এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  অপর বাংলা

  • দিন হতে দিন আসিতেছে কঠিন...

    বিপ্লব রহমান লেখকের গ্রাহক হোন
    অপর বাংলা | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ | ৩৫৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩

    মার্কিন লবির প্রক্সি যুদ্ধের পর ইউনূস জামানার বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতের সফট তালেবানি চালিকাশক্তি সেভাবে কোনো দিকই সামাল দিতে পারছে না। 
     
    সম্ভবতঃ সবচেয়ে বেশি জন দুর্ভোগ এখন দ্রব্যমূল্য নিয়ে, আকাশচুম্বী চাল, সবজি, ডিম, মাছ-মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। পুরনো ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের বাজার সিন্ডিকেট-চাঁদাবাজ চক্র ৩৬ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর গা ঢাকা দিয়েছে সত্য, কিন্তু তৈরি হয়েছে আবারও সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজ চক্র। 
     
    এবার ছাত্রদল-বিএনপি অনেকটা প্রকাশ্যেই তৈরি করেছে এই নতুন বাজার সিন্ডিকেট, বলা ভাল সিন্ডিকেটের মুখ ও দল বদল হয়েছে মাত্র, পরিস্থিতির সংস্কার খুব একটা হয়নি। এ নিয়ে খোদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারাও খোলাখুলি আলোচনা করেছেন, প্রকাশ পেয়েছে তাদের অসহায়ত্ব। 
     
    এছাড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আস্থাহীনতার বিষয়টি এখন আন্তর্জাতিক সংবাদ। মাদ্রাসার ছাত্রদের পাহারায় দুর্গাপূজার নিরাপত্তা বেস্টনির ভেতরেই মোল্লাদের ইসলামি গান গাওয়ার ঘটনা বা দুর্গোৎসবে মোল্লাদের গীতা পাঠের ভণ্ডামি এখন ভাইরাল। এসবই পারস্পরিক আস্থাহীনতা আরও প্রকট করেছে। 
     
    পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের হত্যা ও ঘরবাড়ি পোড়ানোর নৃশংস ঘটনার সৃষ্টি করেছে নতুন নজির। পলাতক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী নীতি এখনো পাহাড়ে সমান সক্রিয় রয়েছে, যার মূল কথা হচ্ছে পাকিপনা। অর্থাৎ পাকিস্তান আমলে যে জাতিগত নিপীড়ন পূর্ব বাংলায় হয়েছে, একই জাতিগত নিপীড়ন স্বাধীন দেশের পাহাড়ে ভিন্ন ভাষাভাষী জাতিগোষ্ঠীর ওপর চলছে, জমি দখল থেকে শুরু করে সব ধরনের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়ে। 
     
    পড়ুন: সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে ইইউর উদ্বেগ 

    এ নিয়ে একাধিকবার গুরুতে দুকলম লিখেছি, আগ্রহী পাঠক সে সব পড়বেন আশাকরি। "কানু বিনা গীত নাই" সূত্রে লিংক ছাড়া কথা নাই -- মেনে এই লেখাতেও আগের লেখাগুলোর লিংক থাকছে। 


    এর বাইরে দেখা দিয়েছে প্রশাসনিক স্থবিরতা। টানা ১৫ বছরের আওয়ামী জামানায় দলীয়করণ করা হয়েছে আগাপাশতলা পর্যন্ত। সে সরকারের পতনের পর রাতারাতি অনেক ক্ষেত্রেই প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। 
    সরাসরি পুলিশ (এমনকি ট্রাফিক পুলিশও), গ্রাম পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর পুরোদমে মাঠে অনুপস্থিতির সুযোগে যে পরিমাণ আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার কথা ছিল, সে তুলনায় আসলে অরাজকতা কমই হচ্ছে। এর কারণ বোধহয় এখনো আম জনতা ইউনূস সরকারেই ভরসা রেখেছে। 
    সে তুলনায় জাতির পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কে "জাতির জনক ইব্রাহিম (আ.)" সাইনবোর্ড বা জাতীয় পার্টি অফিসে আগুন দেয়া অতি সামান্য ঘটনা, সম্ভবতঃ বেহাত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পূর্বতন মব জাস্টিসের জেট লগ মাত্র। 


     
    খবরে প্রকাশ, বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে কাংখিত সেবা মিলছে না। 

    "ঝিমিয়ে পড়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নাগরিক সেবা। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবাপ্রত্যাশীরা। নিয়মিত ওষুধ না ছিটানোসহ মশক কার্যক্রম তদারকির অভাবে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। 
    একই সঙ্গে ওয়ার্ডপর্যায়ে জনপ্রতিনিধি না থাকায় জন্ম-মৃত্যু সনদ, নাগরিক ও ওয়ারিশ সনদপত্র পেতে বেগ পোহাতে হচ্ছে জনগণকে।

    "যদিও এসব কাজ সম্পাদনের জন্য করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত দায়িত্বের চাপে সব কাজ ঠিকমতো তদারকি করতে পারছেন না কর্মকর্তারা। 

    "সেবাপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, জন্মনিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদসহ বিভিন্ন সেবা পেতে পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই ঢাকার দুই সিটির প্রায় সব ওয়ার্ড কার্যালয়ে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করে সরকার। কাউন্সিলর না থাকায় ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাউন্সিলরের নাগরিক সেবা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।"

    কিন্তু দৃশ্যতঃ পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে, প্রশাসনিক শূন্যতায় কোনও কাজই সামাল দেয়া যাচ্ছে না। 

    পড়ুন: নাগরিক সেবা তলানিতে 


    অন্যদিকে, মিডিয়ার অস্থিরতা ক্রমেই প্রকাশ্য হচ্ছে। প্রায় তিন দশক তথ্য সাংবাদিকতায় চড়ে বেড়ানোর সুবাদে খুব দায়িত্ব নিয়েই বলছি, মিডিয়া হাউজগুলোতে এখন ক্যু, পালটা ক্যুর ঘটনা ঘটছে।

    টানা ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার সৃষ্টি করেছিল অনেকগুলো  তাবেদার টিভি চ্যানেল, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও প্রিন্ট মিডিয়া। "আমরা আর মামুরা" জামানায় স্তুতিগাথা প্রচার করাই ছিল মিডিয়ার প্রধান কাজ।  মেরুদণ্ড বিকিয়ে দেয়া সাংবাদিক সিন্ডিকেট তৈরি করে দেশে-বিদেশে বাহবা কুড়ানো হয়েছে স্বৈরাচারী নিপীড়ন ও লুটপাটের রাজ্যপাটের।

    আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই দুই ধারায় দলবাজি করে বিভক্ত করা হয়েছে সাংবাদিক ইউনিয়ন, দখল করা হয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ের প্রেসক্লাব পর্যন্ত। 

    আর ছিল ডিজিটাল আইনের নামে কালো আইনের খড়গ (এই আইন বাতিল করা এখন সময়ের দাবি)। এমনই সব নিপীড়নের ভেতর সাংবাদিক রোজিনাকে জেল খাটতে হয়, লেখক মোশতাক পুলিশ হেফাজতে নিহত হন, কার্টুনিস্ট কিশোরকে নির্যাতনে হারাতে হয় শ্রবণশক্তি।  

    স্যোশাল মিডিয়াই তখন হয়ে ওঠে বিকল্প মিডিয়া। কিন্তু সেখানেও ডিজিটাল রক্ষীবাহিনীর হানা ছিল নিত্য ঘটনা। স্যোশাল মিডিয়ায় লেখালেখি ও ব্লগিংয়ের কারণে আওয়ামী জামানায় জংগি গোষ্ঠীগুলোকে আস্কারা দেয়ার জেরে খুন হন অভিজিৎ রায়, আহমেদ রাজিব হায়দার, ওয়াশিকুর রহমান, অনন্ত বিজয় দাশ,  নিলাদ্রী চট্টোপাধ্যায়, ফয়সাল আরেফিন দীপনসহ অনেকে। দেশছাড়া হতে হয় বেশকিছু ব্লগার ও সাংবাদিককে। 

    অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রতিশ্রুতি আওয়ামী প্রহসন হয়েই থাকবে। 


    মূল ধারার মিডিয়ার কথায় ফিরে আসি। স্বীকার করি,  "রাজা তুমি ন্যাংটো" এই অকপট সত্য ভাষণের জন্য আওয়ামী জামানায় একটিও মিডিয়াকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

    কাক নাকি মাংস কাকের খায় না, কিন্তু সাংবাদিকতার এই অধপাতের জন্য বোধহয় আমরা সাংবাদিকরা নিজেরাই দায়ী।  রাজনৈতিক কোন্দল আর অর্থবিত্তের মোহে নিজেরাই পেশাদার সাংবাদিকদের রক্তমাংস দিনের পর দিন ঠুকরে, ছিঁড়ে খেয়েছি, আর পেশাটিকে নিয়ে গেছি কলম বেশ্যার কাতারে।
     
    নাম ধরেই বলি, কথিত সাংবাদিক নেতা শাবান মাহমুদের একটিমাত্র আলোড়ন সৃষ্টিকারী অনুসন্ধানী প্রতিবেদন কেউ কখনো দেখাতে পারবেন (অনলাইন বা অফলাইনে)?  অথচ তাকে আমরা ছাত্রলীগের ক্যাডারের সূত্রে মিশনের অংশ হিসেবে সাংবাদিক বানিয়েছি, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে পেশাদার সাংবাদিকদের টপকে উচ্চ বেতনে চাকরি দিয়েছি, পরে সাংবাদিক নেতা বানিয়ে গাড়ি-বাড়ি-ব্যাংক ব্যালেন্স করার সুযোগ দিয়েছি, দিল্লির প্রেস মিনিস্টার করে সুশীল মুরুব্বীর মর্যাদাও দিয়েছি! 
     
    দুর্বৃত্তায়নের এই চক্রের জেরে সিনিয়র সাংবাদিক শাকিল আহমেদ - ফারজানা রূপা দম্পতি এয়াপোর্টে এরেস্টের ঘটনায় (অথবা পড়ুন, ময়মনসিংহের সীমান্তে আটক মোজাম্মেল বাবু বা শ্যামল দত্ত),  
     একজন সহকর্মী খুবই মৌলিক প্রশ্ন করেছেন, তারা এতো বছর কী সাংবাদিকতা করলেন, যে তাদের দেশ ছেড়ে পালাতে হবে?
     
    এটাই হচ্ছে মোদ্দা কথা; আত্মা বিক্রি করতে করতে আমরা কোন পাতালে নেমে যাচ্ছি, এ থেকে কবে উদ্ধার পাবো, কবে সাংবাদিকতা পেশাদারিত্বে প্রতিষ্ঠিত হবে, কবে পেশাটি খুদবৎ সিং কথিত রাষ্ট্রপতির পরের আসনের পদমর্যাদায় সন্মানিত হবে, আর গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যম গড়ে উঠবে শিল্প হিসেবে? সে সব ভেলিড প্রশ্ন তোলা রইল। 
     
    এদিকে, একের পর এক টেলিভিশন দখল ও সাংবাদিক ছাঁটাইয়ের ঘটনায় বিপাকে পড়েছে পেশাদার সাংবাদিকরা। যারা দলবাজিতে বিশ্বাসী নন, তাদের আত্মমর্যাদা নিয়ে রুটিরুজির জোগান দিয়ে এ পেশাতে টিকে থাকাই মুশকিল। 
     
     
    সবশেষ খবরে প্রকাশ, সম্প্রতি ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ দোসরদের হাত থেকে মুক্তি এবং তাদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছে নিউজ চ্যানেল ডিবিসি’র সাংবাদিকরা।  রাজধানীর মহাখালী আহসান টাওয়ারের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মরত এবং সদ্য চাকরি হারানো সাংবাদিকরা।
     
    এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় নিলেও তাদের চিহ্নিত দোসররা ডিবিসি চ্যানেলে ফ্যাসিবাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।

    পড়ুন: ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তির দাবি ডিবিসি’র সাংবাদিকদের


    অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের যে কথা বলেছে, তাতে রাতারাতি দেশে দুধ ও মধুর নহর বয়ে যাবে, এমন দিবাস্বপ্ন দেখা আহাম্মকি। তবে টিভি চ্যানেল ও নিউজ পোর্টালের জন্য বেতন মজুরি ঘোষণা, সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন, ডিজিটাল আইন বাতিল ইত্যাদি নূন্যতম পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। 
     
    বাজার নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসনে গতি ফেরানো, মিডিয়ায় শৃঙ্খলা ও আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত -- এই গুরুতর পদক্ষেপের পরেই  অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার প্রশ্ন আসে। 
    অন্যথায় অজানাতন্ত্রের উলটো গাধায় চেপে বাংলাস্তানের দিকে যাত্রা বোধহয় অনিবার্য! 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩
  • অপর বাংলা | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ | ৩৫৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Prativa Sarker | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০:০৩539129
  • এই ধরনের তথ্যনিষ্ঠ সাহসী সাংবাদিকেরা বাংলাদেশের সত্যকারের অবস্থা নির্দেশ করতে পারে।
  • শক্তি | 2405:201:8005:980f:2545:9f18:ad4:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৪:২০539154
  • তথ‍্যনিষ্ঠ লেখা।  বাংলাদেশের প্রকৃত  অবস্থা বহির্বিশ্বকে জ্ঞাত করার জন্য বহুল প্রচারিত হওয়া প্রয়োজন 
  • বিপ্লব রহমান | ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:০৭539174
  • @প্রতিভা দি,  @শক্তি দি,  
    পাঠের জন্য ধন্যবাদ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনো আরও অনেক উত্থান-পতন আছে বোধহয়। 
     
    ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফা জয়ে এদেশে মার্কিন মোড়লগিরি আরও প্রকট হবে, সন্দেহ করি। 
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন