এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • মুরশিদকুলি খানের আগে আর পরের বাংলা

    upal mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৩৮ বার পঠিত
  • মুরশিদকুলি খানের আগে বাংলায় শক্তিশালী মোঘল কেন্দ্রের যুগে প্রশাসনিক / ভূমি বন্দোবস্ত

    ১) প্রধান দুই ভাগ

    ঔরঙ্গজেবের আমলে সব সুবার মতো বাংলার প্রশাসনও নিজামত আর দেওয়ানি দুভাগে বিভক্ত ছিলো। নিজামতের প্রধান ছিলেন সুবেদার আর দেওয়ানির প্রধান ছিলেন দেওয়ান। দুজনকেই শাহী দরবার থেকে নিযুক্ত করা হতো।

    ২) নিজামতের ন্যস্ত দায়িত্ব

    নিজামতের কাজ ছিলো শাহী দরবার নিযুক্ত মনসবদারদের অধীন সওয়ারদের তদারকি, সামরিক কাজ পরিচালনা আর আইন শৃঙ্খলা রক্ষা।

    ৩) দেওয়ানির ন্যস্ত দায়িত্ব

    দেওয়ানিতে মূলত হিন্দু রাজকর্মচারীদের দিয়ে জমিদারদের কাছ থেকে মালজমির (খোদ বাদশাহের হকের খালসা বা মনসবদারের হকের জাগীরের জমি) খাজনা-খারাজ আর হাট, গঞ্জ, বাজার আর জলচৌকি (জলপথে বাহিত পণ্যের ওপর শুল্ক আদায় ও নিরাপত্তার জন্য চৌকি ব্যবস্থা) থেকে সায়ির (বাণিজ্য শুল্ক) আদায় করা হতো।

    ৪) কানুনগোর ন্যস্ত দায়িত্ব

    দেওয়ানিতে কারচুপি আর তছরূপ আটকানোর দায়িত্বে ছিলেন ‘স্বাধীন বঙ্গাধিকারী কানুনগো’ (রজকান্ত রায়ের ভাষায়), এখনকার অডিটর জেনারেল অফ বেঙ্গলের মতো, যাঁর অধীনে পরগনায়, পরগনায় কানুনগো আর মৌজায় মৌজায় পাটোয়ারীরা দলিল আর হিসাব রাখতো।

    ৫) দুই ভাগের কাজের ধারা ও যৌথতা

    ভূমি বন্দোবস্তের ফাংশান্যাল ইউনিট ছিল মৌজা – গ্রাম যা এখনো আছে, কতগুলি মৌজা নিয়ে পরগনা, বেশ কিছু পরগনা নিয়ে এক এক সরকার আর বেশ কিছু সরকার নিয়ে সুবা। পরগনার নিজামতের দায়িত্বে ফৌজদার আর দেওয়ানির দায়িত্বে আমিলরা থাকতো। মোঘল প্রশাসনে আমলাতন্ত্র ছিলো একাধারে সামরিক ও অসামরিক যৌথ (paired) ফলে সুবেদার ও দেওয়ান একই লোক হতে পারতো বা দেওয়ানরা সুবেদারের অধীন ফৌজদার হতো যেমন মুরশিদকুলি খান দুটোই হয়েছিলেন। ফৌজদার হতে গেলে বেশ ওজনদার মনসবদার হতে হতো। সে জমিদারদের শায়েস্তা করতে সদা তৎপর থাকতো। অনেকক্ষেত্রে ফৌজদারদের জমিদারদের সরিয়ে সরাসরি দেওয়ানির আমিল, সাজোয়ালদের আর খাজনা আদায়ে নিযুক্ত নানা ধরণের ঠিকেদার এজেন্ট যেমন ওয়াদাদার, ইজারাদারদের দিয়ে সরাসরি খাজনা আদায়ের দাপট দেখাতে দেখা যেত।

    ৬) ক্ষমতাধরের দুই রূপ : বদলী যোগ্য ও স্থানীয়

    মোঘল আমলে সালতানাতের ভরকেন্দ্রে ছিল ঘোড়সওয়ার বাহিনী আর তাদের পুষতো যারা সেই মনসবদাররা। দেওয়ানির কাজে যুক্ত রাজপুরুষরাও প্রত্যেকেই ছোট বড় মনসবদার। ঔরঙ্গজেবের আমলে তারা সবাই শাহী দরবার থেকে নিযুক্ত হতো। মনসবদারদের নিয়োগ বদলীযোগ্য, তাদের র‍্যাঙ্কও পারফর্মেন্স নির্ভর, এমনকি অপসারণযোগ্য। মনসবদারি বংশানুক্রমিক নয়। সওয়ার পোষার খরচ চালাতে তাদের হয় শাহী তহবিল থেকে মাইনে দেওয়া হ তো বা পরিমান মতো মালজমির জাগীর দেওয়া হতো দুটোই পরিবর্তন শীল। মোঘল সুবার প্রশাসনে সরাসরি যুক্ত নিজামত, দেওয়ানি আর কানুনগোই কর্মচারীদের কেউই বংশানুক্রমিক প্রিভিলেজ পেতেন না। তবে একটা স্তর এই গতিশীল প্রশাসনের অঙ্গ ছিল সেটা কিন্তু বংশানুক্রমিক। প্রথাগত সামাজিক ক্ষমতাবানদের মাধ্যমে চতুর্বর্ণ ভিত্তিক গ্রাম সমাজকে শাসন করার জন্য পরগনায় পরগনায় একজন স্থানীয় জমিদার বা চৌধুরীদের বংশানুক্রমিক প্রিভিলেজ দিয়ে রেখেছিল এই মোঘল প্রশাসনই। তারা খাজনা আদায় করে আমিলদের হাতে তুলে দিতো আর পাইক নিয়োগ করে স্থানীয় স্তরে চুরি ডাকাতি আটকাতো। এই খিদমতের জন্য মালজমি আর সায়ির থেকে সংগ্রহের দশ শতাংশ পেতো বংশ পরম্পরায়। এইভাবে মোঘল সুবা প্রশাসনে বদলী যোগ্যদের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ক্ষমতা কাঠামোয় বংশানুক্রমিক অধিকারপ্রাপ্ত চৌধুরী –জমিদার আর তাদের অধীন তালুকদাররাও ছিলো।

    মুরশিদকুলি খানের পর দুর্বল মোঘল কেন্দ্রের যুগে আর স্বাধীন নিজামতে (নবাবী আমলে) প্রশাসনিক / ভূমি বন্দোবস্ত

    ১) ঔরঙ্গজেবের জীবিত অবস্থায় মুরশিদকুলির ভূমিকা

    মুহম্মদ হাদি বা করতলব খান, পরে যাকে মুরশিদকুলি খান উপাধি দেওয়া হবে, সেই দেওয়ানকে ঔরঙ্গজেব সুবে বাংলায় পাঠাচ্ছেন মালজমি থেকে আদায় বাবদ কেন্দ্রীয় তহবিলে প্রাপ্য টাকা বা খালসার অংশ ঠিকঠাক বুঝে নিয়ে সরাসরি তাঁর কাছে পাঠাতে। একাজে অন্তরায় ছি লো জাগীরপ্রাপ্ত মনসবদাররা। তারা দুই পঞ্চমাংশ মানে চল্লিশ শতাংশের মতো হকদার ছিলো কিন্তু হাতিয়ে নিচ্ছিল বেশি। মুরশিদকুলি খানকে পাঙ্গা নিতে হচ্ছিল নিজামতের প্রভাবশালীদের সঙ্গে যার মধ্যে বাদশাহের নাতি সুবেদার আজিমুশশানও ছিলেন। প্রথম দিকে খালসার বেশি টাকা পেয়ে শাহী দরবার সন্তুষ্ট থাকার কথা। এর ফলে দেওয়ানির একটা কাঠামোগত পরিবর্তন হয়ে চলে আর তাতে ঔরঙ্গজেবের অনুমোদন ছিল। দেওয়ানিতে মূলত হিন্দু স্থানীয় রাজপুরুষরাই যুক্ত ছিলো। নিজের নাতির বিরুদ্ধে গিয়ে বাদশাহ এই রাজপুরুষদের ক্ষমতা বাড়ানোতে মুরশিদকুলিকে প্রত্যক্ষ মদত দেন। তাঁর কাছে দক্ষতাই একমাত্র মাপকাঠি। যুদ্ধের জন্য, সে যুদ্ধের কৌশলেই দাক্ষিণাত্যে মারাঠা সর্দারদের ঘুষ দিয়ে একের পর এক কেল্লা দখলের জন্য তাঁর চাই টাকা, প্রচুর টাকা।

    ২) ঔরঙ্গজেবের পর মোঘল কেন্দ্র হলো দুর্বল আর দেওয়ানির ক্ষমতা হলো বেশি

    শেষমেশ সতেরশো সতেরোতে আজিমুশশানের ছেলে বাদশাহ ফারুখ শিয়র মুরশিদকুলিকে একাধারে সুবেদার আর দেওয়ান পদে নিয়োগ করলে সুবে বাংলায় মুরশিদকুলি খানের যুগ শুরু হলো। দিল্লীর নিজেরই তালের ঠিক নেই তাই কে কাকে মনসবদার নিয়োগ করে। এরমধ্যে বাংলার দেওয়ানি কাঠামোতে পরিবর্তন হয়ে হিন্দু রাজপুরুষদের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। ফলে প্রথাগত মোঘল ইরানি–তুরানি–হিন্দুস্থানী সওয়ার মনসবদার কেন্দ্রিক শাসক শ্রেণীর চরিত্রও অনেকাংশে পালটেছে।

    ৩) স্বাধীন নিজামত

    ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর থেকেই মুরশিদকুলি দিল্লী দরবারে টাকা পাঠাতেন বটে কিন্তু স্বাধীন ভাবে নিজামতের কাজ চালাতে আরম্ভ করলেন। এই নবাবী আমল টিঁকে ছিল তাঁর যুগোপযোগী বন্দোবস্তের ভিত্তিতে। যার মূলে আছে অল্প ব্যয়ে রাজস্ব আদায়ের কাঠামো আর দেওয়ানি ভিত্তিক শাসনতন্ত্র নির্মাণ। সেটা করতে গেলে জমির ওপর মোঘল ফৌজি-মনসবদার-সওয়ার নির্ভর সামরিক কাঠামোর প্রত্যক্ষ দখলদারিকে কমাতে হয়।

    ৪) মুরশিদকুলি খানের বন্দোবস্ত

    ক) প্রেক্ষাপট
    ইরফান হাবিব দেখেয়েছেন ঔরঙ্গজেবের আমলেও বাংলায় মাত্র দেড় শতাংশ জমি জরিপ হয়েছিল (Agrarian System of Mughal India, ১৯৬৩এর সংস্করণের পাতা ৪ এর টেবিল) যা সে সময়ে সালতানাতের গড় জরিপ ঊনপঞ্চাশ শতাংশের থেকে অনেক কম। ফলে অনেক কিছুই আন্দাজে চলে। হয়ত এর সুযোগই জাগীরদাররা নিয়ে খালসার রাজস্ব হাপিশ করছিল। এই জরিপ যা হয়েছিল তা হয় অনেক আগে টোডর মল আর শাহ সুজার আমলে। তাই বাদশাহের নিশ্চয়ই তাগিদ থেকে থাকবে ঢালাও জরিপের।

    খ) নয়া জরিপ
    বাদশাহ মারা যাবার পর সতেরোশো বাইশে সে কাজে দম লাগিয়ে মুরশিদকুলি জাগীরদার–মনসবদারদের ডানা ছাঁটছেন। বাংলার জলা জমিতে ঘোড়সওয়ার বাহিনী অকেজো ধরে আর খরচ কমাতে তিনি এমনকি নিজের সদরের তিন হাজার সওয়ারকে দরজা দেখিয়ে দিচ্ছেন। বেশিরভাগ জাগীর সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ওড়িশায় আর বাংলার পঁচাত্তর ভাগ মালজমি খালসার অন্তর্ভুক্ত করছেন ফলে রাজস্ব সংগ্রহের কেন্দ্রীভবন হয়। এই জমিতে সঠিক পরিমাপের রাজস্ব স্থির করে তা সংগ্রহের জন্য ইজারাদার লাগিয়ে দেওয়া হলো। এরাই পরে জমিদার বনছে। সুবে বাংলার চৌতিরিশটা সরকারে সম সংখ্যক ফৌজদার ছিল। নবাবি আমলে সরকারগুলো ভেঙে তেরোটা পেল্লায় চাকলা সৃষ্টি হচ্ছে। এদের মধ্যে জমিদার তালুকদারি সব স্বত্ব একত্রে ধরে বড় বড় পঁচিশ জমিদারদের অধীনে মোট পঁচিশটা ইহতমাম সৃষ্টি করা হলো। নিজামতের ফৌজি নিয়ন্ত্রণে থাকছে মাত্র দশটা এলাকা, তারমধ্যে ঢাকার ডেপুটি সুবেদার বা নায়েব নাজিমের এলাকাটাই সবচেয়ে বড় মনসবদার শাসিত এলাকা। সরকার উঠে যেতে সেখানের নিজামতের ফৌজদার শুধু নয় দেওয়ানির আমিল বা অন্যদেরও প্রয়োজন ফুরিয়েছিল। সরাসরি রাজকর্মচারী কমিয়ে মুরশিদকুলি খরচ কমালেন, রাজস্বের আদায় মূলত জমিদারদের আউট সোর্স করে দিলেন। তাঁর দেওয়ানির অনেক দক্ষ হিন্দু আমলা জমিদার বনে যাচ্ছে। নবাবের ধারণা, তাঁর প্রসাদপুষ্ট এই হিন্দুরা বেগোড়বাঁই করবে কম।

    ৫) ইহতমামের ক্ষমতা বৃদ্ধি

    বাংলার বেশিরভাগটাই ইহত মামের বড় বড় জমিদারদের হাতে চলে গেলো। মূলত হিন্দু আর পাঠান এইসব জমিদাররা নবাবের আমলে ক্রমে এক একজন স্বাধীন রাজা হয়ে বসলো। তাদের মধ্যে যুদ্ধ হয়ে এলাকা দখল শুরু হলো। সাত জন রাজা মহারাজা হয়ে উঠলো গুরুত্বপূর্ণ : বর্ধমান, বিষ্ণুপুর, বীরভূম, নদীয়া, যশোর, রাজশাহী আর দিনাজপুর। এই জমিদারদের মধ্যে আড়ে বহরে সবচেয়ে বড় রাজশাহীর–নাটোর রাজ্যের জমিদার রানী ভবানীর জমির একটা মাপ পাওয়া যায়। সতেরশো সাতান্নতে রেনেলর জরিপে নাটোরের আয়তন ছিল ১২,৯০৯ বর্গ মাইল ! মুরশিদকুলি সহ অন্য নবাবরা কেউ কম কেউ বেশি তাঁদের কেন্দ্রীয় ক্ষমতাবলে এদের থেকে রাজস্ব আদায়ের জন্য মুর্শিদাবাদ থেকে আমিল পাঠিয়ে এদেরও ওপরে যেতেন প্রতাপের বহরে আর অত্যাচারের দাপটে। রাজস্ব অনাদায়ে অনবরত জমিদারদের জেলে পোরা, জমিদারী দপ্তরের আমলাদের আটক করা, নানা সব অত্যাচারের কাহিনি এখনো লোকমুখে ফেরে। সবাই তটস্থ, এধার থেকে ওধার হলে কবে নবাবরা না খাল খিঁচে নেন।

    ৬) রাষ্ট্রীয় ব্যাংকার জগত শেঠ

    সাধারণ পরিস্থিতিতে জমিদাররা জগত শেঠদের কাছে ধার করে হলেও সময়মতো খাজনা মিটিয়ে দিতো। সেজন্য তাদের সুদ গুনতে হতো। দিল্লী দরবারে প্রথম প্রথম নগদ টাকা পাহারা লাগিয়ে পাঠানোর হ্যাপা ছিলো। পরে জগত শেঠরা হুন্ডি কাটতো আর সেটা ভাঙিয়ে শাহী তোষাখানায় টাকা জমা পড়তো। তখন বাংলায় ত্রিশের বেশি মুদ্রা চালু ছিল। ওসব মুদ্রা রিমিন্টিং করতো সরাফরা । নবাবী মুদ্রা ছিল সিক্কা টাকা। জগত শেঠদের কাজ ছিল  টাঁকশালে মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন চালু মুদ্রার বিনিময় হার ঠিক করা, ফিরিঙ্গীদের থেকে রুপোর বুলিয়ন জমা রেখে নবাবী সিক্কা টাকা দেওয়া। একথায় সুবে বাংলায় টাকার যাবতীয় সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করতো হাউস অফ জগত শেঠ। তাদের কোষাগারই নবাবী কোষাগার। সঞ্চালনের প্রতিস্তরেই তারা সুদ বাবদ টাকাও কামায়।

    ৭) মুরশিদকুলির বন্দোবস্তের ফলাফল

    নবাবী প্রশাসনের নিজামত আর দেওয়ানির কলেবর ছোট হয়ে নবাব – জগত শেঠ – জমিদার জোট আর তাদের ঘনিষ্ঠ আঁতাতই রাজত্ব চালিয়েছিল কিছুদিন। ফলাফলে সুবে বাংলায় সওদাগরী অর্থনীতির সুসময় আসে। শেষের দিকে ঔরঙ্গজেবকে  মোঘল রাজপুরুষদের নিজস্ব ব্যবসার বিরোধী রায় দিতে দেখা গেছে, তাঁর বিচারানুগামী  নবাবরা নিজের ব্যবসা–সওদাই খাসে বিরত ছিলেন । ফলে ছোট উৎপাদক আর আম জনতার   লাভ হয়  ।
    কিন্তু সামরিক কাঠামোর ফৌজদার ভিত্তি দুর্বল হতে বর্গীদের পক্ষে কিছু এলাকায় শাসন কাঠামো চুরমার করে লোকের সব্বনাশ করতে সুবিধে হয়। বাংলার  শাসকদের এই আঁতাত ভেঙে ইংরেজরা পলাশীর জঙ্গে জিতে নিজেরাই  নবাব বনে যাচ্ছে।
    মোটের ওপর স্বাধীন নিজামতে মুরশিদকুলির বন্দোবস্তে প্রাচীন মোঘল কাঠামো আমূল বদলে যায়। পরে  ব্রিটিশ  মাফিয়ারা শেঠ–সওদাগরদের ধ্বংস করে রাজস্বের টাকায় একচেটিয়া কারবার ফেঁদে বসে, যুদ্ধ জয় করে  লুট  চালায়  । এসবে  সহযোগী বেনিয়ান -মুৎসুদ্দি বিশেষত নয়া জমিদার শ্রেণীর ওপর নির্ভর করে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আনে ইংরেজরা ।

    সূত্র
    ১) নবাবী আমল, সুশীল চৌধুরী
    ২) পলাশীর ষড়যন্ত্র ও সেকালের সমাজ রজতকান্ত রায়
    ৩) বাংলার আর্থিক ইতিহাস, সুবোধ কুমার মুখোপাধ্যায়
    ৪) CHANGE IN BENGAL AGRARIAN SOCIETY C1760-1850 Ratnalekha Ray
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন