ছবি: ঈপ্সিতা পাল ভৌমিক
[এই ছবিটি দেখার ফল নিচের প্রথম কবিতাটি]
প্রাগৈতিহাসিক
নিশ্চুপে সাঁতরায় স্মৃতির অতলে
সহসা উদ্বেল হয়, উঠে আসে, ঘাই মারে
অবিশ্রান্ত ধারাজলে চেতনা লুপ্ত হলে
ভুলে থাকা ঘ্রাণ ভেসে আসে, ডেকে নেয়
আদিম কুহক মায়ায় মেতে উঠি
যাত্রা শুরু, জাদুকর খুলিয়াছে মুঠি ...
কাকতাড়ুয়া
জোরে হাওয়া দিলে কাঁপি
আর কোন ভয় নেই
পাখিরা বুঝে গেছে সেই কবে
কাঁধে এসে বসে সঙ্গীকে ডেকে নেয়
তবুও মালিক ভালবেসে পুঁতে রাখে
সকল রীতিই চালু থাকে
শস্যগর্ভ ভরে এলে
ঢলে পড়া চাঁদভাসা রাতে অপলক চোখ
ক্রমশ মেদুর হয়
কাস্তের দিন সমাগত ...
যৈবন
সে গিয়াছে কবে পাই নাই টের
এখন ক’গাছা অবাধ্য শন
ঘিরে থাকে প্রশস্ত চকচকে ঢাল
চারিদিকে উৎসাহী করতালি
দৌড়ের ট্র্যাকে ধরে রাখে
লাল ফিতে কে জানে কোথায়
আমার দীর্ঘ ছায়া সহসা খেয়াল করে
একা নয়, একা নয় ...
বঁড়শি
জানি আমি, আমরা সকলেই
ওটা আছে, সুগন্ধের আড়ালে
একটু এদিক-ওদিক হলেই
অদৃশ্য এ জগৎ
তা বলে না ঠোকরালে
এ কেমন মৎস্যজীবন আমাদের
একবার হেরে যাব বলে,
হোক না চরম
বারবার বঁড়শির টোপ ছিনিয়ে নেওয়ার খেলা
মরণ, ও মোর মরণ, এ আমার জন্মের টান, অসংখ্য জন্মের ...