এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সীমান্তহত্যার সুলুক সন্ধান! ৩ 

    bikarna লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১০ জুলাই ২০২৫ | ১২ বার পঠিত
  • পর্ব ৩
    চোরাকারবারি - ১ 
     
    সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গ আসতেই যে প্রশ্নটা সবার আগে আসে তা হচ্ছে চোরাকারবার! এই জিনিস যেদিন থেকে দেশ ভাগ হয়েছে আর ভিসা পাসপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেদিন থেকেই শুরু হয়েছে। আর এই দুই দেশ এমনই দুই দেশ যে এখানে এই কারবার হয় দুই দিক থেকে। আশ্চর্য সব জিনিস পাচার হয় দুই পাশ থেকে। 

    চোরাকারবারি করে এমন একজনের সাথে একদিন বসলাম শুধু মাত্র জানার জন্য যে তরিকাটা কী? কাজ হয় কীভাবে? সে কী আনে এইটা আমি জানতাম। তাই সেই প্রশ্নে যাইনি। সেই প্রশ্ন করেছিলাম আরেকজনকে। আমি যে সীমান্তের কথা বলছি সেদিকে গোলাগুলির রেকর্ড নাই। একটু দূরে এই কিছুদিন আগে একজন মারা গেছে, যার খবর দেখি কোথাও আসল না! এমন বেখবর কত কেস আছে? 

    যাক, যার কথা বলছিলাম সেই প্রসঙ্গে আসি। ও আনত মোটরসাইকেল! এইটা বেশ কিছু বছর আগের গল্প। তখন সে এই কাজ করত। এখন করে না দেখেই আমি জিজ্ঞাস করেছি আর সেও গরগর করে বলে গেল অদ্ভুত গল্প। সীমান্তের ওই পাশে কেউ হয়ত মোটরসাইকেল চুরি করেছে, এইটা এখন পাচার হবে। যোগাযোগ রাখত নিজেদের মধ্যে। জানায় দিত যে একটা গাড়ি পাওয়া গেছে। বিশাল বড় সীমান্তের ফাঁক ফোকর এরা জানত। ওই পাস থেকে এমন একটা জায়গায় ওরা গাড়ি নিয়ে আসত। এদিক থেকে এরা কেউ যেত। তারা বিএসএফকে মেনেজ করে নিয়া আসত। সেখানেই টাকা হাত বদল হত। খুব অল্প দামে বিক্রি করে দিত কারণ যা পাওয়া যাবে তাই লাভ, এই জিনিস তো আর কিনে আনে নাই! এবার এর কাজ হচ্ছে দেশের মধ্যে নিয়ে আসা।  এদিকে এরা বিজিবি বা তখন বলত বিডিআরকে মেনেজ করত। বিডিআর ঠিকঠাক জানতও না যে কী আসছে যাচ্ছে! 

    মোটরসাইকেল নিয়ে সোজা চলে আসত। নাম্বার প্লেট ছাড়া তখন প্রচুর গাড়ি চলত দেশে। একটা কাগজে অ্যাপ্লাই ফর রেজিস্ট্রেশন লিখে নাম্বার প্লেটের জায়গায় লাগায় নিলেই হত। তখন এমন মোটরসাইকেল হরহামেশা দেখা যেত। রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করার পরে এই দৃশ্য পরিবর্তন হয়েছে। তারপরে? গাড়ি দেশের ভিতরে চলে আসার পরে সোজা গায়রেজে ঢুকে যেত। প্রতিটা পার্টস আলাদা করে ফেলত। ওইখানে যে একটা চোরাই গাড়ি আছে তা বুঝার কোন উপায় থাকত না। এরপরে পার্টস বিক্রি হত। কেউ ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল নিতে চাইলে মোটরসাইকেলও জোড়া লাগিয়ে দিয়ে দিত। 

    কোনদিন ভয় করে নাই? এর উত্তর যা শুনেছি তা হচ্ছে না, করত না। অ্যাডভেঞ্চার লাগত ওর কাছে। ওর সাহস ছিল বিডিআর গুলি করে না! যারা গুলি করে তাদের অংশ ভারতীয়রাই সামলাত। বিডিআরকে বুঝানোর জন্য ছোটখাটো জিনিস নিয়া আসত। সেই অনুযায়ী ঘুষ দেওয়া হত। আস্ত মোটরসাইকেল যে যাচ্ছে এইটা অনুমান করা একটু কঠিন ছিল। তবে সেই কঠিন বেশিদিন থাকেনি, যখন বুঝে গেছে তখন ব্যবসা বন্ধও হয়ে গেছে। 

    এবার আরেকজনের গল্প বলি। জিজ্ঞাস করলাম সব ওইপাশ থেকেই আসে, এদিক থেকে কী যায়? ও এক আশ্চর্য পণ্যের কথা বলল। কমন যেগুলা তা তো জানিই, আমি শুনে আশ্চর্য হয়েছিলাম যে এখান থেকে ফগ বডিস্প্রে যায়! ধমক দিয়ে বলেছিলাম, আরে ধুর, ফগ তো ইন্ডিয়ান জিনিস, ওইটা এই পাস থেকে যাবে কেন? ও হাসতে ছিল। আমি ওর হাসি দেখেই বুঝে ফেললাম কাহিনী কী! আমাদের মহান চকের মাল! চকে তৈরি হয় না এমন প্রসাধনী এই দুনিয়ায় সম্ভবত নাই। সেই দুই নাম্বার জিনিস দুই নাম্বার পথে ভারতে যাচ্ছে! চকের এই স্প্রেয়ের চাহিদা না কি খুব বেশি ভারতে, মানে দুই নাম্বার ব্যবসায়ীদের কাছে। 

    নানান জিনিস, সবচেয়ে বেশি আসে কী? এইটা আমার মাথায় ছিল না। সবচেয়ে বেশি আসে হচ্ছে মদ! যারা বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারনা রাখেন তারা জানেন যে বাংলাদেশে মদ অবৈধ পণ্য। ঢাকা বা বড় শহরে বার আছে কিছু, সেখানে বিক্রির নিয়ম আছে। অন্য কোথাও নাই। মফস্বল শহরে কিছু বাংলা মদের লাইসেন্স দেওয়া আছে। সেখান থেকে বাংলা বিক্রি হয়। এ ছাড়া আর কোথাও বৈধ ভাবে মদ পাওয়ার উপায় নাই। তো মদ খায় না বাংলাদেশীরা? খায়, পানির মত খায়! কই থেকে আসে? ভারত থেকে, অবৈধ পথে সীমান্ত দিয়ে। মদ তো আসেই, সেখানেও আবার কাহিনী আছে, ফগ স্প্রের মত ব্যাপার আছে। দুই নাম্বার মদ! দুই নাম্বারে শেষ অবস্থা। 

    বাংলাদেশের লোকজন আরেক অদ্ভুত জিনিস দিয়ে নেশা করে। কাশির সিরাপ!  এইটা নিয়ে প্রচুর লেখা হয়েছে। হুমায়ুন আহমেদ পর্যন্ত লিখেছে একটা প্রজন্ম কাশতে কাশতে কাশির সিরাপ খেয়ে খেয়ে ঝিমায় কাটিয়ে দিচ্ছে! এই জিনিস দেশে পাওয়া যায় না। মানে এক সময় তো পাওয়া যেতোই, যখন থেকে নেসার কাজে ব্যবহার হওয়া শুরু হয়েছে তখন থেকে একটু বেশি সিডাটিভ থাকা সিরাপ আর বাজারে পাওয়া যায় না। সবচেয়ে ভালো কী? ফেন্সিডিল। ফেন্সিডিল থেকে ডাল, ডাল থেকে ডাইল! এখন আর অত বড় নাম কেউ উচ্চারণ করে না। ডাইল হচ্ছে এখন এমন এক পানিয় যা খেয়ে ঝিমান যায়! আমাদের শহরে কে কে ডাইল খোর তা সবাই জানে। তারা ভালো, কারণ ডাইল খোরেরা মদখোরদের মত হল্লা করে না, উল্টাপাল্টা করে না, খায়, খেয়ে ঝিমায়! 

    এই ডাইল সীমান্ত পারি দেওয়ার জন্য সীমান্তেই ফ্যাক্টরি বসানো হয়েছে এমন খবর তো আমরা এক সময় পড়েছি। যে ফেন্সিডিলের দাম ভারতে হয়ত ২০০/২৫০ রুপি, সেই সিরাপ যখন ডাইল হয়ে যাচ্ছে তখন তার দাম কেউ অনুমান করতে পারেন? ১০০০? ২০০০? না। এর দাম এখন বর্তমানে গিয়ে ঠেকেছে ৪ থেকে ৫ হাজারে! ডাইলকে দামি নেশা বলা হয় এইদেশে। তো? এই জিনিস টিকেই আছে বাংলাদেশের নেশাখোরদের উপরে নির্ভর করে। কেউ জানে না? কোন ব্যবস্থা নাই। এক মাত্র ব্যবস্থা হচ্ছে বনিবানা না হলে গুলি মেরে দেওয়া! 

    এই সব খুচরা হিসেবে আসে না। আসে বাল্ক আকারে। মদ বলেন আর ডাইল বলেন, কোনটাই দুই এক পিস করে আসে না। আসে কেস হিসেবে। বিশাল পরিমাণে। যখন মাঝে মধ্যে ধরা হয় তখন দেখা যায় ৫ হাজার পিস, ২০ হাজার পিস বোতল ভাঙা হচ্ছে। 
     
    এখানে হিন্দু এলাকা বলে পরিচিত একটা এলাকা আছে। সেখানে খুব অল্প বয়স্ক একটা ছেলে পুরো মদের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে। কারো দরকার তার সাথে যোগাযোগ কর। কারো কাছে না থাকলেও ওর কাছে আছে। ও কীভাবে পায়? দেশে তো এই জিনিস তৈরি হয় না। সীমান্ত! দেদারছে আসছে এই মদ। তবে বয়স দেখে আমার ধারনা হয় যে ও সম্ভবত গুটি হিসেবে কাজ করছে, ওপরে কেউ আসল ছড়ি ঘুরাচ্ছে। এমন মফস্বল শহরে ফরেন মানে হচ্ছে ইন্ডিয়ান মদ, সেই ফরেনের জোগাড় এরাই করে যাচ্ছে। যেহেতু এদিকে গুলির ব্যবহার নাই বললেই চলে তাই নির্ঝঞ্ঝাট চলে এই কারবার। শুধু পুলিশ মাঝে মধ্যে বিরক্ত করে, এই যা। কিছুদিন আগে এক ছেলে ধরা পড়েছে, সে বাসে করে তিন চার কেস মদ কোন লুকাচুপা নাই, বাসে যেভাবে মানুষ মাল নিয়ে যায় সেভাবেই মদের কেস নিয়ে যাচ্ছিল। ধরা পরে সে কী অবস্থা। পুলিশ ধরে নিজেই তাজ্জব, এত সহজে মদ চলে যাচ্ছে দেশের আনাচেকানাচে! 

    নেশার পণ্য আরেকটা আছে যা যায় এইদিক থেকে। ইয়াবা! ইয়াবা শিল্পী মাসাল্লাহ আমরা বেশ ভালো করেছি। ইয়াবার জন্য ভারতীয়রা বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকে। প্রচুর, মানে প্রচুর প্রচুর পরিমাণ ইয়াবা এই দিক থেকে ওইদিকে যায়। শেষ যে ছেলের সাথে কথা বলেছিলাম সে এগুলার সাথে নাই। প্রসাধনীর কাজ করে। ও বলল যে নেশার ক্ষেত্রে টাকার চেয়ে বিনিময় প্রথা বেশি কাজ করে! এত পিস ইয়াবা বিনিময়ে এত পিস ডাইল বা হুইস্কি! ভালো না? 

    বাংলাদেশ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে গেলেই দেখা মিলে ভারতীয় পণ্য! চকলেট, আমুল জুস, মাজা, সাবান, বডিস্প্রে, শ্যাম্পু ইত্যাদি ইত্যাদি যাই বলেন, তা পাওয়া যায়। কোন একেক জায়গার নাম বলছি না,  দৈব চয়ন করে যে কোন এলাকা বেছে নিন, সমস্যা নাই, ফলাফল একই। কীভাবে আসে এখানে? এমনও এলাকা আছে যে এলাকায় ঘুরতে গেছেন আপনি, ফেরার পথে অন্তত বিশ কিলোমিটার দূরে বিজিবি বা পুলিশ আটকাবে, তল্লাশি নিবে! অদ্ভুত লাগে না? তবুও চলে এই কাজ, চলছে এখন পর্যন্ত।  

    চোরাচালান নিয়ে আরও বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে দেখেই এইটাকে আলাদা করে পর্ব করেছি। দেখা যাক কতদূর যেতে পারি এই প্রসঙ্গে। 
    দুনিয়ার আর সব সীমান্ত আর ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এক রকম না। এই বাস্তবটা অনেকেই বুঝে না। কিংবা ইচ্ছা করেই বুঝতে চায় না। কেন চায় না এ এক রহস্য। এই রহস্য ভেদ করবে কে? 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    পর্ব ৩
  • ব্লগ | ১০ জুলাই ২০২৫ | ১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন