বাজার নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসনে গতি ফেরানো, মিডিয়ায় শৃঙ্খলা ও আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত -- এই গুরুতর পদক্ষেপের পরেই অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার প্রশ্ন আসে। অন্যথায় অজানাতন্ত্রের উলটো গাধায় চেপে বাংলাস্তানের দিকে যাত্রা বোধহয় অনিবার্য! ... ...
৩৬ জুলাইয়ের আকাংখা ধরা পড়েছে সারাদেশে আঁকা অসংখ্য রং-বেরং এর গ্রাফিতিতে। এর একটিতে মওলানা ভাসানীকে উদ্ধৃত করে লেখা, 'শুনো, ধর্ম আর দেশ মিলাইতে যাইও না। শেষে ফুলের নাম কি দিবা, ফাতেমা চূড়া?' আরেকটিতে বড় বড় হরফে লেখা, ' স্বাধীনতা, সংস্কার, সভ্যতা!' মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন, এই সব দেয়াল লিখন কি শিগগিরই খণ্ডন হচ্ছে? অজানাতন্ত্রের গন্তব্য কি তবে বাংলাস্তান!? ... ...
"কিছুটা পুড়েছি আমি মাঝপথে ডোম গেছে চা খেতে ফিরে এসে হাঁটু আর খুলিটা ফাটালে বাকিটা সহজ হবে। ভয় করে, এই ফাঁকে বৃষ্টি এসে যায় যদি? সন্ধ্যের মুখে এই আধপোড়া দেহ ফের ভিজে গেলে আবার প্রথম থেকে শুরু হবে সব! এত দীর্ঘ দহন তামসিক নয়?" ... ...
সিআইএ'র প্রক্সি যুদ্ধে পরিবর্তিত সময়ে ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেয়া নারী ছাত্রদের ওপর শিগগিরই আঘাত আসবে, তাদের বোরখা-হিজাবে শিগগিরই অন্দরমহলে ফেরত যাওয়ার সময় হয়েছে, এই আশংকার কথা আগেই বলা হয়েছিল, এ যেন এরই বাস্তবায়নের ক্ষেত্র গড়ে তোলা!? ... ...
'আমার বিভাগের শিক্ষার্থী শ্রাবস্তী বন্দোপাধ্যায় এক এক জনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন 'দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ'র পরে। নিরাপত্তার জন্য। যারা তাকে দুর্দিনে সাহায্য করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েও তিনি এক সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন : "আমার বাড়ি কেনো পাহারা দিতে হবে?" এই প্রশ্ন আমারো।' সদ্য ফেসবুক নোটে বাংলাদেশের কাছে এই প্রশ্ন রেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন। ... ...
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের জোয়ার ভেসে গেল টানা ১৫ বছর ধরে বিনা ভোটে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা আওয়ামী দুঃশাসন। কিন্তু তারপর? ভেতরের খেলা প্রক্সি যুদ্ধের দিক-দর্শন? ... ...
লাখ লাখ ছাত্র- জনতা বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে শাহবাগে জড়ো হয়েছেন। তারা উল্লাস করছেন। শ্লোগানে মুখরিত পুরো চত্বর। গণভবনেও ঢুকে পড়েছে জনতা! ... ...
বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে আজ ঘোর দুর্যোগের ঘনঘটা! যেন প্রচণ্ড এক হ্যারিকেন হামলে পড়ার পূর্বাভাস!... অসহযোগ আন্দোলনকে ঘিরে এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ফের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, গুলি, অনেক হতাহতের খবর আসছে। এতো সব মৃত্যুর দায় কার? ... ...
"বাংলাদেশে এখন যে পরিস্থিতি, এরকম নিষ্ঠুর ঘটনা কোথাও ঘটেনি। ব্রিটিশ পাকিস্তানেও ঘটেনি, একাত্তর ছাড়া বাংলাদেশেও ঘটেনি!" ... ...
নতুন করে বাংলাদেশের ইতিহাস লিখছে শিক্ষার্থীরা। রাজপথে শিক্ষক পাঠ করছেন নবারুণ ভট্টাচার্য। সাংবাদিক, আইনজীবী, অভিভাবক, শিল্পী সমাজ জানাচ্ছেন সংহতি। পশ্চিম বংগ থেকে ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়েছে শ্রাবণের মেঘ। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে ফেটে পড়ছে শ্লোগানের স্প্লিন্টার 'আমাদের ধমনিতে শহীদের রক্ত, এই রক্ত কোনোদিন পরাভব মানে না!' ... ...