এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • লা পত্নী ভ্যানতাড়াঃ পর্ব ১২ 

    রানা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৪ নভেম্বর ২০২৫ | ২৩ বার পঠিত
  • 0 | | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২
    “আরে, না না। এ তো সামান্য। আপনার হাতেই তো সব লেখা আছে…”। আকাশের হাত ছেড়ে দেয় প্রণয়।

    “আপনার চেম্বার টেম্বার আছে নাকি?”

    “না না”, হেসে ফেলে প্রণয়। “এই শখের বলতে পারেন”।

    “সেকী! You have to be professional. আমাদের বাঙালিদের এই একটা গুণের খুব অভাব। ঠিক আছে, আমার পরিচিত বেশ কিছু জুয়েলারি শপ আছে, যাদের বিজ্ঞাপণ আমি করে দিয়েছি। সেখানে আমি বলে দেব…”

    কথাবার্তা অন্যদিকে এগোচ্ছে দেখে সামাল দিল বৈদেহী। “আরে, না না স্যার। দাদা এক জায়গায় কাজ করেন…”

    “তো? এমন একজন ট্যালেন্টেড লোক অন্য জায়গায় কাজ করছেন, এই ব্যাপারটাই তো বোকা বোকা। কি মশাই? অন্যের হাত যেমন দেখেছেন, নিজেরটা দেখেননি?”

    “ইয়ে মানে…”, ঢোক গিলল প্রণয়। “না মানে সেটা দেখেই বলছি। সেখানে লেখা আছে যে এই হাত দেখাটা প্রফেশন হিসেবে নেওয়া যাবে না”।

    “যাব বাব্বা! ভুল দেখেছেন। নিজেরটা আরও একবার ভালো করে দেখে নেবেন…”

    “ওকে। নিশ্চয়ই। তবে একটা ব্যাপার আপনার হাতে দেখলাম। বলবো?”

    “হ্যাঁ”

    “আপনার একটা উন্নতি হব হব করছে। কিন্তু সেটা আটকে আছে আপনার বউয়ের জন্য…”

    কথাটা শুনেই চুপ মেরে গেল আকাশ। তারপর বলল, “সেকী! আমি তো জানি ওইই আমার লাকি চার্ম। আমাদের বিয়ের পর…”

    “ছিলেন। সে সব চার্ম আপনার কাজে লেগে গেছে। এখন উন্নতি যদি করতে চান তো বৌ পাল্টে ফেলুন”।

    বৈদেহী মনে মনে বেশ তারিফ করল প্রণয়ের এই কথার।

    “আরে দূর, কী বলছেন কী? আরেকটা বিয়ে করতে বলছেন নাকি?”

    “না। বিয়ে করবেন কী করে? আমাদের আইনে…”

    “তাহলে ডিভোর্স?”

    “সে তো খোরপোশ দিতে হবে অনেক। সরিয়ে দিন”। প্রণয় আর বৈদেহীর চোখাচোখি হল।

    “You mean murder? ওরে বাবা! ওসব প্রচুর হাঙ্গামা। তারপর জেল হাজত, সম্মানহানি। ও আমি পারবো না…”

    “আরে, সে সব উপায়ও এই শর্মার জানা আছে। শুধু কিছু…”

    “টাকা?”

    আকাশ তার টাইটাকে লুজ করে জামার ওপরের বোতাম খুলে চেয়ার ছেড়ে উঠে একটা ড্রয়ার খোলে। তার থেকে একটা আধ খাওয়া হুইস্কির বোতল বের করে গ্লাসে ঢালে। জল মেশায়। ওদেরকেও অফার করে, কিন্তু ওরা না করে দেয়। এক ঢোঁকে পুরোটা মেরে আবার এসে চেয়ারে বসে। চোয়াল খানিকটা ঝুলে পড়েছে। “You mean you have the capacity to handle this?”

    “একদম”।

    আবার কিছুক্ষণ চুপ করে যায় আকাশ। তারপর বলে, “আচ্ছা, দেখুন তো এই মেয়েটা কেমন হবে?”, বলে ড্রয়ার থেকে বের করে একটা ছবি ওদেরকে দেখায়। ছবিটা দেখেই প্রণয়ের হাত-পা কাঁপতে থাকে। মনে হচ্ছে পটি হতে পারে। অনেক কষ্টে সামলায়। রাগও হয়। কিন্তু রেগে গেলে চলবে না। বলে, “আরে না না। যদিও এই ম্যাডামকে আমি দেখিনি, তবে মুখ দেখে বলতে পারি যে এই মহিলা অলুক্ষুণে…”।

    সীমান্তির ছবিটা বৈদেহী হাতে নিয়ে দেখে। তার মনে পড়ে যায় যে এই কিছুক্ষণ আগে এই মহিলা এই ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। সে প্রণয়ের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকায়। ভাবে, এ আবার কে রে বাবা যাকে প্রণয়দা নাকচ করে দিচ্ছে।

    “তাহলে?”, আকাশ একটু অসহায়ভাবে প্রণয়ের দিকে তাকাল।

    “নো চিন্তা। আমি সল্ভ করে দিচ্ছি। আপনি ৫জন মহিলার ছবি আর তাদের হাতের ছাপ নিয়ে রেখে দেবেন। আমি পরে এসে দেখে যাব”।

    “সেইই ভালো হবে। উফ! তাই বলি, এতো বড় একটা মশলার কোম্পানির কন্ট্রাক্ট হাত থেকে বেরিয়ে গেল কেন?”

    “তাহলে একবার ভেবে দেখুন? আপনার ভাগ্য কেমনভাবে আটকে আছে?”

    “হুম”। আকাশকে বেশ চিন্তিত লাগলো।

    “চিন্তা করবেন না। সব ঠিক হয়ে যাবে। খালি আমার ওপর একটু ভরসা রাখবেন”।

    “ওকে”।

    “আমি আপনাকে কল করে নেব”
     
    ওরা ধন্যবাদ জানিয়ে ব্রোশিওর নিয়ে বেরিয়ে এল।

    “তাহলে?”, বৈদেহী প্রণয়ের দিকে তাকাল।

    “হুম। সাসপেক্ট নামবার টু…”

    “আচ্ছা, ওই মেয়েটার ছবিটা দেখে কেমন যেন হ্যাল খেয়ে গেছিলে মনে হ’ল?”

    বৈদেহীর দিকে তাকিয়েও মুখ নামিয়ে হেলমেট পরতে পরতে প্রণয় না জানার ভান করে জানতে চাইল, “কোন ছবিটার কথা বলছ গো?”

    “আরে, যে মেয়েটাকে বিয়ে করবে বলে আকাশ ছবিটা বের করেছিল। আমাদের সামনে দিয়ে বেরিয়ে গেল যে?”

    “ওহ, ওই মেয়েটা। কই না তো?”। প্রণয়ের বুকে দুড়ুম দুড়ুম হচ্ছিল। তবুও সে দাঁতে খিল দিয়ে রেখেছিল যাতে সীমান্তির ব্যাপারটা বৈদেহী জানতে না পারে। “আরে কে না কে? তবে আকাশের কথায় সায় দিয়ে মেয়েটাকে একটা বজ্জাতের হাতে তুলে দিতে মন চাইছিল না বলে না বলেছি”। কথাগুলো বলতে পেরে বেশ হালকা লাগছিল প্রণয়ের। “বুঝতে পারলে তো?” বৈদেহীর দিকে তাকাল প্রণয়। বলল, “ফালতু একটা মেয়েকে ঝঞ্ঝাটে কেন ফেলা, তাই না?”

    “আমি ভাবলাম…”, স্কুটিতে স্টার্ট দিল বৈদেহী। “তাহলে মামাকে একটা রিপোর্ট করে দিই? কি বলো?”

    “একদম”।

    এর দিন তিনেক পরে সকালে আলিপুরের বাড়িতে মিতুলের বাবা আর মা এসে হাজির। ক’দিন ধরে মেয়ের কান্নাকাটিতে জেরবার হয়ে গেছেন তারা। কিন্তু এসে অবধি বারবার জিজ্ঞাসা করা সত্ত্বেও মিতুল তাদের জানায়নি আদতে ব্যাপারটা কী। তবে ব্যাপারটা যে গুরুতর সেটা তাদের বুঝতে অসুবিধা হয় নি। নয়তো অমন পায়ের সমস্যা নিয়েও যে মেয়ে কাউকে কোনও অভিযোগ না করে হুইলচেয়ারে বসে হাসি মুখে সংসার সামলায়, সেটা না দেখলে ভাবাই যেত না।

    মা-বাবা আসবার কয়েকঘণ্টা পরে যখন আকাশ বেরিয়ে গেল তখন মাকে নিজের ছেলেমেয়েদের কাছে পাঠিয়ে বাবাকে ডেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিল মিতুল।

    “কী হয়েছে বলবি তো। এত দূর থেকে এলাম, একটুও কি রেস্ট নিতে দিবি না?”

    “খাওয়া-দাওয়া, রেস্ট সব পরে হবে বাবা। এখন এই চকোলেটগুলো খাও। আমি চা আর জলখাবার করতে বলছি”। মিতুল ফোন করে পরিচারিকাকে জলখাবার বানাতে বলল।

    এসি চালিয়ে আরাম করে বসলেন মিতুলের বাবা। মেয়ের দেওয়া একটা চকোলেট নিয়ে চেবাতে থাকলেন। হাজার হোক একমাত্র মেয়ে বলে কথা। “বল মা, খুলে বলতো”। প্রথমটায় আবার কিছুক্ষণ কেঁদে নিল মিতুল। অধৈর্য হয়ে উঠে ওর বাবা বললেন, “আহ, খালি কাঁদবি না কী হয়েছে বলবি?”

    “বলছি”, শাড়ির আঁচলে নিজের চোখ মুছে নিল মিতুল। “তুমি কি জানো যে তোমার জামাই আমাকে খুন করতে চায়…”। শেষের দিকে কথাগুলো বলার সময় গলার জোর বেড়ে গেল মিতুলের।

    “কী যাতা বলছিস? আকাশ ওইরকম ছেলেই না”।

    “না গো, আগে ভালো ছিল। কিন্তু ওই একটা নতুন মেয়ে আসবার পর থেকেই দেখছি ঢলাঢলি শুরু হয়েছে”।    

    “বলিস কী রে!”। মিতুলের বাবার চোয়াল ঝুলে পড়ল।

    “আর বলছি কী? ওই মেয়েটাই তোমার জামাইয়ের মাথা খাচ্ছে, আর ওকেই বিয়ে করবে বলে আমাকে খুন করতে চায়”।

    কিছুক্ষণ হতভম্ব হয়ে মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকলেন মিতুলের বাবা। ভাবলেন যে মেয়েটার মাথা খারাপ হয়ে যায় নি তো? তারপর বললেন, “ওই মেয়েটার সঙ্গে ঢলাঢলি না হয় বুঝলাম।কিন্তু মা, তোকে যে আকাশ খুন করতে চায় সে কথা কি আকাশ তোকে নিজে বলেছে?”

    “না”।

    “তবে?”

    “একটা ফোন এসেছিল ১ তারিখ। পুরুষ গলা। সে জানালো যে সে নাকি আকাশ আর রুক্মিণীকে একটা পার্কে আমাকে খুন করবার প্ল্যান এর কথা আলোচনা করতে নিজের কানে শুনেছে”।

    “কোন পার্কে?”

    “তা বলেনি”।

    আবার মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেন মিতুলের বাবা। ভাবলেন যে নির্ঘাৎ মেয়েটার মাথার সমস্যা হয়েছে।“তুই বুঝেসুনে বলছিস তো? কারণ আকাশের বিরুদ্ধে তুই কিন্তু একটা মারাত্মক চার্জ আনছিস”। উঠে দরজার দিকে গিয়ে আবার এসে বসলেন। “কারণ এতদিন তোদের বিয়ে হয়েছে, এইরকম বেচাল কথা তো আকাশের ব্যাপারে আগে শুনিনি!”

    “আগে শোনো নি তো কী? এখন শুনলে তো?”। রেগে ওঠে মিতুল। “আর আজকাল এইসব আকছার হচ্ছে”।

    “আচ্ছা মা, এবার বল আমাকে ঠিক কী করতে হবে? ক্ষিদেতে পেট জ্বলে যাচ্ছে…”

    “এই চাকরটাও হয়েছে এক…”। সেইসময় দরজায় টোকার আওয়াজ শোনা গেল।
    “কে?”

    “খাবার নিয়ে এসেছি মেমসাহেব”। পরিচারিকা বলল।

    মিতুলের বাবা গিয়ে দরজা খুলে প্লেট ভর্তি খাবার এনে তারপর আবার দরজা দিলেন বন্ধ করে। “আগে চল, বাপ-বেটিতে ভালো করে খেয়ে নি। তারপর আমি দেখছি কার এত সাহস যে আমার মেয়ের গায়ে হাত দেয়”।

    “আমাকে মারবে বলে একটা নতুন ইনজেকশন বানিয়েছে। সেটা নিই নি বলে ক’দিন আগে পিরীত করে খাবারে মিশিয়ে খাওয়াতে গেছিল…”। মিতুলের বাবা খাওয়া শুরু করে দিয়েছেন। মিতুল বলল, “বাবা! তুমি শুনলে?”।

    মাথা নেড়ে উনি খেতে থাকলেন। “আগে একটু খেতে দিবি তো?”

    এদিকে মিতুলের মা আর ছেলেমেয়েরা ভেবে পাচ্ছিল না যে মেয়ে আর বাবার মধ্যে কী এমন শলা পরামর্শ চলছে যে একেবারে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করতে হচ্ছে। পরে বাপ-মেয়ের মিটিং শেষ হয়ে গেলে মিতুলের মা যখন রুদ্ধদ্বার বৈঠকের কথা জিজ্ঞাসা করলেন, তখন মিতুলের বাবা জানালেন, “ওসব সিক্রেট ব্যাপার। তোমার জানবার দরকার নেই”।
     

    দুপুরের দিকে যখন আকাশ নিজের ল্যাব কাম চেম্বারে ফিরে এসে একটা বই খুব মন দিয়ে পড়ছিল, তখন তার শ্বশুর সেখানে গলা খ্যাঁকারি দিয়ে প্রবেশ করলেন। “বাবাজী কি ব্যাস্ত?”

    “আরে! আসুন, আসুন”। আকাশ উঠে দাঁড়িয়ে শ্বশুরকে বসতে বলে নিজে বসল। “এই একটা আর্টিকেল পড়ছিলাম। কিছু বোঝা গেল?”

    “হুম। ব্যাপারটা কিন্তু অত্যন্ত জটিল আর গুরুতর”।

    “খুলে বলুন তো”। আকাশ বইয়ে পেজ মার্ক করে টেবিলে রাখল।

    একবার পেছনে দরজার দিকে তাকালেন মিতুলের বাবা। তারপর ফিসফিস করে বললেন, “সে সন্দেহ করছে যে তুমি আর তোমার ওই নতুন অ্যাসিস্টেন্ট মিলে ওকে খুন করতে চাও”।

    “হোয়াট রাবিশ!”

    “আর বলছি কী? আর সেই কথা কে একজন মিতুলকে ফোন করে বলেছে। তোমাদের নাকি পার্কে এই নিয়ে কথা বলতে সেই লোকটা দেখেছে…”

    “সব ধাপ্পা আর বুজরুকি। উফ! একে এই গরম। তার ওপর চেষ্টা করে যাচ্ছি যে কীভাবে ওর ওই সাইকো-সোম্যাটিক ডিজর্ডারটা সারিয়ে তুলব। এতো দেখছি কমপ্লিট প্যারানোয়াতে আক্রান্ত হয়েছে”।

    “তুমি তাহলে ওর সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করছ?”

    “Naturally. কেন? আপনিও কি?”

    “আরে না না। মানে ইয়ে, এই অ্যাসিস্টেন্টের সঙ্গে এতোটা মাখামাখি না করেও তো কাজ করা যায়…”

    “এ আপনি কী বলছেন? কাজের সময় কে কখন কার কাছে চলে আসি বা ছুঁয়ে ফেলি সেকী খেয়াল থাকে আমাদের? আর…”, একটা গভীর ভাবনায় ডুবে যায় আকাশ। তারপর বলে, “একটা কিছু দেখছি করতেই হচ্ছে”।

    “কী করতে চাও?”

    “অ্যাঁ। জানাবো আপনাকে। ক’দিন আছেন তো?”

    “সে আছি। তবে জামাইয়ের বাড়িতে থাকা কি ভালো দেখায়?”

    “ধুর। ছাড়ুন তো ওসব সেকেলে ব্যাপার। আসলে আপনারা বাড়িতে ক’দিন থাকলে মিতুল একটু আনন্দে থাকবে। আর এই আনন্দ পাওয়াটা এখন ওর খুব দরকার”।

    “সন্ধ্যেবেলায় কী করছ?”

    “আমাকে একটা পার্টিতে যেতে হবে”।

    “ঠিক আছে”। মিতুলের বাবা বেরিয়ে গেলেন।

    আকাশ ফোনটা বের করে রুক্মিণীকে একটা মেসেজ করে দিল। ‘বাড়িতে সন্দেহ করছে। এবার থেকে আমরা বাইরেই মুচুমুচু করব’।

    দুপুরের দিকে সোহিনী ওর পরিচারিকা থেকে শুরু করে ড্রাইভার, চাকর, রান্নার লোককে আজকের মতো ছুটি দিয়ে দিল। বলে দিল কাল যেন ওরা সময় মতো চলে আসে। এরপর সাগ্নিককে সব কিছু জানিয়ে দিয়ে বিকেলে আকাশ ফিরতেই স্নানটান করে ফ্রেশ হয়ে চলল হোটেল ব্লু-মুনে। সেখানেই সাগ্নিকের পার্টি। যদিও সবাইকে একসঙ্গে ছুটি দিয়ে দেওয়া নিয়ে আকাশ খিচখিচ করছিল। কিন্তু সোহিনী ব্যাপারটা সামলাল। বলল, “আরে ওদেরও তো এন্টারটেইনমেন্ট দরকার। নয়তো দুম করে কাজ ছেড়ে দিলে বিশ্বাসী লোক পাব কোথায়?”।

    আকাশ তাও বলল, “সবাইকে ছুটি দিয়ে মোটেও ভালো করো নি”।

    (ক্রমশ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    0 | | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২
  • ধারাবাহিক | ১৪ নভেম্বর ২০২৫ | ২৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন