শুউ – ন, শুন শুন সর্বজন শুন দিয়া মন,‘নমো’মঙ্গলের কথা করিনু বর্ণন। নয় এ গল্পগাথা।। নঅ – য় এ গল্পগাথা, সত্য কথাএই অধম আজ কবে,দেখে ‘রামের ফানুস’, বলে মানুষ, ‘নমো’-ই আবার হবে। দেশের প্রধানমন্ত্রী।। দেএ – শের প্রধানমন্ত্রী, বাদ্যযন্ত্রী বাজান রাষ্ট্রযন্ত্র,আর, বেকুব প্রজা শোনে, রাজাকহেন যে সব মন্ত্র।শোনে মুগ্ধ হয়ে।। শোও – নে মুগ্ধ হয়ে, ধৈর্য্য লয়েশতেক আশার বাণী,আর, ভাষণ শেষে ঘরে এসে গেলে দুই গ্লাস পানি।তাতে মন ভরে যায়।। তাআ – তে মন ভরে যায়, পেট কহে , হায় !এ কি বিষম জ্বালা,ওরে, নাই যে অশন, শুধুই ভাষণ, কান যে ঝালাপালা। আমার চলবে কিসে।। আআ – মার চলবে কিসে, বাক্য পিষে বেরোয় না ... ...
এই লেখাটা আমার জন্য খুব স্পেশাল।কারণ গত দুমাস ধরে আমি একটাও লেখা (কবিতা,গল্প) লিখতে পারিনি।এই জিনিসটা আমি খেয়াল করেছিলাম বেশ আগেই,তবে তেমন পরোয়া করিনি। গত একমাস ধরে চেষ্টা করছিলাম কিছু লেখার,কিন্তু দুএক লাইনের বেশি কিছুতেই এগোতে পারছিলাম না।তবে গত কয়েকদিনে খুব প্রাণপণ চেষ্টায় আজকে কয়েকটা লাইন মাথায় এল।তারপর আস্তে আস্তে লিখতে এটা দাঁড়াল।তবে এটা যে খুব ভালো লেখা হয়েছে তা নয়,তবে খরা কাটল ... ...
ধরে কৃষ্ণ মারে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ ধরে মারে। মারে রাম ধরে রাম, রাম রাম মারে ধরে।।
পড়ার টেবিল গোছানো হয়নি দিনকতক।সামনে দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম কীভাবে গোছানো যায়? কতোটা নতুন করে সাজিয়ে তোলা যায় বইপত্রগুলোকে? বাঁদিকের উঁচু করে রাখা বইখাতার স্তুপ যদি গুছিয়ে তুলি তবে কি দক্ষিণাচারী খাতার উপর থেকে সরে যাবে ধূলোর আস্তরণ? স্কুল অ্যাটলাস যদি ডানদিক থেকে একটু সরিয়ে রাখি, তাহলেই কি বিশ্বমানচিত্রের পাতা থেকে ধূলিকণা উড়ে গিয়ে সাতরঙা ইন্দ্রধনুর পথে পাড়ি জমাবে মহাকাশে? বাঁদিকের মোটা ইতিহাস বইটাতেও তো ধূলো জমতে বাধ্য কালের নিয়মে! তবে এই ডানদিক আর বাঁদিকের অনর্থক পরিশ্রম ছেড়েপুরো টেবিলটা নতুন করে সাজিয়ে তুলতে হয়!পুরোনো ছেঁড়া কাগজ, চুনের গুঁড়ো-মেশা ধূলো, ফিলোসফির গলিত পাতা সময়ের ঝাড়ন দিয়ে সব সরিয়ে নতুন করে পেতে দেবোটুকটুকে রাঙা টেবিলক্লথ।কিন্তু তারপর? নতুন করে বইগুলো সাজাবো কোনদিকে? ক্লান্ত ... ...
যঃ মূর্খঃ সর্বঘটেসু কাঁঠালিকলারূপেণ সংস্থিত।ত্যজস্তস্মৈ ত্যজস্তস্মৈ ত্যজস্তস্মৈ ত্যজ ত্যজহঃ।।যঃ ভণ্ডঃ সর্বমন্দিরেসু ভক্তরূপেণ সংস্থিত।ত্যজস্তস্মৈ ত্যজস্তস্মৈ ত্যজস্তস্মৈ ত্যজ ত্যজহঃ।।যঃ তঞ্চকঃ সর্বমঞ্চেসু জুমলারূপেণ সংস্থিত।ত্যজস্তস্মৈ ত্যজস্তস্মৈ ত্যজস্তস্মৈ ত্যজ ত্যজহঃ।।যঃ তস্করঃ সর্বসমক্ষেসু ফকিররূপেণ সংস্থিত। ত্যজস্তস্মৈ ত্যজস্তস্মৈ ত্যজস্তস্মৈ ত্যজ ত্যজহঃ।।যঃ কুটিলঃ সর্বধর্মেসু বিভেদরূপেণ সংস্থিত।ত্যজস্তস্মৈ ত্যজস্তস্মৈ ত্যজস্তস্মৈ ত্যজ ত্যজহঃ।।যঃ দানবঃ সর্বহৃদয়েসু ঘৃণারূপেণ সংস্থিত।ত্যজস্তস্মৈ ত্যজস্তস্মৈ ত্যজস্তস্মৈ ত্যজ ত্যজহঃ।। ইতি শ্রীফকিরঃ স্তোত্রম্ সম্পূর্ণম্ ... ...
রিঙ্কু তরফদার আত্মঘাতী হয়েছেন। তিনি ছিলেন একজন বিএলও। সমাজমাধ্যমে তাঁর সুইসাইড নোট ভাইরাল। খুব স্পষ্ট করে লিখেছেন, "আমার এই পরিণতির জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী"। সুইসাইড নোটটা আমি যাচাই করে দেখিনি, কিন্তু বিএলওরা যে অমানুষিক চাপে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এদিক-ওদিক তাকালেই দেখা যায়, তাঁদের আর্তনাদ. একমাসের জায়গায় সময়সীমা আরও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে অ্যাপ দেওয়া হয়েছে অর্ধেক সময় বন্ধ থাকে। মোবাইল দিয়ে হবে ডেটা-এনট্রি। এক কথায়, তাঁদের ঢাল-তরোয়াল ছাড়া নামিয়ে দেওয়া হয়েছে অ্যাম্ফিথিয়েটারে। ঢাল-তরোয়াল পরে আসবে, আগে তো যুদ্ধটা করে নিন, এই বলে।আর গোদি মিডিয়া প্রচুর-চিয়ারলিডার সহ মাইক ফুঁকে বলিউডি গান বাজাচ্ছে "লড় লড়"। যাঁরা লড়ছেন তাঁরাই শুধু জানেন, ঢাক পিটিয়ে বড়কত্তাদের অপদার্থতা ঢাকার জন্য স্রেফ বলির পাঁঠা ... ...
আজ হঠাৎ করে হ্যারি পটারের গপ্প বা সিনেমা নিয়ে বসতে ইচ্ছা করছে। ইচ্ছেটাই বড় ব্যাপার, আশার ব্যাপার, পাগলামীর ব্যাপার। কল্পনার জগৎ, বাস্তব থেকে বহুদূর। তবু মানুষের গল্প, আশা, হতাশা, মৃত্যূ আর ইচ্ছে। মুখের হাসি, সূর্যালোকিত পত্রসম্ভার, নদীর জল। "তিতাস একটি নদীর নাম" পড়তে বসে একটা কথা মনে হচ্ছিল, যে বেঁচে থাকে গল্প তাকে নিয়ে এগিয়ে যায়। থিমটা একই ... চরৈবেতি। যারা চলে গেল তাদের কথা কে মনে রাখে? আমার যখন পিএইচডির থার্ড ইয়ার আমাদের এক সিনিয়ার সুইসাইড করেছিলেন, ডিফেন্স কমপ্লিট করে, পোস্টডক পেয়ে, তারপর। খুব নিখুতভাবে সাজানো নিজের হোস্টেলের রুমে। তাঁর বাবা ছিলেন আর বোন, হয়ত তারা মনে রেখেছিলেন। তীব্র দহনের মত কিছুদিন, হয়ত তাদের মনে ... ...
তিন : ll Praying llThe world is too much now with us… Past and present.. Already spread darkness.. Already lost our power and lives… Little what we left is the nature surrounding us.. The wind is hollowing over the dry yellowish land.. Sounds like it is talking loudly… Seeking friendship? Or fighting? Freeze sometimes… The trees are out of leaves now .. rough dry branches.. Still the pine is standing straight with its evergreen appearance The sunlight of falling afternoon turns it bright... Still this is so much magnificent beauty.. Hoping the disappeared light will shine again.. Praying… Praying..... Illustrated by Saheli Bandyopadhyay, Copyright November , 2020, USA2020 সালে লেখা আমার একটি ইংলিশ কবিতা ... ...
শেষ হেমন্তের একটা আদুরে আবেশ আছে। মাঠে মাঠে ধান পেকে উঠেছে। মানুষজন ধান কেটে গাদা করে রাখতে ব্যস্ত এখন। একটু শুকিয়ে উঠলে ঝাড়াই করে বস্তায় ভরে ঘরে নিয়ে যাবে। পেরিয়ে যেতে পাকা ধানের সুঘ্রাণ ভেসে আসে। ক্ষুধার গন্ধ। গরম ভাতের আঘ্রাণ। গ্রাম গঞ্জের ঘরে ঘরে নবান্ন পালিত হবে।বাইরে কড়া মিঠে রোদ্দুর কিন্তু বাতাসে শিরশিরে ভাব। শ্রাবণের বৃষ্টি ধোয়া ঝকঝকে গাছের পাতায় ধুলোর সর পুরু হয়নি এখনো। পাতা ঝরার পালা আগত প্রায়। প্রকৃতিরানি মলিন রুক্ষ বাউল বৈরাগী রূপ ধরবে আর কিছুদিন গেলেই। আজকাল কি কার্তিক মাসে পূর্বপুরুষদের জন্যে আকাশ প্রদীপ দেয় কেউ! মফঃস্বলের মানুষ তবু জন্মাবধি কলকাতায় আসা যাওয়া। ছোট্ট থেকে জেঠুর সঙ্গে ... ...
আমি ছাপ্পান্ন ভোগে আছিছাব্বিশ জনে নাইসদর দরজা খোলা রেখে ঘুমোতে চলে যাই... শাঁখা ভেঙ্গে ঢাক পিটিয়েসিঁদুর পরাই ভাইবিশ্বকর্মা বাসর ঘরে ছিদ্র রাখে তাই ... রাশি রাশি বিষ-ফোড়কহচ্ছে আমদানি কেল্লা ফতে করবে বলে লক্ষ্য রাজধানী। বহুরূপী ফকির সেজে সুরক্ষা কপচাই জুমলা দিয়ে রাজধর্ম পালন করি ভাইচৌকিদারি - চাতুর্যেতে চলছে বেচাকেনা 'All IS WELL' হেঁকে নিশ্চিন্তে সেয়ানা!!
গোদি মিডিয়া আপনাকে যেটা কিছুতেই দেখাবেনা, সেটা হল মতুয়া এবং দলিতদের একাংশ নিঃশর্ত এবং দ্বৈত নাগরিকত্বের দাবী তুলেছেন এবং সেই দাবী ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। এই একই কথা আমি বহুবছর ধরে বলছি, কারণ, অনুপ্রবেশ নামক যে গল্পটা তৈরি করা হচ্ছে, সেটাই অলীক। বাংলা যখন ভাগ হয়, তখন অনুপ্রবেশ কথাটা কেউ শোনেনি, সীমান্তে চলাচলে কোনো বাধা ছিলনা। কারণ, স্বাধীনতা আর দেশভাগ ব্যাপারটাই ছিল উদ্বাস্তু তৈরির সযত্ননির্মিত কল। বাংলার বুকে একটা লাইন টেনেছিলেন একজন ইংরেজ, যিনি কী করছেন, সেটা নিয়ে তাঁর কোনো ধারণা ছিলনা। উঠোনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল লাইন, প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে হয়েছিল দাঙ্গা, স্থানচ্যুতি, মৃত্যু, হাহাকার। অনুপ্রবেশ কথাটাই হাস্যকর ছিল, কারণ, এই স্থানচ্যুতিটা পরিকল্পনামাফিক ঘটানোর জন্যই ... ...
■ প্রথম দিন: রাস্তার শুরু বাসটা যখন শহরের শেষ চেকপোস্ট পার করল, আমি বুঝতে পারলাম যে আমি এমন এক জায়গায় যাচ্ছি যেখান থেকে ফিরে আসার রাস্তাটা হয়তো এত সহজ হবে না। জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছিল ধুলোমাখা রাস্তা, দু'পাশে শুকনো গাছ আর মাঝে মাঝে ভাঙা দোকান। সহযাত্রীরা চুপচাপ বসে ছিল, যেন সবাই কোনো অলিখিত চুক্তি মেনে নিয়েছে—এখানে কথা বলা নিরাপদ নয়। আমার পাশের সিটে বসা লোকটির মুখে তিন দিনের দাড়ি, চোখে একটা অদ্ভুত শূন্যতা। সে একবারও আমার দিকে তাকায়নি। তার হাতে একটা প্লাস্টিকের ব্যাগ, ভেতরে কী আছে বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু সে ব্যাগটা এমনভাবে ধরে রেখেছে, যেন ওটাই তার একমাত্র সম্পদ। বাসের ড্রাইভার—একজন মধ্যবয়সী ... ...
( ৩০ ) ' চার্জটা কী স্ল্যাপ করা হবে? আমি তো শুধু হোমিসাইডাল কেস ডিল করছি... ', কুশলবাবু ফোন ছাড়ার আগে জিজ্ঞাসা করলেন। --- ' একটাই। নারকোটিক ট্রেডিং অ্যান্ড ট্র্যাফিকিং। মার্ডারটা আলাদা ইসু বলে আমার ধারণা। তবে এসব নিয়ে আমার ডিডাকশান আপনাদের ওপর আরবিট্রেট করাটা আমার পক্ষে ধৃষ্টতা হয়ে যাবে। সেটা করার এক্তিয়ার আমার নেই। আমি শুধু একটা ক্লু দিলাম... বলতে পারেন টিপ দিলাম। নাও ইটস ইয়োর প্রিরোগেটিভ টু অ্যাক্ট আপন। কিন্তু ডিসিশানটা তাড়াতাড়ি নিতে হবে। আদারওয়াইজ দা মিশন উইল ফিজল ... ...
ইডেনের পাঁচদিন : এক বাবা–মেয়ের শীতের সিরিজ অয়ন মুখোপাধ্যায় ১. দাওয়াতনামা কাল সকালের খবরের কাগজে প্রথম খবর ইডেনের মাঠে ভারতকে হারিয়ে দিল সাউথ আফ্রিকাকিন্তু আমার কাছে ওটা কোনো খবরই নয়।আমার খবর হলো—সামনের শীতকালে মেয়েকে নিয়ে যাব ইডেন গার্ডেন্সে। আমার কাছে ইডেন শুধু স্টেডিয়াম নয়—একটা দেশ, গোটা ভারতবর্ষ,তার রাজনীতি, তার সংস্কৃতি, আর ড়াইয়ের মানচিত্র। এই কথাটা বলতেইআমাদের বারান্দায় পাড়ার লোকেদের ... ...