এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • মেসি-মেস বনাম মারাদোনা

    Eman Bhasha লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১০৩ বার পঠিত
  • মেসি মারাদোনার কাছে ফুটবল শিখেছেন। বামপন্থী ভাবধারা নয়। মেসির কলকাতায় ফুটবল চাওয়া ও ছোটদের সঙ্গে খেলা দরকার ছিল। 
    আম্বানির চিড়িয়াখানায় যেতেন কি মারাদোনা?

    কলকাতার মাঠের ভেতরে অব্যবস্থা ছিল। কিন্তু সত্তর হাজার দর্শক তো তাঁকে দেখতেই এসেছিলেন। 
    তাঁর টিম কি বলতে পারতো না-- বাকিদের সরানো দরকার। 
     
    মেসি ও তাঁর দুই ফুটবলার বন্ধু থাকবেন। ছোটদের সঙ্গে খেলবেন। মাঠ ফাঁকা করা দরকার। শতদ্রু দত্ত, অরূপ বিশ্বাস দুজনেই আবেদন করেছেন, পরে ইউ টিউবে দেখেছি। মাঠের মাইক/ বক্সে কিন্তু সে আওয়াজ পৌঁছায় নি। 
    শুরুতেই গণ্ডগোল। 
    ৪০-৫০ নিয়ে মাঠে ঢোকাটাই ভুল। 
    দরকার ছিল মেসি সমেত বড়জোর ৬-৮ জন। 
    কিন্তু বড় দলবল। বেশিরভাগ কালো পোশাক পরা। 
    মেসির গেঞ্জিও ছিল কালো। ফলে আলাদা করা যাচ্ছিল না। 
    দিল্লি মুম্বাই হায়দরাবাদে কিন্তু আলাদা রঙের পোশাক পরেছিলেন। 

    শতদ্রু দত্তের পরিকল্পনা কি ছিল? কারা মাঠে ঢুকতে পারবেন কারা পারবেন না-- তার তালিকা কি জমা দিয়েছিলেন? 
    স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন কি সেই তালিকা চেয়েছিল? 

    শাহরুখ খান এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কি সময় তালিকা দেওয়া হয়নি? 

    কখন মাঠে আসবেন? কতক্ষণ থাকবেন? কী কী করবেন? 

    মাঠে জলের বোতল ২০০ টাকায়  বিক্রি করা হয়েছে। 
    লোকে ক্ষোভে এত দাম দিয়ে কেনা জলের বোতল ছুঁড়েছেন। প্রথম বোতল ছোঁড়া হয় উত্তরদিক থেকে। তারপর মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের দিকে। বের হওয়ার মুখে। 
    মেসি বের হওয়ার পর দর্শকরা কিন্তু অপেক্ষা করেছেন। শাহরুখ আসবেন এই অপেক্ষায়। পাঁচ মিনিট পর বোতল। 
    অরূপ বিশ্বাস বের হওয়ার পর চেয়ার ছোঁড়া শুরু হয়। 
    প্রথমে উত্তরদিকের এক গ্যালারি থেকে। তাদের এক অংশই বিনা বাধায় মাঠে নামেন। 
    পরে অন্য গ্যালারি থেকেও  হয়। 
    এবং আমি সমেত বহু ক্রীড়ামোদী আপত্তি করেন চেয়ার ছোঁড়ার। তর্কাতর্কিও হয়। 
    যদিও মেসিকে ভালোভাবে দেখতে না পাওয়ায় সবাই ক্ষুব্ধ ছিলেন। 

    স্টেডিয়ামে বহু দামে খাবার বিক্রি হয়েছে? 
    এগুলো কোন নিয়মে? কার নির্দেশে? 
    মেসির তদারকি ও নিরাপত্তা কাদের দায়িত্বে ছিল? কেন্দ্রীয় টিম না রাজ্য? 
    মাঠে কিন্তু জনা চার ছাড়া ভিআইপি ঢোকেননি। মন্ত্রী, মোহনবাগান দলের এক কর্তা/ প্রাক্তন সাংসদ( যাকে শতদ্রু দত্ত ঠেলে সরিয়ে দেন), এক তারকা সাংবাদিক, এবং আরেকজন। 
    আমি মাঠে ছিলাম। 
    ৩০-৪০ জন কালো পোশাক পরা নিরাপত্তা বাহিনী বলে মনে হওয়া লোক ছিলেন। 
    তাদের কালো পোশাক আর মেসির কালো গেঞ্জি এক হয়ে যাওয়ায় সমস্যা। 
    মেসি ঘুরেছেন। কিন্তু দর্শক তাঁকে ভিড়ে আলাদা করতে পারেননি। 
    ২০ মিনিট কিন্তু কম সময় নয়। 
    খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। জার্সিতে সই করেছেন। 
    ছোটদের মাঠে নামানো হয় মেসি চলে যাওয়ার পর। 
    কী নির্দেশ ছিল? 

    কলকাতার সাংবাদিকরা কিন্তু মাঠে ঢোকেননি। তাঁরা একদল সাইড লাইনে ছিলেন উত্তর পশ্চিম কোণে। আর একদল প্রেস কর্ণারে। 

    মারাদোনা পর্ব
     মারাদোনার সময় মোহনবাগান মাঠে ছিলাম। তিনি ভিআইপিদের দিকে যাননি। মঞ্চে ওঠেননি। তিনিও তৎকালীন এক ক্ষমতাবানের আচরণে সন্তুষ্ট ছিলেন না বলে মঞ্চে ওঠেননি বলে গুঞ্জন ছিল। তিনি সরাসরি মাঠে নেমে
    ৩০ টা বল নিয়ে গ্যালারিতে মারেন। বিশেষ করে ছোটরা যেদিকে ছিলেন। 
    ৮-১০ মিনিট ড্রিবল  করেন। 
    সবাই মুগ্ধ হয়ে যান। 

    মারাদোনা ২০০৮-এ এসেছিলেন ইডেন সিটি আবাসন কর্তৃপক্ষের সহায়তায়। 
    মারাদোনার আসায় মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন ডায়মন্ডহারবারের তৎকালীন সাংসদ শমীক লাহিড়ী। 
    শমীক লাহিড়ীর ধন্যবাদও প্রাপ্য।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:২৬736764
  • মারাদোনার সাথে সুভাষ চক্কোত্তির কিছু একটা ক্যাচাল হয়েছিল বলে আজকালে পড়েছিলাম। এখন ঠিকঠাক মনে পড়ছে না। 
     
    এই অরূপ বিশ্বাস এট আল এতই লোভী যে সামান্য জায়গাও ছাড়ে নি। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন