এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • সুরক্ষিতা - শেষ পর্ব 

    Kishore Ghosal লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ২০ নভেম্বর ২০২৫ | ৭ বার পঠিত
  • ১৮

    অন্যদিনের থেকে বেশ একটু তাড়াতাড়িই ফিরে এলেন শুভময়ীদেবী।  সাদা রঙের চেনা ছোট গাড়িটা ঢুকে এল কম্পাউন্ডে। শুভময়ীদেবী নামলেন গাড়ি থেকে, ওপরের বারান্দায় ছবির সঙ্গে চোখাচোখি হতে হাসলেন। উনি উঠে আসছেন ওপরে, ছবি দরজা খুলতে গেল। শুভময়ীদেবী ঘরে এসে সোফায় বসলেন বেশ আরাম করে। খুশির হাসি তাঁর মুখে। সোফায় বসে বললেন, “আজ বিট্টু বেশ ভাল আছে, জানিস ছবি। সক্কলের সঙ্গে কি সুন্দর গল্প করছিল, তুই না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারবি না। পরের রোববার তোকে নিয়ে যাব।”
    ছবি ফ্রিজ থেকে কাঁচের গ্লাসে রাখা লেবু-মিছরির সরবৎ বের করে এনে, শুভময়ীদেবীর হাতে দিয়ে বলল, “তাই? অনেক বন্ধু পেয়ে গেছে না, এখানে বেচারা সারাটাদিন আমাদের সঙ্গে, খুব মনমরা থাকত সবসময়, বলো মামী”।

    “একদম ঠিক। তোর কথা জিজ্ঞাসা করছিল জানিস তো? বাবা, তুই তো বেশ গিন্নি হয়ে উঠেছিস, রে – অ্যাঁ, ঘরে ঢুকতে না ঢুকতেই সরবৎ, বাঃ”। উজ্জ্বল হাসি শুভময়ীদেবীর মুখে, কতদিন তিনি এমন যত্নআত্তি পাননি কারোর কাছ থেকে। পাওয়ার কথা কোনদিন ভাবনাতেও ছিল না, নানান পরিস্থিতির চাপে। খুব তারিয়ে তারিয়ে তৃপ্তির সঙ্গে তিনি সরবৎ খেলেন।
    ছবি জিজ্ঞাসা করল, “আরেকটু দিই”?

    “আছে? তাহলে দে, বেশ লাগল কিন্তু”। আরো এক গ্লাস ভরে দিল ছবি। শুভময়ীদেবী সরবৎ খালি করে গ্লাস ফেরত দিলেন ছবির হাতে। গ্লাস নিয়ে ছবি রান্নাঘরে গেল, তাকে রান্নাঘরের দিকে যেতে দেখে সোফা ছেড়ে উঠে পড়লেন শুভময়ীদেবী।
    ছবির পিছনে যেতে যেতে বললেন, “কি রান্না করেছিস রে”?

    “যা, যা বলে গেছিলে সব”। রান্নাঘরে ঢুকে শুভময়ীদেবী ঢাকনা তুলে দেখতে লাগলেন সব বাটিগুলি। খুব খুশি হলেন সব কিছু দেখে। সব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, প্রত্যেকটি রান্না সযত্নে ঢাকা দেওয়া। তিনি হাসি মুখে ছবির দিকে তাকিয়ে বললেন, “দারুণ রেঁধেছিস মনে হচ্ছে? কেমন হয়েছে রে”?
    “কেমন হয়েছে, তা তো জানিনা, তুমিই তো খেয়ে বলবে কেমন হয়েছে”।
    “এ বাবা, তুই চেখে দেখিস নি? একটু একটু চেখে দেখবি তো, নুন মিষ্টি ঠিক হল কিনা”?
    “না, না। তুমি খাওয়ার আগে আমি খাবো? সে আমি কক্‌খনো পারব না”।
    “পাগলি কোথাকার। তোর মা আর দিদুকে বলেছিলি তো? কখন আসবে?”
    ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ছবি বলল, “এসে যাবে এখনই। ততক্ষণ তুমি চানটা করে নাও না”।
    “সেই ভাল – চট করে চানটা সেরে আসি।    

    সকলের খাওয়া হয়ে যাওয়ার পর, শুভময়ীদেবী মালতীদের নিজের ঘরে ডাকলেন, বললেন, “মালতী তোমাদের সঙ্গে ছবির ব্যাপারে কিছু কথা আছে”। ওদের সঙ্গে ছবিও এসেছিল, শুভময়ীদেবী ছবিকে বললেন, “আমাদের বড়োদের কথার মধ্যে তোর তো থাকা চলবে না, ছবি। সকাল থেকে তোর অনেক খাটনি গেছে, তুই বরং, যা, একটু বিশ্রাম করে নে…”।
    ছবির মোটেই ইচ্ছে হচ্ছিল না এঘর থেকে যাওয়ার, তবু মামীর আদেশ তাকে মানতেই হবে। বেরিয়ে গিয়ে শুভময়ীদেবীর ঘরের দরজাটা ভেজিয়ে দিল। বন্ধ দরজার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বিট্টুর ঘরে গেল। এ বাড়িতে কাজে ঢুকে থেকে, বিট্টুর বিছানার পাশের মেঝেতেই সে বিছানা পাতে। রাত্রে সেখানেই সে শোয় – মাঝে মাঝে দুপুরেও। বিট্টু “একান্ত সহায়”-এ চলে যাওয়ার পর – এ ঘর এখন শূণ্য, শূণ্য বিট্টুর বিছানাও। বিছানার পাশে একটা টুল নিয়ে খোলা জানালার সামনে বসল ছবি। এদিকের জানালা দিয়ে কমপ্লেক্সের ছোট্ট পার্কটা চোখে পড়ে। ওখানে স্লিপ আছে, আছে দোলনা, দুটো সি-স। আছে বেশ কিছু সিমেন্টের বেঞ্চি। আর পার্কের চারপাশ ঘিরে চওড়া বাঁধানো পায়ে চলার পথ আছে। সকাল সকাল বড়োরা ওই পথে দ্রুত পায়ে হেঁটে চলে…। বিকেলে বাচ্চারা আসে খেলতে। সন্ধের দিকে মহিলারা আসে বেঞ্চে বসে গল্প করতে। এই মধ্য দুপুরে পার্কটা নির্জন, কেউ নেই।
     
    শূণ্য এই ঘরে বসে, শূণ্য ওই পার্কের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে, ছবির দুশ্চিন্তাটা আরও বাড়ল। তাকে আড়াল করে, তার মা আর দিদুকে কী বলতে ডাকল মামী? সে কথা এত গোপনই বা কেন? তাকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়ার কথাই যদি হয় – তার জন্যে এত ঢাকঢাক-গুড়গুড় কেন? কেনই বা এত আদর করে তার মা আর দিদুকে খাওয়ানোর আয়োজন? কথাটা কিছুতেই বুঝতে পারছে না ছবি। মামী কী ভাবছে – এই বাড়ীর কাজ থেকে তাকে ছাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে – একথা শুনলে সে ডুকরে কেঁদে উঠবে? ছবির প্রতি তার মামীর এতটাই সহানুভূতি? নাকি…
    কথাটা হঠাৎ মনে আসতে ছবির শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে এল হিমেল স্রোত। তার মাথা ঘুরে গেল। জানালার বাইরে পার্কের সবুজ ঘাস, বাচ্চাদের খেলার সরঞ্জাম সবই কেমন ঝাপসা হয়ে এল তার চোখের সামনে। দুহাতে মুখ ঢেকে বসে রইল চুপ করে…। মামী কি কোন ভাবে জেনে গেছে মিঠুদিদির সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা? যে সম্পর্ক সে নিজেই চুকিয়ে দিয়েছে বেশ কয়েক মাস আগে? তার মা এবং দিদু এসব কথা শুনলে যে পাথর হয়ে যাবে। মামী কী করে জানল? আর যদি জেনেই থাকে তাকেই তো সরাসরি বলতে পারত। তা না করে মা আর দিদুকে ডেকে আনল এসব কথা বলার জন্যেই…! ভয়ে আর লজ্জায় তার হাতপা ঠাণ্ডা হয়ে এল।

    মালতী খুব ধীরে ধীরে ছবির ঘরের দরজা ঠেলে ভিতরে এল। ভেবেছিল মেয়েটা বোধহয় ঘুমিয়ে পড়েছে। কোথায় কি – জানালার ধারে চুপটি করে বসে আছে – দুহাতে মুখ ঢেকে…। খুব অবাক হল মালতী – ছবি এভাবে বসে আছে কেন? শরীর খারাপ নয় তো? নিঃশব্দে ছবির পাশে দাঁড়িয়ে তার মাথায় হাত রাখল মালতী, মমতামাখা গলায় বলল, “কী হয়েছে রে, মা? মাথা ধরেছে? শরীর খারাপ লাগছে?”
     
    মাথায় হাতের স্পর্শে ছবি চমকে উঠেছিল। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল মা। ছবি মাকে জড়িয়ে ধরে বুকে মাথা রেখে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল। মালতী অবাক হল খুব – ছবিকে এতটা অসহায় ভাবে কাঁদতে বহুদিন দেখেনি। সেই ওর বাবা মারা যাওয়ার সময় ছাড়া। ছবির মাথাটা বুকে চেপে ধরে, মালতী কান্নাধরা গলায় বলল, “কী হয়েছে মা? কীসের কষ্ট তোর? হঠাৎ এভাবে কাঁদছিস কেন - একা একা বসে?”
     
    দুজনে দুজনকে ধরে চুপ করে রইল বেশ কিছুক্ষণ। ছবির কান্নার বেগ কিছুটা কমতে, মালতী ছবির মুখটা ধরে শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখের জল মুছতে মুছতে বলল, “পাগল মেয়ে, কী হয়েছে বলবি তো? কাঁদছিস কেন? ওঘরে তোর মামী তোকে ডাকছে – চল – খুব ভালো খবর আছে…”।
    নিজেকে সামলে নিয়ে ছবি কান্নাধরা গলায় বলল, “তোমাদের গোপন কথাবার্তা সব হয়ে গেল?”
    মালতী এবার হেসে ফেলল, বলল, “অ…ও ঘর ছেড়ে তোকে চলে আসতে বলার জন্যে তোর অভিমান হয়েছে? তার জন্যে এত মনখারাপ – কান্না, পাগলি কোথাকার? চ ওঠ, মামী ডাকছে, অনেক কথা আছে…”।  

    ১৯
                       
       মেয়েকে নিয়ে মালতী শুভময়ীদেবীর ঘরে ঢুকতেই শুভময়ীদেবী হেসে বললেন, “ কি রে, ঘুমিয়ে পড়েছিলি নাকি? চোখগুলো ফোলা ফোলা লাগছে। আয় বস”।  মা আর দিদুর পাশেই বসল ছবি।
    শুভময়ীদেবী বললেন, “তোর মা আর দিদুর সঙ্গে আলোচনা করে – আমরা তোর কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করেছি”। তার সঙ্গে মিঠুদিদির সম্পর্কের কথাটা যদি জানাজানি হয়ে গিয়েই থাকে, তার শাস্তির ব্যপারটা মামী নিশ্চয়ই হাসি হাসি মুখে বলবে না। খুব অবাক হয়ে মায়ের এবং মামীর মুখের দিকে তাকাল। “তোকে বিয়ে করতে হবে”, শুভময়ীদেবী হাসতে হাসতে ঘোষণা করলেন, “কোন ভাবেই তোর পরিত্রাণ নেই”।
    স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল ছবি, তারপর মাথা নীচু করে বলল, “বিয়ে আমি করব না, মামী”।
    “বিয়ের আগে সব ছেলে-মেয়েই অমন বলে, ছবি। ওটা কোন কাজের কথা নয়, ছবি”।
    “সবাই কী করে জানি না, আমি করব না”। ছবি বেশ জোরের সঙ্গে বলল।
    “কেন বল তো? হঠাৎ এমন ধনুক-ভাঙা পণ করে বসলি কেন?” শুভময়ীদেবী স্মিতমুখেই জিজ্ঞাসা করলেন।
    মালতী বলল, “ওর ভয় লাগে। আমাদের মতো কাজের লোকের সংসার অনেক দেখেছে কিনা, তাই ভয় পায়। সারাদিন এই কাজের মেয়েরা বাবু-বৌদিদের বাড়ি কাজ করে, রাত্রে বাড়ি ফেরে। তারা তখন ক্লান্ত, তাদের সারা গায়ে-গতরে ব্যথা। সারাদিন পর তাদের ছেলে-মেয়েরা মাকে পেয়ে খুশি হয় এবং ঘরে ফিরে তাদের জন্যেও সেই মাকেই দুটো ভাত-ডাল-তরকারি রান্না করে তাদের মুখের সামনে ধরতে হয়। যতই হোক মায়ের প্রাণ। কিন্তু এসবের পরেও, বহু পরিবারেই তাদের স্বামীরা অনেক রাত্রে বাড়ি ফেরে গলা অব্দি মদ গিলে। শুরু করে গালাগাল, মারধোর, বউয়ের চরিত্র নিয়ে নানান আকথা-কুকথা...” মালতী দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার বলল, “আমাদের মতো সংসারে মেয়েদের এমনই ঝ্যাঁটা-খাওয়া কপাল, বৌদি। এই জন্যেই ছবিকে আমি জোর করতে পারি না”।
    ছবির মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন শুভময়ীদেবী, তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, “একটা কথা মানছি, ছবি। একটা ছেলে আর মেয়ের যখন বিয়ে হয়, তাদের মনে তো বটেই, তাদের দুজনকে ঘিরে দুই পরিবারের মনেও অনেক স্বপ্ন কাজ করে। খুব কম ক্ষেত্রেই সেই সব স্বপ্ন পূরণ হয়, নানান ভুল বোঝাবুঝিতে অধিকাংশ স্বপ্নও দুঃস্বপ্ন হয়ে ওঠে। তা বলে স্বপ্ন দেখাটাই ছেড়ে দিবি, ছবি?
    ধর আজ যদি তোর নিজের যোগ্যতায় একটা স্থায়ী চাকরি হয়ে যায়... লোকের বাড়ি বাড়ি কাজ করার বিড়ম্বনা থেকে তুই যদি মুক্তি পেয়ে যাস। সেই নতুন জীবনের জন্যে, নতুন একটা স্বপ্ন দেখতে ক্ষতি কি?”
    “আমার একটা স্থায়ী চাকরি হয়ে যাবে...কী বলছো, মামী?” এত অবাক জীবনে কোনদিন হয়নি ছবি।
    “আমাদের স্কুলে একটি কেয়ার-টেকার, মানে বাচ্চাদের আয়ার কাজ খালি হয়েছে। স্কুলে একদম নীচু ক্লাসে যারা পড়ে – ক্লাস ওয়ান, টু, থ্রির বাচ্চারা – তাদের দেখাশোনা করার জন্যে। আমি তোর সব কথাই স্কুলের কর্তৃপক্ষকে বলেছি। স্কুলের দিদিমণিরা সকলেই তোর কথা জানে – মানে আমিই বলেছি আরকি। সকলেরই ধারণা এতদিন ধরে বিট্টুকে যে বুক দিয়ে সামলেছে, তার কাছে এ কাজ কিছুই না। কর্তৃপক্ষও মেনে নিয়েছে। তোর চাকরিটা হয়ে গেছে”।
    অপ্রত্যাশিত এমন একটা সংবাদের জন্যে কেউই প্রস্তুত ছিল না। ক্বচিৎ কখনও যেমন শোনা যায়, লটারির টাকা পেয়ে কেউ কেউ নাকি রাতারাতি বড়োলোক হয়ে গেছে। এও যেন সেইরকম। তবে এ ঘটনা ঘটেছে মালতীর অভাগী মেয়ে ছবির কপালে। মালতী ছবির দিকে তাকিয়ে রইল অনেকক্ষণ। তার দু চোখ ভরে জল চলে এল।
    “আগামীকাল তোর অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারটা অফিসে চলে আসবে। কাল একবার স্কুলে গিয়ে তোকে ওটা নিয়ে আসতে হবে, ছবি...”।
    “আমাকে কী আনতে হবে, মামী”?
    “তোর চাকরির চিঠি। আমার সঙ্গেই যাবি, স্কুলের বড়োবাবুর সঙ্গে দেখা করলেই তোকে চিঠিটা দিয়ে দেবে। সকলের সঙ্গে কথাবার্তা হবে আর কিছু সইসাবুদও করতে হবে তোকে”।
    চাকরি, স্কুল, অফিস, অফিসের বড়োবাবু...কথাগুলো ছবির চোখের সামনে নতুন এক দিগন্ত খুলে দিল। বহুদিন পর তারও চোখ জলে ভরে উঠল। তার হাতের সামনে কি তাহলে সত্যিই এসে দাঁড়াল নিশ্চিন্ত ও সুরক্ষিত একটা জীবন?        
                     
                                                                                                                                       সমাপ্ত 
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২০ নভেম্বর ২০২৫ | ৭ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বেলুর - %%
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন