এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ডি-ভোটার টু ডিলিমিটেশন 

    কালের নৌকা লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৩২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ১৬ই ডিসেম্বর। বাংলাদেশের বিজয় দিবস। ঠিক যেদিন ১৯৭১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়েছিল তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান অধিকৃত করে রাখা পাক সেনাবাহিনী। ক্যালেণ্ডারে কয়েক দশক পার করে ২০২৫’এর সেই ১৬ই ডিসেম্বর। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার মতো করে প্রকাশিত হয়ে গেল সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ‘এসআরআই’-এর খসড়া তালিকা। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে। খসড়া তালিকায় নিজেদের নাম দেখতে পেয়ে, আত্মীয়স্বজন পরিবারের বাকি সদস্যদের নাম আছে জানতে পরে সে’ কি আনন্দ আমাদের সকলের। আছে আছে আছে, নাম আছে। নাম বাদ যায়নি। বাদ যায়নি। তবে আর চিন্তা কি? কারা যেন ভয় দেখাচ্ছিল, এই সবই ঘুরপথে সেই কুখ্যাত ‘এনআরসি’ করারই প্রক্রিয়া নাকি! বিরোধীদের অপপ্রচার সব। শোনা গেল, যাঁদের নাম বাদ গিয়েছে ভুলবশত। তাঁদের জন্যে বুথে বুথে বিএলও-রা শনি রবিবার করে হাজির থাকবেন। উপযুক্ত কাগজপত্র দেখিয়ে কোন এক ফর্ম ছয় নাকি পূরণ করে খসড়া তালিকায় নাম তুলে ফেলে যাবে। বাহ! এমনই তো হওয়া চাই। ভুলটুল তো হতেই পারে। কিন্তু চটজলদি এমন সুন্দর সংশোধনের বন্দোবস্ত! ঐ যে বলে না, ‘মোদি হ্যায় তো মুমনিক হ্যায়’। ঠিকই বলে।

    প্রথম বোমাটা ফাটলো তার পরপরই। খসড়া তালিকায় নাম থাকলেই তো আর হবে না। রাজ্যের প্রায় লক্ষ লক্ষ ভোটারের নাম খসড়া তালিকায় থাকলেও অলিখিত ভাবে তারা আসলেই ‘ডি-ভোটার’ হয়ে গিয়েছেন কিন্তু। এই সেই ‘ডি-ভোটার’, মানে সেই কুখ্যাত ‘এনআরসি’র ডাউটফুল ভোটার। সংক্ষেপে ডি-ভোটার। ভোটারের নামের পাশে বসে গিয়েছে শুধুমাত্র একটি ভয়ঙ্কর আলফাবেট, ‘ডি’। এই লক্ষ লক্ষ ভোটারের বাড়ি বাড়ি শুনানির সমন পাঠানো শুরু হয়ে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে সেই পরিচিত ‘বিএলও’ যিনি বা যাঁরা এই কয়দিন আগেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘এসআইআর’-এর ফর্মে সইসাবুদ করে ফর্ম নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই বিএলওআরই আবারও তথাকথিত ‘ডি-ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুনানির সমনে ডি-ভোটারের সই করিয়ে মূল সমনটা দিয়ে আসবেন। যেখানে নির্বাচন কমিশনের নিমন্ত্রণপত্রে লেখা থাকবে কবে কোথায় সংশ্লিষ্ট ডি-ভোটারকে হাজিরা দিতে যেতে হবে। প্রমাণ করে আসতে হবে তিনি এই ভারতবর্ষের বা আরও স্পষ্ট করে বললে তথাকথিত ২০১৪ সালে স্বাধীন হওয়া হিন্দুস্তানের বৈধ নাগরিক। হ্যাঁ প্রমাণটা করতে হবে, এতদিন ধরে বৈধ পথে সাংবিধানিক অধিকারে নিজের নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে রাজ্যের ও কেন্দ্রের আইনসভার জন্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার মতো সাংবিধানিক গুরুদায়িত্ব পালন করে আসা সেই সেই ভোটারকেই। যাঁর ও যাঁদের নামের পাশে জয় শ্রীরাম বলে বসে গিয়েছে একটা মাত্র অক্ষর, ‘ডি’।

    প্রমাণ করতে পারলে ভালো। খসড়া তালিকায় তাঁর নামের পাশে বসে যাওয়া সেই কুখ্যাত ‘ডি’ উঠে যাবে। ফাইনাল ভোটার লিস্টে যাতে তাঁর নামটুকু অন্তত জীবিত থাকে জ্জ্বলজ্জ্বল করে। আর না পারলে? সোজা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। আর একবার কাঠখড় পুড়িয়ে, জুতোর তলা খুইয়ে প্রমাণ করার সুযোগ জুটবে নিজের বৈধ নাগরিকত্বের। সেখানেও হোঁচট খেলে কেল্লাফতে। নির্বাচন কমিশনের ভোটারলিস্ট থেকে বাদ যাওয়াই শুধু নয়, যেদিন যখন সেই কুখ্যাত ‘এনআরসি’ আইন প্রয়োগ করা শুরু হয়ে যাবে, ঠাঁই হবে সোজা ডিটেনশন ক্যাম্পে। সেই আসামের মতো। নাগরিকত্ব হারানো ঊনিশ লক্ষ বেনাগরিক ভারতবাসীর মতো তখন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের কয়েক লক্ষ কিংবা কোটিরও ঠিকানা হয়ে উঠতে পারে ডিটেনশন ক্যাম্প। নাৎসী জার্মানির ‘কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের’ মতো।

    এখন যে প্রায় আটান্ন লক্ষ নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। তার ভিতর থেকে কারুর নামে কিন্তু শুনানির সমন যাবে না বাড়িতে। খসড়া তালিকার বাইরে থাকা বৈধ ভোটার, যদি কেউ থাকেন তাঁকে বা তাঁদের কিন্তু সম্পূ্র্ণ নিজ উদ্যোগে যত দ্রুত সম্ভব খসড়া তালিকায় নিজের বা নিজেদের নাম তুলিয়ে নিতে হবে। সেই জন্যেই ছুটতে হবে নিজের নিজের ভোটকেন্দ্রের বিএলওদের কাছে। যে লক্ষ লক্ষ ভোটারের নামে শুনানির সমন জারি হচ্ছে, শুধু তাঁদের বাড়িতেই বিএলওরা গিয়ে সমন জারির ফরমান দিয়ে আসবেন মাত্র। ফলে খসড়া তালিকায় থাকা কেউই প্রায় নিশ্চত নন, তাঁর নামে শুনানির সমন জারি হবে কি হবে না। খবরে প্রকাশ, যে লক্ষ লক্ষ ভোটারের নামে বাড়ি বাড়ি শুনানির সমন যাবে তাঁদের সংখ্যা কিন্তু প্রাথমিক ভাবে ঠিক করা হয়েছে। এর বাইরেও নাকি প্রায় কয়েক কোটি ভোটারকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। যাঁদেরকে নিজ নিজ নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য যে কোন পর্যায়ে ডাকা হতে পারে। ফলে নাগরিকত্ব প্রমাণ করার খাঁড়া কিন্তু কোটি কোটি ভোটারের মাথায় ঝুলছে। যে প্রায় সাত আট কোটি ভোটার এই মুহুর্তে এসআইআর-এর খসড়া তালিকায় নিজেদের নাম দেখে আহ্লাদে আটখানা! সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাঁদের ভিতরে যাঁদের নাম এসআইআর শুরুর আগেই করা ম্যাপিং প্রক্রিয়ায় বাদ পড়ে গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে তাঁদেরই বাড়ি বাড়ি সংশ্লিষ্ট বিএলও’রা শুনানির সমন দিয়ে আসবেন। অর্থাৎ ২০২৪ সালের ভোটার লিস্টে থাকা যে সমস্ত ভোটারের কোন লিংক ২০০২ সালের ইনটেন্সিভ রিভিশন বা আইআর’এ লিস্টের সাথে খুঁজে পাওয়া যায়নি, তাঁদেরকেই প্রাথমিক ভাবে ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে ডাকা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের সন্দেহভাজন ভোটারের তালিকায় থাকা বাকি কয়েক কোটি ভোটারের ব্যবস্থা পরবর্তীতে। এখন বোঝা যাচ্ছে না, ফাইনাল ভোটার লিস্ট প্রকাশিত হওয়ার পরেও কোন ভোটারকে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য ডাকা হতে পারে কিনা। কিন্তু যাঁদেরকেই তাঁর নাগরিকত্ব প্রমাণ দিতে ডাকা হোক না কেন, নাগরিকত্ব প্রমাণের বিষয়টি কিন্তু আদৌ সহজ নয়, সরল নয়। কারণ রাষ্ট্রের কাছে এই মুহুর্তে ভোটার কার্ড আধার কার্ড প্যান কার্ড রেশন কার্ড সহ যেসকল পরিচয়পত্রগুলি অধিকাংশ মানুষেরই প্রায় রয়েছে; সেইগুলির কোনটিই ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র বলে গ্রাহ্য নয়। আর এইখানেই কোটি কোটি ভারতীয় বাঙালিরই ভারতীয় নাগরিকত্ব আর সুনিশ্চিত নয়।

    শুধুই যে তাঁদের ভোটাধিকার সুনিশ্চিত নয়, তাই না। তাঁরা এই ভারতে আর কোনদিন মাথা উঁচু করে আত্মমর্যাদার সাথে দাঁড়াতে পারবেন কিনা, সেটিও নিশ্চিত নয়। নিশ্চিত নয়, সামনের দিনে তাঁরা সরকারি পরিসেবাগুলি ঠিক মতো পাবেন কিনা। নিশ্চিত নয়, তাঁরা নিজ ভিটেয় বাকি জীবন সম্মানের সাথে কাটাতে পারবেন কিনা। নাকি বাকি জীবনের ঠিকানা হবে কুখ্যাত সেই ডিটেনশন ক্যাম্প। কিন্তু এতো গেল যাঁরা ফাইনাল ভোটার লিস্টে বাদ পড়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব হারিয়ে ফেলতে চলেছেন, তাঁদের কথা। যতই সিএএ নিয়ে রাজনৈতিক হল্লা হোক না কেন। যাঁরা সিএএ আইনটি পড়ে দেখেছেন। তাঁরা জানেন সিএএ’তে, ভোটার লিস্ট থেকে বাদ পড়ে নাগরিকত্ব হারানো কারুর পক্ষেই নতুন করে ভারতীয় নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার ব্যবস্থা নেই। কিন্তু আসল কথা হলো, এই যে কয়েক কোটি রাজ্যবাসীর নাম ফাইনাল ভোটার লিস্ট থেকে বাদ পড়তে চলেছে। তাতে রাষ্ট্রের কি লাভ হবে? একটা লাভ হতেই পারে, রাষ্ট্র যদি তাঁদের নাগরিকত্বই বাতিল করে দেয়, তবে রাষ্ট্রীয় পরিসেবার বৃত্তের বাইরে ঠেলে দেওয়ায় রাষ্ট্রের বেশ কয়েক শত কোটি টাকা বেঁচে যেতে পারে। সেটা একটা বড়ো লাভ। কিন্তু যদি শেষমেষ তাঁদের ভোটাধিকারটুকু কেড়ে নিয়েও তাঁদেরকে রাষ্ট্রীয় পরিসেবার ভিতরেই থেকে যেতে দেওয়া হয়। তাহলেও রাষ্ট্রের কি লাভ? অন্তত রাষ্ট্রের কোন লাভ হোক না হোক। শাসকগোষ্ঠীর কি লাভ?

    শাসকগোষ্ঠীর লাভের জন্যেই তো ডিলিমিটেশনের তত্ত্ব! ডিলিমিটেশন অর্থাৎ লোকসভার জনপ্রতিনিধিত্বের সংখ্যা বিচারে রাজ্য অনুসারে জনপ্রতিনিধির সংখ্যা পরিবর্তন করা। কোন রাজ্যে বৈধ ভোটারের সংখ্যা অনুসারে লোকসভার বর্তমান আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা। আবার কোন কোন রাজ্যে বৈধ ভোটারের সংখ্যা হ্রাসের কারণে সেই সেই রাজ্যের লোকসভা আসন সংখ্যা কমিয়ে আনা। অর্থাৎ এই এসআইআর করে যদি দেখানো যায়, ভালো রকমের একটা বড় সংখ্যক ভোটারই অবৈধ, তাহলেই তো বৈধ ভোটারের সংখ্যাও ভালো রকম ভাবে কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে। আর অঙ্কের নিয়মেই যে রাজ্যে মোট বৈধ ভোটারের সংখ্যা যত কমিয়ে দেওয়া যাবে, সেই অনুপাতে সেই সেই রাজ্যের লোকসভার বর্তমান আসন সংখ্যাও ঠিক সেই অনুপাতে ততটা কমিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।

    এই যেমন আমাদের পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা আসন সংখ্যা বর্তমানে বিয়াল্লিশ। অথচ এই বিয়াল্লিশের ভিতরে কেন্দ্রের শাসকদলের হাতে অতি কম সংখ্যক আসন রয়েছে। পক্ষান্তরে তাদের বিরোধী শিবিরের হাতে অনেক বেশি আসন রয়ে গিয়েছে। এখন, রাজ্যের লোকসভার মোট আসন সংখ্যাই যদি কমিয়ে দেওয়া যায়। এবং কেন্দ্রের শাসকদল তাদের জেতা আসন কয়টিও যদি ঠিক মতো ধরে রাখতে পারে, তবে লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে তুলনামূলক ভাবে তাদের বিরোধী শিবিরের জেতা আসন সংখ্যা বেশ কিছুটা কমে যাবে। এটাই ডিলিমিটেশনের সুবিধে। যে যে রাজ্যে কেন্দ্রের শাসকদলের শক্তি কম। লক্ষ করলে দেখা যাবে, প্রাথমিক ভাবে সেই সেই রাজ্যেই এই অসাংবিধানিক এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মূল লক্ষ্য আগে বৈধ ভোটারের সংখ্যা হ্রাস করে দেখানো। এবং তারপরেরই আসল খেলা। সেই সেই রাজ্যের বৈধ ভোটারের সংখ্যা হ্রাস হেতু সংশ্লিষ্ট রাজ্যের লোকসভার মোট আসন সংখ্যাও তুলনামূলক হিসাবে কমিয়ে দেওয়া। তাহলেই সারা ভারতে যে যে রাজ্যে কেন্দ্রের শাসকদলের শক্তি কম। সেই সেই রাজ্যের লোকসভা আসন সংখ্যা কমে গেলেই, লোকসভায় কেন্দ্রের শাসকদলের বিরোধী শক্তিগুলির জেতা আসন সংখ্যাও অঙ্কের সরল নিয়মেই অনেকটা কমে যাবে। এটাই ডিলিমিটেশনের আসল খেলা।

    এবং পক্ষান্তরে যে যে রাজ্যে বর্তমান শাসকদলের শক্তি প্রায় নিরঙ্কুশ, সেই সেই রাজ্যের মোট বৈধ ভোটারের সংখ্যাবৃদ্ধি দেখিয়ে (যেমন করেই হোক, যে পথেই হোক), সেই সেই রাজ্যের লোকসভা আসন সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে বৃদ্ধি করে দিতে পারলেই কেল্লাফতে। লোকসভার বর্তমান আসন সংখ্যা ঠিক রেখেই রাজ্য বুঝে লোকসভা আসন কমিয়ে বাড়িয়ে, কেন্দ্রের শাসকদল লোকসভায় বরাবরের জন্যেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারবে। আর এইখানেই ডিলিমিটেশনের সাফল্য। এসআইআর সেই সাফল্যে পৌঁছানোর দুরন্ত হাতিয়ার। পরবর্তীতে শাসকগোষ্ঠী যদি দেশব্যাপি এনআরসি প্রয়োগ নাও করে, তবুও এসআইআর তাদের শাসনক্ষমতায় থেকে যাওয়ার চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের তুরুপের তাস। আবার পরবর্তীতে সরাসরি ঢাকঢোল না পিটিয়েও তলায় তলায় এনআরসি করে ফেলার বিষয়ে এই এসআইআরই তাদের হাতে সর্বোত্তম হাতিয়ার। তাই এসআইআর – ডিলিমিটেশন - লোকসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত এবং নীরব এনআরসি, সবকিছুই এক সুতোয় বাঁধা। ফলত লোকসভায় বর্তমান শাসকগোষ্ঠীই বরাবর নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার চালাতে পারবে। নিয়ে আসতে পারবে নিত্যনতুন জনবিরোধী আইন। একেবারে বোতলবন্দি করে ফেলতে পারবে নির্বাচনী পরিসর। গণতন্ত্র থাকবে কাগজে কলমে। এটাই ডিলিমিটেশনের ফাইনাল সাফল্য। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর পাখির চোখ। যাদের পিছনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে ভারতবর্ষের ধনকুবের শিল্পপতিরাই। তখন কৃষি আইনই হোক আর শ্রম আইন। শিক্ষা আইনই হোক আর শিল্প আইন। শিল্প মহলের স্বার্থরক্ষায় যেকোন আইনই জনতার উপরে চাপিয়ে দেওয়া যাবে। অথচ ভোটের রেজাল্টে ক্ষমতা হারানোর কোন ভয় থাকবে না। এটাই একবিংশ শতকের গণতান্ত্রিক নির্বাচনবিধি। এই এসআইআর সেই নির্বাচনবিধিতে গিয়ে পৌঁছানোরই শর্টকার্ট পথ। জয় শ্রীরাম!

    ©কালেরনৌকা ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৫
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ripon | 103.***.*** | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:১৩737076
  • খুবই জরুরি লেখা 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন