এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  অপর বাংলা

  • অমিয়ভূষণ ও ফসলের দেশ

    Supratik Chakraborty লেখকের গ্রাহক হোন
    অপর বাংলা | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৪৯ বার পঠিত
  • কিছু উপপাদ্য মেলেনি। যেমন মেলেনি কোটি কোটি মানুষী হিসেব। উপচে ওঠা পান্ডুলিপির, বারবার পাঠক্রিয়া, সচেতন অভ্যাস, প্রেমে পড়লাম আবার। হিম হিম রাতের জোছনার মতো শিরশিরানি সারা শরীর জুড়ে, মন জুড়ে রম্য রচনার মতো কিছু। লেখা গুলো, কার লেখা জানিনা। তবুও লেখা গুলো নামহীন রাস্তার শেষে একটামাত্র ছাতিম গাছের মতো রিফ্রেশিং। হাওয়া দিলে ঝিরঝিরে পাতা। বিদেশি পাখির বাসা, সুডৌল ডিম। মানুষের অলস চলাচল। আমার ছেলেবেলার গঞ্জের মতো আড়ম্বরহীন উদাস!

    অনেকক্ষণ বসে ছিলাম গাড়ু স্টেশনে। লাতেহারের কাছেই অখ্যাত স্টেশন। রেলগাড়ি আসে যায় না খুব একটা। বসে আছি, মনীশ জি আসবে বাইক নিয়ে। বেশ কিছু দেহাতি মেয়েে সেজে গুজে যাচ্ছে মাঠের ওপর দিয়ে। পরব আছে বোধহয়। কীসের পরব জানিনা! পরব মানে পরব। জীবন দুধের ওপর হালকা সর। সর কেটে যায় আপনা আপনি। তখন আবার কিম্ভুত উপপাদ্য। মিলে গেলে ড্যাম গুড, না মিললেও অন্যরকম প্রাপ্তিযোগ।

    শীত আসতে এখোনো ঢের বাকি। বছরে একবারই চাষ হওয়া গ্রাম গুলোর লোকেরা কুটীরশিল্পে মজে আছে। ধরে নিন গাঁয়ের নাম ভগবতপুর।দোয়ানি নদী পেরিয়ে এসেছি। এখানের মাটি নোনা। মাটির দোতলা বাড়িতে দু রাত কাটল। এই দু রাত অসংখ্য গান করেছি ঘরে বসে৷ গান মানে বিভিন্ন রকম গান। বাজে বাজে রম্য বীণা গানটায় সব কিছুই যেমন ছন্দিত, স্পন্দিত। সুর আর কথা একইসাথে ছুটছে। এগুলো নিয়ে ভাবতে ভাবতে তখন বিকেলের শেষ। করুণা এসে পেয়ারা দিয়ে গেছে। গল্পে ছেদ পড়েছে। কাহিনীর ওপর দিয়ে নতুন তরঙ্গের নতুন বোধোত্তলন! আমার বাবার কথা মনে পড়ে। আমি যখন অনেক ছোট তখন তো বাবাও অনেক ছোট। কী ভয়টাই না পেতাম! উইলসের সিগারেট খেতেন। চিনেমাটির অ্যাশট্রে। ছাপা ছাপা ডিজাইনের লুঙ্গি, হালকা রঙের ফতুয়া, গায়ে পৈতে।

    কখন যে কাকে মনে পড়বে এ তো রহস্য! চোখ ভিজে আসে। কফিশপে একেবারে আমার মুখোমুখি বসে মেয়েটি যখন অকথ্য কথা বলে যায়, আমি বোবা হয়ে যাই। এই বোবা হয়ে যাওয়াটাই রাস্তা, নইলে কথায় কথার বংশবিস্তার হয়। হুড়মুড়িয়ে লিখছি। ইনসিডেন্টালি সাহিত্য করছি না। গাড়ু স্টেশনে সেদিন ঝেঁপে বৃষ্টি নেমেছিল। কেমন একটা কালো হয়ে এসেছিল চারিদিক। একটি কুকুর আর আমি।

    তারপর চটপট লুডোর জোড়া গুটি গুলো ভেঙ্গে গেল। স্টার থেকে স্টারে পরিক্রমা! দু ছক্কার পর যাদের বারবার তিন ছক্কাই পড়েছিল তারা রকের মর্বিড আড্ডায় ইহকাল আর পরলোকের মধ্যে সাঁকো তৈরী করে।প্রবাদের প্রাত্যহিক মিথুন! গুটি আর গুটি! মানুষের মুখ গুলো দেখি। সবাই রেগে আছে। নিজের ওপর, অন্যের ওপর! সবাই জানে সাপলুডো খেলায় আটানব্বইয়ের ঘরে একটা লম্বা সাপ অপেক্ষা করে আছে। পাতালে নিয়ে আসে যার শরীর। শুরু করতে হয় ফার্স্ট লাইন থেকে... একেক করে.. ধাপে ধাপে... এভাবেই তো খেলা জমে ওঠে। তারপর বৃষ্টি থেমে যায়। মনীশ জি এসে আমায় বাইকে চাপিয়ে চলতেই থাকে, চলতেই থাকে। মাঝে একবার চা খেতে থামে। জায়গাটা কেমন একটা নিটোল আতঙ্ক প্রসব করে। জনবিচ্ছিন্ন, কেবল মাটি ফুঁড়ে একখানা ভাঙাচোরা চায়ের দোকান গজিয়েছে যেন! মনীশ জির চোখ দুটো ঘোলাটে। আইয়ে, চায়ে পিজিয়ে...

    উপপাদ্য মিলে যাওয়ার আগে আমি বসে থাকি বিমানবন্দরের লাউঞ্জে। হাতে বোর্ডিং পাস। পাশে একজন বৃদ্ধা কাঁদতে থাকেন। তাঁর একমাত্র ছেলে মারা গেছে। বিষ ঢেলেছে গলায়। বৃদ্ধার হাতটা নিজের হাতে রাখি। এটুকুই মানুষের ক্ষমতা। মসজিদের ধূ ধূ আজান শুরু হবে একটু পরেই। তার আগে এ কে হাঙ্গল বলে উঠবেন সেই গোধূলি ব্যথার কথা! জানতে হো ভাই, দুনিয়াকা সবসে বড়া বোঝ কেয়া হ্যায়??

    আকাশ ফুঁড়ে, জীবন জমির কর্কশ প্রিলিউডে কান সয়ে গেছে! কোপাইয়ের ধারের কাশফুল মরে গেছে। পোয়াতি মা বিড়ালটার মাথা থেতলে দিয়েছে বোলেরো। একটার পর একটা ধর্ষণ চলছে। সভ্যতার পর্দাজুড়ে চলছে মাত্রুভূম সিনেমা! আমি মন দিয়ে সত্যজিতের দেবী দেখি। ভারতবর্ষের আয়রনি। এবার তোরে চিনেছি মা! ক্রসিংয়ে থেমে আছে ট্রেন। অনেকক্ষণ! কামরার ভিতর আমি উপপাদ্য মেলাবার চেষ্টা করছি। মনীশ জি সেদিন আমায় এক বেশ্যার বাড়ি নিয়ে গিয়ে বলেছিল রাতে এখানেই থাকবে। ওরা দুজন একটা ঘরে, পাশের ঘরে আমি। সেদিন অনেক তারা আকাশে! বৃষ্টি থেমে গেছিল। সক্কালে উঠে দেখলাম আমার এতদিন সযত্নে বানানো পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে স্লাইড কমতে শুরু করেছে। আঙ্গুলে হাজা ঘা...

    বীভৎস প্রেম আর বীভৎস ঘৃণা আসলে একই পাড়ার দুই বন্ধু। ক্লোজ ফ্রেন্ড। শেক্সপীয়ার না পড়লে বুঝতাম না চেতনার অসুখ কতস্তরীয় হয়! আর কোনো প্রেজেন্টেশন নেই। এখন গলা খুললে পচা গলা শব্দ বেরোয়। ক্যাফের সেই উল্টোদিকের মেয়েটা আমায় বলেছিল স্বার্থপর!

    অমিয়ভূষণ নামের লোকটাকে চেনেন? অমিয়ভূষণ জানতেন কুয়াশার প্রান্তরেখা ধরে এগিয়ে গেলে একটা বিশাল নদী দেখতে পাওয়া যায়। যে নদীর পাড়ে আমাদের ইহকালের রঙ্গবর্তণ। প্রান্তিক শব্দের কোনো মানে তো দাঁড়ায় না। অথচ, কী অদ্ভুত, যতবার শিরা ওঠা হাতের মুঠো দেখেছি, যখোনি দেখেছি ছোট্ট বিলে সুর্য আর মাছের ছলছলানি, অপূর্ব এক জঙ্গলের বুক চিরে বেরিয়ে আসা ঝোড়ার মতো শীতল জনপদ গুলো, নিকোনো উঠোন, ততোবার একটা মনোলজিকাল সাঁকোর ওপর থেকে দেখতে পেয়েছি অমিয়ভূষণকে। ঘড়ির শব্দ টিক টক.. টিক টক... অবিরাম জলস্রোতের আওয়াজ। শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে যে শহরে, বন্দর বেড়েছে আরো খানিকটা। জামাল -ইউসুফরা ঘরে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছে এক ধূ ধূ হাইওয়ের ওপর। একটা নীল রঙের টেম্পো সাতরাজ্যের ধূলো উড়িয়ে এদিকেই এসে থামবে। মাসান মন্দিরের পাশ দিয়ে নেমে গেছে গুলি নদীর খাত। ওপরে রেলব্রিজ! ঝনঝন রেলগাড়ি! তিলের ক্ষেতে কাজ থামিয়ে দেওয়া বাগদী বউ! ভালুক ভালুক চেহারা! মাথার বামদিকটা ধরেছে। এদিকটা অনেকদিন পর এলাম। ব্রিজের ওপর চেনা চেনা কিছু গল্প! একটা অলীক টাইমমেশিন। কাঁধে চাপড়া মেরে পুরনো বন্ধুর নতুন জিজ্ঞাসা "লেখাটেখা চলছে তো??" ব্রিজ থেকে নদীতে নামার রাস্তা আছে। চরের ওপর শ্মশান। ভাঙা হাঁড়ি সরা, পোড়া কাঠ, ছেঁড়া কাপড়ের স্তুপ। মাঝনদীতে পেনসিলের মতো দেখতে একটি ডিঙি নৌকা, তাতে দুজন, হাতে মশারির মতো জাল। পুরনো বন্ধুর চোখে সুর্যাস্ত! চ' যেতে হবে। কোনদিকে? মোস্ট অফ দ্য গেমস আর ইয়েট টু বি প্লেইড! আরো জঙ্গল, এর চেয়েও ঘন জঙ্গল আছে অন্যদিকে। ঝোরা আছে, ঢিবি আছে, আছে লুকোনো প্রাসাদের ধ্বংসস্তুপ! অমিয়ভূষণ মজুমদারকে দেখতে পাই এক অনন্ত নির্বাসনের প্রেক্ষাপটে। এক হাতে লাঠি, দীর্ঘ ঋজু চেহারা, জেনকিন্স স্কুলের পাশে। ওটা তো আমারো স্কুল। স্কুলের পাশে পান-বিড়ির দোকান। তারপাশে রাসমেলা মাঠ। বিস্তৃত চারণভূমি। মাথাটা ধরেছে বিকেল থেকে। খুব ছোট অক্ষরে লেখা কিছু বই! উরুন্দীর মতো কিছু গল্প মনে পড়ছে। একরোখা জেদী লেখার পাশে পিঠ পেতে শুই। ঝিরঝিরে হাওয়া! দুলারীদের রাঙা বউ পাট শুকাচ্ছে চন্দুরীর খালের পাশে। বাছুরের আড়ষ্ট করুণ দৃষ্টি, গাজনতলার হাটে মাদারীর খেল দেখায় গোকুল! এই মস্ত হট্টমেলার পাশ দিয়ে দিয়ে আমি বাড়ি ফিরি। বন্ধু বাইক চালায়। আমি পিছনে বসি। কথা কম বলি। আঁকাবাঁকা রাস্তা ধরে ধরে, চিনে চিনে একটা সমীচিন কাটাকুটি খেলায় জড়িয়ে ফেলি নিজেকে। জামালদের গ্রামে পুজো হচ্ছে। একটা ছোট মন্ডপ, ছোট প্রতিমা আর চোঙায় তারস্বরে গান! এটুকুই! ওরা সব ফিরবে চেন্নাই গুজরাট কেরালা থেকে! হাইওয়ের পাশের ধাবা গুলোয় দিনরাত টুনি জ্বলছে। মুঝকো পিনা হ্যায় পিনে দো... বন্দুকের ক্যাপ! বন্ধু চালায়, আমি পিছনে। ভাষ্য থেকে অন্য ভাষ্যে! দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে! ভিড় থেকে ভিড়ে! দ্য ল্যান্ড বিলংগস টু মি! এই ওয়াতন ছেড়ে চলে গেছে যারা, মহিষকুড়ার স্বপ্ন যাদের ছোঁয়নি, যারা পৃথিবীর সমস্ত নিসর্গকে মনের ভুল ভেবেছিল! হয়ত, এই বোধ, যথাসময়ে তাদের জন্মাবে। সমস্ত পর্যটনের একেবারে কেন্দ্রে সরলরেখার মতো একটা হাইওয়ে চলবে, ধূ ধূ, সমান্তরাল! সোজা কলকাতার দিকে! পুড়ে পুড়ে যাওয়া লিটল ম্যাগাজিন গুলোর দিকে। মধু সাধুখাঁর নদের দিকে! ততক্ষণ না হয় আমি আমার নতুন কোনো বন্ধুর সাথে ঝাঁচকচকে একটি রেস্তেরায় ঢুকে কোল্ড কফি অর্ডার করে এগিয়ে যাব দেওয়ালে সারি সারি সাজানো বইগুলোর দিকে। সেখান থেকে একটি অরেঞ্জ কালারের বই বের করে মুদ্রিত মুল্যটি দেখে নেব। তারপর সেটিকে টেবিলে নিয়ে আসব। দু চার পাতা ওখানে বসেই হয়তো পড়ে নেব। ভালোও লাগবে না, খারাপও লাগবে না। চিনতে পেরে যাব ভেঙে যাওয়া খিলান গুলো। বুঝে নেব ভাঙনের সারসত্য! নতুন শহুরে বন্ধুকে বলব আমাদের সেই গঞ্জকে শহর করতে কতগুলো গাছকে শহীদ হতে হয়েছে! বলব যে দ্যাট টেম্পো নেভার কেম। জামালরা হাইওয়েতেই অপেক্ষা করে যাবে সারাজীবন। ওদের সারা হাত পা শার্ট প্যান্টে লেগে থাকবে আঁশটে রঙের শুকিয়ে যাওয়া ঝিলিমিলি দাগ! আরো বলব যে প্লেনঘাঁটির মাঠে ইভনিং ওয়াক করতে করতে অদৃশ্য হয়ে গেছিলেন অমিয়ভূষণ! আর ফেরেন নি। তারপর বোবা চেয়ে থাকা নির্বিকার এক সন্ত্রাস মুখর দেশ কালের দিকে! ক্যালেন্ডারের পাতা ওল্টালে, সারি সারি বাঁশের বাড়ি, পাট পচানোর দূর্গন্ধ পেরিয়ে এলে উগলে বেরোবে উচ্চারণ! অন্তঃস্বর! যথাস্থান থেকে খসে গেলেও সবাই আসলে যথাস্থানেই রয়ে যায়... জীবনানন্দের বিশ্বাস! আমারো তাই বিশ্বাস!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • অপর বাংলা | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৪৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাপাঙ্গুল | 103.87.***.*** | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০২:১৬541346
  • yes
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন