এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে

  • আমেদাবাদ

    পাপাঙ্গুল লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে | ০৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৩৭৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • স্বর্ণ জয়ন্তী রাজধানী জয়পুর , আজমের , আবু রোড হয়ে আহমেদাবাদ পৌঁছয় বারো ঘন্টায়। শেষ স্টেশন সবরমতী জংশন , যেটা আহমেদাবাদ মূল শহরের বাইরে। সিন্ধু সভ্যতার আমল থেকে চালুক্য হয়ে গুজরাট দিল্লির সুলতানের হাতে যায় আলাউদ্দিন খলজির সময়। তিমুরের দিল্লি জ্বালানোর পর গুজরাটের প্রশাসক নিজেকে স্বাধীন ঘোষণা করে আলাদা রাজবংশের পত্তন করেন। ~১৪১৫ য় সেই বংশের সুলতান আহমেদ শাহ রাজধানী হিসেবে আহমেদাবাদের পত্তন করেন। আকবরের সময় আবার গুজরাট মুঘল সাম্রাজ্যের দখলে চলে যায়। 

    এই মোটামুটি দেড়শো বছরের স্বাধীন গুজরাটের সুলতানের শাসনামলে আহমেদাবাদে প্রচুর ইসলামিক স্থাপত্য গড়ে উঠেছিল , বর্তমানে সেজন্য শহরের পুরোনো গোটা চৌহদ্দিই ইউনেস্কো হেরিটেজের তকমায়। এই একই সময়ে বরোদার অদূরে চম্পানরেও বহু ইসলামিক স্থাপত্য গড়ে উঠেছিল যেগুলো মুঘল স্থাপত্যের থেকে অনেকখানি আলাদা। চম্পানের পাভাগড় পুরাতত্ত্ব পার্কও ইউনেস্কো হেরিটেজ। 

    সকালবেলা সবরমতী জংশনে নেমে দেখা গেল বর্ষাকাল শেষ হয়ে এসেছে বলে আকাশের মুখ ভার। প্রথমে পাটান এবং মেহসানার কাছে মোদেরার সূর্য মন্দির যাবার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু সে এখান থেকে বাসে তিনঘন্টা লেগে যাবে। ফিরতে ফিরতে বিকেল হলে আর আহমেদাবাদের বাকি কিছু দেখা যাবেনা। ফিরতি রাজধানী সন্ধ্যেবেলায়। তার থেকে উবের অটো নিয়ে কাছেই আদালাজ। সকালবেলার ভেজা ফাঁকা জাতীয় সড়কে কুড়ি মিনিট।  

    আদালাজে জাতীয় সড়ক থেকে বাঁদিক বেঁকে পাঁচমিনিট গেলে আছে রুদাবাই কুয়ো , গুজরাটিতে কুয়োর প্রতিশব্দ ভাভ। বাইরে এ এস আই ফলকে লেখা ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দে মাঘ মাসে মাহমুদ বাদশার রাজত্ত্বকালে রাজা বীরসিংহের স্ত্রী রুদা এই 'আদালাজ নি ভাভ' তৈরী করান।



    ওপর লোহার জালে ঢাকা যাতে কেউ নিচে না পড়ে যায়। 

    টিকিট কেটে ভেতরে গন্ডাখানেক পর্যটকের ফটোসেশন করার ভিড়। এই কুয়োগুলো মাটির তলায় দু তিনতলা নিচু। লম্বা লম্বা স্তম্ভ আর তাদের গায়ে । রাজস্থানের কুয়োগুলোর মত চৌকো নয়। দিল্লির কুয়োগুলো এরকম লম্বাটে হলেও ভেতরে আলাদা আলাদা তলা করা নেই। প্রতি তলারই ধারের কার্ণিশ দিয়ে হেঁটে একদম শেষে পৌঁছে যাওয়া যায়। 
     

     

    প্রদীপের মোটিফ 


    বনস্পতির 


    বারান্দাও আছে 


    নামতে নামতে 



    অন্যরকমের খিলান 


    বৃষ্টির জমে থাকা সবুজ জল। কাঠের ছোট বেড়া দিয়ে বন্ধ করা যাতে কেউ জলে না নামতে পারে।
     
    আদলাজ থেকে ফেরার পথে গান্ধীনগর - আহমেদাবাদ এয়ারপোর্টের রাস্তায়। রাস্তার ধারে ন্যায়ারা এনার্জি , আদানি সিএনজির পাম্প। গুজরাতের রাজধানী আহমেদাবাদ থেকে কুড়ি কিলোমিটার উত্তরে গান্ধীনগর। মণিভূষণ ভট্টাচার্যের 'গান্ধীনগরে এক রাত্রি' মনে পড়তে পারে। ১৯৭৪ সালে এই অঞ্চল নবনির্মাণ ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। কম করে একশো জনের মৃত্যু এবং তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের চিমনভাই প্যাটেলের ইস্তফা। স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতের একমাত্র আন্দোলন যা একটি নির্বাচিত সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করেছিল। বাংলার নকশালবাড়ি আর গুজরাটের এই ছাত্র আন্দোলনের অজুহাতেই জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী।

    সবরমতির ওপরের সেতু পেরিয়ে আহমেদাবাদ এয়ারপোর্ট। পুরোনো আহমেদাবাদ শহর। যেতে হবে বাই হরির সুলতানি। মাহমুদের হারেমখানার মুখ্য অফিসার এখানে হরিরপুর বানিয়েছিলেন এবং ১৫০০ খ্রিস্টাব্দে এই কুয়ো , তৎসংলগ্ন মসজিদ চত্ত্বর তৈরী করান।

    এই স্থানে ভিড় কম , টিকিট নেই। প্রি ওয়েডিং শুট করতে গেলে এ এস আইয়ের অনুমতি লাগবে , দরজায় এরকম নোটিশ ঝোলানো। কুয়োতে আঁকার ক্লাস। পাঁচ ছ জন কলেজ ছাত্রীকে নিয়ে এসে স্থাপত্য , ওপর থেকে চুঁইয়ে পড়া আলো ছায়া এইসব বোঝাচ্ছেন শিক্ষিকা। 
     

    এখানে ওপরে জাল দিয়ে ঢাকা নেই 



    নিচে নামার আগে 



    জলের কাছে 




    সিমেট্রি 


    অনন্ত কুয়োর জলে চাঁদ পড়ে আছে 


    ভাভ সংলগ্ন মসজিদ। অর্ধেক মিনারের গায়ে খুঁটিনাটি অলংকরণের কাজ করা আছে। 


    বিজ্ঞপ্তি 

    এবার ঝুলতা গম্বুজ যেতে হবে। যেখানে এক গম্বুজ থেকে জোরে আওয়াজ করলে পাশের এক নির্দিষ্ট দূরত্ত্বে বানানো গম্বুজ কাঁপতে থাকে। আহমেদাবাদ জংশন স্টেশনের কাছেও আগে এরকম আরেক ঝুলতা গম্বুজ ছিল। 

    অটো নিয়ে যাচ্ছে পাড়ার ভেতর দিয়ে। বিমানবন্দরের পিছন দিকে এই সংখ্যালঘু মহল্লা। উড়ালপুলের নিচে আর ট্রেন লাইন পেরিয়ে ঘিঞ্জি রাস্তার ধারে জমে থাকা জল। সারি দিয়ে পাঁঠার মাংসের দোকান। ফেজ টুপি পরা বাচ্চা ছেলেরা তিনচাকা সাইকেল চালাচ্ছে। হিজাব পড়া মেয়েরা রাস্তার ধারে পুরুষ্ট ছাগলদের ঘাসপাতা খাওয়াচ্ছে। ম্যাপে দেখেছি এখান থেকে গুলবার্গ সোসাইটি , নারোদ পাটিয়ার এলাকা বেশিদূর নয় , যেখানে বাইশ বছর আগে গণহত্যা হয়েছিল। 


    বিখ্যাত ঝুলতা মিনার মসজিদ 


    মিনারের গায়ের অলংকরণ। এরকম কোনো মুঘল স্থাপত্যে দেখা যাবে না। 



    দ্বিতীয় গম্বুজকে ঘিরে টিয়াপাখিদের ঝাঁক। 

    দশ মিনিট হেঁটে গেলে আপ্যারেল পার্ক মেট্রো স্টেশন। যেতে হবে ঘিকাঁদা। দশ টাকার কিউ আর কোডের টিকিট। মেট্রো দশ মিনিট পর পর। তিন কোচের , হুন্ডাই রোটেমের তৈরী করা। এই নীল রেখার মেট্রো চলছে থালতেজ থেকে ভস্ট্রাল গাম। দু তিন স্টেশন যাবার পর মেট্রোর পাতাল প্রবেশ। 

    ঘিকাঁদা স্টেশনের বাইরে এখানে চামড়ার বেল্ট , জুতো , মেয়েদের চুড়ির সারি সারি দোকান। হাঁটতে হাঁটতে আমেদাবাদ জামা মসজিদের গলি। যা ১৪২৩ সালে মানেক চকে সুলতান আহমেদ শাহর আমলে তৈরী।


    আহমেদাবাদের জামা মসজিদ। এর গায়েও প্রদীপ আর গাছের মোটিফ। 


    ভেতরে মোট ২৫৬ খানা এরকম স্তম্ভ আছে।
     

    তিন দরজার বাজার। পাঁচিলওলা এই পুরোনো আহমেদাবাদের এক একদিকে এক একরকম নামের দরজা আছে। পুরোনো দিল্লির শাহজাহানাবাদের মত। 

    ১৫৭২ সালে সিদি সৈয়দ নামে ইয়েমেনের একজন এবিসিয়ান সুলতান তৃতীয় নাসির উদ্দিন মাহমুদের সময় গুজরাটে আসেন। এই সিদি সৈয়দের মসজিদটা আছে দুতিনটে বড় রাস্তার ক্রসরোডে , একফালি সবুজ জমির ওপর। যাতে গাড়িতে অথবা বাসে যেতে যেতেও সবাই দেখতে পারে। ইন্ডিয়া গেট বা ভিক্তোরিয়া মেমোরিয়ালের মত এ শহরের প্রদর্শনী। এখানেও দুখানা মোটিফ খুব স্পষ্ট , গাছ এবং প্রদীপের।
     

    সিদি সৈয়দ মসজিদের প্রথম ঝাঁঝরি 
     

    দ্বিতীয় ঝাঁঝরি 
     

    পিছন দিক থেকে 
     
    এখান থেকে বেরিয়ে একটু গেলেই সবরমতীর ওপর নেহেরু সেতু। পেরোলেই ওদিকে ঝাঁ চকচকে নতুন আমেদাবাদ। রাস্তা ঘাট পরিষ্কার , ফাঁকা। ওদিকে আছে মেট্রোর বাদামি লাইন। গান্ধীগ্রাম থেকে রানিপ স্টেশন , এও দশ টাকা। রানিপে নেমে দশমিনিট হেঁটে সবরমতি আশ্রম। এই রাস্তার দুদিকে প্রচুর ফাঁকা জায়গা , মনে হল আগে এই এলাকা ধাপার মত ছিল। সবরমতি আশ্রমের চারপাশের বাড়িগুলি পুরোনো আমলের রেখে দেওয়া হয়েছে , পন্ডিচেরির রাস্তার কথা মনে এল। লাল টালি , হলদেটে সাদা দেওয়াল। 
     
    রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনের মতোই একটা মডেল। আশ্রমিকদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। গান্ধীজি মদ্যপান অপছন্দ করতেন , দিনে মাত্র পাঁচ পদ আহার করতেন , খাদি পরতেন , চরকা কাটতে বলতেন যাতে যারা খাদি পড়ে তারা নিজেদের সুতো নিজেরাই বানাতে পারে। কোন একটা কংগ্রেস অধিবেশনে চরকা স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে। গান্ধীজি মনে করতেন সত্য , অহিংসা , ব্রহ্মচর্য্য , অপরিগ্রহ , অস্তেয় -- এই পাঁচ পতঞ্জলি বর্ণিত যম। এর সঙ্গে যোগ করেন অস্পৃশ্যতা নিবারণ , স্বশ্রয় , সর্বধর্ম সমাভব , স্বদেশী , অভয় , অস্বাদ। অর্থাৎ আশ্রমে থাকতে গেলে এই সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে। তার দিদি রালিয়াতবেন যেমন হরিজন শিক্ষক দুদাভাইয়ের সঙ্গে বসে খেতে রাজি হননি বলে আশ্রম ছেড়ে চলে যান।
     
    বাইরে প্রথম এই ভাবনা প্রয়োগ করেছিলেন ডারবানের ফিনিক্স সেটলমেন্টের ওপর। তারপর ১৯১০ সালে টলস্টয় ফার্ম। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে গান্ধী প্রথমে আহমেদাবাদেই আশ্রম খুলতে চেয়েছিলেন। বহুদিন থেকেই আমেদাবাদ কাপড় ব্যবসার কেন্দ্র , ফলে ভেবেছিলেন ব্যবসায়ীরা তাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করলেও করতে পারেন। সেখানকার কোচরাব প্রথম আশ্রম ছিল। তারপর শেঠ মঙ্গলদাস নাথুভয়ের কথায় সবরমতীতে সরিয়ে আনার টাকা জোগাড় হয়। প্লেগের পর পাঞ্জাভাই হীরাচাঁদ নামে ব্যবসায়ীর কথায় সবরমতি জেলের পাশে এই টুকরো জমিতে ১৯১৭ সালে আশ্রম গড়ে ওঠে। বিখ্যাত আশ্রমিকদের মধ্যে ছিলেন ম্যাডেলিন স্লেড , যিনি পরে মীরাবেন নাম পেয়েছিলেন এবং ভিনোবা ভাভে। এখান থেকেই ডান্ডি যাত্রা ইত্যাদি শুরু। এখান থেকে চলে যাবার পর গান্ধীজি ১৯৩৬ -৪৮ মহারাষ্ট্রের সেবাগ্রামেও এরকম আশ্রম করেছিলেন।

    গান্ধীজি চাইতেন বাড়িতে কোনো দেওয়াল থাকবে না যাতে সমস্ত সংস্কৃতির খোলা হাওয়া বইতে পারে বাড়ির মধ্যে দিয়ে। সেটা ভেবেই সংগ্রহশালার প্রায় ৮০ শতাংশ দেওয়াল হীন। আঁকা ছবি , ফটোগ্রাফ , হাতে লেখা ও টাইপ করা চিঠি এইসব দিয়ে সাজানো। ঢোকা বিনামূল্যে।


    দেওয়ালহীন সংগ্রহশালা  
     

    ভাইপো মগনলাল গান্ধীর বাড়ি।
     

    মগনলাল গান্ধীর কুটিরের ভেতর 


    ছোট চরকা 


    আশ্রমের পিছনদিকে সবরমতি তীর। 


    মিরাবেনের / ভিনোবা ভাবের কুটির।

    যে বিখ্যাত তিন বাঁদরের মূর্তি জাপানের বৌদ্ধ সাধু নিচিদাৎসু ফুজি দিয়েছিলেন , সেটা তার লেখার টেবিলে রাখা থাকত। হৃদয় কুঞ্জের বারান্দায় রাখা চরকা অধুনা ফটোশুটের জায়গা। আশ্রমের উপাসনা মন্দির একটুকরো বালি ভরা চৌকো চারদিক খোলা জায়গা।


    হৃদয় কুঞ্জ 

    সবরমতি স্টেশনে কোনো ওয়েটিং রুমই নেই। প্রচুর কাজ চলছে। আরেকটু এগিয়ে গড়ে উঠছে নতুন সবরমতি ইন্টারস্টেট স্টেশন, যেখান থেকে আহমেদাবাদ ভুজ বন্দে মেট্রো , জামনগর হয়ে দ্বারকা , ওখা বন্দে ভারত , আহমেদাবাদ - মুম্বাই বুলেট ট্রেন এইসব ছুটবে। সেই স্টেশনের জনতা এখন ভুল করে এই স্টেশনে চলে আসছে। স্টেশনের বেঞ্চে বসে থাকা একজন স্থানীয় গুজরাতি এই সব বলছিলেন। শেষ প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছে এক পুরো অসংরক্ষিত [ অনলাইন টিকিট পাওয়া যায় না , স্টেশনে এসে কাটতে হয় ] পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেন যা এখান থেকে দেড়দিন ধরে থামতে থামতে উত্তরপ্রদেশ যাবে। অন্য এক প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাচ্ছে যোধপুর যাবার বন্দে ভারত। 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ০৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৩৭৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 172.58.***.*** | ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ০৫:৫৭539288
  • আরে, কী সমাপতন! আমি আজই ভাবছিলাম কতদিন এই বেড়ানোর গল্পগুলো আসছেনা! খুব ভালো লাগলো, যথারীতি। ছবিগুলোও। কয়েকটা ছবি আগে টইতে দেখেছি। বাকিগুলোর মধ্যে পাথরের কারুকার্য্য গুলো অসাধারণ। বিশেষ করে প্রদীপের আর বনস্পতির মোটিফ। তারপর কুয়োর জলে "চাঁদ", সিদি সৈয়দ মসজিদের ঝাঁঝরি, দুর্দান্ত। গম্বুজ আর টিয়াপাখীর ঝাঁকের ছবিটাও।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৫৬539290
  • আমেদাবাদের নানা জায়গাই খুব সুন্দর, সবকটা জায়গাই ঘুরে এসেছি। আপাতত বলি ঝাঁঝরি মসজিদের পাশেই একটা খুব সুন্দর জায়গা মিস করে গেছেন হাতিসিং জৈন মন্দির। বড় সুন্দর জায়গা।
     
    আপনার ছবি গুলো দেখে মাথার মধ্যে আমেদাবাদের স্মৃতিগুলো সব ঝিকিমিকি করে উঠল সকাল সকাল। মোধেরা সূর্য মন্দির বোধহয় আমার দেখা প্রথম সূর্য মন্দির, অপূর্ব লেগেছিল, আমি কোনারক পরে দেখেছি। ঝাঁঝরি মসজিদের ঝাঁঝরি গুলো সামনা সামনি এত সুন্দর লাগে ওটা খালি চোখে না দেখলে বলে বোঝানো যায় না। স্থাপত্যে আগ্রহ থাকলে আমেদাবাদ অবশ্যই ঘুরে দেখা উচ্বইট, খুবই আন্ডার রেটেড জায়গা। পাশে পাওয়াপুরী, চম্পনের নিয়েও লিখুন। দারুণ সব জায়গা।
     
    খুব ভালো লাগলো আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:30ae:8a84:a419:***:*** | ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৩১539291
  • ছবিগুলো অসাধারন, আর লেখাটাও খুব ভালো লাগলো। আমি কলেজ থেকে বেরিয়ে বছর দুয়েক জামনগরে চাকরি করেছিলাম। সেখানে অনেক গুজ্জুভাইদের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছিল, মাঝে মাঝে আমরা আমেদাবাদ, সবরমতি, রাজকোট ইত্যাদি জায়গা ঘুরতে যেতাম। সেসব মনে পড়ে গেলো। 
  • | ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:১৮539298
  • বহোত খুব। ছবিগুলো বড় ভাল। লেখা তো বটেই। 
  • পাপাঙ্গুল | ১০ নভেম্বর ২০২৪ ০০:৩৭539323
  • আন্তরিক ধন্যবাদ কেকে , রমিত , ডিসি , হীরেনদা , দ দি। 
     
    কেকে , এরপর অনেকদিন আর কোথাও যাওয়া হয়নি/হবে না। সিরিজ আবার হয়ত মার্চের পর আসবে। 
     
    রমিত , হাতিসিং জৈন মন্দির অনেকটা পরে তৈরী বলে আর যাই নি :D . মোধেরা , চম্পনের পরে যাবার ইচ্ছে আছে , গেলে লিখব নিশ্চয়। ঝাঁঝরিগুলো সামনা সামনি খুবই সুন্দর লাগে , ঠিকই বলেছেন , অনেকটা গির্জাতে যেমন রঙিন কাঁচের মধ্যে দিয়ে বড় ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়। 
     
    ডিসি , জামনগর তো জগৎ বিখ্যাত জায়গা এখন :D
     
    দ দি , কাশ্মীর - লেহর পরের পর্ব অনেকদিন আসেনি।
  • | ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১০:০৬539341
  • হুঁ। এক তো ছবি দেওয়ার ঝামেলায় আর দ্বিতীয়ত ল্যাপীর কিবোর্ড গেছে। মোবাইলে অত টাইপাতে পারি না। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:414d:9605:52c1:***:*** | ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১০:২১539342
  • পাপাঙ্গুল, সেই প্ল্যান্ট কমিশান হওয়ার সময়ে আমি ওখানে কাজ করেছিলাম। মানে আমার নিজের রোল একটা পিঁপড়ের চেয়েও ছোট ছিল, কিন্তু ঐ সাইজের প্ল্যান্ট কমিশানিং স্টেজে কাজ করা বেশ কিছুটা সৌভাগ্যের ব্যাপার। তখন সেটা ছিল এশিয়ার সবচাইতে বড়ো রিফাইনারি। ছোট বড়ো অনেক অ্যাক্সিডেন্ট, আউট অফ সেফটি ইভেন্ট, গ্যাস লিক, আগুন দেখেছি। একবার অর্দ্ধেক প্ল্যান্ট ইভ্যাকুয়েট করতে হয়েছিল, পরের দিন মোটাভাই টিম নিয়ে হেলিকপ্টারে করে উড়ে এসেছিল :-)
  • Pad Gaon | ১১ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:০৯539389
  •  
    সত্যাগ্রহ ফিনিক্স 
  • Pad Gaon | ১১ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:১২539390
  •  
    সত্যাগ্রহের দেওয়ালে 
     
    ফিনিক্স ডারবান 
  • পাপাঙ্গুল | 103.87.***.*** | ১১ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:৫০539399
  •  
     | ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১০:০৬
    আচ্ছা কীবোর্ড ঠিক হলে দেবেন। 
     
    @ডিসি , রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা :D
     
    ফিনিক্সের স্মৃতির ছবি দেখে ভাল লাগল হীরেনদা। অন্যটা টলস্টয় ফার্ম মনে হয় জোহানেসবার্গের কাছে। 
  • হীরেন সিংহরায় | ১২ নভেম্বর ২০২৪ ০০:০৫539401
  • না ওটা সত্যাগ্রহের দেওয়ালে দেখেছি। সে সময়ে আফ্রিকানদের সম্বন্ধে তাঁর মনোভাব অন্য রকম ছিল। আমার আফ্রিকা বইয়েতে লিখেছি এ বিষয়ে । 
  • পাপাঙ্গুল | 103.87.***.*** | ১২ নভেম্বর ২০২৪ ০০:৩৪539402
  • হ্যাঁ আপনার ছবিগুলো ফিনিক্সের সত্যাগ্রহের বুঝতে পেরেছি। টলস্টয় ফার্মে গেছিলেন কিনা জিজ্ঞেস করছিলাম। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:6c91:796f:249e:***:*** | ১২ নভেম্বর ২০২৪ ০০:৫২539403
  • দারুণ লেখা + ছবি heart
  • পাপাঙ্গুল | 103.87.***.*** | ১২ নভেম্বর ২০২৪ ০১:০৬539404
  • ধন্যবাদ অরণ্যদা yes
  • Pad Gaon | ১২ নভেম্বর ২০২৪ ০১:৩১539405
  • না  যদিও কাজে অনেকবার জোহানেসবুরগ গেছি টলসটয় ফারমে যাওয়া হয় নি। তবে একদিন রবেন আইল্যানড গিয়েছি । অশ্রুপাত করেছি। 
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ২২:২২539467
  • ইতিহাস-ভূগোলের সচিত্র বিবিরণের এই সুন্দর মিশ্রণে সাজানো লেখা মন ভরিয়ে দিল (বরাবরের মত smiley)।
     
    কালো বোর্ডে সাদা হরফে  বিজ্ঞপ্তির ঐ শেষ অংশে শারীরিক অন্তরঙ্গতার ন্যূনতম প্রকাশের প্রতি এত পরিষ্কার ভাবে নিষেধের ঘোষণা আগে কোথাও দেখেছি বলে মনে পড়েনা। নিঃসন্দেহে রেকর্ড করে রাখার মত। 

    সামনের লেখা আসতে অনেক দেরী হবে বলে জানালে। ঠিক আছে সেই ফাঁকে আগের লেখাগুলো পড়ে ফেলতে থাকি। smiley
  • পাপাঙ্গুল | 103.24.***.*** | ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ০২:০৩539472
  • ধন্যবাদ অমিতাভদা। 
     
    এত পরিষ্কার ভাবে নিষেধের ঘোষণা আমিও আগে দেখিনি , তাই তুলে রাখলাম laugh
     
    বেড়ানোর সুযোগ পেলেই সামনের লেখা চলে আসবে yes
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন