এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • লা পত্নী ভ্যানতাড়াঃ পর্ব ৫ 

    রানা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১৩৫ বার পঠিত
  • 0 | | | | | |
    ফাঁপরে পড়ে গেল প্রণয়। এই সাগ্নিক আবার কে রে বাবা! বলল, “আরে না না, আমি সাগ্নিক টাগ্নিক নই। ভালো করে শুনুন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আপনার স্বামী আপনাকে খুন করবেন। তাই আপনাকে সাবধান করে দিলাম”।

    “খুন!”, বাথটবে খানিকটা হড়কে গেল সোহিনী।

    “হ্যাঁ খুন। আমি একজন ইনভেস্টিগেটিং জার্নালিস্ট। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে আপনাকে ফোন করছি। আর হ্যাঁ, পুলিশকেও জানানো আছে কিন্তু”।

    “শুনুন…, হ্যালো … হ্যালো!”

    লাইনটা কেটে গেল। বাথটব থেকে উঠতে গিয়ে আবার হড়কে পড়ল সোহিনী।                                 

    লাইন কাটা মাত্র প্রণয় দেখল যে মোবাইলে একটা ল্যান্ড লাইন থেকে ফোন আসছে। নম্বরটা ডঃ রায়চৌধুরির। ভয়ে ওর হাত থেকে ফোনটা গেল পড়ে।

    “কী হল?”, বৈদেহী প্রশ্ন করল।

    “আরে ডাক্তারের বউ মনে হয় ফোন করেছে…”

    “সর্বনাশ। এক্ষুনি ফোনটা বন্ধ করে দাও”।

    প্রণয় বৈদেহীর কথা মতো কলটা রিসিভ না করে চটপট ব্যাটারি খুলে ফোনটাকে সুইচড অফ করে দিল। টেনশনে ওর পেটে খানিকটা চাপ অনুভব করল সে। “আসছি…”, বলেই এক দৌড়ে পার্ক থেকে বেরিয়ে গিয়ে ঢুকল পাশের সুলভে।
     

    পটি করবার সময় ভয় করতে থাকল প্রণয়ের। তার শিরদাঁড়া দিয়ে বয়ে যেতে থাকল শীতল স্রোত। ওদিকে পটি করে আবার ক্ষিদেও পেয়ে গেছে ওর। প্রমিতার জন্য আজ ভালো করে খাওয়াও হয় নি। সুলভ থেকে বেরিয়ে রাস্তার খাবারগুলোর দিকে জুলজুল করে তাকিয়ে থাকল প্রণয়। ইস, কিছুই খাওয়া যাবে না। সব খাবারই হয় ময়দা নয়তো আটা দিয়ে তৈরি করা।

    শেষে দুজনে একটু হেঁটে ইডলি খেল কিনে। বৈদেহী সঙ্গে সম্বর ডাল আর নারকেলের চাটনি খেলেও প্রণয় শুধু শুধু দুটো ইডলি খেল। ইস! যদি তার সঙ্গে এটাসেমিক্স থাকতেন আর অ্যাস্টেরিক্সের মতো জাদু পানীয় সে খেতে পারত, তাহলে একদম চাঙ্গা হয়ে দৌড়তে পারত খুনিদের পেছনে।  

    প্রণয়কে শুধু শুধু ইডলি খেতে দেখে হেসে ফেলল বৈদেহী। জিজ্ঞাসা করল, “তোমার কি পেটের কোনও সমস্যা আছে?”

    প্রণয় জবাব দিল, “হ্যাঁ। তবে শুধু পেটের কীনা জানিনা। সার্চ করে দেখলাম মাথারও হতে পারে”।

    “আচ্ছা?”, মুখের মধ্যে চাটনি মাখা ইডলির একটা টুকরো ফেলল বৈদেহী। “ঠিক কী প্রবলেম হয়েছে গো তোমার?”

    “ডাক্তার বলছে IBS. Irritable Bowel Syndrome. বলছে যে অত্যাধিক টেনশনেও এটা হতে পারে”। দ্বিতীয় ইডলিতে কামড় দিল প্রণয়। “আবার জেনেটিক কারণেও হতে পারে”। লজ্জা লজ্জা করে বলল প্রণয়।

    “জেঠিমা বা জেঠুর কি ছিল নাকি?”

    “ঠিক মনে করতে পারছি না”।

    “আরে, অতো লজ্জার কী আছে? দাঁড়াও, মায়ের পরিচিত একজন খুব ভালো হোমিওপ্যাথিক আছেন। গ্রে ষ্ট্রীটে বসেন। আমি মাকে বলে একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট করিয়ে দেব। ডাক্তারকাকুর নাম কার্তিক মালাকার”।

    প্লেটটা খেয়ে রেখে দেয় প্রণয়। “ঠিক হবে?”

    “হতেই হবে। ও তুমি কোনও চিন্তা কোরো না। কালই দেখছি, যদি অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যায়”। বৈদেহীরও খাওয়া শেষ। দাম চুকিয়ে ওরা আবার পার্কে ফিরে এল। “এবার তাহলে শেষ জন…”

    “হুম। দাঁড়াও ফোনটা খুলি”। প্রণয় প্রোফেসর রায়চৌধুরির ল্যান্ড নম্বর ডায়াল করল।

    হাইল্যান্ড পার্কের উল্টোদিকে ছবির মতো একটা দোতলা বাড়িতে থাকে মৈথিলী আর প্রোফেসর রায়চৌধুরি। ওদের বাড়ি থেকে শহীদ ক্ষুদিরাম মেট্রো ষ্টেশন দু’মিনিট। বিয়েটা ওদের প্রেম করেই হয়েছে। যে বেসরকারি ইউনিভার্সিটিতে মৈথিলী মাস্টার্স করছিল, সেখানে প্রোফেসর রায়চৌধুরি পড়ায়। অত্যন্ত আকর্ষনীয় চেহারার মৈথিলীর আবেদনে সাড়া না দিয়ে থাকতে পারেনি প্রোফেসর রায়চৌধুরি। বাড়িতেও কোনও আপত্তি ছিল না। তবে প্রোফেসর ছিল ডিভোর্সি আর বয়সের পার্থক্য একটু বেশি ছিল বলে মৈথিলীর মা গাঁইগুঁই করছিলেন।

    কিন্তু ওর বাবা অবশ্য মেয়ের মতেই মত দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, “তোমার মেয়েও এখন কচি খুকি নয়। তারও ২৭ বছর হয়েছে। এর মধ্যে চার বছর প্রোফেসরের সঙ্গে ঘুরেছে, ফিরেছে। কই, আমি তো তেমন কিছু অস্বাভাবিকতা দেখলাম না”।

    মৈথিলীও চার বছর ঘোরাঘুরি আর ২ বছর বিয়ের পর আকাশের তেমন কোনও বেচাল লক্ষ্য করেনি এক টাকা রোজগার ছাড়া। সেতো ভালোভাবে বাঁচতে গেলে কার না টাকার দরকার হয়? কিন্তু আজ এই অজানা ফোনটা রিসিভ করার পর থেকে মনটা কেমন যেন লাগছে।

    মাস্টার্স করে চাকরির জন্য বি.এড. করেছে মৈথিলী, সঙ্গে করছে পিএইচডি। কিন্তু প্রোফেসর রায়চৌধুরীর আপত্তি আছে মৈথিলীর চাকরির ব্যাপারে। সঙ্গে সে তার বউয়ের এতো স্বাধীনচেতা মনোভাবও পছন্দ করে না। আগের স্ত্রীয়ের সঙ্গেও এই নিয়েই ঝগড়াঝাঁটি শুরু হয়েছিল।

    কিন্তু মৈথিলী আকাশকে ভালোভাবে বুঝিয়েছিল যে প্রোফেসরের কলেজে পড়ানোর সময় ওর বাড়িতে একা একা লাগে। আর এত দূর পড়াশোনা করে কেন সে বাড়িতে বসে থাকবে অশিক্ষিতদের মতো? উত্তরে আকাশ ওকে কনসিভ করে বাচ্চার মা হতে বলেছিল। কিন্তু এখনই বাচ্চা নেওয়ার কোনও ইচ্ছা মৈথিলীর ছিল না। আরও ক’টা বছর সে এইভাবে উপভোগ করতে চায়।
     

    কিন্তু এইমাত্র ফোনে লোকটা যা যা বলল তা কি সত্যি? বাড়ির ল্যান্ড ফোনটা তার মোবাইলে রিডাইরেক্ট করা ছিল। ন্যাশান্যাল লাইব্রেরি থেকে বেরিয়ে পয়লা এপ্রিলের গরমে ঘামতে ঘামতে বাড়ি ফিরল সে। তারপর ফোন করল পরিচিত এক বান্ধবীর দাদার কাছে। তিনি পুলিশে কাজ করেন। ভদ্রলোকের নাম অনন্ত শর্মা। মৈথিলীকে পরদিন চলে আসতে বললেন লালবাজারে।

    এদিকে যখন ফোনটা সন্তুকে দিয়ে প্রণয় আর বৈদেহী হৃষ্ট চিত্তে ফিরে গেল বাড়িতে, তখন সিঞ্জিনি গেল কয়েকটা ব্লক দূরে শৌনক আর পায়েলদের বাড়িতে। বাড়িটা BD ব্লকে; সেবা হাসপাতালের বিপরীতে। পায়েল সিঞ্জিনিকে নিজের বোনের মতো ভালোবাসে। সিঞ্জিনির সরলতা পায়েলকে মুগ্ধ করেছিল। মাঝেমধ্যেই আড্ডা বসত ওদের। নিজের হাতে অনেক রান্নাও শিখিয়েছে সিঞ্জিনিকে। আর এখানে তার বল-ভরসা বলতে পায়েল আর শৌনক। এইতো দিন পাঁচ হল তন্তুজ থেকে দামী তাঁতের শাড়ি উপহার দিয়েছিল পায়েল। কারণ আর দিন দুই পর আকাশ আর সিঞ্জিনির বিবাহবার্ষিকী। মারধোর যে আকাশের কাছে খায় নি এমন না, তবে পরে আবার কাছেও টেনে নিয়েছে। কিন্তু তা বলে খুন!

    একটা অ্যাপ ক্যাব বুক করিয়ে সিঞ্জিনি সোজা চলে এসেছে পায়েলের কাছে। এসেই বুকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হাউহাউ করে শুরু করে দিয়েছে কাঁদতে। পায়েলের কাছে ব্যাপারটা এতো অপ্রত্যাশিত যে সে তার একটা অ্যাপো ক্যান্সেল করে সিঞ্জিনিকে ধরে ধরে নিয়ে গেল বেডরুমে। মাথায় হাত বুলিয়ে দিল সান্ত্বনা। বাড়ির পরিচারিকা অন্য ঘরে তখন দিবানিদ্রা দিচ্ছে আর শৌনক গেছে অফিসে।

    একপ্রস্থ কান্নাকাটির পর চোখের জল মুছিয়ে পায়েল জিজ্ঞাসা করল, “কী রে পাগলী মেয়ে? কী হয়েছে বলবি তো?” সিঞ্জিনি পায়েলের বুকের মধ্যে মাথা গুঁজে ঘাড় নাড়ল। পায়েল আবার বলল, “আকাশ বকেছে? বা মেরেছে?” আবার না বলল সিঞ্জিনি। পায়েল নিজের হাতে সিঞ্জিনিকে নিজের বুক থেকে তুলে মুখটা দু’হাতে ধরে জিজ্ঞাসা করল, “এমন করে কাঁদতে নেই। কী হয়েছে না বললে বুঝব কেমন করে? পাগলী মেয়ে আমার। বল আমায়”। মাথায় হাত বুলিয়ে দিল পায়েল।

    “আমাকে… আমাকে ও খুন করতে চায়”, কাঁদতে কাঁদতে বলল সিঞ্জিনি।                    

    “কে আবার তোকে খুন করতে চায়? আসুক দেখি। চামড়া তুলে দেবো না। কে? কার এত আস্পর্ধা?”

    “ওর”। চোখের জল হাত দিয়ে মুছল সিঞ্জিনি।

    “ও টা কে? আকাশ?”

    মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলে সিঞ্জিনি। কথাটা শুনে ওর মুখের দিকে কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকল পায়েল। তারপর বলল, “আরে, ব্যাপারটা খোলসা করে বলবি তো”।

    আবার কাঁদো কাঁদো গলায় সিঞ্জিনি উত্তর দেয়, “এই কিছুক্ষণ আগে, আমি যখন টিভিতে রান্নার প্রোগ্রামটা দেখছিলাম, ল্যান্ডলাইনে একটা ফোন আসে…”

    “গলাটা চিনতে পেরেছিলি?”

    “নাহ্‌”।

    “হুম। কোনও প্র্যাঙ্ক কল নয়তো?”

    “কী কল?”

    “না না। তোকে কি কেউ বোকা বানিয়েছে? কারণ আজ তো আবার পয়লা এপ্রিল”।

    “কিন্তু এইটা তো আর বোকা বানানোর জিনিস না…”। সিঞ্জিনি আকাশের ওয়ালেট থেকে যে মেয়েটার ছবিটা পেয়েছিল সেটা পায়েলকে দেখাল।

    পায়েল বেশ খানিকক্ষণ মন দিয়ে ছবির মেয়েটাকে দেখল। তারপর বলল, “কী যে দিনকাল পড়ল”। আবার সিঞ্জিনির পিঠে মাথায় হাত বুলিয়ে দিল পায়েল। “জানিস, আমিও না চিন্তায় থাকি। আর এই মেয়েগুলোকেও বাবা বলিহারি। জানিস লোকটা বিবাহিত, তবুও কেন লাইন মারতে আসা?” একটু থেমে টেবিলে রাখা জলের বোতল এনে সিঞ্জিনিকে দিল পায়েল। “আসলে আমরা, মেয়েরা যদি নিজেরাই ঠিক না থাকি, পুরুষদের দোষ দিয়ে কী হবে? ভাবিস না, চল…, আমি দেখছি আকাশের এত সাহস হল কী করে?”

    চোখের জল মোছে সিঞ্জিনি। দু’ঢোক জল পান করে। “কোথায়?”

    “আকাশ এখন কোথায় কী করছে দু’জনে গোপনে দেখে আসি…”

    “ওরে বাবা, সে আমি পারব না। ও জানতে পারলে ভীষণ রাগ করবে”।

    “ঠিক আছে বাবা। নিজেরা আগে চেষ্টা করে দেখি না। নয়তো পরে একজন প্রাইভেট আই পেছনে লাগিয়ে দেওয়া যাবে”। পায়েলের চোখেমুখে তার মেয়েবেলার দুষ্টুমি ভরা চেহারাটা ফুটে ওঠে।

    “আচ্ছা, খবরের কাগজের নামটা কী বলেছে যেন তোকে?”

    “কী জানি বাবা! মনে হয় ‘পেত্নী ভ্যানতাড়া’ না ‘পটি ভ্যানতাড়া’ কী যেন একটা। বেশ খটমট নাম…”

    “দাঁড়া, আমি আমার একজন সাংবাদিক বন্ধুকে ফোন করি। ও আবার একটা মেয়েদের কাগজ চালায়। ‘পেত্নী ভ্যানতাড়া না পটি’, কী সব নাম পত্রিকাটার?”

    “হ্যাঁ”

    এরমধ্যে পরিচারিকা উঠে ওদের চা দিয়ে যায়। পায়েল ফোনটা স্পীকারে দিয়ে কল করে।“হ্যালো”

    “হ্যাঁ…”

    “তুমি কি ব্যাস্ত?”

    “আরে না না, তোমার জন্য সবসময় প্রস্তুত…”

    “আবার বদমাইশি হচ্ছে?”

    “’আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ…’”

    “থাক থাক, অনেক কাব্যি হয়েছে। একটা খবর জানবার ছিল গো…”

    “বলো গো…”

    “পেত্নী ভ্যানতাড়া, পটি ভ্যানতাড়া বলে কোনও কাগজ আছে নাকি? ট্যাবলয়েড? বিদেশি?”। ফোনের অন্যদিকে হাসিতে ফেটে পড়ল সাংবাদিক। পায়েল বলল, “হাসিটা থামাও তোমার। আমি বাবা অতো পড়াশোনা করা মানুষ নই…”

    “উফ বাবা! এ যেন ‘সাহারায় সীতাহরণ’। সত্যজিৎবাবু বেঁচে থাকলে তোমাকে একটা থ্যাংকস জানাতেন”

    “Oh! Don’t be so silly. এই বলো না। না বললে ভালো হবে না কিন্তু বলে দিচ্ছি”।

    “ওকে ম্যাডাম। হুম…, যতদূর মনে হচ্ছে কাগজটার নাম ‘লা পেতিত ভ্যাঁতিয়েম…। তবে সে কাগজ তো টিনটিনের কমিক স্ট্রিপ ছাপাতো, বেলজিয়ামে। তবে সে সাপ্লিমেন্ট কবেই বন্ধ হয়ে গেছে।”

    “কী রে মেয়ে, শুনলি তো?”

    “হ্যাঁ হ্যাঁ, ওইরকমই নামটা…, টিনটিন”, সিঞ্জিনি বলে ওঠে।

    “শুনলে তো? আমি কিন্তু ওই নামটা বলিনি”। কথাগুলো পায়েল সাংবাদিককে বলল। সাংবাদিক আবার একপ্রস্ত হাসল।

    সিঞ্জিনি মনে মনে ভাবল যে এখানে আবার পায়েল ছিপ ফেলে বসে আছে কীনা। হু হু বাবা। কথায় কথায় নিজেদের কড়া হওয়ার কথা বললে কী হবে, ডুবে ডুবে জল বা মদ পান করতে দেখছি সবারই ভালো লাগে।

    সাংবাদিক ওদিক থেকে বলল, “দেখো, খবরের কাগজের নামটা ঠিকই আছে। মানে টিনটিন বলে একটা কাল্পনিক কমিক চরিত্রের সৃষ্টিকর্তা প্রথমে সেখানে ক্লার্কের কাজ করতেন। তারপর এডিটর-ইন-চীফ হন। তবে… ও কাগজ তো ভারতে কোথাও নেই বা কখনও ছিল না”।

    “শুনলি তো পাগলী? কেউ তোর সঙ্গে প্র্যাঙ্ক করেছে”।

    “ব্যাপারটা কী বলবে তো…”

    “পরে দেখা হলে বলবো। Now we are going for a hunch”.

    “ঠিক আছে সোনা”। ফোনটা কেটে দিল সাংবাদিক।  
      
    (ক্রমশ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    0 | | | | | |
  • ধারাবাহিক | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন