এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বাংলাদেশ সমাচার - ১০ 

    bikarna লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১৮ বার পঠিত
  • | | | | | | | | ০৯ | ১০
    আমাদের এলাকায় যে সরকারি স্কুল আছে সেখানের পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচন হয়েছিল কয়েকদিন আগে। আজকে ক্লাস টিচার এসে বলেছে ইসলামে নির্বাচন বলে কিছু নাই তাই ওই নির্বাচন বাদ! বলে তিনি তার মন মত ক্লাস ক্যাপ্টেন বানিয়ে দিয়েছেন! এখানে এইটাও বলে রাখা দরকার, যে নির্বাচিত হয়েছিল সে ছিল হিন্দু একজন ছাত্র! ধর্ম কার্ড দেখানোর ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু বাধ্য হয়েই দেখাতে হচ্ছে। কারণ এখন আর কোন রাস্তা রাখছে না কেউ। 

    পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস ক্যাপ্টেন বড় কোন বিষয় না। বিষয় হচ্ছে তিনি যে যুক্তিটা দেখিয়েছেন তা। সরকারি স্কুলে কি শরিয়া আইন চালু হয়ে গেছে? তিনি নিজেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন না প্রধান শিক্ষক জানেন এই বিষয়ে? উপজেলা, জেলা শিক্ষা অফিসার? স্কুল যে আলিয়া মাদ্রাসা হয়ে গেছে এই খোঁজ তারা রাখেন? আলিয়া মাদ্রাসায়ও কি এমন নীতি চালু করা সম্ভব?

    ইসলামে নির্বাচন হারাম? এই হারাম কাজ এত বছর ধরে দেশে হয়ে আসছে? সব হুজুরেরা জোট বাধছে এই হারাম কাজে অংশ নেওয়ার জন্য? এই জন্য  এত দৌড় ঝাপ? নির্বাচন নাই তাহলে ইসলামের প্রধান চার খলিফা কীভাবে নির্বাচিত হয়ে ছিল? নিজেরাই গিয়ে বসে গেছেন চেয়ারে? বলছেন আমিই এখন থেকে তোমাদের খলিফা? ধর্মের নামে যে কোন একটা কথা কেউ চালু করে দিলেই তা জায়েজ হয়ে যাচ্ছে। 

    এই বিষ কোন পর্যায়ে গেছে তার আরেক নমুনা হচ্ছে রাজবাড়ির নুরা পাগলার মাজারের ঘটনা। ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতিতেই আছে এমন পাগল, সন্ন্যাসীদের উম্মাদনা। নুরা পাগলা সঠিক ছিল না বেঠিক ছিল, শরিয়ত সম্মত চলাফেরা ছিল না কী ছিল তা তার মৃত্যুর পরেই শেষ। এলাকাবাসি তার কবর ঘিরে মাজার হতে দিবে না। এই দাবি থেকে মাজারে আক্রমণ। শুধু আক্রমণ করে বসে থাকলে চলবে? এ তো হয়েই আসছে, এ আর নতুন কী? তারা নুরা পাগলার কবর থেকে লাশ তুলে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিল! এই হইল ধর্ম পালনের অবস্থা! এত কুৎসিত, এত বীভৎস মানসিকতা নিয়ে মানুষ কীভাবে বেঁচে আছে আমার বুঝে আসে না। 
     
    বাংলাদেশ এখন এই পর্যায়েই আছে, এইটাই প্রকৃত সত্য। হারিকেন জ্বালিয়ে খুঁজেই পজেটিভ কিচু লেখার পাই না। আমার স্বভাবে এই জিনিস নাই। আমি সব সময়ই ভাবি সামনে নিশ্চয়ই ভালো কিছু হবে। ভাবি কেটে যাবে, এরাও তো দেশের মানুষ, নিশ্চয়ই একটা ভালো কিছুই করবে। কিন্তু আল্লার কসম কিছুই খুঁজে পাই না। ধর্মীয় উম্মাদনা বেড়েই চলছে। কেউ নাই দেখার। কেউ নাই বাধা দেওয়ার। এই ভাবেই চলছে। বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন আইন উপদেষ্টা, শিশু উপদেষ্টারা! সরকার নিজেই কীভাবে প্রতিবাদ জানায় আমার জানা নাই। প্রতিবাদ জানিয়ে যদি কাজ করত তাহলেও বুঝা যাইত। কিন্তু… 

    ডাকসু( ঢাকা ইউনিভার্সটি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচন হয়ে গেল। ইতিহাস, ঐতিহ্য সমস্ত কিছু জলাঞ্জলি হয়ে গেল। জন্মের পরে এমন সময় বাংলাদেশ আর পার করে নাই। বয়সে আমার থেকে আমার দেশ কত বড়? ১৪/১৫ বছর। দেশ আর আমি কেউই কোনদিন এমন দৃশ্য দেখব বলে ভাবি নাই। তবে এখন তো দেখে যাওয়ারই সময়। যদি এমন দেখতে না পারতাম তাহলেই বরং আশ্চর্য হতাম, তাই না? তাই আশ্চর্য হই নাই। আজকে যারা আশ্চর্য হচ্ছে তাদের দেখেই বরং আমি আশ্চর্য হচ্ছি। রাজাকার স্লোগান যে সত্য ছিল তা এতদিনে অনেকের মনেই পরিষ্কার হয়ে গেলেও অনেকের মনে এখনও এই স্লোগান শুধুই রূপক অর্থে ছিল বলে রয়ে গেছে। শিবিরের ভূমিধ্বস জয় তাদের কানে পানি পৌঁছাতে পারবে? মনে হয় না। 

    দেশ ইতোমধ্যে কেষ্ট ব্যাটাকে পেয়ে গেছে। ঢাবিতে শিবির জিতছে, লীগের দোষ, দেশ মৌলবাদে ভরে গেছে, লীগের দোষ, জঙ্গিরা ছাড়া পাইছে বিনা হিসাবে, লীগের দোষ! ভিক্টোরিয়া স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস ক্যাপ্টেনকে বাদ দিছে শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচন প্রথা ইসলামে নাই বলে, লীগের  দোষ! এমন একটা কেষ্ট ব্যাটা থাকলে রাষ্ট্র পরিচালনা বেশ সহজ হয়। ইউনুস পন্থি বুদ্ধিজীবীরা বেশ সরব এই ক্ষেত্রে। এক পক্ষ লীগকে দায়ী করছে অন্য পক্ষ দায়ী আবার কী? শিবির জিতছে এইটাই ঠিক আছে। 

    আজকে ঈদ, পাকিস্তান, মগবাজার,( জামাতের বাংলাদেশের হেড অফিস মগবাজারে ) আর ঢাবির ক্যাম্পাসের ঘরে ঘরে আনন্দ। কতখানি সূক্ষ্ম পরিকল্পনা হলে আজকের দিনকে বাস্তব করতে পারা সম্ভব? শিবির দেখিয়ে দিল পরিকল্পনা কাকে বলে। অধ্যবসায় রচনায় এখন কেউ শিবিরের নাম লিখলে তাকে পূর্ণ নাম্বার দেওয়ার সুপারিশ করব আমি। দিনের পর দিন অস্তিত্বহীন থেকে আজকের দিন পর্যন্ত আসা, এইটাকে কী বলব? 

    উপদেষ্টা ফারুকি বেশ দারুণ একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছে। এবং এই লাইনের বুদ্ধিজীবীরা সবাই একই সুরে কথা বলা শুরু করেছে। ফারুকি বলতে চাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকারদের দিন শেষ, এখন লীগ হচ্ছে রাজাকার। জনগণও নাকি এমনই মনে করে! লীগ হচ্ছে রাজাকার, আগের রাজাকার তত্ত্ব এখন আর কাজ করবে না। পরিচিত মনে হয়? ইনুসও ক্ষমতা নেওয়ার পরেও এই কথাই বলছিল। রিসেট করে সব শেষ হয়ে গেছে। এখন ২৪ সাল থেকে হিসাব শুরু। ২৪ সালে লীগ অপরাধী তাই লীগেই আসল দোষী, আগের সব হিসাব শেষ। 

    একই রকম চিন্তা অনেকেই করছে। ছাত্রদের মাঝে যাদের সাথে আমার কথা বলার সুযোগ হয় তাদের মনোভাব হচ্ছে তারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মাথা ঘামাতে চায় না। তারা মনে করে এখন যারা ভালো তারাই ভালো। মুক্তিযুদ্ধের সময় কে কী করছে তা দিয়ে চিন্তা করতে তারা নারাজ। ভুল পড়ছেন না, এইটাই লিখছি। তারা এই বিষয় নিয়ে আগ্রহী না। তাই শিবির ফুল প্যানেলে জয়ী হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। যেখানে শিবিরের রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ ছিল অন্তত তিন দশক ধরে। যেখানে নির্বাচন করা ছিল তাদের জন্য স্বপ্ন সেখানে তারা বিপুল ভোটে জিতল, সবাই মিলে জিতল। ছাত্রদল, বামেরা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংসদ কেউই পানি পাইল না তাদের। কারচুপির অভিযোগ আছে কিন্তু কারচুপি হলেও তা এই জয়কে মিথ্যা করতে পারবে না। যদি কারচুপি করে এই নির্বাচন বের করে নিয়ে যেতে পারে তাহলে তাও শিবিরের যোগ্যতাই প্রমাণ করে। এত বছরের রাজনীতির ফলে যদি ছাত্রদল এই প্যাচ বুঝতে না পারে তাহলে তাদের আর বুঝে দরকার নাই, রাজনীতিই করার দরকার নাই। 

    কিন্তু ভয়ংকর চিন্তাটা খেয়াল করুন। দেশে মুক্তিযুদ্ধ আর প্রাসঙ্গিক থাকছে না। এইটা নিয়ে তারা চিন্তা করতে রাজি না। আমি বললাম শিবিরের কী কাজটা দেখে আগ্রহী হতে পারে মানুষ? ওরাই বা কি দেখে পছন্দ করছে শিবিরকে? জবাব হচ্ছে ধর্ম! আবার সেই ধর্মের কার্ড! নামাজ পড়ে, ব্যবহার ভালো! এদের জন্যই শিবিরের ক্ষমতায় যাওয়া জরুরি। না হলে এই বিভ্রম কাটবে না এদের। শিবির কি জিনিস এই প্রজন্ম তা জানে না। শিবির কোন পর্যায়ের নৃশংস হতে পারে তা না জানার ফলে এমন চিন্তা আসতে পারে যে শিবিরের ব্যবহার ভালো, নামাজ পড়ে। এই বিষ না খাইলে বুঝা যাবে না, কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে, কভূ আশীবিষে, দংশেনি যারে? 

    ইতিহাস ঐতিহ্য প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে? জেনজি মনে করে এগুলার কোন মূল্য নাই? নেপালে সিংহ দরবার পুড়িয়ে দিয়েছে। এখান থেকেই বাংলা ভাষার প্রাচীন নিদর্শন চর্যাপদের পাণ্ডুলিপি। এমন একটা জায়গা পুড়িয়ে দিল! জেনজির কাছে এগুলার মূল্য নাই, তাই এগুলা থাকলেই কী না থাকলেই কী? আমরাও একই সূত্রে হারিয়ে ফেলব আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য? মুক্তিযুদ্ধের সময় আন্দ্রে মালরো বিশ্ব ব্যাপী জনসমর্থন আদায়ে নিরলস কাজ করেন। তিনি প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহণের ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগত ভাবে তাঁকে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশে। তিনি আসনে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে আজকে শিবির জয় উল্লাস করছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়িয়ে বলেন আমি কথা বলছি পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র এমন বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে মৃতের সংখ্যা জীবিতদের থেকে বেশি! এখানেই উল্লাস করছে একাত্তুরের পরাজিত শক্তিরা। আর আমাদেরকে বলা হচ্ছে এইটাই এখন থেকে সত্য! অতীত ভুলে যাও। কামরুল হাসান মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধকে আগের চর্বিত চর্বণ করে উপস্থাপন করলে কাজ হবে না, জেনজি বাস্তববাদী! তাদের কাছে চাকরির কোটা বেশি জরুরি! এই হইল আমাদের শিক্ষকদের চিন্তা ভাবনা। 

    যাদের সাথে কথা হচ্ছিল তাদেরকে জিজ্ঞাস করলাম ধর্মীয় কারণে জামাত শিবিরকে সমর্থনের যুক্তি কী? জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মউদুদিকে পাকিস্তানের মত রাষ্ট্র ফাঁসির হুকুম দিয়েছিল ব্লাসফেমি আইনে। কেন? ধর্ম নিয়েই কারাবার এর প্রধানকে ধর্ম অবমাননার জন্য ফাঁসির আদেশ? তাও পাকিস্তানে? তাহলে এদেরকে ধর্মের ঠিকাদার মনে করার কারণ কী? গোলাম আজমেরও এমন দোষ ছিল। কোরানের সুরার কোন আয়াত কই যাবে এইটা নিয়ে গোলাম আজমের মন্তব্য আছে। কোরানের সুরার কোন আয়াত কই যাবে এইটা নবী নিজেই বলে গেছেন মানে এক কথায় আল্লা নিজেই নির্ধারণ করেছেন। তাহলে এইটা নিয়ে গোলাম আজম কে কথা বলার? এর উত্তরটা দারুণ পেলাম, উত্তর হচ্ছে আমরা এই সব জানি না! এইটা ভালো না? না জানলে কিন্তু দুনিয়াটা বেশ সহজ। যে ইতিহাস জানে না, সে ইতিহাস আশ্রিত যে কোন আবর্জনা দেখে, তার অভিনয়, রঙ চং দেখে মুগ্ধ হয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতেই পারে। যে বন্দুমাত্র বিজ্ঞান জানে না সে পর্দায় যাই দেখাক মুগ্ধ হয়ে যেতে পারে, ওইটা ক্যামনে সম্ভব এই প্রশ্ন একবারের জন্য মাথায় না এনেই। Ignorance is bliss একটা কথা আছে না? এখানেও তাই হচ্ছে। যেহেতু জানিই না তাই ওই সব নিয়ে চিন্তাই নাই। শিবির, জামাত, সাক্ষাত গোলাম আজম আসলেই সমস্যা কী? জানিই না, রাগ করব কার উপরে? 

    তবে কি আমরা হেরেই গেলাম? এই লেখা যখন লিখছি তখন রাত প্রায় দুইটা বাজে। তারিখ হচ্ছে ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, তারিখ অনুযায়ী আজকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচন। এখানেও কী এমনই হবে না ব্যাতিক্রম হবে? কালকেই বুঝা যাবে। তবে অনুমান করে একই ফলাফল হবে। এবং জামাতের ভোট নাই এই বক্তব্য এখন মিথ্যা প্রমাণ করে সামনের জাতীয় নির্বাচনে বেশ ভালো জায়গা করে নিবে জামাত। বিএনপি লীগের মতই একি ধারার রাজনীতি করে যাচ্ছে। লীগের মতই ধরা খেতে হবে। 

    শেষ করি। আচ্ছা, নেপালে কী হল? বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সবাই এক বাক্যে বলে দিয়েছে লীগ বহুদিন ধরে জোর করে ক্ষমতা ধরে রেখেছিল তাই এমন গণ বিস্ফোরণ। কেউ কেউ আরও সূক্ষ্ম করে বলছে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিকে একটু জায়গা দিলেই নাকি এত কিছু হত না। মানে লীগের দোষ, সেই অনুযায়ীই এই ফলাফল। নেপালের ক্ষেত্রে কী হল? তাদের নির্বাচনও সুষ্ঠু হয়নি? তাদের সরকারও জোরে করে ক্ষমতায় বসে ছিল? তাদের তো নির্বাচিত সরকার ছিল। তাহলে কাহিনী? এখন কি মাথাটা একটু চুলকিয়ে নিজেকেই প্রশ্ন করবেন যে আসলে এইগুলা বিষয় না! এ হওয়ার ছিল, কোটা হোক আর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে বাধা দেওয়া হোক, যে কোন হাস্যকর কারণেই সরকার পতন হতে পারে। তা আসলে কারণের সাথে সম্পর্ক যুক্ত না, তা আসলে নির্ধারণ হয় অন্য জায়গায়। যা আমরা সাধারণেরা চিন্তা করারও দম পাই না। 
     
    আমরা যে টাইম বোমার ভয় পাচ্ছিলাম তা সম্ভবত বিস্ফোরণ হয়েই গেছে। গভীর মৌলবাদের খাদে পড়ে গেছে দেশ। বাতি হাতে কেউ নাই। অন্ধকারে খাবি খাচ্ছে সবাই। এইটাই আপাতত নিয়তি! 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | ০৯ | ১০
  • ব্লগ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন