এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • ম্যাকলিওডগঞ্জ

    দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ৩০ জুন ২০২৩ | ১১৫৭ বার পঠিত
  • ২০২৩, গরমকাল। ম্যাকলিওডগঞ্জ জায়গাটার নাম কদিন আগেও জানতাম না। এটুকু জানতাম দলাই লামা নির্বাসনে থাকা তিব্বত সরকার পরিচালনা করেন ধরমশালা বলে হিমাচল প্রদেশের একটা জায়গা থেকে। সেটাও ছোটবেলায় ডিডি মেট্রোতে দেখা একটা তথ্যচিত্র থেকে জানা। তথ্যচিত্রের নামধাম কিচ্ছু মনে নেই শুধু মনে আছে সেই তথ্যচিত্রে একজন তিব্বতি যুবক বৃষ্টির মধ্যে ছাতা মাথায় দিয়ে একটা পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেই ছাতার গায়ে লেখা ছিল - "বয়কট অল গুডস মেড ইন চায়না"।  

    সেই ধরমশালা যাবো ভেবে নেটে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে দেখলাম দলাই লামা আসলে থাকেন ম্যাকলিওডগঞ্জ বা আপার ধরমশালা বলে একটা জায়গায়। লোয়ার ধরমশালা একটা মিলিটারি ক্যান্টনমেন্ট, এছাড়াও হিমাচল প্রদেশের শীতকালীন রাজধানী এবং একটা ক্রিকেট স্টেডিয়াম আছে। কাংড়া, ধরমশালা, ম্যাকলিওডগঞ্জ সব জায়গা থেকেই সামনে দেখা যায় ধওলাধার পর্বতমালা। যত ওপরের দিকে যাবেন তত আরো সামনে এগিয়ে আসবে। ম্যাকলিওডগঞ্জ অনেকে যায় ত্রিউন্ড বলে একটা জায়গায় ট্রেক করার জন্য। ট্রেক বিশেষজ্ঞদের মতে এটা হিমালয়ের সবথেকে সোজা ট্রেক এবং বাচ্চারাও করতে পারে, ট্রেকিংয়ের জুতো বা অন্যান্য গিয়ার না হলেও চলে। 

    ট্রেনে গেলে পাঠানকোট স্টেশানে নেমে ম্যাকলিওডগঞ্জের বাস ধরা যায়। অথবা ভারতে পাঁচটা খেলনা ট্রেন চলে - দার্জিলিং , কালকা - শিমলা, নীলগিরি , মাথেরান এবং কাংড়া উপত্যকার। এর মধ্যে প্রথম তিনটে চড়া হয়ে গেছে। পাঠানকোট থেকে খেলনা ট্রেন কাংড়া হয়ে যোগিন্দর নগর পর্যন্ত যায়। সমস্যা হচ্ছে এই ট্রেনটা অনলাইনে বুক করা যায় না। ভোরবেলা পাঠানকোট স্টেশনে নেমে টিকিট কাটতে হবে। পরে একদিন করা যাবে নাহয়। এ যাত্রায় হবে না। 

    শেষে ভেঙে ভেঙে যাবার বদলে সোজা দিল্লির কাশ্মীরি গেট বাসস্ট্যান্ড থেকে হিমাচল পরিবহণের এসি সেমী স্লিপার 'হিমসুতা'র যাওয়া আসার টিকিট কেটে ফেললাম। এগারো ঘন্টা লাগার কথা। সেমি স্লিপার বাসগুলোতে সিটটা কিছুটা পিছনের দিকে হেলানো যায়, আর হাঁটুর নিচে একটা ওরকম প্লেন জায়গা থাকে যেটা অনেকটা তুলে এনে আপনি পা দুটোকে কিছুটা কোণ  করে রাখতে পারেন। ত্রিভঙ্গ মুরারীর মত এরকম অবস্থায় খুব গভীর ঘুমোনো সম্ভব নয়, সেই জন্যই মনে হয় রসিকতা করে সেমি স্লিপার নাম রাখা হয়েছে। তবে চাকা মাল্টি এক্সেল বলে বাসের ঝাঁকুনি নেই। 

    বাস মুরথাল, পানিপত, কর্নাল, কুরুক্ষেত্র, আম্বালা হয়ে চলতে থাকে। এই জাতীয় সড়কই দিল্লী থেকে পাঞ্জাব, জম্মু কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ যাবার প্রধান রাস্তা। আম্বালায় এসে একটা রাস্তা পাঞ্জাবের দিকে বেঁকে যায়, আর অন্য রাস্তা ওপরের দিকে উঠে চন্ডিগড় এবং সেখান থেকে হিমাচল এবং জম্মু কাশ্মীরে যায়। বাস চন্ডিগড়ের রাস্তায় চলল, রাত দুটোর সময় চন্ডিগড় থেকে বাঁদিকে বেঁকে রূপনগর এবং ভাকরা নাঙ্গালের জাতীয় সড়ক। নাঙ্গালের ওপরের ব্রীজে ভিড় থাকে বলে বাসচালক জাতীয় সড়ক ছেড়ে পাশের একটা শর্টকাট ধরলেন। ভোর পাঁচটায় বাস দাঁড়াল উনাতে। তারপর অম্বা, জ্বালামুখী হয়ে সাতটার সময় কাংড়া উপত্যকায় পৌঁছল। কাংড়ায় একটা পুরনো কেল্লা আছে, জাহাঙ্গীর দখল করার আগে যা কাংড়া স্বাধীন স্টেটের রাজপুত রাজাদের জায়গা ছিল। কাংড়া থেকে এবার বাস ধীরে ধীরে ওপরে উঠতে শুরু করবে।


    পাহাড়ের ওপর কাংড়া দুর্গ, বাস থেকে তোলা 

    সকাল নটার সময় বাসস্ট্যান্ডে নেমে ম্যাকলিওডগঞ্জের প্রধান চকটা পাঁচমিনিটের হাঁটা। এখানে যাবতীয় স্থায়ী এবং অস্থায়ী দোকানপাট, হোটেল, খাবার জায়গা। এই স্কোয়ার থেকেই ধরমশালা যাওয়া আসার জন্য টাটাদের 'ধরমশালা স্কাইওয়ে' রোপওয়ে চলে।
     

    সকাল নটার সময় ম্যাকলিওডগঞ্জ স্কোয়ার 

    ত্রিউন্ডের ট্রেক শুরু করতে হবে বলে আপাতত চকে দেরী না করে একে তাকে জিজ্ঞেস করে হেঁটে হেঁটে ধরমকোটের রাস্তায় উঠতে থাকলাম। ধরমকোট মূল ম্যাকলিওডগঞ্জ থেকে অল্প ওপরে একটা ছোট গ্রাম। বিদেশী এবং দেশীয় ব্যাকপ্যাকারদের নিরিবিলি আস্তানা এবং হোমস্টের সারি। ম্যাকলিওডগঞ্জ চক থেকে ধরমকোট হেঁটে প্রায় আধঘন্টা। হাঁটতে না চাইলে ওয়ান ওয়ে ড্রপ করার ট্যাক্সি আছে মূল স্কোয়ার থেকে, ছশো টাকা ভাড়া। 




    ধরমকোট যাবার রাস্তা থেকে ম্যাকলিওডগঞ্জ  
     

    ধরমকোট যাবার রাস্তায় 


    পাহাড়ের কোলে ধরমকোটের ঘরবাড়ি  

    ধরমকোট থেকে অল্প ওপরে উঠলে গাল্লু দেবী মন্দির। এখান থেকেই ত্রিউন্ডের মূল ট্রেক শুরু। তার আগে একটা ছোট দোকানে ম্যাগি আর চা খেতে বসে গেলাম। ছায়ায় বসে খেতে খেতে দেখছিলাম ত্রিউন্ডে  রাতভোর তাঁবুতে থাকার পর এখন অনেকে নেমে আসছেন। একটা রাশিয়ান পরিবার ট্রেক শেষে জিরিয়ে নিচ্ছিল, তাদের বাচ্চা মেয়েটার বয়স মনে হল পাঁচ ছ বছর। মাথায় টুপি, হাতে ছোট লাঠি। পিছনে বসে একটি আমেরিকান কলেজপড়ুয়া ছেলে এবং তার হিমাচলী গাইড আলু পরোটা খেতে খেতে গল্প করছিলেন। ছেলেটির বাবা ভারতীয় এবং আইআইটি কানপুরের মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। মানবতত্ত্ব নিয়ে পড়ে  গরমের ছুটিতে ইন্টার্নশিপ না করে সে একটা ট্রাস্টের কাছে দরখাস্ত করেছিল দুমাসের জন্য ভারতে আসা এবং ঘুরে দেখার জন্য। তারা তার যাওয়া আসার প্লেনের ভাড়া এবং কিছু স্টাইপেন্ড দিয়েছে। সেই নিয়ে এখানে। হিমাচলের পর সে গোয়া যাবে একমাসের জন্য। 

    ব্রেকফাস্ট শেষে হাঁটার লাঠি ভাড়া নিলাম দশ টাকায়। ট্রেক শেষে লাঠি ফেরত দিলে পঞ্চাশ টাকা সিকিউরিটি ডিপোজিট ফেরত। লাঠিটা সঙ্গে থাকলে পাহাড় থেকে নেমে আসার সময় হাঁটুতে চাপ পড়ে না। 
    ট্রেকের রাস্তা থেকে নিচে ক্রমান্বয়ে ধরমকোট, ম্যাকলিওডগঞ্জ, ধরমশালা এবং একদম দূরে কাংড়া উপত্যকা   

    ট্রেক করতে সময় লাগে মোট ছ - সাত ঘন্টা। চার ঘন্টা উঠতে, দু ঘন্টা নামতে। ত্রিউন্ডে অনেকে রাতে ক্যাম্পিং করে ভোরবেলা সূর্যোদয় দেখে, তারপর আরো আগে স্নোলাইন অবধি ট্রেক করে যায়। আপাত সহজ বলেই মনে হয় এটা একটা জনপ্রিয় ট্রেক এবং বিদেশীরাও আসেন দলে দলে। তবে এবড়ো খেবড়ো পাথর, সাবধানে পা ফেলতে হয়। 
     
    অর্ধেক ট্রেক করার পর ধওলাধারের চূড়ার দর্শন 

    আধখানা রাস্তা এসে ছোটো তিন চারটে চা, ম্যাগী এরকম হালকা খাবারের দোকান। সেখানে কিছুক্ষণ থেমে জিরিয়ে নিচ্ছেন অনেকে। এরপরের বাকি রাস্তা একেবারে চড়াই। 
     

    অর্ধেক ট্রেক করার পর পিছন ফিরে বহুদূরে জনপদ 


     

    পাথুরে রাস্তায়(?) যাত্রা, যেতে হবে ওই ওপর পর্যন্ত 


    পাহাড়ী ছাগলরা মানুষদের হাঁপিয়ে যেতে দেখে মজা পাচ্ছে 
     

    ধীরে ধীরে মেঘ ডাকতে লাগল। এখানকার গাছপালা সবুজ। পাথর স্যাঁতস্যাঁতে। 
    পৌঁছে গেছি ত্রিউন্ড
     
    ত্রিউন্ডে একটা ছোট অস্থায়ী দোকান আছে চা জলখাবারের। এখানে রাত্তিরে তাঁবুতেও থাকা যায়। এখানে সমতল জমির ওপর ব্যাগ রেখে কেউ কেউ হালকা হয়ে চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।হঠাৎ একপাল ঘোড়া এসে দুটো ব্যাগের চেন মুখ দিয়ে খুলে কমলালেবু আর পাউরুটি খেয়ে নিতে থাকল আর সবাই ধওলাধারের নিসর্গ শোভা ছেড়ে সেই ভিডিও তুলতে লাগলেন। ব্যাগের মালিকরা সবার সামনে হাস্যাস্পদ হবার ভয়ে এগিয়ে এসে ঘোড়াগুলোকে তাড়াবার সাহস পেলেন না।  
     
    ঘোড়াদের খাওয়াদাওয়া  


     



    জনপদ বহুদূরে 
     

    আরো দূরে বরফরেখার ট্রেক, কাছে মনে হলেও ওখানে যেতে আরো দু ঘন্টা লাগে
     

     
    আধঘন্টা ত্রিউন্ডে ফাঁকা আকাশের নিচে বসে থাকার পর আড়াইটে বাজলে নামতে শুরু করলাম। নামতে নামতে বৃষ্টিও নেমে গেল। দশমিনিট দাঁড়াতে হল গাছের আড়ালে। এই বিকেল তিনটের সময়ও অনেকে ওপরে উঠছে। এরা মনে হয় রাত্তিরে থাকবেন। পাহাড়ের এই জাদু, এই নীল আকাশ আবার দশ মিনিট বাদেই মেঘ করে এসে ঝুপঝুপ বৃষ্টি। আবার দশমিনিট বাদে মেঘ সাফ। 

    ধওলাধার - নামতে নামতে ফিরে দেখা 
     
    পাঁচটার সময় মেন চকে এসে চিকেন মোমো আর নিরামিষ থুকপা। তিব্বতীদের কালচক্র মন্দির বা দলাই লামার নামগয়াল গুম্ফায় বাইরে থেকে ঘোরাঘুরি করে দেখলাম। বন্ধ হয়ে গেছিল বলে ছবি তোলা হয়নি। ফিরতি বাসও সন্ধ্যে সাতটার সময়। যে বাসে সকালে এসে নামলাম, সেটাই আবার ফিরবে। 
     

    ফেরার সময় ম্যাকলিওডগঞ্জ থেকে নামার মুখেই রাস্তার ধারে পাইন বনের মধ্যে সেন্ট জনের গির্জা, বাস থেকে তোলা। এখানে আছে লর্ড এলগিনের সমাধি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ৩০ জুন ২০২৩ | ১১৫৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • গোবু | 202.8.***.*** | ৩০ জুন ২০২৩ ১৯:২১520870
  • ত্রিউন্ড হবে,TRI হিন্দিতে "ত্রি", অর্থাৎ তিন ...
  • | ৩০ জুন ২০২৩ ১৯:৩৭520872
  • ৯৮ সালে ধর্মশালা ম্যাকলিওডগঞ্জ গেছিলাম। দালাই লামার সাথে দেখাও হয়েছিল। এখনকার বহতল শোভিত ঘিঞ্জি ম্যাকলিওডগঞ্জ দেখে কেমন যেন লাগল। তবে হবারই কথা অবশ্য। 
  • lcm | ৩০ জুন ২০২৩ ১৯:৪৩520873
  • বাহ! দারুণ জায়গা !
    উত্তরবঙ্গে মেকলিগঞ্জ বলে একটা জায়গা আছে না, আমি সেটার সঙ্গে এই জায়গাটাকে গুলিয়ে ফেলতাম।
  • kk | 2607:fb91:14cb:d4b7:485f:5d55:bb3d:***:*** | ৩০ জুন ২০২৩ ১৯:৫৪520876
  • বাঃ, চমৎকার। ছবিগুলোও খুব ভালো লাগলো। ম্যাকলিওড্গঞ্জ আমি কখনো যাইনি। কিন্তু জায়গাটার সাথে ভালো পরিচয় হয়ে গেছে 'দি দালাই লামা'জ ক্যাট' বই সিরিজের মাধ্যমে। এই নামগায়াল মনাস্ট্রি, চক, সবই যেন কত চেনা। তবে হ্যাঁ, অত অত বাড়ি দেখে একটু মনখারাপ মতও হলো।
  • দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় | ০৩ জুলাই ২০২৩ ১১:২২520958
  • ধন্যবাদ গোবু, ঠিক করে দিয়েছি। 
     
    দ, হিমালয়ের বেশিরভাগ জায়গাই এখন এরকম কমার্শিয়ালাইজ হয়ে গেছে। আর সব জায়গায় স্কুটি ভাড়া নিয়ে ঘোরার ভিড়। পরে আরো কয়েক জায়গা নিয়ে লিখব। 
     
    lcm, হ্যাঁ মেখলিগঞ্জ আলাদা laugh
     
    ধন্যবাদ কেকে, বইয়ের সিরিজটার নাম যথারীতি আগে শুনিনি। yes
  • সুদীপ্ত | ০৮ জুলাই ২০২৩ ১০:২৪521084
  • ২০১৬ নভেম্বরে গিয়েছিলাম। আমরা ধরমশালা এমনকি ম্যাকলিওডগঞ্জেও বাড়ি-ঘরের আধিক্য আর ভিড় দেখে আর দাঁড়াইনি একেবারেই, ড্রাইভার অমৃৎ-জীর সদুপদেশ মেনে সোজা উঠে গিয়েছিলাম ভাগসু নাগ-এ। ছিলাম একটা ছোটো হোটেলের বাড়ির ছাদে দুটো ঘর নিয়ে (একেবারে চিলেকোঠার ঘর আর কি)। কিন্তু ঘরের দরজা খুললেই ছাদ আর ছাদের চারিদিক জুড়ে শুধুই আকাশ-ছোঁয়া পাহাড়ের সারি, সবুজের ভিড়। অল্প কিছু বাড়ি-ঘর। হোটেল থেকে বেরিয়ে কিছুদূর গেলেই ভাগসু জলপ্রপাত, সামনে একটা সুন্দর কুন্ড। এসব মনে পড়ল আপনার লেখা দেখে। 
     
    লিখতে থাকুন! 
  • দীমু | 182.69.***.*** | ০৯ জুলাই ২০২৩ ১১:১২521123
  • @সুদীপ্ত খুবই ঠিক কাজ করেছিলেন। আমার অবশ্য ভাগসু নাগের দিকটায় যাওয়া হয়নি। এখন মনে হয় ওখানেও হোমস্টের ভিড় বেড়েছে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন