চালুক্যদের সময় এই ছোট গ্রামের মন্দিরগোষ্ঠীগুলি ব্যবহার হত রাজ অভিষেকের সময়। টলেমির ভূগোলে এর নাম আছে - পেট্রিগাল। জায়গাটা বাসে বাদামি থেকে আধঘন্টা দূরে। গ্রামে আছে মূলত বাসস্টপ আর বড় জায়গা জুড়ে এএসআই ঘেরা এই মন্দিরগুলো। মন্দিরগুলোকে মূলত দুভাগে ভাগ করা যায় - প্রথমদিকে তৈরি পুরোনো শিখর স্টাইল আর পরের দিকে তৈরী দ্রাবিড় বিমান ঘরানা, যেখানে শিখরটি পিরামিডের মত খাঁজকাটা ও চ্যাপ্টা। খাজুরাহো, কোনারক, ইলোরার কৈলাস এসবেরও আগে বানানো চালুক্যদের মন্দিরগুলোই মোটামুটি ভারতের সবথেকে পুরোনো মন্দির। আইহোলের দুর্গা মন্দির ইত্যাদিকে মনে করা হয় স্থপতিদের হাত পাকানোর জায়গা ছিল, যেগুলো পত্তাদকালে এসে পরিণতি লাভ করে। আইহোল আর যাওয়া হয়নি বাসের অভাবে।
মন্দিরগুচ্ছ
পুরোনো শিখর ঘরানা/১
পুরোনো শিখর ঘরানা/২। মাথায় কলস।
পরের দিকের চালুক্য ঘরানার সঙ্গমেশ্বর মন্দির।
সঙ্গমেশ্বর মন্দিরের ভেতর ব্রাম্ভী-কন্নড় শিলালিপি।
পুরোনো ঘরানার পাপনাথ মন্দির।
সামনে থেকে
??
এরপর নতুন ধারার বিরূপাক্ষ এবং মল্লিকার্জুন মন্দির
বিরূপাক্ষ মন্দিরের গায়ে ত্রিবিক্রম
বারান্দার থামের গায়ে রাবণ অনুগ্রহ
হিরণ্যকশিপু বধ
শিবের ভৈরব মূর্তি ?
দ্বারপাল
নটরাজ
বিরুপাক্ষ মন্দিরের ভেতরের থামগুলোতে এরকম সব খোদাই করে আঁকা। প্রতি থামে আলাদা আলাদা ছবি। ওপরের সানলাইট দিয়ে আলো আসে।
নিখুঁত
বহুস্তরীয়
ঘোড়া
সমুদ্রমন্থন
কুরুক্ষেত্র মনে হয়
সেকালের সমাজের চমৎকার হায়ারার্কি
বেরোনোর থামের গায়ে
মল্লিকার্জুনের পাশে বিরুপাক্ষ
মল্লিকার্জুনের সামনের দিক
মল্লিকার্জুনের ভেতরেও থামগুলি এরকম
মল্লিকার্জুনের ভেতরে মহিষাসুরমর্দিনী
হাতি ও মাহুত
মল্লিকার্জুনের পিছনের দিক।
[সিজন শেষ]
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।