এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • লা পত্নী ভ্যানতাড়াঃ পর্ব ১০ 

    রানা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | ১৩ বার পঠিত
  • 0 | | | | | | | | | | ১০
     
    বিদিশার দিয়ে যাওয়া চা আর ইডলি খেতে খেতে প্ল্যান হল যে আগামীকাল ওরা চারজনের কাছেই যাবে। তবে চাররকম ছদ্মবেশ ধরে। নয়তো চিনে ফেললে আবার কোনও ফ্যাসাদে পড়ে যেতে পারে। ছদ্মবেশের জন্য রাত্রেই পাড়ার একজন মেকআপ আর্টিস্টকে ফিট করে ফেলল বৈদেহী। আর এই চারজনের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্টটা ও লালবাজারের মামুকে দিয়ে ফেলল করিয়ে যাতে ওদের ওপর কোনও সন্দেহ না হয়। উনিও ব্যাপারটায় বেশ একটা মজা পেয়ে গেছেন। বলেছেন যে রেজাল্ট কী হয় সেটা ওকে ফোন করে জানাতে।  

    বাড়ি ফিরতে ফিরতে প্রণয় ভাবছিল যে বৈদেহী মেয়েটা কিন্তু বেশ ভালোই। অন্তত সীমান্তির মতো নয়। তাছাড়া কাকীমাও প্রণয়কে বেশ যত্ন আত্তি করেন। মনে মনে খানিকটা হাসল প্রণয়।

    পরদিন ভোর হতেই উঠে পড়ল। খানিকটা উত্তেজনা রয়েছে। তাই হয়ত ভোরবেলাতেই ঘুম গেছে ভেঙে। বৈদেহীকে ফোন করে বাথরুমে গিয়ে কয়েকবার পটি করার চেষ্টা করল প্রণয়। কিন্তু হল না। মনে হচ্ছে ইসবগুল আর দই একসঙ্গে খাওয়াতে ব্যাপারটা কিছুটা সেরে গেছে। তবে পটিখানা থেকে না বেরিয়ে কাকে কাকে ঠিক কী কী বলতে হবে মনে মনে আওড়ে নিল সে। তারপর বাথরুম থেকে বেরিয়ে আবার শুয়ে পড়ল।
      

    চোখটা জড়িয়ে এসেছিল। চটকা ভাঙল বৈদেহীর চিৎকারে। চিৎকারের কারণ অবশ্য ছিল। এখন প্রায় আটটা বাজে। ন’টার সময় প্রোফেসরের সঙ্গে অ্যাপো করা আছে। চোখমুখ আবার ভালো করে ধুয়ে জাঙিয়ার নীচে একটা কাপড় পরে তার ওপরে প্যান্ট গলিয়ে নিল প্রণয়। বলা তো যায় না, হঠাৎ যদি আবার পেয়ে যায়!  

    মেকআপগুলো বৈদেহী তার ব্যাগে ভরে এনেছিল। তার মধ্যে একটা চটপট পরে ফেলে বৈদেহীর স্কুটারে উঠে পড়ল প্রণয়। রবিবার বলে রাস্তা আজ তুলনামূলকভাবে ফাঁকা। আধঘণ্টার মধ্যে ওরা চলে এল প্রোফেসরের বাড়ি। কলিং বেল বাজাতেই মৈথিলী ব্যালকনি থেকে এসে উঁকি দিয়ে দেখে গেল অতিথিদের।

    কাজের লোক দরজা খুললে প্রোফেসর ওদের স্টাডিতে বসতে বলল। চা বা কফির কথা বললে বৈদেহী হ্যাঁ বললেও প্রণয় ভয়ে না করে দিল। সেই দেখে বৈদেহী মুখ চেপে হাসছিল। প্রণয় ওকে ইশারায় স্টেডি হতে বলল। প্রোফেসর ভিতরে গিয়ে আবার উদয় হলেন মিনিট তিন পর।

    যেহেতু আগে থেকেই বলা ছিল যে বৈদেহীর জন্য একজন ভালো গাইডের সন্ধানেই প্রোফেসরের কাছে আসা, তাই কথা শুরু হল বৈদেহীর পড়াশোনা নিয়ে। বলাই বাহুল্য যে এক কাঁড়ি মিথ্যা কথা টকটক করে বলতে থাকল সে। প্রোফেসর খুব মন দিয়ে শুনলেন। দিলেন কিছু উপদেশ।

    এরপর প্রণয়কে লেখক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিল বৈদেহী।

    “তা কী লেখেন আপনি?”, প্রোফেসর হেসে জিজ্ঞাসা করল।

    “মার্ডার মিস্ট্রি…, হু ডান ইট”। প্রণয় নিজের মেকআপটা ঠিক করে নিল। বলতে থাকল, “মানে, এবারের উপন্যাসে স্যার একজন হাজব্যান্ড তার ওয়াইফকে খুন করবেন…”

    “এ আর নতুন ঘটনা কী?”

    কাজের লোক কফি দিয়ে গেল। বৈদেহী চুমুক দিতে থাকল।

    “না স্যার, যদি একটু সাজেশন দেন”। প্রণয় বলতে থাকল। “মানে ভালো ঘরের শিক্ষিত পরিবার। হাজব্যান্ড একটা অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ওয়াইফকে মেরে ফেলতে চান…”

    “বেশ”। প্রোফেসরও চুমুক দিলেন কফিতে।

    “আপনি হলে ঠিক কীভাবে কাজটা করতেন। ইয়ে, মানে আপনি এখানে কিন্তু আপনি নন। Just suggestion…, আর কী। আমি আবার একটু রিয়েলিস্টিক কী না। এটাকে একটা সার্ভে বলতে পারেন”

    “Interesting…”

    “হ্যাঁ স্যার…”। প্রণয় এবার খানিকটা আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেছে। “ভাবছিলাম যে strangulation, poison নাকি ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া অথবা সুপারি কীলার - কোনটা আপনি পছন্দ করবেন আপনার ওয়াইফকে মারার জন্য?”

    “আমার ওয়াইফ!”

    “ইয়ে, আসলে নয় স্যার…”

    “বুঝলাম। ঐ সব পান সুপারি নিয়ে আমি ততটা চিন্তিত নই। স্বামী স্ত্রীর মনে বনিবনা না হলে ডিভোর্স করে দেবে। ব্যাস, ঝামেলা শেষ। simple। এইসব খুনোখুনির মধ্যে আবার যাওয়া কেন বাপু?”

    “না স্যার। যদি ওয়াইফ ডিভোর্স না দেয়?”

    “সেপারেট থাকবে। অসুবিধার কী আছে? And you must knew that flesh is very easy now-a-days? কি লেখক মশাই?”

    “হুম”। প্রণয় আর বৈদেহীর চোখাচোখি হল। “তবে উপন্যাসটা লিখতে গিয়ে দুজন কনভিক্টের সঙ্গে কথা বলেছি স্যার”। প্রণয় বলে চলে। “জেলে গিয়ে…”

    “তাই নাকি! আপনি দেখছি গোয়েন্দা ব্যোমকেশ, শবর আর নীলকেও হার মানাবেন…”

    “কী যে বলেন স্যার। কোথায় তাঁরা, আর কোথায় আমি। তবে চেষ্টা করছি…”

    “My Wishes”.

    “তবে জেলে গিয়ে ওদের সঙ্গে কথা বলে যা বুঝেছি, যে সেখানেও যদি কেউ ওদেরকে সুপারি দেয় তবে পরিচিত হিটম্যান দিয়ে কাজটা ওরা হাসিল করে দেবে…”। একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ে প্রণয়।

    “হ্যাঁ। আমাদের যেরকম দেশ, সেখানে…”

    “আপনার কি লাগবে নাকি স্যার?”

    “কী?”

    “হিটম্যান?”

    “মানে!”

    এবার বৈদেহী ব্যাপারটা সামলাল। “না। মানে দাদা বলতে চাইছেন যে হিটম্যান ব্যাপারটা উপন্যাসে আপনি প্রেফার করবেন কী না?”

    “আমি আবার কী বলবো? আপনার গপ্প, ও আপনি জানেন…”
     
    প্রোফেসরের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলো ওরা। বৈদেহী চাপা গলায় বলল, “মনে হয় এ নয়”।

    মাথা নেড়ে সায় দিল প্রণয়। “এবার তাহলে নিউআলিপুর…”

    “কেন? গলফ গ্রীণটা আগে সেরে ফেললে হয় না?”

    “ফেরার পথে যাব”।

    “ওকে”।

    অ্যাপয়েন্টমেন্ট অনুযায়ী নিউআলিপুর পৌঁছতে দেরী হয়ে গেল ওদের। পথে একটা ইউরিনালে ঢুকে মেকআপ একটু পাল্টে নিয়েছে প্রণয়। সঙ্গে পটিও নিয়েছে করে। বাড়িটা খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছিল কারণ নিউ আলিপুরে এত সব বিত্তশালী মানুষজন থাকেন যে এখানে কলকাতার অন্য সব জায়গার মতো রাস্তার ধারে গুমটি বা চায়ের দোকান নেই।
     
    রবিবার বলে ডাক্তারের চেম্বারে তখন কোনও রুগী ছিল না। বাড়ির কাজের লোক ওদেরকে এনে চেম্বারে বসালো। ভিতর থেকে একটা চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ আসছিল।

    “যত্তসব ফালতু ব্যাপার…”, বলতে বলতে ডাক্তার এসে ঢুকলেন মিনিট তিন পর।

    “আমাদের কিছু বললেন নাকি ডাক্তারবাবু?”, বৈদেহী জানতে চাইল।

    “আরে রে silly matter. কে না কে ফোন কী সব আবোলতাবোল বলে আমার গিন্নির মাথাটা…”। শুনে ওরা মুখ চেপে হাসতে থাকল। ডাক্তার বলতে থাকলেন, “হাতের কাছে পেলে ব্যাটার চামড়া গরম করে দিতাম…”

    প্রণয় ওর পিঠে হাত বোলালো।

    “তা লালবাজার থেকে যিনি ফোন করেছিলেন তিনি কে হন আপনার?”

    “আমার মামা”।

    “ও আচ্ছা। বললেন নাকি আপনি নার্সিং ট্রেনিং করেছেন। তা কতদিন হল পাশ করেছেন?”

    “এই মাস তিনেক…”

    “GNM নাকি ANM?”

    “দুটোই…”

    “দুটো!! এইরকম আবার হয় নাকি?”

    “ইয়েস স্যার, আমি দুটোই করেছি…”

    “জীবনে প্রথম শুনলাম। তা সার্টিফিকেট এনেছেন কিছু?”

    “নাহ্‌। আজ শুধু কথা বলতে এসেছি”।

    “আর ইনি কে?”, প্রণয়কে দেখিয়ে ডাক্তার জানতে চাইলেন।

    “আমার দাদা”।

    “হুম”।

    এর মধ্যে কাজের লোক এসে প্লেটে করে কচুরি আর মিষ্টি দিয়ে গেল। প্রণয়ের লোভ হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ যদি বেগ এসে আজকের কাজটা বানচাল করে দেয় সেই ভেবে সে খাবে না বলল। বৈদেহী ওদিকে খেতে শুরু করে দিয়েছে।

    “আরে! আপনি খাচ্ছেন না কেন?”

    “আমার একটু রাবণ আছে…”। প্রণয় লজ্জা পেল।

    “রাবণ আছে!”

    “ইয়ে, বারণ আছে”।

    “পেটের সমস্যা?”

    “বলতে পারেন”।

    “আরে! ডাক্তারের কাছে এসে কিছু লুকোতে নেই…”

    “তেমন কিছু না। ওই IBS আছে”। মুখ নামালো প্রণয়।

    “হুম। মানসিক সমস্যা। তা ওষুধ খাচ্ছেন?”

    “হ্যাঁ। হোমিওপ্যাথি…”

    “হোমিওপ্যাথি! কাজ দিচ্ছে?”

    “হ্যাঁ।

    “How Strange!”। উনি নিজের প্লেট থেকে একটা শিঙাড়া নিয়ে খেলেন। তারপর বৈদেহীর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “তা কোথা থেকে তুমি…, আমি তুমিই বললাম, পাশ করেছ?”

    বৈদেহী তখন খেতে ব্যাস্ত। প্রণয় সেইদিকে জুলজুল করে তাকিয়ে আছে। সে বৈদেহীকে ঠেলা মারল। সচকিত হল বৈদেহী। “বলিনি তো। ওই ভালোটিয়া থেকে…”

    “নাম শুনিনি। ভালো পড়ায় ওখানে?”

    “সবাই তো তাই বলে”।

    “আচ্ছা, আমি একটা কথা বলবো?”। ওদের কথার মধ্যে ঢুকে পড়ে প্রণয়।

    “কী? পেট?”, ডাক্তার হাসতে থাকে। এর মধ্যে মিতুল হুইল চেয়ার করে এসে একবার পর্দা তুলে ওদের দেখে গেল।

    “না, মানে আমি একটু লেখালেখি করি…”

    “সে তো ভালো কথা…”

    “ধন্যবাদ। আর সেইজন্য আপনার একটা সাজেশন চাই…”

    “আমার!” হেসে নেয় ডাক্তার। “আমি আবার!”

    “নাহ্‌। আমার প্লটটা আবার একজন ডাক্তারকে নিয়ে…”

    “তাই নাকি?”

    “হ্যাঁ। সে তার এক্সট্রা ম্যারাইটাল সম্পর্কের জন্য নিজের বউকে খুন করবে…”

    “ওমা! কোথায়?”

    “গল্পে…”

    “ও…, তাই বলো… আমি ভাবলাম…”

    বৈদেহীর খাওয়া শেষ। সে হাত ধুয়ে ডাক্তারকে লক্ষ করতে থাকল।

    “হ্যাঁ। ইয়ে, মানে ঠিক কীভাবে খুনটা করলে বিশ্বাসজনক হবে যদি একটু সাজেশন দেন এই আর কী। কারণ আজকাল আবার অনেকরকম ড্রাগটাগ বেরিয়েছে, রক্তে মিশিয়ে দিলে ধরা পড়ার সম্ভাবনা বেশ কম। ধরুন যদি রোজ একটু একটু করে, খাবার সঙ্গে…”

    “সে তো গুগল সার্চ করলেই জানতে পারবেন”।

    “নাহ্‌, মানে আপনি করলে কীভাবে করতেন?”

    “What rubbish!”.

    “আরে, গল্পে মানে কল্পনায়…, আপনি তো আর সত্যি সত্যি করতে যাচ্ছেন না। মানে অন্যান্য অনেক অপশনের মধ্যে এই ড্রাগ হল একজন ডাক্তারের কাছে খুব সুবিধাজনক। হঠাৎ দেখা গেল একদিন আপনার স্ত্রী হার্টফেল করে মারা গেলেন আর অটোপ্সি রিপোর্টে কিছুই পাওয়া গেল না”।

    “কী!”। খাওয়া থেমে গেল ডাক্তারের। তিনি চোখ কটমট করে প্রণয়ের দিকে তাকালেন।

    “নতুবা প্রফেশনাল কীলার দিয়ে…। আমার সন্ধানে বেশ কিছু লোক আছে স্যার যারা এটা করে…”

    “হ্যাঁ। সমাজে নানারকমের জীব তো আছেই”।

    “আপনি হলে কি সেভাবেই?”

    “আবার আপনি? আমি কি আপনার গল্পের চরিত্র?”

    “আরে না না। আমি একটা সার্ভে করছি। এই রিয়েলিস্টিক একটা আপ্রোচ বলতে পারেন…”

    “দেখুন মশাই, একেই বাড়িতে বেশ অশান্তিতে আছি। তার মধ্যে লালবাজারের ওই ভদ্রলোক ফোন করেছিলেন বলে আপনাদের সময় দিয়েছি। এখন এইসব কানের কাছে পোঁ পোঁ করলে কিন্তু আপনাদের বের করে দেব…”

    “কিন্তু একবার ভাবুন। এইরকমভাবে মুক্তি পেতে কে না চায়? কথায় বলে ‘ভাগ্যবানের বৌ মরে’”

    “দেখুন, আমার বয়স হয়েছে। তবে একেবারে রসকষহীন নই। আর বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া কোন বাড়িতে হয় না? আমি কায়দা করে বৌকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিই। রাগ পড়লে আপনিই সে ফিরে আসে”। আবার খেতে শুরু করে ডাক্তার। জিজ্ঞাসা করে, “বিয়ে করেছেন?”

    “নাহ্‌”

    “বুঝতে পেরেছি। তাই জীবন সম্পর্কে আপনার কোনও ধারণাই নেই। আপনার লেখালেখি কিস্‌সু হবে না, ও আমি বলে দিলাম”।

    “সে তো বটেই”। বোকার মতো হাসল প্রণয়। বৈদেহীর দিকে তাকিয়ে ইশারা করল। বৈদেহী মুখ ব্যাঁকালো।

    “ঠিক আছে। একদিন একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে কাগজপত্র নিয়ে আবার এসো”।

    বাধ্য মেয়ের মতো একটা ঢেঁকুর তুলে মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলল বৈদেহী।

    “তা, তোমরা থাক কোথায়?”

    প্রণয় আরেকটু হলে বলতে যাচ্ছিল হাজরা। সবে ‘হা’ বলেছে কী ওকে সঙ্গে সঙ্গে থামিয়ে দিয়ে বৈদেহী বলল, “ঠাকুরপুকুর…”।

    “হাঠাকুরপুকুর! এটা আবার কোথায়?”

    ঢোক গিলল বৈদেহী, “না, হাঠকুরপুকুরের…”

    “হাঠকুরপুকুরের! বাপের জম্মে শুনিনি…”

    “ওই ঠাকুরপুকুরের কাছেই স্যার…”।  

    “হুম। বেশ দূর। আবার মাঝেরহাটের ব্রিজটাও ভেঙে গেছে। তোমরা মনে হয় বর্ধমান রোড ধরে এসেছ, তাই না?”

    “অ্যাঁ, হ্যাঁ”।

    (ক্রমশ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    0 | | | | | | | | | | ১০
  • ধারাবাহিক | ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | ১৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন