এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • লা পত্নী ভ্যানতাড়াঃ পর্ব ১৫ 

    রানা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৩ বার পঠিত
  • 0 | | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫
     
    সীমান্তি দূর থেকে দেখে চলে গেল ওর ঘরে। প্রণয় সিঞ্জিনিকে ইশারা করে ঘরে ফিরে আবার তার ওয়েটারের পোশাকটা নিল পরে। বৈদেহী দুটো গ্লাসে শ্যাম্পেন ঢেলে তার একটাতে মেডিসিন শপ থেকে কিনে আনা ঘুমের ওষুধ মেশালো ভালো করে।

    এদিকে রুমে ঢুকেই আকাশ সিঞ্জিনিকে বলল যে ঘুমিয়ে পড়তে। কালকে আবার একটা অ্যাসাইনমেন্ট আছে। সিঞ্জিনি আকাশকে জড়িয়ে ধরে আদর করতে গেলে আকাশ নিজেকে ছাড়িয়ে নিল। বলল, “আজ আর ওসব নয়। বেশ ধকল গেছে। আমি ওয়াসরুম থেকে আসছি। তুমিও ঘুমানোর জন্য রেডি হয়ে নাও”।

    শুনে মুডটা অফ হয়ে গেল সিঞ্জিনির। একেই আজ সারাটা সন্ধ্যা আকাশের বেলেল্লাপনা সে সহ্য করেছে। ভেবেছিল এই একান্তে পেয়ে আকাশ তাকে আজ আদরে আদরে ভরিয়ে দেবে। কিন্তু কোথায় কী? যাক, এমনিতে সে আজ বেশ নিশ্চিন্ত অনুভব করছে। হোটেলে রয়েছে সেই লোকটা আর সঙ্গে পুলিশও। ভাবতে ভাবতে সিঞ্জিনি শাড়ি-ব্লাউজ ছেড়ে নাইটি নিল পরে।

    আর ঠিক সেই সময় ওদের দরজায় নক দিল ওয়েটারবেশী প্রণয়। সিঞ্জিনি দরজা খুলতেই ইশারায় ওকে চুপ থাকতে বলল প্রণয়। এইসময় ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে এল আকাশ। জিজ্ঞাসা করল, “কী ব্যাপার?”

    “শ্যাম্পেন স্যার। আপনি অর্ডার দিয়েছিলেন যে…”

    “শ্যাম্পেন! কই না তো!”

    “আপনার হয়তো খেয়াল নেই স্যার। নিন, এইটা হল আপনার”, বলে ঘুমের ওষুধ মেশানো গ্লাসটা বাড়িয়ে দিল আকাশের দিকে। আর অন্যটা চোখ টিপে বাড়িয়ে দিল সিঞ্জিনিকে। বলল, “নিন মেমসাহেব, আপনিও…, ও হ্যাঁ, আপনাদের অভিনন্দন…”

    “হ্যাঁ; হ্যাঁ। এখন যাও”। বিরক্ত হয়ে হাতের গ্লাস টেবিলে রেখে দিল আকাশ।

    “না স্যার। আপনাদেরকে শ্যাম্পেন খাইয়ে তবে যাবার হুকুম হয়েছে…”

    “কে বলেছে?”

    “ম্যানেজার…”

    “Ok then. Let’s drink to our marriage anniversary”, বলে ঢকঢক করে নিজের গ্লাসের টুকু পান করে ফেলল আকাশ।

    “নিন, এবার ভালো ছেলের মতো শুয়ে পড়ুন”।

    “মানে! আরে দাঁড়ান, দাঁড়ান। আপনাকে মনে হয় কোথাও যেন দেখেছি?”। আকাশ প্রণয়ের দিকে এগিয়ে এল।

    “খবরের কাগজে?”

    “না। উমম, কোথায় যেন…”

    “তাহলে গাড়ি ড্রাইভিং করতে…”

    “তুমি কি ড্রাইভার?”

    “আমি ড্রাই ওয়েট সব ভার…”।

    শুনে হেসে ফেলল সিঞ্জিনি। বলল, “বাব্বা! এটা কি শুধু আমাদের জন্য? নাকি সবাইকে এইভাবেই…”

    আকাশের কেমন যেন চোখ জড়িয়ে আসতে লাগলো।    

    “ইসে, তা মন্দ কী? নতুন ধরণের একটা কাজ”। আকাশকে ধরে রাতের পোশাক পরিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ঘুমপাড়ানী গান ধরল প্রণয়। সেই সময় আকাশের ফোনে সীমান্তির ফোন এল। সিঞ্জিনি ইশারায় জানতে চাইল যে কী করবে? প্রণয় এক মিনিট ভেবে নিজে ফোনটা নিয়ে গলা খানিকটা গম্ভীর করে বলল, “হ্যালো…”

    “আরে তুমি কখন আসবে? এদিকে একা একা থাকতে থাকতে আমার আর ভালো লাগছে না”।সীমান্তি ফোনের ওপাশ থেকে অভিযোগ করল।

    “আরেকটু ধৈর্য ধরো সোনা। ও ঘুমিয়ে পড়লেই আমি টুক করে চলে আসছি”। ফোন কেটে দিল প্রণয়। সিঞ্জিনি প্রণয়ের এইসব কাণ্ডকারখানা দেখে হাসতে থাকল। প্রণয় জিজ্ঞাসা করল, “কি? কেমন দিলাম?”

    “পারফেক্ট”।

    ওদিকে নাচের সময়েই বৈদেহির দিকে নজর গেছিল হোটেলের ম্যানেজারের। সেও তক্কে তক্কে ছিল। কত নম্বরে বৈদেহী রাতে থাকছে সেটা জেনে নিয়ে গুটি গুটি পায়ে চলে এল দরজার সামনে। সে শুনেছে যে মেয়েটা নাকি আবার একজন ওয়েটারের সঙ্গে ফষ্টিনষ্টি করছে।

    তা ম্যানেজার থাকতে আবার ওয়েটার কেন? একজন ওয়েটারের থেকে তার নিজের পদ মর্যাদা অনেক বেশি। কোথায় ওয়েটার আর কোথায় ম্যানেজার।

    গলাতে টাইটাকে ঠিক করে বেল বাজাল ম্যানেজার। বৈদেহী ভাবল বুঝি প্রণয় ফেরত এল। কিন্তু দরজা খুলে একজন অপরিচিত লোকের হাসি হাসি মুখ দেখে অবাক হল। বলল, “কী চান আপনি?”

    ম্যানেজার বৈদেহীকে আপাদমস্তক মেপে নিয়ে বলল, “গুড ইভিনিং ম্যাডাম। আমি তমাল বরাট। এই হোটেলের ম্যানেজার। আপনার কোনও অসুবিধা টসুবিধা হচ্ছে না তো?”। তমাল উঁকি মেরে ঘরের ভিতরে দেখে নিতে চাইল যে সেই ওয়েটারের বাচ্চাটা আছে কোথায়।

    “না না। ধন্যবাদ”।

    গলাটা পরিষ্কার করে নিয়ে তমাল বলল, “আপনাকে দেখে তো ভালো ঘরের মেয়ে বলেই মনে হয়। কিন্তু বয়ফ্রেন্ড হিসেবে একটা ওয়েটার জোটালেন কী করে?”

    “ওয়েটার!”

    “হ্যাঁ। আমাকে অর্জুন রিপোর্ট করল। আরে আপনাদের খাবার যে দিতে এসেছিল?”

    “ওহ্‌, মানে ইয়ে…”, বৈদেহী তখন ভাবছে যে ম্যানেজারকে কীভাবে কাটান যায়। মাথায় টক করে একটা আইডিয়া এল। “ও আসলে ওয়েটার নয়; হ্যাঁ। পুলিশের লোক। লালবাজারের…”

    “পু পু পুলিশের লোক!!”। তমাল খানিকটা পিছিয়ে এল।

    “হ্যাঁ। এই পাশের রুমে একটা খুন হতে পারে বলে সেটা আটকাতে লালবাজার থেকে এসেছে। গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করে…”

    থতমত খেয়ে তমাল জিজ্ঞাসা করল, “তা উনি এখন কোথায়?”

    এদিকে তমাল আর বৈদেহির এই কথাবার্তার মধ্যে প্রণয় পাশের ঘর থেকে এসেছে বেরিয়ে। সে দেখল যে তাদের ঘরের দরজায় বৈদেহী এখানকার ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলছে। সে ভয়ে আবার সিঞ্জিনিদের ঘরে গেল ঢুকে। কারণ ম্যানেজার তাকে যদি চিনে ফেলে।

    সিঞ্জিনি প্রণয়কে আবার ঢুকতে দেখে ভ্রু কোঁচকাল। ভাবল লোকটা আবার ওকে কিছু করবে টরবে না তো? জিজ্ঞাসা করল, “কী হল আবার?”

    “আরে ম্যানেজার…, আমাকে চিনে ফেলবে”

    “উফ! আপনি পারেন বটে। কী একটা ‘লা পত্নী ভ্যানতাড়া’ না কী সব কাগজ ফাগজ থেকে ফোন, তারপর এইভাবে এখানে এসে আমাকে রেস্কিউ করা…”। মিচকি মিচকি হাসতে থাকে সিঞ্জিনি।

    “এত হাসবেন না ম্যাডাম। আগে ফাঁড়া কাটুক। কে যে কাকে মারতে চাইছে এখনও বুঝে উঠতে পারছি না…”।

    বিছানা থেকে নেমে এল সিঞ্জিনি। “ও ঘরে আছেটা কে?”

    “ইয়ে, আমার লাভার…”

    “ও মা! তাই বলুন। একেবারে যুগলে?”

    “ইসসস। চুপ। আস্তে বলুন…”।

    ওদিকে ম্যানেজার অবশ্য ওয়েটারের পোশাক পরিহিত প্রণয়কে দেখে চিনতে পারেনি। তবে হোটেলে একজন গোয়েন্দা পুলিশ রয়েছে ভেবেই টেনশন হতে শুরু করে দিল তার। বৈদেহী আরও বলল, “আপনি রিসেপ্সনে একবার কথা বলে দেখতে পারেন”

    “কেন?”

    “ওখানে লালবাজার থেকে আমার মামা ফোন করেছিলেন…”।

    “আপনার মামা! ওখানে কাজ করেন নাকি?” বৈদেহী মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলল। তমাল বুঝতে পারল যে সে রং নম্বরে চলে এসেছে। ফালতু ফালতু পুলিশের ঝামেলায় সে জড়াতে চায় না। তাই হেসে বৈদেহীকে ভালোভাবে থাকতে বলে সঙ্গে দরকার পড়লে তাকে ফোন করে জানাতে বলে এলিভেটর দিয়ে সটান নেমে এল নিজের ঘরে।

    ম্যানেজার চলে যেতেই বৈদেহী গুটি গুটি পায়ে এসে সিঞ্জিনিদের ঘরে টোকা মারল। অস্ফুটে প্রণয় বলল, “কে?”

    “আমি, বৈদেহী। চলে এসো…”

    সিঞ্জিনি গিয়ে দরজা খুলল। বৈদেহী বাইরে থেকে দেখল যে আকাশ অঘোরে ঘুমাচ্ছে। সিঞ্জিনি বলে উঠল, “আপনাদের যে কীভাবে ধন্যবাদ জানাবো…”

    “দাঁড়ান। এখনও ধন্যবাদ জানানোর কিছু হয় নি। আর হ্যাঁ, আপনি কিন্তু জেগে থাকবেন, দরজা আটকে। কারণ কোনও দরকার পড়লে…”

    “হ্যাঁ হ্যাঁ…”

    নিজেদের ঘরে ফিরে বৈদেহী ম্যানেজারের ব্যাপারটা প্রণয়কে খুলে বলল। শুনে প্রণয় ওকে একটা ঘন চুমু খেয়ে বলল, “তুমি না আসলে বুদ্ধিমতী মাশা…”

    “মাশা!”

    “হ্যাঁ। আমি সেই বোকা ইভান আর তুমি বুদ্ধিমতী মাশা। রাশিয়ার গল্প। যাক তাহলে ম্যানেজারকে ঠাণ্ডা করা গেছে…”

    “আমাদের এর পরের প্ল্যান কী?”

    “দাঁড়াও। একটু পটি করে আসি…”

    “উফফ! যাও”।

    পটি করতে করতে প্রণয়ের মাথায় একটা প্ল্যান খেলে গেল। সে সজোরে চিৎকার করে উঠল। বাইরে থেকে বৈদেহী বলে উঠল, “কী হল আবার?”

    “পেয়ে গেছি…। দাঁড়াও, এসে বলছি।”

    পটি শেষ করে প্রণয় বৈদেহীকে তার প্ল্যানের কথা বলল। ওকে আনন্দে জড়িয়ে ধরল বৈদেহী। বলল, “উফ! একেবারে মাষ্টার প্ল্যান”।

    জামাকাপড় পরে ওরা পাশের ঘরে টোকা মেরে দরজা আবার খোলালো। তারপর সিঞ্জিনিকে পাখি পড়ানোর মতো সব কিছু বুঝালো। যদিও প্রথমে ব্যাপারটা শুনে সিঞ্জিনির নার্ভাস লাগছিল। কিন্তু যখন প্রণয় ওকে আশ্বস্ত করে বলল যে এতে সাপও মরবে কিন্তু লাঠি ভাঙবে না, তখন সিঞ্জিনি রাজি হল। সে বলল, “তোমরা নিশ্চয়ই আমার আগের জন্মের কেউ ছিলে। নয়তো আজকাল পরিচিতর থেকেই যা ব্যবহার সব পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে অপরিচিত…”।

    “যাক, যাক। ওসব ধন্যবাদ পরে হবে। এখন আসুন, আকাশকে চ্যাংদোলা করতে হবে”।

    বৈদেহী অবশ্য তার আগেই বেরিয়ে করিডরটা ওপরে নিচে ভালো করে দেখে এল। ঘড়িতে তখন রাত প্রায় আড়াইটে। সঙ্গে নিভিয়ে দিল করিডরের সমস্ত লাইট।আকাশের মোবাইলটা অফ করে আকাশের পকেটে ভরে দিল সিঞ্জিনি। তারপর ওরা তিনজন মিলে আকাশকে চ্যাংদোলা করে রেখে এল সীমান্তির ঘরের দরজার সামনে।

    এরপর যে যার ঘরে এল ফিরে। প্ল্যানমাফিক এর মিনিট দশ পর সিঞ্জিনি রিসেপসনে ফোন করে অভিযোগ জানালো যে তার স্বামীকে অনেকক্ষণ ধরে খুঁজে পাওয়া যাছে না। আর তার মোবাইলও বন্ধ।
     

    আর তার পাঁচ মিনিট পরে বৈদেহী রিসেপসনে ফোন করে জানালো যে তাদের করিডরের আলো কে বা কারা যেন নিভিয়ে দিয়ে গেছে।

    তাদের হোটেল থেকে একজন নিখোঁজ হয়ে গেছে শুনে ম্যানেজার অজ্ঞাতপরিচয় দুস্কৃতিদের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ করতে করতে অন্য কয়েকজন কর্মচারীকে নিয়ে উঠে এল অন্ধকার করিডোরে। খানিকটা এগোতেই হোঁচট খেল। খেয়েই চিৎকার করে উঠল, “লাশ! লাশ! এখানে লাশ”

    “কই কোথায়?” একজন কর্মচারী এগিয়ে এল।

    “আগে আলোগুলো জ্বালো তো”।

    আলো জ্বালালে দেখা গেল যে লাশ নয় সাদা চাদরে মুড়ি দিয়ে একজন দরজার গোড়ায় ঘুমাচ্ছে। অন্য একজন ফোনে ডাক্তারকে কল করল। আরেকজন ধাক্কা দিল সীমান্তির দরজায়।

    ঘরের দরজায় ধাক্কার আওয়াজ শুনে ঘুম চোখে উঠে এসে দরজা খুলল সীমান্তি। এদিকে প্ল্যান মাফিক সিঞ্জিনিও এসেছে বেরিয়ে। সে কান্নাকাটি, চিৎকার চেঁচামেচি করে একেবারে হুলুস্থুলু বাঁধিয়ে দিল। সীমান্তিকে দেখিয়ে বলল, “এই মেয়েটাই আমার স্বামীকে দরজার সামনে ফেলে রেখে দিয়েছে। সন্ধ্যে থেকেই দেখছি যে আকাশ আর এই মেয়েটা কী যেন গুজুরগুজুর ফুসুরফুসুর করছিল।কাল ছিল আমাদের বিবাহবার্ষিকী। আর … ও আমায় বাঁচাও গো… কে কোথায় আছ দেখে যাও গো…”।

    তমাল আবার ভয় পেয়ে সিঞ্জিনিকে শান্ত করতে থাকল। তার ভয় সেই ওয়েটার ছদ্মবেশী পুলিশকে। সে যদি একবার জানতে পারে তাহলে আর রক্ষে থাকবে না। ওদিকে সীমান্তি তো এইসব শুনে আকাশ থেকে পড়ল। সবার চাপে সে স্বীকার করে নিল যে এখানে আকাশই তাকে ডেকে এনেছিল আর বলেছিল যে বউ ঘুমিয়ে পড়লে সে তার ঘরে চলে আসবে।

    কিন্তু আকাশও আসেনি আর আকাশের অপেক্ষা করতে করতে কখন যে সে ঘুমিয়ে পড়েছিল সেটাও সে টের পায় নি।

    এদিকে এইসব গোলমাল যখন চলছিল তখন বৈদেহী টুক করে একফাঁকে বেরিয়ে এসে সিকিউরিটিদের জানালো যে ম্যানেজার তাদের ওপরে ডাকছেন। হোটেলে মনে হয় ডাকাত পড়েছে। হাতেনাতে ডাকাত ধরবার লোভে দুজন সিকিউরিটি সিসি ক্যামেরা অরক্ষিত রেখে ওপরে চলে যেতেই বৈদেহী আগের সব ফুটেজ দিল ডিলিট করে।

    আকাশকে যখন ওর ঘরে নিয়ে গিয়ে শোয়ানো হল তখন ঘড়িতে বাজে ভোর চারটে। এর মধ্যে পুলিশ এসে সিঞ্জিনির অভিযোগের ভিত্তিতে এবং দুজনের মোবাইলের কল লিস্ট ও হোয়াটস অ্যাপ চেক করে সীমান্তিকে ধরে নিয়ে গেছে। আর এই হইচইয়ের ফাঁকে প্রণয় আর বৈদেহী দিয়েছে সটকান।

    সেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সিঞ্জিনি আর ম্যানেজারের কাছ থেকে সমস্ত ঘটনা জানতে পারল আকাশ। সঙ্গে সঙ্গে তার মটকা গেল গরম হয়ে। জ্যোতিষীরূপী প্রণয়কে মনে মনে একগুচ্ছ ধন্যবাদ দিয়ে ঠিক করল যে সীমান্তির সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক সে রাখবে না।

    (ক্রমশ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    0 | | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫
  • ধারাবাহিক | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন