ঘ্যামা ঘ্যামা বইয়ের বড় বড় ব্যাপার, যেমন গড়ন, তেমনই দাম। ওদিকে নজর না দিয়ে আমরা বানিয়েছি সস্তা কাগজের চটি বই, যা সুলভ ও পুষ্টিকর।
গুরুচণ্ডা৯ চলতে শুরু করল ২০০৪ সালে। প্রথম চটি বই বেরোলো ২০১০-এ। বিজ্ঞাপনের কারবার নেই। নিজেদের লেখা, ছবি, ভিডিও, হাতে গড়া রুটির মতো, সামিজ্যাটের সাইক্লোর মতো ছড়িয়ে রাখি ইতিউতি
জালে (ওয়েব আর কী)। যে খুশি খুঁটে খান। তাতে খুব যে মারকাটারি বিশ্ববিজয় হয়ে গেছে তা নয়। কিছু বইয়ের হাজারখানেক কপি এক বইমেলায় শেষ হয়, কিছু বইয়ের হয় না। প্রথম চটি বইগুলোর কারো কারো
চার-পাঁচটা সংস্করণ হয়েছে, কারো দুটো। ওয়েবে কতজন পড়েন, সঠিক ভাবে মাপা মুশকিল। গ্রুপে কিছু হাজার, সাইটে কিছু। কুড়ি কোটি বাঙালির কাছে এসবই খুব বেশি কিছু না। তবে এই ক’বছরে সস্তায় পুষ্টিকর
চটি বইয়ের ব্যাপারটা বিলক্ষণ বুঝেছি। বিজ্ঞাপনী নেটওয়ার্ক নয়, মডেল সুন্দরীদের মার্জারচলন নয়, ঠোঙা নয়, মোড়ক নয়, লেখা তেড়ে সাইক্লো করুন, সুযোগ পেলে একটু হেঁকে নিন, ব্যস। লেখায় দম থাকলে চুপচাপ
ছড়িয়ে যাবে। ইহাই চটির ম্যাজিক। ঐতিহ্যমণ্ডিত চটি সিরিজ জিন্দাবাদ। জ্জয়গ্গুরু।
কুমুদির রোমহর্ষক গল্পসমূহ - জয়ন্তী অধিকারী(৮) কুমুদির গল্প এক নারীর জীবনের টুকরো গল্পের সমাহার, যার সময়সীমা গত সত্তরের দশক থেকে এই নতুন শতক। সময়টা উথালপাতাল থেকে দ্রুত পটবদলের, রঙচটা সাদাকালো খবরের কাগজ থেকে ইন্টারনেট আর ঝকঝকে কেবল টিভিতে বদলে যাবার টাইমটেবিল। কিন্তু জীবন শুধু এই ছক মেনে চলেনা। গৃহযুদ্ধ, পটপরিবর্তন, রাজনীতির পাশাপাশি পায়ে-পায়ে চলতে থাকে আরও এক জীবন। তা অনেক ধীরলয় আর আটপৌরে। কিন্তু বদল সেখানেও আসে, এসেছে। মেয়েদের সেই আটপৌরে জীবন আর তার বদলে যাবার কাহিনী ধরা আছে এই টুকরো গল্পের রসময় ছোট্টো ঝুড়িটিতে।
এক গাঁয়ের ডাক্তারের গল্প - ড: অনিরুদ্ধ সেনগুপ্ত (৭) এই বই বস্তুত ঢাল-তরোয়ালহীন এক সৈনিকের সসম্মানে যুদ্ধে অবতীর্ণ হবার আখ্যান। বেহাল স্বাস্থ্যব্যবস্থার বহুচর্চিত ভাঙা নৌকোয় অবতীর্ণ হন এক তরুণ চিকিৎসক। কোনো এক প্রত্যন্ত গ্রামে। এ বই তাঁর হালহীন নৌকো চালিয়ে তীরে ভেড়ার নিজস্ব বর্ণনা।
সিজনস অফ বিট্রেয়াল - দময়ন্তী(৫) ইতিহাস শুধু বইয়ে লেখা থাকেনা, গণস্মৃতিতেও ধরা থাকে ইতিহাসের উল্টে আসা পাতা। দেশভাগ সংক্রান্ত এই বইটি তেমনই এক গণস্মৃতির আর্কাইভ। দেশভাগের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাগুলিকে লেখিকা তুলে এনেছেন পারিবারিক অ্যালবাম থেকে। এ একেবারেই কোনো কল্পকাহিনী নয়, বরং স্মৃতিতে থাকা দেশভাগের আখ্যান, যার সঙ্গে ওতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সেই বাস্তবতা, যাকে ইতিহাস বলা হয়ে থাকে। এই বইয়ের প্রতিটি অনুচ্ছেদে ফুটনোট হিসেবে তাই জুড়ে দেওয়া আছে এতাবৎকালের লিখিত ইতিহাস ও পারিবারিক স্মৃতির রেফারেন্স। ব্যক্তির স্মৃতি এখানে ইতিহাস হয়ে উঠেছে, আর ইতিহাস হয়ে উঠেছে গণস্মৃতির উপজীব্য। বাংলায় দেশভাগ নিয়ে লেখা এবং স্মৃতিকথন, কারোরই কোনো অভাব নেই। কিন্তু এ দুটিকে পরতে পরতে জুড়ে দিয়ে ইতিহাসের কঠিন বাস্তবতা আর টানটান মানবিক ফিকশনের অনন্য এক যুগলবন্দী গুরুচণ্ডা৯ থেকে প্রকাশিত এই বই।
প্রচ্ছদ - দেবরাজ গোস্বামী, নামাঙ্কন - চিরঞ্জিত সামন্ত
গোরা নকশাল - কল্লোল লাহিড়ি(৪) টানা ন্যারেটিভের মাধ্যমে সময়ের পট-পরিবর্তনকে বুনে চলা বেশ মুনশিয়ানার পরিচয়। কল্লোল সেটুকু পেরেছেন। তাঁর লেখাটির পাঠ খুব সুখকর অভিজ্ঞতা নয়। এক রম্য দুপুরের রোদে পিঠ ঠেকিয়ে এক নিঃশ্বাসে এই ছোট উপন্যাসটি পড়ে ফেলা সম্ভব নয়। ভাগ্যিস নয় ! ভাগ্যিস এখনো কিছু কিছু গল্প আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে, যাদের কুড়িয়ে আনতে গেলে কেটে যায় বেশ কিছু শ্রমবহুল রাত! এভাবেই কিছু কিছু আখ্যান তাদের কাঠিন্যের অন্তরালে দিনবদলের হাতিয়ার হিসেবে অক্ষরের রাইফেলটিকে উদ্যত করে বেঁচে থাকুক।
বস্টনে বংগে - বর্ন ফ্রি (৩) “গত বছর এই ডিসেম্বর মাসেই সুপ্রীম কোর্টের রায় আবার নতুন করে আমাকে ক্রিমিনাল করে দিয়েছিল। যবে থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই জেনে এসেছি এই ভারতে আমার বা আমাদের মত মানুষদের কোনো আইন্সন্মত জায়গা নেই। ঝোপের আড়ালে, পার্কের কোনায়, পাবলিক টয়লেটে অথবা ভিড় ট্রেনের কামরায় আমরা চাইলে থাকতে পারি কিন্তু তোমাদের নাটকে, গল্পে কবিতায় সিনেমার ডিসকোর্সে আমরা নেই। তোমাদের বেডরুমে আমরা সবসময় থেকেছি, কিন্তু তোমাদের ড্রয়িংরুমের আলোচনায় আমাদের ডাক পড়েনি। বরং বিভিন্ন সময়ে বন্ধুদের মুখে শুনেছি ‘ওইসব করতে হলে আমেরিকায় গিয়ে কর, ইন্ডিয়াতে করলে পুলিশে ধরবে’। তারা অনেক সময়েই কথাগুলো মজা করে বলেছে। আমি জানি, আমার যৌনপরিচয় না জেনেই বলেছে, কিন্তু কতটা ব্যথা দেওয়া সত্যি কথা বলে ফেলেছে সেটা তারা নিজেরাও বোঝেনি।” বস্টন থেকে কলকাতা, আমেরিকা থেকে ভারতে, এক ‘অন্যরকম’ যুবকের অন্যরকম রচনা। ধারাবাহিক হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল গুরুচন্ডা৯তে। কিছু পরিবর্তিত পরিমার্জত রূপে এবার বই হয়ে।
আদালত-মিডিয়া-সমাজ এবং ধনঞ্জয়ের ফাঁসি - দেবাশিস সেনগুপ্ত, প্রবাল চৌধুরী, পরমেশ গোস্বামী(২) বারো বছর আগে রাজ্যে সর্বশেষ ফাঁসির ঘটনাটি ঘটেছিল আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে। চোদ্দো বছর সলিটারি সেলে রাখার পর ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ধনঞ্জয় আগাগোড়া নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন। নাগরিক সমাজের একাংশও ধনঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যাসত্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। সেই সংশয় আরও গভীর হয়েছে দেবাশিস সেনগুপ্ত, প্রবাল চৌধুরী, পরমেশ গোস্বামীর দীর্ঘ অনুসন্ধানে। প্রশ্ন উঠেছে তদন্ত ও বিচার-প্রক্রিয়া নিয়েও। সেই অনুসন্ধানের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন গ্রন্থাকারে প্রকাশিত।
বৃহৎ ন্যানোপুরাণ - সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়(১) এখানে একটা কনফিউশন তৈরি হতে পারে, যে, ন্যানো প্রসঙ্গে বারবার ১৯৯৬ সালের কথা আসছে কেন। ন্যানো তো ২০০৬ সালের কারবার, বিশুদ্ধ নিউজ চ্যানেল সিদ্ধান্ত মতে যখন সিঙ্গুরের ইতিহাসের সূচনা হল। সিঙ্গুর বাজার থেকে মাইল দুই দূরে শুরু হল যুগান্তকারী টাটা কারখানার কাজ। টাই পরা কর্পোরেট জেন্টলমেনদেরকে ঝাঁটা ও জুতো নিয়ে তাড়া করল বিক্ষুব্ধ কৃষককুল। তৎপরবর্তী দুইবছরে কড়ক্কড় বাজ পড়িল, কুকুর-বিড়াল বৃষ্টি হইল, বঙ্গের ভাগ্যাকাশে লোডশেডিং হল, একযোগে শুরু হল শিল্পবিপ্লব এবং কৃষকবিদ্রোহ। কৃষি থেকে শিল্প হল, টিভিচ্যানেল ফুলে কলাগাছ হল, রাজায়-রাজায় জোরদার পাঞ্জা লড়াই শেষে ঘুড়ি উড়ল বাঙালিটোলায়, বেড়াবেড়ি-বাজেমেলিয়া-গোপালনগর-ছআনি-রতনপুর ইত্যাদি অশ্রুতপূর্ব বিচিত্র নামে ভরে গেল জগৎ চরাচর, চ্যানেলে চ্যানেলে দেখা গেল লাল-নীল ন্যানো গাড়ি আর বেচারাম মান্নার মুখ। কলকাত্তাইয়া আঁতেলদের মতে, এই হল সিঙ্গুরের ইতিহাসের সূচনাবিন্দু। বিগ ব্যাং। প্রথম আদি তব সৃষ্টি। ইহার পূর্বে ছিল অন্ধকার। মধ্যযুগ। অবাঙ্মনসগোচর ইতিহাসহীনতা। ব্ল্যাকহোল ও সিঙ্গুলারিটি। এইসব। এ হল লিমিটেড এডিশন ঠাকুরমার ঝুলি, বিশুদ্ধ ন্যানোপুরাণ, সিঙ্গুরবাসীদের জন্য লিখিত সিঙ্গুরবাসী বরদাচরণ রচিত সিঙ্গুরের ভূমিপুত্রের ইতিহাস, এ খাঁটি দিশি মাল টাগরায় জোর থাকলে তবেই খাওয়া যাবে। শারদীয়া প্রতিদিনে (২০১৬) প্রকাশিত উপন্যাস।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন