৭
শুভময়ীদেবী নজর রাখছিলেন প্রতিষ্ঠার ওপর। কারণ হাফইয়ার্লিতে অংকের খাতা দেখতে গিয়েই তিনি টের পেয়েছিলেন, এই মেয়ে অংকে ডুববে। অন্যান্য সাবজেক্টের ডিটেল নম্বর তিনি খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, নেহাত মন্দ নয়, ভালোভাবেই উৎরে যাবে। কিন্তু অংকে বেশ বিপদ আছে। একই আবাসনে থাকার দরুণ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে তাঁর স্কুলের বাইরেও দেখা হয় মাঝে মধ্যেই, তাতে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি না হলেও, সৌজন্য সম্পর্ক একটা তৈরি হয়েইছিল। কাজেই, হাফইয়ার্লির পরে তিনি প্রতিষ্ঠাকে নিজের ঘরে ডেকে বলেছিলেন, “প্রতিষ্ঠা, তোমাকে ডেকেছিলাম, তোমার অংকের নাম্বারের জন্যে”।
প্রতিষ্ঠা শ্রাগ করে বলেছিল, “হ্যাঁ, ম্যাম, আপনার হাত থেকে নম্বর বের করতে পারিনি”। হেসে ফেলে শুভময়ীদেবী বলেছিলেন, “কী বলছ কি প্রতিষ্ঠা, তোমার কি ধারণা, আমি ইচ্ছে করে তোমায় নাম্বার দিইনি? সিলি মিস্টেকস, স্টেপ-জাম্পস, লট অফ আনঅ্যাটেম্পটেড সাম্স্, তোমাকে নম্বরটা দিই কোথায় বলো তো? বি সিরিয়াস, প্রতিষ্ঠা, আর ক’মাস পর মাধ্যমিক পরীক্ষার এক্সটার্নাল এক্সামিনার কিন্তু তোমাকে পার্সোনালি চিনবেন না। আমি যেটুকু মার্কস দিয়েছি, সেটাও পাবে কিনা আমার সন্দেহ আছে”। একটু থেমে আবার বললেন, “আমি কিন্তু তোমাকে ভয় দেখাতে বা ওয়ার্ন করার জন্যে ডাকিনি, প্রতিষ্ঠা। আমি বলতে চাইছি, অন্য সাবজেক্টে তুমি মাচ বেটার পজিসনে আছ, মে বি, অংকটা ইজ নট ইয়োর কাপ অফ টি, বাট, অংকর জন্যে টোটাল রেজাল্টটা খুব খারাপ করে ফেলাটাও কিন্তু কোন কাজের কথা নয়”।
“ম্যাম, আমি কিন্তু চা খাই না”। প্রতিষ্ঠা মিচকে হেসে উত্তর দিয়েছিল। শুভময়ীদেবী অবাক হয়েছিলেন, তাঁর সিরিয়াস কথার উত্তরে প্রতিষ্ঠার এরকম বাচাল উত্তরে আর হাসিতে।
তিনি ধৈর্য হারাননি, মৃদু হেসে বলেছিলেন, “এনিওয়ে, প্রতিষ্ঠা, আমার উপদেশ তোমার ভাল নাও লাগতে পারে। বাট অ্যাজ ইয়োর টিচার, আই কান্ট শ্রাগ অফ মাই রেসপনসিবিলিটি। তাই বলছিলাম, বি সিরিয়াস অ্যাবাউট ইট, অ্যান্ড ট্রাই হার্ড টু ইমপ্রুভ ইয়োরসেল্ফ। ইফ ইউ থিংক ইউ নিড মাই হেল্প, এনি টাইম, ইন দি স্কুল অর অ্যাট মাই হোম, ইউ আর ওয়েলকাম। আমি কিন্তু খুব সিরিয়াসলি বলছি, প্রতিষ্ঠা, আমি রিয়্যালি উইলিং টু হেল্প ইউ আউট -”।
প্রতিষ্ঠা মুখ নীচু করে কথাগুলো শুনছিল, শুভময়ীদেবীর কথা শেষ হতে বলল, “ঠিক আছে, ম্যাম, থ্যাংকস আ লট। আমি আরেকবার চেষ্টা করে দেখি, আদারওয়াইজ আই ডেফিনিটলি উইল কামডাউন টু ইউ। লেট মি হ্যাভ অ্যানাদার চ্যান্স, ম্যাম”।
“ওকে, প্রতিষ্ঠা, আই রিয়্যালি লাইক ইয়োর স্পিরিট। বাট, আরেকটা কথা বলে দিই, অংকের দিকে একটু বেশি নজর দাও, কিন্তু এতটাও বেশি কন্সেন্ট্রেট করে ফেল না, যাতে অন্য সাবজেক্টগুলোর প্রিপেরেসান অ্যাফেক্টেড হয়। কি বলতে চাইছি, আশা করি বুঝেছ, আর খুব বেশি সময় নেই, নাউ ইউ নিড এ ব্যালান্স্ড্ স্টাডি”। কোন কথা বলেনি প্রতিষ্ঠা, মাথা নেড়ে উঠে পড়েছিল, শুভময়ী আন্টির সামনে থেকে।
প্রতিষ্ঠা চেষ্টা যে করেনি, তা নয়, কিন্তু অংকে খুব একটা উন্নতি করতে পারল না এবং সেটা ধরা পড়ল টেস্টের রেজাল্টে। আর তিন-সাড়ে তিন মাস পরেই ফাইন্যাল, প্রতিষ্ঠা এবার সত্যি খুব নার্ভাস ফিল করল, কারণ এই সাবজেক্টটা কিছুতেই তার আয়ত্তে আসছে না। পরীক্ষা হলের বাইরে সে কন্ফিডেন্ট, কিন্তু কোয়েশ্চেনস পাওয়ার পর, খাতায় অংক শুরু করলেই মনে হচ্ছে, ঠিক করছি তো? এ অংকটা এভাবেই সল্ভ্ করেছিলাম কি? কনফিউস্ড্ হয়ে যাচ্ছে বারবার, অংক মিলছে না, সময় নষ্ট হচ্ছে, তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আরো বেশী ভুল হচ্ছে প্রসিডিয়রে। কাজেই এবার আর সে জিদ করল না, শুভময়ীদেবীর পরামর্শে শুভময়ীদেবীর ফ্ল্যাটে যাওয়া শুরু করল।
শুভময়ীদেবীর স্কুল শনিবারে হাফ আর রোববার পুরো ছুটি থাকে। প্রথমদিন শনিবার বিকেলে প্রতিষ্ঠা শুভময়ীদেবীর ফ্ল্যাটে গেল, সঙ্গে ছিল ছবি। ছবিকে সঙ্গী করার কোন দরকার ছিল না, প্রতিষ্ঠা চায়ওনি ছবি তার সঙ্গী হোক। কিন্তু প্রতিষ্ঠার মা একরকম জোর করেই ছবিকে সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন। সেদিন বসার ঘরের সোফায় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে বসে শুভময়ীদেবী বললেন, “প্রতিষ্ঠা, আমরা কিন্তু এখন নতুন আর কিচ্ছু শিখব না। তার আর সময় নেই। বরং আমরা যেটুকু জানি, সেটুকুই বারবার প্র্যাকটিস করব। বারবার। যাতে তার মধ্যে কোন ভুল আর না হয়। ব্যস্, এইটুকু যদি তুমি খুব সিনসিয়ারলি করো, তুমি লেটার পাবে না ঠিকই, কিন্তু যথেষ্ট ভাল মার্কস পেয়ে যাবে, সেটুকুই এখন আমাদের লক্ষ্য, তাই না?”
প্রতিষ্ঠা ঘাড় নেড়ে সায় জানাতে, শুভময়ীদেবী আবার বললেন, “ভেরি গুড। আমার কাজ হচ্ছে, তোমাকে গাইড করা, আর তোমার প্র্যাকটিসটাকে মনিটর করা। আমি বলছি তোমাকে প্রতিষ্ঠা, যে কটা দিন এখনো বাকি আছে ফাইন্যালের, একটু খাটলে আমরা ভালই রেজাল্ট করব। সো নাউ লেট আস স্টার্ট অ্যাফ্রেস, ফরগেটিং দ্য পাস্ট”।
ছবি এতক্ষণ খুব মন দিয়ে শুনছিল শুভময়ীদেবীর কথা। তাঁর সব কথা না বুঝলেও, তাঁর চেহারা, ব্যক্তিত্ব আর সহৃদয় ব্যবহার ছবির ভীষণ ভালো লাগল। সে বসার ঘরের মেঝেয় বসে ভাবতে লাগল তার ফেলে আসা অসম্পূর্ণ ইস্কুল জীবনের কথা, আর দেখতে লাগল এই ঘর, তার সাজ-সজ্জা।
মিঠুদিদিদের থেকে এই ফ্ল্যাটটা বেশ অন্যরকম। সদর দিয়ে ঢুকেই এই বসার ঘর। তার বাঁদিকে সামনের সোফায় বসে ছোট টেবিলে নিচু হয়ে মিঠুদিদি অংক কষছে। মিঠুদিদির দিদিমণি বসে আছেন মিঠুদিদির পাশেই। ছবি যেদিকে বসে আছে তার ডানদিকে একটা পর্দা ঢাকা দরজা। পাখার হাওয়ায় অল্প দুলছে। দরজার পরে ছাদ থেকে মেঝে পর্যন্ত বইয়ে ভরা কাঠের দেওয়াল আলমারি। কাঁচের পাল্লা দিয়ে ঢাকা। কত বই, কত বই। এই সঅঅব বই পড়ে ফেলেছেন মিঠুদিদির দিদিমণি! এত বই না পড়লে বুঝি দিদিমণি হওয়া যায় না? খাওয়ার টেবিলের পিছনে আরেকটা খোলা দরজা, বাইরে বারান্দা। অনেকক্ষণ চুপচাপ বসে থাকতে থাকতে ছবির একঘেয়ে লাগছিল, ভাবছিল বারান্দায় যাবে কিনা। মিঠুদিদির দিদিমণি কি কিছু বলবেন, সে যদি উঠে এখন বারান্দায় যায়? ছবি একবার তাকাল ওদের দিকে, দুজনেরই খুব গম্ভীর মুখ, মিঠুদিদি লিখছে আর দিদিমণি দেখছেন খাতার দিকে।
বারান্দার দিকে যাওয়ার জন্যে ছবি নিঃশব্দে উঠে দাঁড়াতে, কেউ একজন অদ্ভূত স্বরে চেঁচাল, কি বলল বোঝা গেল না। ভয় পেয়ে ছবি মিঠুদিদি আর দিদিমণির দিকে তাকাল। নাঃ, ওরা তো তাকে লক্ষ্যও করেনি, আর আওয়াজটা এসেছে তার ডান দিকের ঘর থেকে, যার দরজায় পর্দা দুলছে। ভয় পেয়ে ছবি আবার একই জায়গায় বসে পড়ল। কিন্তু বসার পরেও আওয়াজটা আবার এল, “অ্যা...ও...ও....ও..। অ্যা...ও...ও....ও..। অ্যা...ও...ও....ও..”।
ছবি ভয় পেল ঠিকই, কিন্তু কৌতূহলও হল, কে এভাবে চেঁচাচ্ছে? সে আবার তাকাল, মিঠুদিদি আর দিদিমণি একইভাবে খাতার ওপর ঝুঁকে আছে, ওরা শুনতে পায়নি। ছবি ঝুঁকে বসে পর্দাটা একটু ফাঁক করে ঘরের ভিতরে তাকাল। একটা ছেলে খাটে শুয়ে, ঘাড় ফিরিয়ে দরজার দিকেই তাকিয়ে আছে। ছবির সঙ্গে চোখাচোখি হতে, ছেলেটা বীভৎস মুখ করল। তারপর খুব চেষ্টা করতে লাগল উঠে বসার। পারছিল না, হাতে ভর দিয়ে কোমর থেকে ওপরের শরীরটা একটু তুলছিল, কিন্তু বারবার হড়কে যাচ্ছিল হাতদুটো। ছবি লক্ষ্য করল, ছেলেটার হাত আর পা দুটো ভীষণ সরু, শক্তিহীন, কেমন যেন নিয়ন্ত্রণহীন এলোমেলো। উঠে বসার চেষ্টায় ছেলেটার মুখ আরো বিকৃত আর বীভৎস হয়ে উঠছিল বারবার।
ছবি এমন কোনদিন দেখেনি। কিন্তু এটুকু বুঝল ছেলেটা অসহায়। কথা বলতে পারে না। বিছানায় উঠে বসার সাধ্যটুকুও নেই। হাত-পা-মুখ চোখ কোন কিছুই তার স্বাভাবিক নয়। কত বয়েস হবে ছেলেটার? এটা কী অসুখ? কোনদিন কি এ অসুখ সারবে? এই ছেলেটা কি কোনদিন পারবে স্বাভাবিক হেঁটে চলে বেড়াতে, কথা বলতে? ছবি উঠে দাঁড়াল, পর্দা সরিয়ে ঘরে ঢুকল, ছেলেটার একটা হাত আর পিঠে সাপোর্ট দিয়ে বসিয়ে দিল বিছানায়। ছেলেটা আগের মতোই মুখ বিকৃত করল, যেন মুখ ভেঙাল। কিন্তু ছবি বুঝতে পারল, ছেলেটা মোটেই মুখ ভেঙাচ্ছে না, তার মুখটা ওরকমই বেঁকে যায়। বসে থাকতে থাকতেই ছেলেটা আবার পিছন দিকে হেলে পড়ছিল, অসহায় হাতে ভর দিয়ে বসে থাকতে চাইছিল ছেলেটা, কিন্তু পারছিল না। ছবি আবার সোজা করে বসিয়ে দিল, তারপর ছেলেটার পিছনে দুটো বালিশ সাজিয়ে দিল, যাতে আর পড়ে না যায়।
ছেলেটাকে বসানোর সময় একটা হাত ধরেছিল ছবি, কি কঠিন সেই হাত। বিছানায় বসিয়ে দেওয়ার পর, ছেলেটা ছবির হাতে হাত রেখেছিল, তার হাতের তালুটাও অসম্ভব শক্ত আর নিষ্ঠুর মনে হল তার। এই হাত এই শরীর কোন মানুষের নয় যেন। প্রত্যেকটি মানুষেরই শরীরের স্পর্শে কোন না কোন ভাষা সঞ্চারিত হয় অন্য শরীরে। সে ভাষা ভাল হতে পারে, মন্দ হতে পারে। ভালবাসার হতে পারে, হতে পারে ঘৃণার বা ক্রোধের। কিন্তু এ ছেলের শরীর একদম বোবা, নির্বিকার, পাথরের মতো কঠিন, ভাবলেশহীন। ছবি ছেলেটাকে খুব মন দিয়ে দেখছিল, হঠাৎ ছেলেটা আগের মতোই আওয়াজ করল, “অ্যা...ও...ও....ও..”।
ছবি ওর মুখের দিকে তাকাল। হাত, ঘাড়, চোখ ঘুরিয়ে কিছু একটা বোঝাতে চাইছে তাকে, কি? কী চাইছে ছেলেটা? আশেপাশে তাকাল ছবি, বিছানার মাথার দিকে একটা ছোট টেবিলে জলের বোতল আর গ্লাস। একটা খেলনা, ট্যামটেমি, ঘোরালে আওয়াজ করে। বেশ কিছু ওষুধের ফয়েল, দুটো শিশি। একটা রুমালের মতো কাপড়...।
ছবি ট্যামটেমিটা বাজাল। ক্যারক্যারক্যার...। ছেলেটা খুব জোরে ঘাড় ঝাঁকাল, বলল, “অ্যা...ও...ও....ও..”।
তার মানে এটা চাইছে না। ছবি জলের গ্লাস আর বোতল দেখাল, ছেলেটা বলল, “অ্যা...ও....অ্যা...ও...”
ছবির মনে হল, জল খেতেই চাইছে। গেলাসে জল ঢালল- আদ্দেকটা, গেলাসটা নিয়ে কাছে যেতে ছেলেটা হাত বাড়াল না, গলা বাড়িয়ে ঠোঁটের এমন একটা ভঙ্গি করল, ছবি বুঝতে পারল, জলটা খাইয়ে দিতে হবে। গেলাসটা ঠোঁটের কাছে ধরতে ছেলেটা গেলাসে মুখ নিয়ে জল খেতে লাগল। জলে চুমুক দিতে আওয়াজ হচ্ছিল, ঢোঁক গিলতেও আওয়াজ হচ্ছিল, আর গলার হাড়টা বারবার ওঠানামা করছিল জল ঢোঁক গেলার সময়। ওইটুকু জল খেতে কতক্ষণ সময় নিল ছেলেটা! ছবি একদৃষ্টিতে দেখছিল ছেলেটাকে, কি অসহায় এই ছোট্ট জীবনটা। ভীষণ মায়ায় তার চোখে জল এসে গেল, জল খাওয়া হতে রুমালটা দিয়ে ছেলেটার মুখ মুছে দিল ছবি। ছেলেটা আবার মুখ বেঁকিয়ে ভীষণ করে তুলল নিজেকে, এটাই কি ছেলেটার হাসি?
“বাঃ, কি সুন্দর ওকে বসিয়ে দিয়েছিস, জলও খাওয়ালি! তোর নাম কি রে”?
ছবির পিছনে দিদিমণি কথা বললেন, ট্যামটেমির আওয়াজ পেয়ে তিনি এ ঘরে ঢুকেছিলেন, কিছু বলেননি। দেখছিলেন ছবিকে। সংকোচে আর ভয়ে ছবি সরে এল, বলল, “ছবি, ছবি পোল্লে”।
“পোল্লে? তুই কি মালতীর মেয়ে নাকি”? ছবি ঘাড় নেড়ে সায় দিল।
“তোর কথা তোর মা খুব বলে, তুই নাকি সিক্স পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিস? তুই প্রতিষ্ঠাদের বাড়িতে থাকিস”? ছবি মুখ নীচু করে রইল।
“বিট্টু হাসছে। বিট্টু কতদিন পরে হাসছে, তুই জানিস না রে, ছবি...”! সদাশান্ত শুভময়ীদেবীরও কণ্ঠস্বর রুদ্ধ হয়ে এল।
চলবে...
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।