এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  স্কুলের খাতা

  • প্রসঙ্গ ; FOMO PARENTING -- উৎকন্ঠিত অভিভাবকতা

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    স্কুলের খাতা | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৯ বার পঠিত
  • প্রসঙ্গ : FOMO PARENTING – উৎকন্ঠিত অভিভাবকতা

    বিকেল বেলা। খিড়কির দরজা খুলে সামনের চাতালে একটু হাঁটাহাঁটি করছি। হঠাৎ গোপালের সঙ্গে চোখাচোখি হয়ে গেল। গোপালকে আপনারা অনেকেই হয়তো চেনেন আমার সামান্য কিছু লেখালেখির সূত্রে। গোপাল অতি সুবোধ বালক। নিজের আনন্দে মজে থাকতে ভালোবাসে। গোপাল আমাকে দেখেই একগাল হেসে বলল – ”হাই দাদু! সকালে তোমাকে আজ দেখিনি কেন?” আমি বলি – “এখন তো দেখা হলো।” দু কদম এগিয়ে এসে কাছ থেকে গোপাল দর্শন করতেই হুঁশ ফেরে। আরে! এতো আমার চেনা পোশাকের গোপাল ঠাকুর নয় ! এযে নবকলেবরধারী ! আমি নতুন কোনো প্রশ্নের সামনে তাকে দাঁড় করানোর আগেই গোপাল গলগলিয়ে সব কথা বলে দেয় নির্দ্বিধায় – “ক্যারাটে শিখতে চললাম সুরেশ পল্লিতে। কালকেই এই ড্রেসটা কিনে এনেছি। আমাকে কেমন লাগছে বলতো?” একথা বলেই – হু হা ইয়াও, বলে হাত পা ছুঁড়ে মায়ের সঙ্গে চললো ক্যারাটে ক্লাবে।

    গোপাল তার মা বাবার ‘একলৌতা বেটা‘, হয়তো তাই তার ভবিষ্যৎ নিয়ে অভিভাবকদের অনেক অনেক স্বপ্ন। আমি গোপালের গমন পথের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ভাবছিলাম গোপালের নানা বিদ্যায় পারঙ্গম হয়ে ওঠার বিপুল কর্মযজ্ঞের কথা – গোপাল গান শেখে, ছবি আঁকা শেখে, দাবা খেলা শেখে, আবৃত্তি শেখে। এসবের সঙ্গে যোগ হলো ক্যারাটে শেখা। একদিন ফাঁকা পেয়ে গোপালের মা কে জিজ্ঞেস করলাম এই ক্যারাটে শেখার প্রেক্ষাপট। খানিকটা উদ্বেগের সঙ্গেই সে বলে – “ওর অনেক বন্ধুতো আর‌ও কত কিছু শেখে। সেই তুলনায় গোপাল এখনও অনেক পিছিয়ে আছে। একালে কে আর পিছিয়ে রাখে নিজের ছেলেকে? তাইই…।” পাছে আবার আমার নতুন প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়, তাই গোপালের মা গেট খুলে ভেতরে ঢুকে যায়। আমিও তেমনটাই করি।

    সন্তানকে সবদিক থেকে উপযুক্ত করে তুলতে অভিভাবকত্বের এই ধারাকে বলা হয় FOMO parenting বা উৎকন্ঠায় ভরা অভিভাবকতা – Fear Of Missing Out Parenting। নিজের নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকদের মধ্যে একধরনের অনিশ্চয়তা সতত সক্রিয় থাকে। প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশে কেবলমাত্র গুটিকয় বাড়তি দক্ষতার অভাবের কারণে তাঁদের সন্তান পাছে অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ে, এই আতঙ্ক থেকেই ছেলেমেয়েদের সবসময় বিচিত্র ধরনের কাজকর্মের মধ্যে ডুবিয়ে রাখা। এখানে সন্তানদের ভালো লাগা মন্দ লাগার কোনো প্রশ্নই নেই। বাবা মায়ের ইচ্ছেকেই তাদের ইচ্ছে বলে মেনে নিতে হয়। এই প্রজন্মের শিশুরা জন্ম ইস্তক রোবোট,বাবা মায়ের সেট্ করে দেওয়া প্রোগ্রামিং অনুসারেই তাদের নড়া চড়া, ওঠা বসা, ভালো লাগা মন্দ লাগা।

    কয়েক বছর আগের কথা বলি। রাস্তায় হঠাৎ করেই দেখা হয় আমার পরিচিত এক মানুষের সঙ্গে। বললাম – “এই অসময়ে কোথা থেকে? ভদ্রলোক সামান্যতম বিব্রত বোধ না করেই জবাব দিলেন – “পূষণকে অ্যাবা…. এ দিয়ে এলাম। অঙ্কটাতো ভালো করে শিখতে হবে। এরপর ওর মা ওকে নিয়ে যাবে কম্পিউটার ক্লাসে। তারপর যাবে….।” ভদ্রলোককে মাঝপথে থামিয়ে আর্তনাদের কন্ঠে বলে ফেলি – তাহলে পূষণ বাড়ি ফিরবে কখন? একটু আরাম করবে কখন? ভদ্রলোক সামান্যতম বিচলিত না হয়ে উত্তর দিলেন – আরাম হারাম হ্যায়। আমি না গান্ধীজির কথা’। এটা বলেই তিনি হনহনিয়ে হাঁটা দিলেন। আমাদের সন্তান অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়বে প্রতিযোগিতার ময়দানে এটা কোনো অভিভাবক‌ই মেনে নিতে পারেন না, আর তাই প্রতিদিন তথাকথিত ‘অ্যাক্টিভিটির’ বহর বাড়িয়েই চলেছেন অভিভাবকরা।

    আপনাদের দশ বছরের সৃষ্টির ব্যস্ত রুটিনের কথা বলি। সৃষ্টিরা দিল্লির বাসিন্দা। সৃষ্টির মা কাবেরী দেবী মেয়ের ভবিষ্যৎ গড়ে দেবার দায়িত্ব পালন করছেন পরম নিষ্ঠার সঙ্গে। স্কুল ফেরতা সৃষ্টি প্রতিদিন বিকেলে সোজা চলে যায় জিমনেসিয়ামে। সেখানেই চলে ঘাম ঝরানো প্রশিক্ষণ। এরপরও আছে টেবিল টেনিস ও স্যুইমিং এর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। প্রতিদিন এমন‌ই হাড়ভাঙা পরিশ্রমের কোনো না কোনো ‘এ্যাকটিভিতে‘ নিজেকে ব্যস্ত রাখতে বাধ্য হয় সৃষ্টি। ক্লান্ত দেহ মনে বাড়ি ফিরে হোম‌ওয়ার্ক কিংবা প্রজেক্টের কাজ শেষ করতে হয় সৃষ্টিকে। “গতবছর ইন্টার স্কুল স্যুইমিং কম্পিটিশনে একটুর জন্য কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হয় সৃষ্টি। এরফলে সৃষ্টি ভীষণভাবে ভেঙে পড়ে, ডিপ্রেশনে চলে যায়। নিজে নিজেই ঠিক করে আর‌ও কঠোর অনুশীলনে নিজেকে ডুবিয়ে দেবার। আমরা জানি যে এটা একধরনের চাপ যা মাথায় নিয়ে ওকে চলতে হবে। এই অবস্থা থেকে ওকে বের করে আনতে চাইলেও আমরা পারছি না কেবলমাত্র অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ার ভয় আর উৎকন্ঠায়।”-- সৃষ্টির মা কাবেরীর জবানবন্দি।

    গল্পটা কেবল সৃষ্টির মা কাবেরীর নয় । এই গল্পের পটভূমি সুবিস্তৃত প্রায় সব ঘরেই। প্রতিবেশীর সন্তানের থেকে যাতে তাঁর নয়নের মণি রাজকুমার বা রাজকন্যা কোনো ভাবেই সামান্য পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য অভিভাবকরা সকলেই উদ্বেগাকুল। একালের প্রজ্ঞা, তুলসী, অনুরাধা, সোনালি কিংবা ঝুমা সবার‌ই এক হাল।সকলেই এক আশ্চর্য ফিয়ার সাইকোসিসে ভুগছেন।অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞেরা অভিভাবকদের এই যন্ত্রণাদায়ক আতঙ্কগ্রস্ত মানসিকতাকেই চিহ্নিত করেছেন FOMO Parenting বলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজেদের ছেলেমেয়েকে এভাবে সদা ব্যস্ত রাখার বিষয়টি শুধু যে তাঁরা নিজেদের ইচ্ছামতো করছেন তা কিন্তু নয়, সামাজিক মাধ্যমের প্রবল চাপ তাঁদের একরকম বাধ্য করছে ছেলেমেয়েকে এক বিস্ময়কর প্রতিভা হিসেবে বিকশিত করতে – যে বা যারা হয়ে উঠবে চৌকস, সর্ববিদ্যা পারঙ্গম। ভাবিষ্যতে কোনো কিছুই আর তাদের কাছে অজানা থাকবে না।

    এমন‌ই আরেক অভিভাবিকা হলেন জাগৃতি। নিজের ছেলেকে এখনও স্কুল থেকে নিতে যান তিনি। সেখানেই অভিভাবক অভিভাবিকাদের গুলতানির আসর থেকে উঠে আসা নানান চিন্তা, উপদেশ, পরামর্শ তাঁকে নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে। জাগৃতি যখন শোনে তাঁর বান্ধবী ভাবনার ছেলে অরবিন্দ ওয়েস্টার্ন মিউজিক শেখে কিংবা আশার মেয়ে নেহা ভারতনাট্যম শেখার সাথে সাথে লন টেনিস খেলা শিখছে তখন সে খানিকটা গুটিয়ে যায়। সে বুঝে উঠতে পারে না যে ছেলেকে এমন সব অ্যাক্টিভিটির মধ্যে জড়িয়ে রাখাটা কতটা জরুরি। এখান থেকেই তাঁর মনের মধ্যে টানাটানি শুরু হয়ে যায়। জাগৃতি বুঝতে পারেন না ছেলের ভবিষ্যত গড়তে ঠিক কত রকমের অ্যাক্টিভিটির সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়াটা খুব জরুরি। তাঁর আশঙ্কা, ভবিষ্যতে ছেলে হয়তো এই ব্যাপারে তাঁদের দোষ দেবে। সন্তানকে সবদিক থেকে উপযুক্ত করে তোলার এই প্রবণতা নতুন নয়। বহুদিন থেকেই তার লালন পালন পরিপোষণ হচ্ছে অভিভাবক মহলে, তবে একালে এমন কর্মকাণ্ড নতুন গতি পেয়েছে ঘরে ঘরে। এমন‌ই অভিমত মনোবিদদের।

    মানুষের জীবনে যত বেশি করে বিচ্ছিন্নতা বাড়ছে ততই যেন ছেলে মেয়েদের মনের মতো গড়ে পিটে নেবার জন্য অভিভাবকদের ছোটাছুটি বাড়ছে। একালে Jack হয়ে উঠতে হবে সকলকেই যাতে কাজের বাজারে পিছিয়ে পড়তে না হয়। একালে এসে সকলেই চাইছেন তাঁদের সন্তানরা Jack of all trades হয়ে উঠুক। সব ক্ষেত্রেই তারা হয়ে উঠুক সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন। এখানেই সমস্যার শুরু। এক ধরনের শূন্যতা বোধের তাড়নায় অভিভাবকদের মধ্যে জন্ম নিচ্ছে FOMO Parenting । তাঁরা মনে করছেন কেবলমাত্র ভালো পড়াশোনা করলেই হবে না, সন্তানকে সবকিছুতেই সেরা হয়ে উঠতে হবে। অমুকের ছেলে বা তমুকের মেয়ে যদি পড়াশোনায় ভালো হবার সাথেসাথে নাচ, গান, সাঁতার, দাবা খেলা এসবেও দক্ষ, কুশলী হয়ে ওঠে, তাহলে আমার ছেলে বা মেয়ে কেন পারবে না? তাকে পারতেই হবে। অনেক ক্ষেত্রে আবার ছেলে মেয়েরা নিজেরাই ঠিক করছে কোন বিষয়ের তালিম নেবে।

    আমার খুব পরিচিত এক পরিবারের একমাত্র সন্তানটি তবলায় তালিম নিতে নিতে ঠিক করলো, এসবে হবে না, ড্রাম বাজানো শিখতে হবে। ছেলের জন্মদিনে বাবা বেশ কিছু অর্থ বিনিয়োগ করে ছেলেকে ড্রাম সেট্ উপহার দিলেন। নতুন মাস্টারমশাই এলেন ড্রাম বাজানো শেখানোর জন্য। সবকিছুর পেছনেই লেগে র‌ইলেন অভিভাবকরা কেননা তাঁরা ছেলেকে শিবামণি হিসেবে দেখতে চান সবাইকে ছাপিয়ে। শেষটুকু আর বলছি না। সবাইকে টপকে যেতে হবে – এই দর্শন এখন তাড়িয়ে ফিরছে অভিভাবকদের। সার্কাসের ট্রাপিজের খেলার মতো একটা ছেড়ে আরেকটাকে ধরতে গিয়ে সবটাই কেমন গোলমেলে হয়ে যাচ্ছে। সফলতা কি তাহলে পাচ্ছে না কেউ? পাচ্ছে, তবে শতাংশের হিসেবে তা হয়তো উল্লেখ করার মতো যথেষ্ট নয়। ছেলেমেয়েরা অধিকাংশ সময়ই Jack হয়েই ইনিংস শেষ করছে বা করতে বাধ্য হচ্ছে, Master হ‌ওয়া আর তাদের হলো না। এ যেন সেই পুরনো প্রবচনের কথা মনে করিয়ে দেয় – সাত মণ তেল পুড়িলো, কিন্তু রাধা নাচিলেন না। অভিভাবকরা এমন লোকসান মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন এক রাশ ব্যথা নিয়ে।

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এমন একটা অবস্থার জন্য অনেকখানি দায়ি অতি সক্রিয় সমাজ মাধ্যম। এখানে নিরন্তর এক স্বপ্নঘোর পরিণতির ছবি আঁকা হচ্ছে যা দেখে উন্মন হয়ে উঠছে নবীন প্রজন্মের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। এ যেন সেই মায়া হরিণের পেছনে ছোটা – তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই। এ এক মোহগ্রস্ততা।

    অভিভাবকরা মনে করছেন যেন তেন প্রকারে ছেলেমেয়েদের বহুমুখী প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে, আর তা করতে গিয়ে বাড়তি চাপের বোঝা কাঁধে তুলে নিচ্ছেন তারা। সেই চাপ প্রকারান্তরে গিয়ে পড়ছে সন্তানের ওপর। এরফলে এক মানসিক দ্বন্দ্বের শিকার হচ্ছেন সকলেই। এমনটা কখনোই কাম্য নয় কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এটাই ঘটছে। এ যেন নাকের বদলে নতুন পাওয়া। এই ছোটাছুটি পরিশ্রমের ছাপ পড়ছে শরীর স্বাস্থ্যে।

    FOMO Parenting এর ফলে অভিভাবকদের খরচের বহর‌ও বেশ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এমনিতেই অসরকারি স্কুলগুলোতে পঠনপাঠনের খরচ আকাশ ছোঁয়া, তার ওপর এমন আশঙ্কিত অভিভাবকত্বের দায় মেটাতে হাত উপুড় করে খরচ করতে হচ্ছে। “আমাদের দুই ছেলে। বড়ো জন রোবোটিক্সের একটা কোর্স করছে, আর ছোটো ছেলের পছন্দ দাবা খেলা। এই বাবদ প্রতি মাসে আমাদের বাড়তি ২২০০০ টাকা খরচ করতে হয়। এছাড়াও তাদের দুজনের ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের খরচ মেটাতে হয়। তাও নেহাৎ কম নয়।” – এমনটাই জানিয়েছেন শ্রীমতী মায়ারা খান্না, গুরুগ্রামের এক অভিভাবিকা।

    খুব চেনা বিষয়কে এড়িয়ে একটু ভিন্ন পথের পথিক হতে চাইলে খরচের বহর আরও বেড়ে যায় স্বাভাবিক নিয়মেই। অভিভাবক অনিল জৈনের ১১ আর ৭ বছর বয়সি দুই মেয়ে ঘোড়ায় চড়া শিখছে। তার খরচ সামলাতে হচ্ছে তাঁকে। আসলে এর মধ্যেও সামাজিক গরিমার এক স্তরায়ন ভাবনা নিহিত আছে। অভিভাবক মহলে ছেলে বা মেয়ে দাবা খেলা শিখছে বললে যে অনুভব হবে স্নুকার বা লন টেনিস শিখছে বললে তার প্রাইড ভ্যালু অনেক অনেক বেশি। এই মোহের তাড়নাতেও ছুটে চলেছেন কেউ কেউ। এই শ্রেণির সংখ্যা কিন্তু বেড়ে চলেছে।

    এখনকার এই প্রবণতার সঙ্গে আমাদের সময়ের তুলনা করা বৃথা। স্কুল থেকে ফিরে জামা প্যান্ট ছেড়েই মাঠে গিয়ে বন্ধুরা সবাই মিলে হৈচৈ করে ফুটবল, ক্রিকেট, কবাডি, গাদি বা দাড়িয়াবান্ধা খেলা। ওতেই ছিল অপার আনন্দ। এজন্য আমাদের অভিভাবকদের বাড়তি কিছু খরচ করতে হয় নি। সত্যি কথা বলতে কি তাঁদের তেমন সামর্থ্য‌ও ছিলো না। আমরা আমাদের মতো করেই বেড়ে উঠেছি। আসলে ঐ সময় আমাদের অভিভাবকরা বোধহয় আশঙ্কিত অভিভাবকত্বের দায় মেটাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নি, হামলে পড়েন নি আমাদের কেউকেটা করে গড়ে তুলতে। আক্ষেপ করে লাভ নেই। সেই সোনালি রুপালি দিনগুলো আমাদের ছেড়ে চলে গেছে অনেক আগেই। কি পাইনি তার হিসাব মেলাতে মন মোর নহে আজ রাজি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • স্কুলের খাতা | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৯ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    পত্তাদকাল - %%
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন