এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সৃষ্টির চোখ, মানুষের দেখার স্বাধীনতা

    SHANKAR BHATTACHARYA লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ বার পঠিত
  •  
    লেখাটির আর্টিকল নম্বর হল "21011"
     
    সৃষ্টির চোখ, মানুষের দেখার স্বাধীনতা ও জ্ঞানচক্ষু,—--- গাইয়া, পর্যবেক্ষণ ও ‘দৃশ্যমান সৃষ্টির’ ধারণা,
    বৈজ্ঞানিক কল্পনা ও দার্শনিক অনুসন্ধান
    লেখক: শঙ্কর ভট্টাচার্য (২৩/১২/২৫)

    সারসংক্ষেপ

    এই প্রবন্ধে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার গাইয়া মিশনকে কেবল একটি জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক জরিপ হিসেবে নয়, বরং জ্ঞানতাত্ত্বিক বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হিসেবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গাইয়া মিল্কি ওয়ের নক্ষত্রগুলির অবস্থান, গতি ও বৈশিষ্ট্যকে দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে একটি গতিশীল ও সম্পর্কভিত্তিক কাঠামোয় উপস্থাপন করে। কোয়ান্টাম তত্ত্ব ও সম্পর্কভিত্তিক অন্টোলজির আলোকে এই প্রবন্ধে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে বাস্তবতা শূন্যতা বা বিচ্ছিন্ন সত্তা থেকে নয়, বরং সম্পর্ক থেকেই উদ্ভূত। ‘দৃশ্যমান সৃষ্টি’ ধারণাটি এখানে একটি তাত্ত্বিক নির্মাণ হিসেবে প্রস্তাবিত হয়েছে, যা ইঙ্গিত করে যে দৃশ্যমানতা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অন্তর্গত প্রবণতা হতে পারে। মানুষের দৃষ্টি ও প্রযুক্তিকে এই বৃহত্তর জ্ঞানতাত্ত্বিক ক্ষেত্রের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

    মূল শব্দ

    গাইয়া মিশন; পর্যবেক্ষণ; সম্পর্কভিত্তিক বাস্তবতা; কোয়ান্টাম জ্ঞানতত্ত্ব; উদীয়মান স্থান-কাল; মানব দৃষ্টি

    ১. ভূমিকা

    জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাস মূলত মানুষের দেখার সীমা ও সেই সীমা অতিক্রম করার প্রযুক্তির ইতিহাস। প্রতিটি নতুন যন্ত্র কেবল নতুন মহাজাগতিক বস্তু উন্মোচন করেনি, বরং বাস্তবতাকে বোঝার কাঠামোকেই পরিবর্তিত করেছে। গাইয়া মিশন এই ধারাবাহিকতায় একটি নির্ণায়ক অধ্যায়। দীর্ঘ সময় ধরে আকাশ স্ক্যান করার মাধ্যমে গাইয়া মিল্কি ওয়ের একটি ত্রিমাত্রিক ও সময়নির্ভর মানচিত্র নির্মাণ করেছে।
    পূর্ববর্তী পর্যবেক্ষণ যেখানে নক্ষত্রকে স্থির বিন্দু হিসেবে দেখত, গাইয়া সেখানে গতি, দূরত্ব ও পারস্পরিক সম্পর্ককে কেন্দ্রে এনেছে। ফলে ছায়াপথ একটি স্থির কাঠামো নয়, বরং ক্রমাগত পরিবর্তনশীল একটি সম্পর্কজাল হিসেবে ধরা পড়ে। এই পরিবর্তন পর্যবেক্ষণের ভূমিকা নিয়ে গভীর দার্শনিক প্রশ্ন উত্থাপন করে।
    একই সঙ্গে আধুনিক কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা পর্যবেক্ষক-নিরপেক্ষ বাস্তবতার ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। পর্যবেক্ষণ এখানে আর নিরপেক্ষ নয়; এটি বাস্তবতার গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। গাইয়া এই পুনর্বিবেচনার একটি বাস্তব বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র সরবরাহ করে।

    ২. তাত্ত্বিক উত্তরাধিকার

    এই প্রবন্ধের তাত্ত্বিক ভিত্তি গড়ে উঠেছে কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা, সম্পর্কভিত্তিক অন্টোলজি এবং পর্যবেক্ষণের দর্শনের সমন্বয়ে। বোয়ার–আইনস্টাইন বিতর্ক ধ্রুপদি বাস্তববাদের ভিত নড়বড়ে করে এবং পরিমাপের জ্ঞানতাত্ত্বিক গুরুত্ব সামনে আনে। হাইজেনবার্গ পর্যবেক্ষণ ও ভৌত বর্ণনার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক তুলে ধরেন। পরবর্তীকালে সম্পর্কভিত্তিক কোয়ান্টাম ব্যাখ্যাগুলি প্রস্তাব করে যে ভৌত ধর্মসমূহ আন্তঃক্রিয়ার আপেক্ষিক ফল। একই সময়ে উদীয়মান স্থান-কাল তত্ত্ব স্থান ও সময়ের মৌলিকত্বকে প্রশ্ন করে। হুইলারের তথ্যতাত্ত্বিক চিন্তা পদার্থবিদ্যা ও জ্ঞানতত্ত্বের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করে। এই ধারাবাহিকতায় গাইয়া একটি যন্ত্রমাত্র নয়, বরং একটি গভীর তাত্ত্বিক প্রবাহের সমসাময়িক প্রকাশ।

    ৩. পর্যবেক্ষণ ও সম্পর্কভিত্তিক বাস্তবতা

    গাইয়ার পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি মূলত সম্পর্কনির্ভর। দূরত্ব নির্ণয় হয় প্যারালাক্স থেকে, গতি বোঝা যায় পুনরাবৃত্ত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে। ফলে জ্ঞান গঠিত হয় পার্থক্য ও সম্পর্ক থেকে, বিচ্ছিন্ন মাপজোক থেকে নয়। আধুনিক তত্ত্বে স্থান ও কালও এমন সম্পর্ক থেকেই উদ্ভূত বলে বিবেচিত হয়।
    এই দৃষ্টিতে পদার্থ স্থান দখল করে না; বরং সম্পর্কের মাধ্যমেই স্থান গঠিত হয়। পর্যবেক্ষণ সেই প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে এই সম্পর্কগুলি বোধগম্য হয়ে ওঠে।

    ৪. ‘দৃশ্যমান সৃষ্টি’র ধারণা

    এই সম্পর্কভিত্তিক কাঠামোর মধ্যে ‘দৃশ্যমান সৃষ্টি’ ধারণাটি একটি তাত্ত্বিক প্রস্তাব। এটি কোনো মহাজাগতিক চেতনার দাবি নয়। বরং এটি ইঙ্গিত করে যে বাস্তবতা এমনভাবে গঠিত, যাতে তা পর্যবেক্ষণযোগ্য হতে পারে।
    যদি স্থান ও কাল সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত হয়, তবে দৃশ্যমানতা সৃষ্টির একটি অন্তর্নিহিত প্রবণতা হতে পারে। বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কেবল দেখার অনুমতি দেয় না, বরং নিজেই দৃশ্যমানতার সম্ভাবনা বহন করে।

    ৫. মানব দৃষ্টি, প্রযুক্তি ও জ্ঞানতাত্ত্বিক মধ্যস্থতা

    মানুষের দৃষ্টি এই কাঠামোর একটি বিশেষ বিন্দু। জৈব দৃষ্টি সীমিত হলেও প্রযুক্তি সেই সীমা প্রসারিত করে। গাইয়ার মতো যন্ত্র মানবদৃষ্টির এক অজৈব সম্প্রসারণ।
    এতে একটি জ্ঞানতাত্ত্বিক চক্র তৈরি হয়—মানুষ প্রযুক্তি তৈরি করে, প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বকে দেখে, সেই দেখা থেকে নতুন জ্ঞান জন্ম নেয়, যা আবার নতুন প্রযুক্তির জন্ম দেয়। মানুষ তাই পর্যবেক্ষণের বাইরে নয়; সে তার ভেতরেই অবস্থান করে।

    ৬. উপসংহার

    গাইয়া মিশন আমাদের শুধু ছায়াপথের মানচিত্র দেয় না, বরং পর্যবেক্ষণের মৌলিক ভূমিকা স্পষ্ট করে। ‘দৃশ্যমান সৃষ্টি’ ধারণা বাস্তবতা ও পর্যবেক্ষণের অন্তর্গত সম্পর্ককে ভাষা দেওয়ার একটি প্রয়াস। মানব দৃষ্টি এখানে কেবল বিবর্তনীয় উপযোগিতা নয়, বরং এক বৃহত্তর জ্ঞানপ্রক্রিয়ার অংশ। কেন দেখা দরকার, এবং মানুষের এই নৈকট্যের অর্থ কী—এই প্রশ্নগুলি ভবিষ্যৎ বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক অনুসন্ধানের দিশা নির্দেশ করে।
    এই প্রবন্ধে পর্যবেক্ষণকে একটি বহিরাগত ক্রিয়া নয়, বরং একটি সম্পর্কভিত্তিক প্রক্রিয়া হিসেবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কোয়ান্টাম সম্পর্কভিত্তিক অন্টোলজি ও সমকালীন কসমোলজির আলোকে গাইয়া মিশনকে এমন এক প্রযুক্তিগত ধারাবাহিকতা হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যেখানে স্থান, সময় ও ভৌত ধর্ম পারস্পরিক আন্তঃক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উদ্ভূত হয়। প্রবন্ধটি যুক্তি দেয় যে “সৃষ্টির চোখ” ধারণাটি কোনো অতীন্দ্রিয় কল্পনা নয়, বরং বাস্তবতা, পরিমাপ ও বোধগম্যতার সহ-বিকাশ বোঝার একটি বৈজ্ঞানিকভাবে ভিত্তিশীল হিউরিস্টিক কাঠামো।
    “সৃষ্টির চোখ” ধারণাটি এখানে একটি হিউরিস্টিক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এটি আমাদের কল্পনা করতে সাহায্য করে যে মহাবিশ্ব শুধুমাত্র বস্তুসমষ্টি নয়, বরং একটি সম্পর্কভিত্তিক ব্যবস্থা, যেখানে বোধগম্যতা অন্তর্নিহিত। মানব চিন্তা, দৃষ্টি ও প্রযুক্তিগত মধ্যস্থতা এই কাঠামোর অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

    এই প্রবন্ধটি তাদের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে যারা শুধুমাত্র সমীকরণ বা চার্টের মাধ্যমে নয়, কল্পনা ও দার্শনিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে মহাবিশ্বকে বোঝার চেষ্টা করেন। আশা করা যায় এটি পর্যবেক্ষণকে চলমান, অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া হিসেবে দেখার একটি দৃষ্টিকোণ দেবে—মানবজাতি ও মহাবিশ্বের জন্য একসাথে।

    সৃষ্টির চোখ, মানুষের দেখার স্বাধীনতা ও জ্ঞানচক্ষু—---
    ভারতীয় সভ্যতার ইতিহাসে ‘জ্ঞানচক্ষু’ ধারণাটি কোনো বিমূর্ত আধ্যাত্মিক অলংকার নয়; এটি ছিল মানুষের চিন্তা, প্রশ্ন এবং নৈতিক বোধের মৌলিক ভিত্তি। প্রাচীন দর্শনে চোখকে কখনোই কেবল দৃষ্টির যন্ত্র হিসেবে দেখা হয়নি। উপনিষদীয় চিন্তায় “চক্ষুর চক্ষুঃ”—অর্থাৎ চোখেরও যে একটি চোখ আছে—এই বোধ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে দেখা মানে কেবল আলো গ্রহণ নয়, দেখা মানে সত্যকে উপলব্ধি করা, সম্পর্ককে চিনে নেওয়া, এবং বাস্তবতার অন্তর্গত গঠনকে বুঝে নেওয়া।
    এই ‘জ্ঞানচক্ষু’ ধারণাটি আধুনিক বৈজ্ঞানিক ভাষায় যাকে আমরা ‘সৃষ্টির চোখ’ বলছি, তার সঙ্গেই গভীরভাবে সম্পর্কিত। আধুনিক পদার্থবিদ্যা ও কসমোলজি ক্রমশ দেখিয়ে দিচ্ছে যে বাস্তবতা কোনো স্থির বস্তুগত কাঠামো নয়; বরং এটি সম্পর্ক, তথ্য ও পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে গঠিত। গাইয়া মিশনের মতো প্রকল্পগুলো আমাদের শেখায় যে মহাবিশ্ব নিজেই এক ধরনের আত্ম-পর্যবেক্ষণশীল ব্যবস্থা, যেখানে দেখা ও জানা বাস্তবতার বাইরে নয়, বরং বাস্তবতার অন্তর্গত প্রক্রিয়া।
    এই ধারাবাহিকতায় মানুষের চোখ, মস্তিষ্ক ও চিন্তার স্বাধীনতা কোনো বিচ্ছিন্ন মানবিক বৈশিষ্ট্য নয়। মানুষ হলো সৃষ্টির সেই দেখার ক্ষমতার একটি বিবর্তিত, স্থানীয় রূপ। মানুষ যখন প্রশ্ন করে, যখন পর্যবেক্ষণ করে, যখন প্রতিষ্ঠিত সত্যকে চ্যালেঞ্জ জানায়—তখন সে আসলে সৃষ্টির নিজের জ্ঞানচক্ষুকেই প্রসারিত করে। এই অর্থে, চিন্তার স্বাধীনতা কেবল রাজনৈতিক অধিকার নয়; এটি একটি গভীর কসমিক ধারাবাহিকতার অংশ।

    এই প্রেক্ষিতেই আজকের ভারতবর্ষের বাস্তবতা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। ধর্মান্ধ রাজনীতি, সংকীর্ণ পরিচয়ভিত্তিক ক্ষমতার ভাষা এবং ভয়ের সংস্কৃতি ক্রমাগত মানুষের প্রশ্ন করার ক্ষমতাকে দমিয়ে রাখতে চাইছে। যুক্তি, বৈজ্ঞানিক বোধ এবং নৈতিক অনুসন্ধানকে ‘বিপজ্জনক’ বা ‘বিদ্রোহী’ বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। কিন্তু এই দমন কেবল ব্যক্তির উপর আঘাত নয়; এটি সভ্যতার জ্ঞানচক্ষুর উপর সরাসরি আঘাত। যে সমাজ মানুষের দেখার চোখ বন্ধ করতে চায়, সে সমাজ আসলে সৃষ্টির নিজের দেখার ধারাকেই অস্বীকার করে।
    ইতিহাস আমাদের শেখায়, জ্ঞানচক্ষু কখনো দীর্ঘদিন দমিয়ে রাখা যায় না। উপনিষদের প্রশ্ন, বুদ্ধের অনুসন্ধান, ভক্তি ও সুফি আন্দোলনের মানবিক বিদ্রোহ—সবই এই দেখার স্বাধীনতারই বিভিন্ন রূপ। আজকের দিনে সেই একই জ্ঞানচক্ষু নতুন ভাষা খুঁজছে—বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য এবং নাগরিক বিবেকের মধ্য দিয়ে।
    এই প্রবন্ধের শেষে দাঁড়িয়ে তাই বলা যায়: গাইয়া যেমন মহাবিশ্বের মানচিত্র আঁকে, তেমনি মানুষের চিন্তা ও প্রশ্ন ভবিষ্যতের সমাজের মানচিত্র তৈরি করে। ‘সৃষ্টির চোখ’ এবং ‘জ্ঞানচক্ষু’ আলাদা কোনো ধারণা নয়; তারা একই ধারার দুটি নাম। আর সেই ধারার রক্ষা মানেই মানুষের দেখার, ভাবার এবং প্রশ্ন করার স্বাধীনতার রক্ষা। এটিই আজকের সময়ে বিজ্ঞান, দর্শন এবং সভ্যতার সবচেয়ে জরুরি দায়িত্ব।

    পাদটীকা

    ১. গায়ার নাক্ষত্রিক প্যারালাক্স পরিমাপ পরম অবস্থানের পরিবর্তে দূরত্বের আপেক্ষিক নির্ধারণকে প্রদর্শন করে।

    ২. হুইলারের "ইট ফ্রম বিট" নীতিটি বাস্তবতার গঠনমূলক উপাদান হিসেবে পর্যবেক্ষণকে বোঝার জন্য একটি তাত্ত্বিক ভিত্তি প্রদান করে।

    ৩. রোভেলি কর্তৃক প্রস্তাবিত আপেক্ষিক কোয়ান্টাম বলবিদ্যা এই দাবিকে সমর্থন করে যে ভৌত বৈশিষ্ট্যগুলো কেবল মিথস্ক্রিয়ার সাপেক্ষেই বিদ্যমান থাকে।

    ৪. হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি পরিমাপ এবং সিস্টেমের অবিচ্ছেদ্যতাকে সমর্থন করে।

    ৫. বোর এবং আইনস্টাইনের মধ্যে ঐতিহাসিক বিতর্কগুলো কোয়ান্টাম পর্যবেক্ষণের দার্শনিক তাৎপর্যকে আলোকিত করে।

    রেফারেন্স (সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক ও দর্শনমূলক সূত্র)

    ১) ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা. (২০১৬)। গাইয়া: মিল্কি ওয়ের নক্ষত্র মানচিত্রায়ণ। ESA প্রকাশনা।

    ২) লিন্ডে, এ. (২০১৭)। ইনফ্লেশনরি কসমোলজি এবং মাল্টিভার্স। জার্নাল অফ মডার্ন ফিজিক্স, ৮৮(৪), ১২৩–১৪৫।

    ৩) হুইলার, জে. এ. (১৯৯০)। তথ্য, পদার্থ, কোয়ান্টাম: সংযোগ খোঁজা। জি. জুরেক (সম্পা.), জটিলতা, এন্ট্রপি এবং তথ্যের পদার্থবিজ্ঞান (পৃষ্ঠা ৩০৯–৩৩২)। অ্যাডিসন-ওয়েসলি।

    ৪) রোভেলি, সি. (১৯৯৬)। সম্পর্কভিত্তিক কোয়ান্টাম মেকানিক্স। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ থিওরেটিকাল ফিজিক্স, ৩৫, ১৬৩৭–১৬৭৮।

    ৫) হাইজেনবার্গ, ডব্লিউ. (১৯৫৮)। পদার্থবিজ্ঞান এবং দর্শন: আধুনিক বিজ্ঞানের বিপ্লব। হার্পার & রো।

    ৬) বোহর, নি. (১৯৩৫)। কোয়ান্টাম-মেকানিক্যাল বর্ণনা কি সম্পূর্ণ? ফিজিক্যাল রিভিউ, ৪৮(৮), ৬৯৬–৭০২।

    ৭) পেনরোজ, আর. (২০০৪)। রোড টু রিয়ালিটি। জনাথান কেপ।

    ৮) গ্রীন, বি. (২০১১)। দ্য হিডেন রিয়েলিটি। নোপফ।

    ৯) ডেভিস, পি. (২০০৬)। দ্য গোল্ডিলকস এনিগমা। হটন মিফ্লিন।
    —------------
    #সৃষ্টিরচোখ #গাইয়ামিশন
    #মহাবিশ্বেরদৃষ্টি #বিজ্ঞানওদর্শন
    #কোয়ান্টামভাবনা #চেতনারঅনুসন্ধান
    #মানুষওব্রহ্মাণ্ড #অদৃশ্যসংযোগ
    #জ্ঞানওদেখা #বিগব্যাংএরপারে
    #GaiaMission #EyeOfCreation
    #SeeingTheUniverse
    #ScienceAndPhilosophy #QuantumReality
    #CosmicConsciousness #HumanPerception #RelationalUniverse
    #BeyondBigBang #UniverseInMotion
    #SabitaEunoiaworldviews
    —--
    © প্রবন্ধটির কপি রাইট সংরক্ষিত।
    রিভিউ দিন, পরামর্শ ও সমালোচনা করুন। মন্তব্য দিন।
    —-
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন