এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • লা পত্নী ভ্যানতাড়াঃ পর্ব ১৬

    রানা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ বার পঠিত
  • 0 | | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬
    এদিকে গতকাল রাতের গোটা ঘটনাটা একরকম ধন্দে ফেলে দিয়েছে পরিচালক আকাশকে। তবে এইসবের মধ্যে যে সোহিনীর হাত আছে সেই ব্যাপারে সে একদম নিশ্চিত। সঙ্গে ওই পালের গোদা সাগ্নিকও থাকতে পারে। ইস, ওই চোর শালাটা শুধু গুলিগুলোই নিয়ে যায় নি, সঙ্গে নিয়ে গেছে রশ্মিকার জন্য কেনা দামী সব প্যান্টি আর ব্রা।

    রশ্মিকার সঙ্গে সবে ক’মাস আলাপ হয়েছে আকাশের। মেয়েটা আকর্ষনীয় কিন্তু সোহিনীর মতো মাতাল আর বাচাল না। একবার ভেবেছিল থানায় ডায়েরী করবে। কিন্তু মাথা ঠাণ্ডা রেখে ওয়াসরুমে স্নান করতে করতে ভাবতে থাকল সেদিনের সেই লোকটার কথা, যে বলেছিল এক চুটকীতে সে যার তার গেইম ওভার করে দিতে পারে।

    বাথরুম থেকে বেরিয়ে বৈদেহির নম্বরে ফোন করল আকাশ। বলল যে ওর সঙ্গে যে দাদা এসেছিল তাকে খুব দরকার।

    তার কিছুক্ষণ বাদেই প্রণয় ফোন দিল আকাশকে। নিউটাউনের একটা রেস্তোরাঁয় দেখা করবার কথা হল দুজনের।

    বিকেলের দিকে প্রণয় একাই এল দেখা করতে। বৈদেহীও আসতে চেয়েছিল কিন্তু প্রণয় মানা করেছিল। বলেছিল এই ফাঁকে বৈদেহী যেন সোহিনীর সঙ্গে দেখা করে সব ঘটনা শুরু থেকে শেষ অবধি ওকে জানায় আর সোহিনীকে সাবধান করে আসে।

    প্রণয়ের কথা মতো চিকেন স্যুপ অর্ডার করে শুরু হল কথা।
    “কত টাকা লাগবে সরাতে?”, আকাশ জানতে চাইল।
    “উমম, লাখ দশ মতো…”
    “আর পেমেন্ট মোড?”
    “অভভিয়াস্লি ক্যাশ। আর ফিফটি পার্সেন্ট অ্যাডভান্স…”
    “কিন্তু কাজ যদি না হয়, তখন?”
    “ইয়ে, সে ব্যাপারে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। খাওয়া-দাওয়া আর যাতায়াতের টাকা কেটে বাকিটা ফেরত দিয়ে দেব”।
    “আমি কিন্তু ঠিক ভরসা পাচ্ছি না আপনার কথায়। দিনকাল তো আর ভালো না…। আপনি আগে এইকাজ করেছেন?”

    “নাহ্‌। তবে ওরা অনেক করেছে…”। প্রণয় আকাশের দিকে তাকিয়ে ওর সাইকোলজিটা বোঝবার চেষ্টা করল। ভাবল যে না, বৈদেহীকে আনলে কাজে দিত। তারপর বলল, “আপনি এক কাজ করুন। পঞ্চাশ হাজার টাকা ক্যাশ দিয়ে বাকিটা পিডিসি দিয়ে দিন…”

    “পিডিসি!”

    “হ্যাঁ। অসুবিধা কোথায়?”

    “আর আপনি?”

    ওয়েটার দু’বাটি স্যুপ দিয়ে গেল।

    “আমি কিন্তু ভাই ক্যাশ দিতে পারব না। অনলাইন ট্র্যান্সফার করব…”

    “এই মরেছে! কিন্তু…”, স্যুপে চুমুক দিল প্রণয়।
    “কোনও কিন্তু না…”।
    “আরে মশাই, আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে কী দেখাবেন?”। খেতে থাকল প্রণয়।
    “অতো কাঁচা কাজ আমি করি না। আপনার থেকে দুটো গল্পের রাইট কিনছি বলে দেখিয়ে দেব…”, মুখে একটা চালাক হাসি এনে বলল আকাশ।
    “গল্প! আমি আবার কী গল্প লিখব? আর এতো টাকা দিয়ে গল্প কিনেছেন জানতে পারলে ইডি আমার আপনার দুজনের পেছনে পড়ে যাবে যে”।
    “ওসব আমি ম্যানেজ করে নেব। বলবো যে, হ্যাঁ, বাংলা সিনেমা, ওটিটি, হিন্দি আর মালায়ালাম - এইসব ভাষায় ঐ দুটো সিনেমা হবে বলে পেমেন্ট একটু বেশি। কবে সই করবেন বলুন?”
    “উমম, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব…”।
    “বেশ। তাহলে বাড়ি ফিরে একটু উকিলের সঙ্গে কথা বলেই জানাচ্ছি আপনাকে…”
    “ওকে”।
    টাকা মিটিয়ে বেরিয়ে গেল আকাশ। প্রণয় তার মোবাইলের রেকর্ডিং অফ করল। আসবার সময় বৈদেহী বলে দিয়েছিল। মেয়েটার মাথাটা কিন্তু বেশ শার্প। হাসল প্রণয়।

    ওদিকে পরিচালক আকাশ ফিরে যেতে যেতে ভাবছিল যে ভালো একটা ছাগল পাওয়া গেছে। আগে অ্যাডভান্স দিয়ে খুন করিয়ে নিয়ে তারপর প্রণয়ের গল্পগুলোকে বাতিল করে দিয়ে পুরো অ্যাডভান্সের টাকা সে ফেরত নিয়ে নেবে। সম্পুর্ণ নিখরচায় এবং নিরাপদে সোহিনীর হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। আহ!  

    শালা, এক নম্বরের তারকাটা অসংযমী মাতাল এক মহিলা। কী দেখে যে মরতে ওকে বিয়ে করেছিল কে জানে। কিন্তু ডিভোর্স দেওয়া যাবে না কারণ তাহলে আইন মোতাবেক একগাদা টাকা দিতে হবে সোহিনীকে। মনে হয় সোহিনীর রূপ যৌবন বা ওর বাবার টাকার লোভেই সে ওকে বিয়ে করেছিল। সোহিনীর বাবাও ওর মতো পাত্র পেয়ে বর্তে গেছিল। ভালোবাসা ওদের মধ্যে কোনোদিন ছিল না আর সে চেষ্টা আকাশ নিজে করলেও, সোহিনী প্রথম থেকেই সাগ্নিকের সঙ্গে রিলেশন রেখে চলছিল। বেহায়া মেয়েছেলে একটা। যাক, এবার টের পাবে আকাশের মাথায় কত বুদ্ধি ধরে। অত্যন্ত প্রসন্ন মনে ড্রাইভ করতে করতে ভাবতে থাকল আকাশ।

    এদিকে আকাশ যখন প্রণয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেছিল, তখন বৈদেহী চলে এসেছিল সোহিনীর বাড়িতে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে কথা হল ওদের মধ্যে। সোহিনী জানালো যে সে এইরকমই কিছু একটা আঁচ করেছিল। এবার বৈদেহীর সঙ্গে দেখা হয়ে আর কথা বলে সে নিশ্চিন্ত হল। শেষে ওদের মধ্যে প্ল্যান হল যে বৈদেহীর থেকে সবুজ সিগন্যাল পেলেই সোহিনী পালাবে।

    ওদিকে তানিয়া আবার প্রফেসর আকাশের বাড়ি গিয়ে মৈথিলীকে খুব ভালো করে আরেক প্রস্থ বোঝালো। বোঝালো যে সে শুধুমাত্র প্রোফেসরের খুব ভালো একজন বন্ধু। আর প্রোফেসর আকাশ একজন আর্টের সমঝদার। এর বেশি কিছু সম্পর্ক ওদের মধ্যে নেই। মৈথিলী যেন শুধু শুধু কেবলমাত্র সন্দেহের বশে ওর আর আকাশের সুন্দর সম্পর্কটা নষ্ট না করে। যদিও মৈথিলী যে ব্যাপারটা বুঝল সেটা তানিয়ার মনে হল না। তবুও মৈথিলীকে একজন শিক্ষিত ও যুক্তিশীল মানুষ হিসেবে গোটা ঘটনাটা ঠাণ্ডা মেজাজে ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে বলে বেরিয়ে এল তানিয়া।

    সেইদিন বিকেলবেলা ডাক্তার আকাশ বাড়িতে এসে জানালো যে সে সবার জন্য প্রিয়া সিনেমা হলের টিকিট কিনে এনেছে। যদিও মিতুল ওর মাকে যেতে মানা করছিল কারণ তার সন্দেহ হচ্ছিল যে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে যদি আকাশ আবার তার ওপর চড়াও হয়, কিন্তু মিতুলের মা শুনলেন না। কাজের লোক সমেত সবাই সন্ধ্যেবেলা সিনেমা হলে চলে গেলে, ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে বা ভেজিয়ে দিয়ে একা একা সিরিয়াল দেখছিল মিতুল। পাশে রাখা ছিল শক্ত একটা লাঠি।

    আধঘণ্টা বাদে ওর মনে হল খুঁট করে যেন একটা শব্দ হল। রিমোটে টিভির ভল্যুমটা কমিয়ে হাতে লাঠিটা বাগিয়ে ধরে হুইলচেয়ারটা নিয়ে আস্তে আস্তে ঘরের দরজার কাছে এসে আস্তে করে খুলে তাকাল সদর দরজার দিকে। কিন্তু কাউকে সে দেখতে পেল না। ভাবল যে এটা তার মনের ভুল। আবার টিভির সামনে এসে ভল্যুমটা বাড়িয়ে দিল।

    তার কিছু পর ঝং করে কী জানি একটা শব্দ হতেই শরীরটা কেঁপে উঠল মিতুলের। এবার সে দারুণ চমকে গেছে কারণ আওয়াজটা বেশ জোরেই হয়েছে।।

    এবার সে আর দরজার কাছে গেল না। হাতের লাঠিটা বাগিয়ে ধরে এক দৃষ্টে চেয়ে থাকল দরজার দিকে। তারপর কিছুক্ষণ আর কোনও আওয়াজ নেই দেখে সে আস্তে আস্তে করে গিয়ে ঘরের দরজা অবধি গিয়ে উঁকি মেরে দেখল যে ডাক্তার আকাশ একহাতে একটা চপার আর অন্যহাতে একটা ইঞ্জেকশন নিয়ে সন্তর্পনে সদর দরজা দিয়ে ঢুকছে।

    দেখেই ভয়ের একটা অতি ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে গেল ওর শরীর দিয়ে। ক্ষনিকের ঝটকার পর মিতুল তাড়াতাড়ি হুইলচেয়ার চালিয়ে ঘরের সব আলোগুলো দিল নিভিয়ে। তারপর পাশের ঘর দিয়ে পেছনের বারান্দা থেকে উঠোনে নামতে গিয়ে টাল সামলাতে না পেরে হুইলচেয়ার থেকে পড়ে গেল মাটিতে।
     

    ওদিকে ডাক্তার আকাশ অন্ধকার ঘরে মিতুলকে খুঁজে না পেয়ে কর্কশভাবে চিৎকার করে বলে উঠল, “মিতুল, কোথায় তুমি?”। তারপর আকাশের চোখ পড়ল পাশের ঘরের দিকে। সে ছুটে গেল সেখানে। দেখল যে সেখানে পেছনের দরজাটা খোলা। আর হুইলচেয়ারটা পড়ে রয়েছে। সে আবার বলল, “ওহ্‌, ওদিকে পালিয়েছ? দাঁড়া শয়তানি, তোর অনেক যন্ত্রণা আমি সহ্য করেছি। আর না…”। আকাশ পেছনের উঠোনের দিকে গেল। ডাকল, “মিতুল, মিতুল কোথায় তুমি?”

    এদিকে পড়ে গিয়ে হাতে পায়ে চোট পেলেও নিজের প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়াতে পাশের বাড়ির দিকে এগোতে থাকল মিতুল। কিন্তু সামনে একটা ফুলের আধভাঙ্গা টব দেখতে না পেয়ে সেখানে মারল ধাক্কা।

    ওদিকে বাগানে এসে পাগলের মতো মিতুলকে খুঁজতে থাকল আকাশ। “কোথায় গেলি তুই? আজ তোর একদিন কি আমার একদিন”, আবার কর্কশ কণ্ঠে চিৎকার করে উঠল আকাশ। “আরে! পালিয়ে যাবি কোথায়? এমনি এমনি কি আর সবাইকে সিনেমা দেখতে পাঠিয়ে দিয়েছি? আজ এস্পার নয়তো ওস্পার…। গর্ত আগেই খুঁড়ে রেখেছি। মেরেই পুঁতে ফেলবো”।

    এদিকে আধভাঙ্গা টবে ধাক্কা লেগে দারুণ ব্যাথা পেয়েছে মিতুল। কিন্তু মুখে টুঁ শব্দটি করেনি। এদিক সেদিক দেখে হাতে একটা ভাঙা গাছের ডাল তুলে নিল মিতুল। উত্তেজনায় ঘামছে সে। সারা শরীরে একটা হিমশীতল ভয় শাটলের মতো ওপর-নীচ করছে। কিন্তু হাতের ডালটা টানতে গিয়ে মাটিতে একটা শব্দ হওয়াতে আকাশ সেদিকে তাকালো। বলল, “ও! তাহলে তুই ওদিকে”। বলে আসতে গিয়ে অন্ধকারে একটা ইটে হোঁচট খেয়ে ধুপ করে মুখ থুবড়ে পড়ল আকাশ। মুখটাকে বাঁচানোর জন্য হাতের ওপর ভর করে পড়তে গিয়ে হাতের ইনজেকশন গেল ভেঙে আর চপারটা ছিটকে চলে গেল খানিকটা দূরে। “ওরে বাবা!”। মাটিতে পড়ে গিয়ে আরেকটা সমস্যা হল আকাশের। চোখ থেকে চশমাটা গেল খুলে। তার কাছের দৃষ্টি খানিকটা ক্ষীণ। সে উবু হয়ে চশমাটা হাতড়াতে থাকল।
     
               
    ওদিকে আকাশের এই পড়ে গিয়ে চশমা হাতড়ানো দেখে বুকে খানিকটা বল সঞ্চয় করে নিজেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে এগোতে থাকল মিতুল। তারপর একটা রাক্ষুসে ভয়ে সমস্ত কিছু ভুলে গিয়ে দ্রুত পালাবার জন্য ডালটাকে ধরে নিজের পায়ে দাঁড়াবার চেষ্টা করল সে। বেশ কয়েকবারের চেষ্টায় ব্যাথা ও যন্ত্রণা সত্ত্বেও দাঁড়িয়ে পড়ল মিতুল। ভাবল ওমা! এ যে ম্যাজিক। এবারে একেবারে উন্মাদের মতো নিজেদের গেটের দিকে দৌড়াতে গিয়ে একটা বড় গর্তের মধ্যে পড়ে গেল।

    ওদিকে মিতুলের বাবা-মা, ছেলে-মেয়ে কাজের লোক পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে মিতুলের এই পড়ে যাওয়া দেখে গেল ছুটে। আকাশও চলে এসেছে চশমাটা পরে। আকাশের সারাটা গায়ে মুখে ধুলো লেগে। সে চিৎকার করে বলল, “আরে! ও হেঁটেছে। মিতুল হেঁটেছে। তোদের মা হেঁটেছে”। ছেলেমেয়েরাও শুনে আনন্দিত হল। আনন্দিত হল মিতুলের বাবা-মা সঙ্গে কাজের লোকও। আকাশ বলে চলল, “আমি নিজের চোখে দেখেছি…”।

    “একদম ঠিক কথা বলেছিলে বাবাজী, যে ওকে একটা শক দেওয়া দরকার আর তাহলেই মিতুলমা আমার হাঁটতে পারবে। কিন্তু গর্তে পড়ে গেল কী করে?”। মিতুলের বাবা জানতে চাইলেন।

    “আহ্‌। দেখছ মেয়েটা পড়ে রয়েছে। ওকে ঘরে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করো। দেখো আবার কী অনর্থ ঘটল গর্তে পড়ে গিয়ে”। মিতুলের মা চিৎকার করে উঠলেন।

    কাতরাতে কাতরাতে সবার কথাবার্তা শুনে আবার উঠে দাঁড়াতে গিয়ে মিতুল বুঝল এবার তার পা মনে হয় ভেঙে গেছে। বেশ যন্ত্রণা হচ্ছে। “কিন্তু এইভাবে আমাকে ভয় দেখিয়ে…”।

    “I am proud of you my boy.” বলে আকাশের পিঠ চাপড়ে দিলেন মিতুলের বাবা। তারপর নাতির দিকে তাকিয়ে বললেন, “যাও তো দাদুভাই, বাবার ওখান থেকে স্ট্রেচারটা নিয়ে এসো তো। মনে হচ্ছে মায়ের পায়ে লেগেছে…”।    

    “হ্যাঁ হ্যাঁ, বেশি না বকে তোলো ওকে”।

    মিতুলের ছেলে স্ট্রেচার নিয়ে আসবার পর সবাই ধরাধরি করে নিয়ে গেল আকাশের ডিসপেনসারির বেডে। মিতুলের মা ভিজে কাপড় দিয়ে মেয়ের গায়ের ধুলো মুছে দিলেন। মিতুলকে একটা পেইন কীলার ইঞ্জেকসন দিয়ে পরিচিত এক্সরে ক্লিনিকে কল দিল আকাশ। এর মধ্যে রুক্মিণীও চলে এসেছে। আকাশ তাকে দেখে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। বলল, “দেখো তোমার বুদ্ধিমতো মিতুলের সাইকো-সোম্যাটিক প্রবলেমের ট্রিটমেন্ট করে সারিয়ে তুললাম। কিন্তু সেখানেও গেরো। গর্তে পড়ে গিয়ে বেচারার পা ভেঙে গেছে…”।

    শুনে এত যন্ত্রণার মধ্যেই মিতুল রুক্মিণীর দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকল। রুক্মিণী অবশ্য তৈরি হয়েই ছিল, “সেকী! আমি তো ভাবলাম যে ম্যাডাম বুঝি সুস্থ হয়ে গেলেন। এতো দেখছি …”।

    কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই ক্লিনিক থেকে পোর্টেবল এক্সরে মেশিন নিয়ে লোকজন উপস্থিত হয়ে মিতুলের পায়ের এক্সরে করল। জানা গেল যে তার পায়ের অ্যাঙ্কেল বোনে ফ্র্যাকচার হয়েছে। এরপর একটা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে নিয়ে যাওয়া হল আকাশের পরিচিত একটা নার্সিংহোমে।

    (ক্রমশ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    0 | | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬
  • ধারাবাহিক | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন