অলংকরণ: রমিত
বছরের এই সময়ে দিনগুলো অন্যরকম হয়ে যায়। রং রং রং, ভর্তি ওদের সারা শরীর জুড়ে। এদিকের জানলা খুললে আকাশের নীল ঘাটলায় অল্কা-পল্কা মেঘের দল সাদা সাদা নৌকো ভাসাতে লেগেছে। ওদিকের জানলায় আবার গাছের পাতারা লাল-হলুদ-কমলা তুলি বুলোতে শুরু করে দিয়েছে। শুধু রঙেই কি শেষ নাকি? গন্ধও আছে কত্তরকম। খেয়াল করলেই হাওয়ায় পাওয়া যায় সেই কোন মুলুকের দারচিনি, জায়ফল, লবঙ্গ, অলস্পাইস। কমলা রঙা কুমড়োরও আছে, আপেল সাইডারের। পলক ফেললেই তা আবার শিউলির ফুলের নরম কমলা গুঁড়োর ঘ্রাণ হয়ে সামনে দাঁড়ায়। কিম্বা,পদ্ম-শালুকের, ধুনোর, অগুরুর। আর শব্দ? একটু কান পাতলেই আজকাল শুনতে পাওয়া যায়, দিনের দিনে, রাতের রাতে। ধানের শীষের ঝুমঝুমানো, ঝিমঝিমানো। হিমধরা ঘাসে চটপটে হাওয়ার শনশন। ও-ও-ই দূর থেকে আস্তে আস্তে এগিয়ে আসতে থাকা ঢাকের, কাঁসির বাদ্যি। বাঁশি বেলুনের, পটকার, মেলার। উৎসব এগিয়ে আসছে যে! আনন্দের, সবার সাথে মিলে মিশে যাওয়ার মরশুম! সারা বছরের রাগী ধারালো দিনগুলোর মধ্যে দিয়ে, এখানে কালো, ওখানে ধোঁয়ার মধ্যে দিয়ে, বারুদের গন্ধ আর ভিজে লালের মধ্যে দিয়েও কলকল করতে করতে আশা নিয়ে, হাসা নিয়ে, রোদ্দুরের খবর নিয়ে, "বেঁচে থাকা" দু'হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসছে।
এই সময়টাকে কলমে বা কিবোর্ডে ধরে ফেলতে তাই আমরা লেখার ডাক পাঠিয়েছিলাম আপনাদের কাছে। সেই সব লেখা চলে এসেছে আমাদের দপ্তরে আর বাছাই লেখা একে একে এবার চলে আসবে গুরুর পাতায় আগামী বেশকিছুদিন ধরে। পড়ুন, মতামত জানান আর ভালো লাগলে লেখাগুলো পৌঁছে দিন আপনাদের প্রিয়জনদের কাছে। আশা করি এই উৎসবের মরশুম সব্বার ভালো কাটুক।