এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • হুজুর, প্রজাপতিটা ঘুমিয়ে পড়েছে

    Supratik Chakraborty লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | ৯১ বার পঠিত
  • চক্কোত্তি, তুমি তো লেখালেখি করো শুনেছি। শোনাও দেখি একটা..
    - আজ্ঞে! শুনুন হুজুর....
    রবীন্দ্র সদন
    রবিবার।
    এয়ার কন্ডিশনড আর্টগ্যালারি।
    লেরো বিস্কুটের মতোন তত্ত্ববিশ্ব।
    ভীষণ সাদা মলাট। তার ভিতর আমার তোমার গল্প।
    মধুর তোমার শেষ যে না পাই...
    শৃঙ্গার ও টলোমলো রূপসী।
    কোয়ালিটি আইসক্রিমের লাল গাড়ির চাকায় দফারফা গ্রীষ্ম।
    ফ্রেম। আয়তকার। বর্গাকার। রম্বস।
    অয়েল পেইন্টিং দিয়ে বানানো শহর কলকাতা,
    নন্দনের চাতালে বিকালের মধ্যম ছায়া,
    গগলসের অনেক বাইরে কালারলেস জীবন।
    এই তো ভালো থাকা, কলকাতা...
    নতুন বন্ধু পুরনো বন্ধুর মিশেলে...
    বৃদ্ধা মহিলা ভিক্ষুক এসে দাঁড়ান এক হাত তফাতে, ভালুক ভালুক দেখতে। ব্লাউজের নীচে বিপুল স্তন আর পয়সার মুটে...
    ঠোঁটে খয়েরের দাগ।
    সিনেমা চলছে মায়ানগর। আদিত্য বিক্রমের।
    পয়সা দিইনা। সিনেমা দেখার তাড়া আছে।
    ভীষণ তাড়া সব্বার, সময়ের আগে জীবন চেখে নেওয়ার তাড়া...
    কলকাতায় সন্ধ্যা হলে আমার মনে পড়ে খেলা ফুরানো গ্রামের মাঠ গুলো।
    আমি ফিরি। মেট্রো ধরি।
    স্টেশনের পাশে রাস্তায় হাড়গিলে যুবক ঘুমিয়ে আছে।
    হাড় গোনা যায়, বোঝা যায় অপুষ্টি, বোঝা যায় পাতা খাওয়া শরীরের জ্যামিতি।
    ছেলেটির নগ্নবুক দেখি। ওঠে নামে, নিশ্বাস..
    ওর বুকের চামড়ায় আঁকা ট্যাটু।
    ট্যাটু তে একটি প্রজাপতি।
    বোধহয় সদ্য ফুটেছে শুঁয়োপোকা থেকে।
    পাতাখাওয়া যুবকের বুকের ওপর বসে থাকা প্রজাপতির ওপর কোনো সোডিয়াম আলো এসে পড়েনি। কখোনো পড়েনা।
    কারণ, সেই প্রজাপতি উড়তে ভুলে গেছে কয়েক যুগ হল।
    কে বসিয়েছে প্রজাপতি সেখানে?
    যেখানে ফুল নেই, নেই রস, নেই মালঞ্চ, সেখানে
    একখাবলা মিশমিশে বাদামি বুকের ওপর প্রজাপতি বসালো কে?
    এই যে কলকাতা, উত্তর দাও,
    ওর হাতে মাদক ধরালো কারা?
    এই যে কালচার, সংগীত আর সাহিত্যের তীর্থক্ষেত্র,
    উত্তর দাও ছেলে গুলো এরকম অবেলায় ঘুমিয়ে পড়েছে কেন?
    কী বলছ? জানো না? ওকে...
    হুজুর, তাহলে আমরা কী করব? খাবার টেবিলে ক্রমশ উচ্ছিষ্ট জমছে হুজুর৷ রিমুভ করব কীভাবে? কী করব আমরা?
    - আলোচনা। সমস্যার ওপর আলোকপাত করব।
    - তারপর?
    - আলোচনার তারপর বলে কিছু হয়না ডিয়ার। আলোচনাই আসল। মিটিং, এজেন্ডা, কী নোট স্পিকার, মিনিটস, প্রেজেন্টেশন... ভেন্যু ঠিক করো।
    - পার্কপ্লাজা হোটেলের থার্ডফ্লোরের কনফারেন্স রূম। চলবে?
    - চলবে। গেস্ট লিস্ট তৈরী করো।
    - আলোকপাত কীভাবে হবে হুজুর?
    - যেভাবে হয়। রাস্তার ধারে কালো ত্রিপলের নীচে ভাঙা খাটিয়ার ওপর যে গ্রন্থিবদ্ধ পরিবার, ওদের মুখের ওপর কলকাতার সন্ধ্যার আলো যেভাবে এসে পড়ে, ঠিক সেভাবে।
    - হুজুর, ওদের ওপরও আলো পড়ে?
    আলবাত পড়ে। আলো না পড়লে ওদের দেখা যায় কীভাবে? বাস্টার্ড গুলো কোথা থেকে আসে জানিনা,কোথায় যায় জানিনা। যায়না বোধহয়। থেকে যায়। চলার পথে পথে,সমান্তরালে। কী বলো, চক্কোত্তি!!
    হুজুর, ওরা থেকে যায় কেন?? কোন নির্মিতির প্রশ্রয়ে... আলোচনা হোক। আপলিফ্টমেন্ট নিয়ে কথা হোক। ডেলিগেটসদের ডাকা হোক। সাবড়ে লাঞ্চ খাওয়ানো হোক। সাজেশন বেরিয়ে আসুক পুঁজির পেটের ভিতর থেকে। হুজুর....
    শোনো চক্কোত্তি, এসব ম্যাদামারা বিষয় নিয়ে যুগ যুগ ধরে কথা হয়েছে। বুইলে? ইনইকুয়ালিটিজ না থাকলে তুমি তুমি নও, আমি আমি নই....
    দেখুন হুজুর, কী হুজ্জতি চলছে! গনগনে রোদের নীচে ছেঁড়া মাদুরে বসে কেমন জাব জাব করে ভাত খাচ্ছে ওরা, দেখুন! ছোট্ট টিফিন বাটি! আসুন, আরেকটু ঝুঁকে দেখি কী রান্না করেছিল আজ! ওই কালো কালো পুতুল গুলো কী সাবলীল ভাবে ল্যাম্পপোস্ট জড়িয়ে ধরছে দেখুন, ছ্যাড় ছ্যাড় করে মুতছে,দেখুন হুজুর, কলকাতার চরণামৃত... নোনতা প্রসাদ। ঘাম বীর্য রক্ত মাখা সোঁদলা ভেউড়ির সুবাস! আহ হুজুর, আমায় ফিল্ডনোটস নিতে হবে।
    অ্যাট এনি কেস... কলকাতা আমার শহর নয়। বিলিভ মি,কোনো শহরই আমার প্রথম সবকিছু জানেনা। সেশন ভিত্তিক, স্থান থেকে স্থানান্তরে গিয়ে গিয়ে দামড়া হয়েছি.... কিন্তু হুজুর, মাইরি বলছি, ক্যালকাটা ওয়াজ মাই ড্রিম সিটি।
    নো রিফিউজাল লেখা দেখে ফিরিঙ্গি ভদ্রমহিলা গদগদ হয়ে ট্যাক্সি চেপে কলকাতা দেখতে বেরিয়েছিলেন।
    অন্ধ বিধুর, হাজরা মোড়ের অমুল্য ম্যানসন হোক বা গ্র্যান্ড ওবেরয়, গত গত করে ডাবের জল খেতে খেতে মহিলা বললেন "এভরিথিং ইজ সো ফ্যাসিনেটিং..."
    - হোয়াট ইজ দ্য মোস্ট ফ্যাসিনেটিং?
    - মানুষের অপচয়ী ক্ষমতা।
    হুজুর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল বা বিড়লা মন্দির নয়, ভারতবর্ষ দেখাতে হলে ওঁকে নিয়ে যেতে হতো সন্ধ্যা ছ'টার বনগাঁ লোকালের কুঁয়োয়। নিয়ে যেতে হত মেটিয়াবুরুজের গাম্বেল কারখানায়, কিংবা সোনাগাছির ৫০০ টাকার কুঠুরিতে...
    চক্কোত্তি, তুমি আর লিখোনা।
    - কেন?
    - তুমি লিখতে জানো না। এগুলোকে লেখা বলেনা।
    - কোনগুলোকে লেখা বলে হুজুর?
    - তোমার লেখায় অজস্র বানান ভুল।
    - সংবিধানে কোনো বানান ভুল নেই, তবুও কী লাভ হল হুজুর?
    পরিচ্ছন্ন কেতার কী দাম দিলাম?? কলকাতার একটা পায়ুদ্বার আছে হুজুর৷ অ্যাসহোল! স্বীকার করুন।
    তাকাতে পারলে তাকান লুন্ঠনের দিকে। আমরা সংযমী দর্শক হুজুর। আমাদের পড়াশোনা আমাদের কানা করে দিয়েছে। তত্ত্ব দিয়েছে বিচারের পোটেনশিয়ালিটি।
    হুজুর, আলোচনা করি তারচেয়ে বরং! আলো আর চোনা মিশিয়ে একটা কুহেলিকা তৈরী করি তারচেয়ে। তিনপাতা কনসেপ্ট নোট রেডি করা যাক। কথার স্তম্ভ তৈরী করি চলুন হুজুর!
    একটা বাগানের ইলিউশন, একটা বিপ্লবের ইলিউশন, একটা ইতিহাসের ইলিউশন!
    চক্কোত্তি, এবার বাড়াবাড়ি হচ্ছে কিন্তু! সবকিছুর একটা প্রসেস আছে। স্টেপ বাই স্টেপ এগোতে হয়। ওদের কথা ভাবা হচ্ছে, ওদের নিয়ে কথা বলা হচ্ছে, এটাই কম নয় কি?
    - ওদের মানে কাদের? কারা হুজুর?
    - ওই যে যাদের কথা বললে, পাতা খেয়ে পড়ে থাকা হাড়গিলে এক যুবকের।
    নিশ্চিন্ত থাকুন হুজুর। ও ঘুমিয়ে আছে। উঠবে না। যদিওবা ওঠে, তারপরেই আবার হাতের মুঠোয় ম্যাজিকের মতো চলে আসবে নতুন এক মাদক। সিনথেটিক মাদক। গোটা শরীর দিয়ে টেনে নেবে রক্তে। আবার ঘুমোবে। নো চাপ! আমি বলি কি! যতক্ষণ ও ঘুমোয়, আমরা আলোচনাটা সেরে ফেলি বরং। জেগে গেলে মুশকিল!
    - কেন? জেগে গেলে মুশকিল কেন?
    - ও জেগে গেলে ওর বুকের প্রজাপতিটাও জেগে যাবে হুজুর। প্রজাপতিটা একবার ওর পাঁজরা থেকে বেরিয়ে উড়তে শুরু করলে সব গগলসের মতো রঙীন হয়ে যাবে। তখন আমরা কী নিয়ে ভাবব? তখন আলোচনার টপিক থাকবেনা হুজুর। সব এজেন্ডা শেষ হয়ে যাবে আমাদের।
    - প্রজাপতিটাকে উড়তে দেওয়া যাবেনা।
    - না,উড়তে দেওয়া যাবে না। নেভার এভার।
    - তাহলে কুইক! সব ব্যবস্থা তাড়াতাড়ি করে ফেলা চাই।
    আচ্ছা শোনো, নিলয়কে চেনো না? তোমার তো বন্ধু হয়।
    - আজ্ঞে হ্যাঁ হুজুর।
    - ছেলেটাকে ডাকো। একদিন ছবি তুলতে বেরিয়ে যাও।
    - কীসের ছবি?
    - আরেহ! ফোটোস অফ দোজ রাসকেলস! মাদক নিচ্ছে, সংজ্ঞা হারাচ্ছে, পড়ে আছে রাস্তায়, এইসমস্ত ছবি তোলা দরকার। ডকুমেন্টেশন।
    - যদি জেগে যায় প্রজাপতিটা?
    - অতো ক্লোজে নিতে না বোলো। প্রজাপতিটাকে আলাদা করে যেন রিকগনাইজ না করা যায়।
    - বেশ বেশ।
    আলোচনায় যেন ত্রুটি না থাকে। একটা ইমপ্যাক্টফুল সেশন আমার চাই। দিস সিটি হ্যাজ আ গ্লুমি ফেস! অন্ধকারের যাত্রীরা অচানক সবাই আলোর মুখ দেখে ফেললে সর্বনাশ হয়ে যাবে। বিদেশী মুদ্রা দিয়ে কি তখন টরেটক্কা খেলব নাকি?
    টরেটক্কা!
    প্রজাপতিটা নিশ্বাস নিচ্ছে। হুজুর! আপনি কখোনো ড্রাগ নিয়েছেন? নিলে বুঝতেন কেমন লাগে! ব্রহ্মতালুতে রক্ত উঠে যায়। মনে হয় ইচ্ছে করলেই এক ঘুষিতে গ্র্যান্ড ওবেরয় গুড়িয়ে দেওয়া যায়। এরকম আরো কত কি!
    একটা জ্বালা গলা থেকে নাভি, নাভি থেকে গলায় পায়চারি করে। প্যান্টে পেচ্ছাপ হয়ে যায়। জিভ সাদা হয়ে যায় হুজুর! কোনো রঙ তখন চিনতে পারা যায় না। এলোপাথারি হয়ে যায় গোটা শহর। দুমড়ে মুচড়ে যায় প্রতিবেশীরা।
    - চক্কোত্তি, তুমি এতসব জানলে কীভাবে? তুমিও আছো নাকি ওদের দলে?
    - না হুজুর। আমার আর ওদের একটা ফারাক আছে।
    - কীরকম শুনি?
    - একটা প্রজাপতির ফারাক।
    চক্কোত্তি, তুমি এবার যাও। অনেক কাজ আছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | ৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন