এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • ওয়াই ফাই মুক্ত মনোলীন

    চ্যাটজিপিটি
    নাটক | ১১ জুলাই ২০২৫ | ৩৫ বার পঠিত
  • প্রথম অঙ্ক 

    স্থান: কলকাতার একটি আধুনিক ক্যাফে
    চরিত্রসমূহ:
    • অনির্বাণ – সোশ্যাল মিডিয়া-আসক্ত, হিপস্টার বাঙালি যুবক
    • বাপন – বাস্তববাদী বন্ধু, রসবোধসম্পন্ন
    • ওয়েটার – মাঝে মাঝে ঢুকে পড়ে
    • রহস্যময় বৃদ্ধ – শান্ত, স্যুট-কোট পরিহিত; “দার্শনিক” টাইপ

    দৃশ্য ১: 
     
    ক্যাফের ভিতর (একটি ছোট ক্যাফের সজ্জা, দুটো টেবিল, এক টেবিলেবাপন ও অনির্বাণ বসে, অন্য টেবিলে বৃদ্ধ বসে)
    অনির্বাণ: (ফোন চোখ রেখে) দেখ ভাই, কটা ফিল্টার মেরে সেলফি দিয়েছি, মুহূর্তের মধ্যে ৪৮৯টা লাইক!
    বাপন: (চায়ে চুমুক দিয়ে) তুই তো এখন ডিজিটাল বৌ খুঁজছিস, ইনস্টারকম পাত্রী চাই?
    অনির্বাণ: ভাই, এখন তো রিল দেখেই মেয়েরা প্রেমে পড়ে। আমি তো প্ল্যান করছি "ব্রেকআপ ইন 15 সেকেন্ড" সিরিজ বানাবো।
    ওয়েটার: (মুচকি হেসে এসে) স্যার, আর কিছু দেবো? সেলফি-স্পেশাল কফি আনবো?
    বাপন: (হেসে) সঙ্গে একটা "ফিল্টারহীন বাস্তবতা" এনে দিও!
    (ওয়েটার চলে যায়)
    বৃদ্ধ: (শান্ত গলায়) মাফ করবেন, আপনাদের কথা শুনতে পাচ্ছিলাম। বলছিলেন লাইকের কথা... আমি ভাবছিলাম, ফেসবুক না থাকলে মানুষ কীভাবে জানাত পুজোয় নতুন জামা কিনেছে?
    বাপন: (বিস্ময়ে) কাকু, আপনি কে?
    বৃদ্ধ: (মৃদু হেসে) আমি সেই মানুষ, যে জীবনে একটা ছবিও আপলোড করি নি, তবু প্রতিটা পোস্টে গিয়ে লিখেছি  Nice pic. Keep it up. 
    অনির্বাণ: (তাচ্ছিল্যে) কিন্তু কাকু, আপনার নিজের টাইমলাইনে তো কিছু নেই!
    বৃদ্ধ: (হালকা গম্ভীর স্বরে) সে তো তোমার মনের মধ্যেও বিশেষ কিছু নেই। তাও তুমি রোজ তিনটে করে মোটিভেশনাল পোস্ট দাও, Be yourself, unless you can be a unicorn.
    বাপন: (ফিসফিস করে) ওই কাকুটা কি... চ্যাটজিপিটি নাকি?
    (বৃদ্ধ মুচকি হেসে ধীরে ধীরে বেরিয়ে যান)
    অনির্বাণ: (গম্ভীর মুখে ফোনটা নামিয়ে রাখে) আমার মনে হয় একটু সময় বের করে রিয়েল লাইফে ফিরি…
    (আলো ধীরে কমে আসে)

    দ্বিতীয় অঙ্ক 

    স্থান : অনির্বানের ফ্ল্যাট
    চরিত্রসমূহ:
    • অনির্বাণ
    • টিনু
    • মা – সোশ্যাল-মিডিয়া সচেতন বাঙালি মা
    • অর্ণা – ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার, অনির্বাণের "অনলাইন ক্রাশ"
    • লাইফ কোচ জয়ন্ত স্যার – সব কিছুতেই TED Talk টাইপ উপদেশ দেন

    দৃশ্য ১ :

    (অনির্বাণ মুঠোফোন এক পাশে রেখে আয়নায় নিজের চেহারা দেখে)
    অনির্বাণ: (নিজের সাথে কথা বলছে) আজকাল নিজের ছবিতেও নিজেকে দেখি না। শুধু অ্যাঙ্গেল আর ফিল্টার দেখি।
    বাপন: (পাশ থেকে) তাই বলছিলাম, তুই আস্তে আস্তে রিয়েলিটি থেকে রিল এ পরিণত হচ্ছিস।
    (মা এসে ঢোকে, হাতে ফোন, গম্ভীর মুখে)
    মা: (কড়া গলায়) এই কী দেখলাম! তুমি আমার স্টোরি শেয়ার করো নি? আমি এত সুন্দর করে “পেয়াঁজ দিয়ে খিচুড়ি” বানালাম, হ্যাশট্যাগ #সানডেমুড দিয়ে দিলাম, আর তুমি সেই পোস্টেই রিঅ্যাক্ট করো নি?
    অনির্বাণ: (বিস্ময়ে) মা তুমি কবে থেকে ইনস্টাগ্রামে এসে গিয়েছ?
    মা: যখন দেখলাম তুমি আমার সাথে কথা বলো না, শুধু স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকো… তখন ভাবলাম, আমিই স্ক্রিনে ঢুকে পড়ি।
    বাপন: (আস্তে) বাহ... পরিবার এখন ফলোয়ার ফার্স্ট! 
    (ডোরবেল বেজে ওঠে। অর্ণা প্রবেশ করে, চোখে সানগ্লাস, হাতে ট্রাইপড)
    অর্ণা: হাই অনি! আজ না একটা কোলাব ভিডিও শুট করবো, “সিনেমার ডায়ালগ দিয়ে প্রেম প্রস্তাব”।
    অনির্বাণ: (হতভম্ব) মানে, সত্যি প্রেম? না, কনটেন্ট প্রেম?
    অর্ণা: (অভ্যস্ত ভঙ্গিতে) প্রেম-টেম থাক, ভাইরাল হতে হবে আগে। বাকি সব তো এফেক্ট!
    মা: (বিস্ময়ে) ওমা! প্রেমও এখন পোস্ট-প্রোডাকশনে যায়?
    (অর্ণা ভিডিও সেট-আপ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে)

    (আচমকা দরজার বাইরে থেকে জয়ন্ত স্যারের গম্ভীর কণ্ঠ)
    জয়ন্ত স্যার: তোমাদের মধ্যে কারও কি অন্তঃসারশূন্যতার সমস্যা আছে?
    বাপন: (চমকে) এ আবার কে? ফলোয়ার না ফিলোসফার?
    (জয়ন্ত স্যার প্রবেশ করেন — পোশাকে কর্পোরেট, হাতে TEDx লেখা ফোল্ডার)
    জয়ন্ত স্যার: আমি জয়ন্ত মুখার্জী। লাইফ কোচ। আমি মানুষের মন থেকে কনটেন্টের দুঃসহ ভার সরিয়ে আত্মার ইনবক্স পরিষ্কার করি।
    অর্ণা: (ফিসফিস করে) স্যার লাইভে আসুন না? রিল হবে দারুণ!
    জয়ন্ত স্যার: (দার্শনিক ভঙ্গিতে) আমরা আজ এমন এক সময় দাঁড়িয়ে, যেখানে মানুষ আগে জানে কে কী খেয়েছে, তারপর জানে কে কে বেঁচে আছে। আমরা "মুঠোফোনে" বন্দী হয়ে "মুখোমুখি" হারিয়েছি।
    বাপন:  (আস্তে) স্যার এক্স-মেটা এমপ্লয়ি কিনা কে জানে...
    অনির্বাণ: (হঠাৎ সম্বিৎ ফিরে পায়) আজ আমি কিছুই পোস্ট করবো না। আমি শুধু একটু হাঁটবো। সত্যিকারের আকাশ দেখবো। (অর্ণার দিকে তাকিয়ে) তুমি আসবে?
    অর্ণা: (কিছুটা থমকে) আমি আসি... তবে ফোনটা অফ করে?
    বাপন: (হেসে) আজকের দিনে এটা প্রেমের প্রস্তাবের চেয়েও বড় কথা!
    (সবাই ধীরে হাঁটতে হাঁটতে মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যায়... আলো ধীরে কমে আসে)
    ব্যাকগ্রাউন্ড ভয়েস (জয়ন্ত স্যার): নিউরনের থেকে রিল বড় হলে, জীবন শুধু ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হয়ে যায়। সময় থাকতেই প্লে থেকে পজে আসুন…

    তৃতীয় অঙ্ক 

    স্থান: WiFi-মুক্ত মনোলীন আশ্রম – এক ডিজিটাল ডিটক্স সেন্টার
    চরিত্রসমূহ:
    • অনির্বাণ
    • বাপন
    • অর্ণা
    • মা
    • আশ্রমাচার্য সিগন্যালানন্দজি
    • সহযোগী আশ্রমবাসী 

    দৃশ্য ১: 
    (এক প্রাচীন স্থাপনার মঞ্চসজ্জা, ফটকে লেখা: "WiFi মুক্ত এলাকা – শুধু মন সংযোগ")
    বাপন:(চোখ বড় বড় করে) দেখলি? এখানে ঢুকলেই মোবাইল ‘সাইলেন্ট মোড’ না, পুরো ‘সমাধি মোড’!
    অর্ণা: (সন্দেহে) আমার ইনস্টা রিলের প্ল্যান ছিল আজ। কিন্তু.. (একটু থেমে) এই প্রথম মনে হচ্ছে ক্যামেরা ছাড়াও নিজেকে খুঁজতে ইচ্ছা করছে।
    মা: (গম্ভীর মুখে) আমি শুধু চাই, কেউ “পেয়াঁজ ছাড়া খিচুড়ি” খাওয়ার পরেও ‘ভালোবাসি মা’ বলুক। হ্যাশট্যাগ ছাড়াও!

    দৃশ্য ২: 
    (সিগন্যালানন্দজি প্রবেশ করেন – পোশাক সন্ন্যাসীর, গলায় পুরনো হেডফোন ঝুলছে)
    সিগন্যালানন্দজি: (ধীরে, গম্ভীর স্বরে) ওম… মো-বা-ইলঃ শূন্যং ভব! এখানে আমরা রোজ সকালে "নোটিফিকেশন নিবৃত্তি যোগ" করি। দিন শুরু হয় এই মন্ত্রে – "স্ক্রোল থেকে মুক্তি, সোলের প্রতি ভক্তি"
    অনির্বাণ: (হতচকিত হয়ে) গুরুজি, আপনি কে ছিলেন আগে?
    সিগন্যালানন্দজি: (দার্শনিক ভঙ্গিতে) আমি এক সময় গুগলের UX হেড ছিলাম। আজ আমি ‘মানব অভিজ্ঞতা’র UX ডিজাইন করি।

    দৃশ্য ৩: 
    (আশ্রমে থাকা কয়েকজন আশ্রমবাসী দাঁড়ায়,একজন প্রাক্তন টিকটক তারকা, এক জন ‘ফেক নিউজ’-এ ক্লান্ত প্রিন্ট সাংবাদিক, আরেকজন “মিম বানাতে বানাতে মানসিক জ্বালায় ভুগছে”)
    টিকটক তারকা (রিয়া): আমি এখন দিনে তিনবার আয়নায় তাকিয়ে বলি  "তুই রিল নোস, রিয়েল হোস"
    সাংবাদিক:  আমি এখন কেবল বাতাসের খবর শুনি। কারণ সেটাই সবচেয়ে নিরপেক্ষ!
    মিম-মেকার: আমি এখন কেবল নীরবতা এডিট করি। কোনো টেক্সট নয়, শুধু ফাঁকা স্ক্রিন।

    দৃশ্য ৪: 
    (সব চরিত্র একসাথে বসে মেডিটেশন করছে। পেছনে বাজছে “নোটিফিকেশন বিহীন নীরবতা”)
    সিগন্যালানন্দজি: (ধীরে ধীরে) তোমরা এতদিন যা ছিলে তা "ডেটা"। এখন সময় নিজেকে "ডি-টক্স" করার। নিজের ভিতরের RAM পরিষ্কার করো। কল্পনার Cache ফাঁকা করো। Reboot করো আত্মাকে…
    (হঠাৎ কোথাও একটা নোটিফিকেশনের আওয়াজ “টিং!” সবার মুখ ঘুরে যায় অনির্বাণের দিকে)
    অনির্বাণ: (হতাশ মুখে) ওফ্... ওটা আমার মনে বাজলো... ফোনে নয়।

    দৃশ্য ৫: 
    (সবাই বাইরে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় দেখছে। কারোর হাতে ফোন নেই। মুখে আলতো হাসি।)
    অর্ণা: আজ এই প্রথম... একটা ভিউ পেলাম, যার জন্য কেউ ‘কমেন্ট’ চাইছে না।
    মা: (আলতো গলায়) আজ এই প্রথম খিচুড়ি খেতে খেতে কেউ ফটো তোলে নি।
    বাপন: আজ এই প্রথম গল্পটা নিজের মধ্যে ঘটছে, শেয়ার করার জন্য নয়, অনুভবের জন্য।
    অনির্বাণ: (আকাশের দিকে তাকিয়ে) আজকের দিনটা কোনো ফিল্টার ছাড়াই... দারুণ লাগছে।
    ( আলো ধীরে নিভে আসে... )
    পেছনে ভয়েসওভার (সিগন্যালানন্দজি):
    "আমরা স্ক্রিনে তাকিয়ে যা হারিয়েছি, তা ফিরিয়ে আনা যায়, তবে ব্যাটারি নয়, মন চার্জ করে।"

    শেষ 

    ( কতৃজ্ঞতা স্বীকার : চ্যাটজিপিটি.কম  )
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন