এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বাংলার নতুন মসীহা শমীক ভট্টাচার্য 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৬২ বার পঠিত
  • শমীক ভট্টাচার্য নাকি এখন বাংলার নতুন নায়ক। চ্যানেলে চ্যানেলে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার। একটা সময় এরকম দিচ্ছিলেন ভগবান অভিজিৎ গাঙ্গুলি। তাঁর প্রথমে জজিয়তি গেল, এবার ভগবানের পোস্টও গেল, তাই এবার নতুন মুক্তিসূর্য। যেমন বাগ্মী, তেমন জেন্টলম্যান, যেমন বুদ্ধিজীবী তেমন পণ্ডিত। 

    তা, চ্যানেলরা তাদের কাজ করুক, আমাদের একটু দেখে নিতে হবে, শমীকবাবুর দৌড় কেমন। সভাপতি হবার পরেই তিনি একটা সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। সেখানে দেখলাম, অনেকক্ষণ ধরে তিনটে পয়েন্ট বললেন। এক এক করে দেখা যাক। 

    ১। শমীকবাবু বললেন, সুভাষ বসুর কথা। ১৯৩৯ সালে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হবার পরেও তাঁকে কমিটি গঠন করতে দেয়নি কংগ্রেস। বরং হটিয়ে দিয়েছে। কংগ্রেস প্রণম্য বিপ্লবীদের মিসগাইডেড প্যাট্রিয়ট বলেছে। কোনো কোনো জায়গায় সন্ত্রাসবাদীও  বলেছে। 

    কথাটা ভুল না। কংগ্রেস এইসব পাপকর্ম করেছে। কিন্তু তার সঙ্গে আরও যা যা করেছে, তার নাম আন্দোলন। আইন অমান্য করেছে, ভারত ছাড়ো করেছে। একজনও কংগ্রেস নেতা  সে সময় ছিলেন না, যিনি জেলে যাননি। কিন্তু কথা হল,  ওঁর দলের নেতারা কী করেছেন? একজন মহানেতা ইংরেজকে মুচলেকা দিয়েছেন। আরেকজন জেলে না গিয়ে তাড়াতাড়ি নেতা হতে হবে বলে মহাসভায় যোগ দিয়েছেন। বিপ্লবী বা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের তালিকায় কংগ্রেসী পাবেন, বামপন্থী পাবেন, কিন্তু একজনও হিন্দুত্ববাদী পাবেন না।  বরং ওঁরা সুভাষচন্দ্রকে দেশবিরোধী অ্যান্টিন্যাশানাল বলেছেন। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময়  হিন্দুদের বলেছেন, যুদ্ধে যোগ দাও, মুসলমান মারতে হবে, যেন স্বাধীনতা সংগ্রামটা হচ্ছিল মুঘলদের বিরুদ্ধে। তারপর পরক্ষণেই ফজলুল হকের সঙ্গে মন্ত্রীসভায় যোগ দিয়ে দিয়েছেন। পুরোটাই লেজুড়বৃত্তি, সাম্প্রদায়িক ধান্দাবাজি এবং ইংরেজের পা চাটা। 

    হ্যাঁ, কংগ্রেস অনেক ভুল করেছে, বামপন্থীরাও। কাজ করলে ঠিক ভুল হয়। যারা কিছু করেনা, তাদের ভুল হয়না। আর বিশ্বাসঘাতকদের তো কোনো ভুলই হয়না। হ্যাঁ, স্বাধীনতা সংগ্রামে ওঁদের ভূমিকাটা মূলত বিশ্বাসঘাতকের। 

    ২। দ্বিতীয় যে মারাত্মক কথাটা বললেন, সেটা হল, ভাষা নিয়ে রাজনীতি কখনও পশ্চিমবঙ্গে হয়নি। 

    এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর শুনিনি। বঙ্গভঙ্গের কথা বাদই দিলাম, সেটা অবিভক্ত বাংলায়, আর ভাষার জন্য আন্দোলনও না। কিন্তু বাংলা-বিহার সংযুক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনটা? ১৯৫৬ সালের? তার ব্যাপকতা নিয়ে ওঁর কোনো ধারণা আছে? 

    ২৩শে জানুয়ারি, ১৯৫৬, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিধান রায় এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কৃষ্ণ সিংহ, বাংলা বিহার  সংযুক্তির প্রস্তাবের পক্ষে  যৌথ বিবৃতি দিয়েছিলেন। সেটা বাস্তবায়িত হলে বাংলা পূর্ব-বিহারে পরিণত হত। পশ্চিমবঙ্গ ভারতের মানচিত্র থেকে মুছে যেত। সেটা বাঙালি করতে দেয়নি। শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র, বুদ্ধিজীবীরা, সবাই রাস্তায় নেমে পড়ে। অজস্র সভাসমিতি হতে থাকে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট সংযুক্তিকরণের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণ করে। বাংলাভাষী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিজ্ঞানী এবং তৎকালীন লোকসভা সদস্য মেঘনাদ সাহা স্বয়ং। শিল্পী এবং সাহিত্যিকরা করেন গণ কনভেনশন। দুলক্ষ ছাত্র ধর্মঘট করে। আর যেটা কৌতুহলোদ্দীপক, ২৪ তারিখ সংযুক্তির প্রস্তাব পেশ করার কথা ছিল বিধানসভায়। সেই দিনটা ঘোষণা করা হয় ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে হিসেবে। ডায়রেক্ট অ্যাকশন হিসেবে ওঁরা একটা জিনিসই বোঝেন। এটা ওঁদের জানার কথা না। 

    এরপর হয় নির্বাচন। কলকাতা উত্তর-পূর্ব কেন্দ্র। বিরোধী দলনেতা জ্যোতি বসু ঘোষণা করেন ভাষা পুনর্গঠন কমিটির সম্পাদক মোহিত মিত্রই হবেন নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী। এবং এই একটি নির্বাচনেই প্রতিফলিত হবে রাজ্য পুনর্গঠন নিয়ে মানুষের জনমত। নির্বাচনে জেতেন মোহিত মিত্র, যে কারণে পশ্চিমবঙ্গ পূর্বপ্রদেশ হয়ে যায়নি। সিপিআই না, এই নির্বাচনে জিতেছিল বাংলা। সংযুক্তিকরণ বাতিল হয়, কারণ গণরায়কে অস্বীকার করা বিধান রায়ের সরকারের পক্ষেও সম্ভব হয়নি।

    কংগ্রেসের এই পরাজয়ের কথা প্রচার করার কথা না। বামপন্থীরাও বলেন না। কারণ, এইসব ভাষা-টাষার অনেক ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন তাঁরা, এছাড়াও আন্দোলনের জায়গায় এখন কোর্টে দৌড়ন। আর হিন্দুত্ববাদীদের এসব জানার কথা না। ওঁরা পড়েন হোয়াটস্যাপ, তখন অস্তিত্বও ছিলনা, চাটেন গোবলয়ের পা, ফলে জানবেন কীকরে। 

    ৩। তিন নম্বর কথাটাই সবচেয়ে আনন্দদায়ক। বললেন, বিহার উত্তরপ্রদেশের মানুষকে হিন্দিভাষী বলে চিহ্নিত করে দেওয়া হচ্ছে। এটা বাঙ্লার সংস্কৃতি নয়। এছাড়াও বললেন, লোহার ব্যবসায়ী জয়সওয়াল গোপাল পাঁঠার জন্য সব লোহা দিয়ে দিয়েছিলেন, যাতে পাঁঠা তরোয়াল বানাতে পারেন। 

    এর চেয়ে হাস্যকর কথা কমই শুনেছি। হিন্দিভাষীদের হিন্দিভাষী বলা বাংলার সংস্কৃতি না? তবে কি তাদের প্রাণনাথ বলতে হবে? কিংবা ইউরি গ্যাগারিন। গোপাল পাঁঠাকে নিয়ে একটা আস্ত এপিসোড করেছি ইউটিউবে, দেখে নিতে পারেন, সে আর এখানে বললাম না। তবে জয়সওয়াল জাতীয় লোকেদের লোহা নিয়ে একটা বিখ্যাত বাংলা গল্প আছে। উনি বাংলা কদ্দূর পড়েছেন জানিনা। যদি পরশুরাম পড়ে থাকেন, তো জানবেন বিরিঞ্চিবাবা বলে একটি অতি বিখ্যাত গল্প আছে। শুধু হিন্দিভাষীকে হিন্দিভাষী নয়, পুরো স্টিরিওটাইপ তুলেই লেখা হয়েছে। গপ্পের একটা চরিত্র আছে, যার নাম নাম মেকিরাম আগরওয়ালা। সে লোহার ব্যবসা করে লাল। কীকরে? না, জালিয়াত সাধু বিরিঞ্চিবাবা "তিন দিনের জন্যে তাকে নাইণ্টিন ফোর্টিনে নিয়ে গেলেন, ঠিক লড়ায়ের আগে। মেকিরাম পাঁচ হাজার টন লোহার কড়ি কিনে ফেললে ছ টাকা হন্দর। তার পরেই তাকে এক মাস নাইণ্টিন নাইণ্টিনে রাখলেন। মেকিরাম বেচে দিলে একুশ টাকা দরে। তখন আবার তাকে হাল আমলে ফিরিয়ে আনলেন। মেকিরাম এখন পনর লাখ টাকার মালিক। না বিশ্বাস হয়, অঙ্ক ক’ষে দেখ।"

    এটা হুবহু তুলে দিলাম, কারণ, এই মেকিরামরা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। এই ভাবেই। এটা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কথা। মেকিরামরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কালোবাজারি করে মন্বন্তর ঘটিয়েছিল ব্রিটিশের সুগ্রীব দোসর হয়ে, সে আমাদের সকলেরই জানা আছে। 

    এবং গল্পের কথাই যখন এল, তখন পরশুরাম আর কী কী নিয়ে ইয়ার্কি করেছেন সেটাও বলে নেওয়া দরকার। শুধু বিরিঞ্চিবাবা নয়, রেডিওবাবা, মিরচাইবাবা সবাইকে নিয়েi ইয়ার্কি করেছেন। কার্তিক গণেশ টাইপের ভণ্ড সাধুদের মাথায় তুলে নাচা, মেকিরামদের মহিমান্বিত করা,  এই শমীকবাবুদের সংস্কৃতি হতে পারে, বাংলার নয়। এই জন্যই সুভাষচন্দ্র শ্যামাপ্রসাদকে বলেছিলেন মহাসভা করতে এলে দরকারে গায়ের জোরে আটকাব। ওইটাই বাংলার সংস্কৃতি। 

    এইগুলো কিছুই না জেনে শমীকবাবু বাংলায় রাজনীতি করতে এসেছেন। এর চেয়ে দিলীপ ঘোষ ভালো ছিলেন, গরুর দুধে সোনা পেতেন। শুভেন্দু ভালো, হাত নেড়ে নেড়ে কী যে বলেন, বোঝা খুব কঠিন। কিন্তু সংখ্যালঘুদের যে গাল দেন সেটা বোঝা যায়। আর উনি না ঘরকা না ঘাটকা, পণ্ডিত সাজতে গিয়ে ছড়িয়ে লাট করেন। সম্মেলনে তিনটে পয়েন্ট বলেছেন, তিনটেই এই। চ্যানেলে যতই মহিমান্বিত করা হোক, এই হচ্ছে বঙ্গের মুক্তিসূর্যের দৌড়। 

    এই পুরোটা আরেকটু বিশদে বলব ইউটিউবে, এত লেখা মুশকিল। ক্লিপিং টিপিং ও দিয়ে দেব। দুপুরেই উঠে যাবে, ইচ্ছে হলে দেখে নেবেন। আর আরেকটা বিষয়ও আছে। এঁকে এমনি এমনি আনা হয়নি। সেটা নিয়ে পরে লিখতে বা বলতে হবে। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন