এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  পথ ও রেখা

  • আলমোড়া

    পাপাঙ্গুল লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | পথ ও রেখা | ০৬ জুলাই ২০২৪ | ৩৩৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • যমুনা পেরিয়ে দিল্লির আনন্দ বিহার টার্মিনাস , গাজিয়াবাদ সীমানা লাগোয়া। কুমায়ূন যাবার জন্য উত্তরাখন্ড সরকারের বাসগুলো এখান থেকে ছাড়ে। ঠান্ডা বাস যাবে শুধু হল্দওয়ানি , সেখান থেকে 'সাধারণ' বাসই ধরতে হয় ওপরে যাবার জন্য। ঠান্ডা বাস অত ওপরে চড়ার মত অবস্থায় থাকে না। তার থেকে সোজা আনন্দ বিহার থেকে রাণীক্ষেত সাধারণ বাসে গেলে , রাত আটটার সময় ছেড়ে ভোর ছটায় নামিয়ে দেয়। 
     
    অতঃপর হাপুর , মোরাদাবাদ পেরিয়ে রামপুরের রাস্তায়। জাতীয় সড়কে বাসচালক অনায়াস স্টিয়ারিং ছেড়ে দিয়ে খৈনি ডলে, বোতল থেকে জল খায় , দেশলাই জ্বেলে বিড়ি ধরায়। সড়কের ধারে ঝকঝকে প্রাসাদোপম ধাবায় ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে নামা হাফ প্যান্ট , স্নিকার্স আর টি শার্ট পরা ভারতীয়দের ভিড়। জ্বলজ্বলে হোর্ডিংয়ে ক্ষীর মটকা চা র বিজ্ঞাপন। সেসব ছাড়িয়ে যে সস্তা ধাবায় সরকারী বাসেরা থামে , সেখানে চত্ত্বরে হেঁটে বেড়ানো ছোটদের জুতোর তলায় লাল নীল সবুজ আলো জ্বলছে নিভছে। ধাবার উঠোনে অসুস্থ পশুদের চিকিৎসার জন্য লাল রঙের দাতব্য বাক্স রাখা।
     
     
    নতুন তৈরী হওয়া অন্ধকার রুদ্রপুর বাইপাসে দুদিকে জঙ্গল , বোঁটকা গন্ধ। চোখের সম্বল বলতে লাল হলুদ রিফ্লেক্টর আর উল্টোদিকের লেন থেকে ঝাপিয়ে পড়া কড়া আলো। রাস্তার মাঝে দুখানা ট্রেনলাইনের লেভেল ক্রসিং। এ রাস্তায় বাসের সামনে যাচ্ছে ওপরে সুটকেস বোঝাই করা টুরিস্ট জিপ। রাত আড়াইটের সময় খাঁ খাঁ হলদোয়ানির রাস্তা দিয়ে নৈনিতাল যাবার আগেই জেওলিকোট শর্টকাট ধরে বাস ভোয়ালিতে উঠে এল। কোনো কোনো পাকদন্ডীতে জোরে ব্রেক কষার ফলে টায়ার পোড়া গন্ধ। ভোর চারটের সময় আলো ঝলমলে কাইনচি ধামে ভিড়। 
     

    ভোরবেলার রাণীক্ষেতে সবে ঘুম ভাঙছে।
     
     
    এত সকালেই বাসস্ট্যান্ডের পাশে নানাবিধ জায়গায় যাবার শেয়ার ট্যাক্সির ভিড়। কিন্তু একটু হেঁটে দেখে বেলা হলে তারপর আলমোড়া যাবার ইচ্ছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে এখান থেকেই ত্রিশূল , নন্দাদেবীর টানা পাহাড় দেখা যাবার কথা। কিন্তু মেঘ করে আছে। 
     

    নৈনিতাল ব্যাংকের রানীক্ষেত শাখা থেকে ওপরে ওঠার রাস্তা ধরলে রানীক্ষেত সেনা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা শুরু হয়ে যায়। এটা সেনা স্কুলের খেলাধুলোর মাঠ। 
     

     

     

     
    রানীক্ষেত ক্যান্টনমেন্ট মূলত ভারতীয় সেনার কুমায়ুন , নাগা এবং লাদাখের স্কাউটস এই তিন রেজিমেন্টের প্রশিক্ষণ এবং ক্যাম্প। ১৯৪৭ সালে বুদগামের ইন্দো পাক যুদ্ধ , ১৯৬২র রেজ্যাংলায় ইন্দো চীন যুদ্ধে কুমায়ুন রেজিমেন্ট লড়েছিল , সেসব রাস্তার ধারে স্মারক বোর্ডে লেখা আছে। 
     
     

    এই ক্যান্টনমেন্ট রাস্তার দুধারে গির্জা, সেনা হাসপাতাল, বাংলো, অফিসারদের মেস হল। মাঝে মাঝে হাঁটতে হাঁটতে জিরোনোর জন্য ফাঁকা বেঞ্চ বা ছোট পার্ক।
     
     

     
    রাস্তায় পাইনের ফল খেতে ব্যস্ত বাঁদরের দল। 
     

    টেনিস কোর্ট 
     

    সেই রাস্তা ধরে প্রায় একঘন্টা হাঁটতে থাকলে ঝুলা দেবী মন্দির , যেখানে হাজারের মত ঘন্টা ঝোলানো ছিল। 
     
    আবার রানীক্ষেতে ফিরে এসে , আলু পরোটা চা খেয়ে শেয়ার ক্যাব স্ট্যান্ডের দিকে এগোনো। কোশি , পান্ডেখোলা হয়ে আলমোড়া যেতে দেড়ঘন্টা , সত্তর টাকা। টাটা সুমোতে চালক ছাড়া আট জন যাত্রী। 
     
    রানীক্ষেত চক থেকে বেরোতে না বেরোতেই সোমনাথ দ্বারের পাশে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি। ভেতরের মাঠে কুমায়ুন রেজিমেন্টের অগ্নিবীরদের কসম প্যারেড শেষ করে সবাই বেরোচ্ছে। এই দিন তাদের ট্রেনিং শেষ হয় এবং বাড়ি থেকে তাদের প্যারেড দেখতে , ছবি তোলাতে বাড়ির লোকজন আসে। অনেকটা কলেজ গ্র্যাজুয়েশনের মত ব্যাপার। 
    যানজটে ফেঁসে চালক গজগজ করছিল - "কসম প্যারেড আমরাও করেছি। আগে শুধু বাবা মা কে ডাকত। এখন পুরো পাড়া শুদ্ধ ডেকে নেয়। অগ্নিবীর তো কিরকম ফাঁকিবাজি দেখছি। কিছুই শেখায় না এখন। বা*র ট্রেনিং। আমিও দশবছর ছিলাম রেজিমেন্টে। আমাদের সময় কত শক্ত ছিল।" পিছন থেকে এক সওয়ারী ফুট কাটল - "আমি কমার্স এম কম , সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির ব্যবসা করি। আমি অগ্নিবীর পাব না?"
     

    রানীক্ষেত থেকে আলমোড়ার রাস্তায় 
     

     

     
    মাঝখানে এক গ্রামে দশ মিনিট থেমে জিরিয়ে নেওয়া গাড়ি। 
     

    বেগুনি ফুলগাছ 
     
    গাড়িগুলো ইউনিয়নের। এরা চালান। ইউনিয়নকে কিছু দিতে হয়। কুমায়ুনের স্থানীয় মানুষদের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাতায়াতের জন্য বড় বলভরসা এই সব শেয়ার ট্যাক্সি। সমস্ত শেয়ার গাড়িগুলোতে ড্যাশবোর্ডের ওপর নকল ঘাসের সবুজ চাদর। চালকরা সমস্ত খুচরো নোট ড্যাশবোর্ডের ওপর অথবা চাদরের নিচে ছড়িয়ে রেখেছে। বেগুনি কমলা সবুজ। খুচরো ফেরত দিতে সুবিধা হয়। একহাতে বাঁকে গাড়ি ঘোরাতে ঘোরাতে অন্যহাতে রিমোট দিয়ে তারা গাড়ির স্পিকারের গান বদলায় , আওয়াজ কমায় বাড়ায়। এছাড়াও পাহাড়ি রাস্তায় বাঁক নেবার সময় টুং টুং করে বেজে ওঠে পিছনে দেখার আয়নাতে লাগানো পিতলের ঘণ্টা।
     

    আলমোড়া , পাহাড়ের গায়ে
     
     
    আলমোড়ায় পৌঁছে দেখা গেল অন্য সব পাহাড়ি জনপদের মতই। সব একই ঘিঞ্জি ম্যাল রাস্তা, পুলিশ চৌকি, ভাড়া গাড়ির ডাকাডাকি। পাকদণ্ডী রাস্তা বেয়ে উঠতে নামতে না চাইলে উঁচু সিঁড়ির ধাপের গলির শর্টকাট। ইলেকট্রিক তার জড়িয়ে ঝুলে থাকা বাঁদর। কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে , আলমোড়া থেকে কাসার দেবী যাবার শেয়ার ট্যাক্সি। গাড়ি এই পাহাড় থেকে নেমে আরেক পাহাড়ে উঠতে শুরু করে , এইসময় দূরের পাহাড়ে মেঘ করে বৃষ্টি শুরু হল। 
     
    কাসার দেবী মন্দিরকে ঘিরেও এখন আস্ত জনপদ। হোমস্টে , খাবারের দোকান , হোস্টেল , রিসর্ট, হোটেল। গাড়ি মন্দিরের ধাপের সামনে নামিয়ে দিয়ে পঞ্চাশ টাকা নিয়ে চলে গেল বিনসরের দিকে। মন্দিরে ওঠার জন্য একশোর কাছাকাছি উঁচু উঁচু লাল রঙের ধাপ। 
     

     
    কাসার দেবীর পাহাড়চূড়া থেকে দূরে আলমোড়া 
     

     
    আধঘন্টা বসে থাকার পরে থাকার জায়গায় যাব বলে আবার সিঁড়ি ভেঙে নিচের দিকে নামি। রাস্তার ধারে কিছু খাবারের দোকান। সেরকম একটায় ফাঁকা বারান্দার টেবিলে , সোফার আচ্ছাদনে পাতলা ধুলোর স্তর। বারান্দার এককোণে একটা বড় খাঁচার মধ্যে লোমওলা পারস্যিয় বিড়াল। খাঁচার মধ্যে ছোট ঘর , গাছের মোটা ডাল ফেলা। সে মাঝে মাঝে গাছ বেয়ে উঠে যাচ্ছে। খাঁচার এককোণে আধ ভর্তি জলের পাত্র। হালকা বোঝা যায় আনলক সময়কালীন স্টেকেশনের সময় এসব জায়গা গমগম করত রিমোট ওয়ার্কারদের ভিড়ে। এখন খালি , অযত্নের ছাপ। 
     

    খাবার জায়গার বারান্দা থেকে। এটা পূর্ব দিক , কাসার দেবীর উল্টো দিকে। 
     
    থাকার জায়গা এক হোস্টেলের দশ জনের ডর্মিটরিতে।  দোতলা বাংক বেডে শোবার জায়গা। একটাই কমন বাথরুম , আর একটা আলাদা চানের জায়গা। বিছানায় একটা পর্দা দেওয়া যেটা এদিক ওদিক পুরোটা টেনে দেওয়া যায়। ভেতরের দেওয়ালে একটা চার্জিংয়ের পোর্ট। কিছু ছেলেমেয়ে ঘরে ছিল। যা বুঝলাম , এরা অনেক দিন ধরে আছে। এক মেয়ে ইংরেজি বই পড়ছিল। এক ঝলক দেখলাম সেটা মহাভারত কেন্দ্রিক কোনো ভারতীয় আখ্যান , অথচ ইংরেজিতে লেখা। 
     
    সন্ধেবেলা আরেকবার বেরোতে গিয়ে বৃষ্টি শুরু হল। কাজেই হোস্টেলে আটকে। খাবারের দাম অযৌক্তিক বেশি। 
     

    হোস্টেলের ভেতরের উঠোন
     
     
    শুতে যাবার সময়েও বাইরে বৃষ্টি পড়ছে। মাঝে মাঝে দূরে কোথাও বাজ পড়ার আওয়াজ। মোটা কম্বল , মাথায় দেবার জন্য দুটো বালিশ। 
     
    সকালেও আকাশ পরিষ্কার হয়নি। এই সময় কাসার দেবী মন্দির বন্ধ থাকলেও চত্ত্বর ফাঁকা। 
     

    সকালবেলা দুই বাঁদর 
     

     
    কিছুক্ষণ বাদে মন্দির খোলার পর দেখি জায়গাটা ধ্যান চত্ত্বর হয়ে গেছে। অল্পবয়সী দম্পতিরা এসে কোনো সিদ্ধিলাভের আশায় sজোড়ায় জোড়ায় চোখ বন্ধ করে পাঁচ মিনিট করে ধ্যানের মত আসনে বসে যাচ্ছেন। তার মধ্যে মুখ দিয়ে জোরে জোরে ওম শব্দ , কপালভাতি এইসবও চলছে দেখে ঠিক করলাম এবার আলমোড়া ফেরত যাওয়া যাক। সেখান থেকে কাটারমল যাবার ইচ্ছে আছে। এগারোশো বছর আগে এই মধ্য হিমালয়ের অঞ্চলের কট্যুরি বংশের কাতারমল্ল রাজার বানানো সবথেকে বড় সূর্যমন্দির। মূল মন্দিরকে ঘিরে খাজুরাহোর চৌষট্টি যোগিনী বা মোরেনার বটেশ্বরের মন্দিরগুচ্ছের মত একগাদা ছোট ছোট মন্দির আছে। 
     
    আলমোড়ায় ফিরে স্ট্যান্ডের গাড়ি প্রথমে বলল এখান থেকে কাটারমল যাবার গাড়ি পাবেন না। কোশ গিয়ে সেখান থেকে আলাদা একলা গাড়ি ভাড়া নিতে হবে। তারপর কিছুক্ষণ বাদে নিজেই বলল আচ্ছা আপনাকে ওপরে কাটারমলে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেব। আলমোড়া ফেরত নিয়েও আসব। তবে এখন শেয়ারে কোশ অবধি বাকিদের নিয়ে যাব আর ফেরত পথে কোশ থেকে আলমোড়ার সওয়ারীদেরও তুলব। ভাল কথা। চারশো টাকায় রফা। গাড়ি আবার কালকের রাস্তায় গড়ায়। আলমোড়া আসার পথে ডানদিকে একটা রাস্তা নিলে কাটারমল , কালকে খেয়াল করেছিলাম। কাটারমলে যেখানে গাড়ি দাঁড়ায় , সেখান থেকে উঁচু উঁচু সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠতে হয় অনেকখানি। রাস্তায় কিছু হোমস্টে , দোকান। মন্দিরটি এ এস আই এর রক্ষণাবেক্ষণে প্রোটেক্টেড স্থাপত্য। পাশে কে এম ভি এন লজও খুলেছে। 
     

     

     

    প্রায় পয়ঁতাল্লিশটার মত ছোট ছোট মন্দির। ভেতরে বিগ্রহ নেই।  
     

     
    বাইরের চাতালে ঠান্ডা ছায়াতে কয়েকজন বিদেশী ধ্যানরত, একজন সটান শুয়ে আছে গাছের নীচে।
     

    কাটারমল থেকে দূরের দৃশ্যাবলী 
     
    আবার আলমোড়ার চকে ফেরত এসে বাজারের মধ্যে নন্দা দেবী মন্দিরের দিকে যাওয়া। এছাড়া কাসার দেবীর রাস্তায় পাতাল দেবীর মন্দিরও আছে। আলমোড়া নানা প্রাচীন মন্দিরের জায়গা। 
     

     

     

    নন্দা দেবী মন্দিরের গায়ে মজার প্রাচীন কারুকার্য। একটা ফ্রেমে ঘোড়সওয়ারের মূর্তি চোখে পড়ল যেটা সহজে মন্দিরের গায়ে দেখা যায় না। 
     
    এরপর সোজা ম্যাল রাস্তা ধরে হেঁটে হেঁটে রামকৃষ্ণ কুটিরের দিকে যাওয়া। পুরোনো আলমোড়া চক পেরোতে বাঁদিকে ICAR এর বিবেকানন্দ পার্বত্য কৃষি অনুসন্ধান সংস্থানের আলমোড়া ক্যাম্পাস। ডানদিকে আলমোড়া ক্রিকেট স্টেডিয়াম। 
     

     
    হাঁটতে না চাইলে আলমোড়া বাজার থেকে রামকৃষ্ণ কুটীর পর্যন্ত টোটো চলছে। এই দিকটায় নতুন শপিং মল , মাল্টিপ্লেক্স এসব।
     

    ম্যাল রাস্তার একদম শেষে উল্টোদিকে আলমোড়া পাহাড়শ্রেণী। এই বাড়িগুলোই সম্ভবত রামকৃষ্ণ কুটীরের। 
     
    এই রাস্তার পাশেও ক্যাফে খুলে গেছে। রোদ চড়া হলেও গরম লাগছে না কারণ হাওয়া দিচ্ছে। ক্যাফেতে বসে কিছুক্ষণ জিরিয়ে এবার টোটো ধরে আলমোড়া বাজার ফেরার পালা। আলমোড়ায় সরকারি বাস স্ট্যান্ড বলে কিছু নেই। বাস রাস্তার ধারে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে। সেখানে ল্যাম্পপোস্টের গায়ে একটা সাইনবোর্ড - "এখানে সরকারি বাস থামবে।" পাশের গলিতে এক বাড়ির ভেতর তিন চারখানা বেঞ্চিতে যাত্রীদের অপেক্ষা করার জায়গা। বাইরে কয়েকটা মিষ্টির দোকান। স্থানীয়রা দিল্লি কাজে ফেরত যাবার সময় কিনে নিয়ে বাসে উঠে পড়ে। রাস্তার ধারে কয়েকজন বসে পথচলতি লোককে জিজ্ঞেস করছিল কেউ কান পরিষ্কার করাতে চায় কিনা। বুঝলাম এ এক ধরণের লুপ্ত জীবিকা। যাযাবর শ্রেণীর এরা বংশানুক্ৰমে অন্যদের কান পরিষ্কার করে। 
     
    ফিরতি বাসে পাহাড় থেকে নামতে নামতে মনে হল অনেকদিন সমুদ্রের ধারে যাওয়া হয়নি, এবার সমুদ্রের ধারে যেতে হবে। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ০৬ জুলাই ২০২৪ | ৩৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ইন্দ্রাণী | ০৬ জুলাই ২০২৪ ০৭:৫১534237
  • আপনার এই লেখাগুলিতে স্ক্র্যাপবুকের পাতা উল্টোনোর অনুভূতি হয়। সকালটা একদম অন্যরকম হয়ে গেল আজ।
  • পাপাঙ্গুল | ০৬ জুলাই ২০২৪ ১২:১৬534256
  • ধন্যবাদ ইন্দ্রাণীদি। স্ক্র্যাপবুকের কথা মাথায় রেখেই লেখা। 
  • | ০৬ জুলাই ২০২৪ ১৪:২১534261
  • রুদ্রপুর বাইপাস কি করবেট ছুঁয়ে গেছে? প্রচুর জমি অধিগ্রহণ করছিল দেখেছিলাম। 
     
     ১৯৬৫ সালেই আমার বাবা আলমোড়া 'বড্ড ঘিঞ্জি' বলে বাতিল করে রাণীক্ষেত হয়ে কৌসানি  চলে গেছিল। laugh
     
    এর পরেই বোম্বে তার মানে। 
    লেখা তো খাসা। ছবিও।
  • সুদীপ্ত | ০৬ জুলাই ২০২৪ ১৪:৩৮534262
  • বাহ! ভালো লাগলো।
    বছর দশেক আগে গিয়েছিলাম, বিনসর থেকে আলমোড়া ঘুরে নৈনিতাল নামছিলাম, এত ঘিঞ্জি লেগেছিল, আর ভিড়,  আলমোড়া ঘুরে দেখার ইচ্ছে চলে গিয়েছিল, সোজা নেমে এসেছিলাম।
    তবে দূর থেকে পাহাড়ের গায়ে লেগে থাকা আলমোড়া বেশ ছবির মতো।
  • পাপাঙ্গুল | ০৬ জুলাই ২০২৪ ১৯:২৪534271
  • ধন্যবাদ দ দি , সুদীপ্ত। একটা ভুল হয়ে গেছে। ওই রুদ্রপুর বাইপাস মনে হয় এখনো তৈরী শুরু হয়নি। টান্ডা জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যে রাস্তাটা রুদ্রপুর থেকে হলদওয়ানি যায় সেটা বোঝাতে চেয়েছি। তবে এই রাস্তাটাও দেখে মনে হল নতুন। আগে ছিল?
     
    জেলার সদর দফতর বলেই মনে হল আলমোড়া এত ঘিঞ্জি। কিন্তু আলাদা সরকারি বাস স্ট্যান্ডের জায়গা নেই দেখে অবাক হয়েছি। রানীক্ষেতে যেমন আলাদা ডিপো বানিয়ে রেখেছে। 
     
    হ্যাঁ এরপর বোম্বে আর দমন আসবে। তারপর আবার কদিন গ্যাপ। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন