

শহর একঘেয়ে হয়ে গেলে এসব গল্পের চরিত্ররা অফিস থেকে ছুটিতে বেড়াতে যাবার অনুমতি নিয়ে চলে যায় পাইস হোটেল। সমুদ্রের ধারে আর পাহাড়ে তাদের স্মৃতি ও ঠান্ডারা একসঙ্গে বসে চা ও কেক খায়। এক আন্তরিক পর্যটনে সে ট্রেনের জানলায় আলো এসে পড়ে, পৃথিবীর ব্যাসের উনিশ শতাংশ তারা ঘুরে আসে এক বছরে। লিখতে লিখতে সে সব ডায়েরির মত হয়ে ওঠে। এই ভাবে শুধু কথোপকথন লেখা হয়। পাতার পর পাতা জুড়ে। সব কথাবার্তা নিয়ে নিয়ে সাজিয়ে রেখে দেওয়া হয়। অথচ চিন্তার নদীরা চিন্তার পুকুরের সঙ্গে কথা বলে না। কারণ চিন্তার পুকুররা থাকবে না, শুধু পাড় বাঁধানো হবে। ঝকঝকে পাড় যেখানে বসে থাকলেই হাওয়া দেবে। লেখা সেখানে শুয়ে থাকবে। ঘুমোতে চাইবে। মরতে চাইবে না অথচ তাকে মরে যেতেই হবে। নির্জন বারান্দায় বসে মরার সময় তার হাতের কাছে থাকবে এক বাটি মুড়ি। সে মুড়ি খাচ্ছিল।
তাই লেখক স্মৃতি নিয়ে ঘর করেন না। ঠান্ডা নিয়ে ঘর করেন। সেই ঠান্ডা যখন গরমের দিকে যাওয়ার মতো হয় তখন একটা ট্রাক্টর অথবা বাইক মিছিল দেখা যাবে আর পাবে খিদে। এইভাবে চরিত্ররা মনের ভেতর ঢোকে, বেরোয় আর ঘুমের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে টিলার তলায় কুয়াশার ভেতর দিয়ে যেতে যেতে আস্তে আস্তে নদীর ধারে পৌঁছয়। দুবেলা জঙ্গল সাফারির ধকল সেরে বনবাংলোয় ফিরে তারা পড়তে বসে মহামারীর ইতিহাস।