এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বাংলাদেশ সমাচার! 

    bikarna লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৯ জুন ২০২৫ | ৩২৯ বার পঠিত
  • ক্ষমতার পালা বদল হল, শান্তিতে নোবেল পাওয়া একজন দেশের দায়িত্ব নিলেন। এই চেয়ে যোগ্য আর কে হতে পারে? তিনি প্রথমে বললেন ছাত্ররা তাকে বসিয়েছে, তিনি এই সবের কিছুই জানতেন না। বাংলার আপামর মানুষ তখন একটু শান্তির জন্য চাতক পাখির মত বসে আছে। তিনি এসে নিশ্চয়ই সব শক্ত হাতে ঠিক করে দিবেন। বিশাল সংখ্যক নিরপেক্ষ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে এই ভেবে যে এবার অন্তত রক্তপাত থামবে, দেশে আবার আইনের শাসন ফিরবে। আফসোস হচ্ছে এই মহান নেতা আজ পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলাকে শৃঙ্খলায় নিয়ে আসতে পারেন নাই। মধ্যে থেকে জন্ম দিয়েছেন এক দানবের যাকে নানান কৌশলে বন্দি করে রেখেছিল লীগ সরকার। অসভ্য জঙ্গি মৌলবাদ এখন বাস্তব সত্য দেশে। 

    নানা সময়েই এই সব নিয়ে অনেকেই লিখেছে। আমি ডক্টর সাহেবের সাম্প্রতিক ভণ্ডামির কথা একটু বলি। তিনি ব্রিটিশ রাজের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটা পুরস্কার পেয়েছেন, সেই পুরস্কার নিতে তিনি যাবেন ইংল্যান্ড। এই ছোট্ট সুন্দর একটা কাজকে তিনি ঘাপলা লাগায় দিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কিছু না বলা হলেও ডক্টর সাহেবের প্রেস সচিব এবং পরে তিনি নিজেও জানালেন এইটা রাষ্ট্রীয় সফর! এখন রাষ্ট্রীয় সফর বলতে আমরা কী বুঝি? যাই বুঝি তার কিছু দেখা গেল না এই সফরে। কেউ বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে আসল না, কোন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হল না, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী দেখাও দিল না! দেখা না পাওয়ার ব্যাখ্যা দেওয়া হল তিনি সম্ভবত দেশে নাই, কানাডায় গেছেন! না, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী দেশেই ছিলেন, তিনি দেখা দেন নাই। এইটা যে অসম্মানের, এইটাও এই দলের কারো মাথায় ঢুকে নাই, স্বয়ং ডক্টর সাহেবেরও না। তারা নানা জায়গায় সাক্ষাৎকার দিয়েছে এবং নানা আবোলতাবোল বলে বেড়িয়েছেন। 

    অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকি দেখা করতে চেয়েও দেখা পান নাই। এই কারণ হিসেবে ডক্টর সাহেব জানিয়েছেন টিউলিপের দেশে মামলা চলে, এমন মামলার আসামির সাথে তিনি দেখা করবেন না। এই সব বলে তিনি দেখা করলেন তারেক রহমানের সাথে! জগতের সবচেয়ে শুদ্ধতম ব্যাক্তি! তার নামে কোন অভিযোগ নাই, মামলা টামলা যাই থাকুক সেগুলা কোন ধর্তব্য না। এদিকে লন্ডনে তারেকের সাথে মিটিং করায় ডক্টর সাহেবের যারা মেরুদণ্ড বলে স্বীকৃত এখন সেই জামাত মন খারাপ করেছে! 

    এমন ভণ্ডামি একজন নেতা করতে পারেন, যিনি দেশ চালানোর দায়িত্ব নিয়ে বসেছেন? ডক্টর সাহেব পারেন। তিনি এই কয় মাসে নানান আকাম করেছেন। লন্ডনে এক ক্ষুদে সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিল ৩২ নাম্বার ভাঙা হল তার প্রশাসন কিছুই করল না কেন? জবাবে তিনি বলেছেন পুলিশ প্রশাসন তখন ভয়ে ভিত হয়ে ছিল, যার ফলে কেউ সাহস করে বাধা দিতে যায়নি। আরেকটা মিথ্যাচার না? ৩২ নাম্বার ভাঙা যখন হয়েছে তখন তেমন পরিস্থিতি ছিল না। প্রশাসন থেকে বুল্ডজার দেওয়া হয়েছে, আগাম ঘোষণা দেওয়ার পরেও সেনাবাহিনী দাঁড়িয়ে তামশা দেখেছে! 
     
    ডক্টর সাহেব আইন শৃঙ্খলা লাইনে না আনতে না পারলেও অবিশ্বাস্য ভাবে নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছে। এমন নির্লজ্জের মত আখের গুছিয়ে নেওয়া সম্ভবত ইতিহাসে আর একটা নজির নাই। এক নজরে সাদা চোখে আমরা যা দেখছি এই কয় মাসে তার একটা লিস্ট দিচ্ছি- 
     
    ১.  আগামী ২০২৯ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি পেয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক। এইটা আগেও পেয়েছিল, এবার নিজেই নিজেরটা করে নিয়েছে! 

    ২.  গ্রামীণ কল্যাণের বকেয়া ৬৬৬ কোটি টাকার কর আদেশ বাতিল করা হয়েছে। এর যুক্তি দিচ্ছে এইটা পুরোটাই ভুয়া! মামলা চলছিল। তো আদালতে নিষ্পত্তি না করে সরকারি আদেশে কেন বাতিল করল? এর জবাব এখনও ফারুকি লিখে দিতে পারেনি বলে জবাব পাওয়া যায় নাই! 
     
    ৩.ডিজিটাল ওয়ালেট “সমাধান” এর লাইসেন্স পেয়েছে গ্রামীণ টেলিকম। “নগদ” একক ছিল, অন্য বেশ কিছু টেলিকম কোম্পানি আবেদন করে রেখেছিল, কিন্তু তাদের সাথে কী আর নোবেল বিজয়ী শান্তির দূত আছে? 
     
    ৪.   বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন নতুন একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে। অনুমান করতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম কী? জি হ্যাঁ, গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়! 
     
    ৫.  গত ৯ মাসে জনশক্তি রপ্তানিতে বাংলাদেশে একটি মাত্র নতুন লাইসেন্স অনুমোদন পেয়েছে এবং সেই কোম্পানির নাম? গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিস! 
     
    ৬.  গ্রামীণ ব্যাংকে বাংলাদেশ সরকারের মালিকানা ২৫% থেকে কমিয়ে ১০% এ আনা হয়েছে। আরও তেড়িবেড়ি করবি কেউ আমার সাথে? 
     
    ৭.  গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক নূরজাহান বেগমকে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া, তিনি গ্রামীণ শক্তি এবং গ্রামীণ শিক্ষার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং গ্রামীণ ব্যাংক কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। 
     
    ৮.  ইউনুস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোর্শেদকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় নিয়োগ দিয়েছেন। 
     
    ৯. ডক্টর সাহেব অপুর্ব জাহাঙ্গীরকে উপ প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ দেন। অপূর্ব জাহাঙ্গীর কে? তিনি হচ্ছেন ডক্টর সাহেবের আপন ভাই মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের ছেলে, অর্থাৎ ডক্টর ইউনূসের ভাতিজা!  যিনি প্রেসের সাথে 
    কখনোই সংশ্লিষ্ট ছিলেন না।
     
    এখন বলুন, আপনারা শান্তির দূতের কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবেন? নিজের কাজ গুছিয়ে নিতে তিনি কোন রাখঢাক রাখেন নাই। একজন বিশ্ব বরেণ্য ব্যাক্তির ব্যাপারে এগুলা লিখতেই আমার লজ্জা লাগছে, কেমন জানি অস্বস্তি লাগছে আর তিনি দিব্যি এইসব করে নিলেন! 

    মহান জুলাই বিপ্লবের প্রচুর সঙ্গী সাথি এখন সরে গেছেন। কেউ আকার ইঙ্গিতে বলছেন এমন হবে জানলে সেই আন্দোলনে সাথে জড়িত হতেন না। আমি এই জিনিসটা মানতেই পারি না। যখন রক্তপাত শুরু হয়ে গেছে তখনের একটা যুক্তি বুঝা যায়। লাশের পর লাশ নেওয়া যাচ্ছিল না। ষড়যন্ত্রের দোষ দিয়ে লাভ নাই, ষড়যন্ত্র কাটায় উঠতে না পারাকেই ব্যর্থতা বলা হয়। আওয়ামীলীগ ব্যর্থ হয়েছে এই ক্ষেত্রে। কিন্তু আমি এই সময়টা আসার আগের মুহূর্তটাকে মনে করায় দিতে চাই। তখন কেউ থামতে বলে নাই। সবাই জোস নিয়ে উৎসাহ দিয়েছে। একজন বলে নাই, আদালতের রায়টা দেখো তোমরা, সরকার নিজেও আপিল করেছে! কেন বলে নাই? কারণ এক এদের বিচার বুদ্ধি বলতে কিছু নাই। আবেগে দৌড় দিছে যেমন বুঝছে তেমন। দুই ষড়যন্ত্রের অংশ তারা! এখানে কোন যদি কিন্তু নাই। এইটাই বাস্তব। হয় আপনি তার অংশ আর না হলে আপনার কথা বলাই উচিত হয় নাই, কারণ আপনি ঘাড়ের উপরে যে বস্তুটা নিয়ে ঘুরেন তার কোন ব্যবহার জীবনেও করেন নাই। হুট করেই আল্লার আরস কেঁপে উঠেছে বলে কান্নাকাটি করা শুরু করে দিলেন। যারা বিটিভি, মেট্রোরেলে আগুন দেওয়ার প্রতিবাদ করছিল তাদেরকে দোসর গালি দিলেন! এখণ কেমন লাগে যখন ছাত্ররা বলে যে আগুন না দিলে আন্দোলন জমত না! 
     
     
    এই যে মৌলবাদের চরম মাত্রায় উত্থান হল, এই জিনিস কেন ঘটে একটু বুদ্ধি থাকা একজন বুঝবে না? লীগ সরকার কোন এমন মধু ছিল না, কিন্তু আমরা তো জানতাম এ ছাড়া যা আছে তা হেমলক ছাড়া আর কিছুই না! এখন রাজাকার মুক্তি পায়, অবাক হয় এই আবাল গুলো! যত অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাবে রাষ্ট্র তত প্রমাণ হবে আওয়ামীলীগ যে বলত শেখ হাসিনার বিকল্প নাই তা দিনের আলোর মত সত্য। সিনেমা মব করে বন্ধ করে দিবেন, সেই সত্যই প্রতিষ্ঠা পাবে, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য ভাঙবেন? প্রমাণ হবে শেখ হাসিনার কঠোর হাতের বিকল্প এখন পর্যন্ত নাই, আসে নাই। এমন শত শত উদাহরণ এই সরকার, কুলাঙ্গার ছাত্ররা, বিখ্যাত বিরোধী দল বিএনপির বিখ্যাত নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত তৈরি করেছে, করে যাচ্ছে। 

    এই প্রজম নিয়ে আমার রাগ আছে? অবশ্যই আছে। আমি জানি জেনারেশন গ্যাপ একটা জিনিস আছে। সবাই ভাবে তার অনুজেরা সব অপদার্থ। আরিস্টেটলের সময়ও না কি আরিস্টেটল তার পরের প্রজন্ম নিয়ে হতাশ হয়ে ছিলেন! কিন্তু আমি রাগ করছি এই কারণে না যে এরা সব উচ্ছন্নে গেছে আর আমরা সব দুর্দান্ত ছিলাম। আমি জেন জির কাছ থেকে কত কী শিখছি তার কোন ইয়াত্তা নাই। কিন্তু আমি তবু জানি এরাই সর্বনাশ করেছে দেশের। না, জুলাই আন্দোলনের জন্য না। তার আগে থেকেই এরা ধ্বংসের পথে হেঁটে গেছে। এদেরকে বাঁচানোর কোন উপায় না করাটাও লীগ সরকারের ব্যর্থতা। এরা ইতিহাস বিমুখ হয়েছে, এরা অকারণ ভারত বিদ্বেষের যে ফাঁদ তাতে নিশ্চিন্তে পা দিয়েছে। এরা মৌলবাদের খপ্পরে পড়েছে গর্বের সাথে! এরা চোখের পাতা না কেঁপেই বলতে পারে মুক্তিযুদ্ধ একটা স্ক্যাম! এই প্রজন্মের ছেলেরাই টাকনুর উপরে প্যান্ট পরা শুরু করেছে ফ্যাশনের নামে! এই প্রজন্মের মেয়েরাই নানান স্টাইলের বোরকা পরা শুরু করেছে, বোরকার যে এত স্টাইল, ধরণ হতে পারে এই বিদ্যাও আমাদের প্রজন্মের কেউ জানত না।  এরা পয়লা বৈশাখ আসলে তার বিরোধিতার জন্য সর্বস্ব ঢেলে দিতে প্রস্তুত হয়ে যেত, এরা ধর্মের নামে অন্য ধর্মের মানুষকে নিয়ে যা ইচ্ছা তাই করা শুরু করেছিল। আমি এই প্রজন্মকে ভয় পাই। 

    আমাদের আশার কোন লক্ষণ আছে? না। এইটা হচ্ছে তিতা সত্য। নির্বাচিত সরকার এসে সব উদ্ধার করে ফেলবে? দেখি আম গাছে কাডল ধরে কি না! 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৯ জুন ২০২৫ | ৩২৯ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    কবিতা  - Suvankar Gain
    আরও পড়ুন
    লাল রঙ - Nirmalya Nag
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১৯ জুন ২০২৫ ০৮:৫৯732081
  • বড়ই অন্ধকার। 
    লিখুন আপনি। সীমান্তহত্যার উপরেও পরের পর্ব দেবেন প্লীজ। 
  • . | ১৯ জুন ২০২৫ ১০:২৮732082
  • পড়ে যাচ্ছি। বড্ড হতাশ লাগে।
  • PM | 122.187.***.*** | ১৯ জুন ২০২৫ ১১:১০732084
  • বিকর্ণ বাবু , আজকের এই বিপর্যয়ের জন্য হাসিনাও দায়ী। ওনার  অনেক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আজকের বিপর্যয়ের মুলে। 
     
    মাদ্রাসার ছাত্রদের সের দরে  বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকানোর পলিসি হাসিনাই করেছেন শাহবাগ আন্দোলনের পরে . মাদ্রাসা ছাত্ররা সবাই ৯৮/৯৯% নম্বর নিয়ে আসছিল। সাধারণ স্কুলের ছেলেমেয়েরা এঁটে উঠতে পারছিলো না।  ওরাই বিশবিদ্যালয় দখল করেছে ক বছরের মধ্যে। 
     
    জামাতের বিরুদ্ধে হেফাজত কে  হাসিনাই তোল্লাই দিয়েছিলেন রাজনৈতিক ভাবে ।  কিন্তু দরকারের সময় দুদল মিলে গেছে। 
    নানা রকম লীগ তৈরী করতে গিয়ে দল কে বাড়াতে গিয়ে হাসিনা বহু কট্টর জামাতি /হেফাজতিদের নির্বিচারে দল এ নিয়েছেন। তারাই আওয়ামী লীগ কে পরিকল্পিত ভাবে শেষ করেছে ---মানুষের থেকে দূরে নিয়ে গেছে।   জুলাই আগস্ট "বিপ্লবে"  এরাই  সামনের সারিতে ছিল। হাসনাত সার্জিস সবাই আওয়ামী লীগ এর মধ্যেই লুকিয়ে ছিল।   মুজিবের নামে তুমুল বাড়াবাড়ি করত --তারাই  মুজিবের মূর্তি ভেঙেছে সময় এলে। 
     
    ভারত কে সাইজ করতে হাসিনা চীন কে স্ট্র্যাটেজিক লিভার  হিসেবে ব্যবহার করেছেন যেটা ব্যাকফায়ার করেছে . ভুলবেন না হাসিনা চীন সফর থেকে আসার  পরেই এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল ব্যাপক ভাবে। 
     
    জুলাই আগস্ট এ আমি ঢাকায়  ছিলাম। উত্তরা তে।  ২/৩ তারিখে জমজম টাওয়ার এর সামনের রাস্তাতে ২২ জন নিহত হয় সেটা আমার এপার্টমেন্ট  এর সামনে।  পুলিশকে গাছে টাঙ্গিয়ে  দেওয়া হয়েছে আমার বাড়ি  থেকে অল্প দূরে। ৩ তলায়  বারান্দায় আসা ডাক্তার দম্পতির মেয়েকে মাথায় গুলি করা হয়েছে পাশের গলি তে। যে স্কেল এ প্ল্যান আর এক্সেকিউশান  হয়েছে তা বহুদিনের পরিকল্পনার ফল।  ভারত তার কিছুই জানত না এটা আমার মনে হয় না।  ভারত নিষ্ক্রিয় ছিল যদি না পরোক্ষ সমর্থন থাকে। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:7d42:a354:7995:***:*** | ২২ জুন ২০২৫ ০৫:০৫732123
  • 'এরা মৌলবাদের খপ্পরে পড়েছে গর্বের সাথে! '
    - ২০১৩-য় শাহবাগ আন্দোলনে তখনকার ছাত্ররা ছিল, তারা গর্বের সাথে মৌলবাদ বিরোধিতা করত। পরের ১২ বছরে, নতুন প্রজন্মের ছাত্ররা মৌলবাদী - আশ্চর্য লাগে, কিন্তু এটাই ঘটছে 
  • D M | 103.217.***.*** | ২৫ জুন ২০২৫ ১৩:০৫732176
  • @PM "ভারত তার কিছুই জানত না এটা আমার মনে হয় না । ভারত নিষ্ক্রিয় ছিল যদি না পরোক্ষ সমর্থন থাকে" - এসব কী বলছেন ? ভারত সমর্থন করবে কিসের জন্য, ভারত বিদ্বেষী পাকিস্তানপ্রেমী মৌলবাদী ফ্যাকশনকে ক্ষমতায় আনার জন্য? অদ্ভুত তো ! আর নিষ্ক্রিয় না থেকে উপায় কী ? যদি জেনেও থাকে হাসিনা সরকারকে বড় জোর ইনফর্ম করতে পারে, তার বেশী কী করবে ? তার বেশী কিছু করতে যাওয়া মানে তো সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করা ! একদিকে ভারতবিদ্বেষীরা বলে হাসিনা সরকার ভারতের পুতুল ছিল ও সেইদিক দিয়ে ভারত বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করত ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করত, অন্য দিকে আপনারা বলেন যে উঁহু, হাসিনাকে ফেলার পেছনে ভারতের পরোক্ষ সমর্থন থাকতে পারে । কোনটা সত্যি তবে ? কী রকম বোকা বোকা শুনতে লাগছে বুঝতে পারছেন??
  • Kuntala | ২৫ জুন ২০২৫ ১৯:২৭732180
  • খুব খারাপ লাগছে, আপনার দেশের জন্য 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন