“ইংরেজি ছাপাখানা ও নিখোঁজ পাণ্ডুলিপি” — সিরাজগঞ্জের বিপ্লবী মুদ্রণযন্ত্রের নেপথ্য কাহিনি
### সূচনা
১৮৬৪ সালের মার্চ। সিরাজগঞ্জে ‘প্রগতি ছাপাখানা’ থেকে হঠাৎ চার হাজার কপি ‘মুক্তিসংগ্রামী সংখ্যার’ এক পুনর্মুদ্রিত ‘বার্তা’ বিলি হয়—যেখানে সিসিলি সমুদ্রতীরের তক্তা-মাহফিলের তুলনায় ব্রিটিশ সীমান্ত বানানো হয়েছে ‘রক্তখেকো’ বলে। গভর্নর জেনারেলের নির্দেশ—প্রেস সিলগালা, সম্পাদক গ্রেফতার। অথচ গ্রেপ্তারের তালিকা খুঁজে পাইনে গভর্নরের সাদরি কোর্টে। অফিসারের দায়িত্ব—কাদের মদতে ছাপা হয়, কার হাতে অদৃশ্য মাদ্রাজি পাণ্ডুলিপি পৌঁছায়?
### তথ্যগুচ্ছ
- তৎকালীন নীলকর ম্যানেজার ‘হেনরি ম্যাকডোনেল’ অভিযোগ করেন প্রেসে ‘গোপন সঙ্কেত’ ছিল।
- প্রেস-কর্মচারী প্রহ্লাদ জানালেন, “রাতে একটা চিঠি পাই—‘কন্ট্রাক্ট-ওয়ার্ক, চার আনা দরে, মজুরি আলাদা’, ব্যস!”
- পুলিশি তল্লাশিতে একটা গরম ইমবসিং প্লেট—ছিপছিপে অক্ষরে বাংলা-ইংরেজি মিশ্র বাক্য: “Freedom is our salt, tax it not.”
### রহস্যজাল
কলিকাতা-মতিহার কাগজের ব্যবসায়ী মিঃ ম্যাথিউ ঘোষণা করলেন—পাণ্ডুলিপি মাদ্রাজ থেকে আসা মিশনারি পাদ্রি ‘ব্রাউন’-এর লেখা। কিন্তু সেই ব্রাউন গত বছরই প্লেগে মৃত। পোস্টমর্টেম দলিল মিলল না—কবরখানার ফিরিস্তি লক্ষ্য করতেই দেখা গেল, ব্রোন (Bronn) নামে জার্মান বটানিস্ট কবরস্থ। বানান-বিদ্যাচাতুর্যে ভাঁওতা।
### ক্লাইম্যাক্স
গভীর রাতে অফিসার চোরাগলি ঘুরে ভোটখোল পাটের গুদামে ঢুকে দেখলেন, প্রেসের হারানো সীসা-অক্ষর গলিয়ে নতুন অলংকরণ হচ্ছে—সবুজ রং করা বুলেটের মতো ‘বিশেষ ইমবসড সিল’ পাচার হবে। লক্ষ্য—নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে দেশজোড়া ছাপাখানায় একই প্লেট! মূল মাস্টারমাইন্ড, নীলকর-ম্যানেজার-হেনরি নিজেই। বাংলা কৃষক বিদ্রোহের আতঙ্কে ‘দেশীয় কৃষ্টি-বিরোধী’ ভীতি ছড়িয়ে উপকূলীয় বাজারে চোরাই নীল বিক্রি নিরাপদ করতে চেয়েছিল।
### উপসংহার
সাক্ষ্য-আধার ও পদস্থ ম্যাজিস্ট্রেটের রায়—হেনরি ম্যাকডোনেল নির্বাসিত, প্রেস-কর্মচারী নির্দোষ। অফিসার লিখলেন, “ইংরেজের ইমপেরিয়াল ফাঁস আর নীলসাহেবের ব্যক্তিস্বার্থ—যখন আঁশটে দখিনা বাতাস পায়, ছাপাখানা হয়ে ওঠে ষড়যন্ত্রের কারখানা।”