এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  দর্শন

  • পশ্চিমা দর্শনের গপ্পোগাছা — আনাক্সাগোরাস

    প্যালারাম লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | দর্শন | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২১ বার পঠিত
  • The Death of Socrates - Jacques-Louis David , সূত্র


    সক্রেটিসের আগে

    আনাক্সাগোরাস


    পিথাগোরাস, হেরাক্লিতোস বা পার্মেনিদিসের সমান না হলেও, দার্শনিক আনাক্সাগোরাসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব নেহাত কম না। জন্মসূত্রে আয়োনীয় এই ভদ্রলোক আয়োনিয়ার বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদের ঐতিহ্যের বাহক। দর্শনের সঙ্গে এথেনীয়দের প্রথম তিনিই পরিচয় করান আর ভৌত পরিবর্তনের প্রাথমিক কারণ হিসেবে তিনিই প্রথম 'মন'-এর কথা বলেন। আনুমানিক ৫০০ খ্রি-পূর্বে আয়োনিয়ার ক্লাজ়োমেনেই (Clazomenae, গ্রিক Κλαζομεναί)-তে তাঁর জন্ম, কিন্তু জীবনের প্রায় তিরিশ বছর—সম্ভবত ৪৬২ থেকে ৪৩২ খ্রি-পূ—তিনি এথেন্সে কাটিয়েছিলেন।



    দার্শনিকদের সময়ক্রম (ছবি: অনুবাদক)


    পেরিক্লিস—যিনি নিজের নগরবাসীদের সভ্য করে তুলতে বদ্ধপরিকর ছিলেন—সম্ভবত তাঁকে এথেন্সে আসার উৎসাহ দেন। মাইলেটাস থেকে আসা আসপাসিয়া (গ্রিক Ἀσπασία) [১] সম্ভবত তাঁর সঙ্গে পেরিক্লিসের পরিচয় করান। প্লেটো তাঁর বই ফিড্রাস-এ লিখছেন, "পেরিক্লিসের সঙ্গে মনে হয় বিজ্ঞানের লোক আনাক্সাগোরাসের দেখা হয়েছিল; উচ্চ তত্ত্বালোচনা করে, আর আনাক্সাগোরাসের মূল আলোচনার বিষয়—বুদ্ধি ও তার অভাবের প্রকৃত প্রকৃতি—নিয়ে জ্ঞানার্জন করে, নিজের বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষমতাকে তিনি যথাসাধ্য বাড়িয়ে তুলেছিলেন।" [২]
    এমনও বলা হয়, যে আনাক্সাগোরাস ইউরিপিদিসকেও প্রভাবিত করেছিলেন, তবে এ তথ্য নিয়ে সন্দেহ আছে। [৩]

    নিজেরা যে সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত, কেউ তার থেকে উচ্চস্তরের কোনো সংস্কৃতির প্রচলন করার চেষ্টা করলে, তার প্রতি এথেনীয়দের এক বিশেষ বৈরভাব দেখা যেত—ঠিক অন্য কোনো সময়কাল ও মহাদেশের অন্য যে কোনো শহরের মতোই। পেরিক্লিস যখন বার্ধক্যের মুখে, সেই সময় তাঁর বিরোধীরা তাঁর বন্ধুস্থানীয়দের ওপর আক্রমণ করা শুরু করে, যার মূল লক্ষ্য আসলে ছিলেন পেরিক্লিস। ভাস্কর ফিদিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তিনি নাকি মূর্তির জন্যে বরাদ্দ তহবিল তছরুপ করেছেন। যাঁরা ধর্মাচরণ করেন না এবং 'মাথার উপরের বিষয়' নিয়ে তত্ত্বশিক্ষা দেন, তাঁদের যাতে অভিশংসিত (impeach) করার জন্যে এরা আইন পাশ করে। আনাক্সাগোরাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তিনি নাকি শেখাচ্ছেন, যে সূর্য এক আগুনে গরম পাথরের গোলা আর চাঁদ মাটি দিয়ে তৈরি (সোক্রাতেস-এর বিরুদ্ধে অভিশংসকরা (prosecutor) এই একই অভিযোগ এনেছিল, আর 'এ অভিযোগ আদ্যিকালের' বলে সোক্রাতেস তাদের নিয়ে খোরাক করেছিলেন)[৪]। ঠিক কী কী যে ঘটেছিল, তা পরিষ্কার নয়, তবে আনাক্সাগোরাসকে এর ফলে এথেন্স ত্যাগ করতে হয়েছিল। সম্ভবত পেরিক্লিস তাঁকে কয়েদখানা থেকে মুক্ত করে নিরাপদে পালানোর ব্যবস্থা করতে পেরেছিলেন। তিনি আয়োনিয়ায় ফিরে যান আর একটি বিদ্যায়তন প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর উইল অনুসারে, ইশকুলের পড়ুয়ারা তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে ছুটি পেত।



    বিখ্যাত ভিডিও গেম Assasin's Creed-এর এক চরিত্র আমাদের আনাক্সাগোরাস (ছবি: গেম ওয়েবসাইট)


    আনাক্সাগোরাস মনে করতেন, সকল বস্তুই অগণ্যবার বিভাজ্য, আর যত ছোট টুকরোই করা হোক, তাতে সব মৌলেরই কিছু অংশ থেকে যায়। কোনো বস্তুর সিংহভাগ যে মৌল দিয়ে তৈরি, বস্তুটি তারই ধর্ম প্রকাশ করে। যেমন, সবকিছুরই কিছু অংশ অগ্নি, কিন্তু যার মধ্যে আগুনের অংশই প্রধান, তাকেই আমরা আগুন বলে ডাকি। এম্পেদোক্লিসের মতোই, তিনি শূন্যস্থানের বিরুদ্ধে যুক্তি সাজিয়েছিলেন; বলেছিলেন, যে ক্লেপ্সিড্রা (এম্পেদোক্লিস দ্রষ্টব্য) আর ফুলে ওঠা চামড়া দেখেই বোঝা যায় – যেখানে কিছু নেই বলে মনে হয়, সেখানে আসলে বাতাস আছে। 
    আনাক্সাগোরাসের পূর্বসূরীরা মনে করতেন চেতনা (nous; কাছাকাছি বাংলা হবে – মহাজাগতিক চেতনা) এক বাহ্যিক পদার্থ, যা মৃত বস্তুর গঠনের মধ্যে প্রবেশ করে আর তার ফলে বস্তুটি মৃত অবস্থা থেকে বদলে গিয়ে জীবিত হয় – যদিও তিনি নিজে এমনটা মনে করতেন না। তাঁর মতে, সকল বস্তুর মধ্যেই সব মৌলিক পদার্থ বিদ্যমান—চেতনা/মন ছাড়া; কেবল কিছু বস্তুতে চেতনাও থাকে। প্রাণ আছে – এমন সব বস্তুর ওপরই চেতনার আধিপত্য; মন অসীম, স্বয়ং-শাসিত এবং অন্য কিছুর সঙ্গে মেশে না। চেতনা ছাড়া  বাকি সকল বস্তু—সে যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন—নিজের মধ্যে সমস্ত বিপরীত ধর্মের কিছু অংশ বহন করে, যেমন, গরম-ঠান্ডা, সাদা-কালো। তাঁর বদ্ধমূল ধারণা ছিল, তুষার (অংশত) কালো।

    মনই সকল গতিময়তার উৎস। চেতনা এক ঘূর্ণন সৃষ্টি করে, যা ক্রমশঃ বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ছে, আর যার ফলে সবচেয়ে হালকা বস্তুগুল পরিধির দিকে সরে যায় আর ভারীগুলি কেন্দ্রের দিকে পড়ে [৫]। চেতনা সমসত্ত্ব, আর না-মানুষ প্রাণীকুলের চেতনার গুণগত উৎকর্ষ  মানব-চেতনার সমান। মানুষ যে আপাতদৃষ্টিতে উন্নত, তার কারণ তার হাতদুটি আছে; বুদ্ধির সব আপাত-পার্থক্য আসলে দৈহিক গঠনের পার্থক্যের ফলাফল।

    আরিস্তোতল আর প্লেটো-বর্ণিত সোক্রাতেস – দুজনেরই অনুযোগ: চেতনার উপস্থাপনের পর আনাক্সাগোরাস তার আর তেমন ব্যবহারই করেননি। আরিস্তোতলের বক্তব্য, তিনি আর কিছু খুঁজে না পেয়েই কেবল চেতনার সাহায্য নিয়েছেন; অন্য সর্বত্রই, যখনই সুযোগ পেয়েছেন, আধিভৌতিক (physical) ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বস্তুর উৎপত্তির উৎস হিসেবে প্রয়োজন (necessity) আর সম্ভাবনা (chance)-কে তিনি নাকচ করেছেন, অথচ তাঁর সৃষ্টিতত্ত্বে কোথাও 'দৈব' (providence)-এর স্থান নেই। নীতি বা ধর্ম নিয়ে তিনি খুব বেশি ভেবেছেন বলে মনে হয় না; সম্ভবত তাঁর অভিশংসকদের দাবি সত্য – তিনি নাস্তিক ছিলেন। পিথাগোরাস ছাড়া তাঁর সব পূর্বসূরীই তাঁকে প্রভাবিত করেছিল। তাঁর ওপর পার্মেনিদিসের প্রভাব যতটা ছিল, এম্পেদোক্লিসেরও ততটাই।

    বিজ্ঞানে তাঁর বিশাল বুৎপত্তি ছিল। চাঁদের আলো যে আসলে প্রতিফলিত সূর্যালোক, পার্মেনিদিস যে তা জানতেন–তার আভাস তাঁর এক রহস্যাবৃত খণ্ড-রচনায় পাওয়া গিয়েছিল; আনাক্সাগোরাস প্রথম তা পরিষ্কার ও বিস্তারে করে বলেন। তিনি গ্রহণের সঠিক ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, আর জানতেন, যে চাঁদের স্থান সূর্যের নীচে। তিনি বলেছিলেন, সূর্য ও তারাগুলি আগুনে পাথরের গোলা; নেহাত খুবই দূরে দূরে আছে বলে সে আগুনের আঁচ আমরা পাই না। সূর্য আয়তনে পেলোপোনেশাসের থেকে বড়, চাঁদে পর্বত আছে, আর (তাঁর কল্পনায়) বাসিন্দাও।
    বলা হয়, আনাক্সাগোরাস সম্ভবত আনাক্সিমেনিসের ঘরানার; তিনি যে আয়োনীয়দের যুক্তিবাদী ও বৈজ্ঞানিক ঐতিহ্য ধরে রেখেছিলেন, অন্তত এইটুকু নিশ্চিত। নৈতিকতা ও ধর্ম নিয়ে যে বাড়াবাড়ি পিথাগোরাস থেকে সোক্রাতেস ও সোক্রাতেস থেকে প্লেটোতে চারিয়ে গিয়ে গ্রিক দর্শনে অস্পষ্টতাবাদের পক্ষপাতদোষ (obscurantist bias) নিয়ে এসেছিল, তা আনাক্সাগোরাসের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় না। তিনি নিজে হয়তো প্রথমসারির নন, কিন্তু তিনি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এথেন্সের সঙ্গে দর্শনের পরিচয় প্রথম তিনিই করান, আর সোক্রাতেসের উদ্ভবের পিছনে তিনি অন্যতম এক কারণ।


    চলবে... (এর পরের পর্ব: পরমাণুবাদীরা)


    বার্ট্রান্ড রাসেল
    A History of Western Philosophy বইটির ষষ্ঠ পরিচ্ছেদের প্যালারাম-কৃত অনুবাদ



    টীকা-টিপ্পনীর ব্র্যাকেটের মধ্যে অক্ষর থাকলে তা রাসেলের আসল ফুটনোট, সংখ্যা থাকলে তা অনুবাদকের পাকামো। ফুটনোট কণ্টকিত লেখাটির জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী, তবে ছবি-ছাবা দিয়ে সেই দোষ স্খালনের একটা চেষ্টা করা হয়েছে।




    [১] আগের পর্বে এক বিদেশিনী বিদূষীর সঙ্গে পেরিক্লিসের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে নগর-জোড়া কেচ্ছার গল্প বলা হয়েছিল মনে আছে? ইনিই তিনি। পেরিক্লিসের ঔরসে তাঁর এক সন্তানও হয়: পেরিক্লিস জুনিয়র। গ্রিক কমেডিগুলির গল্প মেনে নিলে, তিনি বারাঙ্গনা ছিলেন, আর 'অপবিত্র' জীবনযাপনের জন্যে তাঁর বিচার হয়েছিল; যদিও সে কথা আধুনিক তাত্ত্বিকরা মানতে নারাজ। মোদ্দা কথা, গ্রিসের এক যুগের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নারী হওয়া সত্ত্বেও, সাত শতক পরে প্লুতার্কের বয়ানের আগে তাঁকে নিয়ে লেখা পূর্ণাঙ্গ কোনো সূত্র পাওয়া যায় না, ফলে তাঁর সম্পর্কে আমরা প্রায় কিছুই জানি না। শুধু তাঁর জীবন সম্পর্কে জানতে ইন্টারনেট আর্কাইভে ম্যাডেলিন হেনরি-র লেখা 'Prisoner of History: Aspasia of Miletus and Her Biographical Tradition' বইয়ের প্রথম অধ্যায়টা (মাত্র ৯ পাতা) পড়লেই হবে।



    সেনাধ্যক্ষ আল্কিমিয়াদিস আর সোক্রাতেসের সঙ্গে গভীর আলোচনারত আসপাসিয়া; Nicolas-André Monsiau-এর আঁকা। উৎস: উইকি

    [২] "Pericles 'fell in, it seems with Anaxagoras, who was a scientific man; and satiating himself with the theory of things on high, and having attained to a knowledge of the true nature of intellect and folly, which were just what the discourses of Anaxagoras were mainly about, he drew from that source whatever was of a nature to further him in the art of speech'."
    [৩] আনাক্সাগোরাসের দর্শনের বই এথেন্সের বাজারে ১ দ্রাকমার বিনিময়ে পাওয়া যেত। অতএব, ধরে নেওয়াই যায়: ইউরিপিদিস, সোফোক্লিস, এমনকি আরিস্তোফানিসও তাঁর ধারণার সঙ্গে পরিচিত ছিলেন।
    [৪]
    "... 
    সোক্রাতেস : ... তবু, আমি জানতে চাই, মিলেতোস (Meletus), ঠিক কীভাবে আমি তরুণদের পথভ্রষ্ট করেছি। তোমার অভিযোগ থেকে যা বুঝেছি, তুমি বোধহয় বলতে চাও – সরকারিভাবে স্বীকৃত দেবতাদের না মেনে আমি তাদের অন্য কোনো দৈব বা আধ্যাত্মিক শক্তির উপাসনা করতে বলেছি। এইসব শিক্ষাই যুবকদের বিপথগামী করেছে – তোমার বক্তব্য...
    মিলেতোস : একদম! এ কথা আমি জোর দিয়ে বলতে পারি।
    সো : তাহলে, যেসব দেবতাদের নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তাঁদের দিব্যি – কী বলতে চাইছো, তা কি আমায় আদালতকে একটু সহজ ভাষায় বলবে? আমি তো মোটে বুঝতে পারছি না – তুমি কি বলছো, যে আমি বাকিদের অন্য কিছু দেবতার উপাসনা করতে, তাঁদের মানতে শেখাই---সেক্ষেত্রে আমি সম্পূর্ণ নাস্তিক নই, শুধু সরকার-স্বীকৃত দেবতাদের নিয়ে আমার সমস্যা---নাকি সোজা কথায় আমি নাস্তিক আর নাস্তিকতার শিক্ষা দিই?
    মি : আমি পরেরটা বুঝিয়েছি – আপনি ঘোর নাস্তিক।
    সো : এ তো এক অভিনব দাবি হে, মিলেতোস! কেন এমন বলছো? তুমি কি বলতে চাও, সূর্য ও চন্দ্রকে দেবতা হিসেবে মেনে উপাসনা করার চলতি নীতিতে আমার বিশ্বাস নেই?
    মি : ধর্মাবতার, আমি নিশ্চিত হয়ে বলছি – উনি এ সব বিশ্বাস করেন না। ওঁর মতে সূর্য এক প্রস্তরখণ্ড, আর চাঁদ মাটির তৈরি।
    সো : ভাই মিলেতোস, তুমি বোধহয় আমায় আনাক্সাগোরাস ঠাউরেছো। আর তাছাড়া, ক্লাজ়োমেনীয় আনাক্সাগোরাসের বই যে এসব তত্ত্বে ঠাসা, সে কথা জানেন না – এমন মূর্খও ভেবো না তুমি বিচারকদের। আর, যখন কিনা নাট্যশালায় আনাক্সাগোরাসের ঘনঘন প্রদর্শনী হয় (টিকিটের দাম মেরেকেটে এক দ্রাকমা), সেই সময় বলা, যে এসব প্রথম সোক্রাতেসের থেকে শিখছে তরুণেরা? সস্তায় টিকিট কেটে যে যুবকরা সহজেই এইসব তত্ত্ব জানতে পারে, এ সব ছাইপাঁশ সোক্রাতেসের মাথা থেকে বেরিয়েছে শুনলে তারা হেসে খুন হবে না? মিলেতোস, সত্যি করে বল তো, সত্যি কি তুমি মনে করো – আমি কোনো ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না?..."
    – প্লেটো-র লেখা 'সোক্রাতেসের কৈফিয়ৎ' (Ἀπολογία Σωκράτους), ইংরেজি অনুবাদ এখানে
    [৫]
    "began in the centre and then gradually spread, taking in wider and wider circles. The first effect was to separate two great masses, one consisting of the rare, hot, dry, called the "aether", the other of the opposite categories and called "air". The aether took the outer, the air the inner place. From the air were next separated clouds, water, earth and stones. The dense, the moist, the dark and cold, and all the heaviest things, collected in the centre as a result of the circular motion, and it was from these elements when consolidated that the earth was formed; but after this, in consequence of the violence of the whirling motion, the surrounding fiery aether tore stones away from the earth and kindled them into stars."
    –  T L Heath, A history of Greek mathematics 1 (Oxford, 1931), ইন্টারনেট আর্কাইভে পুরো বই
     

    চলবে... (এর পরের পর্ব: পরমাণুবাদীরা)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাঠকের ধন্যবাদ | 2600:1001:b148:f9fb:8561:125d:1e42:***:*** | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ০০:২১737413
  • এই লেখাটার কথাই ছুটির জন্যে ভাবছিলাম, যদি এক পর্ব পাওয়া যায়। 
    প্যালারামকে ধন্যবাদ। 
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন