এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • লা পত্নী ভ্যানতাড়াঃ পর্ব ১৪ 

    রানা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৩৮ বার পঠিত
  • 0 | | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪
     
    এদিকে যখন একদিকে সাগ্নিকদের পার্টি শুরু হয়েছিল, তখন অন্য একটা হোটেলের বলরুমে শুরু হয়েছিল বৈদেহীদের নাচ। আগেই অবশ্য সে প্রণয়কে বলে রেখেছিল। কিন্তু আসব না আসব না করেও বৈদেহীর ঠেলায় প্রণয়কে রাজি হতে হল। হোটেলটা ওর চেনা কারণ সেখানে একবার অডিট করতে এসেছিল। তবে এখানে আসাটা যে সার্থক হয়েছে সেটা এসেই সে বুঝতে পারল। দেখল যে ফটোগ্রাফার আকাশ, ওর বউ সঙ্গে আরও দুজন এসে একটা টেবিলে বসে আছে।

    বাকি দুজনকে অবশ্য প্রণয় চেনে না। হঠাৎ ওর চোখ গেল একটু দূরে। দেখল যে সেখানে সীমান্তি একা একা রয়েছে বসে। পরনে একটা খুব আকর্ষনীয় পোশাক। সেজেছেও মারকাটারি। বৈদেহীরা এখনও স্টেজে ওঠেনি। ভাবল একবার সীমান্তির সঙ্গে দেখা করে এলে কেমন হয়। সে এগিয়ে গেল সীমান্তির দিকে। সীমান্তি ওকে দেখেই নাক সিঁটকালো।

    “তুমি এখানে?”, প্রণয় ভাবছিল যে পাশে বসবে কীনা।

    “কেন? এখানে কি আমার ঢোকা বারণ?”

    “আরে না না। কিন্তু একা, এইভাবে?”

    “একা না। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার ক্লায়েন্ট এসে পড়বেন। তুমি এখন যাও…”।

    “একটা কথা বলছিলাম সীমান্তি…”

    “উফফ! তাড়াতাড়ি বলো। আমার ক্লায়েন্ট আবার তোমার সঙ্গে কথা বলতে দেখলে রাগ করবে…”।

    “আমার শরীর এখন অনেকটা ঠিক হয়ে গেছে। আর রোজগারও মন্দ করছি না…”

    “তার আমি কী করব?”, হেসে বলল সীমান্তি। ঘুরতে থাকা টেবিল বয়কে একটা হুইস্কি দিয়ে যেতে বলল। সীমান্তি হুইস্কি পান করবে শুনে আশ্চর্য হল প্রণয়। সীমান্তি আবার নাকমুখ সিঁটকিয়ে বলল, “কী হল? Make it fast.”

    “আমি…, আমি তোমাকে…”

    “ভালোবাসো?”

    “ইয়ে মানে”, মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলল প্রণয়।

    “I am engaged pronoy. No vacancy. তুমি সেই অন্য মেয়েটাকে বিয়ে করে ফেল”।

    “কাকে?”

    “যাকে নিয়ে সেদিন স্টুডিওতে গেছিলে…”।

    হতবাক হয়ে গেল প্রণয়। সীমান্তির মোবাইলে ফোন এল। সে উঠে পড়ল। টেবিল বয়ের থেকে হুইস্কিটা নিয়ে সে লিফটের দিকে গেল চলে। প্রণয় ক্যাবলার মতো থাকল দাঁড়িয়ে।

    এদিকে বৈদেহীদের নাচ শুরু হয়ে গেছে। প্রণয় নিজেকে আকাশের থেকে এমনভাবে আড়াল করে রাখল যাতে আকাশ ওকে দেখতে না পায়।

    এদিকে সিঞ্জিনি নাচবে না বলাতে আকাশ অন্য একজনের সঙ্গে নাচতে শুরু করে দিল। তাই দেখে সিঞ্জিনির মাথা হেঁট হয়ে গেল। পাশে বসে থাকা পায়েল ওকে ইশারায় ধৈর্য ধরতে বলল। বলল, “আজ তোদের বিবাহবার্ষিকী। দেখ, ও তো তোকেই প্রথমে নাচতে ডেকেছিল। কিন্তু তুই মানা করলি আর আকাশ অন্যের সঙ্গে চলে গেল”।

    শৌনক অবশ্য আগের সমস্ত ঘটনার মাথামুণ্ডু কিছুই জানে না। সে বলল, “না না। এটা আকাশের ভারী অন্যায় হয়েছে। সিঞ্জিনি নাচতে চায় নি তো কী হয়েছে? ওদের আজ বিবাহবার্ষিকী। আকাশের উচিৎ ছিল সিঞ্জিনির সঙ্গেই থাকা…। যাই আমিও গিয়ে একটু নেচে নিই। তুমি?”।

    “রক্ষে করো বাবা”। পায়েল উঠল না। শৌনক আকাশের থেকে মেয়েটাকে নিয়ে নাচতে নাচতে আবার পায়েলের দিকে চোখ টিপল। দেখে পায়েল বলল, “দ্যাখ, আমার কর্তার অবস্থা। তুই আকাশকে দোষ দিচ্ছিস? সবার দেখ কেমন ছুকছুক অবস্থা”। ওয়েটার এসে পানীয় দিয়ে গেল। পায়েল সিঞ্জিনিকে, “নে, চুমুক দে”।

    চুমুক দিয়েই সিঞ্জিনি আকাশকে দেখতে পেল না। আকাশ তখন সীমান্তির রুমে গিয়ে উপস্থিত হয়েছে।

    “এত দেরী করলে কেন সোনা?”। রাগ করে খালি গ্লাসটা সীমান্তি ছুঁড়ে মারল আকাশকে।

    “আরে! কুল ডাউন। আজ আমাদের ম্যারেজ অ্যানিভার্সারি। অনেক কষ্ট করে একটা রুম তোমার জন্য বুক করিয়েছি। মাঝরাতে, ও যখন ঘুমিয়ে পড়বে, তখন তোমার ঘরে চলে আসব”।

    “তুমি যে বউকে ডিভোর্স দেবে বলেছিলে, তার কি হল?”

    “ডিভোর্স না, আমি অন্য একটা উপায় ভেবেছি। পরে তোমাকে বলবো। এখন রাগ কোরো না সোনা। ওরা আমাকে বেশিক্ষণ না দেখলে সন্দেহ করবে”। আকাশ এসে সীমান্তি জাপ্টে ধরে একটা গাঢ় চুমু খেল। সীমান্তির স্তন দিল মুচড়ে। বলল, “তুমি যা খাবে অর্ডার দিয়ে দাও। আমি ঠিক মাঝরাতে আসছি। ওকে”।
     
    অনিচ্ছা সত্ত্বেও সীমান্তি মাথা নাড়ল। তবে মনে মনে একটা শিহরণ খেলে গেল যে শেষমেশ আকাশ তাকে বিয়ে করবে বলে মনস্থ করেছে। আহ! ওর অনেক টাকা। সীমান্তি অঢেল সুখে বাকি জীবন কাটাতে পারবে। আর তার জন্য এইমাত্র ক’টা ঘণ্টা একা একা কাটানোতেও সে রাজী।

    প্রণয় আঁচ করল যে আজ এখানে কিছু একটা ঘটতে চলেছে। সে তার এক পরিচিত ওয়েটারকে ডেকে তার প্ল্যানের কথা বলল। সেই ওয়েটার যেন হাতে চাঁদ পেল। কারণ তার নাকি আজকে গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে একটা অ্যাপো ছিল। কিন্তু মেয়েটাকে না বলে সে কাজে চলে এসেছে। এখন ওকে আবার ফোন করে দেখা করতে বলে নিজের ওয়েটারের পোশাকটা প্রণয়কে দিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে গেল বেরিয়ে।

    এদিকে শৌনক খানিকটা নেচে আবার এসে টেবিলে বসে পানীয়ের অর্ডার দিল।

    “কি? কেমন লাগলো নাচতে?”। পায়েল জিজ্ঞাসা করল।

    “ভালোই”। হেসে ফেলে শৌনক। “তুমি কি কারুর সঙ্গে নাচতে চাও?”

    “না। আজ শরীরটা ভালো নেই…”।

    আকাশ এসে আবার ওই মেয়েটার সঙ্গে নাচতে থাকল। এর মধ্যে সীমান্তি নিচে নেমে এসে একটা অচেনা ছেলের সঙ্গে নাচতে শুরু করল। কিন্তু আকাশ তাকে ইশারায় নাচতে মানা করাতে সে আবার দুদ্দার করে ফিরে গেল নিজের রুমে।

    ব্যাপারটা প্রণয়ের চোখ এড়াল না। সে ভাবল, তাহলে আকাশই হল সীমান্তির ক্লায়েন্ট। কিন্তু আকাশকে মেয়েটার ব্যাপারে এতো কিছু বলে আসা সত্ত্বেও দেখছি ব্যাপারটা মেটেনি। যাক, সে আজ এখানে এসে তার ভালোই হয়েছে। ঘটনা একটা ঘটছেই মনে হচ্ছে। আজ কি তাহলে আকাশ ওর বউকে খুন করবে নাকি? কে জানে? ভাবতে ভাবতে স্টেজের দিকে তাকাল প্রণয়। সেখানে বৈদেহীর একটা সোলো নাচ চলছে। সে ওকে একবার হাত নেড়ে অর্ডার নিতে চলে গেল। তারপর প্রথম অর্ডার নিয়ে সেটা টেবিলে রেখে সোজা চলে গেল রিসেপসনে।

    রিসেপসনের মহিলা তাকে চিনতে পারল। প্রণয় তাকে গোটা ব্যাপারটা খুব সংক্ষেপে বুঝিয়ে বলল। বলল যে তাদের সাহায্য লাগবে। ইতিমধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাওয়ায় বৈদেহীও প্রণয়কে ফোন করে চলে এল সেখানে। সেখান থেকেই বৈদেহী তার মামাকে ফোন করে পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করে দিল। তারপর নিজের ফোনটা রিসেপসনের মহিলাকে দিয়ে মামার সঙ্গে বলিয়ে দিল কথা।

    প্রণয় জেনে নিল যে সীমান্তি আর আকাশ কোনতলার কত কত রুমে থাকছে। তারপর বৈদেহীর সঙ্গে পরামর্শ করে একটা ঘর কাল সকাল অবধি বুক করিয়ে নিল। রুম বুক করা হয়ে গেলে বৈদেহী সেখানে চলে গেল ফ্রেশ হতে।

    বলরুমে তখন মিউজিক চলছিল। হালকা ও মন্দ ছন্দে স্যাক্সোফোন বাজছিল। আকাশ এবার অন্য একজনের সঙ্গে অন্য একটা টেবিলে কথা বলছিল। প্রণয় যতটা সম্ভব নিজেকে আড়াল করে সিঞ্জিনিদের টেবিলের অর্ডারটা নিতে গিয়ে শৌনককে বলল, “বাইরে একজন মহিলা আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন…”

    শৌনক একটু আশ্চর্য হল। আশ্চর্য হল পায়েলও। বলল, “এখানে আবার তোমাকে কে ডাকছে?”

    “কে জানে! এই উনি কিছু নাম বলেছেন নাকি?”। শৌনক ওয়েটারবেশী প্রণয়কে জিজ্ঞাসা করল।

    “মিসেস মুখার্জী বলেই তো বললেন। দেখুন না একবার গিয়ে…”

    “দেখি, আবার কোনও ক্লায়েন্ট টায়েন্ট নাকি?”

    “চলো তো, আমিও যাচ্ছি”। পায়েল বলল ওঠে।

    ওরা দুজন চলে যাওয়ার পর ফাঁকা পেয়েই প্রণয় সিঞ্জিনিকে বলল, “কেমন আছেন মিসেস রায়চৌধুরি?”

    সিঞ্জিনি খানিকটা ঘাবড়ে গেল। ভাবল ওয়েটার আবার তার নাম জানল কোথা থেকে? প্রণয় বলে চলল, “ঘাবড়াবেন না…”

    “আপনি কে?”

    “আমি হলাম সে যে আপনাকে ফোন করে সাবধান করেছিল”।

    সিঞ্জিনি প্রণয়ের দিকে তাকাল। প্রণয় তাকে ইশারায় আশ্বস্ত করল। একবার আকাশকে দেখে নিয়েই সে বলল, “Don’t worry. আমি আপনাদের পাশের ঘরেই আজকে থাকছি। আপনার হাজবেন্ডের পিছু নিয়ে এখানে এসেছি। পুলিশের লোকও একজন আছে”। একটা ঢপ মারল প্রণয়। এটা সে বলল যাতে সিঞ্জিনি নিজের ভেতর আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়। নিজেকে অসহায় না ভাবে।

    “কিছু সন্দেহ করছেন নাকি?”

    “ইয়েস। তবে আমি আছি”।

    শুনে সিঞ্জিনি হাসল। ভাবল যে এই মহামানবের সমুদ্রে তার ভক্তকে রক্ষা করার জন্য ভগবান বুঝি পাঠিয়ে দেন রক্ষাকর্তা । অস্ফুটে সে বলে উঠল, “দাদা…”

    “চুপ। ওই ওরা আসছেন। আপনি কিন্তু…”, বলে ইশারা করে দ্রুত সেখান থেকে সরে গেল প্রণয়।

    “কি? কে ছিল গো?” সিঞ্জিনি জিজ্ঞাসা করল।

    পায়েল মুখে একরাশ বিরক্তি নিয়ে ফিরে এল। “ধুত। হয় ওয়েটারটা মিথ্যা কথা বলেছে। নয়তো মহিলা আমাকে দেখতে পেয়ে ভেগেছে…”।

    “আরে কে মহিলা? তুমি আমাকে ভুল বুঝছ”। শৌনকও একরাশ বিরক্তি নিয়ে টেবিলে বসে পড়ল।

    আকাশও চলে আসায় এই ঘটনা নিয়ে ওরা কথা বন্ধ করে দিল। আকাশ বলল, “একী! সবার মুখ ভার কেন? এই ওয়েটার? এখানে…”

    “অর্ডার নিয়ে গেছে”। সিঞ্জিনি বলে ওঠে।

    ওদিকে নতুন ওয়েটার এসে হাজির হল। আকাশ তাকে আরও এক রাউন্ড মদ আনতে অর্ডার করল।

    বৈদেহী ঘরে গিয়ে খাবারের অর্ডার দিল। আগে অবশ্য প্রণয়ের কথা মতো চালু কোম্পানীর এক বোতল শ্যাম্পেন এনে রেখেছে সে।

    হাতমুখ ধুতে ধুতে প্রণয় বলল, “এভাবে আমার সঙ্গে রাত কাটাতে, মানে কাকীমা জানতে পারলে?”

    “আরে, মা তো জানে। তুমি কি ওয়াসরুমে যাবে?”

    “ইয়ে”, হেসে ফেলল প্রণয়। “একবার চেপে ছিল জানো, কিন্তু এই টেনশন আর উত্তেজনার মধ্যে হাওয়া হয়ে গেছিল। একবার ঘুরেই আসি?”

    “ওষুধটা ঠিক মতো খাচ্ছ তো?”, বৈদেহী তার ব্যাগ থেকে জামা বের করল।

    “হ্যাঁ। খুব ভালো ডাক্তার এই গুচ্ছাইতবাবু। I am lucky যে তোমাদের এত হেল্প…”, প্রণয় প্যান্ট ছেড়ে টাওয়েল জড়িয়ে নিল।

    “আবার ওসব প্যানপ্যানানি কথা?”

    “আরে না না। তোমরা মানে তুমি, মামা আর কাকীমা না থাকলে…”। বৈদেহী দুম করে প্রণয়ের কাছে এসে চুমু খেল। প্রথমে একটু অস্বস্তি হলেও পর মুহুর্তে আনন্দে শিহরিত হয়ে উঠল প্রণয়ের মনপ্রাণ। সেও বৈদেহির দিকে লজ্জা লজ্জা করে তাকিয়ে থাকল। বলল, “তোমাকে একটা কথা বলবো বলবো করে বলা হয়নি…”

    “যাও, আগে সেরে এসো”। চোখ পাকিয়ে বৈদেহী বলল।

    খানিকটা পটি করে বেরিয়ে এসে বৈদেহীর হাত ধরে সীমান্তির ব্যাপারটা খুলে বলল প্রণয়।

    “আমি প্রথমেই বুঝতে পেরেছিলাম…”

    “কিন্তু এখন মানে সেই দিন, যে দিন তুমি আর আমি স্কুটিতে করে প্রথম লালবাজার গেলাম, সেই দিন থেকে…”

    “সেই দিন থেকে কী?”

    মুখ নামিয়ে প্রণয় বলল, “তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি”। মুখ তুলে বৈদেহীর দিকে তাকাল। বৈদেহীর মুখেও একটা ভালবাসার আলো। চোখেমুখে একটা দ্যুতি। সে প্রণয়ের ঠোঁটে একটা গাঢ় চুমু খেল। এর মধ্যে দরজায় খাবার নিয়ে ধাক্কা দিল ওয়েটার। ওরা পরস্পরকে দিল ছেড়ে । খাবার নিয়ে বৈদেহী ওয়াসরুমে গেল ঢুকে ।

    পরে বৈদেহী ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে এলে খেতে খেতে বৈদেহীর চোখের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকল প্রণয়। ভাবতে থাকল প্রণয়, “নাহ্‌, ওদের মতো করে ওকে এত স্নেহ-মায়া-মমতা আর ভালোবাসায় কেউ বাঁধতে পারবে না। এত আশ্রয় কেউ দেবে না”। বৈদেহীও তাকিয়ে আছে; নিস্পলক।

    ফোন বেজে উঠল বৈদেহীর। দেখল যে মামা ফোন করেছে। “হ্যালো?”

    “সব ঠিক আছে তো?”

    “হ্যাঁ মামু”।

    “আর ছেলেটা? মাথার গোলমাল মিটেছে?”

    “হ্যাঁ। মিটবে না মানে?”

    “যাক। সাবধানে থাকিস”।

    “থ্যাংকু মামু”।

    প্রণয় বৈদেহীর হাবভাব দেখে হেসে ফেলল। বলল, “চলো, শেষ করে ফেলি। ওদিকে আবার দেরী হয়ে যাবে…”।

    প্রণয়ের চিকেন স্যুপ-ভাত আর বৈদেহীর চিকেন কষা-ভাত। দুদ্দার করে খেয়ে ওরা রেডি হয়ে গেল। প্রণয় বলল, “একবার ওদের দেখে আসছি”।           

    ওদিকে খাওয়া দাওয়া করে পায়েল আর শৌনক আকাশ আর সিঞ্জিনিকে বিবাহবার্ষিকীর অনেক অনেক অভিনন্দন জানিয়ে চলে গেল।

    (ক্রমশ)
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    0 | | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪
  • ধারাবাহিক | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৩৮ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    পত্তাদকাল - %%
    আরও পড়ুন
    বাদামি - %%
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন