সিবিআই মামলায় পাঁঠার জামিন মঞ্জুর হয়ে গেছে। শুধু আর একটি মামলার অপেক্ষা। সেটুকু মিটলেই মহাপ্রভু তাঁর জলহস্তীসুলভ চেহারা নিয়ে জেলের বাইরে আসবেন, অনুগামীরা ফুলমালা দিয়ে বরণ করে নেবে। জিন্দাবাদ ধ্বনি উঠবে; পাঁঠাদা মাইক হাতে বলবেন; "বিচারব্যবস্থার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে।" পিসি আর কুঘো বলবে, "তিনোতে কেউ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়, সবাই গঙ্গাজলের মতো পবিত্র!"
কারো কোনো শাস্তি হবেনা!
মাঝখান থেকে শুধু ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে গেলো!
কেউ কোনো দুর্নীতি করেনি, সব ভূতে করে দিয়েছে!
কেন্দ্র আর রাজ্যে কী চমৎকার সেটিং!
মাঝখানে শুধু গরীবদের সব গেলো!
সেই নিয়েই ফেসবুক থেকে কিছু তিক্ত আলোচনা।
খারাপ লাগলে দুঃখিত।
তবে ছাব্বিশ হাজার কর্মচ্যুত মানুষের কথা ভেবে একটু নাহয় ক্ষমাঘেন্না করে নেবেন।
--------------------------------------------------------------
অর্পিতা দিদি,শান্তিনিকেতনের বাংলো সব ঝাঁটফাট দিয়ে সাফসুতরো করে রেখো। খেলনাগুলো অনেকদিন দম দেওয়া হয়নি। একটু লুব্রিকেটিং অয়েল দিয়ে চালু করে দাও। তবে হ্যাঁ, আমি জানি ন্যাড়া নাকতলায় একবারই যায়। দিদি আর খাটের গলায় গান্ধীজীর পাসপোর্ট সাইজের ফোটো রাখবেনা। এবার থেকে রিস্ক না নিয়ে সোজা ক্যামাক স্ট্রীট পাঠাবেন।
উদয়ন সঙ্ঘের দাদার অনুগামীরা এতক্ষণে নির্ঘাত মালা টালা নিয়ে প্রস্তুত।
পার্থ দা এতদিন জেলের ভিতরে থেকে জানেন কিনা জানিনা, তার মহান চৌর্যবৃত্তির কল্যাণে বাংলার বুকে হাজার, হাজার যোগ্য শিক্ষক চাকরি খুইয়ে চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে। অনেকেই এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরলোকে পাড়ি দিয়েছেন। তবে,পার্থ দা নিশ্চয়ই হাল ছাড়েননি। আবারও বেহালা পূর্বে বেহায়ার মত দাঁড়িয়ে জিতে এসে মাল কামাইয়ের ধান্ধা শুরু করবেন। বয়স হয়েছে। এখন রেশিও টা বাড়িয়ে হয়ত ৮০-২০ করে নেবেন।
যাইহোক বিচার ব্যবস্থার উপর আমাদের অনুব্রত,জ্যোতিপ্রিয়, মদন,কুনাল, মানিক দের মতই পূর্ণ আস্থা আছে। আইন তো আগে থেকেই কালীঘাটের দিকে মুখ করে তার নিজের পথে চলছে। সে পথে চলতে মা-কালীর চরণে জোড়া পাঁঠা( ফুল ও বলেন অনেকে) বলি দিতে হয়।
সব মিলিয়ে আজ, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী তথা শিক্ষাদপ্তর এবং ভবিষ্যতে যারা এই লাইনে আসতে চাইছেন তাদের কাছে এক নতুন আশা উদ্দীপনার দিন। কয়েক দিনের হাজতবাস, উসকোখুসকো চুল,গালে খোঁচাখোঁচা পাকা দাড়ি, ব্যাস এটুকু কষ্টের পর সব বহাল তবিয়তে কাটবে। কার্যকালে ঠিকমত মাল কামালে আর চটিবন্দনা মন দিয়ে করলে, গরাদ থেকে বেরিয়ে পায়ের উপর পা তুলে পুরো ঠাটবাটের জীবন।
Happy after-prison life dear কুমড়োপটাশ!