আলোর হাসিটি মেখে রোদেলা সে দিন যদি বাড়ী ফিরে শুয়ে পড়ে শিশিরের রাতে ---
সেই দিন সেই রাত তুলে দিতে পারি শুধু বন্ধুর হাতে।
একতলা সিমেন্টের তকতকে বাড়ীখানার মাথায় লাল টালির চাল । চুনকাম করা দেওয়াল, সিমেন্টের মেঝে।দুটি পাশাপাশি ঘর,সামনে লম্বাটে বারান্দার সামনে লম্বা লম্বা লোহার শিক। ডানদিকে বারান্দার শেষে শিক লাগানো কাঠের ফ্রেমে দরজা। বাঁদিকে বারান্দার শেষে দরজা পেরিয়ে ছোট্ট এক ফালি লুকোনো উঠোন আর ছোট্ট দাওয়া - বাইরে থেকে দেখা যায়না,কারণ, রাস্তার দিকের উঁচু পাঁচিল।পাঁচিলের গায়ে বাইরে বেরোবার আরেক দরজা। এদিক দিয়ে বাইরের পুরুষরা সাধারণত ঢোকেনা। লাজুক মেয়ে বৌ সরাসরি রান্নাঘরের সামনে এসে বসে। দাওয়ার উপর পাশাপাশি দুটি ঘর , একটি রান্নাঘর, অন্যটিতে কাঠকুটো, ঘুঁটে,কেরোসিন ইত্যাদি।দাওয়া শেষ হলে চৌকো ফালির বাঁধানো জায়গাটুকু, চৌবাচ্চা কলঘর ইত্যাদি, সবই সেই উঁচু পাঁচিল ঘেরা।
বাড়ির পিছে ছায়া ভরা পুকুর। বাড়ির সামনে লাল মোরামের রাস্তার ওপারে আবার গাছপালা,বাগান।মোরাম রাস্তা গিয়ে শেষ হয় সাবান কারখানার গেটে।তার আগে দুটো পুকুর,একটার ঘাট বাঁধানো। আছে বাগান,আছে বাড়ী । সাবান কারখানার মালিক এরা। সকাল বেলা সাবান কারখানার শ্রমিকরা কলবল করতে করতে আসে রাস্তা ধরে। দুপুরে তারা খেতে যায়, আবার ফিরে আসে। বিকেল বেলা বাড়ি ফেরে তারা,হেঁটে,কেউ বা সাইকেলে ঘন্টা বাজিয়ে।ফেরার সময় টালির বাড়ির বাচ্চাদের হাতে সাবান তৈরির আঠালো গোল্লা দিয়ে যায় তারা কখনো কখনো খেলার জন্য।
রাত নামলেই ছমছমে ছায়া । লোডশেডিং হলে ছায়াদের ঘোরাঘুরি বাড়ে।নিঝুম রাতে টালির ছাদে টুপটাপ পাতা উড়ে এসে পড়ে। হিম পড়ে।তারও শব্দ আছে। বাতাস বয়ে যায় । পেঁচা ডাকে। খুব ভোরে কিছু দেখা যায়না, মনে হয় গাছ পালা সব জলের তলায়।ওরা ঘুম চোখে মুড়িসুড়ি দিয়ে দাঁত মেজে নেয় আর তারপর আলুভাজা বা গুড় দিয়ে বাঁশি পাকানো গরম রুটি খেয়ে পড়তে বসে। কখনও বায়না করে চা খায় একটু। তবে পরীক্ষা হয়ে গেলে আর কেউ পড়তে বলেনা। মাথায় টুপি দিয়ে, রুমাল বেঁধে তখন বাইরে বেরোতে দেওয়া হয়। পাঁচিলের উপর, পাতা আর ফার্নদের উপর জমে থাকা বিন্দু বিন্দু জলের কনায় আঙুল দেয় ওরা। রোদ উঠলে তারা সবাই ঝিলমিল করে ওঠে তারপর আস্তে আস্তে মিলিয়ে যায়।
টালির বাড়ির ওরা প্রায়ই সময় হিসাব করে কারখানার লোকদের দেখে। বাইরে ঘাসের উপর রোদে দেওয়া গামলার জল শীতের দুপুরে গরম হয়ে ওঠে। সেখানে গাবলু গাবলু ডল পুতুলকে চান করানো হয়।কারখানার লোকেরাও দাঁড়িয়ে পড়ে,হাসে,হাত তালি দিয়ে মুখে শব্দ করে,ডল পুতুল আমোদ পায় , দুটি সদ্য ওঠা দাঁত বের করে হাসে, গামলার জল রোদ ঝিকোয়,সাত রঙে ভাঙ্গে। ছোট দুটি রোগা রোগা দাদা দিদির চান সারা, তারা দাঁড়িয়ে, পাট পাট করে ভিজে চুল আঁচড়ে, মুখে ক্রিম মেখে। ছোট হয়ে যাওয়া বাড়ির সোয়েটার আর গোড়ালি পর্যন্ত লম্বা গেঞ্জির প্যান্ট পরে। তারাও দুধে দাঁত পড়া ফোকলা হাসি হাসে। মা টি কাঁধের উপর ফেলা গামছা দিয়ে ডলের মুখ নাক ডলে দেয়,সে হাত ছুঁড়ে বাধা দেয়। চান সারা হলে বড় দুটিকে থালায় ভাত দেওয়া হয় বাইরে ঘাসের উপর পাতা ক্যাম্প খাটের উপর খবরের কাগজ বিছিয়ে। নীল আকাশে চিল ওড়ে ।সারি সারি সেগুন গাছের পাতা কাঁপে। তারা টুকটুক করে খায়।ডলের জন্য মাখা ভাত এক হাতে ধরে তাকে কাঁখে নিয়ে মাও আসে বাইরে।পাখি দেখে দেখে ডল খেয়ে নেয়। বাঁশ পুঁতে খাটানো দড়িতে মেলে দেওয়া কাপড় শুকনো বাতাসে শুকিয়ে হাওয়ায় উড়ে উড়ে রোদের গন্ধ ছড়ায় ।
বছর শেষের কোনো একদিন দুপুর দুপুর ওরা বেরিয়ে পড়ে। মা টি তার কাঁচ বসানো কুরুশে বোনা ব্যাগটিতে কী কী রাখে ওরা জানতে পারেনা। জানতে চায়না। লাফাতে লাফাতে ওরা আগে আগে চলে। হেঁটে হেঁটে ওরা কপিশার ব্রিজ পেরিয়ে গাঁয়ের চৌমাথায় পড়ে।তারপর বাম দিকটি ধরে আবার নদীটিকে পাশে নিয়ে চলতে থাকে।এদিকে কপিশা র লকগেট,তার আগে হলুদ রঙের সেচ বাংলো। অনেকদূর দেখা যায় চারপাশে। ওরা এরপর নেমে পড়বে নদীর বুকের বালিয়াড়ি তে। নেমেই ছুট লাগবে ওরা। যতদুর পারে দৌড়তে থাকবে সোনালী বালির উপর দিয়ে । তারপর আবার ফিরে আসবে । জলে এখন স্রোত নেই, আকাশের নীল রং মেখে সে শুয়ে আছে। ওরা প্যান্ট গুটিয়ে ঠান্ডা জলে নেমে,জল ছিটিয়ে হাসে।জলের তলায় নুড়ি গুলি, ভেসে আসা শ্যাওলাগুলি,তলার বালি দেখা যায়। ছোটছোট মাছগুলি ধরতে যায় ওরা।পারেনা। হিহি করে হাসে।ঠান্ডা লাগে ওদের। উঠে আসে জল থেকে। সিটিয়ে যাওয়া হাতের চেটো মেলে দেয় রোদের ওমে উষ্ণ বালির বুকে।পাগুলিও ঢুকিয়ে দিতে চায় বালির ভিতর। কিন্তু সেখানে ঠান্ডা। বালির পাহাড় গড়ে ওরা। দুপাশের গুহা দিয়ে হাত ঢুকিয়ে হ্যান্ড শেক করে,চিমটি দেয় এ ওকে। মায়ের ব্যাগ থেকে ওয়াটার বটল বেরোয়,বেরোয় কমলালেবু,কেক। ওরা দেখে কমলালেবুগুলি শিশি থেকে বেরিয়ে আসা শীতের লোশনে মাখামাখি । ওরা হেসে কুটোপাটি।কমলা লেবুর গা থেকে তা কাঁচিয়ে নিয়ে ওদের ই ফেটে যাওয়া গালে মাখিয়ে দেয় মা। ওরা লেবু খায়,কেক খায়। কেকের ভিতর লাল রঙের চেরি।ওটা যে চিনির রসে জড়ানো করমচা সেটা ওরা পরে জানবে।খুঁটে খুঁটে বের করে সাদা সাদা মোরব্বার টুকরো। কার কেকে কটা গোনে। হঠাৎ ই তারপর একজন বায়না ধরে বন্ধুর বাড়ী যাওয়ার। নতুন বন্ধু এদিক থেকেই যায় ইস্কুলে,একা একা বাসে করে!
বাড়ী কী করে খুঁজবে? ঠিকানা কী? সে জানায় বন্ধুর বাবাকে নাকি সবাই অমুকবাবু বলে চেনে। ওরা এরপর উঠে পড়ে। বালিয়াড়ি থেকে বড় রাস্তায় ওঠে। রাস্তা থেকে একটু নিচুতে মাঠে খেলছিল যারা তাদের মধ্যে থেকে ওই বয়সী বাচ্চা মেয়ে দেখে বাবা জিজ্ঞেস করে তুই কি বন্ধু? এরপর সেটাই চালিয়ে যেতে থাকে হাসতে হাসতে - এদিক ওদিক ছোট মেয়ে পেলে। আর, ও রাগে পা ঠুকতে ঠুকতে বন্ধুর বাড়ি কে কে আছে বলতে থাকে। যদি খুঁজে পাওয়া যায় সেসব বলে। খড়ের চালের চায়ের দোকান, রাস্তার ধারের মানুষকে ওরা জিজ্ঞাসা করতে থাকে অমুকবাবুর বাড়ী।
সন্ধান পাবেনা কেন? যদি নাম, পদবী, মোটামুটি বয়স,ছেলেপুলের হদিস দেয়? সন্ধান পেয়ে যায় ওরা। বড় রাস্তায় থেকে নেমে যাওয়া একটা সরু রাস্তা ধরে। এঁকে বেঁকে সে লাল মাটির রাস্তা গাছগাছালির বেড় দিয়ে এগোতে থাকে, আর যত ওরা এগোয়, ততই বেশি বেশি করে লোকের দেখা পেতে থাকে যারা অমুক বাবুকে চেনে।এইভাবেই ওরা এসে পৌঁছয় একটা বাঁশের বেড়ার গেটের সামনে।কিন্তু, গাছপালা আর তার ফাঁকে পুকুর ছাড়া কিছুই যেখানে দেখা যায়না। আবারো তাই ওরা জিজ্ঞেস করে রাস্তা দিয়ে চলা কাউকে।সে অবাক হয়ে আঙুল তুলে ওই গেট ই দেখিয়ে দেয়।ওরা তাই ঢুকে পড়ে এগোতে থাকে অচেনা গেরস্থালির হাতায়।
গাছপালার মধ্য দিয়ে এবার ডানদিকে মাটির ঘর আর বাম দিকে সাদা রঙের একতলা দালান ঘরের কোনা দেখা যায়।পুকুরের ধারে দেখা মেলে রোদে পোড়া মাঝ বয়সী শক্তপোক্ত এক পুরুষের।বাবা সটান জিজ্ঞেস করে উনিই অমুকবাবু কিনা। উনি মাথা নাড়েন। আপনারা? বাবা ওকে দেখিয়ে বলে বন্ধু খোঁজার কথা।একগাল হেসে সাদর অভ্যর্থনা জানান ওমুকবাবু।তারপর আটপৌরে মা, মাসি- পিসি, উঠোনে খেলা করা ভাই, খাটিয়ায় অঙ্ক কষা দিদি, আর শুকোতে দেওয়া শুকনো লঙ্কার পাশে সে! অবাক হওয়া, ছুটটে গিয়ে হাতধরা ,কলকল,খলবল,বোকা ভাই,খুশি ভাই, ছোটাছুটি। ডল তাকায় চোখ গোল করে চার পাশে। তাকে ছিনিয়ে কোলে নেয় কেউ। উঠোনে চেয়ার পেতে অতিথি, আর দাওয়ায়, রোয়াকে আসন পেতে, পা ঝুলিয়ে, পা গুটিয়ে হাসিখুশি তারা। চা আসে। বিস্কুট আসে। নিমকি আসে, নাড়ু আসে। পশ্চিমে উঠোন পেরিয়ে গাছপালা এড়িয়ে ওই যে ফসল কেটে নেওয়া হলদে মাঠ, খোঁচা খোঁচা ধান গাছের শুকনো গোড়া আর শুকনো ডেলা ডেলা মাটি নিয়ে বিকেলের আলো মেখে শুয়ে। মাঠের পারে হাইওয়েতে খেলনার মত বাস ট্রাক চিক চিক করে রোদে। এই উঠোনখানিও খুশির আলোয় ভরা।
তারপর যখন হাইওয়ের পেছনে সূর্য নেমে গেলো, সব দিকে ছড়িয়ে রাখা আলোর মসলিনখানা গুটিয়ে গুটিয়ে হিংসুটের মত কেবল নিজের গায়েই পরত পরত জড়াতে জড়াতে নিজে লাল হয়ে উঠলো আর চারপাশ ছায়া করে দিল - তখন ওরা "আসি ভাই ...এসো ভাই" করে উঠলো। গাঁয়ের ছায়াময় রাস্তা এখন আর তত লম্বা লাগেনা, খুব তাড়াতাড়িই ওরা বড় রাস্তার মোড়ে পৌঁছে গেল।
ব্রিজের উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখে নিচে পশ্চিমে এঁকে বেঁকে চলে যাওয়া কপিশা এখন গোলাপী। পুবে নেমেছে নীল ছায়া। সাহেবদের তৈরি পুরোনো ব্রিজের লাল ইটের থাম আর খিলানগুলোর নিচের জল কালো দেখায়, বালির অংশ তাও চোখে পড়ে। আরোও দূরে বেঁকে যাওয়া নদী, তার পাশের বালির চর একলা ছায়া মেখে চুপ করে আছে এখন। ওরা তাদের ফেলে এসেছে। ওদের মন কেমন করে ওই পারের জন্য ।ঠিক তখনই বাবাটি বেসুরে গান ধরে স্বরচিত:
আহা ! বিদায় বছর বিদায় বছর ,কতনা যাতনা ,কতনা সুখ, কতনা ঘটনা ফেলে গেলে তুমি ... ই..... ই ঈ!
ওরা হেসে ফেলে।
নদী শেষ হলে বাঁদিকে নিচে দেখা যায় আড়াআড়ি মাটির নদী বাঁধ। লম্ফ জ্বালিয়ে টাটকা মাছ নিয়ে, সবজি নিয়ে বসেছে পসারি। চায়ের দোকান। নিচে, পাশের পিচের রাস্তায় লোকজন, রিক্স,বাস। ডান দিকে গাছপালা শুধু। ব্রিজ শেষ হয়ে রাস্তা দুভাগে ভাগ হয়ে গেছে। একটা সিধে চলে গেছে। কিছুদূর গিয়ে সে পড়বে নীল গড় জঙ্গলে, তারপর এগিয়ে যাবে আরও উত্তর পশ্চিমে।অবশ্য তার আগে একটা চৌমাথা পড়ে।সেখানে বাঁদিকে একটা রাস্তা আবার ঢুকে পড়বে প্রথমে খোলা মাঠ, তারপর কত পুরোনো সব বাড়িঘর , কারুকাজের ঝুল বারান্দায় কাকাতুয়া, কপিকল ওয়ালা ইদারা দুপাশে নিয়ে মূল শহরে। আর ডান দিক তোমায় নিয়ে যাবে কুয়াশা মাখা ক্ষেতখামার পেরিয়ে গাঁয়ের পথ ধরে। গাঁয়ের মানুষ এখন ও পথেই বাড়ী ফিরছে। কাল সকালে আবার তারা আসবে শহরে আনাজপাতি,মাছ, মুরগি, মুড়ি, গুড় আরো কত কি নিয়ে!
ওরা কিন্তু ওই সিধে রাস্তাটা ধরবেনা। সদ্য ব্রিজ থেকে নেমেই যে ভাগটা ডান দিকে মোচড় দিয়ে আবার ব্রিজের তলা দিয়ে শহরে ঢুকে পড়ছে ,ওরা সেই পথ ধরবে। ওপথে ওদের বাড়ি কাছে হয়। ফেরার সময় বাঁধের মাছ কিনবে হয়তো বাবা। একটু শাক সবজি হয়তো। বাড়ির সামনের মোড়ে এই সময় লম্বা বেগুনি ভাজে, উপরে পোস্ত ছড়ানো। ফুলকপির সিঙ্গাড়া ? যাই হোক, শেষমেশ ওরা পৌঁছয় সেই টালির বাড়ির সামনে। ডলপুতুল মায়ের কাঁধে মাথা হেলিয়ে।
শিকের ভিতর দিয়ে হাত গলিয়ে তালা খোলে বাবা।আলো জ্বলে ওঠে বারান্দার, ঘরে। ডলকে শুইয়ে দেওয়া হয় চাপাচুপি দিয়ে। হাত মুখ ধুয়ে ওরা বাড়ির জামা পরে, চায়ের জল ফুটে ওঠে। বেগুনি সিঙ্গাড়ার সাথে সারাদিনের গল্প, বন্ধুর বাড়ির গল্প চলতে থাকে।রাত গড়ায়। রাতের খাবার সময় হয়, খাওয়া শেষ হলে দুয়ারে তালা পড়ে, আলো নেভে,বাতাস বয়,শিশির পড়ে। একটি পরিপূর্ণ দিন শেষ হয় ।
কপিশার নীলচে জলের নিচে যদি নুড়ি পাথর আর মাছ দেখা যায়, যদি হাতে কমলালেবু ধরে সোনালী বালির উপর রোদ মেখে খেলা করা যায়, যদি বন্ধুর বাড়ী কাছেই থাকে, যদি খেলা শেষে বাড়ি ফেরার যায় ,তবে আর কী লাগে? দিলদার নগরে? তাই, সেই শীতকালে দিলদার নগরে এমনটাই ঘটেছিল। এখনো ঘটে, ঘটতেই পারে, যদি কেউ খুব করে মনে মনে চায়।
আর, যদি সব্বাই মনে মনে চায়?
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।