এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • ভীমতাল

    দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ১৪ জুলাই ২০২৩ | ৮৯৯ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • গরমকাল। শনিবার ভোরবেলা নতুন দিল্লী থেকে শতাব্দী গাজিয়াবাদ, মোরাদাবাদ, রুদ্রপুর হয়ে পাঁচঘন্টায় কাঠগোদাম পৌঁছনোর কথা। দিল্লীর ট্রেন স্টেশনগুলোর কথা এই ফাঁকে বলে রাখা যাক। দিল্লীতে প্রধানত চারটে ট্রেন স্টেশন - নতুন দিল্লী, পুরোনো দিল্লী, হজরত নিজামুদ্দিন এবং দিল্লী সরাই রোহিল্লা। এই চারটে স্টেশন থেকে নানারকম দিকের দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়ে। দিল্লী সরাই রোহিল্লা থেকে বেশী ছাড়ে পশ্চিম এবং মধ্য ভারতের ট্রেন। হজরত নিজামুদ্দিন থেকে দক্ষিণ ভারতে যাবার জন্য রাজধানী এবং অন্যান্য ট্রেনগুলো। আগ্রা, গোয়ালিয়র, ঝাঁসি যাবার জন্য গতিমান এক্সপ্রেসও এখান থেকে ছাড়ে। নতুন দিল্লী থেকে ছাড়ে বাকি যাবতীয় রাজধানী, শতাব্দী, বন্দে ভারত। পুরোনো দিল্লী থেকে ছাড়ে উত্তর এবং পূর্ব ভারতের ট্রেনসমূহ।
     
    ট্রেন ছাড়ার পর চা বা কফি, দুটো বিস্কিটের একটা প্যাকেট, একটা কলা দিয়ে গেল। কমপ্লিমেন্টারি প্রাতরাশে আমিষাশীদের জন্য একটা ওমলেট, ওপরে আলাদা করে কড়াইশুঁটি ছড়ানো। পাঁউরুটি, মাখন। এখন শতাব্দীতে আইআরসিটিসির লোকেরাই ট্রেনে চলন্ত অবস্থায় আরো খাবার জিনিস ফিরি করে। চকোলেট, আইসক্রিম, ডাবের জল এইসব কমপ্লিমেন্টারি ভেবে অর্ডার করে বসবেন না। 
     
    এসি চেয়ারকারে পাশে বসেছেন এক স্বামী স্ত্রী এবং তাদের দুই স্কুলপড়ুয়া মেয়ে। গরমের ছুটিতে এক সপ্তাহের জন্য তারা ট্রিপে যাচ্ছেন। হলদ্বোয়ানি থেকে তাদের গাড়ি ভাড়া করা আছে। ভদ্রলোক আমার থেকে ভীমতালের চারপাশে কি দেখার আছে এইসব খোঁজ নিচ্ছিলেন। দুরাত নৈনিতালে থেকে তারা চলে যাবেন রানীক্ষেত, কৌশানীর দিকে। 
     
    উত্তরাখণ্ডের দুটো প্রশাসনিক ভাগ আছে - গাড়োয়াল এবং কুমায়ূন। গাড়োয়ালের মধ্যে পড়ে দেরাদুন, হরিদ্বার, উত্তরকাশী, ছোট চার ধাম [কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী]। আর কুমায়ূনের মধ্যে পড়ে নৈনিতাল, আলমোড়া এবং উত্তরাখণ্ডের নেপাল সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলো। নৈনিতাল জেলায় প্রচুর তাল [হ্রদ] ছড়িয়ে আছে চারপাশে। এদের মধ্যে ভীমতাল সবথেকে পুরোনো কিন্তু পর্যটনদের কাছে থাকার জায়গা হিসেবে নৈনিতাল অনেক এগিয়ে, গরমকালে ওখানে গেলে হাতিবাগান বা গড়িয়াহাট বলে ভুল হতে পারে। উত্তরপ্রদেশ থেকে সবাই নিজেদের গাড়ি চালিয়ে সপ্তাহান্তে ঝেঁটিয়ে চলে আসে, বোটিং আর কেনাকাটি করে। জনতা মূলত নৈনিতালে থাকে আর বাকি সমস্ত তালগুলোতে একদিন সময় নিয়ে গাড়ি করে ঘোরে। এসব শুনেই ঠিক করে নিয়েছিলাম ওদিকে গেলে বাকি তালগুলোতে যাবো কিন্তু নৈনিতাল যাবো না।
     
    গাজিয়াবাদ আর মোরাদাবাদের ট্রেন লাইনের দুদিকে ঘিঞ্জি বাড়ির সারি। রামপুর ছাড়াতে আস্তে আস্তে চাষের জমি কমে গিয়ে জঙ্গল বাড়তে থাকল। 
     

    কাঠগোদামের পথে ট্রেন থেকে তোলা 
     
    শতাব্দী কাঠগোদাম অবধি গেলেও তার আগের ট্রেন স্টেশন হলদ্বোয়ানিতেই নেমে পড়তে হল। কাঠগোদামে [কুমায়ূনের জঙ্গলের কাঠের গুঁড়ি ট্রেনে করে অন্যত্র পাঠানোর জন্য এই স্টেশনটা তৈরী হয়েছিল বলে এরকম নাম] বাস স্টপ আছে, বাস স্টেশন নেই। উত্তরাখণ্ড পরিবহনের কুমায়ূনের প্রধান বাস স্টেশনটা হলদ্বোয়ানিতে, বাস হলদ্বোয়ানি থেকেই ভর্তি হয়ে ছাড়ে। নাহলে শেয়ার ট্যাক্সি ভরসা। হলদ্বোয়ানি ট্রেন স্টেশন থেকে দশমিনিট হেঁটে এই বাসস্ট্যান্ডে এসে ভীমতাল যাবার সরকারি বাস খুঁজে পাওয়া গেল না। বাসস্ট্যান্ডের বাইরে একগাদা নানারকম রুটের বেসরকারী বাসের কন্ডাক্টররা হাঁকডাক করছিল, সেরকম একটা বেসরকারী বাসে উঠে পড়া গেল। বাসটা মিনিবাসের মত, দৈর্ঘ্যে ছোট কিন্তু ছাদে উঁচু। এই বাস যাবে ভোওয়ালি পর্যন্ত। ভীমতাল ষাট টাকা টিকিট। কাঠগোদাম ছাড়িয়ে একটু এগোবার পর রাস্তা দুভাগ হয়ে যায়, একটা নৈনিতালের দিকে চলে যায়, আরেকটা ভীমতাল। ভীমতাল পেরিয়ে এই রাস্তা দিয়ে আরো উঠতে থাকলে ক্রমান্বয়ে মুক্তেশ্বর, আলমোড়া, কৌশানি পৌঁছে যাবেন। আরো ওপরে দশঘন্টা ধরে গেলে মুন্সিয়ারি ইত্যাদি জায়গা যেগুলো পঞ্চচুল্লি, ত্রিশূল, নন্দাকোট যাবার বেস ক্যাম্প হিসেবে কাজ করে।  
     

     
    এক ঘন্টা ধরে বাস উঁচু পাহাড়ের ওপর চড়তে সময় নিল। এই সমস্ত তালগুলোর মজা হচ্ছে নীচে থেকে কিছুই বোঝা যায় না। পাহাড়ের আড়ালে কিছুটা সমতল জায়গায় লুকিয়ে থাকে। মানে পাহাড়ের আড়ালে উপত্যকায় বৃষ্টির জল জমে হ্রদ, তাদেরকে ঘিরে আরো উঁচু উঁচু পাহাড়। ভীমতালেও বাসস্টপ আছে, স্ট্যান্ড নেই । তাল শুরু হবার ঠিক আগে একটা তিন রাস্তার মোড়ে  নামিয়ে দিয়ে বাস ভীমতালের বাঁদিকের চওড়া রাস্তা ধরে চলে গেল। হোটেলে যাবার জন্য রাস্তা পেরিয়ে তালের ডানদিকের ছোট রাস্তাটা ধরলাম। 
     

    ভীমতালের দর্শন 
     
    হোটেলে কথা বলে জানা গেল সন্ধ্যে হবে সাড়ে ছটার সময়। তার আগে আজকে তাহলে সাততাল হেঁটে ঘুরে আসা যাক। 
     
    ম্যাপে হেঁটে দেড়ঘন্টা দেখাচ্ছে বলে হাঁটতে শুরু করেছিলাম কিন্তু একসময় হঠাৎ মনে হল হেঁটেই যাচ্ছি হেঁটেই যাচ্ছি। এটা তো একেবারে আলাদা একটা পাহাড়। পিছনে ফিরে তাকালে এখন আর ভীমতাল দেখা যাচ্ছে না। মাঝে মাঝেই হর্নের আওয়াজ পেয়ে রাস্তা থেকে নেমে গেলে গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাচ্ছে পেট্রল ট্যাংকার বা স্কুলবাস। দোকানে জিজ্ঞেস করে একটা বিরাট খাড়াই শর্টকাট রাস্তা ধরলাম সাততাল যাবার। এই রাস্তায় 'রক্ষা রিট্রিট' বলে একটা ছোট টাউনশিপ পড়ে, শুধু ভারতীয় সেনার এবং তাদের পরিবারের লোকেদের থাকার জন্য। সেখানে সাধারণ লোকেরা ফ্ল্যাট বা বাংলো কিনতে পারবেন না। 
     

    সাততালের রাস্তায় 
     
    ম্যাপ আগেও পাহাড়ে একবার অদ্ভুতভাবে ভুগিয়েছিল। মুন্নারে। সেই গল্প পরে লেখা যাবে। আপাতত সাততালের সমস্যায় ফিরে আসা যাক। 

    সাততাল নামটা শুনে যা মনে হচ্ছে , জায়গাটাও তাই। কাছাকাছি সাতটা ছোট ছোট জলাশয়। তার মধ্যে নল - দময়ন্তী তালটা লালদীঘির মত, একটা জোর করে বানানো জায়গা । বাকি তালগুলো গরুড়, সীতা, রাম ইত্যাদি নামে। গরুড় তালটা আলাদাভাবে ওপর থেকে দেখা যায়। আর বাকি সব তালগুলো মিলেমিশে গেছে। 
     

    ভীমতাল থেকে শুরু করে মোট দু ঘন্টা হাঁটার পর গরুড় তালের দর্শন। 
     
    এটা দেখে অন্য চিন্তা মাথায় এল। এখন না হয় তাড়াতাড়ি হেঁটে নিচের রাস্তায় নেমে যাবো, ফেরার সময় আবার এতটা উঠবো কি করে? ট্রেকের রাস্তা হলে শর্টকাটে সোজা উঠে আসতাম, সময় কম লাগত। গাড়ি যাবার রাস্তা অনেকটা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নামবে। বরং সাততালে গিয়ে খোঁজ করতে হবে যদি একপিঠ ছেড়ে দেবার জন্য ক্যাব পাওয়া যায়, নাহলে পা দুটোর কপালে অশেষ দুর্ভোগ আছে। সন্ধেও নেমে যাবে ততোক্ষণে।  
    সাততালে গিয়ে দেখা গেল কায়াকিং, অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস ইত্যাদি চলছে। তাদের একজন হর্তাকর্তার সঙ্গে ভীমতাল ছেড়ে দেবার ট্যাক্সির জন্য কথা বলা গেল। চেনা কাউকে ফোন করে সে জানাল ট্যাক্সি পনেরো মিনিটে আসছে। পাঁচশো টাকা লাগবে। ততক্ষণে চা খেতে খেতে ট্রাপিজের খেলা দেখতে থাকলাম। জিপলাইনিঙ করে দড়ি দিয়ে বাচ্চা-বুড়োদের তালের মাঝামাঝি নিয়ে গিয়ে দড়িটা ওপর নীচে কাঁপিয়ে তাদের পা তালের জলে চোবানো হচ্ছে, আবার ওপরে তুলে এনে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে স্প্রিংয়ের মত।  
     

    সাততাল 
     
    ক্যাব চালক সাততালেরই কাছাকছি এক গ্রামের বাসিন্দা। সে সকালে এক পার্টিকে নিয়ে ঘোরাতে  গেছিল মুক্তেশ্বর। তারপর বাড়িতে এসে ঘুমোচ্ছিল। গল্পে গল্পে জানা গেল আমি যে রাস্তায় হেঁটে এলাম সে রাস্তাতেই তারা নাকি ছোটবেলায় হেঁটে রোজ স্কুলে যাতায়াত করত! মাঝে মাঝে ক্লান্তির চোটে মাসে এক দুদিন স্কুল আর যাওয়া হত না।

    গাড়ি ভীমতাল দাঁতের কাছে ছেড়ে দিল। সামনেই তালের মাঝে দ্বীপে একোয়ারিয়াম। এখানেই ভীমতালের প্রধান ঘাট। নানা রকম বোটিং করার জায়গা। রথের মেলার মত ভিড়। পড়ন্ত বেলায় মহিলারা আর বাচ্চারা দলবেঁধে স্কুপ আইসক্রিম খাচ্ছে আর লোকেরা গিয়ে বোটিংয়ের জন্য দরাদরি করছে। 
     

    হাঁসগুলো কিন্তু জীবন্ত, প্লাস্টিকের নয়। প্রচুর মাছও আছে।   
     
    উত্তরাখণ্ডে কাফাল বলে একরকম লাল রঙের বেরিজাতীয় ফল পাওয়া যায়। ছোট ছোট লাল লিচুর মত কিন্তু খোসা ছাড়াতে হয় না। ছোট ছোট কাগজের প্লেটে এক এক মুঠো করে সাজিয়ে বিক্রি হচ্ছে। খুমানি [এপ্রিকট], হিসালু [কাফালের মত কিন্তু হলুদ রঙের থোকাথোকা] এসব ফলও সাজিয়ে নিয়ে বসেছে স্থানীয় লোকজন। আরো এগিয়ে একটা ছোট বাঁধের ওপর দিয়ে রাস্তা। বর্ষাকালে তালে জল বেড়ে গেলে এই বাঁধের স্লুইস গেট দিয়ে অতিরিক্ত জল ছেড়ে দেওয়া হয়। বাঁধটা এত ছোট যে শুধু পায়ে হাঁটা বা দুচাকা চালানোর জায়গা আছে। গাড়ি যায় না। গাড়ি করে এলে দাঁতেই পার্কিংয়ে রাখতে হবে।  
     

     
    নৌকুচিয়া তালের দিক থেকে ফানুস উড়ছে। 
     

     
    ভীমতালে সন্ধ্যে নামছে
     

     
    পরের দিন দাঁতে গিয়ে ডানদিকের ওপরে উঠে যাওয়ার রাস্তাটা ধরে নৌকুচিয়া তালের দিকে এগোলাম। কিছুদূর গিয়ে রাস্তাটা দুভাগ হয়ে যায়, একটা  চলে যায় ওপরের দিকে পাহাড়ের ওপরে নাগ দেবতা কারকোটাকের মন্দির। ওখান থেকে ভীমতাল খুব ভাল পাখির চোখে দেখা যায়, একই রকম ভাবে  নৈনী পাহাড়ের ওপর থেকে ভালভাবে দেখা যায় নৈনিতাল। লকডাউনের সময় এই সমস্ত জনবিহীন ট্রেকের রাস্তায় লেপার্ড ঘোরাঘুরি করত। 
     

     
    নীচের দিকে নৌকুচিয়া তালের রাস্তায় প্যারাসেলিং, আগের দিন সন্ধ্যেবেলায় দেখা ফানুস ইত্যাদি হচ্ছে
     

     
    এই রাস্তা ধরে একঘন্টা হাঁটলেই ছোট জনপদ শুরু হয়। এখন নৌকুচিয়া তালে এসেও অনেকে থাকে। নৌকুচিয়া তালের আগে প্রথমেই চোখে পড়বে অন্য একটা ছোট তালে ফুটে থাকা গোলাপী পদ্মদের। এই তালের স্থানীয় নাম কমল তাল। 
     

    কমল তালে ফুটে থাকা পদ্মের দল 
     
    নৌকুচিয়া তালে পৌঁছে  দেখলাম এখানে বোটিং ছাড়াও জর্বিং বলে একটা জিনিস হচ্ছে। বড় বেলুনের মত রংবেরঙের জর্বগুলো তালের জলে ভাসছে। এই বস্তুগুলোর [বেলুন ঠিক নয়, ভেতরে একটা হাড়ের মত শক্ত কাঠামো আছে] ভেতরে বসিয়ে আপনাকে ভাসিয়ে দেওয়া হবে তালের জলে, ডুবে যাবার সম্ভাবনা নেই। 
     

     
    নৌকুচিয়া তালের পাশে একটা জায়গায় বসে চা আর ম্যাগী। তারপর হেঁটে হেঁটে ফিরে আসি ভীমতালের দাঁতে, তারপর আগেরদিন যেখানে বাস থেকে নেমেছিলাম। দশ মিনিট অপেক্ষার পর বাস এল। পাহাড় থেকে আধঘন্টা নেমে সমতলে ঢোকার আগে শুরু হল জ্যাম। রোববার দুপুরে সবাই দুদিনের ছুটি শেষ করে সবাই রাত হবার আগে তাড়াতাড়ি নিজেদের চেনা বিছানায় ফিরতে চাইছে। জ্যামের জন্য কাঠগোদাম পৌঁছতে আরো আধঘন্টা সময় বেশি লাগে। স্টেশনে ঢুকে দেখি ট্রেন প্ল্যাটফর্মেই দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু দরজা সব ভেতর থেকে বন্ধ। প্ল্যাটফর্মের ছায়ায়, পাখার তলায় বসে জনতা হাওয়া খাচ্ছে। দরজা খুলল ট্রেন ছাড়ার কুড়িমিনিট আগে।

    তালগুলোতে ঘুরে যা বুঝলাম একটা বড় তাল দেখে নেওয়া মানেই সমস্ত তাল দেখে নেওয়া। সব মোটামুটি একই রকম। 
     

     
    ফেরার সময় দেখা যায় গরমকালে প্রায় শুকিয়ে যাওয়া হলদ্বোয়ানির গওলা নদী। ট্রেনে বাসে যেতে যেতে এরকম কত নদী পেরোতে হয়। বাঁধ দিয়ে দিয়ে এমনি সময় শুকনো। বর্ষাকালে প্লাবন। ট্রেন ব্রীজ পেরোনোর সময় নিচে শুধু একটানা চড়া দেখি, ব্রীজ শেষ হয়ে আসার সময় হয়ত একটা সরু নালার মত লজ্জায় মুখ লুকিয়ে বইতে থাকা নদীকে চোখে পড়ে। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ১৪ জুলাই ২০২৩ | ৮৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১৪ জুলাই ২০২৩ ২২:৫০521238
  • এরকম টুকুস করে ঘুরে আসা ভারী ভাল ব্যপার।
     সাততালে লোকে পাখী দেখতে যায়।  এইদিকটা ঘুরতে হবে আমার।
  • দীমু | 182.69.***.*** | ১৫ জুলাই ২০২৩ ০০:২১521242
  • হ্যাঁ সাততালে শীতকালে পাখি দেখতে পেতে পারেন। তালগুলোর মধ্যে ওটাই সবথেকে নির্জন কারণ থাকার জায়গা নেই বেশি, তবে স্পোর্টসওলাদের দৌরাত্ত্ব তো আছেই।
  • স্বাতী রায় | 117.194.***.*** | ১৫ জুলাই ২০২৩ ১২:৪৮521248
  • কাফাল আর হিসালুর ছবি নেই?থাকলে যদি দেখান! 
      
    এইটা খুব ভাল আইডিয়া। নৈনি এতটাই জনবহুল যে ভাল লাগে না তেমন। তার থেকে একটু ফাঁকা ফাঁকা চাইলে সরাসরি তাল গুলোর কাছে থাকা অনেক ভাল। তবে সাততালে আমরা বোটিং করেছিলাম এই শতকের গোড়ায়। যতটা মনে আছে খুব নির্জন নয়। বরং অনেক বেশি তখন ফাঁকা ছিল নৌকুচিয়া তাল। তবে থাকার জায়গা ছিল বলে মনে পড়ে না। 
     
    দিল্লির লোকদের এই একটা কারণে বড্ড হিংসে হয়। হাতের কাছে স্বর্গ নিয়ে থাকেন তাঁরা। 
  • দীমু | 182.69.***.*** | ১৫ জুলাই ২০২৩ ২০:২৭521258
  • কাফাল আর হিসালুর ছবি নেট থেকে দিলাম 
     
     
     
  • kk | 2607:fb91:87b:8018:cf1d:3f36:43b0:***:*** | ১৬ জুলাই ২০২৩ ০০:১৬521277
  • হিসাল ফলটা তো গোল্ডেন র‌্যাস্পবেরীর মত দেখতে। কাফাল চিনতে পারছিনা। হয়তো ঐ অঞ্চলেই শুধু হয়।
  • kk | 2607:fb91:87b:8018:cf1d:3f36:43b0:***:*** | ১৬ জুলাই ২০২৩ ০০:১৬521278
  • হিসালু**
  • স্বাতী রায় | 117.194.***.*** | ১৬ জুলাই ২০২৩ ১৬:৫৫521323
  • অনেক ধন্যবাদ। @দীমু 
  • দীমু | 182.69.***.*** | ১৬ জুলাই ২০২৩ ২৩:৩৬521344
  • কেকে, ঠিক বলেছেন। গোল্ডেন র‌্যাস্পবেরীটাকেই মনে হচ্ছে ওরা হিসালু বলে। চীন, ফিলিপিন্সেও পাওয়া যায় দেখাচ্ছে। তবে কাফালটা উত্তরাখন্ড আর নেপাল। মানে হিমালয়ের ওই জায়গাটাতেই শুধু।  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন