এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বাংলাদেশ সমাচার! - ৭ 

    bikarna লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ আগস্ট ২০২৫ | ১৩ বার পঠিত
  • ৩০/০০৬/২৫ 
     
    এখন অনেকেই সেনাবাহিনীর কার্যকলাপ দেখে অবাক। আমি অবাক হই নাই। সেনা বাহিনীর কার্যকলাপ দেখে এখন কেন অবাক হতে হবে? গত বছরই কি বুঝা যায় নাই? আর্মি নামা মানে দেশ ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া। এইটাই ছিল চিরায়ত নিয়ম। আর্মি নামার পরেও যখন ঠাণ্ডা হল না তখনই বুঝা গেছিল যে কোথাও কোন সমস্যা আছে, কোথাও কোন একটা যন্ত্রাংশ ঠিকঠাক কাজ করছে না। তখন সেনা প্রধানই যে সমস্যা তা ধরতে না পারলেও এখন অনেক কিছুই পরিষ্কার। আর এর আসল দায় আসলে আওয়ামীলীগ নিজেরই। 

    কেন? কারণ এই সেনা প্রধানকে সেনা প্রধান আওয়ামীলীগ নিজেই বানিয়েছে। তার যে যোগ্যতার জন্য তিনি সেনা প্রধান হয়েছেন তা হচ্ছে তিনি নির্বিষ সাপ। কোন চেতভেত নাই তার। শেখ পরিবারে বিয়ে করেছেন এইটা হচ্ছে তার বাড়তি যোগ্যতা। তো এই হচ্ছে সেনা প্রধান। তার কাছ থেকে আমিও প্রথম প্রথম নানা কিছু আশা করেছিলাম। মনে হয়েছে আরে একজন সেনা প্রধান কি এমন হতে দিবে? নিশ্চয়ই কিছু একটা করবে। তার সে সুযোগও ছিল। কিন্তু তিনি তো সেই জিনিস না, এইটাই আমি সহ অনেকেই ভুলে গেছিলেন। এখন যখন দেখি গোপালগঞ্জে সরাসরি গুলি করে মানুষ মারছে তার সেনা বাহিনী তখন মনে হয় চোখের সামনে থেকে পর্দা পুরোটা সরে গেল। 

    আচ্ছা, লীগ না হয় কোন বিপদ আপাদ ডেকে আনবে না ভেবে তাকে সেনা প্রধান বানিয়েছিল। কিন্তু সেনা বাহিনীই বা কেমন যে এমন একটা লোক শীর্ষ পর্যন্ত এসে গেল? এতে কী আমাদের সেনা বাহিনীর অযোগ্যতা প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে না? অন্য আলাপ বাদ, এমন একজনকে সেনা প্রধান বানানোর জন্য আসলে লীগের বিচার হওয়া উচিত। খুঁজে দেখা উচিত এমন একজনকে সেনা প্রধান বানানোর জন্য কোন অনিয়ম করেছে কি না। হয়ত কাওকে টপকে প্রমোশন দেওয়া হয়েছে, হয়ত এই পর্যন্ত টেনে নিয়ে আসা হয়েছে, কে জানে! 

    এখন না হয় দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। এই লোক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কী করবে? তিনি কি যোগ্য ক্রান্তিকালীন সময়ে নেতৃত্ব দেওয়ার? তিনি প্রথম সুযোগেই জামাতের কোলে উঠে বসে থাকবে না? হুট করেই একটা যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়ে গেলে আমরা কি এমন একজন সেনা প্রধানের ওপরে নির্ভর করতে পারব? সেই যোগ্যতা কি তিনি দেখাতে পেরেছেন? একটুও না। হয় গোপালগঞ্জে তার চেইন অফ কমান্ড বলতে কিছু ছিল না না হয় তিনিই দায়ী ৫ জন তরতাজা প্রাণ হারানোর জন্য। দুইটার জন্যই তিনি ও তার অযোগ্যতা দায়ী। 

    সেনা বাহিনীর এখন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে এনসিপিকে রক্ষা করা। তারা নানা জায়গায় গিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলবে, পাবলিক রিয়েক্ট করবে, দৌড়ানই খেয়ে সেনা বাহিনীর গাড়িতে উঠে পালাবে! কক্সবাজারেও একই কাজ হয়েছে দেখে এইটা বললাম। চকোরিয়ায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন সম্পর্কে বাজে কথা বলার পরে বিএনপির লোকজন তাদেরকে দিছে দৌড়ানই। সেনা বাহিনীতে এবারও রক্ষা। 

    গোপালগঞ্জ প্রসঙ্গে ফিরি।  বলা হচ্ছে লীগের লোকজন এনসিপির সভায় হামলা করেছে। আমরা ভিডিও দেখলাম এক নেতা ইচ্ছামত পুলিশ কে গালি দিচ্ছে, কেন? পুলিশ সামাল দিতে পারে নাই। বুঝলাম। কিন্তু বুঝলাম না কত বড় আক্রমণ করেছে তাদের ওপরে যে আর্মির গুলি করতে হল? কয়জন আহত হয়েছে সেই হামলায়? কেউ হাসপাতালে ভর্তি? কেউ দৌড় দিয়ে পড়ে ব্যথা পেয়েছে? হাঁটু ছিলে গেছে কারো? মানে হামলা হয়ে গেল, আর্মি এসে গুলি চালায় দিল, নিশ্চয়ই তেমন কোন আক্রমণই হয়েছে? কী সেটা? কেউ নাই আহত? কেউ না? গুলি মারছিল ওরা? বল্লম? রামদা? এই পক্ষের কারো কোন ক্ষতিই হল না ওদিকে পাঁচটা প্রাণ নাই? তাও রাগ কমছে না, গোপালগঞ্জকে জেলা ভেঙে দিতে বলছে, চারটা উপজলাকে আশেপাশের জেলায় ভাগ করে দিতে বলছে এরা! কেউ দাবি করছে গোপালগঞ্জের বিদ্যুৎ, গ্যাস বন্ধ করে দিতে! 

    কিন্তু কেন? আক্রমণ কত ভয়ংকর রকমের হয়েছিল? আমরা এইটা দেখতে পাই একটা লাইভ ভিডিওতে। সেখানে মাদারীপুরের সমন্বয়ক গাড়ি করে গোপালগঞ্জ থেকে পালাচ্ছিলেন। তিনি সেনা বাহিনী কেন গুলি করছে না এইটা নিয়ে তখনই ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। এর মধ্যে একটা ঢিল এসে গাড়িতে লাগে, গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়! আয় হায়! সর্বনাশ না? শেষ হয়ে গেল? সেনা বাহিনী কোন কাজের না, সেনা বাহিনী তাদের সাথে বেইমানি করেছে, গুলি করে না কেন? গুলি কর গুলি কর বলে চিৎকার করতে থাকে! একটু পরেই সে সেই ঢিল কে ককটেল বলে চালায় দিতে থাকে। সবাই কে ফোন করে বলতে থাকে তারা আহত হয়েছে! আমি আর কিছু পাই নাই। কেউ আরও আহত বা তেমন কিছু পেলে জানায়েন আমাকে।  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে! এই তিনজনকে? কী অবস্থা তাদের তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায় নাই। যদি মারণাস্ত্রই থাকবে গোপালগঞ্জবাসীর তাহলে মাত্র তিনজন আহত? এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ার কথা না? সেই অস্ত্র উদ্ধার করতে পারছে? যে পাঁচজন মারা গেছে তাদের সুরতহালের খবর কী? আহতদের কী অবস্থা? নীরব দেশের মিডিয়া, নীরব সমগ্র জাতি! 

    দেশজুড়ে পদযাত্রা, যা গোপালগঞ্জে গিয়ে মার্চ ফর গোপালগঞ্জ হয়ে গেছিল সেই পদযাত্রা আমার শহরেও এসে হাজির হয়েছিল কয়েকদিন আগে। লীগের আমলে লীগের জায়গায় বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার মুরাল দিয়া বানানো একটা স্থায়ী একটা মঞ্চ আছে শহরের প্রাণকেন্দ্রে। সেখানেই সব ঢেকে দিয়ে মঞ্চ করা হয় এদের জন্য। আগের দিন থেকে নিরাপত্তা চাদরে ঘিরে ফেলা হয় পুরো এলাকা। আমাদের একজনের বাহির থেকে অতিথি আসবে, হোটেলে রুম বুক করতে গেছিল, তাকে জানায় দেওয়া হয়েছে কোন রুম এই দুইদিন দেওয়া যাবে না! নিরাপত্তা সমস্যা, প্রশাসন থেকে জানায় দেওয়া হয়েছে! 

    মজা হয়েছে অন্য জায়গায়, আমাদেরকে শহরের প্রায় সকলেই চিনে। রাজনীতির বাহিরে যে জগত সেখানে আমাদের পরিচিতি বেশ ভালো। আমাদের বলতে আমাদের বন্ধু বান্ধবের গ্রুপটা। আমরা খেলাধুলা করছি, এক সময় আমাদের এই গ্রুপের সবাই ঢাকায় ছিলাম। এখন জীবনের প্রয়োজনে আমারা আবার আমাদের শহরে। তো দিনদুনিয়া দেখে আসা লোক আমরা এইটাও সবাই জানে। আগে কেউ কখন আমাদেরকে কুক্ষিগত করতে চায় নাই। যেহেতু এনসিপির পরিচিত লোকজন দরকার তাই এবার আমাদের কাছে প্রস্তাব আসল, এনসিপিতে যোগ দিন ভাই! বিনিময়ে কী লাগবে জানাবেন! কী লাগবে? কী দিবে তোমরা? আমার অতি সরল প্রশ্ন! বলল যোগ্য হলে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন! অন্যদের জন্য জেলা কমিটির বিভিন্ন পদ! 

    আমরা একে সরাসরি না করি কীভাবে? যে অবস্থা দেশের, না করলেও বিপদ এসে হাজির হতে পারে না। কিন্তু আমরাই বা করব কী? শেষে এনসিপি? আমি এই সব পরিস্থিতিতে মাথা ঠিক রাখতে পারি না। তাই সোজা হেঁটে চলে আসছি। আমাদের মধ্যে যে অতি চাল্লু ও বলছে, ওকে যাইতে দে, আমাদের সাথেই কথা ক। বলে ও তাদেরকে বলছে ৫০ কোটি টাকা দিলে আমরা সবাই যোগ দিব এনসিপিতে! পরে বুঝছে যে এরা আসলে কেউ যোগ দেওয়ার লোক না, আর ঘাটায় নাই আমাদেরকে। আমাকে এরপরে আরেকদিন ধরল, মানে দেখা হয়ে যাওয়ায় জিজ্ঞাস করল কী কাহিনী? আমার চাওয়া কী? আমি বললাম, তাকেই বললাম যে তুই কী মনে করে এদের সাথে আছিস তা আগে আমাকে বুঝা। বললাম, ফ্রিডম পার্টির নাম শুনেছিস? খুব শক্তিশালী দল ছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা সবাই এই দলে ছিল। আজকে ওরা কই? এনসিপির অবস্থা ফ্রিডম পার্টির মত হবে! বললাম, কী দুর্দান্ত সুযোগ ছিল এই ছেলেদের সামনে। অথচ এরা তা নষ্ট করেছে কিংবা এইটাই তাদের  পরিকল্পনা ছিল আগাগোড়াই। সাধারণ মানুষ আবেগে রাস্তায় নেমে এদের কাজ করে দিয়ে আবার যার যার ঘরে ফিরে গেছে। আর এরা যেহেতু তৈরি হয়েই ছিল তাই দেশের সর্বনাশের চূড়ান্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। বললাম, সমস্ত দ্বিধা কেটে গেছে যেদিন এই ফাজিল গুলোর প্রত্যক্ষ উৎসাহে, প্রত্যক্ষ মদতে ৩২ নাম্বার ভাঙা হয়। এরপরে আমার রাস্তা আলাদা আর এদের রাস্তা আলাদা। কোনদিনই এক হবে না আর। 

    এনসিপির এক নেতা, কেন্দ্রীয় নেতা, আমাদের পরিচিত বড় ভাই, তিনি সারজিস আলমের পিছনে ঘুরেন। তিনিই মূলত ঢাকা থেকে এসে আমাদের খুঁজে বের করে যোগ দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করতেছিলেন। সারজিস আলম তার নেতা এইটা সরাসরিই বললেন। কত বড় নেতা একেজন! বাপরে! ভাই, সহমত ভাই কালচার এখনও বহাল তবিয়তেই আছে! 

    অন্ধকারের এক বছর!   
    ০৫/০৭/২৫ 

    পশু পাখি প্রবৃত্তি দ্বারা পরিচালিত হয়। বোধ বুদ্ধি নাই, শুধুই প্রবৃত্তি। গত বছর ৫ আগস্টে সমগ্র বাংলাদেশ পশু হয়ে উঠল। প্রবৃত্তি ছাড়া আর কিছুই নাই মাথায়। জঘন্য মানসিকতায় ঝাঁপিয়ে পড়ল একে অপরের ওপরে। ছিঁড়েখুঁড়ে নিতে চাইল। লাশ, জীবন সব সস্তা হয়ে গেল। ধাও ধাও করে আগুন জ্বলছে নানা জায়গায়। যুদ্ধ বিধ্বস্ত এক দেশের চেহারা নিয়ে নিয়েছিল মুহূর্তের মধ্যে। মানুষের ভিতর থেকে আদিম প্রবৃত্তি বের হয়ে আসতে থাকল। দুর্বলের ওপরে ঝাপ দিল, সর্বস্ব লুটে নিতে দ্বিধা করল না কেউ। সরকার পতন, সরকার প্রধানের পালিয়ে যাওয়া এই সবই এক দিকে অন্যদিকে হচ্ছে আমরা জাতি হিসেবে কতখানি অসভ্য তার প্রমাণ। একদিনের জন্য, কয়েকটা মুহূর্তের জন্য দেশ থেকে আইন শৃঙ্খলা উঠে গেলে আমি ঝাঁপিয়ে পড়ব আরেকজনের ওপরে? লুট করে নিব টাকা পয়সা? চাকু চালিয়ে দিব? হিন্দু শুধু মাত্র এই কারণে চাঁদা দাবি করব? সভ্য আর আমরা যেন দুই মেরুর বাসিন্দা! 

    শুধু যে প্রথম কয়েকদিন তা না, আমরা দেখলাম দিনের পর দিন চলল এই দৃশ্য। আফসোস হচ্ছে এখন পর্যন্তও একই দশা! এখন, এই দুইদিন আগে শুধু মাত্র হিন্দু এই কারণে চাঁদা চাওয়া হয়েছে এখানে। না দেওয়ায় মামলা তো আছেই, জুলাই আগস্টে মামলা দেওয়ার জায়গার অভাব? এখন দৌড়ের ওপরে। বেচারা বিএনপির এক নেতার কাছে গেছিল, যে কি না দুর্ভাগ্যক্রমে তারই ক্লাসমেট! নিজের বন্ধুকে বলছে তুই থাকতে আমাকে চাঁদা দিতে হবে? সেই নেতার বক্তব্য ছিল কম বেশি দিয়ে মিটায় ফেল! তিনি মিটায় নাই। ফলাফল দুই ভাই মিলে এখন ঘর ছাড়া, মামলা আসল গুলোর খবর না থাকলেও এই সবের বেলায় খুব তৎপর প্রশাসন। 
    এখন ,এই দুইদিন আগে হিন্দু পাড়ায় মব করা হয়েছে শুধুমাত্র সন্দেহের বশে। এমন ভাবে করা হয়েছে যে পুরো পাড়া স্তব্দ হয়ে গেছে। চুপচাপ হয়ে বশে আছে! এবং এই কাজ করাও হয়েছে এই কারণেই। জমির দাম কমা শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। সামনে বাড়িঘর, জমি সহ অল্প টাকায় পাওয়া যাবে। এখনও যদি কেউ কিনতে চায় তাহলে একটু চোখকান খোলা রাখতে হবে, আর কিছু না। 

    আমরা সুযোগ পাওয়া মাত্র পশু হয়ে গেলাম। প্রতিবেশীকে, আপনকে বন্ধুকে সব ভুলে গেলাম। আমরা আমাদের বাড়ির উঠানে প্রায়ই দুপুরের খাবার খাই। বাহিরে খোলা জায়গায় খাওয়ার সুবিধা হল আলাদা করে কোন বোন প্লেট লাগে না। মাছের কাটা, মরিচ, এলাচ কংবা যা কিছুই উচ্ছিট তা সহজেই একদিকে ছুঁড়ে ফেললেই হয়। মুরগি, বিড়াল কুকুর ঘুরাঘুরি করতেই থাকে। ফেলা মাত্র পরিষ্কার! আমার কাছে দৃষ্টিকটু লাগত যখন মুরগি খেয়ে তার উচ্ছিট ফেলে দিতাম। না বুঝে, শুধুমাত্র প্রবৃত্তির বসে মুরগি দৌড়ে এসে ঠোকর দিত হাড়ের গায়ে লেগে থাকা মাংসে! দেখেই মনে হত ক্যানিবাল দেখছি! ৫ আগস্টের পরে আমার মনে হয় শুধু এই কথা। আমরা ক্যানিবাল হয়ে গেলাম। কোন পার্থক্য নাই। হাড়গোড় ছুঁড়ে দিচ্ছে কেউ, ঝাঁপিয়ে পড়ছে সবাই। খাবারের সন্ধান পাইলেই হল, বেহুশের মত হামলে পড়তে থাকলাম। 

    এক বছরের হিসাব নিয়ে বসব? আমার তো অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ে না। একটু আলোর দিশা? বিচক্ষণতার কোন লক্ষণ? একটা কাজ যা মনে রাখার মত? ১/১১ সরকারের নানা সমালোচনা করে অনেকে। কিন্তু তবুও সব ভুল ভ্রান্তিকে সরিয়ে রেখে বলার মত অনেক কিছুই ছিল সেই সরকারের। ছবি যুক্ত আইডি কার্ড করা হয় এই সময়। যা এখন পর্যন্ত আমরা বহন করে চলছি। আইন শৃঙ্খলা ছিল আজীবন মনে রাখার মত। সমস্ত সন্ত্রাসী, চোর বাটপার ছিল দৌড়ের উপরে। শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি কেউ। অথচ শান্তির দূত ক্ষমতায় বসেই মুক্তি দিল শাস্তিপ্রাপ্ত জঙ্গি, সন্ত্রাসীদের। দেশ হয়ে উঠল সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য। ইনুসপন্থিরা অবশ্য এই দায় তাকে দিতে চায় না। নানা কাজের জন্য নানা জনের ওপরে দায় দিয়ে কাজ শেষ করে। আর সব দোষ দেওয়ার জন্য লীগ তো আছেই। লীগের ষড়যন্ত্র! দেশকে অস্থির করার পায়তারা! হয়েই গেল, আর কি লাগে? 

    নিয়ম করে মব হয় এখন দেশে। রংপুরে এক হিন্দু গ্রাম জ্বালায় দিছে এই মহান মব বাহিনী। মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাচ্ছে অন্য কোথাও এমন খবর পত্রিকায় আসছে। আমরা বানী পেলাম এই ব্যাপারে, এগুলার সাথে সম্প্রাদায়িক সংঘাতের কোন সম্পর্ক নাই। জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব! 

    কোন দূরে রংপুর, খোদ রাজধানীতে দিনে দুপরে জনকণ্ঠ পত্রিকা দখল করে নিলো মব করে! একটা পত্রিকা কীভাবে কেউ দখল করে নেয়? কিন্তু ইনুস রাজ্যে সব সম্ভব! কেউ চাইলে একটু সাহস করে পদক্ষেপ নিলেই হয়। তাহলেই এখন যা ইচ্ছা তাই করা সম্ভব। কেউ কচুও কিছু করতে আসবে না। একটা পত্রিকা দখল করে মালিক পক্ষকে বাহির করে দেওয়া হয়েছে, সম্পাদককে বের করে দিয়েছে, এখন পর্যন্ত, যখন রাষ্ট্র ঘটা করে ৩৬ জুলাই পালন করছে তখন পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ, বিবৃতি কিছু দেওয়া হয় নাই। যেন এমন কিছু ঘটেই নাই এই দেশে। 

    এই দেশে এখন এমন কিছু ঘটাটা এতই স্বাভাবিক যে মানুষেরও তেমন একটা মাথা ব্যথা নাই। সরকার নিজেও আইন কানুন নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত না। জোর করে ১৮ জন বিচারককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে দিল। কারণ? তারা গত সরকারের আমলে স্বাধীনভাবে কাজ করেনি, সরকারের কথায় কাজ করেছে। এখন দেখুন অবস্থাটা। ইনুস সরকার নিজেও একই কাজ করছে, জোর করে অবসরে পাঠাচ্ছে অথচ আশা করছে আগের আমলে কেন স্বাধীন ভাবে কাজ করে নাই তারা! আরে তুমিও তো তাই করছ, সরকার যদি এই চাপই দিবে তাহলে কে স্বাধীন ভাবে কাজ করবে? যারা এখনও চাকরিতে আছে তারা এখন কতটা স্বাধীন ভাবে কাজ করবে? তাদের কলম চলবে এখন? কখন চাকরি যায় এই ভয় থাকবে না সব সময়? সরকারের বিরুদ্ধে যায় এমন কিছু করার সাহস পাওয়া সম্ভব? 

    আইন উপদেষ্টা বড় বড় কথা বলে প্রধান বিচারপতিকে গেরেফতার করিয়েছে যাত্রাবাড়ীর এক ছাত্র হত্যা মামলায়! মুখে বলছে এই লোক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে নষ্ট করেছে দেখে ধরা হয়েছে অথচ মামলা দিছে হত্যা মামলা! এই যে মিথ্যা মামলার ঐতিহ্য, এ থেকে মুক্তি দিতে পারল? না। গর্ব করে হত্যা মামলায় ধরাকে জায়েজ করে এরাই। 

    আরেক উপদেষ্টা হচ্ছে ফারুকি! একটা লোক কোন মাপের ইতর হলে ফারুকি হয় এইটা নিয়া গবেষণা হওয়া উচিত। যে লোক সরকার পতনের পরেও লিখেছে সরকার গঠন হলে সরকারের সবার আগের কাজ হবে ৩২ নাম্বারে যাওয়া, এইটাকে ঠিকঠাক করা। সেই লোক যখন উপদেষ্টা হয়ে বসল তারপরে ৩২ নাম্বারকে গুড়িয়ে দেওয়া হল, তিনি নিশ্চুপ! তিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় একের পর এক ভাস্কর্য ভাঙা হল, তিনি মুখে কুলুপ এঁটে বশে রইলেন। মুখ খুললেন সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠীতে গিয়ে! সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠী হচ্ছে খুব পরিচিত শিবিরের একটা সংস্কৃতির দল! এখন তার শিবিরের অনুষ্ঠানে যেতেও সমস্যা নাই। ইনক্লুসিভ সরকারের উপদেষ্টা না? 

    যে ছাত্ররা নেতৃত্ব দিয়ে এত বড় একটা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলল তারা করল কী? দাবায় রাখতে পারবা বলে শুরু করে এখন উঠতে বসতে মুজিববাদকে কবর দিতে চায়! শেখ মুজিব আবার কোন চ্যাটের বাল! কত রক্ত, কত ঘাম, কত শ্রমের বিনিময়ে ৭২ সালের সংবিধান হয় আমাদের। সব তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে ছুঁড়ে ফেলে দিতে চাইল তারা। 
    সংবিধান খসড়া কমিটির প্রধান কামাল হোসেন এখনও জীবিত। অথচ বলা হচ্ছে, এই ছাত্ররাই বলছে এইটা ভারত থেকে আনা সংবিধান! সংবিধান নাকি ভারতকে পাশ করিয়ে আনা হয়েছিল! কামাল হোসেন এইটা জেনে মরে যায় নাই কেন এইটাই বুঝলাম না! জুলাই সনদ নামে যে জিনিস ঘটা করে পাঠ করা হল তার খসড়ায় নাকি ২৬ মার্চকে বাতিল করার কথা ছিল, সত্য মিথ্যা জানি না। এমন একটা কথা পড়েছিলাম। এদের দ্বারা এইটা অসম্ভব না দেখেই মনের মধ্যে রেখে দিয়েছি, এদের দ্বারা সম্ভব সব কিছুই। 

    অথচ গত বছরের কথা ভাবুন। আন্দোলন চলাকালে ছাত্ররা দুই দল লীগ বিএনপি, সবাইকে গালি দিচ্ছিল। ৫ আগস্ট পরবর্তীতে অনেকের মনে হয়েছিল তৃতীয় একটা শক্তি আসলে খারাপ হয় না। যদিও এইটা নিয়ে আমার কোন দ্বিধা ছিল না যে তৃতীয় কোন শক্তি বলে কিছু নাই, এ টিম আছে বি টিম আছে, কিন্তু তবুও অনেকেই আশা করেছিল যে তৃতীয় একটা দল হলে খারাপ হয় না। যখন মুখোস খোলা শুরু হল তখন দেখা গেল তৃতীয় শক্তি যার উত্থান হয়েছে সে পারলে পাকিস্তানের কোলে গিয়ে বসে, প্রধান সমন্বয়কদের একজন হাসনাত জামাতের মঞ্চে কান্নাকাটি করা শুরু করল কীভাবে, কত অন্যায় ভাবে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে জামাত নেতাদের। সারজিস আলম জামাতের মঞ্চে গিয়ে নিয়মিত বসে থাকে। আমরা বুঝে গেলাম এ থেকে উত্তরণের উপায় নাই আর। 

    জনগণ কি এই সবের ম্যান্ডেট দিয়েছিল ৫ আগস্ট? বলেছিল তোমরা সংবিধান বদলে দেও? বলেছিল দল গঠন কর? বলেছিল মুজিবের বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দেও? তার কবরে ঝাঁপিয়ে পড়তে রউনা হও গোপালগঞ্জ? বলেছিল সমস্ত জঙ্গিদের ছেড়ে দেও? বলেছিল তোমরা ঝাঁপিয়ে পর হিন্দুদের বাড়ির উপরে? অথচ কথায় কথায় জুলাই আন্দোলন তাদেরকে সব কিছু করার ম্যান্ডেট দিয়েছে এমন কথা শোনায় এই নেতারা। এরা একটু লাইনে থাকলেই আমাদের মত লাখো মানুষকে কাছে পেত অনায়সেই। মুক্তিযুদ্ধ শুধু লীগের সম্পত্তি না, বঙ্গবন্ধু লীগের একার না। এইটাই তো মূল মন্ত্র ছিল। এক বাম নেতাকে এমন কথা বলতে দেখলাম গত দশ পনেরো বছর ধরে। অথচ তিনি এখন এই কথা বলেন না! তিনিও এদের সুরেই মুজিব আবার ক্যাডা বলেন! ভণ্ডামি রন্ধ্রে রন্ধ্রে এদের। 

    তৃতীয় কোন পক্ষ নাই দেশে, একটা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আর আরেকটা হচ্ছে এর বিরোধী শক্তি। এইটাই হচ্ছে শেষ কথা। ব্যক্তিগত ভাবে আমার পথ সেদিনই ঠিক হয়ে গেছে যেদিন অশ্লীল গান বাজনা করে, উদ্দাম নৃত্যের সাথে ১৫ আগস্ট পালন করেছে এই পিশাচেরা। আমার পথ যে এদিকে যাওয়ার না তা পরিষ্কার হয়েছে যেদিন ৩২ নাম্বার গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ৭৫ সাল নিয়ে যেমন অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিল শেখ মুজিব ধরলাম খুব অন্যায় করেছে, খুব জালিম ছিল, তাকে মেরে ফেললেন, এইটা না হয় বুঝলাম। কিন্তু কোন যুক্তিতে পুরো পরিবারকে মেরে শেষ করা হল? ছোট্ট রাসেলকে হত্যা করা হল? এখানে এসেই সব হিসাম উল্টে যায়। বুঝা যায় শুধুমাত্র মুজিবকে হত্যা করা তাদের লক্ষ্য ছিল না। মুজিবের উপরে তীব্র ঘৃণা ছাড়া এইটা সম্ভব ছিল না। এই ঘৃণা তাদের দেশপ্রেম থেকে আসে নাই। আসছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। এই দেশটাকে ধূলিসাৎ করে দেওয়াই উদ্দেশ্য। এবারও একই রকম। শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে, খুব খারাপ মহিলা, ৮০ বিলিয়নের জিডিপিকে এই খারাপ মহিলা ৪৫০ বিলিয়ন ডলারের জিডিপিতে নিয়ে গেছিল, খুব খারাপ এই মহিলাকে তাড়ানো হল, বুঝলাম, এর সাথে মুক্তিযুদ্ধের কী সম্পর্ক? মুক্তিযুদ্ধের উপরে এত রাগ কেন? কেন মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ভাঙবে কেউ? কেন স্বাধীনতা জাদুঘরে ভাংচুর হয়? কেন ৩২ নাম্বার ভাঙা হল? এইসবের উত্তর নাই। 

    কিংবা আছে, আমরাই এত ভিতু যে উচ্চারণ করতে ভয় পাই। ভয় পাই এমন একটা শক্তিকে যাদেরকে ভয় পায় না এমন কেউ সম্ভবত পৃথিবীতে আর কেউ নাই। ইসলামি মৌলবাদ এখন আমাদের ঘরের দুয়ারে। আক্ষরিক অর্থেই দুয়ারে। আমি আমার বোনের বাসার সামনে দাঁড়ানো, রিকশা খুঁজছি বাড়িতে ফিরব। একটা মিছিল আসতেছে দেখলাম, মিছিলে স্লোগান দিচ্ছে গণতন্ত্র কবর দাও, ইসলামি শাসন কায়েম কর! বেশি মানুষ না, শতেক হবে। একজন আমার হাতে একটা লিফলেট ধরিয়ে দিয়ে গেল! আমি পড়লাম সেই জিনিস। সরকার পরিবর্তনে আমার প্রাপ্তি হচ্ছে এই - ইসলামি শাসনের লিফলেট!  দারুণ না? 
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ আগস্ট ২০২৫ | ১৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন