এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • দেখা না দেখায় মেশাঃ পর্ব ৪

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ৩০ জুলাই ২০২৫ | ৮৬ বার পঠিত
  • দেখা না দেখায় মেশাঃ পর্ব ৪

    মোহিনীর আগমন
    অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে আমার ঘরে মোহিনীর আগমন ঘটেছে, তার অধিষ্ঠান হয়েছে ভেতরের ঘরে। 
    ওই ঘরটা ওকেই পুরোপুরি ছেড়ে দিয়েছি।
     না, কোন সেন্টিমেন্টাল কারণ নয়। 
      
    মানছি, ঘরটা আগে আমার স্ত্রীর ছিল। রীমা ভালবাসত গান শুনতে এবং কীবোর্ড বাজাতে।
     এছাড়া ও আইপ্যাড ব্যবহার করত।  আলাদা একটা অ্যাপল টিভি ছিল ওর। 
    আর ছিল একটা  পাওয়ারফুল হোমপড সাউন্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট।
     
    দিনের মধ্যে দশবার শুনতে পেতাম—হে সিরি! প্লে দিস্‌ । হে সিরি প্লে দ্যাট।
     
    আসল কথাটা হল ওর ঘরে একগাদা প্লাগ-পয়েন্ট ছিল পাঁচ এবং পনেরো অ্যাম্পিয়ারের। 
    আর মোহিনীকে সচল রাখতে চাই দু’ঘন্টা বিশ্রাম এবং চার্জিং। তারজন্য কিছু চেনা এবং কিছু অচেনা মেশিন বসেছে।
     ফলে এই ঘরটা ওর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।  
     এঘর থেকে আমি সরিয়ে নিয়ে গেছি রীমার সব জিনিসপত্র, টিভি, ডিভান, দেয়ালের যত ফটো আর ওর কাপড়চোপড়ের আলমারি। 
    মোহিনী, মানে আমার রোবট সঙ্গিনী—দেখাশুনোর নার্স এবং বাকি কী বলব?
    অবশ্যই সে কালিদাসের ‘গৃহিণী-সচিব-সখী-প্রিয়শিষ্যা-ললিতে -কলাবিধৌ’ নয়। 
    হতে যাবে কোন দুঃখে? 
    ও কোনমতেই রীমার সাবস্টিটিউট নয়; আমি তো তা চাইনি। 
    আমি রীমাকে ভুলতে চাই না। তবে ও খানিকটা সচিব ও সখী বটেই।
    কেন খানিকটা?
     
    আরে ও হাসির কথায় হাসে না। কোন অশ্লীল জোকস শুনলে ‘ছি-ছি’ বলে না।
     রাগতেও দেখি না, দুঃখ পেতেও না। 
    চেষ্টা করে দেখেছি—উসকে দিলেও মুখের ভাবে কোন তফাৎ হয় না। 
    গলার স্বর একই স্কেলে বাঁধা, ডি-মেজর। 
     
    তাহলে আমার সখী হবে কী করে? বলা যাক হাফ সখী, হাফ গৃহিণী।  
    ঘরের দেখাশুনো সব করে, অবশ্যই মেশিনের সাহায্যে।
     
    রুম্বাকে লাগিয়ে দেয় ঘর পরিষ্কার করতে। এঁটো বাসনকোসন  ডিশ-ওয়াশারে ঢুকিয়ে সুইচ অন করে, আবার সময় মত বের করে ট্রেতে রেখে দেয়। 
    একইভাবে জামাকাপড় ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে অন করে, সময়মত অফ করে কাপড় বের করে নেয়।
    আলমারিতে গুছিয়ে রাখার কাজ আমি করি। ওটা মোহিনীকে ছুঁতে দিই না। 
     
    ওই আলমারিটা খুললে আমি কাপড়চোপড়ের মধ্যে রীমার গায়ের গন্ধ পাই। 
    বাসি কাপড় নিয়ে রীমা বড্ড খুঁতখুতে ছিল। 
    একটু ছুঁচিবাই ছিল ? 
    সেটা নির্ভর করে আপনি কোন বেস লাইন থেকে দেখছেন তার উপরে।
    কথাটা খুব বানিয়ে বলেছি কি?
     ভেবে দেখুন, এই যে আমরা দেশের উন্নতি বা অবনতি মাপি জিডিপি দিয়ে—থুড়ি, দেশের নয়, অর্থনীতির বা অর্থব্যবস্থার, 
    তাতে বেস ইয়ার বদলে দিলে ভ্যালু বদলে যায় না? 
    হরদম যায়।
     
     আপনি চিন্তায় ছিলেন--  অর্থব্যবস্থা সংকটে পড়েছে। চাকরি কমছে, দাম বাড়ছে।
    হঠাৎ শুনলেন মাভৈঃ! এই সংকট সাময়িক।
     ফান্ডামেন্টালস্‌গুলো ঠিক আছে, কোর আইটেমগুলো ঠিক আছে। 
    অতএব? 
    যাও সবে নিজ নিজ কাজে। এর মানে, নিজের চরকায় তেল দাও। অন্যের পেছনে কাঠি করা ছাড়ো।  
    তা আমার বেসলাইন থেকে দেখলে রীমার একটু ছুঁচিবাই ছিল।
     দিনে দু’বার চান করত, এমনকি শীতের দিনেও। 
    অবশ্যি ও উত্তর ভারতের মেয়ে, কোলকাতার শীত ওর কাছে ধর্তব্যের মত নয়।
     
     আমরা যখন মিলিত হতাম, একটু পরেই ও ছটফট করে উঠে জানলা খুলে দিত। 
    আমাদের গরম শ্বাস, শীৎকার –এসবে নাকি ঘরের বদ্ধ বাতাস দূষিত হয়ে গেছে। 
    কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়ে গেছে। তাজা হাওয়া আসুক।
    আমি চাইতাম, আর একটু শুয়ে থাকি, ওর গালে হাত বোলাই। ওর ছোট করে ছাঁটা চুলে বিলি কেটে দিই। 
    আর গল্প করি। ফেলে আসা দিনের গল্প, আমাদের আগামী দিনের স্বপ্নের গল্প।
    ওর বেসলাইন থেকে দেখলে আমি একটু আলসে আর অপরিষ্কার। 
    একবেলা চান করলেই খুশি। তাও কাগের চান। 
    ও জেরা করত—সাবান লাগিয়েছিলে? ভাল করে তোয়ালে দিয়ে রগড়ে ছিলে?  
    মুখ দেখলেই বোঝা যায় –কিছুই কর নি।  
    এখন রীমার স্মৃতি , ওর ভাললাগা মন্দলাগা আমার কাছে কেমন পবিত্র হয়ে উঠেছে। 
    কই, ও বেঁচে থাকতে তো এসব ফীল করিনি! যাকগে, তাই মোহিনীকেও রোজ বাসি কাপড় ছাড়তে বাধ্য করেছি। 
    রোবো বলে কি মানুষ নয়?
     
    ওর ঘরে ওয়ার্ডরোবে চার সেট জামাকাপড় রাখা আছে। 
    দু’সেট ওর বাপের বাড়ি, মানে ‘আশ্চর্য প্রদীপ’ কোম্পানি থেকে এসেছিল। 
    আর দু’সেট আমি কিনে দিয়েছি। 
    হ্যাঁ, কিনে দিলাম। 
     
    আলমারি ভর্তি রীমার নতুন, প্রায় নতুন, অল্প পুরনো, এমন অনেক জামাকাপড় আছে।
     শাড়ি, সালোয়ার কুর্তা, ম্যাক্সি, নাইটি আর যা যা থাকা দরকার  সবই। 
    কিন্তু তার থেকে দিতে পারি নি। অন্য কারও গা থেকে রীমার শরীরের গন্ধ আসুক—আমি চাই না।
     
    মানছি, মোহিনীর কাপড় না বদলালেও চলে। রোবো ঘামে না। 
    কিন্তু আমার চিন্তা—ঘাম কি সবসময় দেখা যায়? টের পাওয়া যায়? 
    মেটাল বা পলিমারের কি কোন স্রাব বেরোয় না যাকে ঘাম বা ঘামের কাছাকাছি বলা যেতে পারে? 
    গরমের বা শীতের প্রতিক্রিয়ায়?  
    অতশত জানি নে, আমি বিজ্ঞানের ছাত্র নই –সেতো আগেই বলেছি।
     
    তাই মোহিনীকে কম্যান্ড দিয়েছি—প্রতিদিন স্নানের পরে কাপড় বদলাতে হবে, মায় অন্তর্বাস শুদ্ধু। 
    হাসবেন না, ওর অন্তর্বাস আছে। 
    আরে, বাচ্চাদের খেলার পুতুলের অন্তর্বাস থাকে না।
     বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে বা মলে দাঁড়িয়ে থাকা ম্যানেকুইনদের থাকে না। 
    ওরাও ডল।
     
    কিন্তু রোহিণী ডল নয়, খেলনা নয়, ম্যানেকুইন নয়।
    ও হল রোবো।
     
    রোবো বলে কি মানুষ নয়? 
    হ্যাঁ, অন্তর্বাস আমিই কিনে দিয়েছি। সে এক কাণ্ড মশাই। 
    জীবনে কোন মেয়ের লঁজারি কিনতে হয় নি।
     ওটা রীমার নিজস্ব ডিপার্টমেন্ট। 
     
    তাই যখন মোহিনীর জন্য কিনতে গেলাম দোকানদার বলল—সাইজ?  
    আমি বোল্ড আউট! পালিয়ে এলাম। 
     
    বাড়ি এসে মোহিনীকেই জিজ্ঞেস করে ফেললাম—একটু কিন্তু কিন্তু করে।
    মোহিনীর চেহারায় কোন পরিবর্তন হল না, শুধু বুলেটের মত একটা শব্দ মুখ থেকে ছিটকে বেরোল—থার্টি সিক্স।
    ফের মার্কেট গেলাম, কিন্তু অন্য দোকানে।  

    আপনারা ভাবতেই পারেন-স্নানের পর কেন কাপড় বদলানোর কম্যান্ড দিলাম? 
    কেন ঘুম থেকে উঠে বাসি কাপড় ছাড়তে নয়?
     
    মোহিনী যে বিছানায় শোয় না, রাতে ঘুমোয় না, চার্জ হবার পর সারারাত জেগে একটা চেয়ারে বসে থাকে। 
    না, ও রীমার মত ঘুম না এলে বই পড়ে না; টিভি সিরিয়াল দেখে না, মোবাইলে টেক্সট করে না। 
    ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের বালাই নেই। 
    ও দেখতে মেয়ে হলে কী হবে, ও যে রোবো!
     
    তবে ধীশক্তিতে আমার চেয়ে এককাঠি নয় দশকাঠি এগিয়ে। কেমন করে টের পেলাম?
    বলছি মশাই, বলছি।
    ডেলিভারির আগে ফাইনাল পেমেন্ট, তার আগে ফিনিশড্‌ প্রোডাক্টের ডেমো। যেতে হল সেই পাণ্ডববর্জিত গ্রামে, ভাঙাচোরা এবং কাঁচা রাস্তা পেরিয়ে। 
    “আশ্চর্য প্রদীপ” কোম্পানির অফিস।
     
    গায়ের রঙ, হাইট, চেহারা, ব্যক্তিত্ব সব আমার অর্ডারের সঙ্গে পয়েন্ট টু পয়েন্ট মিলিয়ে দিয়ে ওরা ডেমো দিল। কিন্তু ধীশক্তিতে যে আমার চেয়ে বেশি হতে হবে! 
    কত বেশি তা জানি না, কিন্তু > x তো বটেই।
     
    ভাবছেন, x আবার কী! X হল আমার মগজাস্ত্রের লেভেল। সেটা কত তা ঠিক জানি না, অজানা রাশি, ধ্রুবক নয়, বদলাতে থাকে, তাই x। 
    কথা হল, নিজের বুদ্ধির স্তর কে জানে? 
    আইনস্টাইনও জানতেন কি? সন্দ আছে। 
     
    মানুষ দুটো জিনিস কখনোই দেখতে পায় না—নিজের চিন্তা করার ক্ষমতার স্তর আর নিজ নিজ পশ্চাদদেশ। 
    দ্বিতীয়টার জন্যে আয়না লাগে, একটা নয়, দুটো।
     প্রথমটা? ওই যে বললাম – x।
     
    সে কথা তুলতেই ম্যানেজার শ্রীমান অবধেশ কুমার হাসল।
     
    --ভাবছিলাম কখন এই প্রশ্নটি করবেন। 
    বেশ, মোহিনী এখন fully charged and in active mode.
     
    ভাবছি কী প্রশ্ন করব? ফিবোনাচ্চি সংখ্যার ক্রম নিয়ে এক সুন্দরী রোবো তিলোত্তমা আমায় ঘোল খাইয়েছিল, এই অফিসেই। 
    যা হোক, দুগগা বলে ঝুলে পড়ি। একটা সাধারণ ইনোসেন্ট কোশ্চেন দিয়ে আরম্ভ করি।
     
     
    --এক আর দুই মিলে কত হয়?
    মোহিনীর একবার চোখের পালক পড়ে।
    --১ আর ২ স্যার? যোগ করলে ৩, বিয়োগ করলে -১, গুণ করলে ২। আর ১কে ২ দিয়ে ভাগ করলে ০.৫। ২কে ১ দিয়ে ভাগ করলে ২।
    --ব্যস্‌?
    --আরও আছে স্যার। ১ এর পাওয়ার ২ হলে উত্তর ১, আবার ২ এর পাওয়ার ১ হলে ফল হবে ২ ।
     
    মাথা ধরে গেল। দেখি অবধেশ কুমার মিটিমিটি হাসছে। আমার পিত্তি জ্বলে গেল।
     এত সহজে হার মেনে ফাইনাল পেমেন্ট করব না।
     --ওয়েল ডান মোহিনী। কিন্তু ১ আর ২ কি সমান বা ইকোয়াল হতে পারে?
    --ওহ্‌ নো; দ্যাট ক্যান নেভার বী!
    --নট এন্টায়ারলি কারেক্ট মোহিনী। ম্যাথসের একটা দুনিয়া আছে, সেখানে সম্ভব। 
    যেমন গল্পের একটা দুনিয়া আছে, সেখানে গরু গাছে উঠতে পারে।
     
    --নো স্যার, এরকম হয় না। কোন অংকের বইয়ে লেখা আছে বলছেন, দেন, দেয়ার মাস্ট বী সাম ফ্যালাশিয়াস আর্গুমেন্ট।
    --আচ্ছা? তুমি কি আর্গুমেন্টের ভুল বের করে দেখাতে পারবে? ক্যান ইউ?
    --শিওর!
    --প্লীজ ডু ইট! 
    শো আস দ্য লজিক্যাল ফ্যালাসি।
     
    আমার গলার আওয়াজ কি একটু উচ্চগ্রামে? ম্যানেজার মিঃ কুমারের কপালে বলিরেখা বেড়ে গেছে। 
    গ্রাহক কি ফসকে যাবে? উনি মোহিনীকে মৃদু ধমক দিলেন।
    --অ্যাপোলজাইস মোহিনী। মিঃ সমাদ্দার তোমার চেয়ে বয়সে অনেক বড়। 
    উনি আমাদের মাননীয় গ্রাহক। 
    আর তোমাকে ওনার বেশ পছন্দ হয়েছে। ওনার বাড়ি নিয়ে যাবেন। 
    প্লীজ, একটু কো-অপারেট কর।
     
    মোহিনীর চেহারায় বা হাবভাবে কোন পরিবর্তন হয় না। কিন্তু গলার স্কেল জি-মেজরে নামে।
    --সরি মিঃ সমাদ্দার। আপনি আমাদের রেস্পেক্টেড কাস্টমার। আমাকে ভুল বুঝবেন না। 
    বলছি কি, আপনি যদি কী ভাবে কেউ ১ ইজ ইকোয়াল টু ২ প্রুভ করেছেন সেটা আমাকে বলে দেন, তাহলে আমার কাজটা সহজ হয়। 
    আমি তখন তাঁর লজিকের গ্যাপ বুঝতে পারব।
     
     
    --ওয়েল ওয়েল! নো হার্ড ফিলিং। বলছি।
    ধরা যাক,    a = b.   ---(1). এটা হল ১ নং সমীকরণ।
    একে যদি দু’দিকেই a দিয়ে গুণ করি, তাহলে পাব
          a^2 = ab.   
    এর থেকে দুদিকেই b^2 বিয়োগ করলে পাবো
         a^2-b^2 = ab-b^2
    আমরা বীজগণিতের প্রাথমিক সূত্র থেকে জানি  a^2-b^2=(a+b) (a-b)।
    এখন বাঁদিকে এটাকে সাবস্টিটিউট করে এবং ডানদিকে b কমন নিয়ে লিখলে আমাদের সমীকরণ দাঁড়াবে
        (a+b) (a-b) = b(a-b).   ---(2)       
     
    দেখ, এখন দু’দিকেই কমন ফ্যাক্টর হল (a-b)।  তাহলে দুদিকেই (a-b) দিয়ে ভাগ করি।
    অর্থাৎ (a+b) (a-b)/ (a-b) = b(a-b)/ (a-b)
    এবার কাটাকাটি করে (2)  হয়ে গেল খুব সাফসুতরো একটা সরল সমীকরণ যার নম্বর (3)
              a+b = b                     ---(3).
     
    আমাদের ১ নং সমীকরণ আগেই বলেছে  a = b.
    তাহলে (3) নম্বর সমীকরণের বাঁহাতে a = b  বসিয়ে দিলাম। তখন চেহারাটা হয়ে গেলঃ
              2b=b.
     অর্থাৎ     2=1.      
     
    দেখলে তো, এবার বল এই প্রমাণে ভুল কোথায়?
     
    মোহিনীর চেহারা আগের মতই গম্ভীর। খালি ওর চোখের পাতা ফরফর করছে।
    ফরফর--- ফরফর--- ফরফর।
     
    তার মানে এটা ওর সিলেবাসের বাইরে, পারবে না। 
    হুম্‌ তাহলে বুদ্ধিবৃত্তির বিচারে কে উনিশ, আর কে বিশ?
     
    আমি একটু ঘাড় বেঁকিয়ে মিঃ অবধেশ কুমারের দিকে তাকাই। 
    না, উনি আমার দিকে তাকাচ্ছেন না। একদৃষ্টিতে  মোহিনীকে দেখছেন। 
    ভদ্রলোক হিপনোটিজম প্র্যাকটিস করেন নাকি?
     
    সে যাই করুন, সেটা ওনার ব্যাপার। আমি অ্যাডভান্সের টাকা ফেরত নেব। 
    কারণ উনি কন্ট্রাক্ট অনুযায়ী মাল ডেলিভার করতে পারেন নি।
    --সরি অবিনাশ স্যার।
     
    চমকে ফিরে তাকাই মোহিনীর দিকে । ও আমাকে সরি বলছে! হার মেনে নিল? 
    একটু খারাপ লাগছে। রোবো হলে কী হবে নারী তো বটে! 
    মেয়েরা হেরে গেলে আমার খারাপ লাগে।
     
    --সরি বলার কী আছে? ইট’জ অলরাইট। সবাইকে সব কিছু পারতে হবে কেন?  
    আমাকে পিরিয়ডিক টেবল নিয়ে জিজ্ঞেস করলে মুখ দিয়ে একটা শব্দও বেরোবে না।
     
    --অবিনাশ স্যার। আপনি আবার ভুল বুঝেছেন। আপনার ওই প্রুফে মস্ত বড় ফ্যালাসি আছে, তায় এলিমেন্টারি লেভেলের।
    মেয়েটা বলে কি!
    --কোথায় ভুল?
    --২ নম্বর সমীকরণ থেকে ৩ নম্বরে পৌঁছতে আপনি একটা বিরাট লাফ দিলেন, ভুলটা সেখানেই।
     বুঝিয়ে দিচ্ছি। 
     
    এটা দেখুন,
    (a+b) (a-b)/ (a-b) = b(a-b)/ (a-b)
    অর্থাৎ ২ নম্বর সমীকরণের দু’দিকেই (a-b) দিয়ে ভাগ দেয়া হয়েছে।
    কিন্তু আপনিই তো ধরে নিয়েছেন a = b                   ---(1).
    তাহলে (a-b)=০
     
    মানে, আপনার সমীকরণ আসলে (a+b) ০/ ০ = b ০/০
    আপনি ০ দিয়ে ভাগ করছেন। যেটা অঙ্কের হিসেবে ভুল, করা যায় না। 
    ০ দিয়ে যোগ, বিয়োগ, গুণ সব করা যায়; কিন্তু ভাগ নয়। 
    কারণ ০ দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল হবে ইনফিনিটি—অসীম, অনন্ত। 
    এটার ম্যাথমেটক্যাল সিম্বল খানিকটা এরকম দেখতে OC .
     
    আমার মুখে কথা ফোটে না।
    মিঃ কুমার মোহিনীকে প্রশ্ন করেনঃ এই সিম্বলটি গণিতশাস্ত্রে কে আবিষ্কার করেছিল
    --জন ওয়ালিস, সপ্তদশ শতাব্দীতে।

    আমি রুমাল বের করে খানিকক্ষণ ঘাম মুছতে থাকি। 
    তারপর হাতের ফোলিও ব্যাগ থেকে চশমা, চেকবই আর কলম বের করে টেবিলে রাখি।
    কিন্তু অবধেশ না না করে ওঠেন।
    --সমস্ত পেমেন্ট অনলাইনে হবে। আর তার আগে আপনাকে একটা ডিক্লারেশন সই করে বলতে হবে যে ডেমো দেখে আপনি সন্তুষ্ট।
     আপনার দেয়া অর্ডার মোতাবেক মাল দেয়া হয়েছে এবং আপনার কোন কমপ্লেন নেই।
     
    আমি একটু থমকে মোহিনীকে দেখি। 
    ওকে মাল বলা কি ঠিক? কোথায় রুচিতে বাঁধছে।
    অবধেশ বুঝে গেছলেন। দেখিয়ে দিলেন ডিক্লারেশনে কোথাও গুডস্‌ শব্দ নেই। 
    আছে প্রোডাক্ট এবং কনসাইনমেন্ট। আমি এক গেলাস জল দিতে বলি।
     
    হ্যাঁ, যেটা বলা হয় নি তাহল  কয় সপ্তাহ আগে অর্ডারের ফর্ম ভরার সময় অনেক ভেবেচিন্তে যা স্পেসিফিকেশন দিয়েছিলাম তা হলঃ
     গায়ের রঙ্ হবে চাপা, যাকে পাত্রপাত্রী কলামে লেখা হয় উজ্বল শ্যামবর্ণা। 
     
    ধেত্তেরি, এটা না বললেই হত। আপনাদের কাছে ভুল মেসেজ যাবে। 
    পাত্রপাত্রী কলাম –ওটা কথার কথা।  
    এই বয়সে আমি নিশ্চয় নিজের জন্য ঘটকালি করছি না। 
    আর এই আলাদীনের চ্যালার দল কোন প্রজাপতি অফিস খুলে বসেনি।
     
    দেখুন না, তার সঙ্গে গৃহকর্মনিপুণা লিখি নি।পূঃ বঃ /পঃ বঃ লিখিনি। 
    গোত্র শাণ্ডিল্য নাকি আলম্বন নাকি মৌদগল্য এসব কিছুই লিখিনি।
     
     এমনকি নিজের সম্বন্ধে ‘বিপত্নীক’ লিখিনি। কেঃ সঃ চাঃ অথবা রাঃ সঃ চাঃ লিখি নি। 
    এটা আপনারা জানেন নিশ্চয়ই—কেন্দ্রীয় সরকারি চাকুরি বা রাজ্য সরকারি চাকুরি।
     
    এছাড়া বিধবা পাত্রীতে আপত্তি নাই, পূর্বপক্ষের সন্তান থাকা বাঞ্ছনীয় নয় –লিখিনি। 
    মোহিনী কী পাশ—জানতে চাই না। এমনিতেই যা ভেলকি দেখাচ্ছে!
     
    এবার তো মানবেন যে ‘পাত্রপাত্রী’ কথাটা আচমকা এসে গেছে। 
    দুর্ঘটনাও না—জাস্ট একটা সুপারফিশিয়ল ভ্যারিয়েবল।
     
    কী বলছেন? আচমকা কিছু হয় না। মনের অগোচরে পাপ নেই, অবচেতনে--!
    আচ্ছা পোঁয়াপাকা লোক তো! 
    যান মশাই, আপনার এটা না পড়লেও চলবে। 
    বাংলা চ্যানেল খুলে ‘চরকা কাটে চাঁদের বুড়ি’ সিরিয়াল দেখুন গে’।  
     
    তবে  আপনাদের একটা কথা সত্যি। 
     
    ভেবে দেখলাম, গায়ের রঙ, ড্রেস সেন্স, চুলের ছাঁট, অংক ও দর্শনের কূট প্রশ্নোত্তরে রুচি—এসব ঠিক করার সময় আমার অবচেতনে দাঁড়িয়ে ছিল রীমা। 
    দাঁড়িয়ে ছিল আর মিটিমিটি হাস ছিল। 
     আমি যা করছিলাম তা হল যেন কোনমতেই রীমার সঙ্গে না মেলে।
    একটা রোবো যেন প্রতি পদক্ষেপে আমায় রীমার কথা মনে না করায়।
     
    হ্যাঁ যা বলছিলাম। পেমেন্ট করার আগে ওরা জানিয়ে দিল যে আমার পছন্দের এলিমেন্টারি মডেলে দশটার বেশি বিশেষ ফীচার দেয়া সম্ভব নয়।
     ছ’মাস পরে যদি আমি মডেল বদলাতে না চাই তাহলে ওরা আরও দুটো ফীচার জুড়ে দেবে—নিখরচায়।
    কিন্তু আমাকে নাকি ওদের দিল্লি অফিসের বিশেষ ভালো লেগেছে। 
    তাই আরও একটা এক্সট্রা ফীচার ওরা ইনস্টল করে দিতে রাজি আছে। 
    অপশনাল দুটো ফীচার থেকে আমাকে একটা বেছে নিতে হবে।
      প্রথম,
    একটা ক্রেডিট কার্ড ওভারড্রন হলে দরকার মত তাতে টাকা জমা করা যাতে পেনাল ইন্টারেস্ট না লাগে। 
    তবে এই লিমিট হবে পাঁচশো ইউরো বা পঞ্চাশ হাজার টাকা –যেটা কম।
     
    দ্বিতীয় অপশনটি একটি অদ্ভূত।
    আমার সঙ্গী মহিলা রোবো আমার
     থেকে দশ বা কুড়ি মিটার বৃত্তের মধ্যে আসা লোকের সম্বন্ধে আমাকে গন্ধ শুঁকে সতর্ক করে দেবে। 
    কিছু কোড ওয়ার্ড বলবে।
    যেমন যদি বলে --কোন কফি খাবেন? নেসক্যাফে না দেক্যাফ?
    তাহলে বুঝতে হবে লোকটা সুবিধের নয়। কোন বাজে মতলবে এসেছে।
    যদি বলে -- আপনাকে উঠতে হবে না, আমি দেখে নিচ্ছি—তাহলে বুঝতে হবে আগন্তুক শারীরিক ক্ষতি করতে চায়। 
    আমার উচিত এক্ষুণি উঠে একটা ঘরে ঢুকে দরজায় ছিটকিনি দেয়া। 
    যদি সেটা করি, তাহলে মোহিনী তক্ষুণি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ফোন করবে।
      
    সে না হয় হল, জানি আমার তেমন কোন বিপদ হবে না। কিন্তু যদি হয়, তাহলে? 
    রোবো মোহিনী পুলিশ ডাকলো, কিন্তু পুলিশ আসতে আসতে যদি দফারফা হয়ে যায়? আর কোন প্রোটেকশন?
     
    --আছে। সাধারণ কেসে ও দুষ্টু লোকটার চোখে পেপার স্প্রে ছিটিয়ে দেবে।  
    বদমাসদের সংখ্যা একাধিক হলে  বা  তাদের হাতে কোন অস্ত্র থাকলে মোহিনী দুর্বৃত্তের পাঁচ মিটারের মধ্যে এসে ওকে আচমকা একটা হাই ভোল্টেজ শক দেবে, সঙ্গে আগুনের ফুলকি, যেমনটি ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপে দেখা যায়।
     
     না, লোকটার কোন ক্ষতি হবে না। 
    কিন্তু আচমকা এই কাউন্টার হামলায় দুষ্টু লোক ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে , সম্ভবতঃ , পালিয়ে যাবে।
    দোটানায় পড়লাম। কী করি? আমি কোন পথে যাব সাথী?
     হিসেব করে খরচ করি। কোন বাজে নেশা নেই। ফলে ক্রেডিট কার্ডজনিত দুর্ঘটনা হওয়ার চান্স নেই বললেই চলে।
     কিন্তু দুর্ঘটনা কি আগে থেকে বলে কয়ে আসে? তাহলে সেটা ঘটনা, দুর্ঘটনা নয়।
     
    অন্যটাও তেমনই। ঘরে কোন দামি জিনিস নেই। 
    যা আছে আজকাল সবার ঘরে ঘরে আছে। 
    আমি কারও পাকা ধানে মই দি না। 
    তাহলে কে আমার ক্ষতি করবে?
    তখনই রীমার কথা মনে পড়ল। ও সবসময় বলত আমি লোক চিনি না।
    ব্যস্‌ , আমি দ্বিতীয় বিকল্প গ্রহণ করিলাম।
                                                                    (চলবে)

     

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ৩০ জুলাই ২০২৫ | ৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:4d17:eaa8:a31:***:*** | ৩১ জুলাই ২০২৫ ০১:১৮732846
  • গল্পটা সুন্দর এগোচ্ছে। 
    দু একটা মামুলি ব‍্যাপার
    "হে সিরি" মানে রীমা'র কাছে আইপ‍্যাড ছিল, ট‍্যাব বলতে সাধারণত এনড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এর কথা বলা হয় (বা অন‍্য ধরণের লিনাক্স ভিত্তিক )। 
    যেখানে লিখেছেন 
    "
    আমার সঙ্গী মহিলা রোবো আমার
     থেকে দশ বা কুড়ি মিটার বৃত্তের মধ্যে আসা লোকের সম্বন্ধে আমাকে গন্ধ শুঁকে সতর্ক করে দেবে। "
     
    এটা হয়ত সায়েন্স ফিকশনের পরিপ্রেক্ষিত থেকে লেখা। বাস্তবে কম্পিউটারের পক্ষে গন্ধ শোঁকার ব‍্যবস্তা করতে গেলে যে ধরণের ব্যাপার প্রয়োজন, রোবোট দিয়ে হবে কিনা কে জানে। তবে চেষ্টা হচ্ছে, osmo কোম্পানি অত‍্যাদি। 
     
    দ্বিতীয়ত, দশ থেকে কুড়ি মিটার দূরের ছড়িয়ে পড়া কেমিক্যাল ম‍্যাপ করে তাকে নিশ্চিত ভাবে চিহ্নিত করা কতটা রোবোটের পক্ষে সম্ভব কে জানে। 
     
    তবে আপনার লেখা পড়ে আসিমভের three laws of robotics মনে পড়ল (রোবোট মানুষের ক্ষতি করবে না, (২) মানুষের হুকুম তামিল করবে যদি না ১ নম্বর সূত্র লঙ্ঘিত হয়, (৩) রোবোট সবসময় নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে যদি না  ১ ও ২ নম্বর সূত্র লঙ্ঘিত হয়। 
    (আসিমভ I, Robot বইতে লিখছিলেন)। 
     
    যাকগে, এসব কেন যে লিখি কে জানে, :-)
     
    পরের পর্বের অপেক্ষায় 
  • Ranjan Roy | ৩১ জুলাই ২০২৫ ১৩:৪২732858
  • "যাকগে, এসব কেন যে লিখি কে জানে, :-)"
     
    অরিন,
      লিখবেন না মানে? আলবাৎ লিখবেন।
    পড়ে কারেকশন করে নিয়েছি।
     
    না লিখলে  আপনার লেখার টেবিলের সামনে ভার্চুয়াল ধর্না দেব, বলে রাখলাম।
  • Ranjan Roy | ৩১ জুলাই ২০২৫ ১৪:১৩732859
  • আরেকটা ভুল ছিল।
    আসলে ব্লু টুথ নয়, লিখতে চেয়েছিলাম অ্যাপলের হোমপড নামের পাওয়ারফুল সাউন্ড অ্যাসি্সট্যান্ট যা ঘরের ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত। এটা নিজেই এ আইয়ের ছোটখাটো উদাহরণ। আমি মেয়ের কল্যাণে ব্যবহার করি। 
     
    শুধরে নিয়েছি।
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:717c:2e5d:611f:***:*** | ৩১ জুলাই ২০২৫ ১৪:৪৫732861
  • তাহলে আরেকটা কাজ করতে পারেন। bravia র জায়গায় অ্যাপল টিভি করে দিন। :-) , হোমপডের সঙ্গে মিলে যাবে। হোমপডেও সিরি। 
    আপনার লেখাটা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছে এ আই নিয়ে একটা লেখা লিখি। 
    দেখি হাতে একটু সময় পেলে লিখব। 
  • Ranjan Roy | ৩১ জুলাই ২০২৫ ১৫:৩৮732862
  • ঠিক কথা। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন