এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • লা পত্নী ভ্যানতাড়াঃ পর্ব ৯ 

    রানা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ২৪ অক্টোবর ২০২৫ | ১৮ বার পঠিত
  • 0 | | | | | | | | |
    তবুও একবার শেষ চেষ্টা করল আকাশ। ছেলেমেয়েদের দিকে চোখ টিপে চীনেমাটির ডিশটা নিয়ে মিতুলের কাছে এসে নরম গলায় বলল, “খেয়ে নাও প্লিজ। কি হচ্ছে কী? এইভাবে কি কেউ সিনক্রিয়েট করে? নাও…”

    “খাওয়াবে?”

    “হ্যাঁ”

    “আচ্ছা দাও”। আকাশের হাত থেকে ডিশটা নিল মিতুল। সকলে ভাবল যাক বাবা। কিন্তু সকলকে ততোধিক অবাক করে দিয়ে স্যুপ সমেত ডিশটা মেঝেতে ছুঁড়ে ফেলল মিতুল।

    “মনে হচ্ছে কোমর আর পায়ের সঙ্গে সঙ্গে তোদের মায়ের মাথাটাও খারাপ হয়ে গেছে…”, রেগেমেগে চলে গেল আকাশ।

    “হ্যাঁ, তাই গেছে। আর মাথা যাতে ঠিক থাকে তার ব্যবস্থা আমি নিজেই করবো…”, মায়ের রণচণ্ডী মূর্তি দেখে ছেলে আর মেয়ে নিজেদের দিকে তাকিয়ে ইশারা করে চুপচাপ খেয়ে উঠে গেল।

    মিতুল ওর বাবাকে ফোন করে কান্নাকাটি করতে থাকল। বলল যে চলে আসতে। 

    এদিকে দীঘায় হোটেলে উঠেই স্নান করার বাই উঠেছে আকাশের। ওদিকে সিঞ্জিনি যাবে না, যদি সমুদ্রে ডুবিয়ে মেরে ফেলে! পথে ডাক্তার দেখিয়েছে। কিন্তু ব্যাথা এখনও আছে। ঝট করে বাথরুমে ঢুকে সব ঘটনা পায়েলকে ফোন করে বলল সে। পায়েল শুনে বলল যে সাবধানে থাকতে আর সমস্যা কিছু হলেই তাকে জানাতে। কিন্তু পায়েল ফোন কেটে দেওয়ার পরে আবার ভাবতে বসল সিঞ্জিনি। সে যদি আকাশের কথা না শোনে আর তার ফলে আকাশ যদি ওই মেয়েটার কাছে চলে যায়, তাহলে কী হবে! এতো মহা মুশকিল। এ যেন শাঁখের করাত। নিজের ভেতরে অনেক টানাহ্যাঁচড়ার পর স্যুইম স্যুট পড়ে নিচে নেমে এল।

    হোটেল থেকে খানিকটা এগোলেই সমুদ্র। গায়ে অবশ্য ওর একটা লম্বা টাওয়েলের গাউন পরা আছে। বেশ কয়েকজন ওদেরকে লক্ষ করল। দীঘা এমনিতে খারাপ না, কিন্তু এত লোক গিজগিজ করে আর এত চেনাজানা লোকের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় যে মনে হয় কলকাতায় আছি। যদিও সিঞ্জিনি মান্দারমণি যেতে চেয়েছিল, কিন্তু আকাশ বলেছিল যে সেখানে নাকি আরও রাশ।

    ওরা বোল্ডার পেরিয়ে এগোতে থাকল। কাছে থাকা এক কোস্টগার্ডের থেকে একটা লাইফ জ্যাকেট চেয়ে নিল সিঞ্জিনি। দেখে একটু টিটকিরি দিল আকাশ। তারপর সে সাঁতার কাটতে থাকল। সিঞ্জিনিও সাহস করে খানিকটা গেল এগিয়ে। তারপর হল কী, একটা বড় ঢেউকে কাটাতে গিয়ে আরেকটু হলে ভেসে যাচ্ছিল। আকাশ তখন বেশ খানিকটা দূরে। তবুও সিঞ্জিনিকে এলোপাথাড়ি হাত-পা ছুঁড়তে দেখে সেই কোস্টগার্ড ভদ্রলোক জলে নেমে ওকে টেনে আনল পাড়ে। সিঞ্জিনি একে সুন্দরী তায় আকর্ষনীয়া। ভদ্রলোক এই অছিলায় সিঞ্জিনির শরীরে বুলিয়ে দিল হাত। সিঞ্জিনি কিছু বলল না। ভাবল যে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ একটা পাওনা তো আছে। তবে ভদ্রলোক নিজেই বলে উঠলেন, “সরি ম্যাডাম, … এটা কিন্তু ইচ্ছাকৃত নয়…”।

    পাড়ে বসে খানিকক্ষণ হাঁফ নিল সিঞ্জিনি। উফ! আজ দুটো ফাঁড়া গেছে। আর নয়। একদম ব্যাক টু হোটেল। তারপর কী যেন সন্দেহ হতে ভালো করে দেখল। দেখল যে তার লাইফ জ্যাকেটে একটা ফুটো ছিল। ভাবল, তাহলে এটা কি আকাশের কাজ? ওই কোস্টগার্ড কি আকাশের চেনা? তা কেন? তাহলে তো ওর সিঞ্জিনিকে বাঁচানোর কথা ছিল না। কে জানে! সব কেমন যেন তার উল্টোপাল্টা হয়ে যাচ্ছে।

    হোটেলে ফেরার কিছুক্ষণ পর কাজ আছে বলে আকাশ গেল বেরিয়ে। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সিঞ্জিনির যেন স্পষ্ট মনে হল যে মহিলাকে আকাশ রাস্তায় মিট করল সে হচ্ছে সেই মহিলা যার ছবি সে আকাশের ওয়ালেটে দেখেছিল। সে তৎক্ষণাৎ ফোন করল পায়েলকে।

    এদিকে কলকাতায় সন্ধ্যেবেলা মৈথিলী তখন যতীন দাস পার্ক মেট্রো ষ্টেশনে নামল ওর মনে হতে থাকল যে কে বা কারা যেন ওকে ফলো করছে। কিন্তু কয়েকবার ইচ্ছাকৃতভাবে নানান দোকানে দাঁড়িয়ে বা থেমে ধূমপান করেও কাউকে দেখতে না পেয়ে হনহন করে হেঁটে চলল শিশুমঙ্গলের দিকে। ওখানেই তানিয়ার বাড়ি সে খোঁজ পেয়েছে। আজ সে তার প্রোফেসর বরের এক কলিগের কাছ থেকে ঠিকানাটা জোগাড় করেছে। সে আজকে একটা হেস্তনেস্ত করতে চায়।
     

    বাইরে বেল বাজাতেই কাজের মেয়ে বেরিয়ে এসে মৈথিলীর কাছে আসবার কারণ জানতে চাইল। সে তার কার্ড দিল এগিয়ে। তানিয়া তখন তার প্রায় শেষ হয়ে যাওয়া একটা পেইন্টিং-এ আলগা তুলির আঁচড় বোলাচ্ছিল। কার্ডটা হাতে পেয়ে তার মুখে একটা কৌতুক উঠল ফুটে। নিজেই মৈথিলীকে ডেকে নিয়ে বসাল তার স্টুডিয়ওতে।

    ঘর ভর্তি ক্যানভাস, তার মধ্যে কয়েকটা ইজেলে ছবি টাঙানো। বেশিরভাগই অর্ধসমাপ্ত। টেবিলে ডাঁই করে রাখা রয়েছে রঙ, তুলি। এসিটা নিঃশব্দে চলছে। “চা কফি কিছু নেবেন?”, বলে তানিয়া মৈথিলীর উল্টোদিকে বসল।

    “নাহ্‌, আমি এখানে খেতে আসিনি”। মৈথিলী দেখল যে ছবিটা নিয়ে তানিয়া কাজ করছিল সেটা তার বর আকাশের একটা পোট্রেট।

    “কিন্তু কিছু না নিলে যে গৃহস্থের অকল্যাণ হবে…”

    “হোক”।

    শুনে হাসল তানিয়া। “কী পছন্দ হয়েছে, ছবিটা?”। তানিয়া কাজের লোককে ডেকে কফি আনতে বলল। তারপর পকেট থেকে সিগারেটের একটা প্যাকেট বের করে বাড়িয়ে দিল মৈথিলীর দিকে।

    মৈথিলী অবশ্য নিজের হ্যান্ডব্যাগ থেকে নিজের পছন্দসই ব্র্যান্ডের সিগারেট বের করে ধরাল। “হুম। তাহলে ব্যাপারটা এতদূর গড়িয়েছে?”

    “কোন ব্যাপার? ছবি আঁকা?”। তানিয়া সিগারেট ধরাল।

    “তোমাদের ব্যাপার”।

    “Oh! Come on Maithili. It’s just a tribute to my teacher…”

    “Tribute or Love?”। সিগারেটে টান মারল।

    “আরে, শ্রদ্ধার মধ্যে ভালবাসাও তো খানিকটা লুকিয়ে থাকে…”। টান মেরে ধোঁয়া ছাড়ে। “তাই না?”

    “চোরের মতো না ডাকাতের মতো লুকিয়ে থাকে?”

    “আমরা চোরও নই, ডাকাতও নই। আমি আঁকি আর উনি তো পড়ান বলেই জানি…”

    “হুম। তা শুধুই কি ছবি আঁকা হয়? নাকি দেহমনও এর সঙ্গে জড়িত?”

    “শরীরটা তো একটা ভৌতিক ব্যাপার। সে নশ্বর। But art is immortal”.

    “না।art immortal হতে পারে কিন্তু এত সুন্দর যখন কোনও ছবি আঁকা হয়, তখন কি এটা মনে করা ভুল হবে যে দেহসুখ না পেলে এইরকম ছবি আঁকা যায় না?”। একটা বড় টান দেয় সিগারেটে।

    “তাই? ছবিটা তাহলে ভালো হয়েছে। Thanks for your compliments”, মৈথিলীর চোখে চোখ রাখে তানিয়া। বলে, “আপনি তো একজন শিক্ষিত মানুষ, পিএইচডি করছেন। অর্থাৎ মনের উৎকর্ষের সাধনা করছেন। তবে কেন দেহ দেহ করে মাথা খারাপ করছেন বাবা জানি না?”। আবার সিগারেট টেনে ধোঁয়া ছাড়ে।বলে, “দেহ তো মনের বশ। মন যা চাইবে, দেহ তাই করবে, তাই না?”

    “বাহ! বেশ যুক্তি দিলেন। আমার মন যদি আরও চারপাঁচ জন পুরুষের সঙ্গে শুতে চায়?”

    “কন্সেন্সুয়াল হলে শোবেন। অসুবিধা কোথায়?”

    “দেশের আইনকানুন সম্পর্কে যদি তিলমাত্র ধারণা আপনার থাকত, তাহলে এই কথা বলতে পারতেন না”।

    “একদম ভুল। আইন কানুন সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে বলেই বলছি। আর মানুষের জন্য আইন না আইনের জন্য মানুষ?” একটা গান ধরে তানিয়া। “আমার হাত বান্ধিবি পা বান্ধিবি মন বান্ধিবি কেমনে এ এ…। গানটা শুনেছেন?”

    “না শুনিনি। তবে এটা জানি যে extramarital relation is an offence here, that’s all”.

    “আবার সেই এক কথা”। দুজনেই পোড়া সিগারেট আশট্রেতে নিভিয়ে ফেলে দেয়। তানিয়া বলে চলে, “কী যে পড়াশোনা করলেন তাই ভাবছি। জানেন পিকাসো কে ছিলেন? আপনি প্রকাশ কর্মকারের ‘আমি’ পড়েছেন?”

    “নাহ্‌। কী আছে তাতে?”

    “সেই। আর্টের লোকজনদের আর এই দেশে কেইবা বুঝতে পারে বলুন। একে দৈন্য দশা তাতে আবার আর্ট। খারাপ লাগে কখন জানেন, যখন আপনাদের মতো শিক্ষিত লোকেরাও…। এই কথাটা শুনে রাখুন, ‘Art washes away from the soul the dust of everyday life’। আমার কথা না; কথাটা পিকাসোর। তাই ভালো হয় যদি আর্টের সমঝদার হন বা নিজেও কোনও ক্রিয়েটিভ কাজে মন দেন”।
     
    “দেখুন, আপনার লেকচার শুনতে আমি এখানে আসিনি…”। উঠে দাঁড়াল মৈথিলী। 

    “তাহলে কীসের জন্য এসেছেন? নিজের বরকে ফেরত চাইতে?”

    “Enough! Enough your tongue spills rot. Let me warn you, don’t ever dare to poke your so called ‘Artistic’ nose between me and Akash. Otherwise…”

    “Otherwise what?”, তানিয়ার চোখে কৌতুক আর হাসি।

    “Otherwise you will be responsible for dire consequences…”। রেগেমেগে গটমট করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল মৈথিলী।

    “আরে, রেগে গেলেন যে। এটু মিষ্টিমুখও করে গেলেন না। কফি বললাম…। গৃহস্তের অকল্যাণ হবে যে…”

    “ওই মিষ্টি আপনি নিজে খান”। গেট খুলে ধুপধাপ করে বেরিয়ে গেল মৈথিলী।

    মুখে একটা চুকচুক শব্দ করে উঠল তানিয়া, “Poor silly girl”.

    মৈথিলী যখন তানিয়ার বাড়ি থেকে বেরোল, তখন সাগ্নিকের সঙ্গে দেখা করল সোহিনী। দুজনের মধ্যে আলোচনা হল যে সামনের দিনের পার্টিতে সোহিনী আকাশকে যে করেই হোক আনবে। আর সেই ফাঁকে সাগ্নিকের ভাড়া করা গোয়েন্দা ওদের বাড়িতে ঢুকে তন্নতন্ন করে খুঁজে দেখবে যে আকাশের বিরুদ্ধে কোনও ক্লু পাওয়া যায় কীনা। আর পাওয়া গেলেই কেল্লা ফতেহ্‌। সাগ্নিক আরও বলল যে সোহিনী যেন বাড়ির সমস্ত দরজা থেকে শুরু করে ঘর, আলমারি ইত্যাদির চাবির একটা করে ডুপ্লিকেট বানিয়ে রাখে। আর ওর কাজের লোকজনদের সেইদিন যেন ছুটি দিয়ে রাখে।

    এদিকে গতদিন গুগুল খুঁজে দই সঙ্গে ইসবগুল খাওয়ার কথা প্রণয় দেখতে পেল। সে গতকাল থেকেই চালু করে দিয়েছে খাওয়া। সঙ্গে ক্যালি ফস, বেল আর কুর্চি। আজ সে অনেকটা সুস্থ। সকালবেলা থেকে যদিও বেরোয় নি। তবে সীমান্তিকে ফোন করে না পেয়ে মেসেজ করেছিল। ও জানিয়েছে যে ও খুবই ব্যাস্ত রয়েছে। আজ একবার দুপুরের দিকে অফিসে গেছিল সে। কিছু কাজও দিয়ে এসেছে করে। কিন্তু মনটা পড়ে আছে কেসে। ঠিক কীভাবে যে কী করলে আসল আকাশকে ধরতে পারবে ভাবছিল একমনে। ইসস! এইসময় যসি শার্লক হোমস তার সঙ্গে থাকত!  

    সন্ধ্যেবেলা বাড়ি না ফিরে সোজা চলে গেল বৈদেহীদের বাড়িতে। প্রণয়কে আসতে দেখেই বৈদেহী জিজ্ঞাসা করল, “কোনও খবর আছে নাকি?”

    “নাহ। কাগজে তো এখনও কিছুই দেখলাম না”।

    “তোমার পেটের সমস্যা কেমন আছে?”

    “ভালো। গতকাল থেকে একটা নতুন জিনিস খাচ্ছি আর এটা আমি নিজেই বের করেছি খুঁজে…”

    “কী?”

    “দই আর ইসবগুলের মিশ্রণ। আজ একবারও হয় নি…”

    “ভালো কথা…”

    “আসলে মাথার সমস্যার সঙ্গে আমাদের গাট ব্যাকটেরিয়ার একটা সম্পর্ক আছে। মাথার জন্য খাচ্ছি ক্যালি ফস আর পেটের জন্য বেল, কুর্চি সঙ্গে দই আর ইসবগুলের মিশ্রণ…”

    “দারুণ…। আমার মাথায় একটা আইডিয়া এসেছে…”

    ওরা দুজন বসল। বিদিশা জিজ্ঞাসা করে গেল যে প্রণয় চা পান করবে কীনা? ওরা হ্যাঁ বলল।

    “কী আইডিয়া?”

    “আগামীকাল তো রবিবার…”

    “হ্যাঁ”।

    “চলো না, সরাসরি চারজন আকাশের সঙ্গে মিট করি। আর ওদেরকে খুন করার ব্যাপারে উসকে দিই”।

    “বেশ। তারপর?”

    “তারপর? যে আমাদের উস্কানিতে হ্যাঁ মেলাবে সেইই হল আসল খুনি। কারণ একমাত্র আসল খুনিই চাইবে আমাদের প্ল্যান অনুযায়ী বউকে খুন করতে”। বৈদেহী দেখতে থাকল যে প্রণয় কী বলে।

    প্রথমে বুঝতে একটু সময় নিল প্রণয়। তারপর বৈদেহীর হাত ধরে তাতে চুমু খেয়ে বলল, “দারুণ একটা আইডিয়া মাথার মধ্যে ভেবেছিস তো! একেবারে আগাথা! আরে আমাকে আগে ফোন করিস নি কেন? যদি না আসতাম?”

    “তাহলে আমি চলে যেতাম”।

    “আহ! গ্রেট! তুই জাস্ট গ্রেট…”

    উত্তেজনায় প্রণয়ের গালে একটা চুমু খেল বৈদেহী। মুখে একটা হাসি এনে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকল কিছুক্ষণ। বিদিশা চা আনবার জন্য না ডাকলে হয়ত ওরা পরস্পর পরস্পরের দিকে তাকিয়েই থাকত।

    (ক্রমশ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    0 | | | | | | | | |
  • ধারাবাহিক | ২৪ অক্টোবর ২০২৫ | ১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন