এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • লl পত্নী ভ্যানতাড়া ঃ পর্ব ৭ 

    রানা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১০ অক্টোবর ২০২৫ | ১৮ বার পঠিত
  • 0 | | | | | | |
    ওদিকে সোহিনী ইতস্তত করতে থাকল। একেই মাথাব্যাথা ব্যাপারটা ঢপ মেরেছে যাতে প্রন-গার্লিক না খেতে হয়। কিন্তু এবার যদি সে কফিটাও না খায় তাহলে আকাশ একেবারে তুলকালাম বাঁধিয়ে ছাড়বে। কিন্তু কফি সে কিছুতেই খাবে না। ভাবতে থাকে সোহিনী। তারপর ব্যালকনির দিকে তাকায়। ভাবে, হ্যাঁ, কায়দা করে ওখান থেকে ফেলে দেবে। উফ বাবা! আর এখনই ঘরে গিয়ে ফোন করে সাগ্নিককে ল্যান্ড লাইনে ফোন করতে বলবে। সাগ্নিক গলা পাল্টে ফোন করে আকাশকে অন্যমনস্ক করে রাখবে। ব্যাস। চটপট করে ঘরে গিয়ে সাগ্নিককে ফোন করে প্ল্যানটা জানিয়ে দিল সোহিনী।

    মিনিট তিন পর আকাশ কফি নিয়ে ঢুকল। তারপর গাউনের পকেট থেকে ওষুধের ফাইলটা বের করে চারটে গুলি সেখানে ফেলে দিয়ে চামচ দিয়ে সেটা মেশাতে মেশাতে হাজির হল সোহিনীর সামনে। “নাও ডার্লিং। খেয়ে নাও”।

    “ইয়ে হ্যাঁ…”, আকাশের হাত থেকে কফিটা নিয়ে আবার চামচ দিয়ে মেশাতে থাকল সোহিনী আর তাকিয়ে থাকল ফোনটার দিকে। এর মধ্যে চলে এল ফোন। পরিচারিকা এসে জানাল যে একজন মহিলা আকাশকে খুঁজছে। আর আকাশ উঠে যেতেই তাল বুঝে কফিটা ব্যালকনি দিয়ে পুরোটা ফেলে দিল সোহিনী।

    ওদিকে রাতে খাবার পরে ডাক্তার আকাশ মিতুলকে রোজকার মতো ইনজেকশন দিতে এল। কিন্তু এর আগে রোজ নিলেও আজ সেই ইনজেকশন নিতে অস্বীকার করল মিতুল। চিৎকার করে বলে উঠল, “আমি আর ইনজেকশন নেব না”।

    মায়ের চিৎকারে ছুটে এল ছেলে আর মেয়ে। আকাশ তো অবাক। আজ মিতুলের আবার হল কী! বলে উঠল, “আজ আবার কী হল? রোজই তো নাও। সময় নষ্ট কোরো না প্লিজ”।

    “হ্যাঁ। আজ আবার কী হল তোমার?”, মেয়ে বলল।

    “তোর বাবাকে চলে যেতে বল”। হিসহিসিয়ে বলল মিতুল।

    “ন্যাকামো কোরো না। তুমি যাতে সুস্থ হয়ে ওঠো তার জন্য দিনরাত এক করে দিচ্ছি”।

    “হ্যাঁ, সেতো আজ স্বচক্ষেই দেখলাম…”

    “কী বলছে কী তোর মা? এই, চেপে ধর তো”।

    “খবরদার আমি কিন্তু পুলিশ ডাকব”।

    “পুলিশ! ইনজেকশন মানে ওষুধ তুমি নেবে না, আর তার জন্য পুলিশ ডাকবে?”। আকাশ আর তার ছেলেমেয়ে অবাক। তারা এটা জানে যে মায়ের মাঝেমধ্যে হিস্টিরিয়ার মতো হয়। আকাশ বলল, “মনে হয় আবার হিস্টিরিয়া…”

    “হ্যাঁ। আমার তো হিস্টিরিয়াই হয়েছে। আর তোমার হয়েছে লাভেরিয়া”।

    “দেখো মা…, তোমার ভালোর জন্যই কিন্তু বাবা…”, ছেলে বলে ওঠে।

    “তোদেরকে আর পাকামো মারতে হবে না। যা তোরা চোখের সামনে থেকে”।

    “মিতুল…”, ঝাঁজিয়ে ওঠে আকাশ। “তোমার এই ওষুধের কোর্সটা আর ক’হপ্তা বাকি”। তারপর গলা মোলায়েম করে বলল, “আরে, এরপরে নিজের পায়ে হেঁটে বেড়াতে পারবে। কি? আনন্দ হচ্ছে না মনে?” একটু এগিয়ে এল আকাশ। “অমন করে না, প্লিজ”

    “বললাম তো নেবো না”। মিতুল তার রনংদেহী মূর্তি ধারণ করল। হাতের কাছে রাখা একটা ঝুলঝাড়ু নিয়ে ঘোরাতে থাকল। আকাশ একবার মরিয়া চেষ্টা করল কিন্তু ঝুলঝাড়ুর ডগাটা ওর হাতে লেগে ইনজেকশনটা পড়ে গিয়ে গেল ভেঙে।

    “এম্‌মা!”, ছেলে-মেয়ে বলে ওঠে।

    “থাক, তোমাকে আর সুস্থ হতে হবে না”, ঝাঁঝিয়ে বলে ওঠে আকাশ। “আমারই পন্ডশ্রম”।

    ছেলে-মেয়েরাও হুঁ বলে বেরিয়ে গেল। নিজের হুইলচেয়ার থেকে পরিচারিকার সাহায্যে খাটে উঠে বালিশে মাথা গুঁজে কাঁদতে থাকল মিতুল।

    ডাক্তার আকাশ তার চেম্বারে ঢুকে রুক্মিণীকে ফোন করল। “এই শোনো, এবার থেকে এখানে আর ওসব করা যাবে না। মনে হচ্ছে আমাদের মধ্যের ব্যাপার স্যাপার মিতুল জানতে পেরেছে”।

    “কী হবে!”, রুক্মিণীর গলায় উৎকণ্ঠা।

    “চিন্তা নেই; অন্য জায়গা আছে”।

    পরদিন সকালে উঠে প্রণয় দেখল যে আজকে তার তেমন একটা পটি পটি পাচ্ছে না। কয়েকবার কুথল কিন্তু তাতেও কিছু বেরোলো না দেখে সকালের চিড়ে টক দই খেয়েই বৈদেহীকে নিল ডেকে। সেও ছিল রেডি। মাঝে একবার সীমান্তিকে কল করেছিল কিন্তু ও তোলে নি।

    প্রথমে ওরা গেল গলফগ্রীনের উদ্দেশ্যে। আধঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যেই পৌচ্ছে গেল সোহিনীদের বাড়ি। একটু দূরে স্কুটিটা দাঁড় করিয়ে বাড়ির সামনে একটা জটলা দেখে বৈদেহীকে ছাড়াই এগিয়ে গেল প্রণয়। গিয়ে দেখল বাড়ির দারোয়ান, ড্রাইভার, কাজের লোক, কুক ইত্যাদি মিলে জটলা করে রয়েছে বাড়ির সামনেটায় আর বলাবলি করছে যে গতকাল নাকি এই বাড়িতে একটা খুন হয়েছে।

    “খুন!”, আরও এগিয়ে গেল প্রণয়। ওদেরকে জিজ্ঞাসা করল, “কেয়া হুয়া হ্যায় ভাইসাহাব?”

    “খুন হুয়া হ্যায়”। ড্রাইভার প্রণয়কে দেখেও দেখল না, খালি হায় হায় করতে থাকল।

    “কাল রাত কো হুয়া হ্যায় কেয়া?”              

    “অ্যায়সা হি লাগতা হ্যায়। আজ শুভা উঠকর দেখতা হু কে নীচে বারান্দা মে উসকি লাশ পড়ি হ্যায়…”

    “তো ফরেন পুলিশ কো ইত্তেলা কিজিয়ে…”, টেনশনে প্রণয়ের পাছার মধ্যে কেমন যেন একটা আওয়াজ হল। কী জানি। হবে নাকি রে বাবা!

    “পুলিশ! আপ হো কৌন?” 

    “নেহি, ইয়া হাম থোড়া ম্যাচিস মাঙ্গনে আয়া থা…।

    “তো ম্যাচিস লে কর চলে যাও। ফালতু খুন কে সাজিস আউর শককে দায়রে মে আ যাওগে…”।

    দেশলাই নিতে গিয়ে হাতটা কেঁপে গেল প্রণয়ের। সে যা শুনেছিল একদম অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেছে। গিয়ে সে কথাটা বলল বৈদেহীকে।

    “সেকী!” বৈদেহী চিৎকার করে উঠল। “দাঁড়াও, মামাকে…”

    “তুমি একবার আগে দেখে এসো তো”।

    বৈদেহী আবার ওদের ওই জটলার ওখানে গেল। জিজ্ঞাসা করল যে গতকাল রাতে একটা খুন হওয়ার পরে তারা পুলিশে যায় নি কেন?

    “আরে বিল্লিকে লিয়ে কৌঈ থানে মে থোড়ি রিপোর্ট করওয়াতা হ্যায়?” এবার দারোয়ান খেঁকিয়ে উঠল। “আপলোগ কৌন?

    “রিপোর্টার”।

    “তো রিপোর্ট লিখ লিজিকে কে কাল রাত হাম লোগোকা আখোঁ কা নুর মুন্নিকো কোই খুন কর দিয়া…”

    “মানে বিড়াল খুন হয়েছে?”

    “নেহি। খুদখুশী করেছে”।

    “কীভাবে?”

    “জহর খাঁ কর সুইসাইড কর লিয়া”। এবারে কুক বলে উঠল।

    “বিড়াল! মুন্নি নামের একটা বিড়াল বিষ খেয়ে সুইসাইড করেছে!”

    “আরে হাঁ বাবা, হাঁ”

    এইসময় ঘরের ভিতর থেকে দুদ্দার করে সোহিনী এল বেরিয়ে। পেছনে আকাশ। সোহিনীকে মানা করছিল কোথাও যেতে। কিন্তু প্রচণ্ড বদমেজাজে সবাইকে চমকে দিয়ে নিজের গাড়িতে করে একেবারে সাঁ করে বেরিয়ে গেল সোহিনী।

    “এই আপনাদের মালকিন?”

    “হাঁ। আজ শুভা উঠকার… উও ভি ঘাবড়া গ্যায়ি থি। উধম ম্যাচা দিয়া…”

    “কিঁউ”

    “মুন্নি কে লিয়ে…”

    প্রণয় দৌড়ে এল বৈদেহীর কাছে। “কী ব্যাপার?”

    “ব্যাপার গুরুতর”

    “কেন?”

    “কাল রাতে ওদের বাড়ির বিড়ালটা নাকি বিষ খেয়ে সুইসাইড করেছে”।

    “ক্যা!!” প্রণয়ের মুখে একগাল মাছি।

    “ওই মানে মরে গেছে আর কী। আমার মনে হয় প্রণয়দা, বিষটা খাঁটি কী না সেটা আকাশ কাল বিড়ালের ওপর টেস্ট করেছে। আর তারপর আজ করত বউয়ের ওপর…”

    “কে যেন একজন মহিলা বেরিয়ে গেল”।

    “ওই তো ওর বৌ। রাগে গজগজ করতে করতে …”

    “যাক, তাহলে অন্তত একটা নিশ্চিন্তি হওয়া গেল”।

    “এবার তাহলে?”

    “হাইল্যান্ড পার্ক…”

    স্কুটিতে স্টার্ট দিল বৈদেহী।

    রাস্তায় একবার থেমে ওরা ডাবের জল খেল। সঙ্গে অবশ্য একটা পাবলিক ইউরিনালে ঢুকতে হল প্রণয়কে। লজ্জা লজ্জা মুখ করে সেখান থেকে বেরোতেই বৈদেহীর সে কী হাসি। প্রণয়কে অপ্রস্তুত দেখে হাসি থামালো। বলল, “আচ্ছা বাবা, আর হাসছি না… ওঠো”।

    পটি করতে করতে সীমান্তিকে আরও একবার কল করেছিল প্রণয়। ও ধরেনি। “বুঝলে পটি করার সময় একটা কথা খেয়াল এল…”

    “কী টিনটিন মশাই…”

    “তোমার মামা কি কাউকে খুঁজে পেলেন? লালবাজারে? সেই যে সেখানে পটি করতে করতে…”

    “না। আমি মামাকে ফোন করেছিলাম”।

    “ইস, হাতের সামনে থেকে একেবারে ফস্কে গেল”।

    প্রোফেসরের বাড়ির কাছে গিয়ে দেখা গেল যে ওদের পাশের বাড়ির সামনে একটা অ্যাম্বুলেন্স রাখা। সঙ্গে জটলা। খানিকটা দূরে স্কুটারটা দাঁড় করিয়ে এগিয়ে গেল প্রণয়। “কী হয়েছে দাদা? কেউ কি খুন টুন হয়েছে নাকি?”

    ওই জটলাতেই দাঁড়িয়ে ছিল ষন্ডা করে একজন লোক। সে প্রণয়কে দেখে ভ্রুঁ কুঁচকে জিজ্ঞাসা করল, “কেন? সবসময় কি খুন হওয়া লাশ দেখার অভ্যাস আছে নাকি?”

    “নাহ্‌, অ্যাম্বুলেন্সটা দাঁড়িয়ে আছে তো। তাই ভাবলাম…”

    “কাছে আসুন…” প্রণয় এগিয়ে গেল। লোকটা একটা ঠাটিয়ে চড় মারল প্রণয়কে। বৈদেহী ব্যাপারটা খেয়াল করেনি। ও তখন ফেসবুক করছিল।

    গালে হাত দিয়ে বোলাচ্ছিল প্রণয়। বেশ লেগেছে। “আমাকে মারলেন কেন?”

    বাকী লোকেরা হেসে উঠল। ষণ্ডা করে লোকটা ততোধিক রেগে গিয়ে বলল, “না, পুজো করবে। কোথায় আজ ৭ বছর পর আমাদের প্রথম বাচ্চা হবে, আর তুই বলছিস কীনা কে খুন হয়েছে?”

    “কিন্তু ইয়ে…”, গালে হাত বোলাতে থাকে প্রণয়। “প্রোফেসরের বাড়ির সামনে অ্যাম্বুলেন্স কেন?”

    “কোথায় থাকিস তুই এখানে?”

    “কেন?”

    “হাসপাতাল থেকে ফিরে ভালো করে ধোলাই দিয়ে আসব। যত্তসব”।

    ভয়ে সেখান থেকে সরে বৈদেহীর কাছে চলে এল প্রণয়। আড়চোখে লক্ষ করল ওকে। নাহ্‌, চড় খাওয়াটা দেখেনি বোধহয়। আবার সঙ্গে এটাও মনে পড়ল যে টিনটিনকেও তো অনেক বিপদের সামনে পড়তে হয়েছিল। হাত-পা বেঁধে অন্ধকার ঘর, পিরামিডের ভেতরে বা জলে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল। গুলি করা হয়েছিল। আর এ তো সামান্য চড়। বৈদেহী অবশ্য একমনে ফেবুতে গেমস খেলছিল। প্রণয় আসতেই সচকিত হল। “কী হল? অ্যাম্বুলেন্স কেন?”

    “পাশের বাড়ি…”

    “কী করবে? চলে যাবে?”

    “না। চলো, এখন ওই গাছটার আড়ালে গিয়ে দাঁড়াই”।

    অ্যাম্বুলেন্সটা চলে গেলে ওরা স্কুটিটা রেখে গুটিগুটি পায়ে গিয়ে দাঁড়াল প্রোফেসারের বাড়ির সামনেটায়। ভাবখানা এমন যেন এখানে শ্যুটিং স্পট দেখতে এসেছে। শুনল যে ঘরের ভিতর থেকে একটা কথা কাটাকাটির আওয়াজ আসছে।     

    “কোথায় যাও, কী করো – কই আমাকে তো কিছুই বলো না”, মহিলা কণ্ঠ বলে উঠল।

    “Do you doubt me? But before our marriage, you never asked me such questions and in such a derogatory tone? During our courtship?”, পুরুষ কণ্ঠ বলে উঠল।

    “আমাকে বলতেই হবে, কে ওই তানিয়া?”

    “She is my good friend, a promising painter, honey. That’s all.”

    “Honey! My foot. Do you think I am a fool? I have all the information about your cheating”.

    “Cool down. Are you crazy? And let me tell you very categorically that you have no right to falsely accuse me. I didn’t ask your whereabouts, nor do I compel you to give mine. I never asked about your whereabouts. Then why should you?”

    “Ok. Fine. So you think that I am cheating on you?”

    “Just think rationally. Are you a nut? Look, try to remember what we had decided? We will move along without being possessive of each other. Yes, I just asked you not to join any job. I mean, why should you? I am earning a handsome and I did not poke my nose in any other matters of yours”.

    “Why don’t you let me join? Why? I also have a career. I also wanted to teach. What shall I do with all my certificates? I don’t want to live like an educated parasite housewife”.

    “Don’t be so personal, Maithili. What I haven’t done for you and for your family? I took the responsibility of your parent, advised you to complete your PHD, and asked you to hang around every weekend. Even I managed my leaves for tours. And what have you done? You have decreed every rule of this house. Continue your smoking and drinking. And listen, it is due to those shit habits and mingling with some shit people, your spoiled brain has formulated those allegations”.

    (ক্রমশ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    0 | | | | | | |
  • ধারাবাহিক | ১০ অক্টোবর ২০২৫ | ১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন