গাছ এবং ১০০ টিরও বেশি প্রজাতির প্রায় দশ লক্ষ গাছপালা থাকবে। পরিবেশগত সুবিধা: আশা করা হচ্ছে যে গাছপালা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং দূষণকারী ... ...
অভ্যেসের মধ্যেও কতরকমের বাজে অভ্যেস থাকে। ভাবনার মধ্যেও চুপচাপ শুয়ে থাকে কতরকমের রঙিন রঙিন মেঘেরা। এমনকী কথার মধ্যেও লুকিয়ে থাকে কতরকমের নিরীহ সম্ভাবনা! এক লাইন... দু'লাইন... তিন লাইন... এভাবেই কত কত লাইন লিখে রাখা যায়, লেখার ইচ্ছে হলেই। আমার বেড়ে ওঠার দিনগুলোকে ভুলতে পারি না। এখনও দেখতে পাই,— স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছি। মা ব'সে আছে, আমি না খেলে মা-ও খাবে না। সন্ধে হ'য়ে এল, আমি চুপচাপ ভাবছি– কেন আমার মনখারাপ হয়? কেন আমি পিছিয়ে আছি আরও অন্য সকলের চেয়ে? জবাব নেই। আকাশে তারা উঠছে, পাখিরা ঘরে ফিরছে, অথচ আমি ঘরে থেকেও ফিরতে পারছি না নিজের ঘরে... ... ...