দেশে এখন আলোচিত ঘটনা বেশ কয়েকটা। এক নাম্বার তারেক রহমানের ফিরে আসা। দুই নাম্বার হচ্ছে হাদি হত্যার বিচার চেয়ে শাহবাগ দখল করে বসেছে ইনকিলাব মঞ্চ। আর সবার চোখের মনি শিশু কিশোরদের প্রাণের দল এনসিপির জামাতের জোটে অংশ নেওয়া! সব গুলাই এত দারুণ বিষয় যে মনে হয় বাধাই করে রাখি মুহূর্তটাকে। এগুলার বাহিরে আরেকটা ঘটনাও ঘটছে, কেরানীগঞ্জে এক মাদ্রাসা বিস্ফোরণে উড়ে গেছে। খবরে প্রকাশ বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণ ঘটে। দারুণ না?
অবশেষে তারেক রহমান দেশে ফিরলেন। এবং প্রত্যাশিত সাড়া পাওয়া গেল মানুষের ভিতরে। এইটা আগে আসলেও হত। এইটা লীগের আমলে আসলেও হত। জেলে দিত? দিলেও প্রচণ্ড চাপে থাকত সরকার। সব কিছু যত সহজে করতে পেরেছে তা করতে পারত না। কিন্তু রাজপুত্র ঝুঁকি নিতে রাজি ছিলেন না। লীগের পতনের পরেও তিনি আসতে সাহস পান নাই। শোনা যাচ্ছে ভারতের সাথে যোগাযোগ করেই তিনি আসছেন। কিন্তু আমি এই তত্ত্বে বিশ্বাস করি না। কারণ আমার মনে হয় না ভারত তারেক রহমানকে এত সহজে বিশ্বাস করবে। আর এখন দেশে ভারতীয় প্রভাব কতখানি আছে ওইটা নিয়েও সন্দেহ আছে আমার। যাই হোক, তিনি আসলেন।
বিমানবন্দরে নেমে মাটিতে খালি পায়ে হাঁটলেন, মাটি ছুঁয়ে দেখলেন। বিশাল জন সমুদ্র তাকে লীগের ক্রাউন প্রজেক্টের একটা তিনশ ফিট এক্সপ্রেস ওয়েতে তাকে বক্তব্য দিতে দেখল। তারেক রহমান ভবিষ্যতের নানা কথা বললেন, তার পরিকল্পনা আছে বললেন। হাদির কথা বললেন। অথচ সম সাময়িক সময়ে নৃশংসভাবে খুন হওয়া দিপুর কথা ভুলে গেলেন। তারেক রহমান সাথে করে তার স্ত্রী আর কন্যাকে নিয়ে আসছেন। আর আসছে তার বিলাই জেবু! এই বিড়াল একাই হাদিকে নিয়ে যে আলাপ সালাপ হচ্ছে তা খেয়ে দিছে। তারেক রহমানের কথা তো বলা বাহুল্যই। হুট করেই মনে হচ্ছে জামাত এতদিন যতদূর এগিয়েছিল তা এক ঝটকায় নাই হয়ে গেছে। জামাতকে এখন আর বিশাল কিছু মনে হচ্ছে না। অতি ক্ষুদ্র কিছু একটা কিছু মনে হচ্ছে। বিএনপি এক লাফে অনেকখানি এগিয়ে গেল, কোন সন্দেহ নাই তাতে।
কিন্তু প্রশ্ন তো কিছু থেকেই যায় এরপরেও। আচ্ছা তারেক রহমান ফিরল দেখে এত আয়োজন, গেছিল যেন কেন? লীগ নির্বাসন দিছিল? না। ওয়ান ইলিভেন সরকার তাকে বিদেশ পাঠায়, তারেক রহমান জীবনে আর রাজনীতি করবে না এমন একটা মুচলেকা দিয়ে দেশ ছাড়েন। তখনকার ভিডিও ক্লিপ গুলোতে দেখা যায় আর্মির চরম পিটুনি খেয়ে কাতরাতে কাতরাতে দেশ ছাড়ছেন তিনি। আমি শতভাগ নিশয়তা দিয়ে বলতে পারি তখনকার সাধারণ জনগণ তেমন আপত্তিও করে নাই এই কাণ্ডে। ২০০১ সালের বিএনপি জামাত সরকার এমই মধুর ছিল যে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছিল। সেই শাসনের মূল কারিগর ছিল তারেক। করে নাই এমন কিছু ছিল না তখন। ২১ আগস্ট তো আছেই সাথে আছে ৬৪ জেলায় বোমা হামলার মত ঘটনা। আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিকে নষ্ট করার মত কাজ। আছে নিজের বন্ধু গিয়াস আল মামুনের সাথে মিলে সরকারের নানা কাজের পারসেন্টেজ খাওয়ার কাজ। তার নামই ১০% হয়ে গেছিল তখন। বিদ্যুৎ দেওয়ার মুরদ ছিল না দেশ জুড়ে খাম্বার পুতে রেখেছিল তারেক। খাম্বা বানানো সহজ, বিদ্যুৎ বানানো সহজ না। তাই খাম্বা দিয়েই পকেটে টাকা তুলেছিল। ডান্ডি ডাইং নামের কোম্পানি দিয়ে পুলিশের পোশাক বদল করে সেখান থেকেও কোটি কোটি টাকা কামাই করে নিয়েছে। সিএনজি চালিত অটো রিকশা আমদানি করেছে তারা, ৬০ হাজারের জিনিস তিন লাখ করে বিক্রি করছে এই মহান নেতা। এমন শত শত কাণ্ড করে মানুষের মনে বীতশ্রদ্ধ হয়ে গেছিল মানুষ। তাই সেই সময় তারেকের মার খাওয়া চেহারা, দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া জনমানুষের মনে বিন্দুমাত্র রেখাপাত করে নাই। আমার মনে আছে খালেদা জিয়ার কান্নারত ভিডিওর, সেখানে তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলতেছিলেন তারেককে চলে দিতে দেওয়া হোক, ও আর রাজনীতি করবে না! ওইটা দেখে খারাপ লাগছিল যে একজন মা এত ক্ষমতাধারী ছিলেন কিছুদিন আগেই তিনিই এখন পুত্রের জন্য সব ছেড়ে মানুষের কাছে আবদার করছেন যেন তাকে দেশ ছাড়তে দেওয়া হয়! এগুলা এমন কোন অতীতের ঘটনা না যে আমরা ভুলে যাব। সব মনে আছে।
সব পত্রিকা নিউজ চ্যানেলেও আছে। আজকে মবের শিকার হয়ে যে প্রথম আলো গোষ্ঠী তারেক স্তুতি গাওয়া শুরু করছে তারা কি পরিমাণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল তারেককে নিয়ে? অজস্র। মতিউর রহমানের কলাম আছে অনেক গুলো যেখানে তারেককের দুর্নীতির জন্য তারেকের সাজা হওয়া উচিত তা সরাসরি বলেছেন তিনি। এখানে মনে রাখতে হবে ওয়ান ইলেভেনের যে সরকার তা আসলে ছায়া প্রথম আলো সরাকর ছিল। এমনও শোনা গেছে যে রাষ্ট্রীয় নানা ঘোষণা প্রথম আলো থেকে লিখিত হয়ে যেত। সে যাই হোক, এগুলা সব ডকুমেন্টেশন হয়ে আছে। এগুলা সব অস্বীকার করবে মানুষ? কিন্তু এইটাও সত্য! মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ এখন এক আজব সময় পার করছে। বেদুম মারামারির মধ্যে একটু প্রশান্তির জায়গা দেখলে সেখানেই ইমান আনার জন্য তৈরি হয়ে আছে। প্রশ্ন হচ্ছে তারেক রহমান কি মানুষকে সেই জায়গাটা দিতে পারবে? তার দলের লোকজনের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ মানুষকে তিনি মুক্তি দিতে পারবে? তিনি নিজে কি নিজেকে পরিবর্তন করেছেন? তিনি কি ভারত বিরোধী মনোভাব থেকে বের হয়ে আসছেন? তিনি কি তার পাকিস্তান প্রেম থেকে বের হয়ে আসতে পারছেন? তিনি কি আগের সব দুর্নীতির নীতি ত্যাগ করে গণ মানুষের নেতা হতে পারবেন? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর সামনে পাওয়া যাবে তার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা।
হাদি ছিল চরম মাত্রায় মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী একজন মানুষ। গণ জাগরণ মঞ্চ নিয়ে তার ছিল প্রবল আপত্তি। তাই সে শাহবাগেই ইনকিলাব মঞ্চ বানিয়েছিলেন। অল্প কিছু মানুষজন বসে থাকত। এখন তার মৃত্যুর পরে ইনকিলাব মঞ্চকে আবার জাগিয়ে তোলা হয়েছে। তারেক রহমান আসায় এমনেই সব নজর চলে গেছে একদিকে। তাই তাদের জন্য এমন একটা কাজ করা ছাড়া বিকল্প কিছু ছিল না। তারা সেখানে বসে গেছে। দাবি হচ্ছে হাদি হত্যার বিচার চায়! খুব ভালো। কার কাছে চায়? সরকারে তাদেরই লোক, যমুনায় যা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ধর কিন্তু তা না করে তারা বসে আছে শাহবাগে। ঠিক ১৩ সালের মত। ওই পরাজয়ের ধাক্কা তাদের এতদিন পুড়িয়েছে। তাই কিছু হলেই ওই সময়ের শোধ নেওয়ার চেষ্টা ওরে যায় ওরা। এখানেও তাই হচ্ছে। অন্য একটা দিক আছে এর। এরা এমন করে বসে থাকলে সামনে এখানে একটা বড় ঘটনা ঘটলে বা কেউ যদি ঘটায় তাহলে কী হবে? সাধের নির্বাচন নিয়ে টান দিবে না তো? এমনেই আমার দেশের মাহমুদুর রহমান বলতেছে হাদিই নাই নির্বাচন করে কী হবে! এইটা দিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হবে না তো? এইটাও বুঝতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। মজার বিষয় হচ্ছে এরাই এক সময় শাহবাগে নারী পুরুষ মিলে রাতে থাকে, নানা অনৈতিক কাজ হয় এমন রব তুলত। তারা এবং তাদের যে সহযোগীরা এখন কেন যেন তাদের নারী পুরুষদের এখন এই শীতের মধ্যে রাত কাটানো নিয়ে কোন আওয়াজ নাই। এইটা মাহরাম নিয়ে হালাল তরিকায় রাত্রিযাপন হচ্ছে সম্ভত!
ইনকিলাব মঞ্চের খেলা শেষ হয় নাই। দৈনিক তারা ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ব্লক করে বসে যাচ্ছে। হাদির নামে সব জায়েজ। তাই কেউ কিচ্ছু বলছে না। উত্তরা রাস্তা ব্লক করে রাখায় আমার দুই ভাগ্নি বাড়ি আসতেছিল। ওরা ছিল আন্তঃজেলা বাসে। কিন্তু লাভ নাই, বসে থাকতে হয়েছে এক জায়গায় ৫/৬ ঘণ্টা! রাত আটটার পরে তারা রাস্তা ছাড়ে, এরপরে ওদের বাস যেতে পারে। এখানেই শেষ না, এরপরের দিন আবার তারা একই জায়গায় রাস্তা আটকিয়ে বসে পরে। কতজন? খুব বেশি হলে দেড় দুইশ হবে। কিন্তু কিছু করার নাই। কেউ বলার নাই যে প্রধান সড়ক বন্ধ করে এমন করে আন্দোলন করা যাবে না। আমার ধারণা ইনকিলাব মঞ্চ সামনে একটা বড় ক্যাচাল লাগাবে। কেউ যদি এখানে একটা বড় গণ্ডগোল করে ফেলে তাহলেই এটাকে ইস্যু করে দুর্বার আন্দোলনের ডাক দিবে ওরা। ওরা যে পারে তার প্রমাণ ওরা দিয়েছে প্রথম আলো ডেইলি স্টার, ছায়ানট পুড়িয়ে দিয়ে। আবার যে তেমন করবে না তার কোন ভরসা নাই। তেমন কিছুর জন্যই এদেরকে রেখে দেওয়া হয়েছে। জায়গামত ইশারা আসলেই এরা রাস্তা আটকিয়ে রাখা থেকে সামনে আগাবে, বড় কিছু করে বসবে। নির্বাচন বানচালের চালও হয়ত দেখা যাবে এই তরিকায়।
সবচেয়ে দারুণ হচ্ছে এনসিপির জামাতের সাথে জোটে যাওয়ার বিষয়টা। মোটামুটি সবার কাছে খোলাখুলিই ছিল যে এনসিপি হচ্ছে জামাতের বি টিম। জামাতের সভায় গিয়ে এনসিপির নেতারা কান্নাকাটি করে আসছে, এমন আমরা দেখছি। রাজাকারদের মৃত্যুর জন্য হিক্কা তুলে কাঁদছে হাসনাত, সারজিসরা। তারপরেও মানুষ এখন দেখি খুব অবাক হচ্ছে। এইটা ক্যামনে হল বলে প্রশ্ন তুলছে! বাম কিছু অতি পাকনা আছে। তারা দেখি আরও অবাক। তাদের সাথে নাকি প্রতারণা করল এনসিপি! বাপরে! এই ঘিলু নিয়ে রাজনীতি করলে বিপদ না?
মজা শেষ হয় নাই। এনসিপির ভিতরে এই জোট মেনে নিতে পারে নাই অনেকেই। মানে এমনটা তারা দাবি করছে। তাসনিম যারা, তাজনুভার মত নেত্রীরা পদত্যাগ করেছে। তাসনিম জারা স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে। এরা দুইজনই আবার এনসিপি থেকে নির্বাচন করবে দেখে মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলেছে। মানে এর আগে তারা ফেসবুক পোস্ট দিয়ে নির্বাচনের জন্য টাকা চেয়েছে। এবং অল্প সময়েই ৫০ লাখ টাকা তুলে ফেলেছিল। জারা বলেছে সে টাকা ফেরত দিবে যদি কেউ ফেরত চায়। তাজনুভা সময় চেয়েছে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য। অন্যদিকে বিখ্যাত মাস্টার মাইন্ড মাহফুজ এনসিপিতে যোগ দিবে না বলে জানিয়েছে। তার পোস্ট দেখে মনে হয়েছে সে নিজেই একটা দল বানাতে পারে। আসিফ মাহমুদ স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবে।
এ টু জেড আমার কাছে পাতানো ম্যাচ মনে হয় কেন জানি। আমি এক বিন্দু বিশ্বাস করি না এইসবের কিছু। আড়ালে কি হচ্ছে তা সামনে হয়ত পরিষ্কার হবে। এখন জা বুঝি এগুলা সব ফিক্সিং করা ম্যাচ। কে কই যাবে, কেন যাবে সবই হিসাবের খেলা। এমন কী তারেক রহমানের আগমন পর্যন্ত হয়ত সুচারু পরিকল্পনার অংশ। যে দল কোনদিন আসন পায় নাই বিশটা তারা ত্রিশটা আসন ছেড়ে দিচ্ছে আরেক খোকা খুকির দলকে! আবার শোনা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর পদ নাকি ছেড়ে দিছে তারা! ভালো খেলা না?
কেরানীগঞ্জের ঘটনায় আসি। আমি শুরুতে লিখেছি খবরে প্রকাশ। সত্য হচ্ছে খবরে প্রকাশ হতে সময় লাগছে ত্রিশ ঘণ্টা। ত্রিশ ঘণ্টা পরে মেইন স্ট্রিম মিডিয়াতে আসছে এই খবর। কেরানীগঞ্জের এক মাদ্রাসার দুইটা দেওয়াল উড়ে গেছে জাস্ট! শক্তিশালী বোমা বানাচ্ছিল সেখানে। ভাগ্যভাল যে কেউ মারা যায় নাই, চারজন আহত হয়েছে। বাংলাদেশের মিডিয়ার এখন সেই সাহস নাই যে প্রকাশ করবে যে মাদ্রাসায় বোমা ফুটেছে। প্রথম আলো এইটা প্রকাশ করার পরে আস্তেধিরে আরও কয়েকটা জায়গায় নিউজ হয়।
এখন একবার ভাবুন এই সংবাদের তাৎপর্যটা। মাদ্রাসায় বোমা বানাচ্ছে কারা? কেন? তাদের উদ্দেশ কী? সুষ্ঠু তদন্ত হবে? গলায় আটকে যাওয়ার মত খবর না? অন্য কোথাও হলে না হয় লীগের ঘাড়ে ফেলে দেওয়া যেত দোষটা। এখন মাদ্রাসায় কে বোম বানাতে যাবে? এই খেলা বাংলাদেশ খেলে আসছে। যাকে বীরোচিত সম্বর্ধনা দেওয়া হল তার আমলেই হয়েছে। লীগের আমলে জঙ্গি ধরতে গেলেই বলা হয়েছে লীগের নাটক। তো সেই নাটকের অবস্থা এখন ক্যামন? ঢাকায় তালেবান নেতাদের ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেছে প্রকাশ্যে। তারা মিটিং করছে, বিভিন্ন মাদ্রাসায় যাচ্ছে, নেতাদের সাথে দেখা করছে। এবং আমাদের ভাব দেখে মনে হচ্ছে এ তো হতেই পারে, খুব স্বাভাবিক ঘটনা!
ইউটিউবে ভিনা সিক্রির একটা সাক্ষাৎকার দেখলাম। তিনি এক সময় বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি সেখানে পরিষ্কার করে বললেন সামনে কী হতে যাচ্ছে। সব যে মিলেঝুলে খেলা হচ্ছে, উপরে আমি যা লিখেছি তাই বলেছেন। বলেছেন যদি জামাত নাও আসে তাহলেও সমস্যা না, বিএনপি থেকে প্রধানমন্ত্রী হবে, ইউনুস রাষ্ট্রপতি হবে আর উপ প্রধানমন্ত্রী করা হবে জামাত থেকে! উপ প্রধানমন্ত্রীর পদ নাই বর্তমানে। কিন্তু জুলাই সনদ নামের বস্তুতে সম্ভবত আছে। তো? এরপরে তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগল...!
সরকার পাঠ্য বই থেকে শেখ মজিবুর রহমানের নামের আগে বঙ্গবন্ধু টাইটেল মুছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দারুণ না? এমন করেই এগিয়ে যাবে দেশ।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।