এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • অফিসপাড়া

    পাপাঙ্গুল লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ৫৬৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • "Calcutta is in reality a European city set down upon Asiatic soil, and that it is a monument - in my opinion one of the most striking extant monuments, for it is the second city to London in the entire British Empire - to the energy and achievements of our race" ~ কার্জন 
     
     

    ১৯১১ /১২ সালের হিসেবে। ১৯১৭ সালে কলকাতা বন্দরে বছরে ১৭৫ মিলিয়ন পাউন্ডের জিনিস আসা যাওয়া করত। 
     
    মুম্বাইয়ের কালোঘোড়া এলাকায় ঘোরাঘুরি করার সময়েই কলকাতার পুরোনো অফিসপাড়ার বাড়িগুলোর ছবি মাথায় এসেছিল। এসপ্ল্যানেড আর সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন থেকে বাঁদিকে হুগলী নদী বরাবর এই এলাকা। লায়ন্স রেঞ্জ , ক্লাইভ রো , দক্ষিণে ফেয়ারলি প্লেস। নদীর ধারে স্ট্র্যান্ড রাস্তা ধরে বাবুঘাট , ইডেন উদ্যান , উইলিয়াম কেল্লা এলাকা পেরিয়ে প্রিন্সেপ ঘাট। অফিসবাড়ি ছাড়াও এখানেই আছে টেরিটিবাজারের তাও ধর্মাবলম্বীদের চীনা মন্দির , বড়বাজারে পর্তুগিজদের গীর্জা , আর্মেনিয়ানদের গীর্জা , ইহুদী সিনাগগ , প্রোটেস্টান্ট গির্জা। শহীদ মিনার পেরিয়ে গেলে ভিক্তোরিয়া , সন্ত পলের ক্যাথেড্রাল। সন্ত পলের ক্যাথেড্রালের মত কার্জন বর্ণিত এইসব বেশিরভাগ বাড়ি তৈরী করেছিলেন সেনার অংশ হিসেবে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়াররা। ব্যতিক্রম আছে , স্থপতি উইলিয়াম এমার্সনের করা ভিক্তোরিয়া মেমোরিয়াল , ওয়াল্টার গ্র্যানভিলের করা হাইকোর্ট ও জিপিও , থমাস লিওনের করা রাইটার্স বিল্ডিং। 
     

    সেন্ট্রালে নেমে নদীর দিকে হাঁটতে থাকলে টেরিটিবাজারের একশো বছরের পুরোনো এই চীনা তুং অন মন্দির। এখন ভেতরে যাওয়া যায় না। দক্ষিণে এর সমান্তরাল রাস্তায় লালবাজার , বো ব্যারাক। এই এলাকাতেই কলকাতার পুরোনো চিনে পাড়া ছিল এককালে। 
     

    আরো হাঁটলে ব্রেবোর্ন রাস্তার মোড়ে ভারতীয় চা পর্ষদের অফিস।
     

    ব্রেবোর্ন রাস্তা ধরে হাওড়া ব্রীজের দিকে হাঁটতে থাকলে বাঁদিকে গলির ভেতর মাঘেন ডেভিড সিনাগগ।
     
    এর আশেপাশে আরো দুটি সিনাগগ আছে। রাস্তার এই ফুটেই নেভেহ শালোম আর রাস্তা পেরিয়ে গেলে বেথ এল সিনাগগ। সবকটি সিনাগগই এ এস আই বন্ধ রেখেছে ইজরায়েল - গাজা সাম্প্রতিক যুদ্ধ শুরু হবার পর। 
     
    আর্মেনিয়ানরা কবে কলকাতায় প্রথম এসেছিল সে নিয়ে বিতর্ক আছে। ক্যাচিক আরাকিয়েল বলে এক আর্মেনিয়ান ব্যবসায়ী , ১৭৮৯ সালে তৃতীয় জর্জ যখন উন্মাদনা থেকে সেরে ওঠেন , চমৎকার আতশবাজি পুড়িয়েছিলেন। তখন কর্নওয়ালিসের আমল। অথচ এই বড়বাজারের আর্মেনিয়ান গির্জায় এক কালো পাথরে লেখা আছে দানশীল সুকিয়াদের স্ত্রী রেজাবসেবাহের স্মৃতির উদ্দেশ্যে , ২১ জুলাই ১৬৩০। অর্থাৎ পর্তুগিজ এবং ওলন্দাজদের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলায় এসেছিল তারা। ক্যালক্যাটা তখনো তৈরী হয়নি। ওলন্দাজরা ১৬৫৩ সালে নদীর ওপারে চুঁচুড়ায় গুস্তাভ কেল্লায় থানা গেড়েছিল। অনেক পরে একসময় সুমাত্রার মত আস্ত একটা দ্বীপের বিনিময়ে তারা চুঁচুড়া পাল্টা পাল্টি করে নিয়েছিল ইংরেজদের সঙ্গে। 
     

    বিশৃঙ্খল বড়বাজারের সরু গলির ভেতর এই আর্মেনিয়ান গির্জা। এর ভেতরে কোভিডের পর থেকেই ঢুকতে দেওয়া হয় না। 
     

    রাস্তার ওপারে পর্তুগীজদের ক্যাথিড্রাল অফ দ্য মোস্ট হোলি রোজারি।
     

    মাঘেন ডেভিড সিনাগগের পিছন দিকে , নদীর দিকে ক্লাইভ রো রাস্তায় এই ইউল হাউস। ১৯০৭ সালে তৈরী। ১৯৬৯ সালে এজেন্সি উঠে যাওয়া পর্যন্ত এন্ড্রিউ ইউলের এই অফিস ৯ খানা কোম্পানি সামলাত। চটকল , চা ইত্যাদি। 
     

    এবার রাস্তা দিয়ে দক্ষিণ দিকে নামতে থাকলে ডানদিকে এই ডানকান হাউস। 
     

    ডানকান হাউসের লাগোয়া আগেকার নর্থ বৃটিশ ও মার্সেন্টাইল ইনসিওরেন্স কোম্পানির অফিসবাড়ি।
     

    দেড়শো বছরের পুরোনো বামার ও লাউরি কোম্পানির বাড়ি। এখন ভারত সরকারের অধিগৃহীত মিনিরত্ন সংস্থা।
     

    বাঁহাতে গিল্যান্ডার হাউস। 
     

    গিল্যান্ডার হাউসের গলিতে ১৯১৪ সালের এই ওরিয়েন্টাল এশিওরেন্সের অফিসবাড়ি। বর্তমানে পরিত্যক্ত। 
     

    স্ট্র্যান্ড রোডে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অফিস। 
     

    দক্ষিণে নামতে থাকলে স্ট্র্যান্ড রোডে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের পুরোনো বাড়ি।
     

    ফেয়ারলী প্লেসের মোড়ে হীরক হেরিটেজ। 
     

    বাইরের কাঠামো অক্ষুণ্ণ রেখে ভেতরে নতুন বাড়ি বানানো হয়েছে। 
     

    আরো দক্ষিণে নামতে থাকলে হেয়ার স্ট্রিটের মোড়ে মেটক্যাফে হল। ১৮৪০ সালে গভর্নর জেনারেল চার্লস মেটক্যাফের নামে তৈরী। বর্তমানে এ এস আই এর সংগ্রশালা। 
     

    পুবদিকে হাঁটলে সন্ত জনের গির্জার চত্ত্বর। দশটাকা টিকিট। 
     

    ইতিবৃত্ত 
     

    ভিতরে অসংখ্য শ্বেতপাথরের ট্যাবলেটে স্মৃতি খোদাই। এটি পড়া যাচ্ছে , আলেক্সান্ডার কোলভিনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে , শহরের বণিকদের দ্বারা। 
     

    বেঙ্গল ইনফ্যান্ট্রির অফিসারের যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যু
     

    ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক স্কটিশ অফিসারের স্মৃতির উদ্দেশ্যে।
     

    এ চত্ত্বরেই ব্ল্যাক হোল মনুমেন্ট। 
     

    মনুমেন্টের পেছন দিক। 
     
    চার্ণকের ক্যালক্যাটা পত্তনের পর ১৭০৯ সালে পুরোনো সন্ত জোহানের গীৰ্জা , ১৭১২ তে উইলিয়াম দুর্গ তৈরী হল।  ১৭২৮ সালে জর্জ পমফ্রেট ফ্রিম্যাসনদের পূর্ব ভারতের জেলা গ্র্যান্ড মাস্টার হলেন। সে বছরেই ইংল্যান্ডের বাইরে 'প্রাচ্যের তারা' নামে প্রথম ইংরেজ সরাইখানা খুলল কলকাতায়। চুক্তি উড়িয়ে উইলিয়াম দুর্গ বানানোতে ক্ষুদ্ধ সিরাজদৌলা কামান সমেত ক্যালক্যাটা আক্রমণ করলেন ১৭৫৬ সালে। অতঃপর ক্যালকাটার নাম হল আলীনগর। হলওয়েল এবং আরো তিনজনকে এক পক্ষকাল আটকে রাখা হল গুপ্তধনের খোঁজে। যে ইংরেজরা বেঁচে ছিল চুঁচুড়ায় ওলন্দাজদের দুর্গে পালাল। সেসময় কলকাতা থেকে নদীপথে কাশী যেতে লাগত ~৭৫ দিন। ঢাকা ৩৭ দিন। মুর্শিদাবাদ প্রায় এক মাস। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চাকুরে ক্লাইভ তখন ক্যালক্যাটা ঘুরে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে। যুবক রবার্ট ক্লাইভ বাবাকে চিঠিতে অভিযোগ করছেন , কোম্পানির মাসিক ৩ পাউন্ড স্টাইপেন্ডে টানাটানির সংসার। সেজন্য ক্লাইভ দুবার পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করারও চেষ্টা করেছিলেন। ক্যালকাটা পুনরুদ্ধারে তাকেই ফের মাদ্রাজ থেকে পাঠানো হল। কোম্পানীর আরেক নতুন কর্মচারী ওয়ারেন হেস্টিংস , তিনিও মাসে ৫ পাউন্ড বেতনে মহাকরণে থাকতেন শুরুতে। ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের দু বছর বাদে হেস্টিংসেরও ফের বাংলায় ফেরা। চাঁদপাল ঘাটের দক্ষিণে তখন ঘন জঙ্গল। উইলিয়াম দুর্গর কড়ি বর্গা খসে পড়ছে। সেখানে কামানের গোলার দাগ। ভারতের প্রথম ছাপা কাগজ - জেমস অগাস্টাস হিকির ক্যালকাটা গ্যাজেটে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হোমরা চোমরাদের গাদা কেচ্ছা ছাপা হত। যেমন হেস্টিংসের সঙ্গে মিস ইমহফিলের। ফিলিপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে ম্যাডাম গ্রান্ডের। 
     

     

    এটি সমকালীন সময়ে ~১৭৭৩ নাগাদ অযোধ্যার নবাবের সঙ্গে ইংরেজদের যুদ্ধের রোহিল্লা মেমোরিয়াল। 
     

    এছাড়া লেডি ক্যানিংয়ের সমাধি , জব চার্ণকের মসোলিয়ামও এখানে। 
     
    চার্ণককে নিয়ে তার সমকালীন স্কটিশ নাবিক আলেকজান্ডার হ্যামিল্টন ভাল কিছু লিখে যাননি- "Charnock, who ‘reigned more absolute than a Raja* and who had natives whipped near his dining room, so that he could hear their cries as he ate." পরে হ্যামিল্টন বোম্বে মেরিনের দায়িত্ত্ব নিয়ে জলদস্যুদের ঠেকাতেন। 
     

    আরো দক্ষিণ দিকে গেলে হাইকোর্ট। লাগোয়া কিরণ শংকর রায় রোডে পরপর জেরক্সের দোকান। কালো কোটের ভিড়। পাশে রাজভবন , পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা।
     

    ১৮১৩ সালে কর্নেল গার্স্টিনের ডোরিক কায়দায় বানানো টাউন হল। এই টাউন হল ও নদীর ধারের স্ট্র্যান্ড রাস্তা বানানো হয়েছিল লটারির টাকায়।
     

    এবার আবার উত্তরের দিকে হাঁটতে থাকলে আগেকার হংকং ব্যাংকের (এখন hsbc) অফিস বাড়ি। 
     

    উল্টোফুটে ১৯০২ সালের রয়াল ইনসিওরেন্স বিল্ডিং (অধুনা ন্যাশনাল ইনসিওরেন্স)
     

    জিপিও মোড়। এখানেই প্রথম উইলিয়াম দুর্গ ছিল। 
     

    জিপিওর পাশের গলি দিয়ে হাঁটলে রয়াল ইন্সিওরেন্সের বাড়ির পিছনদিক। পাশেই ব্যাঙ্কশাল আদালত। 
     

    ব্যাঙ্কশাল আদালতের উল্টোদিকে ১৯১০ সালের ওয়ালেস বাড়ি। এতেও ভাড়ার বিজ্ঞাপন মারা আছে। 
     

    হংকং ব্যাংকের বাড়ির পাশে স্ট্যান্ডার্ড লাইফ এশিওরেন্স কোম্পানির বাড়ি। 
     

    ভাস্কর্য
     

    দেওয়ালজোড়া জানলা। 
     

    এর পুব দিকে ভারতীয় পোস্টের পুরোনো টেলিগ্রাফ বাড়ি।
     

    উত্তর দিকে হেঁটে গেলে মহাকরণ। উল্টোদিকে লাল দীঘি চত্ত্বর। 
     

    মূর্তিরা /১ 
     

    মূর্তিরা/২ 
     

    ভিক্তোরিয়ান গথিক কাঠামো 
     

    মহাকরণের পুবদিকে সন্ত এন্ড্রুর প্রোটেস্টান্ট গির্জা।
     

    দক্ষিণে হেঁটে যেতে থাকলে আগেকার গ্রেট ইস্টার্ন হোটেল। রুডিয়ার্ড কিপলিং , মার্ক টোয়েন থেকে চার্লস ডিকেন্সের ছেলে সবাই ক্যালক্যাটায় এসে উঠতেন এই ১৮৪০ সালের হোটেলে। 
     

    উল্টোফুটে তরাই চা কোম্পানির পরিত্যক্ত বাড়ি। 
     

    এসপ্ল্যানেড ম্যানসন। এর পাশের গলিতে ডেকার্স লেনের খাবারের দোকান।
     

    কার্জন পার্কের উল্টোদিকে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের অফিস। কার্জন পার্কের মাটির নীচে এখন পূর্ব পশ্চিম মেট্রো রেলের এসপ্ল্যানেড স্টেশন।
     
     
    আরো -
    https://double-dolphin.blogspot.com/p/blog-page_27.html?m=1
    https://robbar.in/mixed-bag/6th-episode-of-bhabmurti-about-high-court-capitals-structure/
    https://www.tutorialathome.in/history/toong-church-captivating-calcutta
    https://dglofbengal.org/being-a-freemason-in-bengal/
    https://rangandatta.wordpress.com/2011/06/17/st-johns-church-calcutta-kolkata/
     
    বই -
    https://archive.org/details/dli.bengal.10689.12596/mode/1up
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ৫৬৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • . | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০৩:০৮540532
  • ধর্মতলার মেট্রোপোলিটান বিল্ডিং অবশ‍্য একটু পরে তৈরি। এর মালিকানা একসময়ে এক বাঙালি পরিবারের মালিকানাধীন ছিল (ব‍্যাংক এবং একই নামের বীমা কোম্পানিসহ, পরে যেটি রাষ্ট্রায়ত্ত হয়ে ভারতীয় জীবন বীমা নিগম নাম হয়)। ঘটনাচক্রে একটু উচ্চস্বরেই বলে ফেললাম গর্বের সঙ্গে। এই বাড়িটিও অসাধারণ স্থাপত্যের নিদর্শন। ভেতরে সেই বাঙালি শিল্পপতির আবক্ষ মূর্তি রয়েছে আজও। তিনি জি ডি বিরলাকে শোনা যায় শিল্পপতি বানানোর একজন মেন্টর ও ছিলেন। অসম্ভব প্রচার বিমুখ ছিলেন এই শিল্পপতি। সারাজীবনে একটাই ফোটো তুলতে দিয়েছেন। 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:১৪540535
  • অসাধারণ সংগ্রহ । কফি টেবিল বুক বানানো যায় না?  অফিস পাড়া ? আফ্রিকার নানান শহরে তাদের বলে সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট। অফিস পাড়া বড়ো মানান সই নাম।
     
    আমার চতুর্থ কর্মদাতা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ( চার্টার্ড ব‍্যাংক অফ ইন্ডিয়া অস্ট্রেলিয়া চায়না,১৮৫৮) পেলাম কিন্তু প্রথম অন্নদাতা স্টেট ব‍্যাংকের ( ব‍্যাংক অফ বেঙ্গল ১৮০৬,এশিয়ার প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান) ১ নম্বর স্ট্যান্ড রোডের বাড়িটি ভাঙা হয়েছে তার ছবি পাওয়া যায় না? আমরা শুনতাম সেই ব‍্যাংকিং হল ছিল জগৎ শেঠের আমলের নাচঘর বা বলরুম। আমার আরেক অন্নদাতা সিটি ( ইন্টারন্যাশনাল ব‍্যাংকিং কর্পোরেশন,১৯০২), কোন আমেরিকান ব্যাংকের প্রথম বিদেশি শাখা , তার ছবি মেলে না? 
     
    অশেষ ধন‍্যবাদ এই স্মৃতির অলিন্দ সাজিয়ে দেবার জন্য 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৪০540536
  • দারুণ লাগলো। সবকটা অনেক বার দেখা তবু নতুন করে আবিষ্কার করলাম তাদের।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:b58b:51f8:8620:***:*** | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:২৮540537
  • ছবিগুলো দারুন লাগলো। অনেক দিন কলকাতায় যাওয়া হয়নি, আবার কখনো গেলে এই সব জায়গার কয়েকটা ঘুরে দেখবো :-)
     
    আরেকটা জিনিস ইন্টারেস্টিং লাগলো, লেখার শুরুতে শহরের জনসং্খ্যা আর টার্ণওভারের হিসেবটা, যদিও ডেট আর অ্যাভারেজ রেট এর ব্যাপারটা বুঝলাম না। অ্যাভারেজ রেটটা যদি প্রোডাক্টিভিটি ধরনের কিছু হয় তো দেখছি ম্যাঞ্চেস্টারের প্রোডাক্টিভিটি কলকাতা আর বম্বের তুলনায় অনেক বেশী ছিল। 
  • b | 14.139.***.*** | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:২৫540539
  • একপিস আর্মেনিয়ান চার্চ ওই ফোর্ট গুস্তাভেও আছে কিন্তু। 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৮540542
  •  নিশ্চিহ্ন হয়েছে এশিয়ার প্রথম ব‍্যাংকের বাডি , আমার আলমা মাটের ব‍্যাংক অফ বেঙ্গল এক নম্বর স্ট্রানড রোড
     
     
  • | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৩৭540543
  • অপূর্ব।  বহুবার দেখা স্থাপত্যগুলো এরকম একসাথে সাজানো খুবই ভাল লাগল। 
  • kk | 172.56.***.*** | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৫৮540544
  • খুব ভালো লাগলো। ছবিগুলো দুর্দান্ত।
  • পাপাঙ্গুল | 182.69.***.*** | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৫৯540546
  • . , হ্যাঁ নিচে হোয়াইটএওয়ে লেইডলর দোকান ছিল। এছাড়াও রাস্তার ওই দিকে হাঁটতে থাকলে তো পরপর ভিকটোরিয়া হাউস , স্টেটসম্যান হাউস , গ্র্যান্ড হোটেল , হগ বাজার , কর্পোরেশন , জাদুঘরের মত হেরিটেজ বাড়ি ...
     
    হীরেনদা , এরকম বই ইতিমধ্যেই আছে নিশ্চিত। সিটির প্রথম অফিসের খোঁজ ঠিক জানি না। হংকং ব্যাংকের পাশের আরেকটি পুরোনো বাড়িতে রিজার্ভ ব্যাংকেরও সংগ্রহশালা আছে। এসবিআইয়ের নতুন বাড়িতে যে সংগ্রহশালা আছে , সেখানে পুরোনো বাড়ির আরো ছবি পাবেন। অনলাইনে এখানে -
     
     
     
    @ডিসি , অ্যাভারেজ রেট মনে হয় দৈনিক মজুরি / তখনকার দিনের হিসেবে মাথা পিছু আয়। 
     
    @b , ফোর্ট গুস্তাভাসই আর নেই মনে হয় , চুঁচুড়ায় শুধু ওলন্দাজদের এক সমাধিস্থান আছে। তবে আর্মেনিয়ান চার্চ আরো থাকতেই পারে।
     
    অনেক ধন্যবাদ রমিত , দ দি , কেকে।
     
    এখানে আরো অনেক পুরোনো ছবি আছে -
  • হীরেন সিংহরায় | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:১২540547
  • alt="IMG-1364
    সেন্ট মার্টিন ইন দি ফিল্ডস
     
     
    ট্রাফালগার স্কোয়ারে গেলেই কলকাতার সেন্ট অ‍্যানডরুজ মনে পড়ে ! 
  • পাপাঙ্গুল | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৩০540548
  • হ্যাঁ অনেক মিল আছে :D এইরকম দেখতে আরেকটি সেন্ট অ‍্যানড্রুজ চেন্নাইতেও আছে। মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির সময় স্কটিশদের বানানো।
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০০:৫৪540549
  • এই রকম বই আরও থাকতেই পারে, কিন্তু তুমি যে ভাবে পরিচয় করাচ্ছো, করাবে, সেটা তোমার নিজের। একটা চমৎকার কফি-টেবল বই হতেই পারে। হলে আমি যে কিনতে চাইব, বলাই বাহুল্য। smiley
  • পাপাঙ্গুল | 2401:4900:30e8:c862:c4f7:61ff:feb0:***:*** | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:০১540554
  • ধন্যবাদ অমিতাভদা, একদিন না একদিন হবে নিশ্চয় :D :D
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন